Thursday, 24 January 2019

ওপার বাংলার মানুষ আজও উদ্বাস্তু।

আমি আমার ব্লগে অনেক আগেই লিখেছি, যে দেশ স্বাধীন হয়েছিল বাঙালি হিন্দু জাতি টা কে ধ্বংস করার জন্য। এই বিষয়ে আমি আমার ব্লগে অনেক লেখা লিখেছি। আমরা বাঙালি ওরা বাঙাল, কিছু দিনের আগের লেখা বাঙালির জীবন থেকে কাঁটা তারের বেড়া আর গেল না। আমি জানি না কতজন পড়েছেন, আজ আবার লিখতে শুরু করেছি। আজ দেশ স্বাধীন হয়েছে সত্তর বছর আগে, সত্তর বছর আগে এরকম অবস্থা ছিলো না কারণ তখন বাংলা ভাগ হয়নি। 1905 সালে লর্ড কার্জন বাংলা ভাগারের চেষ্টা করে ছিলেন, কিন্তু সফল হতে পারেন নি, কারণ তখন অনেক বিখ্যাত মানুষ এর বিরুদ্ধে আন্দোলন প্রতিবাদ শুরু করে ছিলেন। সেই আন্দোলনের চাপে শেষ পর্যন্ত বঙ্গ ভঙ্গ রদ করতে বাধ্য হন। সেই বিখ্যাত বাঙালি গন এখন আর নেই, এখন অর্থাৎ স্বাধীনতা পাওয়ার পর থেকে কিছু স্বার্থান্বেষী বাঙালি, মিরজাফরের বংশ ধর দিল্লির সেই সব নেতার পা চেটে ক্ষমতা বা গদি ও মন্ত্রী হবার লক্ষ্যে যারা বাংলা ভাগ করে দেশের স্বাধীনতা নিল একজন প্রধানমন্ত্রী হবার লোভে আগে থেকেই ইংরেজ পা চাটত মাউন্ট ব্যাটেনের বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করে মিথ্যে স্বাধীনতা সংগ্রামী সেজে জেলে যেত যদি কেউ খুন করে দেয় সেই ভয়ে। আর একজন একজন অন্য ধর্মের মানুষ কে নিজের পদবী দান করে বংশ ধরে রাখার চেষ্টা করেছে। আমার তো মনে হয়, ঐ বিধর্মী ঐ বিখ্যাত মহাপুরুষের অবৈধ সন্তান। আর এই সব মহান পুরুষ বাংলা ভাগ করে বাঙালি জাতির মেরুদন্ড ভেঙ্গে দিয়ে ছিল। বাংলা মায়ের দামাল ছেলে ও সুসন্তান বীর স্বাধীনতা সংগ্রামী সুভাষ কে কায়দা করে দেশে ফিরতে দেয়নি। আজাদ হিন্দ বাহিনীর বিচারের নামে প্রহসন, এই মহা শয়তান দুজনে প্রথম আজাদ হিন্দ বাহিনীর সেনা দের পাশে দাঁড়ানি, যখন মুম্বাই এ নৌ সেনা বিদ্রোহ ও দেশের নানা প্রান্তে সেনা বিদ্রোহ শুরু হয়েছে, তখন সব মহান ব্যারিস্টার দ্বয় কালো কোর্ট গায়ে নেমে পড়েন প্রহসনে যঢ়যন্ত্র করে সুভাষ কে যুদ্ধ বন্দী ঘোষণা করে, আজাদ হিন্দ বাহিনীর কিছু সেনার মুক্তি দিতে সাহায্য করেন। এরা জানত একমাত্র বাঙালি জাতি পারে তাদের সরিয়ে ঐ পদ দখলে নিতে, বিশেষ করে বাঙালি হিন্দু রা তাই তাদের সংখ্যা কমিয়ে আনার জন্য দাঙ্গায় মদত দিতে একজন নোয়াখালী চলে গিয়ে ছিল । ওপার বাংলা থেকে আসা বাঙালি হিন্দু দের কোথায় ঠাঁই হলো। আন্দামানে দন্ডকারণ্যে তাদের জন্য না করা হলো বাসস্থানের ব্যবস্থা না করা হলো রুটি রুজির ব্যবস্থা। আর এই সমস্যা এপার বাংলার মানুষ মেনে নিতে পারল না, আর যারা পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতায় বা গদিতে বসল তারা দিল্লির ঐ মহা শয়তানের দের তেল মালিশ করা ব্যক্তি, সমস্যা সমাধানের কোনো চেষ্টা না করে নিজের গদি বাঁচাতে ব্যস্ত, নিজেরা করল দেশ প্রচার করা হলো ইংরেজ করে দিয়েছে । শ্যমাপ্রসাদ মুখার্জী না থাকলে আজকের এই বাংলাও থাকতো না হিন্দু দের জন্য । আর লাখ লাখ হিন্দু ভগবানের দোহাই দিয়ে সব ভাগ্য বলে মেনে নিয়ে হাত পা ছড়িয়ে কাঁদতে বসে পড়ল। এখন ও সময় আছে স্বাধীনতার সত্তর বছর পরেও যে সব নেতা আমাদের ঠকিয়েছেন, যারা নিঃস্ব করে দিয়েছে, যারা আমাদের স্বজন কে আমাদের কাছ থেকে কেড়ে নিয়েছে । আসুন সেই সব দালাল দের আমরা সমর্থন করব না। 

Tuesday, 15 January 2019

রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ নতুন ঘোষণা।

গত দু দিন বিভিন্ন অন লাইন নিউজ পোর্টালে পড়ছি, যে স্নাতক স্তরের পড়াশোনা শেষ করলেই, হাসপাতালের মতো বিদ্যালয় গুলোতে ইন্টার্ন নিয়োগ করা হবে। এই ভাবে শিক্ষকের চাকরি ভালো না মন্দ সেই নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে। আমাদের প্রিয় সনণ্মানীয়া মুখ্যমন্ত্রী শিক্ষক নিয়োগের যে পদ্ধতি বলেছেন। এই পদ্ধতি এক সময় সর্ব শিক্ষা শুরু করে ছিল পাঁচ শ টাকার পার্শ্ব শিক্ষক নিয়োগের মধ্যে দিয়ে। সেই শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ হয়ে ছিল 2010 সালে এপ্রিল থেকে। এই ভাবে শিক্ষকের চাকরি আদৌ সম্ভব কীনা পরের কথা কারণ যারা টেট দিয়ে বসে আছে কিম্বা যে ছেলে মেয়েরা ট্রেনিং নিয়ে বসে আছে, তারা কোর্টে মামলা রুজু করে দেবে। আর যদিও এই নিয়োগ হয় তবে আগামী দিনে তাহলে সিভিক পুলিশ হয়ে দাঁড়াবে এরা কম বেতনে শিক্ষক যেখানে শিক্ষকরা prt স্কেল দাবি আর করতে পারবে না, ওরকম দাবি হলেই ছাঁটাই করা হবে। আমি জানি না যে খানে আর টি এ্যক্ট অনুযায়ী এন সি আর টি ঈ বলে দিচ্ছে সকল শিক্ষকদের দু বছরের ট্রেনিং থাকতে হবে এবং উচ্চ মাধ্যমিক পঞ্চাশ শতাংশ বা স্নাতক হতে হবে। আমি দেখেছি উস্থি নামক শিক্ষক দের আন্দোলন ভাঙার নতুন দাওয়াই এটা তার সাথে পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা ব্যবস্থা কে ধ্বংস করার প্রয়াস। যেটা আর টি এ্যক্ট পশ্চিমবঙ্গের সনাতন শিক্ষা ব্যবস্থা কে ধ্বংস করে দিচ্ছে। আমার মনে হয় এ সিদ্ধান্ত উনি একা নিয়েছেন, না বন্ধু এর পেছনে এমন একজন আছেন, যিনি কিছুতেই শ্রমিকদের বেতন দিতে চান না। কি করে কম বেতন দিয়ে কাজ করানো যায় তার ব্যবস্থা করা। আবার উল্টো হতে পারে সম বেতনের দাবিতে আন্দোলন আরও জোরদার হতে পারে। সম কাজে সম বেতন এটা সুপ্রিম কোর্টের রায় কিন্তু মানছে কে, তাহলে এই ঘোষণা করা হতো না। শিক্ষিত বেকার ছেলে মেয়ে তে রাজ্য ভরে গেছে কিছু বেকার এগিয়ে আসবে শাসক দলের লোক বাড়বে। আর এই নিয়োগ দু হাজার টাকা বেতনে শিক্ষক নিয়োগের জন্য কত টাকা তোলা দিতে হবে । এখন তো শিক্ষকের চাকরি এমনকি বদলি পেতে টাকা লাগে। বদলি তো বন্ধ হয়ে গেছে, আগে সাধারণ ভাবে আবেদন করলে বদলি হওয়া যেত, একটু সময় লাগত বটে কিন্তু বদলি হতো, এখন তার উপায় নেই বহু কাঠ খড় পড়াতে হবে, নেতা মন্ত্রী ধরতে হবে চাহিদা মতো ব্যবস্থা করতে হবে, তার পর যদি সিকে ছেঁড়ে। এতো আলোচনা করে লাভ নেই, আগে নিয়োগ হোক তার পর দেখা যাবে। আমি একটা পরামর্শ দিতে পারি সনণ্মানীয়া যদি গ্রহন করেন ভালো হয়। আপনি ট্রেনিং প্রাপ্ত দের কেবল শুরুর বেসিক পে দিয়ে নিয়োগ করুন দুবছর যদি যদি তিনি ভালো কাজ করে তবে চাকরি কনফার্ম করে পূর্ণ বেতন দেবেন, কারও কথায় আপনি বেকার ছেলে মেয়েদের ভবিষ্যৎ নিয়ে এরকম ছেলে খেলা করবেন না। অন্তত সম কাজে সম বেতন এটা মানুন যাতে মানুষের ভালো হয়। আর বেশি কিছু লিখেছি না সব শেষে প্রণাম নেবেন। 

