Thursday, 8 November 2018

চরিত্র হীনা ( স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক)

সবাই ভাবছেন হঠাৎ এই শিরোনামে লিখছি কেন? আমি দীর্ঘ দিন ধরে চারপাশে যা দেখছি, এই সব দেখে আমার যা অভিজ্ঞতা হয়েছে, সেই গুলো না লিখতে পারলে মন থেকে শান্তি পাচ্ছি না।
তবে আমার দেওয়া ঐ শিরোনাম দেখে কেউ ভাববেন না, আমি পল্লী কবি শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মতো বিখ্যাত কোনো উপন্যাস লিখতে শুরু করেছি বোধহয়।
না আমি কোনো উপন্যাস লিখব না। আর আমার লেখা কেউ পড়ছে বলে মনে হচ্ছে না, কারণ তাহলে কোনো না কোনো মন্তব্য থাকতো আজ পর্যন্ত কোন মন্তব্য পেলাম না। একটা অবাক করা ব্যাপার আছে, গুগুলে পোস্ট করলেই দেখায় এক বা পাঁচ জন দেখে ফেলেছে সাথে সাথে। আমার মনে হয় গুগুল ওটা সেট করে রেখেছে পোস্ট করা মাত্র পাঁচ জন দেখেছে দেখিয়ে দেবে। না হলে গুগুলে কেউ পোস্ট করবে না। কারণ গুগুল অনেক কারসাজি জানে, সব দেখে শুনে এসব লিখছি। এই ব্লগে গুগুল এ্যডস্নেস যুক্ত করে ছিলাম, কে কি করল জানি না, আমার ব্লগে এ্যড বন্ধ করে দিয়েছে। অপরাধ করে অন্য জন এরা শাস্তি দেয় আরেক জন কে।
সবাই ভাবছেন শিরোনাম এক আর লিখছি আরেক বিষয়ে।
এই বিষয়ে অন্য কোন দিন লিখব । আজ বিষয়ে ফিরে আসি। কথায় বলে মেয়েদের চরিত্র দেবতারা টের পায় না। আমি তো কোন একটা তুচ্ছ মানুষ। বলতে পারেন তবে লিখছ কেন, কারণ হচ্ছে আমি দেখেছি আজকের দিনে প্রায় একশ জনের মধ্যে একশ ভাগ মেয়ে বিয়ের আগে প্রেম করে এবং শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়। কেউ কেউ ঐ প্রেমিক কে বা ঐ রোমিও কে বিয়ে করে। বেশিরভাগ মেয়ে বাবা মা এর কথায় বা নিজের ভুল বুঝতে পেরে ছেড়ে চলে এসে অন্য ছেলে কে বিয়ে করে নেয়। বাবা মা এর দেখে দেওয়া পাত্র সরকারি চাকরি করলে সোনায় সোহাগা। আবার এরকমো হয় বিয়ে করলেও পূরণো প্রেমিক কে ভুলতে পারে না। মোট কথা তার সাথে যে যৌনতা উপলব্ধি করেছে সেটা সে ভুলতে পারে না। হয়তো বা কেউ যৌন পল্লী তে ছিল যে তাকে সেখানে যৌন সুখ ভালো দিয়ে ছিল তাকে সঙ্গে আনে। যদি স্বামী সেই সুখ না দিতে পারে, স্বামী কেবলমাত্র টাকা উপার্জনের যন্ত্র আর কিছু না। ছেলের জণ্ম দেয় ঐ প্রেমিকের কারণ স্বামী চাকরি করতে চলে গেলেন আর রোমিও আসে। এই সব রোমিও বেশির ভাগ অংশ লেখা পড়ার কোনো ধারধারে না। বেশিরভাগ বাবার টাকায় ফানটুস সেজে বাইক নিয়ে ঘুরে বেড়ায় আর মেয়েদের সাথে রোমিও সেজে মজা করে। মেয়েদের মোটরবাইকের পেছনে চাপিয়ে ঘুরে এখানে ওখানে গিয়ে প্রেমের নামে মজা লোটে। কোন কোন রোমিও যৌন পল্লী থেকে উদ্ধার করে আনে কিন্তু বিয়ে করে না। কিন্তু তার সঙ্গে সম্পর্ক রেখে দেয়, স্বামীর অবর্তমানে গিয়ে যৌন সুখ দেয় আবার সন্তানের জন্ম দেয়। স্বামী বোকা চোদা বনে যায়, খাঁটি বেশ্যার মতো স্বামীর সন্তানের জন্ম দেবে না বলে স্বামীর সঙ্গে যৌন মিলনের সাথে সাথে আঙুল দিয়ে ধুয়ে নেয়। সন্তানের জন্ম হয় স্বামীর সাথে বাহ্যিক কোনো মিল নেই, জিজ্ঞেস করলে নানা রকম কথা এদিকে সে অন্য ভাবে স্বামীর সন্তান না নিয়ে এমন করেছে, যে স্বামী ভাবে তার সন্তান জন্ম দেবার ক্ষমতা নেই। কোন কিছু জিজ্ঞেস করলে উত্তর তুমি দেখেছ, দেখে তারপর বলবে, সন্তান তোমার তুমি খালি অস্বীকার করে যাও,, স্বামী বেচারা কী করে বিবাহ বিচ্ছেদ দিতে পারে না। একটাই কারণ খোরপোশ স্বামীর খাবে আর প্রেমিকের কাছে শোবে। সবাই এর জিজ্ঞাসা তাহলে স্বামীর সাথে মিলন হয় না। হ্যাঁ হয় ঐ শুতে হয় শুয়ে থাকা আর মাঝে মধ্যে অনেক বলার পর তবে। বলুন তো স্বামীর কী অপরাধ? একটাই অপরাধ তার তার সে চাকরি করতে পারে, কিন্তু তার ভালো বাড়ি নেই,  পরে বাড়ি করবে এখন তো নেই। মোটর বাইক নেই,  আর একটা অপরাধ তার তার বাবা বাংলাদেশ থেকে এসে ছিলেন। অনেক কথা আছে  স্বামীর বেশি লিখলে আপনারা পড়বেন না। একদিন হয়েছে কী বড়ো ছেলে টি একটু বড়ো সে সন্ধ্যা বেলা একটা মাঠে পঁচিশে বৈশাখের মেলা দেখতে গেছে, একটু রাত হয়েছে,  স্বামী এসে  ছেলে টিকে আনতে গেল কিন্তু খুঁজে না পেয়ে তাড়াতাড়ি চলে এসেছে। দেখে স্বামীর ভাই বৌদি কে বলছে কয়গো হবে না কি দাদা তো নেই। ঠিক একদম  দ্বিতীয় স্বামী, এই ভাই কোন কাজ করতে চাইত না।  দাদার উপায়ে বসে বসে খেত , রাতে স্বামী যখন জিজ্ঞেস করে.  দাদা নেই হবে না কি একথার অর্থ কী?  তখন স্ত্রী লাফিয়ে  উঠে চিৎকার শুরু করে পাশের ঘরে ভাই ছুটে আসে বলে  তুই কি ভেবেছিস দুটো খেতে দিছিস বলে। যা খুশি তাই বলবি, তুই কোনো প্রমাণ পেয়েছিস দেখেছিস? ওসব  কথা  কানে শুনলে হবে না।.    আমি রুটি চাই ছিলাম   তুই আগে ধরে বা অন্য ভাবে প্রমান দে না হলে  এরপর   বললে তোকে কী করব জানিস না।   স্ত্রী ও তার কথায় সায় দেয়  পারলে তখনই মেরে শুধু ঐ চাকরি করে তাই, টাকার দরকার তাই.  সম্পর্ক আছে    না হলে কবে স্বামীকে শেষ করে দিত।  স্ত্রী যে এরকম চরিত্রের এবং স্বামীর সাথে এরকম ব্যবহার করতে তার বাড়ির লোক শুধু মদত দেয়। তারাই স্ত্রী যাতে প্রেমিক বা যৌন পল্লী থেকে উদ্ধার করা  রোমিওর সন্তান জন্ম দিতে পারে তার ব্যবস্থা করে দিয়েছে। এই রকম মেয়েদের সংখ্যা আজ বেশি, বলবেন তুমি ভাই কানা বেগুন পেয়েছ তাই এসব লিখছ। ঠিক কথা আমার অভিজ্ঞতা আমি লিখেছি সব লেখা যায় না, তাই লিখছি না। আমি কোনো দিন কোন মেয়ে কে আই লাভ ইউ বা আমি তোমায় ভালবাসি বলিনি। আর বাবার বা আমার সে রকম টাকা ছিল না, মোটরবাইকের পেছনে চাপিয়ে নিয়ে ঘোরাব, আর ভালো বাড়ি ছিল না, একটা চিন্তা নিয়ে পড়াশোনা করেছি আমায় চাকরি করে  নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে। আর হয়তো আমায় দেখতে ভালো নয়, সেই জন্য চাকরি পাওয়ার পরও কোনো মেয়ে আই লাভ ইউ বা আমি তোমাকে ভালবাসি বলেনি। আমার মনে হয় রোমিও আরও বেশি.  সুন্দর দেখতে হয়। না হলে হয়তো যৌন সুখ দিতে পারে ভালো । আমি এই বয়সের মুখের একটা ছবি দিলাম যারা আমার ব্লগ দেখছেন বলুন তো আমায় দেখতে কতটা খারাপ। ভালো মন্দ মন্তব্য করবেন কেমন ।অনেক টা লিখে ফেলেছি, জানি এতো লেখা আজকাল কেউ পড়ছে না। সবাই অল্প একটু চটুল ভিডিও ফুটেজ দেখে মনে অনেক শাান্তি পান। আমাদের মত ফালতু লেখকের লেখা ফালতু লেখা পড়া়া সময় কোথায়? বাতুলতা মাপ করে দেবেন, আপনাার সব জ্ঞানী গুুণী মানুষ আপনাদের কাছে আমি সত্যিই ফালতু। অনেক সময়  আজে বাজে লেখা হয়তো পড়েন, যদি আমাকে গালাগালি করতে ইচ্ছে করে তাও আমার ব্লগে মন্তব্য করতে ভুলবেন না, ঐ গালাগালিটাও আমার কমেন্ট বক্সে লিখুন। 

Character less

Everyone is wondering why I Writing about something like that. Because I'm a hit man in this community. The current society system has hurt me. I'm not writing about Sharat Chandra that famous novel character less. 
Because I'm not a much more famous writer. I write about the current time, the character of Girl in the current society, how they love one or many of the boys before marriage, and Ninety-nine in the premice of a hundred girls. Day after day some people enjoy sex and they get pregnant again. If the great lover is not married, Girl  is married to another man Or parents who marry the right  boy. The former girl who had no relationship with the girls was involved.  A lot of these girls are going to have a physical relationship after the wedding to emulate her with the Easter lover. Daughter T is in the way if her husband may not have sex. She had previously had sex with her lover husband and the boyfriend were both found. In the absence of the husband he will come and give her sexual pleasure and Lover's son would have Bron. The husband will crows a man who is the great lover. No matter how much the husband does, I will deny every moment. Because the girl knows that she has a job and I will be happy to have boyfriend jobless . Sex on the first night of the wedding if the husband asked where your Virginity would lie, ride the bike and bicycle or play game then my Virginity was lost. But husband didn't love with any girl before marriage. The husband told all the truth before the wedding. The girl T or her family did not mean before the wedding their daughter was born baby before the wedding. Husband saw the milk coming to her best. Girl when  was delivered baby. Didn't match with her husband in any way. This is not my child when the husband said to wife. The wife said, ' It is your faith that I have given birth to your child. When her husband presses her, Then she says to her ' husband his my ex lover. Then her husband said that the lover had sex with you without getting married. He came in my absence without having sex with you. The wife knew her husband couldn't get her divorced. She also knew I was going to get Khorposh divorced and I sat downHe will have sex with lover. In this, the people of his father's house are joined by the girl who was married to your lover, who had sex with your'll and if 
divorced her that she get money Monthly and spent life with her lover or ex husband. Wife knows husband won't marry second. Now the boys are getting bigger and the real husband is spending money. The world is acting in the name of elimination. So far, the husband has not been with sex appeal. Now he has nothing to say about sexuality. The married life of about twenty-five years is what she was like that. Husband's life is over, he can't do anything for fear of his gov. job. The husband is no longer able to endure. Something The decision is too early to take him. Let me tell you what you can decide. And first of all I wrote about a hundred hundred girls who had sex before the wedding. This is because the way that abdale the road embankments wraps up a new rise The village park is sitting on the umbrella of the Gamcha with polythene cover. 












