গ্রামে ডাক্তার দেখানো সমস্যা দীর্ঘ দিনের হেতুরে ছাড়া মেলে না। যারা গ্রামে এরকম ডাক্তারি করে তারা কেউ এইট পাশ থেকে শুরু করে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ। কেউ কেউ হয়তো একটু আধটু বিজ্ঞান নিয়ে পড়েছে কেউ তাও পড়েনি। এরা কেউ কেউ অন্য কোনো ডাক্তারের কাছে হেল্পার বা ওদের ভাষায় কম্পাউন্ডার ছিল। এসব হেতুরে
দের মধ্যে কেউ কেউ আবার অন্য হেতুরের
কাছে হেল্পার হিসেবে কাজ করে ডাক্তারি করছে। গ্রামের মানুষ জানে এরা পাশ করা নয়, তবুও জ্বর জ্বালা, সর্দি কাশী হলে একটু
কেটে ছোড়ে গেলে গ্রামে এরাই ভরসা। আর ডাক্তারি পড়া গ্রামের অনেক ছেলের কাছে স্বপ্ন। মাধ্যমিক বা উচ্চ মাধ্যমিকে ভালো ফল করেও ডাক্তারি পড়া হয় না টাকার অভাবে। আবার দেখা যায় পশ্চিমবঙ্গে ডাক্তারি পড়ার সিট আছে হয়তো ৮০০/১০০০ প্রতিযোগিতা অনেক। গ্রামের ছেলের মেডিক্যাল জয়েন্টে পাশ করে হাজার বারো শো র মধ্যে র্্যঙ্ক করা সহজ হয় না। কারণ তারা JEE র অফিসে ঘন ঘন যোগাযোগ করে না। তাদের অভিভাবক রাও
যোগাযোগ করে না খরচের ভয়ে। কিন্তু শহরের ছেলেরা এটা বেশি করে তাই আট শ বা হাজার জনের মধ্যে শহরের ছেলে বেশি গ্রামের ছেলে কম। যদি বা থাকে তাহলে তাদের বিভিন্ন তিক্ত অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। কেউ কেউ তো টাকার অভাবে মাঝ পথে ছেড়ে দিয়ে চলে আসে। আবার পাশ করা ডাক্তারা কেউ গ্রামে আসে না। কারণ বেশি টাকা ফিজ নেওয়া যাবে না, বাবার অনেক টাকা খরচ করে ডাক্তারি পড়েছে খরচ তুলতে হবে না। তাহলে গ্রামের লোকের ভরসা রইল সেই কাছাকাছি গঞ্জ শহর। রাত বিরেতে যাওয়ার সমস্যা, তাও যায় কিন্তু বর্তমানে যেভাবে নাম করা সব ভুয়ো ডিগ্রি ধারি ডাক্তার ধরা পড়েছে। খবরের কাগজে ও টিভিতে যা দেখছি তাতে ভরসা উড়ে যাচ্ছে। কে যে আসল আর কে যে নকল ডাক্তার বোঝা দায়।
This is a news blog. Here I write story, social incidents, political incidents, & my life history etc.
Saturday, 1 July 2017
কে যে ডাক্তার বোঝা দায়
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment