আজ সন্ধ্যায় অন লাইন আনন্দ বাজার পত্রিকায় খবরটি পড়লাম, চিটফাণ্ডের টাকা ফেরত দিতে তিনি ফুল বিক্রি করছেন। এভাবে তিনি কয়েক লক্ষ টাকা ফেরত দেওয়ার পরিকল্পনা করেছেনে, সাধু প্রচেষ্টা ভালো থাকুন, আপনি সফল হবেন, আপনার সফলতা কামনা করি। আপনি একজন বেকার যুবক সেই কারণেই সেই সময় কাজ না পেয়ে চিটফাণ্ডের এজেন্সি নিয়ে ছিলেন। আপনার বেকারত্বের সমাধান হয়েছিল ঠিকই, কিন্তু কিছু মানুষ ঐ ফাণ্ড গুলো কে বিপথে চালনা করে, টাকা পয়সা লুট করেছে, আর আপনার মতো কয়েক হাজার বেকার যুবক যুবতী এদের স্বীকার হয়েছেন। যদি সঠিক পথে এই চিটফাণ্ড গুলো চলত এবং কোন লোভী রাজনৈতিক দলের লোকজন এর এক টাকাও নিজের পকেটে না ঢোকাত, তাহলে আজ অন্য রকম হতো আপনার ভবিষ্যত ।আপনি বেকার যুবক সেই সময় বামফ্রন্ট সরকার আপনার কাজের ব্যবস্থা করতে পারে নি ।আপনি চিটফাণ্ডের এজেন্সি নিয়ে ছিলেন, আমি জানি আপনি এই কথাটা বলবেন, সেই সময় কেন তার একটু আগে অর্থাৎ ১৯৯০ থেকে পশ্চিমবঙ্গের বেকারত্বের সংখ্যা বাড়তে কল কারখানা কমতে থাকে। চট কলের মালিক এবং কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমতি না নিয়ে কিছু করা যেত না। এটা আমরা বামফ্রন্ট নেতাদের মুখে শুনেছি। অনেক পরে এ রাজ্যে কম্পিউটার এসেছে, কম্পিউটার এলে নাকি কর্ম সংস্থান কমে যাবে, মানুষের জায়গায় যন্ত্র কাজ করবে। এরকম অনেক যুক্তি শুনেছি, আবার ২০০০ সালের পর থেকে দেখেছি উন্নয়নে বাধা দান। 2006 থেকে সেটা চরম আকার ধারন করে। মানুষ লোভের বশবর্তী হয়ে আড়াই বছর বা তিন বছরে ডবল পাবে, এই আশায় টাকা রাখতে শুরু করে, নেতাদের নজর এড়িয়ে যায়নি, প্রতি নিয়ত প্রসাদ গ্রহন করে গেছে, টাকা ডবল হওয়ার জায়গায় টাকা উবে গেছে, আর যে সব নেতা মন্ত্রী টাকা কোটি কোটি টাকা হজম করে ফেলেছে, তারা এখন সাধারণ মানুষের কাছে সাধু সেজে বসে আছে ।কিছু পুলিশ অফিসার সেই টাকার ভাগ নিয়ে কেসটা পুরো চাপা দিয়ে ফেলেছে, কমিশন গঠন করে জনগণের টাকা ট্যাক্সের টাকা নিয়ে, টাকা ফেরত দেওয়ার নাটক মঞ্চস্থ হলো। ৩রা ফেব্রুয়ারি আরেক নাটক মঞ্চস্থ হলো, যারা এজেন্ট হিসেবে কাজ করেছেন, তাদের কথা কেউ ভাবল না। আপনি ও এক জন এজেন্ট টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য, ফুল বিক্রি করতে শুরু করেছেন। আজ অন লাইন কাগজে পড়লাম, পিয়ালির এক এজেন্ট নিজের সব সম্বল বিক্রি করে টাকা ফেরত দিয়েছিলেন। পরে তিনি চাকরি পেয়ে ছিলেন, এবং বাকি টাকা ফেরত দেবন বলেছিলেন, তাতেও রেহাই মেলেনি তার আর বেঁচে থাকা হয়নি। রেল লাইনে দেহ মেলে, তার পরিবার অজ্ঞাত বাসে থেকে ঠোঙা বিক্রি করে সংসার চালাতে হচ্ছে। যারা আসলে টাকা হজম করে ফেলেছে তারা বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়াচ্ছে । যা গেছে তা যাক, বিধাতার কী নিষ্ঠুর পরিহাস, কে করল চুরি আর তুমি এজেন্ট তুমি পেলে সাজা।
No comments:
Post a Comment