Friday, 11 January 2019

আজ বিবেক চেতনার দিন।

আজ বাঙালি জাতির গর্বের দিন, কারণ আজ এমন একজন মহাপুরুষের জণ্ম দিন, যিনি গোটা বিশ্বের মানুষের কাছে বন্দিত । যার বানী প্রতি কথা তৎকালীন সমাজ কেন বর্তমান দিনে খুব প্রাসঙ্গিক, কিন্তু কিছু মানুষ আছেন যারা মুখে তার আদর্শের কথা বলেন বাস্তবে অন্য কাজ করেন। কত গুলো ঠকবাজ মিথ্যে বাদি তার আর্দশ নিয়ে অনুষ্ঠান করেন, ভালো ভালো কথা বলে কিন্তু প্রতিনিয়ত মানুষ কে ঠকানো তাদের বেঁচে থাকার অধিকার হরণ করে নেন। বর্তমানে রাজনৈতিক নেতাদের এরকম মানসিকতা বেশি, একদিকে বিবেকানন্দ এর আদর্শের কথা বলছেন, আর অন্য দিকে নিরন্ন না খেতে পাওয়া মানুষ দেখলেই ঘৃনা করেন। কীভাবে এই সব অর্ধশিক্ষিত অভুক্ত মানুষ কে ভুল বুঝিয়ে নিজের আখের গুছিয়ে নেওয়া যায় তার ব্যবস্থা পাকা করে নেন। ভোট এলে প্রতিশ্রুতির ফোয়ারা ছোটে মানুষ নিজের সঠিক মত প্রকাশ করতে না পারে তার ব্যবস্থা পাকা করে দেওয়া হয়, মদ আর মাংস মশা মারার মতো মানুষ খুন করতে পারে সেরকম লোক লাগানো হয়। আর প্রতি বছর বিবেকানন্দের জন্ম দিন বিবেক চেতনা উৎসব পালন করা হয়, ঘটা করে কিন্তু নিজেদের বিবেক আর জাগ্রত হয় না। মানুষ ঠকানো চতুর ভাবে মানুষের উন্নয়নের টাকা হাতানো ঘুষ তোলা তোলা তোলা কোথাও আবার মানুষ কে কাজ করতে না দেওয়া সঠিক মজুরি বা বেতন না দেওয়া এই কাল অন লাইন নিউজ পোর্টালে পড়লাম একজন বনদপ্তরে সিকিউরিটি গার্ড তিন মাস বেতন না পেয়ে আত্মহত্যা করেছেন। কর্মী টি একটি বেসরকারি সংস্থার দ্বারা নিযুক্ত, এরকম অনেক শ্রমিক কর্মচারী আছেন যাদের বেতন এক থেকে দেড় হাজার টাকা মাসে। আর এক দিকে দেখুন এম পি, এম এল এ ও মন্ত্রীদের বেতন আকাশ ছোঁয়া আবার কোন রকম পাঁচ বছর থাকলে পেনশন পাবে, তাতেও তাদের আশা মেটে না আরো চাই, জন গনের নেতা জন গন থেকে বিচ্ছিন্ন ঘুষ খেয়ে তোলা বিভিন্ন সরকারি কাজ থেকে কাটমানি নিয়ে প্রাসাদ তৈরি করে বাস করেন। চার চাকা করে ঘুরে বেড়ায় সিকিউরিটি গার্ড নিয়ে। সত্যিই যদি এই নেতা মন্ত্রীরা স্বামী বিবেকানন্দের আদর্শ নিয়ে চলতেন তবে আজ আমার বাংলা তথা ভারত বর্ষ আরও অনেক নেতাজী, চিত্তরঞ্জন দাশ, রাস বিহারী বসু বিদ্যাসাগরের মতো মহাপুরুষ পেতে পারতো। আমাদের দূর্ভাগ্য ঘটা করে সরকারি ভাবে বিবেক চেতনা উৎসব পালন করা হচ্ছে, শুধু কিছু নেতার পকেটে কিছু সরকারি টাকা কাট মানি হিসেবে পাইয়ে দেওয়ার জন্য। ভালো ভালো কথা বলে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে মানুষ কে মানুষ মনে না করা এই সব নেতা মন্ত্রী দের বিবেক বুদ্ধি যদি একটু জাগ্রত হতো, তবে সাধারণ মানুষের দুঃখ ও অবহেলিত মানুষ অনেক সুখে শান্তিতে বসবাস করতে পারে। আমি বিবেকানন্দের কথা যত পড়েছি এই বিশ্ব জয়ী মহাপুরুষের অমৃত বানী গুলো যত পড়ি তত ভাবি সত্যিই আমি মানুষ হতে পেরেছি তো।.আশায় রইলাম নেতা তথা মন্ত্রী দের বিবেক জাগ্রত হবে। 

