Monday, 31 December 2018

দু শো বছরের পরাধীন থাকার ফল।

আমার মনে হয় আমরা বাঙালিরা বড্ড বেশি করে আবেগ প্রবন। অনুকরণ প্রিয় জাতি, অপর জাতি ধর্ম বর্ণের বিভিন্ন অনুষ্ঠান পোশাক আসাক খাওয়া দাওয়া সব আমরা নকল করে দেখিয়ে দিই।আমরা ইংরেজি নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাই কিন্তু বাংলা নববর্ষ ভুলে যাই। আমরা যীশু খ্রীষ্টের জণ্ম দিন পালন করে  বাড়িতে কেক কাটি আর. বিবেকানন্দ নেতাজী বিদ্যাসাগর রামকৃষ্ণ রামমোহন রায় এদের ভুলে যাই। আমরা কত মহান এবং কত সহনশীল, আমার গত 27/12//2018 প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একটা প্রথম শ্রেণীর ছাত্রের কথা মনে পড়ছে। ঐ দিন স্কুলে পঠন মেলা আর প্রগতি পত্র দেওয়া হচ্ছিল। আর মিডে মিলে চিকেন হয়ে ছিল, আমায় একজন প্রথম শ্রেণীর মুসলিম ছাত্র এসে বলল স্যার আমি মাংস খাব না, মা বারণ করেছে। আমি মুসলিম রা মুরগি মাংস হালাল ছাড়া খায় না, আমি বললাম মাকে বল মাংস স্যার শেখ ছোট্টুর কাছ থেকে এনেছেন। এবার বল তুই খাবি কী না? ছেলেটা আমার থেকে থালা নিয়ে খেতে বসে ছিল । আমার কথা ওটা নয় দেখুন কীভাবে ঐ টুকু ছেলের মনে ধর্মের নিয়ম তথা খাবার ক্ষেত্রে ভেদা ভেদ ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর আমরা বাঙালি হিন্দু জাতির লোক জন ঐ মুসলমান দের হালাল করা মাংস বিচার না করে খেয়ে নিচ্ছি। সত্যিই আমরা মহানুভব, আর এই মহানুভবতা দেখাতে গিয়ে আজ প্রকৃত বাঙালি হিন্দুর সংখ্যা তলানিতে ঠেকেছে। মুসলিম সমাজ আজ প্রায় ছ সাতশ বছর ধরে বাংলা তথা ভারতের বাসিন্দা তবুও তারা হিন্দুদের বা অন্য ধর্মের সাথে মিশতে জানেনা না। অন্য ধর্মের অস্তিত্ব স্বীকার করে না। অন্য ধর্মের লোকজন ওদের কাছে কাফের তাদের খুন করে দেও। না হলে তারা আমাদের ধর্ম গ্রহণ করুন। এটি মুসলিম ছেলেদের ছোট থেকেই শেখানো হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের আজ পর্যন্ত যতগুলো সরকার শুধু পশ্চিম বঙ্গের ভারতের স্বাধীনতা সময় থেকে সংবিধান রচনার সময় যে সব মহান পুরুষ ছিলেন একজন তো মাউন্ট ব্যাটেনের বাড়িতে চাকর ছিলেন। তিনি ভারতের মহাপুরুষ হয়ে গান্ধী কে হাত করে প্রধানমন্ত্রী হয়ে বসে পরে ছিলেন। লোক মরুক আমি লুটে খাই, সেই যে বাঙালি হিন্দু জাতির ধ্বংসের শুরু আর ঘুরে দাঁড়াতে হয় নি। সংবিধান কেবল মাত্র বর্ণ হিন্দুদের জন্য আর বাকিদের কোনো আইন নেই। যত খুশি বিয়ে কর সন্তান জন্ম দেবার আইন তাতেও মুসলিম সমাজ যতখুশি বিয়ে করে সন্তান জন্ম দেবে। এটা তাদের ধর্মের আইন ভারতের সংবিধান তাকে নাকি এই সুযোগ দিয়েছে। জনগনার সময় মিথ্যে বলে নিজেরা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোক ঠিক করে রাখবে। এখনতো এই রাজ্যে বাঙালি হিন্দুরা সংখ্যা লঘু, যে সব গরীব মানুষ হিন্দু তাদের কি হলো দেখার দরকার নেই, সংখ্যালঘু স্কলারশিপ পেল কি না সাত বার খোঁজ নিয়ে চলছে।
কত উপরে তুলে ধরেছেন মুখ্যমন্ত্রী নামাজে অংশ নিচ্ছেন। রোজা পালন করছেন। তারকেশ্বরের বাবার মন্দিরের ট্রাষ্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান করে দিয়েছেন একজন মুসলিম মানুষ কে? এর জন্য আমি দুঃখিত নই, তবে আমার একটা একান্ত আবেদন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দিদি আপনি কোন বড়ো মসজিদ বা মাজারের প্রধান পদে কোনো হিন্দু ধর্মের লোক কে বসিয়ে দেখান। দেখতে আপনি পশ্চিমবঙ্গের ঐ জাতিটি কে কতটা ধর্ম নিরপেক্ষ করতে পেরেছেন। সামান খাখাবার বিষয়ে যারা বাদ বিচার করতে পারে তাদের আপনি যতই তোলাই দিন তারা এখনও ঐ শোর্ড বা তরোয়াল নিয়ে মিশাইয়েলের সঙ্গে লড়াই করতে যাবে। আধুনিক শিক্ষা নেবে না, কারণ এখনও তারা বাঙালি তথা ভারতীয় নয়। 

Sunday, 30 December 2018

সমীক্ষা রিপোর্ট পাঠ্যসূচীর জন্য পিছিয়ে পড়ছে রাজ্যের পড়ুয়ারা।

আজ ৩০ শে ডিসেম্বর ১৮ আনন্দ বাজার পত্রিকায় অন লাইন খবর । এস সি আর টির সমীক্ষায় পাঠ্যসূচীর জন্য পিছিয়ে পড়ছে এই রাজ্যের পড়ুয়ারা। আমি এর আগেও লিখছি যে এই পাঠ্যক্রম বা পাঠ্যসূচীর জন্য অনেক অভিভাবক সরকারি বা সরকার পোষিত বিদ্যালয় গুলোতে ছেলে মেয়েদের ভর্তি করতে চায় না।কেবলমাত্র যে সব বিদ্যালয়ের সাথে উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় আছে সেখানে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের ভর্তি করা হয়। এখানেও কিছু ভালো অভিভাবক যাদের একটু পয়সা আছে তারা বেসরকারী বিদ্যালয়ে ভর্তি করে। কারণ পাঠক্রম সরকার পোষিত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক প্রাথমিক শ্রেণীতে পাঁচ বছর পূর্ণ হলে ভর্তি, পাঠ্য বই কী ১) কাটুম কুটুম ২) মজারু কোনো পাঠ্যসূচীর ঠিক নেই। আর ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা বেসরকারী বিদ্যালয়ে তিন বছর বয়সে ভর্তি তারা নিজেদের মতো পাঠক্রম তৈরি করে নিতে পারে। নার্শারি থেকে কেজি ২ পর্যন্ত নিজেদের মতো বাংলা অঙ্ক ইংরেজি বিজ্ঞান শেখায়। আগে এই পাঁচ বছরের ছেলে মেয়ে প্রথম শ্রেণী তে ভর্তি হতে পারত পাঠক্রম ছিল বাংলা অঙ্ক ইংরেজি, দ্বিতীয় শ্রেণির পাঠক্রম এর সাথে সামঞ্জস্য করে পড়ানো হত। এখন কোন মাথা মুণ্ড নেই কোন শ্রেণীর সাথে কোন শ্রেণীর মিল নেই কী যে অঙ্ক ইংরেজি শিখছে তার ঠিক নেই। প্রথম দ্বিতীয় শ্রেণির ইংরেজির কোনো ঠিক ঠিকানা নেই, তৃতীয় চতুর্থ শ্রেণির ইংরেজি শব্দ গ্রামের ছেলে মেয়েরা উচ্চারণ করতে পারে না। বাংলায় কবিতা গদ্য কোনো ঠিক নেই। তৃতীয় শ্রেণির বাংলা বই এ একটি গল্প আছে কাল্পনিক কথা বলব না অন্য কিছু বহু যুগ আগে গাছেরা চলা ফেরা করতে পারতো ইত্যাদি ইত্যাদি। আমার পরিবেশ বইটি কিছু শেখার মতো নেই। অঙ্ক সে বলা যাবে না, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির আমার বই এ কয়েক পাতা এক বা দু সংখ্যার যোগ বিয়োগ একটু গুন একটু ভাগ তৃতীয় শ্রেণির গনিত শিক্ষা গুননীয়ক গুনিতক সামান্য আছে স্থানীয় মান প্রকৃত মান আছে, আর অল্প বিস্তর তিন সংখ্যার যোগ বিয়োগ আর একটু ভাগ ব্যাস। বিয়োগ শেখাবার পদ্ধতি সেই বাম আমলে যা ছিলো তাই ভেঙে নিয়ে মাথায় লেখা, ঐ পদ্ধতিতে বিয়োগ করতে গিয়ে ছাত্র ছাত্রীরা হোঁচট খায় ভাগ করতে গিয়ে। সেখানে আর মাথার উপর লেখার জায়গা নেই। বামফ্রন্ট সরকারের কিছু ক্যাডার মাস্টার প্রশিক্ষণ শিবির চালাত আর বলত এই পদ্ধতি নাকি বিজ্ঞান সম্মত। এখন সেই ক্যাডার মাস্টারা প্রশিক্ষণ শিবির থেকে প্রশিক্ষণ দেয় আর এক কথা বলে। আমাদের মতো কিছু শিক্ষকের সত্যিই খুব খারাপ লাগে যে সরকার পরিবর্তন হলো প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বই গুলো আর সঠিক ভাবে তৈরি হলো না। যেখানে প্রাক প্রাথমিকে বাংলা, অঙ্ক, ইংরেজি, প্রথম শ্রেণীতে সামঞ্জস্য রেখে বাংলা, অঙ্ক, ইংরেজি, এই বই গুলোতে ইংরেজি হবে সহজ ছোট ছোট বাক্য তৈরি করা। সামান্য পাঠ্য বই পড়া। আর অঙ্ক হবে এক অঙ্ক থেকে দু অঙ্কের সংখ্যার যোগ বিয়োগ ভেঙে নিয়ে মাথায় লেখার পদ্ধতি থাকবে না। দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র ছাত্রীরা ইংরেজি শিখবে একই ভাবে, অঙ্কে যোগ হবে। গুনের নামতা গুন দুই সংখ্যার গুন গুন্য গুনক গুন ফলের ধারণা। আর ভাগ হবে ভাজ্য ভাজক ভাগফল বোঝানো এবং সহজে বুঝতে পারে এমন ভাগ।তৃতীয় শ্রেণি ইংরেজি হবে অন্য শ্রেণীর সাথে সামঞ্জস্য পূর্ণ, অঙ্ক হবে গুননীয়ক গুণিতকের ধারণা সামান্য লসাগু গসাগু চতুর্থ শ্রেণির অঙ্ক হবে ভগ্নাংশের ধারণা দশমিক ও সাধারণ ভগ্নাংশের ধারণা লসাগু গসাগু যোগ বিয়োগ ইত্যাদি। জানি আমার এ লেখা কেউ পড়বে না। আর পরিবর্তন হবে না। সেই বাম আমলের থেকে দেখে আসছি কোন সরকার প্রাথমিকের সিলেবাস বা পাঠ্যসূচীর পরিবর্তন করল না। বাম আমলে ঐ বিয়োগ অঙ্ক বাদে তবুও কিছু পড়ানোর ছিল। আবেদন করা যেত তবে ক্যাডার দের মাধ্যমে, ঐ ভূতের বিয়োগ বাদে সব অল্প অল্প পরিবর্তন করত। আর এখন কে কার কথা শোনে কোনো কিছু বললেই সে বিরোধী বলে তাকে বিভিন্ন রকম ভাবে জব্দ করার ফন্দি করে। কত রকম পরিদর্শক পঞ্চায়েতের ঝাড়ু থেকে উপর মহল সকলে আসে খুঁত খুঁজে বের করতে হবে এটা তাদের উপর নির্দেশ থাকে। আর যদি সামান্য খুঁত খুঁজে পাওয়া যাওয়া যায় তাহলে সোনায় সোহাগা না হলে ধমকানি চমকানি তো আছেই। চোখের সামনে দেখি এখন কার এই বই আর ২০১১ সালের পর নিয়োগ প্রাপ্ত শিক্ষকের কাজ হচ্ছে না পড়িয়ে মোবাইল ফোন নিয়ে শ্রেণি কক্ষে নেট ফেসবুক করে গান শুনে বাড়ি যাওয়া যখন তখন আসব যাব পড়াব না। আমাদের সরকার আমরা যা খুশি তাই করব। কিছু বললে সব ধরনের নেতা আর অফিসের ফোন করে তাদের দিয়ে ভিজিট করিয়ে প্রধান শিক্ষক কে জব্দ করা।আর বেশি কিছু লিখেছি না, এমনিতেই কথা বললেই বিরোধী, না হলে মাওবাদী তকমা জোটে, প্রকৃত পরিবর্তন আর হলো না। 

Tuesday, 25 December 2018

রাজা তোর কাপড় কোথায়?? বলার লোকটি আর আমাদের মাঝে নেই।

আজ আমার মতো এই অখ্যাত কুখ্যাত বাঙালির শোকের দিন রাজা তোর কাপড় কোথায় বলার মানুষ টি আমাদের মধ্যে নেই। আমি কবি কে কাছ থেকে দেখেছি সিঙ্গুর বইমেলার উদ্বোধন করতে এসে ছিলেন, সাল ঠিক মনে নেই, সিঙ্গুর বইমেলার সাংস্কৃতিক মঞ্চ থেকে উদ্বোধনী ভাষণ দিয়ে তিনি চলে এলেন ফিতা কেটে দ্বার সবার জন্য উন্মুক্ত করে দিতে। সেই সময় আমি পাশে দাঁড়িয়ে ছিলাম, মনে পড়ছিল " উলঙ্গ রাজা" সেই বিখ্যাত লাইন "রাজা তোর কাপড় কোথায়?" আরেকটা কবিতার লাইন " অমল কান্তি রোদ্দুর হতে চেয়েছিল।" সত্যিই এসব কবিতার লাইন গুলো মিথ হয়ে গেছে। এখন তো এই বাংলায় সত্যিই সঠিক মানুষ নেই, যে সত্যি কথা বলতে লিখতে পারে। উনি ঐ একটা লাইন " রাজা তোর কাপড় কোথায়? " দিয়ে অনেক না বলা কথা বলে দিয়েছেন। বর্তমান পশ্চিমবঙ্গে তৈল্য মর্দনকারি অনেক আছেন। একটা পুরস্কার আর কিছু টাকা পাওয়ার জন্য তারা দিন কে রাত বলতে দ্বিধা বোধ করে না। চোর কে চোর বলার সাহস নেই, চোখের সামনে খুন করতে দেখে তাকে খুনি বলা যাবে না। মিথ্যাবাদী কে মিথ্যাবাদী বলার মতো লোক নেই। সেই বাঙালি আজ কোথায়? যে কথায় কথায় মানুষের ঘুম ভাঙিয়ে জাগিয়ে তুলতে পারে। এখন বিবেকানন্দ কে নিয়ে বিবেক চেতনা উৎসব করি কিন্তু নিজেদের বিবেক নেই। নিজের বিবেক মনুষ্যত্ব বিসর্জন দিয়ে, আজ আমরা একটা অমানুষে পরিনত হয়েছি। তাই চোখের সামনে অন্যায় হচ্ছে দেখেও আমরা চুপ করে থাকি, কিছু বলতে পারি না, কারণ আরেক জন বিবেকানন্দ আর এই বাংলায় আসেনি। আরেক জন সুভাষ চন্দ্র বোস জণ্ম গ্রহণ করেনি। যিনি সঠিক নেতৃত্ব দিতে পারেন, এরকম একজন নেতা তথা বাংলা তথা ভারত মাতার বীর সন্তান তাকে ফিরিয়ে আনার জন্য তৎকালীন বাঙালি সাংসদরা বা নেতারা কোনো কিছু করেনি। কেবল পদের জন্য দিল্লির বিশেষ একটা পরিবারের সদস্যদের পদে তৈল্য মর্দন করে গেছেন। আমার মাঝে মাঝে মনে হয় এ কেমন বাংলা যেখানে সত্যি কথা বলা যাবে না। সত্যি কথা বলেছ কি? শাস্তি অবধারিত কিন্তু আজ যিনি ৯৪ বছর বয়সে মারা গেলেন। তিনি জণ্ম গ্রহণ করে ছিলেন দেশ স্বাধীন হবার ২৪ বছর আগে। তিনি ছিলেন একজন সত্যিকারের কবি তাঁকে আমার পক্ষ থেকে জানাই সশ্রদ্ধ প্রণাম। জীবিত থাকা কালেই ওনার অনেক লেখা বিভিন্ন শ্রেণীর পাঠ্য, এরকম একজন কবি কে আমি জানাই অন্তরের শ্রদ্ধা,প্রিয় কবি তুমি বেঁচে থাকবে আপামর বাঙালির মনের মনিকোটায়। 


মুখ্যমন্ত্রী মুখে কালী মাখানো খারাপ কাজ করেছেন।

ছবি টি ডেইলি হান্ট নিউজ ওয়েব সাইট থেকে নেওয়া হয়েছে। যে রাজনৈতিক দল করুক কাজ টা মোটেও ভালো হয় নি। তবুও ভালো যারা কাজ টা করেছে তারা ছবি তে কালি মাখিয়েছে। যে রাজ্যে বিবেকানন্দ ও নেতাজির মত মহান ব্যক্তি দের মূর্তি তে কালি দেওয়া হয়। পুলিশ প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয় না। আর ইনি জীবন্ত কিংবদন্তি কী জানেন না। বাঙালির গর্বের মুখ্যমন্ত্রী যিনি চিটফাণ্ডে গরীব মানুষ সর্বসান্ত্র হওয়ার পর বলেন যা গেছে যাক ও নিয়ে দুঃখ করে লাভ নেই। ধর্ষণ সে তো শরীরের জ্বর জ্বালার মতো, ও হবেই, সারা বছর মশা মারার মতো মানুষ খুন হবে ও স্বাভাবিক ঘটনা। অধ্যাপক অধ্যক্ষ শিক্ষক নিগ্রহ বেকার যুবক দের চাকরি না পেয়ে আন্দোলন পুলিশের লাঠি খাওয়া ও স্বাভাবিক ও ছোট্ট ঘটনা। চাকরি দেওয়ার নামে প্রহশন সবই ভালো, কর্মীদের বেতন না দিয়ে নিজের বেতন বাড়ানো সেটাও ঠিক। আমি ছোট ভাই হিসেবে একটা পরামর্শ দিতে পারি দিদি আপনি ভালো ছবি আঁকতে পারেন। তুলির একটান দুটান দিলেই ছবি আপনার ছবি কোটি টাকা দাম। দয়া করে আপনি যদি ছবি এঁকে রাজ্যের দেনা শোধ করে দেন, তবে রাজ্যবাসি আপনার কাছে চিরকৃতজ্ঞ থাকবে। আপনি ভালো বই লেখেন আপনার লেখা কবিতা পড়ে কিছু খারাপ লোক মজা করে, ওদের পাত্তা দেবেন না কেমন। গত পূজোয় আপনার লেখা গান সর্বত্র শোনা যাচ্ছিল। আপনার এতো গুন তবুও আপনার ভালো দেখতে পারে না। আপনি কী করেন আপনার দলে হাজার গোষ্ঠী সবাই মিলে একে অপর কে মারছে। আপনি কী করেন, জনগণ তো আর মানুষ নয় ও দু টাকার মুরগির মতো, আপনার ভাইয়েদের বলুন যত পারবে মারুক। আসছে লোকসভা নির্বাচনে কর্মসংস্থানের ঘোষণার ফুলঝুরি ছুটছে। কোন কাগজে বিজ্ঞাপন নেই, মুখে কর্মী নিয়োগ হলে বেতন দিতে হবে না। আর যদি নিয়োগ করা হয় তবে বেতন মেলা দূস্কর, রাজ্যের অনেক কর্মী সর্বোচ্চ দশ হাজার টাকা বেতন পাচ্ছেন। চপ শিল্প হয়েছে, মুড়ি শিল্প হয়েছে, কত কিছু যে হলো কবে যে মানুষ মুক্তি পাবে জানি না। আজ পড়লাম মদ খেয়ে বাড়িতে রোজ অশান্তি হচ্ছিল, শিলিগুড়ির একটি পরিবারের আজ চরম পরিনতি ঘটেছে, মাতাল তার স্ত্রী কে খুন করেছে । আর এই রাজ্যে দেদার মদের দোকান খোলা হচ্ছে। আমরা বিহারের থেকেও পিছনে সেখানে মদ বন্ধ বা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আর আমাদের রাজ্যে মদ চুল্লুর বাড় বাড়ন্ত পূজার আগে আর বিষ মদ খেয়ে কেউ মারা গেলে অভিযানে নামে, তার পর যে কে সেই, আর পুলিশ যাওয়ার আগে ডাক বাবু ফোন করে বলে দেয় আমরা যাচ্ছি। এই তো চল্লু ধ্বংস করার চেহারা। আর লিখছি না, কারণ যে নিজে প্রতিদিন দেখছেন মানুষ খুন হচ্ছে। করছে কারা কাগজ টিভি চ্যানেল যেই শাসক দলের নাম বলছে, পুলিশের ঘাড়ে কটা মাথা আছে তাকে ছোঁয়। এমনিতেই নানা চিটফাণ্ড কেলেঙ্কারির কালি মেখে বসে আছেন। তাই ছবিতে আর কালি মাখিয়ে লাভ কী? যে অঙ্গে এতো কালি তার ছবিতে কালি মাখিয়েছে যারা সত্যিই অন্যায় করেছ। 

Saturday, 22 December 2018

দেশে মাফিয়া আর দূস্কৃতি দের কাছে যে পরিমাণ অস্ত্র আছে, তা পুলিশের কাছে নেই।



স্বাধীনতার সত্তর বছর পরেও দেশ স্বাধীন হবার পরও সাধারণ মানুষের দুঃখের শেষ নেই। ইংরেজ আমলে ব্রিটিশ সরকার ভারত বাসী দের কুকুর বিড়াল ভাবত পান থেকে চুন খসলে গুলি করে মেরে দিত, পিটিয়ে মেরে দিত। সত্তর বছর হলো ব্রিটিশ ভারত ছেড়ে চলে গেছে কিন্তু আজও আমরা নিজেদের মধ্যে মারামারি করে মরছি কথায় কথায় রাজনৈতিক নেতা তথা তোলাবাজ ঘুষখোর দের কথায় একে অপরের সাথে মারামারি করছে, আর মশা মারার মতো মানুষ খুন করছে।  এতো অস্ত্র এলো কোথা থেকে ইতিহাসে আমরা পড়েছি ভারতের নবাব বাদশা সুলতানরা কিছু কর্মকার বা কারিগর কে দিয়ে অস্ত্র তৈরি  করাতো তারাই আজ বংশ পরম্পরায় অস্ত্র তৈরি করে দিচ্ছে । সেই অস্ত্র আজ দূস্কৃতি থেকে মাফিয়া প্রত্যেকের হাতে ঘুরে বেড়াচ্ছে ।  মদ আর ভাগারের মাংস খেয়ে মশা মারার মতো মানুষ খুন করছে। আর এখন পশ্চিমবঙ্গের আনাচে কানাচে মদের দোকান, এতো এতো দূস্কৃতি বা মাফিয়া তোলা বাজ বেড়েছে তা বলে বোঝানো যাবে না। এর সাথে আছে ঊর্দিধারি তোলা বাজ, রেলের ঊর্দিধারি তোলা বাজরা আরও সাংঘাতিক রেল যাত্রীদের নিরাপত্তা থেকে তোলা তুলতে বেশি পারদর্শী। দু তিন বছর চাকরি করার পর বাড়ি গাড়ি অবধারিত, এ রাজ্যে আরেক ধরনের তোলা বাজ আছে এখন দশ হাজার টাকা বেতন কিন্তু এক একজন বিশ থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা মাসে তোলা তুলে ইনকাম করে। তবে এটাও ঠিক এই সব ঊর্দিধারি দের সবার হাতে অস্ত্র নেই। অবাক করার বিষয় তাই না, কিন্তু মাফিয়া দূস্কৃতি তোলা বাজ রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা উন্নয়ন এদের প্রত্যেকের হাতে কিছু না কিছু অস্ত্র আছে, এরা বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক দল বদলে নেয় জেল জরিমানার হাত থেকে রক্ষা পাবার জন্য। মানুষ খুন এদের কাছে জল ভাত, আর এদের উপর ভর করে অনেক নেতা মন্ত্রী নিজের আখের গোছায়। নিজের দলের লোক জন কে খুন, যা এখন বিভিন্ন পাড়ার মোড়ে মোড়ে ঘটে চলেছে। ছাত্র খুন, শিক্ষক হেনস্থা,   পঞ্চায়েত ভোট নিতে যাওয়া সেই শিক্ষক মশায় যিনি নৃশংস ভাবে খুন হয়ে ছিলেন। খুনের ঘটনা লিখলে এই পরিসরে শেষ হবে না। প্রতিটি প্রাণ মূল্যবান সেই অমূল্য প্রাণ কে যারা অকালে কেড়ে নেয় তারা আর যাই হোক মানুষ নয়। এখন গোটা রাজ্যে তথা দেশে এতো বেড়েছে যে, বলে কাজ নেই, এর কারণ পুলিশ  প্রশাসনের ঢিলেমি, আর বিচার ব্যবস্থার গাফিলতি ।বিচারের নামে প্রহশন তৈরি করা, তারিখের পর তারিখ দেওয়া আর জামিন ব্যবস্থা। আমি ইতিহাস পড়ে যেটুকু জেনেছি ব্রিটিশ আমলে তৎক্ষণাৎ বিচার হতো এবং শাস্তি হতো এখন হয় না। বিশ বছর মামলা চলার পর শাস্তি ঘোষণা করা হয়। প্রকৃত অপরাধী ধরে তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করা হতো, তবে আজ কথায় কথায় মানুষ খুন অনেক টাই বন্ধ করা যেত। তবে পুলিশ তো নিধিরাম সর্দার, কীভাবে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হবে? 



Friday, 21 December 2018

প্রশাসন কর্তারা আজ মানুষের কাছাকাছি।

আমি বিভিন্ন নিউজ ওয়েব সাইটে পড়ছি। যেপ্রশাসনের যে সব বড়ো কর্তারা দরজার সামনে একটি বোর্ড লাগিয়ে রাখেন বিনা অনুমতি তে সাধারণ মানুষের প্রবেশ নিষেধ। যে সব সরকারি কর্মীদের হাব ভাব এমন মনে করেন তিনি পৃথিবীতে একমাত্র বিদ্বান ব্যক্তি । সাধারণ মানুষের করের টাকায় হাজার হাজার টাকা বেতন পান আর সাধারণ মানুষ কোন কাজ করতে গেলে দিনের পর দিন ঘুরে আসতে হয়। নেতা মন্ত্রী ব্যতীত অনুমতি নিয়েও সাধারণের প্রবেশ জোটে না। যদি বা জোটে কাজ হয় না । সেই সব লোক বা প্রশাসনের কর্তারা আজ পুরুলিয়া, নদিয়ার তেহট্টের এবং অন্য জেলাতেও সাধারণ মানুষের খোঁজ খবর নিতে এগিয়ে যাচ্ছেন। কোথায় সভা করে সকলের সুখ দুঃখের খবর নিচ্ছেন। আবার এটিও ঠিক রাজনৈতিক দলের দাদা দের বাধা কাটিয়ে উঠে ঐ সব অফিসার সাধারণ মানুষের জন্য কতটুকু কাজ করতে পারেন সেটাও দেখার। গোটা ভারত আজ মাফিয়া রাজ চলছে, ঘুষ আর তোলা কোটি কোটি টাকার খেলা যে যেখানে ক্ষমতা আছে সে সেখানে তোলা তুলছে। আবার এমনও আছে যেখানে ঘুষ না নিলে বিভিন্ন অফিসার দের প্রাণ দিতে হতে পারে মাফিয়া দের হাতে । অনেক অফিসার ইচ্ছা না থাকলেও ঘুষ নিতে বাধ্য হন, নিজের আর পরিবারের লোকজনের প্রাণ বাঁচাতে। গোটা দেশ এভাবে চলছে সাধারণ মানুষের দুঃখের অবসান হলে ভালো। ঘুষ আর তোলার এবং মাফিয়া রাজের হাত থেকে মুক্তি পেতে দেশে বেশ কিছু দিন সেনাবাহিনীর শাসন দরকার। কারণ আমি মনে করি সেনা বাহিনীর কর্মীরা দেশের মধ্যে সৎ আছেন। তারা পারবেন এই সব ঘুষ খোর তোলাবাজ আর জোর করে ঘুষ দেওয়া মাফিয়া দের ঠিক করতে।

Wednesday, 19 December 2018

চোপ রাজ্যে গনতান্ত্রিক সরকার চলছে।

আমরা পশ্চিমবঙ্গে গনতান্ত্রিক রাজ্যে বাস করছি ।২০১১ সালের আগে পর্যন্ত বহু বনধ বিধানসভা ভাঙচুর অনশন সিঙ্গুর থেকে টাটা তাড়ানোর আন্দোলন ছাব্বিশ দিন জাতীয় সড়ক অবরোধ ।নন্দী গ্রাম আন্দোলন রাস্তা তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য কনভয়ের সামনে বিস্ফোরণ । আরো কত কিছু সে সব আন্দোলন আমরা দেখেছি। সে গুলো সরকারের পক্ষে আন্দোলন ছিল। সব মানুষের ভালো করার জন্য আন্দোলন ছিল। আর এখন যে আন্দোলন হচ্ছে সবটাই সরকারের বিরুদ্ধে, কৃষকদের আন্দোলন  হোক আর কর্মী দের রুটি রুজির আন্দোলন সব অগণতান্ত্রিক সব সরকার বিরোধী । মানুষ পঞ্চায়েত নির্বাচনে অংশ নিতে না পারেন সেটা সরকারের পক্ষে এবং গনতান্ত্রিক। কথায় কথায় মানুষ খুন, মানুষ কে ভয় দেখানো, লাঠি, বল্লাম, আধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে উন্নয়ন রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা। মানুষের গনতান্ত্রিক অধিকার ভোট তাকে না দিতে দেওয়া, এসব সরকারের পক্ষে আন্দোলন, আর মিছিল মিটিং এ বাধা দান এসব সরকারের পক্ষে আন্দোলন। জনগণের দাবি জানানোর অধিকার নেই, তার প্রাপ্য তার দাবি যে দাবি সকল মানুষের সেটা নিয়ে আন্দোলন মানে সরকার বিরোধী। এসব করা যাবে না, এটা হচ্ছে স্বৈরতান্তান্ত্রিক  সরকারের কণ্ঠ। ইতিহাস আমরা কম বেশি সবাই পড়েছি। জার্মানির এক নায়ক হিটলারের কথা। তার ন্যাতসি বাহিনী নৃশংস ভাবে ইহুদি হত্যায় মেতে ওঠে ছিল। পরে তারা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জড়িয়ে পরে ছিল। এই হিটলারের শেষ পরিণতি কী হয়েছিল, আমরা সকলে কমবেশি জানি।  বাংলায় যে সব মানুষ এই হিটলারের ন্যাতসি বাহিনী তারা অধিকাংশই অশিক্ষিত। তাদের কিছু টাকা দিলে আর একটা পিস্তল দিয়ে কেনা যায়। এরা যাদের কথায় এসব করে সেই সব নেতা মন্ত্রী টাকার কুমির হয়ে যায়। আর এরা নিজেদের মধ্যে মারামারি করে মরে, একপেগ মদ আর ভাগারের মাংসের লোভে। এরা যা যা করে সরকারের পক্ষে আন্দোলন। বিদ্যালয়ে ঢুকে শিক্ষকদের হেনস্থা, মার ডাক্তার খানা বা হাসপাতালে ডাক্তার পেটানো। কলেজ অধ্যাপক পেটানো জলের জগ ছুঁড়ে মারা। সব তাহলে সরকারের পক্ষে আন্দোলন। আর কোনো রাজনৈতিক দল বা গন সংগঠন যদি তাদের আন্দোলন করে সেটা সরকার বিরোধী। আসল কথা হিটলারের রাজত্ব আন্দোলন মিটিং মিছিল করা যাবে না। চোর কে চোর বলা যাবে না, ডাকাত কে ডাকাত বলা যাবে না। আমার এতো বয়স হলো বহু ঘাবলা টাকা তছরূপের ঘটনা কাগজে পড়েছি। বছরের পর বছর ধরে তদন্ত চলছে কোনো মন্ত্রী বা নেতা শাস্তি হয়নি। খুব হাতে গোনা কয়েকটি ঘটনা ছাড়া, আরেকটা কথা না লিখে পারলাম না। আমি বাংলায় তথা পশ্চিমবঙ্গের ইতিহাস কোনো নেতা মন্ত্রী কে কোন কেলেঙ্কারি বা ঘুষ নিয়েছে কাগজে পড়িনি। বাংলার বাঙালি ভারত
বর্ষ কে পথ দেখায়। পঞ্চায়েত ব্যবস্থা গোটা ভারতের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে প্রথম শুরু হয়েছিল। এখন সারা দেশে পঞ্চায়েত ব্যবস্থা আছে কিন্তু এখনও পশ্চিমবঙ্গের মতো হয়ে ওঠেনি। সেই পশ্চিমবঙ্গের নেতা মন্ত্রীরা সারদা নারদা জড়িয়ে পড়ছে। দীপক না দীলিপ ঘোষ লিখেছেন রাজ্যের মাথা সে নাকি পৃথিবীর সেরা মিথ্যে বাদি, আর চুরি করতে এক নম্বর। লেখকের বইটি কিন্তু এখনও বাজারে লুকিয়ে চুরিয়ে বিক্রি হচ্ছে। অনেকে পড়েছেন কিন্তু কেউ সাসহ করে বলছেন না। কারণ বাংলা মায়ের দামাল ছেলে যারা একসময় এক কথায় ইংরেজ আমলে সশস্ত্র সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ত। তারা এখন এক পেগ মদ আর ভাগারের মাংস খাওয়ার লোভে চোরের গুন গাইছে। বাঙালির একি হলো, লজ্জায় মাথা হেঁট হয়ে যায় । যে বাংলা একদিন সারা ভারত বর্ষ কে শিক্ষার আলো দেখিয়েছে। বিদ্যাসাগর বিবেকানন্দ রাজারামোহন কে নেই সেই তালিকায় সেই বাংলা আজ সবার পিছনে। শিল্প নেই, সুস্থ শিক্ষা নেই, মানুষ আজ  ভীক্ষারীর মতো দু টাকা কিলো চাল নেওয়ার জন্য লাইন দিচ্ছে। প্রতিদিন খুন, পিটিয়ে হত্যা চুরি ডাকাতি লেগেই আছে । আর নেতা মন্ত্রীরা   রাতারাতি বড়লোক বা ধনী হয়ে গেল কিভাবে সেটা তদন্ত করতে বছরের পর বছর লাগছে। কারণ যে সংস্থা তদন্ত করছে সেই সংস্থার কর্মীরা ঘুষখোর। অথচ আমার মনে পড়ছে রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী রেল মন্ত্রক ছেড়ে চলে এসেছিলেন, তহলকা ডটকম বলে একটা সংস্থা গোপন তদন্তে ফাঁস হয়েছিল মন্ত্রী সভার বা সাংসদের কয়েক জন দুর্নীতির সাথে জড়িত। সেই মহান মানবিকতা গেল কোথায়? 

Monday, 10 December 2018

প্রাথমিক স্তরের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও শিক্ষকদের ভূমিকা। কিন্তু মাধ্যমিক স্তরে।

পশ্চিমবঙ্গের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা শিক্ষক দের চাঁদা না দেওয়া নিয়ে ভীষণ হৈচৈ হচ্ছে। বিভিন্ন সংবাদ পত্রে লেখা লেখি হচ্ছে। কিছু জায়গায় সরকারি অফিসার রা নোটিশ দিয়ে চাঁদা আদায় করছেন। যেমন সিঙ্গুর ব্লকের কামার কুণ্ড চচক্রের বিদ্যালয় পরিদর্শক হোয়াটস এ্যাপে মেসেজ পাঠিয়ে বলছেন, চাঁদা দেওয়াটা যেন বাধ্যতামূলক, কিন্তু আমি যতদূর জানি এই ক্রীড়া প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছিল প্রায় চল্লিশ বছর আগে, তখন শিক্ষকের চাঁদা ছিল না। আমি দেখেছি ১৯৯০ সাল পর্যন্ত কোন চাঁদা লাগতো না। তারপর দশ টাকা চাঁদা নেওয়া শুরু হয়। এই ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় যে স্তর থেকে ছাত্র ছাত্রীরা পঞ্চায়েত স্তরে বা অন্য স্তরের ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়, সেই বিদ্যালয় স্তর ছিল 
বরাবরের জন্য উপেক্ষিত। কোন কোন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও অভিভাবকদের চাঁদায় খেলা হতো। পুরস্কার দেওয়া হতো, কিন্তু বেশিরভাগ প্রাথমিক বিদ্যালয় চুন পর্যন্ত কিনত না। পঞ্চায়েত ক্রীড়া প্রতিযোগিতা পঞ্চায়েত খরচ করত খেলা ম্যারম্যার করত, এই খেলার যৌলস আনতে পঞ্চায়েত স্তর থেকে চক্র স্তর পর্যন্ত এমনকি মহকুমা ক্রীড়া পর্যন্ত চাঁদা নেওয়া শুরু হলো খেলা টাকে উৎসবে পরিনত করা হলো। সেই যে শুরু হয়েছিল সেটাই এখন বাধ্যতামূলক হয়ে গেছে, কিন্তু এই ছাত্র ছাত্রীরা যেই মাধ্যমিক স্তরে ভর্তি হলো তারপর কোন কোন মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্তরের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা করে ফেলল তো তাদের ছাড়। মাধ্যমিক স্তরের না আছে পঞ্চায়েত স্তর না চক্র স্তর না আছে মহকুমা স্তরের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। বিদ্যালয় স্তরের ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অভিভাবক দের থেকে বা ছাত্র ছাত্রীদের থেকে খেলার ফিস নেওয়া হয়। শিক্ষকদের কোনো চাঁদা লাগে না। প্রাথমিক শিক্ষকদের উপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে প্রশাসন কিন্তু মাধ্যমিক বিদ্যালয় গুলোর সময় ছাড়। আমার মাঝে মাঝে অবাক লাগে হাজারো কাগজ ফর্ম পূরণ করতে হবে। বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা করতে হবে, বিনা টাকায় সিসিই পরীক্ষা করতে হবে। সর্ব ধরনের চাপ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উপর।  মাধ্যমিক বিদ্যালয় গুলো সরকার পোষিত নয়! তারা নিজেরাই নিজেদের মতো সিদ্ধান্ত নিতে পারে তাদের কমিটির মাধ্যমে। এখন তো অনেক বিদ্যালয়ের পরিচালন কমিটির কোন অস্তিত্ব নেই। কারণ অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচন হয় না। জানি না আমাদের মতো এদের বিদ্যালয় পরিদর্শক বা এ আই আছে কি না? এরা পশ্চিম বঙ্গের সরকারের অধীনে আছে না নেই। যদি থাকে তাহলে ভর্তি করতে এতো টাকা নেওয়া হয় কেন। কোথাও সব থেকে কম পাঁচ শো টাকা কোথাও সর্বোচ্চ হাজার টাকা। আর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভর্তি তো দূর পরীক্ষা বা মূল্যায়নের জন্য এক টাকাও নেওয়া যাবে না। বিদ্যুৎ বিল দেওয়ার জন্য এক টাকাও নেওয়া হয় না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই প্রধান শিক্ষক শিক্ষিকা তাদের পকেট থেকে দেন । কি সুন্দর একই রাজ্যে দু শিক্ষা ব্যবস্থা একটা সরকারের অধীনে কিন্তু টাকা পয়সা খরচের বা সর্ব দিক থেকে আলাদা। বেতন ফারাক বলছি না। আমি জানি না মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তার বেতন থেকে বিদ্যুৎ বিল দেয় কিনা! আরো অনেক কিছু লেখার ইচ্ছা ছিল কিন্তু আর লিখছি না। সকলে পড়বেন মন্তব্য করবেন। 

Sunday, 9 December 2018

ধন্যবাদ কলকাতার নতুন মেয়র তথা মন্ত্রী মশায়।

ছবি টি আজকাল ইন অন লাইন নিউজ পোর্টালে বেড়িয়ে ছিল।মন্ত্রী মশায় যতটা সম্ভব সবলা মেলায় গেছেন। মেলাটি যতটা সম্ভব কলকাতায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মন্ত্রী মশায় মেলায় জিনিস পত্রের বিক্রি দেখে বলছেন, রাজ্যের মানুষের আয় তিন গুণ বেড়ে গেছে। মন্ত্রী মশায়ের সংগে আমি একদম একমত। কারণ পশ্চিমবঙ্গের এমন অনেক সরকারি কর্মচারী আছেন যারা দশ হাজার টাকার কম বেতন পান। এই কর্মীদের সংখ্যা দিনের পর দিন বেড়ে চলেছে। বেসরকারি সংস্থার এমন কর্মী আছেন যাদের মাসিক বেতন পাঁচ হাজার টাকার কম। আর একশ দিনের রোজ সেতো মন্ত্রী মশায়ের অজানা নয়। দেড়শো টাকা মজুরি তে কাজ করে এরকম জন মজুরের সংখ্যা অসংখ্য। আর বর্তমানে সরকারি কর্মীদের ন-মাসের বেতনে বারো মাস কাজ করতে হয়। চাষিদের চাষের ফসল চাষ করতে যা খরচ হয়। ফসল বিক্রি করে অর্ধেক ওঠে। এখন আপনি আমি কপি কিনছি পনেরো কুড়ি টাকায়। চাষিদের থেকে কেনা হয়েছে তিন টাকা পিস দরে, কারণ দু তিন টি হাত ফিরে এসে ঐ দাম। যাদের মাধ্যমে সরকার বাজারে অর্থ যোগান দেবেন সেই সরকারি কর্মীদের বেতন নেই। বাজারে যখন টাকার যোগান কম তখন মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বাড়ে কী করে?? আমি এরকম দেখেছি চাষি ফসল বিক্রি করতে না পেরে ফসল নষ্ট করে দিচ্ছে। সেদিন আর বেশি দূরে নেই যেদিন পশ্চিমবঙ্গের কৃষি কাজ কমে যাবে। এখনি অনেক কৃষক চাষবাস বন্ধ করে দিয়েছে বা নিজের খাবার মতো চাষ করছে। যার ফলশ্রুতিতে কৃষি শ্রমিক কমে গেছে, একশো দিনের কাজ করতে যাচ্ছে। অনেক কৃষক তার জমিতে কলা বাগান বা ঐ জাতীয় বাগান করে দিয়ে চাষ কমিয়ে দিয়েছে। তবে মন্ত্রী মশায়ের সংগে আমি একদম একমত কারণ কিছু জন নেতা তাদের আয় এতো বেড়েছে, যে তাঁকে সিকিউরিটি গার্ড নিয়ে ঘুরে বেড়াতে হচ্ছে। দেখছি তো জনগণের নেতা জনগণের সাথে মিশতে পারেনা। জনগণ কে ভয় করে, মানুষ কাজ হারিয়ে আজ বেকার। যে কটা জুট মিল বা কারখানা চালু আছে তাও আবার বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। কিছু কারখানার মালিক বলছেন তোলার এতো চাপ রাজ্য ছেড়ে চলে যাবে। এই আজকের অন লাইন নিউজ পোর্টালে বেড়িয়ে ছিল, খবরটা পড়েছিলাম।
ভাবছেন এই কারখানার ছবি টি কেন দিলাম। আজকে পড়ে ছি তোলার চাপে রাজ্য ছেড়ে চলে যাওয়ার কথা ভাবছেন। এই কারখানার মালিক, এবার সকলে চিন্তা করুন নতুন কারখানা হচ্ছে না। যেটুকু ছিল তাও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। কাজ না থাকলে মানুষের আয় বাড়ল কী করে? আমি তো মন্ত্রী মশায়ের সংগে একমত আপনারা একমত হলে জানাবেন। 

