এখন প্রায় দিনই খবরের কাগজ বা দূরদর্শনে খবর দেখলেই শিক্ষক কুলের কিছু শিক্ষকের বিভিন্ন ধরনের কুকীর্তি। কেউ শ্লীলতাহানি করেছেন কেউ বধূ নির্যাতন করছেন আবার খুন করছেন। যদিও বিশাল শিক্ষক কুলের মধ্যে এরা নগন্য, তবুও শিক্ষক হিসেবে খুব খারাপ লাগে তবে শ্লীলতাহানির অভিযোগ গুলো কতটা সত্যি তা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে। শিক্ষক কুলের প্রকৃত শিক্ষক হতে পারছে না কারণ নিয়োগের সময় দেখা হয় না, কতটা সে শিক্ষক হওয়ার যোগ্য। শিক্ষক হওয়ার সমস্ত গুনাবলী তার আছে কিনা ।কত গুলো প্রশ্ন দিয়ে সেটা দেখা বা বোঝা যায় না। অন্তত দু বছর কোনো স্কুলে পড়ানোর পর শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ করা উচিত। কারণ শিক্ষকের চরিত্র তার কথা বার্তা চাল চলন ছাত্রদের সঙ্গে ব্যবহার আরও বেশ কিছু বিষয় ভালো ভাবে লক্ষ করে তবেই শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ করা উচিত। আমি লক্ষ্য করেছি অনেক শিক্ষকের ভাষা আচার ব্যবহার শিক্ষক সুলভ নয়। যদি সত্যি শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতি করতে হয় তবে রাজনীতির ঊর্দ্ধে উঠে শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে। তবেই এটা সম্ভব হবে।
This is a news blog. Here I write story, social incidents, political incidents, & my life history etc.
Saturday, 22 July 2017
Friday, 7 July 2017
প্রাচীন ধর্মের কথা।
পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন ধর্ম গুলির মধ্যে হিন্দু ধর্ম একটা। আমার যতদূর জানা আছে যে এই হিন্দু ধর্ম শুরু হয়েছে আদিম যুগের মানুষের কিছু অতি প্রাকৃতিক ঘটনা কেন ঘটছে না বুঝে সেই সব ঘটনা থেকে মুক্তি পেতে তারা বিভিন্ন দেব দেবীর পূজা করে এসেছে। সেসব দেব দেবীর পুজো এখনও পর্যন্ত মানুষ করে আসছে। দেব দেবীর পুজো হিন্দু ধর্মের একটি অঙ্গ, তবে বিভিন্ন সময়ে ভারতের মহাপুরুষরা এই ধর্মের সংস্কার সাধন করেছে। হিন্দু ধর্মকে আরও সহজ সরল করার চেষ্টা করেছেন। আবার এই হিন্দু ধর্মের জটিলতা বা গোঁড়ামি থেকে মুক্তি পেতে অনেক নতুন ধর্ম প্রচারক ধর্ম প্রচার করেছেন। যেমন বৌদ্ধ ধর্ম, জৈন ধর্ম তবুও হিন্দু ধর্ম ভেঙে পড়েনি। হিন্দু ধর্ম সহনশীল এই ধর্ম সকলকে কাছে টানে। এখন তো হিন্দু ধর্ম অনেকটাই সহজ সরল হয়েছে। কারণ রামকৃষ্ণ এবং তাঁর সুযোগ্য শিষ্য স্বামী বিবেকানন্দের চেষ্টায় এই ধর্ম অনেকটাই সহজ সরল হয়েছে। এনারা কেউ মানুষকে ভয় দেখিয়ে বা জোর করে এই ধর্ম সংস্কার করেননি। পৃথিবীতে এমন একটা ধর্ম আছে যে ধর্ম মূল কথা নাকি শান্তি কিন্তু ধর্ম প্রচারের সময় থেকে যুদ্ধ করে ধর্ম প্রচার করতে হয়েছে, আবার জোর করে ধর্ম গ্রহণ করতে বাধ্য করা হচ্ছে, সন্ত্রাসবাদী দের বেশিরভাগ ঐ ধর্মের মানুষ। বুদ্ধ ধর্ম প্রচার হয়ে ছিল তারা অহিংস মতবাদে বিশ্বাসী আজও তাই, কথিত আছে যে সম্রাট অশোক বৌদ্ধ সাম্রাজ্য কলিঙ্গ আক্রমণ করে ছিলেন বৌদ্ধরা অস্ত্র ধরেনি নিজেরা প্রান বিসর্জন দিয়ে ছিলেন, হাজার হাজার মানুষ মারা গিয়েছিল। তা দেখে সম্রাট অশোক আর কোন দিন যুদ্ধ করেননি। তিনি বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণ করে তা সারা বিশ্বে প্রচার করে ছিলেন। আর এখন ধর্মের নামে গোঁড়ামি ধর্মের নামে রাজনীতি মানুষ খুন জোর করে ধর্ম গ্রহণে বাধ্য করা। ধর্মের নামে দেশ ভাগের আন্দোলন, ধর্মের নামে জেহাদ ঘোষণা করা যেন মনে হচ্ছে ধর্ম বড়ো মানুষ নয়। মানবতা তুচ্ছ ভুলে যাচ্ছি আল্লাহ বা ভগবান মানুষ সৃষ্টি করেছেন, ধর্ম নয়।
Sunday, 2 July 2017
আমার জীবনে অলৌকিক ঘটনা।
অনেক দিন আগের ঘটনা, আমার বাবা মা মারা গেছেন। আমি তখন চাকরি করছি কোন একটা কাজে শ্রীরামপুর গিয়েছি। হঠাৎ করে দুপুরে ট্রেন বাস বন্ধ আমি সিঙ্গুর ফিরব। আমি শ্রীরামপুর থেকে হাঁটা শুরু করলাম শেওড়াফুলির দিকে। রাস্তা চেনা নেই দোকান পাট সব বন্ধ, রাস্তা ফাঁকা শুন সান কাউকে জিজ্ঞেস করব উপায় নেই। অনেক চিন্তা নিয়ে হাঁটছি এমন সময় হঠাৎ দেখলাম আমার সামনে একটি কুকুর যাচ্ছে। আমি কোনো দিকে না তাকিয়ে কুকুরের পিছনে হাঁটতে লাগলাম। অদ্ভুত ভাবে লক্ষ্য করলাম কুকুর টি আমার সামনে সামনে হাঁটছে একটুও এদিক ওদিক করছে না। আমি শেওড়াফুলির কাছে আসার পর কুকুর টি শ্রীরামপুর থেকে আসতে শেওড়াফুলির যে সাবওয়ে পরে অর্থাৎ হাওড়ার দিকে সেই সাবওয়ের ভিতরে চলে গেল। আমি খুব অবাক হলাম যে কুকুর টি শ্রীরামপুর থেকে আমার সাথে এল এবং শেওড়াফুলির এসে সে গঙ্গার দিকে চলে গেল। এই ঘটনা আজও আমার মনে দাগ কাটে।
Saturday, 1 July 2017
কে যে ডাক্তার বোঝা দায়
গ্রামে ডাক্তার দেখানো সমস্যা দীর্ঘ দিনের হেতুরে ছাড়া মেলে না। যারা গ্রামে এরকম ডাক্তারি করে তারা কেউ এইট পাশ থেকে শুরু করে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ। কেউ কেউ হয়তো একটু আধটু বিজ্ঞান নিয়ে পড়েছে কেউ তাও পড়েনি। এরা কেউ কেউ অন্য কোনো ডাক্তারের কাছে হেল্পার বা ওদের ভাষায় কম্পাউন্ডার ছিল। এসব হেতুরে
দের মধ্যে কেউ কেউ আবার অন্য হেতুরের
কাছে হেল্পার হিসেবে কাজ করে ডাক্তারি করছে। গ্রামের মানুষ জানে এরা পাশ করা নয়, তবুও জ্বর জ্বালা, সর্দি কাশী হলে একটু
কেটে ছোড়ে গেলে গ্রামে এরাই ভরসা। আর ডাক্তারি পড়া গ্রামের অনেক ছেলের কাছে স্বপ্ন। মাধ্যমিক বা উচ্চ মাধ্যমিকে ভালো ফল করেও ডাক্তারি পড়া হয় না টাকার অভাবে। আবার দেখা যায় পশ্চিমবঙ্গে ডাক্তারি পড়ার সিট আছে হয়তো ৮০০/১০০০ প্রতিযোগিতা অনেক। গ্রামের ছেলের মেডিক্যাল জয়েন্টে পাশ করে হাজার বারো শো র মধ্যে র্্যঙ্ক করা সহজ হয় না। কারণ তারা JEE র অফিসে ঘন ঘন যোগাযোগ করে না। তাদের অভিভাবক রাও
যোগাযোগ করে না খরচের ভয়ে। কিন্তু শহরের ছেলেরা এটা বেশি করে তাই আট শ বা হাজার জনের মধ্যে শহরের ছেলে বেশি গ্রামের ছেলে কম। যদি বা থাকে তাহলে তাদের বিভিন্ন তিক্ত অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। কেউ কেউ তো টাকার অভাবে মাঝ পথে ছেড়ে দিয়ে চলে আসে। আবার পাশ করা ডাক্তারা কেউ গ্রামে আসে না। কারণ বেশি টাকা ফিজ নেওয়া যাবে না, বাবার অনেক টাকা খরচ করে ডাক্তারি পড়েছে খরচ তুলতে হবে না। তাহলে গ্রামের লোকের ভরসা রইল সেই কাছাকাছি গঞ্জ শহর। রাত বিরেতে যাওয়ার সমস্যা, তাও যায় কিন্তু বর্তমানে যেভাবে নাম করা সব ভুয়ো ডিগ্রি ধারি ডাক্তার ধরা পড়েছে। খবরের কাগজে ও টিভিতে যা দেখছি তাতে ভরসা উড়ে যাচ্ছে। কে যে আসল আর কে যে নকল ডাক্তার বোঝা দায়।