Thursday, 10 January 2019

বছরের শুরুতে স্কুলে ভর্তি সব ছাত্র ছাত্রীদের বই নেই, আছে শুভেচ্ছা পত্র।

জানুয়ারি মাসে প্রতিটি বিদ্যালয়ে ভর্তির সময়। ছাত্র ভর্তি সেতো আজব নিয়ম জানুয়ারি মাসের ২রা জানুয়ারি জণ্ম তারিখ হলে আর ভর্তি নেই, যারা নতুন বিয়ে করেছ ভাই শুনে নাও সন্তানের জন্ম যেন ১লা ডিসেম্বর থেকে ৩১ শে ডিসেম্বরের মধ্যে হয়, না হলে ২রা জানুয়ারি হলে তাকে সরকারি স্কুলে ভর্তি নেওয়া হবে না। তবে সারা বছর এবং যেকোন শ্রেণিতে ভর্তি হতে পারে। এবার বছরের প্রথম বই দেওয়া হয়েছে, কীভাবে শিক্ষকের কাছে চাহিদা পত্র না নিয়ে ডাইস নামক একটা ফর্মাট দেখে যেটা প্রতি বছর পূরণ করতে হয়। ঐ ডাইস ফর্মাটে অনেক কিছু আছে শ্রেণি মেরামত দরকার খাবার জলের সমস্যা সেব দিকে মন নেই কিন্তু বই দিতে হবে ঐ ফর্মাট দেখে নির্দেশ ঐ ফর্মাটে প্রাক প্রাথমিকে ছাত্র ছিল ত্রিশ জন প্রথম শ্রেণীর বই দেওয়া হলো ত্রিশ টা কিন্তু সরকারের নির্দেশ সারা বছর বয়স অনুযায়ী যে কোন শ্রেণিতে ভর্তি করা যাবে, সেই অনুযায়ী প্রথম শ্রেণীতে আরও চল্লিশ বা তার বেশি ছাত্র ভর্তি হলো এবার বই দেওয়া নিয়ে শুরু হলো সমস্যা বলা হলো ৮/১/২০১৯ বই এর চাহিদা পত্র নিয়ে আসুন বই দেওয়া হবে। হঠাৎ করে বলা বই দেওয়া বাতিল হয়েছে দেওয়া হবে শুভেচ্ছা পত্র। এবার সমস্যা তৈরি হলো বই না পাওয়া ছাত্র ছাত্রীদের অভিভাবকদের জবাব দেবে কে প্রধান শিক্ষক শিক্ষিকা কারণ ঐ অফিস ধরা ছোঁয়ার বাইরে। এখনও পর্যন্ত কবে বই দেওয়া হবে জানান হলো না। অথচ ভর্তি করার আগে অফিস থেকে বলা হলো ছাত্র ভর্তি করুন বই পেয়ে যাবেন। ঘটা করে পুস্তক দিবস পালন করা হলো ২রা জানুয়ারি। অন্য দিকে দেখছি কিছু ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা স্কুলের ছাত্র ছাত্রীরা বাজার থেকে বই কিনে পড়াচ্ছে । এমন ব্যবস্থা এই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীরা খুব সহজেই সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তি হতে পারে, আর সরকারি বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তি করতে হলে নানা বাধা। আমার তো মনে হচ্ছে সরকার চায়না সরকার পোষিত প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোতে ছাত্র ভর্তি হোক। আমি তো অফিসের কথায় ছাত্র ভর্তি করেছি এখনো বই দিতে পারিনি, জানি না কবে বই দিতে পারব। বুঝতে পারছি না কবে ঐ বড়ো বড়ো বাবুদের মাথায় ঢুকবে যে শিক্ষক দের বাঁশ দিতে গিয়ে সরকারের বদনাম হচ্ছে। পরিশেষে বলি সকলে ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন ।

