Thursday, 14 February 2019

উৎসবের বাংলায় আবার উৎসব।

উৎসব মুখর বাংলা, না বাংলাদেশ নয় পশ্চিমবঙ্গে, আবার উৎসব এই উৎসব হতো কেবল বর্ধমান জেলায়, এ বছর সারা পশ্চিমবঙ্গের সব জেলায় হবে । কারণ শিল্প হীন কাজ হীন পশ্চিমবঙ্গের এটা বড়ো শিল্প, কল কারখানা হচ্ছে না। পুরানো কল কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। সরকারি দপ্তরের চাকরি নেই, কেবল ঘোষণা আছে, কী অবস্থা বাংলার । দীর্ঘ দিন SSC এবং PSC পরীক্ষা হয় না। PSC দপ্তর উঠে গেছে, মাঝে মাঝে পরীক্ষার নামে প্রহসন হয়। বেকার ছেলে মেয়ে রা কোনো কোনো সময় পরীক্ষার ফিস দিয়ে ফর্ম পুরণ করে হতাশ হয়ে পরে, সেই রকম একটা খারাপ খবর আজ পড়লাম TDN বাংলা অনলাইনে কাগজে ছেলে টি জমি বিক্রির টাকা দিয়ে DELED training করে চাকরি না পেয়ে আত্মহত্যা করেছেন। নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে SSC অফিসের সামনে বিক্ষোভ, কিন্তু এই সরকারের মানবিকতা নেই, মানুষ মরলে এই সব মন্ত্রী নেতা দের আনন্দ হয়। সারদা রোজভ্যালীর এজেন্টরা টাকা ফেরত দিতে না পারলে, লোকজন ঝামেলা করলে অতিষ্ঠ হয়ে আত্মহত্যা করেছেন, নেতা মন্ত্রীরা আনন্দে ধর্ণা দিচ্ছেন ।মানুষ মরলে আনন্দ হয়, আমরা কেবল ক্ষমতা চাই, যে কোন ভাবে টাকা চাই, ক্লাব কে টাকা দেওয়া, মেলার নামক অনুষ্ঠান করে লোক সভা ভোটের আগে কিছু কর্মী কে টাকা পাওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়া, এই খানে একটা কথা বলি, সরকারি যে কোন সাহায্য পেতে হলে, শাসক দলের সমর্থক হতে হবে, অন্যথায় জুটবে না। ভোট আসছে যে কোন ভাবে কর্মী দের টাকা দিতে হবে। তাই এই মেলা, কিছু দিন আগে ব্লকে ব্লকে কী কী উন্নয়ন হয়েছে তার প্রদর্শনী হয়ে গেল। প্রদর্শনী তে কী হলো নীল সাদায় মণ্ডপ, তার মধ্যে ফ্লেক্স ব্যানারে কী কী উন্নয়ন হয়েছে, এবং আর কী কী কাজ করতে হবে তার প্রচার সবটাই সরকারি টাকায়, তাতে কী হলো মণ্ডপ তৈরি করতে টাকা পাওয়া গেল। তারপর কী হলো আর না বলাই ভালো বুঝে নিন। মানুষ কিন্তু বুদ্ধি হীন নয়, কিন্তু কিছু মানুষ আছেন যারা এসব সমর্থন করে যাচ্ছে, সামান্য কিছু টাকা হলেও তারা ভাগ পায়। চাকরির তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও চাকরি না পেয়ে আত্মহত্যা কিম্বা চিটফাণ্ডের টাকা ফেরত দিতে না পেরে এজেন্ট, কিম্বা টাকা ফেরত না পেয়ে সাধারণ মানুষ সর্বস্ব হারিয়ে আত্মহত্যা করছে, ঐ নেতা মন্ত্রী আর সেই সব বুদ্ধিজীবী যারা কথায় কথায় মোমবাতি মিছিল বের করতেন, তাদের কোনো বিবেক বুদ্ধি জাগ্রত হয় না । আমার মনে হয় এই সব মানুষ মানুষ মারা গেলে খুব আনন্দ করে ।
বলবেন হঠাৎ করে এখানে আবার ছবি কেন। ছবি টি জামালপুর ২নং পঞ্চায়েতের একটি চুরির ঘটনা বর্ধমান জেলার। এক পঞ্চায়েত কর্মী, ৩৭ লক্ষ টাকা হাতিয়ে পালিয়েছে বলে খবর বেড়িয়ে ছে। আমার মতে এখুুনি ধরণা মঞ্চ বেঁধে ওকে যাতে না ধরা হয়, তার জন্য বুদ্ধিজীবীর দলের বসে পরা দরকার। এই সব বুদ্ধি জীবীদের 
কী বলবেন তাঁবেদার, না অন্য কিছু বলবেন । সাধারণ মানুষ এদের কাছে পশুর অধম, এই সব স্বার্থান্বেষী পদলোভী অর্থ লোভী মানুষ না অমানুষ জানি না। এরা  বাট পারের সঙ্গ দিতে      প্রস্তুত, যিনি চিটফাণ্ডের তদন্ত কে প্রহসনে পরিনত করে, বাটপারা যাতে ধরা না পরে তার ব্যবস্থা পাকা করে দিয়েছেন, তাকে বাঁচাতে মঞ্চ বেঁধে নাটক হলো সরকারি টাকা ধ্বংস হলো। সেই   মঞ্চে হাজির, আপনার আমার করের টাকা একদিকে মেলা করে  ধ্বংস অর্থাৎ কাট মানি পাইয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা। পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা এরকম লুটে নাও লুটে নাও, যত রকম ভাবে পার টাকা লোট লুটের রাজত্ব। বিবেক ন্যায় নীতি বিসর্জন দিয়ে, কে মরল কে বাঁচল দেখার দরকার নেই। 

Tuesday, 12 February 2019

চিটফাণ্ডের টাকা ফেরত দিতে কী করছে দেখুন।

আজ সন্ধ্যায় অন লাইন আনন্দ বাজার পত্রিকায় খবরটি পড়লাম, চিটফাণ্ডের টাকা ফেরত দিতে তিনি ফুল বিক্রি করছেন। এভাবে তিনি কয়েক লক্ষ টাকা ফেরত দেওয়ার পরিকল্পনা করেছেনে, সাধু প্রচেষ্টা ভালো থাকুন, আপনি সফল হবেন, আপনার সফলতা কামনা করি। আপনি একজন বেকার যুবক সেই কারণেই সেই সময় কাজ না পেয়ে চিটফাণ্ডের এজেন্সি নিয়ে ছিলেন। আপনার বেকারত্বের সমাধান হয়েছিল ঠিকই, কিন্তু কিছু মানুষ ঐ ফাণ্ড গুলো কে বিপথে চালনা করে, টাকা পয়সা লুট করেছে, আর আপনার মতো কয়েক হাজার বেকার যুবক যুবতী এদের স্বীকার হয়েছেন। যদি সঠিক পথে এই চিটফাণ্ড গুলো চলত এবং কোন লোভী রাজনৈতিক দলের লোকজন এর এক টাকাও নিজের পকেটে না ঢোকাত, তাহলে আজ অন্য রকম হতো আপনার ভবিষ্যত ।আপনি বেকার যুবক সেই সময় বামফ্রন্ট সরকার আপনার কাজের ব্যবস্থা করতে পারে নি ।আপনি চিটফাণ্ডের এজেন্সি নিয়ে ছিলেন, আমি জানি আপনি এই কথাটা বলবেন, সেই সময় কেন তার একটু আগে অর্থাৎ ১৯৯০ থেকে পশ্চিমবঙ্গের বেকারত্বের সংখ্যা বাড়তে কল কারখানা কমতে থাকে। চট কলের মালিক এবং কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমতি না নিয়ে কিছু করা যেত না। এটা আমরা বামফ্রন্ট নেতাদের মুখে শুনেছি। অনেক পরে এ রাজ্যে কম্পিউটার এসেছে, কম্পিউটার এলে নাকি কর্ম সংস্থান কমে যাবে, মানুষের জায়গায় যন্ত্র কাজ করবে। এরকম অনেক যুক্তি শুনেছি, আবার ২০০০ সালের পর থেকে দেখেছি উন্নয়নে বাধা দান। 2006 থেকে সেটা চরম আকার ধারন করে। মানুষ লোভের বশবর্তী হয়ে আড়াই বছর বা তিন বছরে ডবল পাবে, এই আশায় টাকা রাখতে শুরু করে, নেতাদের নজর এড়িয়ে যায়নি, প্রতি নিয়ত প্রসাদ গ্রহন করে গেছে, টাকা ডবল হওয়ার জায়গায় টাকা উবে গেছে, আর যে সব নেতা মন্ত্রী টাকা কোটি কোটি টাকা হজম করে ফেলেছে, তারা এখন সাধারণ মানুষের কাছে সাধু সেজে বসে আছে ।কিছু পুলিশ অফিসার সেই টাকার ভাগ নিয়ে কেসটা পুরো চাপা দিয়ে ফেলেছে, কমিশন গঠন করে জনগণের টাকা ট্যাক্সের টাকা নিয়ে, টাকা ফেরত দেওয়ার নাটক মঞ্চস্থ হলো। ৩রা ফেব্রুয়ারি আরেক নাটক মঞ্চস্থ হলো, যারা এজেন্ট হিসেবে কাজ করেছেন, তাদের কথা কেউ ভাবল না। আপনি ও এক জন এজেন্ট টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য, ফুল বিক্রি করতে শুরু করেছেন। আজ অন লাইন কাগজে পড়লাম, পিয়ালির এক এজেন্ট নিজের সব সম্বল বিক্রি করে টাকা ফেরত দিয়েছিলেন। পরে তিনি চাকরি পেয়ে ছিলেন, এবং বাকি টাকা ফেরত দেবন বলেছিলেন, তাতেও রেহাই মেলেনি তার আর বেঁচে থাকা হয়নি। রেল লাইনে দেহ মেলে, তার পরিবার অজ্ঞাত বাসে থেকে ঠোঙা বিক্রি করে সংসার চালাতে হচ্ছে। যারা আসলে টাকা হজম করে ফেলেছে তারা বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়াচ্ছে । যা গেছে তা যাক, বিধাতার কী নিষ্ঠুর পরিহাস, কে করল চুরি আর তুমি এজেন্ট তুমি পেলে সাজা। 

Thursday, 7 February 2019

উলুখাগড়ার প্রাণ না যায়।

আমার যত ভাই বন্ধু আছে তাদের বলছি, রাজায় রাজায় যুদ্ধ হচ্ছে, আমরা উলুখাগড়ার দল আমাদের শান্ত থাকতে হবে। কারণ নেতা মন্ত্রী যারা আজ ২৮০ টাকা মজুরি তে মোটর চালাতেন জুট মিলে এখন দু শ আশি কোটি টাকার মালিক। তোলা বাজির টাকা এখন দেখি নতুন তোলা বাজ নিয়োগ করেছে। সিভিক পুলিশ এখন তাদের বেতন আট হাজার, আগে যতটা সম্ভব বেতন ছিল পাঁচ হাজার চারশ, ঐ টাকা বেতন পেয়ে সে ফ্লাট কিনেছে, কারণ রাস্তার মোড়ে মোড়ে দাঁড়িয়ে আছে বাইক লড়ি অন্য গাড়ি আটকে পয়সা, ওরা হচ্ছে সরকারের বেতন পাওয়া তোলা বাজ। তবে হ্যাঁ ঐ টাকা ওরা একা খায় না, এর তো আবার শতাংশ ভাগ আছে, না হলে রাত জেগে ধরনা মঞ্চে বড়ো বড়ো কর্তারা হাজিরা দেয়। আমরা তো সাধারণ মানুষ আমাদের আর কী দাম, ও একটা ভোট ওতো সিভিক আছে তার পর লাখ লাখ টাকা পাওয়া ক্লাবের ছেলেরা,আর বিনা টাকায় মদ আর ভাগারের মাংস, তার পর আছে, বোমা কারখার বোম আর গুলি, গুর বাতাসা চড়াম চড়াম পড়বে পাঁচনের বারি। আমি এক জন উলুখাগড়ার বক্তব্য হচ্ছে, ভাই বন্ধু কেউ যদি দেখছ প্রাণের ঝুঁকি আছে ভোট দিতে যাবেন না। ঘরে খিল দিয়ে চুপ করে বসে থাকবে, আমি যা দেখছি তাতে আসন্ন নির্বাচনে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা বলে কিছু থাকবে না। মশা মাছির মতো ভোট দিতে যাওয়া জনগন কে খুন করবে। পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ প্রশাসনের কর্তারা বা কেন্দ্রীয় সরকারের বাহিনী কেউ প্রশাসনের বাংলার সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা দেবে না। তাই বলছি, কোনো গণ্ডগোলে যাবেন, ঐ দু টাকার চাল আর পাঁচ শ টাকা বছরে তাও সবাই নয়। দু টাকার ভিক্ষার চাল মাসে দু কিল মেরে কেটে পাঁচ কিলো এর জন্যে প্রাণ দিতে যাবেন, ওর থেকে ভোট দিতে যাবেন না । বাংলার সব বাঙালি ভোটার দের বলছি, যেখানে অশান্তি সেখানে নিঃশব্দে কোনো কথা না বলে, নিজের   প্রাণ বাঁচিয়ে পালিয়ে আসুন ভোট বয়কট করুন। আমি চাই রাজায় রাজায় যুদ্ধ হবে মন্ত্রী নেতারা কোটি পতি হবে আর উলুখাগড়ার প্রাণ যাবে এ হতে পারে না। 

Sunday, 3 February 2019

কলকাতা পুলিশ কমিশনার গেলেন কোথায়?

ছবি টি অন লাইন নীলকণ্ঠ খবরের কাগজ থেকে নেওয়া। আজ বিকেলের অন লাইন থেকে শুরু করে বিভিন্ন অন লাইন কাগজে বেড়িয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের সব থেকে দক্ষ এবং ভালো পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার কে সি বি আই সারদা তদন্তের বিভিন্ন তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছে,কারণ তিনি রাজ্য সরকার যে সিট গঠন করে ছিল তার প্রধান ছিলেন। স্বাভাবিক ভাবেই তিনি সমস্ত নথি নিশ্চয়ই উদ্ধার করে ছিলেন।সুপ্রিম কোর্টের রায়ের সারদা তদন্তের দ্বায়িত্ব নেয় তখন থেকেই সেইসব নথি তিনি কিছুতেই সি বি আই কে দিচ্ছেন না। আমি তো 2013 সাল থেকে দেখছি, কেমন তদন্ত চলছে, প্রায় একশ জন এজেন্ট আত্মহত্যা করেছেন। আমাদের রাজ্যের দক্ষ পুলিশ কমিশনার তদন্তের নামে তাকে প্রহসনে পরিবর্তন করেছেন।সুপ্রিম কোর্টের রায়ে সি বি আই তদন্ত সেই তদন্তও তথৈবচ কাগজে পড়লাম ঐ অফিসার ও নাকি ঘুষ খেয়ে তদন্ত গুলিয়ে দিয়েছে। ঐ যে যা গেছে তা যাক। সত্যিই সাধারণ মানুষের টাকা আত্মসাৎ করেও কোন লজ্জা সরম নেই, আবার বিবেক চেতনা উৎসব চলছে মহা ধূমধাম করে। আর নিজে দের বিবেক গুলো হারিয়ে ফেলেছে। পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ মানুষের কোনো দাম নেই, তারা গরু ছাগল, তাদের দু টাকা কিলো চালের ভিক্ষারি বানিয়ে ফেলেছে। কথা না শুনলে মৃত্যু অনিবার্য, কারণ বর্তমান সরকারের উন্নয়ন রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকে, এই দল তথা সরকার মানুষ কে অবিশ্বাস করে, তাই সাধারণ মানুষের কী হলো দেখার দরকার নেই।গরীব মানুষের টাকা চিট হয়েছে, তাতে প্রায় লক্ষ টাকা বেতন পাওয়া দক্ষ অফিসারের কী আসে যায়। উনি তো সাধারণ মানুষের জন্য নয় মন্ত্রী নেতা দের সুরক্ষা দেখেন। নাম টা খুব ভালো রাজীব কুমার, রাজীব কথার অর্থ পদ্ম, পদ্ম কোথায় হয়? আমরা জানি পদ্ম জলাশয়ে হয়, আবার আমরা অনেকেই বলি পদ্ম পাঁকেই জণ্মায়। এবার আপনারা ভেবে দেখুন যা হয়েছে তা ঠিক হয়েছে, আর সেই কারণেই এই দক্ষ কমিশনার কে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তাকে এখন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, খবরটা অন লাইন নিউজ পোর্টালে বেড়িয়ে ছিল ।

Friday, 1 February 2019

প্রোপাগান্ডা কাহারে কয়!

