Sunday, 26 November 2017

শুভ সকাল। Good morning.

সকল ফেসবুক বন্ধুদের শুভ সকালের শুভেচ্ছা জানাই। তোমা সবার আজকের দিনটা ভালো কাটুক।

Friday, 24 November 2017

আজকের কাগজে দুটি খবর।

প্রথমত এবেলা ইন এ পড়লাম, কন্যা সন্তান জন্ম দেবার জন্য বধূ নির্যাতন। এটি ঘটেছে বাগুই আটির জোড়া মন্দির তলায়। আজকের এ ঘটনা নতুন কিছু নয়। কাউকে নাড়া দেয় না, জানি না। কিন্তু জানতে হবে যে কন্যা সন্তান কোনো অংশে কম নয়। আজকের দিনে এটা খুবই খারাপ খবর, যখন পশ্চিমবঙ্গে ছেলে দের তুলনায় মেয়েদের সংখ্যা কম। যদিও অন্য অনেক রাজ্যের থেকে বেশি। যে টুকু কম তাতেই নাবালিকা বিবাহ করতে বাধ্য হচ্ছে, এই রাজ্যের নাবালিকা বিবাহ বেশি। কন্যা সন্তানের কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের দুটি প্রকল্প চালু আছে, বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও এবং কন্যাশ্রী। তবুও মানুষ সচেতন নয়, কারণ সামাজিক ভারসাম্য রক্ষা করতে এটা খুবই জরুরি।
আর একটি খবর পড়লাম 24 ঘন্টার খবর দেখে শিক্ষা মন্ত্রী বলেছেন, ইংরেজি শেখানো জন্য শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। খুবই ভালো খবর, আমি আজ এখানে একটু অন্য কথা বলছি। কিছু মনে করবেন না, অন্য ভাবে নেবেন না। বাম আমলের শেষে এসে প্রথম শ্রেণী থেকে ইংরেজি চালু হয়েছিল। তখন শিক্ষক দের প্রশিক্ষণ শিবির হয়ে ছিল, কোনো এক বিদেশি সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে। তখন প্রথম শ্রেণীতে পড়াবার মতো একটা বই ছিল। বই টি অল্প পাতার, তাতে কিছু ত্রুটি ছিল। এখন আমার বই এ পড়ার মতো ইংরেজি নেই যে টুকু আছে তাঐ বয়সের বাচ্ছারা অনেক আগেই শিখে এসেছে। মনে রাখতে হবে এখন কার প্রাক প্রাথমিক তখন প্রথম শ্রেণী ছিল। আর দ্বিতীয় শ্রেণির আমার বই এর ইংরেজি প্রথম শ্রেণীর আমার বই এর সঙ্গে মেলে না। দু একটা বাক্য আর শব্দ এই ইংরেজি পড়ে তারা যখন তৃতীয় শ্রেণিতে এল তখন পড়ে অথৈ জলে, এমন বড়ো বড়ো গল্প ইংরেজিতে পড়তে হয় যে অনেক ছাত্র ছাত্রী ভয় পেয়ে যায়। তার যা শব্দ চয়ন সত্যিই দূর্লভ। ছাত্র ছাত্রী রা উচ্চারণ করতে পারে না।
আগে বই পাল্টাতে হবে, প্রাক প্রাথমিক শ্রেণী থেকে ইংরেজি চালু করতে হবে। আর সরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কে বাঁচাতে আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করতে হবে। প্রোজেক্টর দিতে হবে, ইংরেজি ভাষা শিক্ষার অনেক গ্যাজেট আছে সে সবের ব্যবস্থা করতে হবে। বিদ্যালয় গুলিতে বিনা খরচে বিদ্যুৎ  দিতে হবে। কম্পিউটার দিতে হবে। শুধু বাম আমলের মতো প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে টাকা খরচ করে কি লাভ? বাম আমলে এই প্রশিক্ষণ গুলো হতো ক্যাডার মাস্টার দিয়ে, গুরুপ করে বসো আলোচনা করো বল। খাও ও বাড়ি যাও। স্কুল কম শিক্ষক তবুও প্রশিক্ষণের নামে পড়াশোনা লাটে উঠত। এখন এই সরকার ও শুরু করেছে সেই ব্যবস্থা। দয়া করে আগে গোড়ায় গলদ দূর করুন।

Thursday, 23 November 2017

শুভ সকাল।

আমার সকল ফেসবুক বন্ধুদের শুভ সকাল সকালের শুভেচ্ছা রইলো। পরমেশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি সকলের যেন দিনটা শুভ হয়।

আমার পঞ্চাশ বছর।( ২য় অংশ)

এর আগে আমি আমার ব্লগে লিখেছি আমার পঞ্চাশ বছর জীবনের অভিজ্ঞতা। কারণ আমার ব্যক্তিগত জীবনটাই একটা নাটক, হয়তো অনেকর ভালো লাগছে না। কিন্তু কী করি বলুন, আগে অন্য বিষয়ে কিছু লিখেছি। আমার ব্লগে কেউ পড়েছন বলে মনে হচ্ছে না। আমি সবটাই লিখছি আমার ব্যক্তিগত অভিমত অভিজ্ঞতা থেকে। আমার এই দুঃখের কথায় কেউ যদি সুযোগ খোঁজেন কিছু করার নেই। কারোর ভালো লাগছে না। তবে সবটাই সত্যি কথা, কারণ সকাল থেকে রাত পর্যন্ত আর জণ্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত, মানুষের জীবন নিয়ন্ত্রণ করে রাজনীতি।যেমন আমি দেখেছি আমাদের পরিবার ছিল রাজনৈতিক দল দ্বারা আক্রান্ত যখন যে দল ক্ষমতায় তখনই সে তার ক্ষমতা দেখিয়েছে। আগেই লিখেছি আমার বাবার বেতন বন্ধ ছিলো 1971 সালে, আবার 1986 থেকে 1988 পর্যন্ত প্রায় দু বছর। অথচ 1986 থেকে 1988 প্রতিদিনই আমি নিজে স্কুলে পৌঁছে দিয়েছি। পেছনে কারণ সেই রাজনীতির। যাহোক আরও অনেক কিছু লেখার আছে। তবে নীচের পুরনো দলিলের টুকরো অংশ দিলাম যেটি বাংলাদেশের বরিশালের নলচিরা গ্রামের গৌরনদী থানার অন্তর্গত ।আমার বাবার বা আমার বংশ পরিচয় জানার জন্য। এমন কেউ থাকেন যিনি ঐ নাম চেনন। তাহলে আমার ফেসবুকে লিখবেন এই আশায় রইলাম। এর আগেও আমি "আমার কথা" শিরোনামে লিখেছি তবুও যেন শেষ হয় নি। কারণ আগেই বলেছি আমার জীবনে ঘটে যাওয়া প্রতি টি ঘটনা স্মরণীয়। তবে সমাজে ভালো মন্দ মানুষ থাকেন। প্রতিবেশী রা প্রতিবেশী না হয়ে উঠতে পারেন। কিন্তু অনেক ভালো মানুষ ছিলেন না হলে আমরা হয় তো বেঁচে থাকতাম না। আমার কথায় লিখেছি, আজ আবার লিখছি। আমার মায়ের কাছে শুনেছি আমার জণ্ম হয়ে ছিল। বাংলা ১৩৭০ বা ১৩৭১ সালের ২৯ শে মাঘ ইংরেজি সাল টা ঠিক বলেছ বলে মনে পড়ছে না। সাল টা মা ঠিক বলতে পারেন নি। কিন্তু তারিখ টা মনে হচ্ছে ঠিক। যাই হোক বর্তমানে আমার বয়স পঞ্চাশ পার হয়েছে। তাই শিরোনামে আমার পঞ্চাশ বছর, এই পঞ্চাশ বছরের স্মৃতি থেকে আমার এবং আমার পরিবারের সুখ দুঃখের কথা সবার সাথে ভাগ করে নেব। আগেই লিখেছি দুঃখের কথায় মানুষ সুযোগ খোঁজেন। আবার অনেকে অপরের দুঃখে আনন্দ পান। 


আবার এরকম একটা কথা আমি শুনেছি ভারাক্রান্ত মন কে হাল্কা করে নেওয়া যাবেয়। তাই  আজ আমি আমার জীবনের সকল সুখ দুঃখের কথা লিখে যাব। প্রথম আমি বলি আমার যখন একটু জ্ঞান হলো আমি বুঝতে শিখলাম, তখন থেকে অভাব আর অভাব বাড়িতে প্রতিদিন খাবার জুটত না।    কেন ঠিক জানি না, তবে শুনেছি বাবার বেতন ঠিক মতো আসত না। বিভিন্ন মুদির দোকান খালি ধার অনেক কিছু দিন দিত তার পর আর মাল দিত না। একটু বড়ো হয়ে বেতন অনিয়মিত কিন্তু কিছু দোকান দার ছিল অসাধু। তারা আগে জেনে নিত বেতন কত, তারা পনেরো কুড়ি দিন জিনিস পত্র দেওয়ার পর জিনিস পত্রের দাম বাড়িয়ে বেতনের সব টাকা টা করে রাখত। এটা আমরা বুঝতে পারলাম যখন আমরা বড়ো হলাম, মুদি দোকান থেকে মাল গুলো আনতে লাগলাম। খাতা আমাদের কাছে থাকতো রোজ দাম লিখি আনতাম। হিসেবে রাখতে শুরু করলাম তখন থেকেই পরিবর্তন হল। তবে বেতন অনিয়মিত হলেই গণ্ডগোল হতো। এবার আমার জণ্ম ভিটের কথা বলি। জণ্ম ভিটে বলতে সিঙ্গুর থানার অন্তর্গত পল্তাগড় গ্রামের বড়ো রাস্তা থেকে ভিতরে দু দিক বাঁশ বন দিয়ে ঘেরা একটি জায়গা। এখাই আমাদের মাটির দেওয়াল, পেটো খোলার ছাউনি দেওয়া টিনের দরজা দেওয়া এক কামরার ঘর। বাড়িতে নানা ফল আর ফুলের গাছ। প্রাচীর দিয়ে ঘেরা ছিল না সব দিক ফাঁকা। একটু বৃষ্টি আর জোর হাওয়া দিলে বাঁশের ডগ লেগে পেটো সরে যেতো, তখন বৃষ্টির জল আর বাইরে পড়ত না। ইঁদুরের গর্তে ভর্তি দেওয়াল কোনো কোনো সময় ভেঙে পড়েছে। তবে মূল ঘরের নয় পাশের আরেক টি ছোট চালা মতো রান্না ঘর ছিল তার দেওয়াল বেশি ভাঙত। বড়ো ঘরের দেওয়াল একবার ভেঙে পড়ে ছিল। কেন জানি না আমাদের প্রতি মানুষের এত রাগ কেন ছিল! আমার বাবা দেশ স্বাধীন হবার দু তিন বছর আগে এপার বাংলায় এসেছিলেন। আর ভারত ভাগ হয়ে যখন দেশ স্বাধীন হলো তখন তো পূর্ব পাকিস্তানে হিন্দু দের কচু কাটা করছিল। বাবা ঠাকুমার মুখে শুনেছি সব থেকে বেশি দাঙ্গা পীড়িত ছিল নোয়াখালী যশোহর খুলনা বরিশাল বাবা 1948 এর এপ্রিল মাসে তত কালীন পূর্ব পাকিস্তান থেকে ঠাকুমা কে নিয়ে আসেন। ঠাকুমার ভাষায় বাংলাদেশী টান ছিল। আমরা ছিলাম বাঙাল বাচ্চা, আরও কত কী। শিক্ষিত মাষ্টার মশায়রা পর্যন্ত বলতো। ঐ সব শুনতাম আর ভাবতাম তাহলে পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দারা বাঙালি নয়! ভীষণ হীনমন্যতায় ভুগেছি। 

Tuesday, 21 November 2017

আমি ও ফেসবুক

আজ দু তিন দিন ধরে একটা ব্যাপার আমি লক্ষ করছি। আমার ফেসবুক একাউন্টে প্রায় তিনশ লোক বন্ধুত্বের অনুরোধ পাঠিয়েছেন। আমি জানি ও চিনিও তাঁরাও আমাকে বন্ধুত্বের অনুরোধ পাঠিয়েছেন। এই দুই তিন দিন আগে আমার ফেসবুকে বন্ধু ছিল মাত্র সাত জন। এখন প্রায় তিনশোর কাছে। কার কোথায় বাড়ি, কার একাউন্ট ফেক কিছুই জানি না। হঠাৎ করে আমার জনপ্রিয়তা বেড়ে গিয়েছে। না কি অন্য কিছু। আমি জানি ফেসবুক লাইক, শেয়ার আর সামান্য কিছু লেখার জন্য। কারণ এমন কিছু আমি আমি ফেসবুক পোস্ট করতে পারি না। আমি কারও বন্ধুত্বের অনুরোধ ফেরাই বেছে বেছে বন্ধু করা হয় নি। অনেক তাই করেন, জানি না আমি ভুল করলাম না তো। আমি একটা কথা জানি যেটি বেদের কথা, "বাসুদেবায় কুটুম্ব বকম" পৃথিবীর সকল মানুষ আমার আত্মীয়। সনাতন হিন্দু ধর্ম কখনো কাউকে ছোট করে না।
ফেসবুকে অনেক রকম লেখা থাকে যা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষে বা বিপক্ষে। এই লেখা ছোট কবিতা, কত রকম স্টাইলে তোলা ছবি। আর বিজ্ঞাপন, কার কত উপকার হয় জানা নেই। যদি রাজনৈতিক দল হয়, তাহলে তো বর্তমান শাসক দল গত বিধানসভা নির্বাচনে হেরে যেতো। কিন্তু ভয় দেখিয়ে হোক জোর করে হোক আর ভালোবাসায় হোক নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন। কিন্তু যাদের ব্যবহার করে এরা ভয় দেখিয়ে যাচ্ছে, সেই প্রান্তিক মানুষ গুলো পয়সা জন্য হোক, আর একটু কাজের জন্য হোক, আর একটু খাবার জন্য হোক এরা নিজেদের মধ্যে মারামারি করে যাবেই। যে ছেলেটি আজ ফেসবুকে সরকার বিরোধী কথা বলছে বা প্রচার সেই আবার আসছে নির্বাচনে ভয়ে হোক বা ভক্তি তে ভোট দিয়ে আসবে। তাই ওসব প্রচার করে লাভ কী?

শুভ বিকাল

প্রত্যেক বন্ধুকে আমার পক্ষ থেকে শুভ বিকালের শুভেচ্ছা। আমার ব্লগ দেখবেন কেমন।

Monday, 20 November 2017

শুভ সকাল।

দিন টি সকলের ভালো কাটুক ।সকল বন্ধুকে আমার পক্ষ থেকে সুপ্রভাত জানাই। সকলে ভালো থেকো।

প্রকৃত প্রতিবেশী কে?

ছবি দেখে ভাবলে হবে না। ঐ বাড়ি আমার বাড়ি। ওটি সমাজের সবচেয়ে ভালো মানুষের। যে অপর কে নিজের অধীনে দেখতে ভালো বাসে যে অপরের নিজের বলে সহজে গ্রহণ করতে পারে। নিজেকে খাঁটি প্রতিবেশী বলে দাবী করে। পাশের বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ না পৌঁছয় তার ব্যবস্থা করে। পাড়ার কোনো ব্যক্তি কিছু উন্নতি, করলে
বাধা দেবার ব্যবস্থা করে।
এই ব্যক্তি নিজেকে সঠিক প্রতিবেশী বলে দাবী করে। এই ব্যক্তি তাপস মাজি, হেমন্ত দাস নামে এক ঘুস খোর কে দিয়ে জমি জরিপ করিয়ে অপরের জমি দখল করে ভোগ করে।
এই ব্যক্তিটি নাকি সঠিক প্রতিবেশী।. আমার পুরনো বাড়ি টি এর উল্টো দিকে টালির ছাউনি দেওয়া। "গুড  সামারিটন" জেশস ক্রাইস্টের জীবনের একটি কাহিনি পড়ে ছিলাম, যেখানে আহত ব্যক্তিকে কেউ সাাহায্য করে নি। সকলেে পাশ কাটিয়ে চলে যাচ্ছিল। কিন্তু সুুদূরসমরবাসীয় তাাকে তুলে নিয়ে গিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করে ছিলেন।  ঐ সমর দেশ বাসি পরদেশীও হলেও সেই ছিল প্রকৃত প্রতিবেশী। তাহলে ঐ ব্যক্তি টি কি প্রকৃত প্রতিবেেশী?