ঘটনা এমন যে একটি নারকেল নিয়ে মামলা পর্যন্ত হয়ে গিয়েছিল। কোথায় জায়গাটির নাম এখন আমার ঠিক মনে নেই। পৃথিবীতে কত ধরনের মানুষ থাকেন যারা অপরের সঙ্গে পায়ে পা দিয়ে ঝামেলা করে, আর মারা মারি ঝগড়া করার করার জন্য ওৎ পেতে থাকে। অপরাধ করে অস্বীকার করে, আর কিছুতেই অপরের ভালো দেখতে পারেন না। কিছুতেই নিজের দোষ দেখতে পায় না।
এরকম একজন ছিলেন পার্বতী পিসি, পাড়ার লোকজন তার নাম রেখে ছিল ঝামেলা পিসি। তারি পাশের বাড়িতে থাকত আরেক জন সুবলা পিসি। পাড়ার লোকজন নাম দিয়ে ছিল ঝঞ্ঝা পিসি। সত্যি বলতে কি এই দুজনের গ্রামের লোকজন কে ঝগড়া করে হারিয়ে দিত। কেউ এদের সাথে ঝগড়া করে পারত না। ঝগরুটে এরকম দুই মহিলার একটা ঘটনা ঘটে গেল, সুবলা পিসির একটি নারকেল গাছ ছিল। আর সুবলা পিসির বছর দশেকের একটি ছেলে আর পার্বতী পিসির এক ছেলে ও এক মেয়ে।
এক দিন সকালে পার্বতী পিসি নারকেল কুঁড়ো তিন টি ছেলে মেয়ে কে মুড়ি খেতে দিয়েছে।
সুবলার ছেলে কেও দিয়েছে, আর যায় কোথায় সুবলা ধরেছে তুই নারকোল পেলি কোথায়? পার্বতী যত বলে আমার বাপের বাড়ি থেকে এনেছি। সুবলার গলার জোর তত বাড়ে, তুই মিথ্যে বলছিস। ঝামেলা পিসিও কম আরম্ভ করে দিয়েছে। সুবলা তো তার বাচ্চা কে মুড়ি খেতে দিলে না। কেড়ে নিয়ে টান মেরে ফেলে দিল। ঝামেলা পিসির ছেলে মেয়ে হতবম্ব কি করবে বুঝতে পারছে না। ও দিকে দু মা মিলে তুমুল ঝগড়া করছে। কেউ কাউকে ছাড়বার পাত্র নয়। সুবলার ছেলে ভয়ে পালিয়ে বাবার কাছে ছুটেছে, যেখানে বাবা জমিতে কাজ করছিল। এদিকে তো ঝামেলা আর ঝঞ্ঝা মুগুর যুদ্ধ করছে। করছে পার্বতীর ছেলে মেয়ে দুটো পালিয়েছে।
সকল গ্রামের লোকজন ও ওদের স্বামীরা আসার আগেই সুবলা পিসি একটা অঘটন ঘটিয়ে ফেলল। ঝামেলা পিসির মাথায় মুগুর লেগে গেছে বা মেরে দিয়েছে। রক্ত বেড়তে দেখে পালিয়ে গেছে। পাড়ার লোকজন থানায় খবর পাঠিয়ে ছিল। ইতিমধ্যে থানা থেকে পুলিশ এসে হাজির, ঝামেলা পিসি কে হসপিটাল পাঠানো হলো। আর ঝঞ্ঝা পিসি কে ধরে নিয়ে গেল, তখন ঝঞ্ঝা পিসি কাঁদতে কাঁদতে বলছে আমি ইচ্ছা করে মারিনি লেগে গেছে। পুলিশ ওসব কথা শুনল না, নিয়ে চলে গেল। কিছু দিন পর সুবলা জামিন পেল বাড়িতে এল। পাড়া ঠান্ডা হলো কিন্তু সেই মামলা বা কেস এখনও চলছে।
This is a news blog. Here I write story, social incidents, political incidents, & my life history etc.
Friday, 22 December 2017
নারকেল কুঁড়োর মামলা।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment