সম্প্রতি একটি রায় হয়েছে যে পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত আইনের ই- মনোনয়ন লেখা নেই তাই যে খানে ই- মনোনয়ন জমা হয়েছে, সে গুলো অবৈধ, এবং যারা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় জয় লাভ করেছেন সেটি বৈধ। কোর্টের রায় একেবারে সঠিক কোন সন্দেহ নেই। একদম সঠিক তবে আমি তো আইন পরিনি তাই ও নিয়ে বলে লাভ নেই। যারা পড়েছেন তারা ভালো বলতে পারবেন। আইন টায় কী আছে না আছে কোর্ট ভালোই রায় দিয়েছেন। আর একটা ভোটের হাত থেকে রক্ষা করেছেন। আমি জানি না ঐ আইনে এটা আছে কীনা যে বোমা গুলি করে মানুষ মেরে ভোট হলেও সেটা বৈধ। আবার কোর্টের রায়ের পর বোর্ড গঠন কে কেন্দ্র করে যে বোমা গুলি চলছে টিভি তে যা দেখছি, সেটিও ঐ আইনে বৈধ। আবার ভোটের আগের দিন বল ভেবে বোম নিয়ে খেলতে গিয়ে বাচ্ছা মেয়ের হাত বাধ যাওয়া, এবং ভোট নিতে গিয়ে ভোট কর্মী কোচবিহারের সঞ্জয় বাবুর মৃত্যু সেটাও ঐ আইনে বৈধ। তাহলে সরকারি কর্মীরা সাবধান সামনে লোকসভা নির্বাচনে কাজ করতে যাবার আগে কারণ কেন্দ্রীয় নির্বাচন আইন কী আছে অনেক জানে না। আপনি মারা গেলে আপনার বাড়িতে কান্নার রোল উঠবে। তাতে নেতা মন্ত্রী দের কিছু যায় আসে না। তারা হাততালি দেবে। বিচার পাবে না। বিচিত্র দেশের আইন কানুন সর্বনেশে। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার দরকার নেই। নেতা মন্ত্রী দের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। কারণ তারা জানে ভোটে জিতে নেতা মন্ত্রী হতে পারলে আঙুল ফুলে কলাগাছ। তাহলে বামফ্রন্ট সরকার ভুল আইন করেছে, এরকম মানুষ মারা আইন। এই জন্য মানুষ তাদের ভোট দেয় নি। আর বাঙালি মরলে বাঙালি কষ্ট পেলে দিল্লি সরকারের আনন্দ হয়। সেই স্বাধীনতা সময় থেকে, দেশ ভাগ করে স্বাধীনতা নিয়ে গদীতে বসতে গিয়ে বাংলা কে ভাগ করা হল। বাঙালির সেই দুঃখের শুরু, শ্যামা প্রসাদ মুখোপাধ্যায় না থাকলে আজকের এই পশ্চিমবঙ্গ থাকতো না। কারণ তখন ওপার বাংলা থেকে আসা মানুষদের কোনো রকম সহযোগিতা করে নি, দিল্লির নেতারা। উল্টে একজন নোয়াখালী গিয়ে ছিলেন যাতে ওপার থেকে আর হিন্দুরা এপারে না আসে তার আবেদন নিয়ে।হিন্দু দের কচু কাটা করছে তাতে কী? বাঙালি হিন্দু রা মরছে, কেন এসব লিখছি কারণ বর্তমান দিল্লির সরকার যদি বাঙালির মৃত্যু দেখে আনন্দ না পেতেন তবে এত দিন পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হয়ে যেতো। এখন কার নেতা মন্ত্রী কী কেন্দ্রীয় কী রাজ্যের তারা নন্দদুলালের বংশ ধর। কে এই নন্দদুলাল ব্যানার্জি যিনি ব্রিটিশদের পা চাটা পুলিশ অফিসার বাংলার অগ্নি শিশু বীর ক্ষুদিরাম আর প্রফুল্ল চাকি কে ধরে ছিলেন। ব্রিটিশ আমলে এরকম অনেক তাঁবেদার পা চাটার দল ছিল। যারা পয়সা আর ক্ষমতার লোভে বাঙালি হয়েও, বাঙালি মরলে সে যে ভাবে হোক না খেতে পেয়ে বা চাবকে কারণ তখনকার বেশি ভাগ বাঙালি জমিদার নানা রকম অত্যাচার করে খাজনা আদায় করে ব্রিটিশদের দিত এবং অত্যাচার করে আনন্দ পেত। আর এখন কার নেতারাও ক্ষমতা আর টাকার লোভে গরীব খেটে খাওয়া মানুষ গুলো কে বোমা গুলি পিস্তল দিয়ে ভাই এর রক্তে হোলি খেলতে পাঠিয়ে দিচ্ছে। নিজেরা নিরাপত্তার ঘেরা টোপে থেকে বেঁচে থাকবে। আর ২৮০ টাকা কি করে ২৮০ কোটি হবে তার চিন্তায় মসগুল। দেখ ভাই এসবের দরকার কী সামনে লোকসভা নির্বাচন মানুষ গুলো ভোট দিতে আসবে পুলিশ সাজা নিরাপত্তা রক্ষী দিয়ে গুলি করে মেরে। ছারপোকার মতো বেড়ে ওঠা বাঙালি জাতি কিছু টা কমবে। না হলে আর বাঙালি কিসের? জানি না সামনের লোকসভা নির্বাচনের জন্য নেতা দের মনে কী আছে? কত জন বাঙালি মরবে? আর যদি প্রাণে মায়া দয়া মন বিবেক মনুষ্যত্ব থাকে তবে নির্বাচন হোক ভয় হীন। রক্ত হীন, জানি না আমার কথা ঠিক জায়গায় পৌঁছবে কীনা। তাহলে বলছি আজকের দিনে সব কিছু অন লাইন তাহলে ভোট হোক অন লাইনে। তাহলে অনেক অনেক খরচ বাঁচে। কাউকে ভোটের ডিউটি করতে গিয়ে মরতে হয় না। আর বাঁচা টাকা নেতা মন্ত্রীরা বেতন হিসেবে বাড়িয়ে পকেটে ভরতে পারবেন। প্রস্তাব টা ভেবে দেখবেন কেমন। কোর্টের কথা বলা যাবে না তারা মানে বিচারকরা দেবতা আইন গুলে খেয়ে ঐ জায়গায় রয়েছেন। সেই জন্য তো পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মীদের ডিএ মামলার রায় আর হল না, 2016 র জানুয়ারি থেকে ত্রিশ শতাংশ হারে I. R. ঘোষণা হলো। কী একটা নতুন সংগঠন শিক্ষক দের PRT স্কেলের দাবিতে মামলা করেছে দেখা যাবে 2019 সাল পর্যন্ত মামলা চলবে আর এই সরকার একটা জগা খিচুড়ি পে কমিশন ঘোষণা করবে। ওনারা পাবেন 2016 জানুয়ারি থেকে আর বাকী রা 2019 এর জানুয়ারি থেকে। আর আদালত রায় দিল কী না দিল কিছু যায় আসে না। আদালতে রায় খুব কম হয়, শুধু দামিনী সিনেমা হয়। আগামী দিন খুব ভয়ঙ্কর বাঙালি জাতি নিজে রা মারা মারি কাটা কাটি করে মরবে কোথাও বিচার পাবেন না। বাঙালি বিদ্বেষী মানুষ সেই সুদূর অতীতেও ভারতবর্ষে ছিল, না হলে সুভাষ চন্দ্র বসু দেশে ঢুকতে দিল না। ইংরেজ দের সরযন্ত্র করে যুদ্ধ অপরাধী ঘোষণা করে দিয়ে ছিল।এখন যা তথ্য বেড়িয়ে আসছে আরও অনেক কিছুই আছে যা এই সরকার ও প্রকাশ করবেন না। তাহলে গান্ধী গন্ধী হয়ে যাবে। সেই জন্য বলছি দয়া করে নিজেদের ধ্বংস নিজেরা ডেকে আনবন না।কেউ দেখার থাকবে না। একটা কথা খুব ভয়ে ভয়ে এসব লিখছি। কখন কী হয় এই ভেবে? কিছু না হোক ভীতু বাঙালি তো।
No comments:
Post a Comment