এর আগে আমি আমার ব্লগে লিখেছি আমার পঞ্চাশ বছর জীবনের অভিজ্ঞতা। কারণ আমার ব্যক্তিগত জীবনটাই একটা নাটক, হয়তো অনেকর ভালো লাগছে না। কিন্তু কী করি বলুন, আগে অন্য বিষয়ে কিছু লিখেছি। আমার ব্লগে কেউ পড়েছন বলে মনে হচ্ছে না। আমি সবটাই লিখছি আমার ব্যক্তিগত অভিমত অভিজ্ঞতা থেকে। আমার এই দুঃখের কথায় কেউ যদি সুযোগ খোঁজেন কিছু করার নেই। কারোর ভালো লাগছে না। তবে সবটাই সত্যি কথা, কারণ সকাল থেকে রাত পর্যন্ত আর জণ্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত, মানুষের জীবন নিয়ন্ত্রণ করে রাজনীতি।যেমন আমি দেখেছি আমাদের পরিবার ছিল রাজনৈতিক দল দ্বারা আক্রান্ত যখন যে দল ক্ষমতায় তখনই সে তার ক্ষমতা দেখিয়েছে। আগেই লিখেছি আমার বাবার বেতন বন্ধ ছিলো 1971 সালে, আবার 1986 থেকে 1988 পর্যন্ত প্রায় দু বছর। অথচ 1986 থেকে 1988 প্রতিদিনই আমি নিজে স্কুলে পৌঁছে দিয়েছি। পেছনে কারণ সেই রাজনীতির। যাহোক আরও অনেক কিছু লেখার আছে। তবে নীচের পুরনো দলিলের টুকরো অংশ দিলাম যেটি বাংলাদেশের বরিশালের নলচিরা গ্রামের গৌরনদী থানার অন্তর্গত ।আমার বাবার বা আমার বংশ পরিচয় জানার জন্য। এমন কেউ থাকেন যিনি ঐ নাম চেনন। তাহলে আমার ফেসবুকে লিখবেন এই আশায় রইলাম। এর আগেও আমি "আমার কথা" শিরোনামে লিখেছি তবুও যেন শেষ হয় নি। কারণ আগেই বলেছি আমার জীবনে ঘটে যাওয়া প্রতি টি ঘটনা স্মরণীয়। তবে সমাজে ভালো মন্দ মানুষ থাকেন। প্রতিবেশী রা প্রতিবেশী না হয়ে উঠতে পারেন। কিন্তু অনেক ভালো মানুষ ছিলেন না হলে আমরা হয় তো বেঁচে থাকতাম না। আমার কথায় লিখেছি, আজ আবার লিখছি। আমার মায়ের কাছে শুনেছি আমার জণ্ম হয়ে ছিল। বাংলা ১৩৭০ বা ১৩৭১ সালের ২৯ শে মাঘ ইংরেজি সাল টা ঠিক বলেছ বলে মনে পড়ছে না। সাল টা মা ঠিক বলতে পারেন নি। কিন্তু তারিখ টা মনে হচ্ছে ঠিক। যাই হোক বর্তমানে আমার বয়স পঞ্চাশ পার হয়েছে। তাই শিরোনামে আমার পঞ্চাশ বছর, এই পঞ্চাশ বছরের স্মৃতি থেকে আমার এবং আমার পরিবারের সুখ দুঃখের কথা সবার সাথে ভাগ করে নেব। আগেই লিখেছি দুঃখের কথায় মানুষ সুযোগ খোঁজেন। আবার অনেকে অপরের দুঃখে আনন্দ পান।
This is a news blog. Here I write story, social incidents, political incidents, & my life history etc.
Thursday, 23 November 2017
আমার পঞ্চাশ বছর।( ২য় অংশ)
আবার এরকম একটা কথা আমি শুনেছি ভারাক্রান্ত মন কে হাল্কা করে নেওয়া যাবেয়। তাই আজ আমি আমার জীবনের সকল সুখ দুঃখের কথা লিখে যাব। প্রথম আমি বলি আমার যখন একটু জ্ঞান হলো আমি বুঝতে শিখলাম, তখন থেকে অভাব আর অভাব বাড়িতে প্রতিদিন খাবার জুটত না। কেন ঠিক জানি না, তবে শুনেছি বাবার বেতন ঠিক মতো আসত না। বিভিন্ন মুদির দোকান খালি ধার অনেক কিছু দিন দিত তার পর আর মাল দিত না। একটু বড়ো হয়ে বেতন অনিয়মিত কিন্তু কিছু দোকান দার ছিল অসাধু। তারা আগে জেনে নিত বেতন কত, তারা পনেরো কুড়ি দিন জিনিস পত্র দেওয়ার পর জিনিস পত্রের দাম বাড়িয়ে বেতনের সব টাকা টা করে রাখত। এটা আমরা বুঝতে পারলাম যখন আমরা বড়ো হলাম, মুদি দোকান থেকে মাল গুলো আনতে লাগলাম। খাতা আমাদের কাছে থাকতো রোজ দাম লিখি আনতাম। হিসেবে রাখতে শুরু করলাম তখন থেকেই পরিবর্তন হল। তবে বেতন অনিয়মিত হলেই গণ্ডগোল হতো। এবার আমার জণ্ম ভিটের কথা বলি। জণ্ম ভিটে বলতে সিঙ্গুর থানার অন্তর্গত পল্তাগড় গ্রামের বড়ো রাস্তা থেকে ভিতরে দু দিক বাঁশ বন দিয়ে ঘেরা একটি জায়গা। এখাই আমাদের মাটির দেওয়াল, পেটো খোলার ছাউনি দেওয়া টিনের দরজা দেওয়া এক কামরার ঘর। বাড়িতে নানা ফল আর ফুলের গাছ। প্রাচীর দিয়ে ঘেরা ছিল না সব দিক ফাঁকা। একটু বৃষ্টি আর জোর হাওয়া দিলে বাঁশের ডগ লেগে পেটো সরে যেতো, তখন বৃষ্টির জল আর বাইরে পড়ত না। ইঁদুরের গর্তে ভর্তি দেওয়াল কোনো কোনো সময় ভেঙে পড়েছে। তবে মূল ঘরের নয় পাশের আরেক টি ছোট চালা মতো রান্না ঘর ছিল তার দেওয়াল বেশি ভাঙত। বড়ো ঘরের দেওয়াল একবার ভেঙে পড়ে ছিল। কেন জানি না আমাদের প্রতি মানুষের এত রাগ কেন ছিল! আমার বাবা দেশ স্বাধীন হবার দু তিন বছর আগে এপার বাংলায় এসেছিলেন। আর ভারত ভাগ হয়ে যখন দেশ স্বাধীন হলো তখন তো পূর্ব পাকিস্তানে হিন্দু দের কচু কাটা করছিল। বাবা ঠাকুমার মুখে শুনেছি সব থেকে বেশি দাঙ্গা পীড়িত ছিল নোয়াখালী যশোহর খুলনা বরিশাল বাবা 1948 এর এপ্রিল মাসে তত কালীন পূর্ব পাকিস্তান থেকে ঠাকুমা কে নিয়ে আসেন। ঠাকুমার ভাষায় বাংলাদেশী টান ছিল। আমরা ছিলাম বাঙাল বাচ্চা, আরও কত কী। শিক্ষিত মাষ্টার মশায়রা পর্যন্ত বলতো। ঐ সব শুনতাম আর ভাবতাম তাহলে পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দারা বাঙালি নয়! ভীষণ হীনমন্যতায় ভুগেছি।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment