স্বাধীনতার সত্তর বছর পরেও আমরা পরাধীন। একথা লিখছি কারণ আমাদের দেশ, আজও শিক্ষায় পিছিয়ে অর্থনৈতিক ভাবে পিছনে, কারণ এখনো আমাদের সেই জ্ঞান আসেনি আমি যা উপায় করি তার একটা অংশ সারা বছর পর ট্যাক্স বা কর হিসেবে দিতে হয়। যা দিয়ে দেশের উন্নয়নের কাজে লাগবে। আমরা সর্ব কিছুতেই পর নির্ভরশীল হব না। শিক্ষা, শিল্প, আধুনিক টেকনোলজি বা টেকনিক্যাল বা কারিগরি শিক্ষা সব কিছুতেই আমরা পরাধীন।
টেকনোলজি যুক্ত যে কোন জিনিস কিনতে যান সব বিদেশী। অথচ আমরা চাঁদে, মঙ্গল গ্রহে যন্ত্র পাঠাচ্ছি। স্যাটেলাইট বা কৃত্রিম উপগ্রহ মহাকাশে যাচ্ছে। আধুনিক মিশাইল তৈরী করা হচ্ছে, কিন্তু মোটরবাইক বা চার চাকা গাড়ির প্রযুক্তি বিদেশী। ভালো সুতোর পোশাক পরবেন বিদেশে তৈরী। সুঁচ থেকে রেল ইঞ্জিন ভালো করতে হবে সেই বিদেশের উপর নির্ভর করতে হবে। একটি কম্পিউটার কিনবেন বিদেশে তৈরী, সামান্য কম দামে মোবাইল ফোন কিনতে যান। মোবাইল ভারতের তৈরি হলেও প্রযুক্তি বিদেশী। আর এব্যাপারে চীন পিছনে ফেলে দিয়েছে সকল কে ভারতের বাজারে ছেয়ে ফেলেছে চীনা প্রযুক্তির মোবাইল। এই আমি যে মোবাইল টি ব্যবহার করে লিখছি সেটা চীনের প্রযুক্তি। জানি না কারখানা টা কোথায়, ভারতে না চীনে। এতো স্যাটেলাইট পাঠানো হয়েছে সেখানে জিও আসার আগে নেট সার্চ করা ভাবা যেতো না। মাসে ২০০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকা খরচ করে নেট পাওয়া যেত এক থেকে দুই জিবি এক মাসের জন্য। আর সার্চ ইঞ্জিন সেই গুগুল যা বিদেশী, এখন শুনছি ইউ সি সার্চ ইঞ্জিন আছে চীনের তৈরী। তা নয় আমরা সকাল থেকে শুতে যাবার আগে যেসব জিনিস ব্যবহার করি তার বেশির ভাগই চীনের তৈরী। তাহলে আমার দেশের আছে টা কী? যদি সত্যি এতো উপগ্রহ পাঠিয়ে থাকে এবং ভারতীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিজ্ঞানীরা তৈরী করে থাকেন, তাহলে একটা নেট সার্চ ইঞ্জিন তৈরি করতে পারে না কেন? যে টাকে মনে হয় অনেকে ব্রাউজার বলেন। এই যে আমি ব্লগ লিখছি এটাও গুগুলের, আমার দেশের এরকম কোন ব্রাউজার আছে যে খানে বিনা পয়সা বা খরচে আপনি ব্লগ লিখতে পারেন বা পত্রিকা লিখতে পারেন না নেই। একটা যে কোন ভারতীয় ভাষার নিউজ ওয়েব সাইট খুলতে যান, সার্চ ইঞ্জিন বা ব্রাউজার সেই গুগুল। ইউটিউব হোয়াটসএ্যাপ সব গুগুলের ক্রোম ব্রাউজার ব্লগতৈরি করতে গেলে লাগে ব্লগস্পট ডটকম এই সব গুগুলের। আমি দেখেছিলাম অনেক ব্লগে বা ব্লগ ওয়েব সাইটে গুগুল এ্যডসেন্স বিজ্ঞাপন দেয়। সে খান থেকে সামান্য কিছু টাকা ব্লগ লেখক বা ওদের ভাষায় পাবলিশার্স কে দেওয়া হয়। অনেক শর্ত আছে সে জন্য যদি দেখা যায় ওদের নির্ধারিত টাকার থেকে বেশি হয়ে গেছে তবে সেই ব্লগ সাইট থেকে এ্যাড তুলে নেয়। ব্লগার হয়তো জানেন না কে করেছেন তবুও তার শাস্তি এবং তার আগের যে সব আয় হয়েছে সব বন্ধ। পারলে ব্লগ লেখক বা পাবলিশার্স কে ফাঁসি দিয়ে দেবেন, এরকম ই মেইল আসে।
কারণ সে জানে আমি নেট দুনিয়ার একা একটি বিজ্ঞাপন কোম্পানি। একচেটিয়া কারবার আমার কাছে কেউ নেই, ভারত সরকার ও তো তুচ্ছ, কারণ ভারতের এরকম কোনো প্রতিযোগী বা প্রতিষ্ঠান নেই আর হবে না। এরকম প্রতিষ্ঠান করতে হলে ভারত সরকার যে ট্যাক্স নেয় সেটা দিয়ে, এবং প্রথম শুরু করতে যে টাকা খরচ করতে হবে বিদেশের প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে। সে রকম কেউ নেই, ভারত সরকার ভারতীয় দের কম সুযোগ দেয়। বিদেশী রা যত তাড়াতাড়ি ঐ সুযোগ পায় যদি কোনো ভারতীয় আবেদন করে তাহলে সে যদি কুড়ি বছর বয়সে আবেদন করে, আবেদন মঞ্জুর হতে হতে তার বয়স হবে পঞ্চাশ বছর। এসব দেখে আমার মনে হয়, তাহলে ভারত যে এতো উপগ্রহ পাঠিয়েছে ও মঙ্গল যান চন্দ্র যান পাঠানো হচ্ছে অমার মনে সব কিছু বিদেশী শুধু ভারতীয় ছাপ দেওয়া হচ্ছে। ভারত এখনো স্বাধীন নয়, সব কিছুতেই বিদেশের উপর নির্ভর করতে হচ্ছে। তাহলে এই শিক্ষা ব্যবস্থা এত বিশ্ববিদ্যালয়ের এতো কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয়ের দরকার নেই। অভিভাবকেরা এতো টাকা খরচ করে ছেলে মেয়েদের যে কারিগরি শিক্ষা দিচ্ছেন তাহলে কোথায় যাচ্ছে সে সব প্রযুক্তি কোথায় গেল।
ওসব করতে হলে যত টাকা খরচ আম ভারতীয়র নেই, যদি কোনো শিল্পপতি করেন তবে হবে, আবার তিনি যদি আম জনতা ব্যবহার করতে পারেন এরকম ব্যবস্থা করেন যেমন গুগুল করে ফ্রি তে, কিন্তু আমি জানি তিনি ভারতীয় শিল্প পতি তিনি যে টাকা ট্যাক্স দিতে হবে সেটার থেকেও বেশি নেবেন, যাতে আম জনতা ব্যবহার করতে না পারেন। এই জন্য আমার ঐ হেডিং স্বাধীন হয়েও আমরা পরাধীন।
টেকনোলজি যুক্ত যে কোন জিনিস কিনতে যান সব বিদেশী। অথচ আমরা চাঁদে, মঙ্গল গ্রহে যন্ত্র পাঠাচ্ছি। স্যাটেলাইট বা কৃত্রিম উপগ্রহ মহাকাশে যাচ্ছে। আধুনিক মিশাইল তৈরী করা হচ্ছে, কিন্তু মোটরবাইক বা চার চাকা গাড়ির প্রযুক্তি বিদেশী। ভালো সুতোর পোশাক পরবেন বিদেশে তৈরী। সুঁচ থেকে রেল ইঞ্জিন ভালো করতে হবে সেই বিদেশের উপর নির্ভর করতে হবে। একটি কম্পিউটার কিনবেন বিদেশে তৈরী, সামান্য কম দামে মোবাইল ফোন কিনতে যান। মোবাইল ভারতের তৈরি হলেও প্রযুক্তি বিদেশী। আর এব্যাপারে চীন পিছনে ফেলে দিয়েছে সকল কে ভারতের বাজারে ছেয়ে ফেলেছে চীনা প্রযুক্তির মোবাইল। এই আমি যে মোবাইল টি ব্যবহার করে লিখছি সেটা চীনের প্রযুক্তি। জানি না কারখানা টা কোথায়, ভারতে না চীনে। এতো স্যাটেলাইট পাঠানো হয়েছে সেখানে জিও আসার আগে নেট সার্চ করা ভাবা যেতো না। মাসে ২০০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকা খরচ করে নেট পাওয়া যেত এক থেকে দুই জিবি এক মাসের জন্য। আর সার্চ ইঞ্জিন সেই গুগুল যা বিদেশী, এখন শুনছি ইউ সি সার্চ ইঞ্জিন আছে চীনের তৈরী। তা নয় আমরা সকাল থেকে শুতে যাবার আগে যেসব জিনিস ব্যবহার করি তার বেশির ভাগই চীনের তৈরী। তাহলে আমার দেশের আছে টা কী? যদি সত্যি এতো উপগ্রহ পাঠিয়ে থাকে এবং ভারতীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিজ্ঞানীরা তৈরী করে থাকেন, তাহলে একটা নেট সার্চ ইঞ্জিন তৈরি করতে পারে না কেন? যে টাকে মনে হয় অনেকে ব্রাউজার বলেন। এই যে আমি ব্লগ লিখছি এটাও গুগুলের, আমার দেশের এরকম কোন ব্রাউজার আছে যে খানে বিনা পয়সা বা খরচে আপনি ব্লগ লিখতে পারেন বা পত্রিকা লিখতে পারেন না নেই। একটা যে কোন ভারতীয় ভাষার নিউজ ওয়েব সাইট খুলতে যান, সার্চ ইঞ্জিন বা ব্রাউজার সেই গুগুল। ইউটিউব হোয়াটসএ্যাপ সব গুগুলের ক্রোম ব্রাউজার ব্লগতৈরি করতে গেলে লাগে ব্লগস্পট ডটকম এই সব গুগুলের। আমি দেখেছিলাম অনেক ব্লগে বা ব্লগ ওয়েব সাইটে গুগুল এ্যডসেন্স বিজ্ঞাপন দেয়। সে খান থেকে সামান্য কিছু টাকা ব্লগ লেখক বা ওদের ভাষায় পাবলিশার্স কে দেওয়া হয়। অনেক শর্ত আছে সে জন্য যদি দেখা যায় ওদের নির্ধারিত টাকার থেকে বেশি হয়ে গেছে তবে সেই ব্লগ সাইট থেকে এ্যাড তুলে নেয়। ব্লগার হয়তো জানেন না কে করেছেন তবুও তার শাস্তি এবং তার আগের যে সব আয় হয়েছে সব বন্ধ। পারলে ব্লগ লেখক বা পাবলিশার্স কে ফাঁসি দিয়ে দেবেন, এরকম ই মেইল আসে।
কারণ সে জানে আমি নেট দুনিয়ার একা একটি বিজ্ঞাপন কোম্পানি। একচেটিয়া কারবার আমার কাছে কেউ নেই, ভারত সরকার ও তো তুচ্ছ, কারণ ভারতের এরকম কোনো প্রতিযোগী বা প্রতিষ্ঠান নেই আর হবে না। এরকম প্রতিষ্ঠান করতে হলে ভারত সরকার যে ট্যাক্স নেয় সেটা দিয়ে, এবং প্রথম শুরু করতে যে টাকা খরচ করতে হবে বিদেশের প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে। সে রকম কেউ নেই, ভারত সরকার ভারতীয় দের কম সুযোগ দেয়। বিদেশী রা যত তাড়াতাড়ি ঐ সুযোগ পায় যদি কোনো ভারতীয় আবেদন করে তাহলে সে যদি কুড়ি বছর বয়সে আবেদন করে, আবেদন মঞ্জুর হতে হতে তার বয়স হবে পঞ্চাশ বছর। এসব দেখে আমার মনে হয়, তাহলে ভারত যে এতো উপগ্রহ পাঠিয়েছে ও মঙ্গল যান চন্দ্র যান পাঠানো হচ্ছে অমার মনে সব কিছু বিদেশী শুধু ভারতীয় ছাপ দেওয়া হচ্ছে। ভারত এখনো স্বাধীন নয়, সব কিছুতেই বিদেশের উপর নির্ভর করতে হচ্ছে। তাহলে এই শিক্ষা ব্যবস্থা এত বিশ্ববিদ্যালয়ের এতো কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয়ের দরকার নেই। অভিভাবকেরা এতো টাকা খরচ করে ছেলে মেয়েদের যে কারিগরি শিক্ষা দিচ্ছেন তাহলে কোথায় যাচ্ছে সে সব প্রযুক্তি কোথায় গেল।
ওসব করতে হলে যত টাকা খরচ আম ভারতীয়র নেই, যদি কোনো শিল্পপতি করেন তবে হবে, আবার তিনি যদি আম জনতা ব্যবহার করতে পারেন এরকম ব্যবস্থা করেন যেমন গুগুল করে ফ্রি তে, কিন্তু আমি জানি তিনি ভারতীয় শিল্প পতি তিনি যে টাকা ট্যাক্স দিতে হবে সেটার থেকেও বেশি নেবেন, যাতে আম জনতা ব্যবহার করতে না পারেন। এই জন্য আমার ঐ হেডিং স্বাধীন হয়েও আমরা পরাধীন।

No comments:
Post a Comment