১৯৪৭ সালের ১৫ ই আগস্ট ভারত বর্ষ তিন টুকরো করে স্বাধীনতা পেয়েছিল। কত গুলো ক্ষমতা লোভী ইংরেজে দের দালাল ভারত ভাগ করে স্বাধীনতা নিয়ে আনন্দ আত্মহারা হয়ে গদিতে বসে ছিল। ভারত ভাগ হয়ে ছিল ধর্মের ভিত্তিতে, হিন্দুস্থান আর পাকিস্তান। হিন্দু দের জন্য হিন্দু স্থান আর মুসলিম দের জন্য পাকিস্তান। সেই সময় মুসলিমরা তাদের অংশ ঠিক বুঝে নিয়ে ছিল। হিন্দুস্থানের ক্ষমতা লোভী মহান নেতা দেশটাকে ধর্ম নিরপেক্ষ ঘোষণা করে নিজেদের আরও মহান প্রমাণ করতে উঠে পরে লাগল। এই সব মহান মহাপুরুষ নেতার দল আনন্দে আটখানা হয়ে যে দুটো প্রদেশ কে ভাগ করে দিয়ে ছিলেন। সে দুটো হলো বাংলাদেশে আর পাঞ্জাব। বাংলার অংশ নিয়ে তৈরি হলো, পূর্ব পাকিস্তান আর পশ্চিমবঙ্গ। আর পাঞ্জাবের অংশ নিয়ে তৈরি হলো পশ্চিম পাকিস্তান। কারণ স্বাধীনতা আন্দোলনের পুরোভাগে সর্বদা এগিয়ে ছিল বাংলা। এখন আর সেই নেতাজী নেই সে নেতার খুব অভাব আছে। স্বাধীনতা সময় থেকে এপার বাংলায় যারা এসেছেন ভিটে মাটি ছেড়ে তাদের সঠিক ভাবে বাস করার সুযোগ দেওয়া হয়নি। স্বাধীনতার সত্তর বছর পরেও সেই সব ছিন্ন মূল মানুষ গুলো জন্যে এপার বাংলার সরকার তেমন কিছু করেনি। দিল্লির নেতাদের পোঁ ধরা নেতা রা সুভাষ চন্দ্র বসু তথা নেতাজি যাতে ফিরে আসতে পারে তার ব্যবস্থা করেনি। পদ আর ক্ষমতার লোভে দিল্লির একটি পরিবারের পোঁ ধরে বাংলা তথা বাঙালির জন্য কিছু করেন নি। এখন তো সেই নেতা নেই, বাংলায় নেতাজি, রাস বিহারী বসু চিত্তরঞ্জন দাশ আর কতো নাম নেব। এখন বিবেকানন্দের জন্ম দিন বিবেক চেতনা উৎসব হয়,এক সপ্তাহ ধরে, কিন্তু নেতা দের বিবেক জাগ্রত হয় না। টিভি চ্যানেলে দেখা যাচ্ছে ঘুষ নিচ্ছে, তবুও বলছে আমি টাকা নিইনি। সারদা মাকে সারা বিশ্ব বন্দনা করে। তার নামে সংস্থা খুলে প্রতারণা, গরীব বড়ো লোক সকল কে লোভ দেখিয়ে টাকা খেলি আর সত্যি কথা বলতে মানা। এরা বিবেক চেতনা উৎসব করছে, কারণ এরা দিল্লির একটি পরিবারের পোঁ ধরা নকল নেতা। দিল্লির ঐ নেতারা যেমন নকল স্বাধীনতা সংগ্রামী সেজে ইংরেজ দের বলে বলে জেলে যেত। একজন তো লর্ড মাউন্ট ব্যাটেনের পোষ্যপুত্তর, এবং বাঙালি বিদ্বেষী সেই জন্যই পশ্চিমবঙ্গের তথা বাংলার দূর্দাশায় তাদের মন ছিল না।স্বাধীনতার পর থেকে এপার বাংলার দিল্লির একটি পরিবারের পোঁ ধরা নেতারা ক্ষমতা দখল করে রেখেছে। সেই কারণেই কিছু ভারতের ভুখণ্ড এবং সেখানে বসবাস কারি কিছু মানুষ কে বাদ দিয়ে রেখে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া হয়েছে। আর সেই সব মানুষদের বিভিন্ন কাজে মূল ভু খণ্ডে আসতে হয়, এবং সে টা ঘটে দিনের বেলা। রাত বিরাত কিছু দরকার হলে উপায় নেই পরের দিন সকাল না হওয়া পর্যন্ত। যদি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে তাহলেও না। স্বাধীনতার সত্তর বছর পরেও বাঙালির তথা ওপার বাংলা থেকে আসা মানুষের দুঃখের দিন শেষ হলো না।
No comments:
Post a Comment