Wednesday, 7 November 2018

দক্ষিণেশ্বরে স্কাই ওয়ার্ক এক দিনে পান ও গুটখার পিকে নোংরা হলো।

আমি আমার এই ব্লগে অনেক দিন আগে লিখেছিলাম, শিরোনামে ছিল আমরা কতটা সভ্য হয়েছি। জানি না লেখা টা কজন পড়েছেন। কারণ সেই সময়ে আমি একদিন কলকাতা গিয়ে ছিলাম। রাস্তা দিয়ে হেঁটে যেতে বমি পাবে গুটখার পিকে ভর্তি, সেই সাথে যেখানে সেখানে রাস্তার খাবারের স্টল খাবার খেয়ে পাতা পরে আছে রাস্তার উপর তাতে কাক বসছে।কারা এ কাজ করে গুটখা খাওয়া কাদের অভ্যাস, এসব যদি খতিয়ে দেখা যায়। দেখা যাবে বেশির ভাগ মানুষ হলো অবাঙালী এদের কোনো শিক্ষা দীক্ষা সভ্যতা ভালো মন্দ জ্ঞান নেই। শুনতে ভালো না লাগলে কিছু করার নেই, এই অবাঙালীরা বেশি নোংরা। রাস্তার পাশে ঝুপড়ি বা ছোট একটা ঘর ভাড়া করে বাস করে তার মধ্যে সব কিছু, এরা অভ্যস্ত নোংরার মধ্যে থাকতে, আমি ট্রেনে যাবার সময়ও দেখেছি, গুটখা খেয়ে খৈনি খেয়ে মুখ ভর্তি থুতু চলন্ত ট্রেনের গেটের সামনে ঝুলতে ঝুলতে যায়, আর সুযোগ মানে ট্রেন একটু আস্তে হলে, মুখের থেকে ফেলে দেওয়া। পাশের কম্পারমেন্টে কার গায়ে বা মুখে গিয়ে লাগবে সে সব জ্ঞান নেই।
যত্রতত্র পলিথিন প্যাকেটে, গুটখা আর খৈনির প্যাকেটের শেষ নেই, সাধারণ মানুষ ভদ্র পথচারী এসব দেখে এবং পাশ দিয়ে হেঁটে চলে যায়, কোনো কথা বলেন না। নেশাখোর দের কে বোঝাবে, আর এই গুটখার পলিথিন গুলো যেখানে সেখানে রাস্তার পাশে পরে থাকে দেখতে ভীষণ দৃষ্টি কটূ লাগে। সরকার যেমন আইন করেছেন, যে যত্রতত্র ধূমপান করলে ফাইন করা হবে, সেই রকম গুটখা নিয়েও কড়া আইন তৈরি করতে হবে। সেই আইন পুলিশ প্রশাসন কে কঠোর ভাবে প্রয়োগ করতে হবে, তবে যদি এসব বন্ধ করা যায়।  সিগারেট খাওয়ার আইনের মতো হলে, তা হলে তো কথাই নেই । আইন আইনের জায়গায় থেকে মানুষ যেমন গুটখা খেয়ে যাচ্ছে, খেয়ে যাবে আর যত্রতত্র ঐ থুতু ফেলে যাবে। বাংলার গর্বের কিছু বস্তু কে এরা এভাবে নোংরা করে যাবে। আমাদের কিছুই করার থাকবে না। সরকার আইন করুন পাশাপাশি আমাদের আরও সচেতন হতে হবে এবং সভ্য হতে হবে। বুঝতে হবে আমরা যে টা করছি সেটা কোনো শিক্ষিত ভদ্র মানুষ করে না।



