Monday, 8 October 2018

পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান গনতন্ত্রের খুন। ভারতের আরো খারাপ অবস্থা।

এখন পশ্চিমবঙ্গের গণতান্ত্রিক পরিবেশ নেই তোমার দাবি জানিয়ে আন্দোলন করবে ।কিম্বা দাবি জানাতে গেলে যে টুকু করতে হয়। সেটুকুও করা যাবে না, যেহেতু আমি প্রথমে "এখন" কথাটা ব্যবহার করেছি ।তাই অনেকে প্রশ্ন করবেন আগে ছিল। আমি বলি কিছু টা হলেও ছিল না হলে, সিঙ্গুর থেকে টাটা কে তাড়ানো যেত না। আর নন্দী গ্রামে কারা গুলি করে চোদ্দ জন কে মেরে ছিল তার সি বি আই রিপোর্ট বর্তমান সরকারের কাছে আছে। তিনি প্রকাশ করেন নি, এখন দেখুন যে কোন বিরোধী দল সভা করুক অনুমতি নেই।
কোনো ব্যক্তি যদি কিছু অন্যায়ের প্রতিবাদ করেন তবে তাঁর মৃত্যু অবধারিত , সে মদ জুয়ার হোক কিংবা মাইক বাজানো হোক, আর নিজের রেশন কার্ড বা জব কার্ড নিয়ে হোক। এক শো দিনের কাজের টাকা নিয়ে হোক আবার কলেজ ভর্তির তোলা নিয়ে হোক। এসব এখন একটা রেওয়াজ হয়ে গেছে ।কলেজ যখন অর্ধেকের বেশি ভর্তির তোলা তোলা হয়ে গেছে তখন মুখ্যমন্ত্রী পথে নামলেন তোলা নেওয়া যাবে না। কিন্তু তার আগে তিনি একটি সভায় বলছেন, চাঁদা যা তুলবে ৭৫%টাকা পার্টি ফাণ্ডে দিতে হবে। বেশ সুরু হল কলেজে চাঁদার নামে তোলা বাজি। স্নাতক স্তরের লেখা পড়া শিখে কী হবে তার ঠিক নেই। তাই অনেকে ভর্তি হয়নি ।অনেক মেয়ের বাবা পঁচিশ হাজার বা ত্রিশ হাজার টাকা ধার করে দিয়েছে। মেয়ে কন্যা শ্রী পাবে, রূপ শ্রী পাবে সেখান থেকে শোধ করবেন। এসব নিয়ে যখন ছাত্র ছাত্রীরা এবং অভিভাবক অভিভাবকর বিক্ষোভ দেখালেন সে খানেও বাধা। দিন কয়েক আগে যখন কোচবিহারে একটি ছাত্র এই নিয়ে প্রতিবাদ করল। কাগজে কী পড়লাম ছাত্র টি কে পিটিয়ে ছে সে হাসপাতালে ভর্তি। জানি না সুস্থ আছে কি না? এই ছাত্র পিটিয়ে হত্যা করা শুরু হয়েছিল হাওড়ার স্বপন কোলে কে দিয়ে। যারা ছেলে টি কে তাড়া করে পিটিয়ে মেরে ছিল তারা অনেকে ছাত্র ছিলেন না।অনেকেই এখন শাসক দলের নেতা। আজকের দিনে গোটা ভারত বর্ষের দিকে তাকিয়ে দেখুন। প্রতিদিন বিভিন্ন রকম জেহাদী কোথায় গো রক্ষা কমিটি কোথাও দলিত পিটিয়ে মারা কমিটি। আরে যারা এসব করছে তারা সত্যি কথা বলতে বিবেকানন্দের বানী ঠিক মতো পড়ে নি। এসব যদি প্রতি বাদ করছ তোমাকে বলা হবে শহুরে মাওবাদী। এই রাজ্যে আরও কঠিন প্রতিবাদ করা যে হেতু রাজ্য টি বোমা ও বারুদের উপর দাঁড়িয়ে আছে তাই যে কোন সময় বিস্ফোরণ ঘটে যাওয়া যাবে। যেমন নাগের বাজারে ঘটল। একটি তরতাজা শিশুর প্রাণ চলে গেল। ভোট এলে তো কথাই নেই বিরুদ্ধে মিটিং মিছিল করা যাবে না। ভোট তুমি নিজে দেবে ঠিক কিন্তু পাহারাদার সেই বাক্স বদলে দেবে। আবার কোথাও কোথাও ভোট দিতে পারবেন না। সেখানে আগে থেকেই ভোট দেওয়া হয়ে গেছে। কারণ বর্তমান শাসক দলের জনগণের প্রতি বিশ্বাস বা আস্থা নেই। সাবধান সামনে লোকসভা নির্বাচনে যদি ভালো ব্যবস্থা থাকে তবে ভোট দিন না হলে যাবে না। হিংসার বলি হবেন না।  বাংলায় খুব সাবধানে থাকবেন কারণ দাদা দিদি সমান। কারণ দাদা জানে দিদি থাকলে আর এস এস বারবে আর ঐ আর এস এস বাড়া মানেই বিজেপি আসবে। না হলে দেখুন ভোট প্রচারে কত দড়ি দিয়ে বেঁধে যাওয়া একে অপরের বিরুদ্ধে কত অভিযোগ করলেন। আজ পাঁচ বছর পার হতে চলল সারদা নারদা রোজভ্যালীর এম পি এস গ্রীনারি কোনো কিছু হলো না। কোন নেতা মন্ত্রী জেলেও গেলো না। তাই সাবধান সকলে এক সাথে থাকুন ভালো থাকুন। ( write comments in English or Bengali)








পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা

এর আগে একটা কার্টুন দিয়েছি, যদিও অপরের তৈরি।
এবং লিখেছি বর্তমান দিনে শিক্ষকের ভূমিকা। আজ অন্য কোন বিষয়ে নয় বরং পশ্চিম বঙ্গের তথা ভারতের সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থার কী হাল দেখে নেওয়া যাক । দেখুন আমি নিজে একজন শিক্ষক , তেমনি বিভিন্ন ধরনের পত্র পত্রিকা ইলেকট্রনিক মিডিয়ার খবর পড়ি ও দেখি। তাই সে সব অনেক কথা ঐ সব খবরে বলা থাকে না সেই সব না বলা কথা বা বাস্তবতা লেখার চেষ্টা করি। যেমন একটা খবর কদিন ঘোরা ফেরা করছে বা লেখা হচ্ছে গ্রামের অনেক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীর সংখ্যা কম তাই সে গুলো সরকারের একটি অর্ডার যেখানে বলা হয়েছে ত্রিশের নিচে ছাত্র সেই সব বিদ্যালয়ের শিক্ষক দের কী করা হবে তাও ঐ আদেশে বলা হয়েছে। আর কিছু কিছু নতুন অনলাইন খবরের পোর্টাল এই সব খবর সব দোষ শিক্ষকের সেই জন্যই স্কুল উঠে যাবে। অনেকেই আবার স্কুল বানান লিখেছেন ইস্কুল সেব না হয় বাদ দিলাম। কেন ছাত্র ভর্তি হয় না, তার একটা কারণ আর টি ই এ্যাক্ট কারণ ভর্তির বয়স হতে হবে ছয় বছর বয়সে প্রথম শ্রেণীতে ভর্তি হবে। আর জণ্ম তারিখ যদি জানুয়ারি দু তারিখ হয় তবে সে আর সেই বছর ভর্তি হতে পারবে না। ধরা যাক যারা এ বছর প্রথম শ্রেণীতে ভর্তি হবে তাদের জণ্ম তারিখ হবে, ২০১২ সালের একত্রিশে ডিসেম্বর। জানুয়ারি ২০১৪ সালের ২ রা জানুয়ারি হলে হবে না । আবার বেসরকারি স্কুলের ক্ষেত্রে যারা সি বি এস ই দ্বারা পরিচালিত তাদের ক্ষেত্রে তিন মাসের ছাড় আবার কেজি ওয়ান বা ক্রেশ থেকে  স্কুল চালাতে পারে। সিলেবাস বোর্ডের নির্দিষ্ট হলেও তারা নিজেদের মতো বই পড়াতে পারে। যদিও পশ্চিমবঙ্গের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক প্রাথমিক বলে একটা শ্রেণী আছে যে খানে পাঁচ বছর বয়সে ভর্তি করা যায়। কিন্তু বয়স পাঁচ বছরের এক দিন কম হলে ছাত্র তথা অভিভাবকদের. সমস্যা হচ্ছে । এরা আগে প্রথম শ্রেণীতে পডত বই ছিল বাংলা অঙ্ক ইংরেজি যথা কিশলয় নব গনিত মুকুল ও আমার ইংরেজি। আর এখন প্রাক প্রাথমিকে বই হচ্ছে কুটুম কাটাম ও মজারু এবং কিছু সংখ্যা কার্ড বর্ণ কার্ড আরও কিছু কার্ড। সব থেকে বড়ো এদের কোনো পরীক্ষা নেওয়া যাবে না। অন্য বই পড়ানো যাবে না, তাহলে শিক্ষকের ফাঁসি দিয়ে দেওয়া হবে । কারণ যে দল ক্ষমতায় তারা মানুষ খুন করতে ভালো পারে ।
আর ওয়ান টু এর আমার বই, সব সাড়ে তিনশো পাতার মহাভারত। এক মাস যায়না বাইণ্ডিং খুলে চলে যায়। আমার বই এ শেখানোর মতো কিছু নেই , না আছে অঙ্ক টি ভালো করে। না আছে ইংরেজি অথচ তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির ইংরেজি গ্রামের অধিকাংশ ছাত্র ছাত্রীরা পড়তে পারে না । পোশাক দিচ্ছেন প্রাক প্রাথমিক বাদ, জুতো দিচ্ছেন তাতেও বাদ। আরো একটা কথা না বললেই নয় কারণ অঙ্ক কষে কিছু শেখা যায় না। কারণ ধারা বাহিকতা নেই, আবার বই এর যেমন কষা আছে সেই ভাবে কষতে হবে। বাম আমলে ক্যাডার মাষ্টার ছিল তারা বই এ যা লেখা থাকতো তাই করত ভুল থাকলে তাই করানো হতো। এক রকম বিয়োগ যা ভেঙে মাথায় লিখে করতে হতো। এখন আছে, ভাগ বিশেষ এক প্রকার বিয়োগের সংক্ষিপ্ত রূপ এবার ভাগে সময় বিয়োগ করতে অসুবিধা হয়। সেই মহান বাম আমলের নিয়োজিত শিক্ষকের ভাষায় শিক্ষকের