পশ্চিমবঙ্গের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, যা বাম আমলে শুরু হয়েছিল। এবছর ৩৬ তম বর্ষ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।ছোটছোট ছাত্র ছাত্রীরা খেলা ধূলোর করবে। রাজ্য স্তর পর্যন্ত, যাবে কারণ এই প্রতিযোগিতা সর্ব ভারতীয় নয়, হলে ভালো হতো । আমার বক্তব্য অন্য বাম আমল থেকে আমরা মানে আমার মতো বেশ কিছু শিক্ষক বলে আসছে, কী কথা না স্কুল স্তর যেখান থেকে খেলা শুরু হবে, সেই স্তর থেকে চক্র স্তর এমনকি কোনো কোনো ক্ষেত্রে মহকুমা স্তরের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা পর্যন্ত শিক্ষকের চাঁদা তুলে খেলা হয়। আমার মনে পড়ছে বাম আমলে প্রথম চাকরি তে ঢুকে পঞ্চায়েত ও চক্র স্তরের ক্রীড়া প্রতিযোগিতার জন্য চাঁদা দিয়ে ছিলাম ১৫ টাকা, 1990 সাল। আর এখন এই চাঁদা বাড়তে বাড়তে পৌঁছে গেছে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা কোথায়ও ১০০০ টাকা। যখন বাড়ানো হয় তখনই প্রতিবাদ ব্যাস ঐ পর্যন্তই তার পর শিক্ষকরা চাঁদা দিয়ে দেন, কারণ ছোট ছোট ছাত্র ছাত্রীরা খেলায় অংশ গ্রহণ করে সেই জন্য। যখন চক্র স্তরের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা হয় তখন পঞ্চায়েত সমিতি একটা সামান্য টাকা তাদের ফাণ্ড থেকে দেয়, কিন্তু সিঙ্গুর পঞ্চায়েত সমিতি দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে এই টাকা দেয় না। অথচ মাঠে গিয়ে লম্বা চওড়া ভাষণ দিয়ে আসেন। সরকারি টাকা এখন নানা রকম ভাবে বিভিন্ন জায়গায় বরাদ্দ করা হচ্ছে, খালি এই বাচ্ছা রা খেলা ধুলো করবে সেদিকে নেই। আবার একটা বিষয় এখন শিক্ষকের বেতন বাজার দরের তুলনায় অনেক কম, কোথাও কোথাও শিক্ষক শিক্ষিকা দের হেনস্থা করা হচ্ছে, বেতন এতো কম যে তারাদের সাত মাসের বেতন কে বারো মাসে ভাগ করে দেওয়া হয়। আমি জানি না আমার লেখা কারা পড়ছেন, যদি কোন শিক্ষক শিক্ষিকা পড়েন তবে এই চাঁদা দেওয়া বন্ধ করবেন। এই সরকার পূজা কমিটি কে আঠাশ কোটি টাকা দেয়,আর যেসব জায়গায় টাকা বিলিয়ে দেওয়া হয়, সে সব আর লিখছি না,আরও বিভিন্ন জায়গায় টাকা দেওয়া হয় সেসব অনেকে জানেন। আর আর কুড়ি না একুশ টা জেলার জন্য এক কোটি করে টাকা নেই! জেলার সংখ্যা হয়তো সঠিক হয়নি, কারণ এখন প্রতি ভোটের আগে দু চার টে করে জেলা বাড়ে। সরকারি কর্মীদের ও শিক্ষক দের বা আর যেসব কর্মী আছে তাদের বেতন বাড়ানো হয় না। যদি বা বাড়ানো হয় আবার পরে তা কমিয়ে দেওয়া হয়। যেমন হয়েছে আই সি ডি এস কর্মী দের সঙ্গে। এর প্রতিবাদ করে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন তারা ঘটনা টা ঝাড়গ্রাম জেলায় অন লাইন আনন্দ বাজার পত্রিকায় বেড়িয়ে ছিল ।
এই বিক্ষোভ সার সরকারের কোন হেল দোল নেই। কোন আন্দোলন কে এই সরকার গুরুত্ব দেয় না। বামফ্রন্ট সরকারের শেষ দিকে এরকম শুরু হয়েছিল। তবে তারা খেলার চাঁদা দেবেন কি না।
এই বিক্ষোভ সার সরকারের কোন হেল দোল নেই। কোন আন্দোলন কে এই সরকার গুরুত্ব দেয় না। বামফ্রন্ট সরকারের শেষ দিকে এরকম শুরু হয়েছিল। তবে তারা খেলার চাঁদা দেবেন কি না।
No comments:
Post a Comment