Tuesday, 6 November 2018

আমরা বাঙালি আর ওরা বাঙাল।

আমার লেখা টা  সম্পূর্ণ টা পড়বেন কেমন। গত ৪-১১-২০১৮ বাজারে গিয়ে ছিলাম। বাজার করতে অনেকেই মাছ কিনেছ, সেখানে লটে মাছ বিক্রি হচ্ছিল। আমি ও ছিলাম সেখানে কথাটা মাছ বিক্রেতা বলল, এই মাছ বাঙালরা ভালো রান্না করে, কিন্তু বাঙালিরা পারে না। আমি বুঝলাম বাঙাল না হয় ওপার বাংলার মানুষ কিন্তু বাঙালি তাহলে এপার বাংলার মানুষ! সকলে বলবেন বাঙাল বললে আপনি রেগে যান। না আমি বাঙাল বললে রেগে যাই না। আমি রেগে যাই যারা সঠিক ইতিহাস না জেনে কথা বলে বোলে। আবার অনেকে বলেন জ্যোতি বসু বাঙাল দের সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করে ছিলেন। আমি বলি না সকল বাঙাল বা বাঙালি সমর্থন করে নি। অনেকে কংগ্রেস কে সমর্থন করে। আমি এই কংগ্রেস সমর্থক দের বলছি, যারা এখনো পারলে গান্ধী পরিবারের পা ধোয়া জল খেতে পারে। সেই সব কংগ্রেস কর্মী দের আপনারা তাহলে, দেশ ভাগের সমর্থক, আপনারা দেশ ভাগ করে বাঙাল তৈরি করলেন। আর এখন তাদের দেশে ঠাঁই দিতে নারাজ বিভিন্ন ভাবে অপমান করে যাচ্ছেন, দোষ টা আপনাদের অনেকের নয়, কারণ ইতিহাস যদি সঠিক লেখা না হয়, সঠিক ইতিহাস জানতে পারলে বা জানার ইচ্ছা থাকলে কংগ্রেস কে সমর্থন করতেন না। বিশেষ করে দেশ ভাগের নায়ক কে জাতির জনক বানিয়ে দিতেন না। যে ভারত বর্ষের গরীব মানুষের জীবন নিয়ে ছেলে খেলা করেছে তাকে পূজা করতেন না। বললাম সঠিক ইতিহাস সঠিক তথ্য জানতে চেষ্টা করুন। আজ কাল নেটের যুগ বহু তথ্য নেটে পাবেন, কেবল নেটে অসভ্য ছবি দেখে দেখে কাটিয়ে দিলে হবে, আর যারা দেশ টা কে ভাগ করে কয়েক হাজার মানুষের জীবন অকল্পনীয় অন্ধকারে ঠেলে দিয়ে ছিল।সেই কংগ্রেস কে সমর্থন করলে হবে।  আমি জানি আপনি এপার বাংলার সেই সুখী মানুষ স্বাধীনতার সময় যাদের পূর্ব পুরুষ কে ভিটে মাটি ছেড়ে চলে আসতে হয় নি। স্বজন হারানোর বেদনা বুকে চেপে চোখের সামনে সন্তান কে হত্যা করেছে কিছু করতে পারে নি। অনেকে শত অত্যাচার সহ্য করেও এখনো রয়ে গেছে, প্রতি নিয়ত তারা অত্যাচারিত, আপনি যদি সত্যি কারের মানুষ হন, আপনার যদি বিবেক মনুষ্যত্ব বলে কিছু থাকে এবং শুধু ভোটের ও নিজের আখের গোছাবার রাজনীতি না করেন তাহলে এখুনি কংগ্রেস শব্দ লাগানো দল গুলো কে ভুলে। মানুষের সমর্থনে এগিয়ে আসুন।
  আমি মাইনোরিটি এলাকায় আদম সুমারি করেছি। সেখানে উপস্থিত হলে বলত একজন বাঙালি এসেছে, কী সব লিখবে বলছে। কথা গুলো বলছেন বাংলা ভাষায়, আমি না হয় জানতাম তাদের মাতৃভাষা আরবি, কিন্তু এ দিন যে বলছেন তিনি এপার বাংলার একজন মাছ বিক্রেতা। আমি আগেই লিখেছি, সঠিক শিক্ষার অভাব আছে বিশেষ করে ইতিহাস শিক্ষার, প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে সঠিক ইতিহাস শিক্ষা না হলে, পরিনতি এটাই হবে। আগের কোনো লেখায় লিখেছি, যে প্রাথমিকের পাঠ্যক্রমে অনন্ত তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর আলাদা ইতিহাস বই দেওয়া এবং সেখানে বাংলার সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে হবে, না হলে এসব চিরকাল থাকবে। আমি ধরে নিলাম উনি মাছ বিক্রি করেন অশিক্ষিত কিন্তু আমি আগেই লিখেছি, আবার ও লিখছি। আমার ছোট বেলার বা বিদ্যালয়ে পড়ার সময় উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক থেকে শুরু করে অনেকে বলতেন বাঙাল বাচ্ছা। তারা তো উচ্চ শিক্ষিত, আর এই সব উচ্চ শিক্ষিত মানুষ যদি বলেন তাহলে সাধারণ মানুষ তো বলবেই। বলবেন তুমি গায়ে মাখছ কেন বলছে বলুক কানে শুনতে হয় শুনে নাও উত্তর না দিলেই হবে। আমি এই কথাটা ছোট থেকে শুনেছি, যে বাচ্চা দের বলছে তারা হীনমন্যতায় ভোগে, সমাজে মিশতে পারে না। আমি ভুগেছি, সঠিক ইতিহাস পড়ানো হোক, যেখানে কেবল একটি বা দুটি লাইন নয়, যে দেশ স্বাধীন হলো বাংলা ভাগ হোলো আর ওপার বাংলা থেকে হাজার হাজার মানুষ এপারে চলে এলো, শুধু এইটুকু আমরা পড়েছি, না এটা সঠিক ইতিহাস নয়। এপার বাংলা তথা ভারতের তা বড়ো সব শিক্ষিত নেতা মন্ত্রী দের কাছে আমার প্রশ্ন একবার আয়নায় পিছনের ইতিহাসের দিকে ফিরে দেখুন, তখন কার দিল্লির বড়ো বড়ো কংগ্রেস নেতারা দেশ স্বাধীন করার নামে কী করে ছিলেন? অন্য কোন প্রদেশ কে ভাগ না করে কেবল বাংলা আর পাঞ্জাব কে রক্তাক্ত করা হয়েছিল কেন? কারা বাঙাল জাত তৈরি করল? ক্ষমতা লোভী নেতা