Wednesday, 7 November 2018

দক্ষিণেশ্বরে স্কাই ওয়ার্ক এক দিনে পান ও গুটখার পিকে নোংরা হলো।

আমি আমার এই ব্লগে অনেক দিন আগে লিখেছিলাম, শিরোনামে ছিল আমরা কতটা সভ্য হয়েছি। জানি না লেখা টা কজন পড়েছেন। কারণ সেই সময়ে আমি একদিন কলকাতা গিয়ে ছিলাম। রাস্তা দিয়ে হেঁটে যেতে বমি পাবে গুটখার পিকে ভর্তি, সেই সাথে যেখানে সেখানে রাস্তার খাবারের স্টল খাবার খেয়ে পাতা পরে আছে রাস্তার উপর তাতে কাক বসছে।কারা এ কাজ করে গুটখা খাওয়া কাদের অভ্যাস, এসব যদি খতিয়ে দেখা যায়। দেখা যাবে বেশির ভাগ মানুষ হলো অবাঙালী এদের কোনো শিক্ষা দীক্ষা সভ্যতা ভালো মন্দ জ্ঞান নেই। শুনতে ভালো না লাগলে কিছু করার নেই, এই অবাঙালীরা বেশি নোংরা। রাস্তার পাশে ঝুপড়ি বা ছোট একটা ঘর ভাড়া করে বাস করে তার মধ্যে সব কিছু, এরা অভ্যস্ত নোংরার মধ্যে থাকতে, আমি ট্রেনে যাবার সময়ও দেখেছি, গুটখা খেয়ে খৈনি খেয়ে মুখ ভর্তি থুতু চলন্ত ট্রেনের গেটের সামনে ঝুলতে ঝুলতে যায়, আর সুযোগ মানে ট্রেন একটু আস্তে হলে, মুখের থেকে ফেলে দেওয়া। পাশের কম্পারমেন্টে কার গায়ে বা মুখে গিয়ে লাগবে সে সব জ্ঞান নেই।
যত্রতত্র পলিথিন প্যাকেটে, গুটখা আর খৈনির প্যাকেটের শেষ নেই, সাধারণ মানুষ ভদ্র পথচারী এসব দেখে এবং পাশ দিয়ে হেঁটে চলে যায়, কোনো কথা বলেন না। নেশাখোর দের কে বোঝাবে, আর এই গুটখার পলিথিন গুলো যেখানে সেখানে রাস্তার পাশে পরে থাকে দেখতে ভীষণ দৃষ্টি কটূ লাগে। সরকার যেমন আইন করেছেন, যে যত্রতত্র ধূমপান করলে ফাইন করা হবে, সেই রকম গুটখা নিয়েও কড়া আইন তৈরি করতে হবে। সেই আইন পুলিশ প্রশাসন কে কঠোর ভাবে প্রয়োগ করতে হবে, তবে যদি এসব বন্ধ করা যায়।  সিগারেট খাওয়ার আইনের মতো হলে, তা হলে তো কথাই নেই । আইন আইনের জায়গায় থেকে মানুষ যেমন গুটখা খেয়ে যাচ্ছে, খেয়ে যাবে আর যত্রতত্র ঐ থুতু ফেলে যাবে। বাংলার গর্বের কিছু বস্তু কে এরা এভাবে নোংরা করে যাবে। আমাদের কিছুই করার থাকবে না। সরকার আইন করুন পাশাপাশি আমাদের আরও সচেতন হতে হবে এবং সভ্য হতে হবে। বুঝতে হবে আমরা যে টা করছি সেটা কোনো শিক্ষিত ভদ্র মানুষ করে না।



No comments:

Post a Comment