This is a news blog. Here I write story, social incidents, political incidents, & my life history etc.
Saturday, 23 October 2021
এত চাকরি এরপরেও আত্মহত্যা কেন?
পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া জেলা চুক্তির ভিত্তিতে খাদ্য দফতরে চাকরি দেবে। তবুও তো কাজ দেবে, এর পরেও চাকরি না পেয়ে আত্মহত্যা করেছেন কেন? আত্মহত্যা সমাধানের পথ নয়। পথ হচ্ছে এই সিস্টেম এর বিরুদ্ধে লড়াই আন্দোলন করা হতাশা গ্রাস করে জানি কিন্তু আত্মহত্যা সমাধান নয়। কখনো কোন অবস্থাতেই আত্মহত্যা করা উচিত নয়। আত্মহত্যা মানে এই অব্যবস্থা কে মেনে নেওয়া। এটা কখনই চলতে পারে না, আজ না হয় কাল এই দূর্বিসহ যন্ত্রণা থেকে মুক্তি আসবে। আমি জানি বেকার ছেলে মেয়ে দের যন্ত্রণা, হতাশা এলে বেশি করে বন্ধু বান্ধবের সাথে মেশ নিজের কষ্টের কথা তাদের সাথে ভাগ করে নাও তবুও আত্মহত্যা নয়। মন কে অন্য দিকে নিয়ে যাও, আমি জানি চাকরি তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও চাকরি নেই অনেকেই অনশন করছেন, এবং নানা ভাবে আন্দোলন করেছে কোর্টে কেস করেও চাকরি হয় নি। এ সরকার কোর্টের রায় মানে না। আর এই সরকার কোন দিন কাউকে ঘুষ ছাড়া চাকরি দেবে না। সে শিক্ষক থেকে শুরু করে, আই সি ডি এসের কর্মী এমন কি আশা কর্মী হতে হলেও ঘুষ দিতে হবে। যার ঘুষ দেওয়ার ক্ষমতা নেই সে কোন দিন কোন সরকারী চাকরী পাবে না। আর বেসরকারি তার অবস্থা খুব খারাপ, কারন কম্পিউটার বা তথ্য প্রযুক্তি নিয়ে পড়া শোনা করা ছেলে মেয়ে গুলো চলে যাচ্ছে অন্য রাজ্যে এই রাজ্যের সরকার উইপ্রো, ইনফোসিস কে জায়গা দেয় নি। অটো মোবাইল সে বাদ দাও টাটা চলে যাবার পর আর কোন বড়ো শিল্প এখানে আসেনি, উল্টো হয়েছে হিন্দ মোটর বন্ধ হয়ে গেছে। তবে সরকার একটা কাজ করছে, অনেক শ্রী আর ভাণ্ডার দিচ্ছে জিনিস পত্রের দাম কত কমিয়ে দিয়েছে। 2008 সাল থেকে কম দামে সব জিনিস পত্র কেনা যাচ্ছে। চাকরি সে তো কথাই নেই, কেন্দ্রীয় সরকারের বছরে 2 কোটি x 7 বছর = 14 কোটি আর রাজ্যের 2 লক্ষ x 11 বছর = 2 2 লক্ষ এখন পর্যন্ত মোট 14 কোটি 22 লক্ষ ছেলে মেয়ে চাকরি পেয়েছে। আবার মাঝে মাঝে এই রকম আছে, চুক্তির ভিত্তিতে নিয়োগ কত চাকরি। লক্ষী ভাণ্ডারে পাঁচ শ টাকা। এখন এই রাজ্যে বেকার থাকার কথা নয়, একটু বুদ্ধি খাটিয়ে কাজ করতে হবে। একশ দিনের কাজ, পঞ্চায়েত প্রধান এর পাশে থেকে একটু বুদ্ধি লাগানো ব্যস আর যায় কোথায়। জিনিস পত্র সে তো জলের দাম মাসে মাত্র পাঁচ শ টাকা খরচ করে সব কেনা যাবে। আরে এই কারণেই মি ডে মিলের রাঁধুনী দের বেতন 1500 টাকা দু জনের টাকা এলে দলের সদস্যরা সবাই ভাগ করে নেয়। তিন জন হলে 1000 টাকা আর ছ জন হলে 500 টাকা। এতেই এত বছর চলে গেছে এখন এতো জিনিস পত্র জলের দাম এতে চলবে না। তাই বলছি আত্মহত্যা কোনো পথ নয়, হতাশ হয়ে এই কাজ টি করো না, জীবন একটাই লড়াই করে বেঁচে থাকা ছাড়া উপায় নেই। কারণ যে দিকে তাকিয়ে দেখি কেবল মিষ্টি খাবার টাকা কেবল তোয়ালে মুড়ে নিতে হবে এই যা।
Thursday, 21 October 2021
পশ্চিমবঙ্গে ও মূর্তি ভাঙা মন্দিরে গোমাংস রাখা শুরু হয়েছে।
কি দাদা ভাবছেন এটা বাংলাদেশ না এটা পশ্চিমবঙ্গের ঘটনা তবে এখানে কোন মুসলমান কিছু করেন না। তারা তাদের ধর্ম পালন করেন নিষ্ঠার সাথে হিন্দু বাঙালি ও তাদের ধর্ম পালন করে আসছে যুগ যুগ ধরে গণ্ডগোল বাধে না। অনেক সময় ঈদ এবং পূজো একসাথে পরেছে কোন অসুবিধা বা গণ্ডগোল বাধে নি। তাহলে করছে কারা দাদা আর এস এস আছে না, বাম আমলে গোটা রাজ্যে ছিল ৪০ থেকে ৫০ টা প্রশিক্ষণ শিবির বা কেন্দ্র এখন হয়েছে কয়েক হাজার। এর বেশিরভাগ সদস্য হনুমান ভক্ত বা বজরংবলী ভক্ত, আগে কেবল কলকাতায় বিভিন্ন জায়গায় হনুমান মন্দির ছিল এখন পশ্চিমবঙ্গের প্রায় সর্বত্র পাওয়া যাবে। আরেকটা ব্যাপার খেয়াল করে দেখুন এরা বাঙালির এই যে সারা বছর নানা ধরনের পুজো বা ধর্মীয় অনুষ্ঠান এটা ঠিক মেনে নিতে পারে না। এদের লক্ষ্য হচ্ছে যে কোন ভাবে বাঙালি জাতি টাকে ধ্বংস করে বাংলার এই অংশটা কে পূর্ব বিহার তৈরি করা, সেই কারণেই যেন তেন প্রকারে অশান্তি লাগানোর চেষ্টা, এরা খুব প্রশিক্ষিত এরা হিন্দু পাড়ায় মুসলিম সেজে গণ্ডগোল লাগায় আর মুসলিম পাড়ায় হিন্দু, এরা মন্দিরে গো মাংস রাখে আর মসজিদে গিয়ে শুয়োরের-মাংস এসব করে কারণ একটাই যে কোন ভাবে দাঙ্গা লাগানো এদের লক্ষ্য। আবার শান্তিপুরে ভোট আছে ওখানে তো এরকম ঘটনা ঘটাবে তবে যেভাবে ছবিটি আছে ওখানে দুর্গা পুজো হয়েছে বলে মনে হচ্ছে না। আর লক্ষীপূজো যদি বুধবার মানে 20/10 /21 বৃহস্পতিবার 21/10 /21 ওখানে ঘট ও অন্যান্য জিনিস থাকার কথা এবং আমার তো মনে হয় ওটা দুর্গা প্রতিমার সাথে বিসর্জন করা লক্ষী তুলে এনে ওখানে বসিয়ে ছবি তোলা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন, আবার উপ নির্বাচন ও শাসক দলের জয় নিশ্চিত কারণ এক দু নম্বরি বিহারি পি কে আছে, নকল অফিসার, ইভিএম পাল্টে যেমন করে হোক জিতিয়ে তবে ছাড়বে এই লোক টা ভারতীয় গনতন্ত্র কে টাকার বিনিময়ে শেষ করে দিল। কোটি কোটি টাকা নেয় আর যতরকম ভাবে পদ্ধতি তে কারচুপি করা যায় সব ব্যবহার করে। ই ভি এমে ভোট ও দিদির জয় নিশ্চিত কেউ কিছু করতে পারবে না। এখন যে সব এলাকায় ভোট মিটে গিয়েছে একবার কান পেতে শুনে নিন একটা কথা শুনতে পাবেন আমরা ভোট দিলাম না জিতল কি করে?
রাজ্য সরকারের ডি এ সে ডুমুরের ফুল।
বাজার দর বৃদ্ধির সাথে সাথে ডি এ অর্থাৎ মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হয় সরকারি কর্মীদের। কিন্তু বর্তমানে রাজ্যের সরকার সরকারি কর্মীদের ডি এ কেন্দ্রীয় সরকারের হারে তো দূরের কথা সাধারণ ভাবেও দেন না। সব রকম শ্রী ভাণ্ডার সব ঘোষণা করা হয়, কিন্তু ডি এ নয়। জানি না এ কেমন অর্থনীতি বিদ, মানুষের হাতে টাকা পৌঁছে দেওয়া একটা মাধ্যম এই ডি এ কারণ সরকারি কর্মীরা বেতন টি বাজারে খরচ করেন তাতে সাধারণ মানুষের কাছে টাকা বা অর্থ পৌঁছে যায়। কিন্তু এই সরকার মনে করেন, পুজো কমিটি, ক্লাব, কন্যা শ্রী, যুবশ্রী, রূপশ্রী, ধর্ষণ শ্রী, বিধবা ভাতা, পুরোহিত ভাতা, লক্ষী ভাণ্ডার ইত্যাদির মাধ্যমে বছরের একবার পাঁচ শ, হাজার এবং বছরে একবার ক্লাব গুলো কে এক লক্ষ কোন সময় পাঁচ লক্ষ টাকা এবং পূজো কমিটি গুলো কে বছরে একবার পঁচিশ বা পঞ্চাশ হাজার টাকা দিয়ে কীভাবে রাজ্যের মানুষের কাছে টাকা পৌঁছে দিচ্ছে, জানা নেই, এই ভাবে যে কোন রাজ্যের অর্থনীতি সচল থাকে সেটা অর্থনীতি বিদ না হলেও বোঝা যায়। কারণ বাজারে গিয়ে দেখা যায় জিনিস পত্রের দাম এত মানুষ জিনিস পত্র ক্রয় করতে পারছে না। দোকান বাজার গুলো সব ফাঁকা, এত বড়ো পুজো গেল কাপড়ের দোকান থেকে অন্যান্য সব দোকান দার সারাদিন খুলে বসেই ছিল যদি একটা খরিদার আসে। কিন্তু না সে ভাবে বিক্রি নেই কারণ মানুষের কাছে টাকা নেই, তবে টাকা আছে এক শ্রেণির দলীয় নেতা মন্ত্রী কাছে। আর এই সব ভাতা, শ্রী, ভাণ্ডার ও দান ঐ সব নেতা মন্ত্রী দের আরও অসৎ করে তুলেছে। এবারে একটা পূজো কমিটি লোক বাড়ি বাড়ি ঘুরে চাঁদা তুলেছিলেন, কম করে পাঁচশ সর্বোচ্চ দশ হাজার অথচ তারা সরকারি পঞ্চাশ হাজার টাকা পেয়েছে। যখনই জিজ্ঞেস করা হল ঐ পঞ্চাশ হাজার টাকা দিয়ে কি হবে? সোজাসুজি উত্তর বেড়াতে যাওয়া হবে, কারণ টাকাটা ঐ শর্তে এক নেতা করে দিয়েছে। আমি তো অর্থনীতি বিদ নই তবুও বুঝি সরকারি কর্মীদের ডি এ না হলে, সাধারণ মানুষের হাতে টাকা আসবে না। এই কারণেই কেন্দ্রীয় সরকার এতো তাড়াতাড়ি ডি এ ঘোষণা করেন। আর এই রাজ্য সরকারের সবচেয়ে বড় অর্থনীতি বিদ আরও ভালো বুঝেছেন সেই কারণেই গত 2011 সালে ক্ষমতায় আসার আগে প্রতিশ্রুতি কেন্দ্রীয় সরকারের ডি এ ঘোষণার সাথে সাথে ডি এ দেওয়া হবে। দারুন প্রতিশ্রুতি পুরোন বকেয়া 56% ও আর মিলল না। আর এখন 2019 পে কমিশন হওয়ার পর থেকে গত বছর 1 লা জানুয়ারি থেকে 3% ডি এ দিয়েছে আর এখন কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে ফারাক 31% আঠাশ শতাংশ। ভারতের অন্যান্য রাজ্য সরকার তারা কেন্দ্রীয় সরকারের হারে ডি এ বৃদ্ধি করে যাচ্ছে। কেবল এই রাজ্যে টাকার অভাব অথচ টাকা বিলিয়ে দেওয়ার সময়ে টাকার অভাব নেই। আবার উনি নাকি কথা দিয়ে কথা রাখেন, তাহলে 2011 সালের ক্ষমতা আসার আগে কথা বা প্রতিশ্রুতি আর রাখেন নি। যদিও পৃথিবীর সেরা মিথ্যাবাদী, মিথ্যে কথা বলার জন্য যদি নোবেল পুরস্কার থাকত তবে আমাদের দেশে দুটি পুরষ্কার একেবারে বাঁধা ছিল। একটা দিল্লির আরেকটা আমাদের রাজ্যের।
Subscribe to:
Posts (Atom)