যারা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার লোভে আর একজন নিজের পদবী টা যাতে ইতিহাসে থাকে সেই একজন অ-হিন্দু কে দত্তক নিয়ে নিল। এরা তৈরি করে ছিল বাঙাল জাত, এদের হটকারি সিদ্ধান্তের জন্যে লক্ষ লক্ষ মানুষ ভিটে মাটি ছেড়ে কেবল প্রাণ টুকু হাতে নিয়ে এপার বাংলায় এসেছিলেন, তারাই আজ বাঙাল, তারা এপারে এসেও অত্যাচারিত, আজ আসাম বাঙালি দের মেরে তাড়াচ্ছে, কাল মহারাষ্ট্রে বাঙালি তাড়ানো হবে। বাঙালি জাতি আর কত সহ্য করবে, স্বাধীনতার সময় শ্যমাপ্রসাদ মুখার্জী ছিলেন, তিনি একাই এসবের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে, বাঙালি কে কালাপানি পার করে দেওয়া আটকে ছিলেন। আজ তিনি নেই, তাকে একটা বিশেষ দল সরিয়ে দিয়ে ছিল। আর নয় এবার বাঙালি ওঠো জাগো নিজেদের জানান দাও, আমরা সেই মাস্টার দা সূর্য সেন, বীর নেতাজী, ক্ষুদিরাম, রাস বিহারী বসু, কানাইলাল দত্ত, যতীন মুখার্জি ( বাঘা যতীন) এদের বংশধর। আমাদের রক্তে বইছে সেই মহান মায়ের রক্ত যারা পরাধীন ভারতে অস্ত্র শস্ত্রে বলীয়ান ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের ভিত নাড়িয়ে দিয়ে ছিল। যাদের ভয়ে প্রবল পরাক্রমশালী ইংরেজ রা রাজধানী রাতারাতি কলকাতা থেকে দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে ছিল। সেখানে ও বাঙালি তাদের শান্তিতে রাজত্ব করতে দেয়নি। রাস বিহারী বসু ও বসন্ত কুমার বিশ্বাস লর্ড হান্ডিঞ্জ কে হত্যা করার চেষ্টা করেন, বসন্ত কুমার কে ফাঁসি দেওয়া হয়। রাস বিহারী বসু পালিয়ে যেতে সমর্থ হন। তিনি জাপানে পালিয়ে গিয়ে আজাদ হিন্দ বাহিনী গঠন করেন। আর ভগত সিং রাজ গুরু সুখদেও আর বটুকেশ্বর দত্ত ব্রিটিশ পার্লামেন্ট বোমা বিস্ফোরণে অংশ নেন। ভগত সিং দের ফাঁসির সময় গান্ধী বলেছিলেন, এসব লোক দের ফাঁসি দেওয়ার অধিকার ইংরেজ দের আছে। আরো অনেকে অনেক আছে এখানে লিখে শেষ করা যাবে না। সেই সব বাংলা মায়ের দামাল ছেলে দের রক্ত কোথায় গেল? নাকি এক টুকরো রুটি ছুঁড়ে দিয়ে, আপনা কে বলে ভোট দিয়ে দেবেন, আপনি ও সেই রুটি খেয়ে গুটি গুটি পায়ে ভোট দিয়ে আসেন , সেই মহান বাঙালি বীর সন্তানরা এটা চেয়েছিলেন। তারা চিরকাল পরে পরে মার খাও আর এক টুকরো রুটি আর আর এক মুঠো ভাত ফেলে দেবে আর আমরা সে গুলো চেটে পুটে খেয়ে কাছা দুলিয়ে ভোট দিয়ে এসে বাড়িতে ঘুমাব। ভোট দিয়ে এসে নিশ্চিন্তে ঘুম দিতে পারছেন। যতই ভোট দেন আর যাই করুন যতই মন যুগিয়ে চলুন শান্তি তে বাস করতে দেবে না। তার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে, ওপার থেকে প্রাণের ভয়ে এপারে এসেছেন আট চল্লিশ সাল থেকে যে নির্মম হত্যা দেখেছেন। চোখের সামনে নিজের নিকট আত্মীয় কে খুন হতে দেখেছেন। সেই ভয়াবহ দিনে এপার বাংলায় এসেছেন কে কোথায় ছিটকে পড়েছে খোঁজ নিয়েও খুঁজে পাননি। কত মা তার সন্তান হারিয়েছে, কত শিশু অনাথ হয়েছে। কত মেয়ে ধর্ষিতা হয়েছে, তার ঠিক নেই। সেই সময় এক মহাপুরুষ নোয়াখালী গিয়ে ছিলেন মায়া কান্না কাঁদতে। বাঙালি জাগো এপার বাংলার কথায় বাঙাল জাগো, শিব যেমন মহা ধ্যান ভেঙে তাণ্ডব নৃত্য করে ছিলেন, তার শূল নিয়ে, কারণ কী ছিল তার প্রিয় মানুষের মৃত্যু। বুঝিয়ে দিতে হবে আমরা দোয়াঁচলা নয়। কথা টা আমার বিদ্যালয়ের এক দিদি মনির, তাকে যখন জিজ্ঞেস করলাম কথাটার মানে কী তখন তিনি পরিষ্কার উত্তর দিলেন। কথাটার অর্থ জণ্মের ঠিক নেই যাদের তাদের বলা হয়, ওরা নাকি ওপার বাংলার মানুষ কে দোয়াঁচলা বলে থাকে। ভাবুন নিজেদের ডি এন এ স্টেট করলে কি হবে তার ঠিক নেই। আমি তো দেখি এপার বাংলার একশো টা মেয়েই চরিত্র হীন। বিয়ের আগেই শুয়ে পড়ে, কিছু দিনের মধ্যেই এ্যবারশন করে অন্য আরেক টা ছেলের গলায় ঝুলে পরে। অনেকে আবার প্রথম প্রেমিক কে সঙ্গে আনে সন্তান জন্ম দেবার জন্য, প্রথম স্বাদ কিছুতেই ভোলা যায়। এই যাদের চরিত্র তারা আবার অপরকে দোয়াঁচলা বলে গালাগাল দেয়। যা হোক আর নয়, এবার পরিশেষে নজরুল ইসলামের আমার কৈফিয়ত কবিতার কয়েকটি লাইন লিখব, একটু পাল্টে নিয়ে নজরুল ভক্তরা মাপ করে দেবেন কেমন। " রক্ত ঝড়াতে পারি না তো একা, তাই লিখে যাই রক্ত লেখা। যারা দেশ ভাগ করে হাজার হাজার বাঙালির নিল প্রাণ, যারা দু পায়ে মরাল হাজার হাজার বাঙালির লাশ। আমার এই রক্ত লেখায়, লেখা হোক তাদের সর্বনাশ।"

Monday, 5 November 2018

পশ্চিমবঙ্গের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা।

পশ্চিমবঙ্গের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, যা বাম আমলে শুরু হয়েছিল। এবছর ৩৬ তম বর্ষ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।ছোটছোট  ছাত্র ছাত্রীরা খেলা ধূলোর করবে। রাজ্য স্তর পর্যন্ত, যাবে কারণ এই প্রতিযোগিতা সর্ব ভারতীয় নয়, হলে ভালো হতো । আমার বক্তব্য অন্য বাম আমল থেকে আমরা মানে আমার মতো বেশ কিছু শিক্ষক বলে আসছে, কী কথা না স্কুল স্তর যেখান থেকে খেলা শুরু হবে, সেই স্তর থেকে চক্র স্তর এমনকি কোনো কোনো ক্ষেত্রে মহকুমা স্তরের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা পর্যন্ত শিক্ষকের চাঁদা তুলে খেলা হয়। আমার মনে পড়ছে বাম আমলে প্রথম চাকরি তে ঢুকে পঞ্চায়েত ও চক্র স্তরের ক্রীড়া প্রতিযোগিতার জন্য চাঁদা দিয়ে ছিলাম ১৫ টাকা, 1990 সাল। আর এখন এই চাঁদা বাড়তে বাড়তে পৌঁছে গেছে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা কোথায়ও ১০০০ টাকা। যখন বাড়ানো হয় তখনই প্রতিবাদ ব্যাস ঐ পর্যন্তই তার পর শিক্ষকরা চাঁদা দিয়ে দেন, কারণ ছোট ছোট ছাত্র ছাত্রীরা খেলায় অংশ গ্রহণ করে সেই জন্য। যখন চক্র স্তরের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা হয় তখন পঞ্চায়েত সমিতি একটা সামান্য টাকা তাদের ফাণ্ড থেকে দেয়, কিন্তু সিঙ্গুর পঞ্চায়েত সমিতি দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে এই টাকা দেয় না। অথচ মাঠে গিয়ে লম্বা চওড়া ভাষণ দিয়ে আসেন। সরকারি টাকা এখন নানা রকম ভাবে বিভিন্ন জায়গায় বরাদ্দ করা হচ্ছে, খালি এই বাচ্ছা রা খেলা ধুলো করবে সেদিকে নেই। আবার একটা বিষয় এখন শিক্ষকের বেতন বাজার দরের তুলনায় অনেক কম, কোথাও কোথাও শিক্ষক শিক্ষিকা দের হেনস্থা করা হচ্ছে, বেতন এতো কম যে তারাদের সাত মাসের বেতন কে বারো মাসে ভাগ করে দেওয়া হয়। আমি জানি না আমার লেখা কারা পড়ছেন, যদি কোন শিক্ষক শিক্ষিকা পড়েন তবে এই চাঁদা দেওয়া বন্ধ করবেন। এই সরকার পূজা কমিটি কে আঠাশ কোটি টাকা দেয়,আর যেসব জায়গায় টাকা বিলিয়ে দেওয়া হয়, সে সব আর লিখছি না,আরও বিভিন্ন জায়গায় টাকা  দেওয়া হয় সেসব অনেকে জানেন। আর আর কুড়ি না একুশ টা জেলার জন্য এক কোটি করে টাকা নেই! জেলার সংখ্যা হয়তো সঠিক হয়নি, কারণ এখন প্রতি ভোটের আগে দু চার টে করে জেলা বাড়ে। সরকারি কর্মীদের ও শিক্ষক দের বা আর যেসব কর্মী আছে তাদের বেতন বাড়ানো হয় না। যদি বা বাড়ানো হয় আবার পরে তা কমিয়ে দেওয়া হয়। যেমন হয়েছে আই সি ডি এস কর্মী দের সঙ্গে। এর প্রতিবাদ করে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন তারা ঘটনা টা ঝাড়গ্রাম জেলায় অন লাইন আনন্দ বাজার পত্রিকায় বেড়িয়ে ছিল ।
এই বিক্ষোভ সার সরকারের কোন হেল দোল নেই। কোন আন্দোলন কে এই সরকার গুরুত্ব দেয় না। বামফ্রন্ট সরকারের শেষ দিকে এরকম শুরু হয়েছিল। তবে তারা খেলার চাঁদা দেবেন কি না। 

আমার গয়া ভ্রমণ, এক বিরল অভিজ্ঞতা।

আমি গত 1-11-2018 গয়া যাবার টিকিট বুক করে ছিলাম। হাওড়া মুম্বই ভায়া গয়া মেলে, আর ফেরার টিকিট বুক ছিল শিপ্রা এক্সপ্রেসে। ফেরার টিকিট. কনফার্ম ছিল না। অবশ্যই অনলাইনে টিকিট বুক করে ছিলাম। 1-11-2018 রাত ৯টা ৫৫ মিনিটে হাওড়া থেকে মুম্বই মেল ছাড়বে, আমরা সন্ধ্যা ৭ টা ২০মিনিটে হরিপাল স্টেশন থেকে ট্রেন করে হাওড়া গিয়ে মেল ধরব।  দুপুরে ম্যাসেজ এল ট্রেন ৭ ঘন্টা ২০ মিনিট লেট। মেল ট্রেন টি ছাড়বে 2 - 11-2018 ভোর ৫ টা ১৫ মিনিটে । আমাদের যাওয়ার খুব দরকার ছিল, তাই টিকিট বাতিল না করে হরিপাল থেকে তারকেশ্বর হাওড়া শেষ ট্রেন ধরে হাওড়া গেলাম। সারা রাত প্রায় জেগে, ট্রেনে A-1 কামার রিজার্ভ করা সিটে উঠলাম। মুম্বই মেল ৫ টা ১৫ মিনিটে হাওড়া থেকে ছাড়লো। খানা জংশন পর্যন্ত ট্রেনের গতি ঠিক ছিল, তারপর যে কী হলো বলতে পারছি না । যে স্টেশনে থামার কথা নয় সেখানেও ট্রেন দাঁড়িয়ে পড়ছিল। জানি না চেন টেনে ট্রেন থামানো হচ্ছিল কী না! গাড়ির গতি সে কথা না লেখা ভালো কখনো ৪৫ কিমি সর্বোচ্চ ১১০ কিমি ঘন্টায় মেল যাচ্ছিল। আমাদের পৌঁছে যাবার কথা ছিল বেলা ১১টা ৩৬ মিনিটে পৌঁছলাম দুপুর ১টা ১৫ মিনিটে।
কাজ মিটিয়ে ফেরার সময়ে ঘটল আরেক বিপত্তি। আগেই বলেছি ফেরার টিকিট কনফার্ম ছিল না। টিকিট ছিল শিপ্রা এক্সপ্রেসে ১ ও ২ নং ওয়েটিং লিস্টটে। মাঝখানে উঠার স্টেশনে একই ভাবে শিপ্রা এক্সপ্রেসের A-1 কমপারমেন্টে, এবং বিকল্প আরও সাত টি ট্রেনের নাম দেওয়া ছিল। যখন আসতে দু ঘন্টা বাকি তখনও অনলাইন দেখাচ্ছে কনফার্ম হওয়ার সুযোগ ৮৭ % কিন্তু যে চার্ট ডিসপ্লে হচ্ছিল সেখানে শিপ্রা এক্সপ্রেসের ডিসপ্লে হচ্ছিল না। ছেলে এদিকে ওদিকে দেখতে লাগলো নেট সার্চ করতে যাচ্ছি নেটওয়ার্ক নেই। মুখ্য টিকিট পরীক্ষক কে জিজ্ঞেস করল তিনি বলেন ট্রেন লেট আছে, আপনাদের ও টিকিট বাতিল হয়ে গেছে। আপনারা জেনারেল টিকিট কেটে চলে যান। অনেক কষ্টে যখন নেটওয়ার্ক এলো আমরা চেষ্টা করছি পরের দিনের ভোরের কোনো টিকিট অনলাইন বুক করতে। কারণ ঐ রাতে স্টেশনের কাউন্টারে   রিজার্ভেশন টিকিট কাটা যাবে না। অনলাইনে দেখলাম একটা  (নামটি এখন ঠিক মনে করতে পারছি না) মেলে কলকাতা অর্থাৎ চিৎপুর স্টেশনে আসবে সেই মেলে 
AC 3 টায়ার সব টিকিট আছে কিন্তু আমরা টিকিট বুক করতে পারছি না। যতটা সম্ভব এই ট্রেন টি গয়া আসার কথা ২-১১-২০১৮ ভোর ৩ টে ১০ মিনিটে। দুজনে মিলে অনেক চেষ্টা করেও টিকিট বুক করতে পারছিলাম না। এই হতাশার মধ্যে দুজনে মিলে গিয়ে জেনারেল কামরার টিকিট কেটে আনলাম। তারপর ও অনেক চেষ্টা করলাম কিছুতেই 2-11-2018 ভোরের বা 3-11-2018 সকালের AC ওয়ান, টু এবং থ্রি যাই বলুক কোনো টিকিট বুক করতে না পেরে হতাশ হয়ে, রাত ১১টা ১০ মিনিটের ডাউন ট্রেন ধরতে বলে দু নম্বর স্টেশনে এলাম। একটা চিন্তা হচ্ছিল আমার বড়ো ছেলে সাথে ছিল ও একটু গরম সহ্য করতে পারে না। এখানে বলি রাত ১১টা ১০ মিনিটের ট্রেন গয়া এলো ১২টা ৪৫ মিনিটে।  ঘেমে চান করে যায় এবং খুব অসুস্থ হয়ে পড়ে। ভয়ে ভয়ে ওকে নিয়ে জেনারেল কমপারমেন্টে উঠলাম। যথারীতি বসার জায়গা নেই, দাঁড়াবার জায়গা ও ঠিক মত নেই। দুজনে উঠে প্রসাবের গন্ধ শুঁকতে শুঁকতে আসছি, আর ছেলে কে বাপি একটু কষ্ট করে দাঁড়িয়ে থাক ধানবাদ এলে ঠিক বসার জায়গা পাব। যে সময়ে ধানবাদ আসার কথা এলো তার দু ঘন্টা পর। কারণ মাঝে মাঝে চেন টেনে ট্রেন দাঁড় করিয়ে মানুষ নেমে যাচ্ছিল। সত্যিই ধানবাদে বসার জায়গা পেলাম। টিকিট কেটে ছিলাম বর্ধমান পর্যন্ত, কারণ কষ্ট টা কম করার জন্য, বর্ধমানে নেমে দৌড়ে গিয়ে বড় পুত্র টিকিট কেটে নিয়ে এলো কর্ড বর্ধমান ট্রেনে কামার কুণ্ডু আসার। কারণ যোধপুর এক্সপ্রেস বর্ধমান ঢুকে ছিল লেটে তখন বর্ধমান কর্ড ফার্স্ট ট্রেন ছাড়ার ঘোষণা হচ্ছিল। যাহোক ধন্যবাদ ভারতীয় রেল, তোমার এতো সুন্দর ব্যবস্থাপনা খুব ভালো লাগলো। 