Tuesday, 1 January 2019

কম বেতনের কর্মী।

ছবি টি অন লাইন নিউজ পোর্টাল আজ বিকেলের থেকে নেওয়া। সর্বশিক্ষা অভিযান মিশনের নিয়োগ প্রাপ্ত শিক্ষা বন্ধু দের আন্দোলন। আমি ওদের ঐ আন্দোলন কে সমর্থন করে লিখি, ভাই বন্ধু তোমরা কেউ দুঃখ করো না। তোমাদের থেকেও কম বেতনে কাজ করতে হয় আশা আর মিড ডে মিলের রাঁধুনি দে আই সি ডি এস রাঁধুনি আর কর্মী দের, এটা এরাজ্যের দস্তুর। শুধু এ রাজ্য কেন গোটা দেশে এরকম চলছে, এম পি এম এল এ দের বেতন বছর বছর বাড়ে। তাদের বেতন এখন যতটা সম্ভব একলক্ষ টাকা থেকে শুরু করে তিন লক্ষ টাকা পর্যন্ত আবার পেনশন আছে, কেবল কর্মী দের সময় টাকা নেই, পেনশন ও নেই। কর্মীদের বেতন দেওয়া বাংলার অর্থ মন্ত্রী কাছে খুব কষ্টের। আমি শুনেছি তিনি ব্যবসায়ী দের সংগঠন ফিকির সাথে যুক্ত ছিলেন। তিনি ব্যবসায়ী দের যুক্তি দিয়ে এসেছেন কীভাবে কর্মী তথা লেবার দের বেতন কম দিয়ে, সরকারি ঋণ শোধ না করে সরক ট্যাক্স না দিয়ে, মুনাফার পাহাড় করা যায়। উনি সেই সব প্রকল্পের জন্য জন্য টাকা দেন যেখান থেকে কাট মানি পাওয়া যাবে। ক্লাবে টাকা দেওয়া, জুতো দেওয়া, থালা দেওয়া, পোশাক দেওয়া, মদ খেয়ে মারা গেলে, কাট মানি নেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনা হয়ে যায় গ্রাম বাংলা সড়ক যোজনা, একশ দিনের কাজ ও তো কথাই নেই। কৃষকের ফসল বিমা আরও নতুন নতুন প্রকল্প চালু করতে চলেছে এই সরকার। ভাই ভাইপো দের পো বার এ বলে আমায় দেখ ও বলে আমায় দেখ সকালেই অন লাইন নিউজ পোর্টালে পড়লাম একজন ছোট্ট নেতা খুন হয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী এতো বলা সত্ত্বেও বন্ধ হয়নি তোলা আর তোলা নিয়ে নিজ দলের মধ্যে মারামারি খুন খারাপি। কত প্রকল্প যে আরও ঘোষণা করা হবে তার ঠিক নেই, সব টাকা পাওয়া যাবে কিনা ঠিক নেই, কি কেন্দ্রীয় সরকার কি রাজ্য সরকার লোকসভা নির্বাচনে আগে কল্পতরু, যদিও প্রকল্প চালু করতে ধরে নেওয়া গেল টাকা আছে বা টাকা পাওয়া যাবে, তাহলে বলতে হবে সব কাজের জন্য টাকা আছে কিন্তু সরকারি কর্মীদের বেতন দেওয়ার জন্য টাকা নেই। তখন বামফ্রন্ট সরকার দেনা করে রেখে গেছে, এই সরকার কত ইতিমধ্যে বাজার থেকে ঋণ নিয়েছে সেটা কিছু না। সব মিলিয়ে সরকারি কর্মীরা ভালো আছি বলুন কাজ না করলে আপনি ভালো নয়, পেটে ভাত নেই, ছেলে মেয়েদের পড়ানোর টাকা নেই, তাতে কি বেতন নেই তো কি আছে ভয় দেখানো আছে।