আমি পশ্চিমবঙ্গের একজন অধিবাসী, আমি দীর্ঘ দিন ধরে শিক্ষকতার কাজে যুক্ত,  শাসক নিজের গুনগান নিজে করছে, এবং সেটা হচ্ছে জনগণের করের টাকায়, এই সব আমি দেখিনি।আমি ঘোষণা করে দিয়েছি,  সেই সব কাজ বা সুযোগ সুবিধা একশ জনের মধ্যে দশ পেল রিপোর্ট পেশ হলো একশো শতাংশ কাজ হয়েছে। আর সেই নিয়ে আমি প্রোপাগান্ডা করতে শুরু করে দিলাম। চিঠি বিলি করে শুভেচ্ছা পাঠিয়ে নানা রকম ভাবে কাগজ পত্র ছাপা তে টাকা ও তো জনগণ দেবে। দু টাকা দিয়ে দশ টাকার কাজ করতে বলব, না হলে যে কর্মী করবে না তার বাপের বিয়ে দেখিয়ে ছেড়ে দেব। আমি ইতিহাসে পড়েছি বা শুনেছি হিটলার সহ অন্যান্য যত, এরকম শাসক ছিল তারা প্রোপাগান্ডা করে নিজেদের কুকর্ম চাপা দিত। একটা কথা প্রচলিত আছে মিথ্যে কথা সত্য করতে হলে, গ্লোবলসীয় কায়দায় প্রচার কর। মিথ্যা কে বার বার প্রচার কর সেটা মানুষ বিশ্বাস করে নেবে। সত্যজিৎ রায়ের "হীরক রাজার দেশে" চলচ্চিত্র দেখেছেন নিশ্চয়ই, সেখানে হীরক রাজার গুনগাননা করলে নানা রকম শাস্তি দেওয়া হতো।    বর্তমানে আমাদের দেশে এবং রাজ্যে সেই রকম ভাবে চলছে, একজন তবুও কিছুটা সহনশীল আর জন ওরে বাবা পারলে ফাঁসির সাজা ঘোষণা করে দেব। পশ্চিমবঙ্গে তাঁর যা সাঙ্গ পাঙ্গ কে ওরা একটা বোমা মারলে তোরা একুশটা মারবি।আরেকটা বলে ওরা বোমা মেরে হামলা করলে আমরা কি কমলালেবু ছুঁড়ব, এরা নাকি গান্ধীর অহিংস নীতিতে বিশ্বাসী, জানি না তিনি বেঁচে থাকলে কী করতেন? এটাও ঠিক বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে সবচেয়ে বড়ো শিল্প বোমা বন্দুক শিল্প, ঐ সব কারখানায় তৈরী বোমা পিস্তল আর বন্দুক তো আর সেনা বাহিনী নেবে না, বিক্রি করতে হবে বা ব্যবহার করতে হবে, তাই এই ব্যবস্থা। ভোট দিবি না গুলি খা, আন্দোলন করবি দাবি জানাবি প্রথম পুলিশের লাঠি খা তাতে না হলে বোমা না হলে গুলি খাবি। হীরক রাজ যেমন কাউকে বিশ্বাস করতে পারত না, সেই রকম এই শাসক জনগণ কে বিশ্বাস করতে পারেন না। হীরক রাজার দেশে কর্মীদের বেতন কম দিয়ে কাজ করানো হতো, না করলে ঘর বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হতো, বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে সেরকম একজন শাসক কাজ করছেন। পশ্চিমবঙ্গে তিনি এতো উন্নয়ন করছেন রাস্তা আলো ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ বিদ্যুতের মাশুল বাড়ল তো কী হয়েছে? অনেক নতুন নতুন কাজ বা উন্নয়ন করছেন, তবুও তিনি জনগণ কে বিশ্বাস করতে পারছেন না। জনগণের প্রতি বিশ্বাস হারিয়ে তিনি মেরে ধরে, সিভিক দিয়ে বাক্স বদলে ভোটে জিতে ক্ষমতা দখল করছেন। সামনে লোকসভা নির্বাচনে কত লোক মারা যাবে তার ঠিক নেই। এত কিছু করেও যে শাসক জনগণ কে বিশ্বাস করতে পারেন না। তিনি হাজার হাজার টাকা খরচ করে খবরের কাগজে পাতা জুড়ে বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রচার করেও মনে করবেন মানুষ আমাকে ভোট দেবে না, তখন জনগণের করের টাকায় কয়েক লক্ষ টাকার কাগজ ছাপিয়ে বাড়ি বাড়ি বিলি করতে দেন ।