Thursday, 1 November 2018

স্বাধীনতার সত্তর বছর পরেও আমরা পরাধীন।

স্বাধীনতার সত্তর বছর পরেও আমরা পরাধীন। একথা লিখছি কারণ আমাদের দেশ, আজও শিক্ষায় পিছিয়ে অর্থনৈতিক ভাবে পিছনে, কারণ এখনো আমাদের সেই জ্ঞান আসেনি আমি যা উপায় করি তার একটা অংশ সারা বছর পর ট্যাক্স বা কর হিসেবে দিতে হয়। যা দিয়ে দেশের উন্নয়নের কাজে লাগবে। আমরা সর্ব কিছুতেই পর নির্ভরশীল হব না। শিক্ষা, শিল্প, আধুনিক টেকনোলজি বা টেকনিক্যাল বা কারিগরি শিক্ষা সব কিছুতেই আমরা পরাধীন।
টেকনোলজি যুক্ত যে কোন জিনিস কিনতে যান সব বিদেশী। অথচ আমরা চাঁদে, মঙ্গল গ্রহে যন্ত্র পাঠাচ্ছি। স্যাটেলাইট বা কৃত্রিম উপগ্রহ মহাকাশে যাচ্ছে।  আধুনিক মিশাইল তৈরী করা হচ্ছে, কিন্তু মোটরবাইক বা চার চাকা গাড়ির প্রযুক্তি বিদেশী। ভালো সুতোর পোশাক পরবেন বিদেশে তৈরী। সুঁচ থেকে রেল ইঞ্জিন ভালো করতে হবে সেই বিদেশের উপর নির্ভর করতে হবে। একটি কম্পিউটার কিনবেন বিদেশে তৈরী, সামান্য কম দামে মোবাইল ফোন কিনতে যান। মোবাইল ভারতের তৈরি হলেও প্রযুক্তি বিদেশী। আর এব্যাপারে চীন পিছনে ফেলে দিয়েছে সকল কে ভারতের বাজারে ছেয়ে ফেলেছে চীনা প্রযুক্তির মোবাইল। এই আমি যে মোবাইল টি ব্যবহার করে লিখছি সেটা চীনের প্রযুক্তি। জানি না কারখানা টা কোথায়, ভারতে না চীনে। এতো স্যাটেলাইট পাঠানো হয়েছে সেখানে জিও আসার আগে নেট সার্চ করা ভাবা যেতো না। মাসে ২০০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকা খরচ করে নেট পাওয়া যেত এক থেকে দুই জিবি এক মাসের জন্য। আর সার্চ ইঞ্জিন সেই গুগুল যা বিদেশী, এখন শুনছি ইউ সি সার্চ ইঞ্জিন আছে চীনের তৈরী। তা নয় আমরা সকাল থেকে শুতে যাবার আগে যেসব জিনিস ব্যবহার করি তার বেশির ভাগই চীনের তৈরী। তাহলে আমার দেশের আছে টা কী? যদি সত্যি এতো উপগ্রহ পাঠিয়ে থাকে এবং ভারতীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিজ্ঞানীরা তৈরী করে থাকেন, তাহলে একটা নেট সার্চ ইঞ্জিন তৈরি করতে পারে না কেন? যে টাকে মনে হয় অনেকে ব্রাউজার বলেন। এই যে আমি ব্লগ লিখছি এটাও গুগুলের, আমার দেশের এরকম কোন ব্রাউজার আছে যে খানে বিনা পয়সা বা খরচে আপনি ব্লগ লিখতে পারেন বা পত্রিকা লিখতে পারেন না নেই। একটা যে কোন ভারতীয় ভাষার নিউজ ওয়েব সাইট খুলতে যান, সার্চ ইঞ্জিন বা  ব্রাউজার  সেই গুগুল। ইউটিউব হোয়াটসএ্যাপ   সব গুগুলের   ক্রোম ব্রাউজার ব্লগতৈরি  করতে গেলে লাগে  ব্লগস্পট ডটকম এই সব গুগুলের।   আমি দেখেছিলাম অনেক ব্লগে বা ব্লগ ওয়েব সাইটে গুগুল এ্যডসেন্স বিজ্ঞাপন দেয়। সে খান থেকে সামান্য কিছু টাকা ব্লগ লেখক বা ওদের ভাষায় পাবলিশার্স কে দেওয়া হয়। অনেক শর্ত আছে সে জন্য যদি দেখা যায় ওদের নির্ধারিত টাকার থেকে বেশি হয়ে গেছে তবে সেই ব্লগ সাইট থেকে এ্যাড তুলে নেয়। ব্লগার হয়তো জানেন না কে করেছেন তবুও তার শাস্তি এবং তার আগের যে সব আয় হয়েছে সব বন্ধ। পারলে ব্লগ লেখক বা পাবলিশার্স কে ফাঁসি দিয়ে দেবেন, এরকম ই মেইল আসে।
কারণ সে জানে আমি নেট দুনিয়ার  একা একটি বিজ্ঞাপন কোম্পানি। একচেটিয়া কারবার আমার কাছে কেউ নেই, ভারত সরকার ও তো তুচ্ছ, কারণ ভারতের এরকম কোনো প্রতিযোগী বা প্রতিষ্ঠান নেই আর হবে না। এরকম প্রতিষ্ঠান করতে হলে ভারত সরকার যে ট্যাক্স নেয় সেটা দিয়ে, এবং প্রথম শুরু করতে যে টাকা খরচ করতে হবে বিদেশের প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে। সে রকম কেউ নেই, ভারত সরকার ভারতীয় দের কম সুযোগ দেয়। বিদেশী রা যত তাড়াতাড়ি ঐ সুযোগ পায় যদি কোনো ভারতীয় আবেদন করে তাহলে সে যদি কুড়ি বছর বয়সে আবেদন করে, আবেদন মঞ্জুর হতে হতে তার বয়স হবে পঞ্চাশ বছর। এসব দেখে আমার মনে হয়, তাহলে ভারত যে এতো উপগ্রহ পাঠিয়েছে ও মঙ্গল যান চন্দ্র যান পাঠানো হচ্ছে অমার মনে সব কিছু বিদেশী শুধু ভারতীয় ছাপ দেওয়া হচ্ছে। ভারত এখনো স্বাধীন নয়, সব কিছুতেই বিদেশের উপর নির্ভর করতে হচ্ছে। তাহলে এই শিক্ষা ব্যবস্থা এত বিশ্ববিদ্যালয়ের এতো কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয়ের দরকার নেই। অভিভাবকেরা এতো টাকা খরচ করে ছেলে মেয়েদের যে কারিগরি শিক্ষা দিচ্ছেন তাহলে কোথায় যাচ্ছে সে সব প্রযুক্তি কোথায় গেল।
ওসব করতে হলে যত টাকা খরচ আম ভারতীয়র নেই, যদি কোনো শিল্পপতি করেন তবে হবে, আবার তিনি যদি আম জনতা ব্যবহার করতে পারেন এরকম ব্যবস্থা করেন যেমন গুগুল করে ফ্রি তে, কিন্তু আমি জানি তিনি ভারতীয় শিল্প পতি তিনি যে টাকা ট্যাক্স দিতে হবে সেটার থেকেও বেশি নেবেন, যাতে আম জনতা ব্যবহার করতে না পারেন। এই জন্য আমার ঐ হেডিং স্বাধীন হয়েও আমরা পরাধীন।