This is a news blog. Here I write story, social incidents, political incidents, & my life history etc.
Thursday, 21 October 2021
রাজ্য সরকারের ডি এ সে ডুমুরের ফুল।
বাজার দর বৃদ্ধির সাথে সাথে ডি এ অর্থাৎ মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হয় সরকারি কর্মীদের। কিন্তু বর্তমানে রাজ্যের সরকার সরকারি কর্মীদের ডি এ কেন্দ্রীয় সরকারের হারে তো দূরের কথা সাধারণ ভাবেও দেন না। সব রকম শ্রী ভাণ্ডার সব ঘোষণা করা হয়, কিন্তু ডি এ নয়। জানি না এ কেমন অর্থনীতি বিদ, মানুষের হাতে টাকা পৌঁছে দেওয়া একটা মাধ্যম এই ডি এ কারণ সরকারি কর্মীরা বেতন টি বাজারে খরচ করেন তাতে সাধারণ মানুষের কাছে টাকা বা অর্থ পৌঁছে যায়। কিন্তু এই সরকার মনে করেন, পুজো কমিটি, ক্লাব, কন্যা শ্রী, যুবশ্রী, রূপশ্রী, ধর্ষণ শ্রী, বিধবা ভাতা, পুরোহিত ভাতা, লক্ষী ভাণ্ডার ইত্যাদির মাধ্যমে বছরের একবার পাঁচ শ, হাজার এবং বছরে একবার ক্লাব গুলো কে এক লক্ষ কোন সময় পাঁচ লক্ষ টাকা এবং পূজো কমিটি গুলো কে বছরে একবার পঁচিশ বা পঞ্চাশ হাজার টাকা দিয়ে কীভাবে রাজ্যের মানুষের কাছে টাকা পৌঁছে দিচ্ছে, জানা নেই, এই ভাবে যে কোন রাজ্যের অর্থনীতি সচল থাকে সেটা অর্থনীতি বিদ না হলেও বোঝা যায়। কারণ বাজারে গিয়ে দেখা যায় জিনিস পত্রের দাম এত মানুষ জিনিস পত্র ক্রয় করতে পারছে না। দোকান বাজার গুলো সব ফাঁকা, এত বড়ো পুজো গেল কাপড়ের দোকান থেকে অন্যান্য সব দোকান দার সারাদিন খুলে বসেই ছিল যদি একটা খরিদার আসে। কিন্তু না সে ভাবে বিক্রি নেই কারণ মানুষের কাছে টাকা নেই, তবে টাকা আছে এক শ্রেণির দলীয় নেতা মন্ত্রী কাছে। আর এই সব ভাতা, শ্রী, ভাণ্ডার ও দান ঐ সব নেতা মন্ত্রী দের আরও অসৎ করে তুলেছে। এবারে একটা পূজো কমিটি লোক বাড়ি বাড়ি ঘুরে চাঁদা তুলেছিলেন, কম করে পাঁচশ সর্বোচ্চ দশ হাজার অথচ তারা সরকারি পঞ্চাশ হাজার টাকা পেয়েছে। যখনই জিজ্ঞেস করা হল ঐ পঞ্চাশ হাজার টাকা দিয়ে কি হবে? সোজাসুজি উত্তর বেড়াতে যাওয়া হবে, কারণ টাকাটা ঐ শর্তে এক নেতা করে দিয়েছে। আমি তো অর্থনীতি বিদ নই তবুও বুঝি সরকারি কর্মীদের ডি এ না হলে, সাধারণ মানুষের হাতে টাকা আসবে না। এই কারণেই কেন্দ্রীয় সরকার এতো তাড়াতাড়ি ডি এ ঘোষণা করেন। আর এই রাজ্য সরকারের সবচেয়ে বড় অর্থনীতি বিদ আরও ভালো বুঝেছেন সেই কারণেই গত 2011 সালে ক্ষমতায় আসার আগে প্রতিশ্রুতি কেন্দ্রীয় সরকারের ডি এ ঘোষণার সাথে সাথে ডি এ দেওয়া হবে। দারুন প্রতিশ্রুতি পুরোন বকেয়া 56% ও আর মিলল না। আর এখন 2019 পে কমিশন হওয়ার পর থেকে গত বছর 1 লা জানুয়ারি থেকে 3% ডি এ দিয়েছে আর এখন কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে ফারাক 31% আঠাশ শতাংশ। ভারতের অন্যান্য রাজ্য সরকার তারা কেন্দ্রীয় সরকারের হারে ডি এ বৃদ্ধি করে যাচ্ছে। কেবল এই রাজ্যে টাকার অভাব অথচ টাকা বিলিয়ে দেওয়ার সময়ে টাকার অভাব নেই। আবার উনি নাকি কথা দিয়ে কথা রাখেন, তাহলে 2011 সালের ক্ষমতা আসার আগে কথা বা প্রতিশ্রুতি আর রাখেন নি। যদিও পৃথিবীর সেরা মিথ্যাবাদী, মিথ্যে কথা বলার জন্য যদি নোবেল পুরস্কার থাকত তবে আমাদের দেশে দুটি পুরষ্কার একেবারে বাঁধা ছিল। একটা দিল্লির আরেকটা আমাদের রাজ্যের।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment