আমরা পশ্চিমবঙ্গে গনতান্ত্রিক রাজ্যে বাস করছি ।২০১১ সালের আগে পর্যন্ত বহু বনধ বিধানসভা ভাঙচুর অনশন সিঙ্গুর থেকে টাটা তাড়ানোর আন্দোলন ছাব্বিশ দিন জাতীয় সড়ক অবরোধ ।নন্দী গ্রাম আন্দোলন রাস্তা তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য কনভয়ের সামনে বিস্ফোরণ । আরো কত কিছু সে সব আন্দোলন আমরা দেখেছি। সে গুলো সরকারের পক্ষে আন্দোলন ছিল। সব মানুষের ভালো করার জন্য আন্দোলন ছিল। আর এখন যে আন্দোলন হচ্ছে সবটাই সরকারের বিরুদ্ধে, কৃষকদের আন্দোলন হোক আর কর্মী দের রুটি রুজির আন্দোলন সব অগণতান্ত্রিক সব সরকার বিরোধী । মানুষ পঞ্চায়েত নির্বাচনে অংশ নিতে না পারেন সেটা সরকারের পক্ষে এবং গনতান্ত্রিক। কথায় কথায় মানুষ খুন, মানুষ কে ভয় দেখানো, লাঠি, বল্লাম, আধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে উন্নয়ন রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা। মানুষের গনতান্ত্রিক অধিকার ভোট তাকে না দিতে দেওয়া, এসব সরকারের পক্ষে আন্দোলন, আর মিছিল মিটিং এ বাধা দান এসব সরকারের পক্ষে আন্দোলন। জনগণের দাবি জানানোর অধিকার নেই, তার প্রাপ্য তার দাবি যে দাবি সকল মানুষের সেটা নিয়ে আন্দোলন মানে সরকার বিরোধী। এসব করা যাবে না, এটা হচ্ছে স্বৈরতান্তান্ত্রিক সরকারের কণ্ঠ। ইতিহাস আমরা কম বেশি সবাই পড়েছি। জার্মানির এক নায়ক হিটলারের কথা। তার ন্যাতসি বাহিনী নৃশংস ভাবে ইহুদি হত্যায় মেতে ওঠে ছিল। পরে তারা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জড়িয়ে পরে ছিল। এই হিটলারের শেষ পরিণতি কী হয়েছিল, আমরা সকলে কমবেশি জানি। বাংলায় যে সব মানুষ এই হিটলারের ন্যাতসি বাহিনী তারা অধিকাংশই অশিক্ষিত। তাদের কিছু টাকা দিলে আর একটা পিস্তল দিয়ে কেনা যায়। এরা যাদের কথায় এসব করে সেই সব নেতা মন্ত্রী টাকার কুমির হয়ে যায়। আর এরা নিজেদের মধ্যে মারামারি করে মরে, একপেগ মদ আর ভাগারের মাংসের লোভে। এরা যা যা করে সরকারের পক্ষে আন্দোলন। বিদ্যালয়ে ঢুকে শিক্ষকদের হেনস্থা, মার ডাক্তার খানা বা হাসপাতালে ডাক্তার পেটানো। কলেজ অধ্যাপক পেটানো জলের জগ ছুঁড়ে মারা। সব তাহলে সরকারের পক্ষে আন্দোলন। আর কোনো রাজনৈতিক দল বা গন সংগঠন যদি তাদের আন্দোলন করে সেটা সরকার বিরোধী। আসল কথা হিটলারের রাজত্ব আন্দোলন মিটিং মিছিল করা যাবে না। চোর কে চোর বলা যাবে না, ডাকাত কে ডাকাত বলা যাবে না। আমার এতো বয়স হলো বহু ঘাবলা টাকা তছরূপের ঘটনা কাগজে পড়েছি। বছরের পর বছর ধরে তদন্ত চলছে কোনো মন্ত্রী বা নেতা শাস্তি হয়নি। খুব হাতে গোনা কয়েকটি ঘটনা ছাড়া, আরেকটা কথা না লিখে পারলাম না। আমি বাংলায় তথা পশ্চিমবঙ্গের ইতিহাস কোনো নেতা মন্ত্রী কে কোন কেলেঙ্কারি বা ঘুষ নিয়েছে কাগজে পড়িনি। বাংলার বাঙালি ভারত
বর্ষ কে পথ দেখায়। পঞ্চায়েত ব্যবস্থা গোটা ভারতের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে প্রথম শুরু হয়েছিল। এখন সারা দেশে পঞ্চায়েত ব্যবস্থা আছে কিন্তু এখনও পশ্চিমবঙ্গের মতো হয়ে ওঠেনি। সেই পশ্চিমবঙ্গের নেতা মন্ত্রীরা সারদা নারদা জড়িয়ে পড়ছে। দীপক না দীলিপ ঘোষ লিখেছেন রাজ্যের মাথা সে নাকি পৃথিবীর সেরা মিথ্যে বাদি, আর চুরি করতে এক নম্বর। লেখকের বইটি কিন্তু এখনও বাজারে লুকিয়ে চুরিয়ে বিক্রি হচ্ছে। অনেকে পড়েছেন কিন্তু কেউ সাসহ করে বলছেন না। কারণ বাংলা মায়ের দামাল ছেলে যারা একসময় এক কথায় ইংরেজ আমলে সশস্ত্র সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ত। তারা এখন এক পেগ মদ আর ভাগারের মাংস খাওয়ার লোভে চোরের গুন গাইছে। বাঙালির একি হলো, লজ্জায় মাথা হেঁট হয়ে যায় । যে বাংলা একদিন সারা ভারত বর্ষ কে শিক্ষার আলো দেখিয়েছে। বিদ্যাসাগর বিবেকানন্দ রাজারামোহন কে নেই সেই তালিকায় সেই বাংলা আজ সবার পিছনে। শিল্প নেই, সুস্থ শিক্ষা নেই, মানুষ আজ ভীক্ষারীর মতো দু টাকা কিলো চাল নেওয়ার জন্য লাইন দিচ্ছে। প্রতিদিন খুন, পিটিয়ে হত্যা চুরি ডাকাতি লেগেই আছে । আর নেতা মন্ত্রীরা রাতারাতি বড়লোক বা ধনী হয়ে গেল কিভাবে সেটা তদন্ত করতে বছরের পর বছর লাগছে। কারণ যে সংস্থা তদন্ত করছে সেই সংস্থার কর্মীরা ঘুষখোর। অথচ আমার মনে পড়ছে রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী রেল মন্ত্রক ছেড়ে চলে এসেছিলেন, তহলকা ডটকম বলে একটা সংস্থা গোপন তদন্তে ফাঁস হয়েছিল মন্ত্রী সভার বা সাংসদের কয়েক জন দুর্নীতির সাথে জড়িত। সেই মহান মানবিকতা গেল কোথায়?
বর্ষ কে পথ দেখায়। পঞ্চায়েত ব্যবস্থা গোটা ভারতের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে প্রথম শুরু হয়েছিল। এখন সারা দেশে পঞ্চায়েত ব্যবস্থা আছে কিন্তু এখনও পশ্চিমবঙ্গের মতো হয়ে ওঠেনি। সেই পশ্চিমবঙ্গের নেতা মন্ত্রীরা সারদা নারদা জড়িয়ে পড়ছে। দীপক না দীলিপ ঘোষ লিখেছেন রাজ্যের মাথা সে নাকি পৃথিবীর সেরা মিথ্যে বাদি, আর চুরি করতে এক নম্বর। লেখকের বইটি কিন্তু এখনও বাজারে লুকিয়ে চুরিয়ে বিক্রি হচ্ছে। অনেকে পড়েছেন কিন্তু কেউ সাসহ করে বলছেন না। কারণ বাংলা মায়ের দামাল ছেলে যারা একসময় এক কথায় ইংরেজ আমলে সশস্ত্র সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ত। তারা এখন এক পেগ মদ আর ভাগারের মাংস খাওয়ার লোভে চোরের গুন গাইছে। বাঙালির একি হলো, লজ্জায় মাথা হেঁট হয়ে যায় । যে বাংলা একদিন সারা ভারত বর্ষ কে শিক্ষার আলো দেখিয়েছে। বিদ্যাসাগর বিবেকানন্দ রাজারামোহন কে নেই সেই তালিকায় সেই বাংলা আজ সবার পিছনে। শিল্প নেই, সুস্থ শিক্ষা নেই, মানুষ আজ ভীক্ষারীর মতো দু টাকা কিলো চাল নেওয়ার জন্য লাইন দিচ্ছে। প্রতিদিন খুন, পিটিয়ে হত্যা চুরি ডাকাতি লেগেই আছে । আর নেতা মন্ত্রীরা রাতারাতি বড়লোক বা ধনী হয়ে গেল কিভাবে সেটা তদন্ত করতে বছরের পর বছর লাগছে। কারণ যে সংস্থা তদন্ত করছে সেই সংস্থার কর্মীরা ঘুষখোর। অথচ আমার মনে পড়ছে রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী রেল মন্ত্রক ছেড়ে চলে এসেছিলেন, তহলকা ডটকম বলে একটা সংস্থা গোপন তদন্তে ফাঁস হয়েছিল মন্ত্রী সভার বা সাংসদের কয়েক জন দুর্নীতির সাথে জড়িত। সেই মহান মানবিকতা গেল কোথায়?
No comments:
Post a Comment