Saturday, 8 December 2018

বাঙালির জীবন থেকে কাঁটা তার গেল না।

১৯৪৭ সালের ১৫ ই আগস্ট ভারত বর্ষ তিন টুকরো করে স্বাধীনতা পেয়েছিল। কত গুলো ক্ষমতা লোভী ইংরেজে দের দালাল ভারত ভাগ করে স্বাধীনতা নিয়ে আনন্দ আত্মহারা হয়ে গদিতে বসে ছিল। ভারত ভাগ হয়ে ছিল ধর্মের ভিত্তিতে, হিন্দুস্থান আর পাকিস্তান। হিন্দু দের জন্য হিন্দু স্থান আর মুসলিম দের জন্য পাকিস্তান। সেই সময় মুসলিমরা তাদের অংশ ঠিক বুঝে নিয়ে ছিল। হিন্দুস্থানের ক্ষমতা লোভী মহান নেতা দেশটাকে ধর্ম নিরপেক্ষ ঘোষণা করে নিজেদের আরও মহান প্রমাণ করতে উঠে পরে লাগল। এই সব মহান মহাপুরুষ নেতার দল আনন্দে আটখানা হয়ে যে দুটো প্রদেশ কে ভাগ করে দিয়ে ছিলেন। সে দুটো হলো বাংলাদেশে আর পাঞ্জাব। বাংলার অংশ নিয়ে তৈরি হলো, পূর্ব পাকিস্তান আর পশ্চিমবঙ্গ। আর পাঞ্জাবের অংশ নিয়ে তৈরি হলো পশ্চিম পাকিস্তান। কারণ স্বাধীনতা আন্দোলনের পুরোভাগে সর্বদা এগিয়ে ছিল বাংলা। এখন আর সেই নেতাজী নেই সে নেতার খুব অভাব আছে। স্বাধীনতা সময় থেকে এপার বাংলায় যারা এসেছেন ভিটে মাটি ছেড়ে তাদের সঠিক ভাবে বাস করার সুযোগ দেওয়া হয়নি। স্বাধীনতার সত্তর বছর পরেও সেই সব ছিন্ন মূল মানুষ গুলো জন্যে এপার বাংলার সরকার তেমন কিছু করেনি। দিল্লির নেতাদের পোঁ ধরা নেতা রা সুভাষ চন্দ্র বসু তথা নেতাজি যাতে ফিরে আসতে পারে তার ব্যবস্থা করেনি। পদ আর ক্ষমতার লোভে দিল্লির একটি পরিবারের পোঁ ধরে বাংলা তথা বাঙালির জন্য কিছু করেন নি। এখন তো সেই নেতা নেই, বাংলায় নেতাজি, রাস বিহারী বসু চিত্তরঞ্জন দাশ আর কতো নাম নেব। এখন বিবেকানন্দের জন্ম দিন বিবেক চেতনা উৎসব হয়,এক সপ্তাহ ধরে, কিন্তু নেতা দের বিবেক জাগ্রত হয় না। টিভি চ্যানেলে দেখা যাচ্ছে ঘুষ নিচ্ছে, তবুও বলছে আমি টাকা নিইনি। সারদা মাকে সারা বিশ্ব বন্দনা করে। তার নামে সংস্থা খুলে প্রতারণা, গরীব বড়ো লোক সকল কে লোভ দেখিয়ে টাকা খেলি আর সত্যি কথা বলতে মানা। এরা বিবেক চেতনা উৎসব করছে, কারণ এরা দিল্লির একটি পরিবারের পোঁ ধরা নকল নেতা। দিল্লির ঐ নেতারা যেমন নকল স্বাধীনতা সংগ্রামী সেজে ইংরেজ দের বলে বলে জেলে যেত। একজন তো লর্ড মাউন্ট ব্যাটেনের পোষ্যপুত্তর, এবং বাঙালি বিদ্বেষী সেই জন্যই পশ্চিমবঙ্গের তথা বাংলার দূর্দাশায় তাদের মন ছিল না।স্বাধীনতার পর থেকে এপার বাংলার দিল্লির একটি পরিবারের পোঁ ধরা নেতারা ক্ষমতা দখল করে রেখেছে। সেই কারণেই কিছু ভারতের ভুখণ্ড এবং সেখানে বসবাস কারি কিছু মানুষ কে বাদ দিয়ে রেখে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া হয়েছে। আর সেই সব মানুষদের বিভিন্ন কাজে মূল   ভু খণ্ডে আসতে হয়, এবং সে টা ঘটে দিনের বেলা। রাত বিরাত কিছু দরকার হলে উপায় নেই পরের দিন সকাল না হওয়া পর্যন্ত। যদি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে তাহলেও না। স্বাধীনতার সত্তর বছর পরেও বাঙালির তথা ওপার বাংলা থেকে আসা মানুষের দুঃখের দিন শেষ হলো না। 


Saturday, 1 December 2018

সেরিকালচারের সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মীদের বেতন বন্ধ।

আজ বিকেলের অন লাইন খবর কাগজে ছবি টি বেড়িয়ে ছিল। ঐ কাগজের খবর অনুযায়ী আজ প্রায় আট মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না এখানকার নিরাপত্তা কর্মীরা। গত ২০১০ সালে এদের নিয়োগ করা হয়েছিল। আমি এর আগের লেখায় লিখছি, দিদির টাকা দিদি কাকে বেতন আর কাকে দেবেন না। সে সিদ্ধান্ত তিনি নেবেন, ঐ সিদ্ধান্ত যে তিনি আগেই নিয়েছেন জানতাম না। ধন্যবাদ দিদি আমার পক্ষ থেকে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনি ঠিক করেছেন, তবে যে যে আন্দোলন করছে তাদের শুধু নয়, আপনি একটা আইন করে দিন পুলিশি সরকারি কর্মী শিক্ষকের পঞ্চায়েত কর্মী প্রত্যেকের অর্থাৎ আপনার টাকায় যাদের বেতন হয় সবার বেতন বন্ধ করে দিন। প্রধানমন্ত্রী হবেন অনেক টাকা দরকার শুধু শুধু এদের টাকা দিয়ে লাভ নেই। বেশি বাড়াবাড়ি করলে ঐ যে পঞ্চায়েত ভোটে বীরভূমের মতো উন্নয়ন কে ডেকে নারকেল মুড়ি খাওয়ার ব্যবস্থা করে দেবেন। যেন মনে করেছেন বাম রাজত্ব যা খুশি তাই করবে কাজ না করে আন্দোলনে করবে। আপনার টাকা আপনি কি করবেন না ঐ সব কর্মীদের খেয়ে কাজ নেই, যা দিচ্ছে নে তা নয় আরও দাও। আমি শুনলাম আপনি মিড ডে মিলের জন্য থালা গ্লাস দেবেন। ভালো সিদ্ধান্ত আর কাগজের থালা কিনতে হবে না। একটা ভয় আছে ছেলে মেয়ে রা ব্যাগে ভরে নিয়ে না পালায়। খুব ভালো কাজ একদম বেতন বন্ধ করে দিয়ে আপনি আপনার টাকা ইচ্ছে মতো খরচ করুন ।আমরা আপনাকে প্রধানমন্ত্রী দেখতে চাই ।