দোষ। এখন সেই নিয়ম আছে, কিন্তু যে নিয়ম কেবল মাত্র দিন মাস বছর ও ঘন্টা মিনিট সেকেন্ড ক্ষেত্রে কাজে লাগবে সেই পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে সাধারণ বিয়োগের ক্ষেত্রে। সাধারণ বিয়োগ সমান সমান যোগ পদ্ধতিতে করা হয়েছে আগে। তাতে ভাগের অসুবিধা হয়নি। এবার বুঝে কেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র কমে গেছে। আমি একটি পরিসংখ্যান শুনেছি প্রায় আট লক্ষ ছেলে মেয়ে এই শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে বেড়িয়ে গেছে। এর মধ্যে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ আছে এবং অন্যান্য আছে। আবার অনেকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে ।অনেক কোনো বিদ্যালয়ে ভর্তি হয় নি । বাড়ি অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ বলে ।কারণ পশ্চিমবঙ্গে অলিখিত অর্থনৈতিক জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। বাজারে টাকার যোগান কম, মজুরি দশ বছর আগে যা ছিলো তাতে পাঁচ শতাংশ মজুরি বেড়েছে। কিন্তু খাদ্য দ্রব্যের দাম দ্বিগুণ হয়ে গেছে। দু টাকা কিল চাল সঠিক লোক পায় না। সে তো আগেই বলেছি। আবার মাসে ত্রিশ কেজি চাল লাগে রেশনে দেওয়া হচ্ছে বড়ো জোর পনেরো কেজি। বাকি জিনিস পত্রের দাম ২০১০ সালে আলুর দাম ৯ টাকা ১০ টাকা একবার ষোল টাকা হয়ে ছিল আন্দোলনের চোট দেখে কে। আর এখন তিনি ক্ষমতায় কার ঘাড়ে কটা মাথা যে আন্দোলন করে। আলু এখন আঠারো ও চব্বিশ টাকা। আর মাঝ পথে স্কুল ছেড়ে টাকা উপার্জন করতে যাওয়ার মূল কারণ। যতই তুমি সংখ্যালঘু স্কলারশিপ দাও। সে তো বছরে হাজার টাকা, তাও আবেদন করেও টাকা মেলে না। আর এই অলিখিত অর্থনৈতিক জরুরী অবস্থার জন্য দায়ী এই সরকার ও তার অর্থ মন্ত্রী। আর কারখানা তাড়ানো দল। কারণ মানুষের কাছে অর্থ পৌঁছে দেওয়ার একটা মাধ্যম ডিএ দেওয়া সেটা বন্ধ। কারণ ডি. এ. যার পুরো কথা হলো ডিয়ার্নেস এ্যালাউন্সে বাংলা মহার্ঘভাতা বা মূল্য বৃদ্ধি জনিত ভাতা। এই টাকা পেলে সব কর্মী পেলে সে টাকা টা বাড়িতে বা ব্যাঙ্কে রেখে দেবেন না। বাজারে জিনিস পত্র কিনবেন টাকা। বড্ড বেশি লিখে ফেলেছি আর নয়, আমি হয়তো কিছুটা হলেও বোঝাতে পেরেছি যে বিদ্যালয়ে ছাত্র কমে যাওয়ার পিছনে সরকারি নিয়ম দ্বায়ি। কারণ সরকার চাইছেন কারখানার মতো এই সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাক, লোক নিয়োগ করতে হবে না। (আর কী সকলে ভালো থাকুন আর আমার ব্লগ পড়ুন ও মন্তব্য লিখুন )

Saturday, 6 October 2018

একটি গ্রামের কথা ( পলতাগড় গ্রাম)

এই পলতাগড় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবস্থান কিন্তু এই পলতাগড় প্রাথমিক বিদ্যালয় টি ঘনশ্যাম পুরের দক্ষিণ প্রান্তে। পলতাগড় গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পলতাগড় রাধারানী শিক্ষা মন্দির এবং পলতাগড় উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা মন্দির। পলতাগড় গ্রামের মধ্যে সব কিছু আছে সাব পোষ্ট অফিস সাব হেল্থ সেন্টার কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে। এছাড়া রয়েছে পাশেে গ্রামের শ্মশান এবং শ্মশান কালী মাতা মন্দির এবং বহু পূরাণো দুুর্গা মণ্ডপ ও বর্ধমানের মহারাজার দেওয়া শিব মন্দির, কিন্তু তখন জমিদার আমলের গোমস্তা কি সাম চক্রবর্তী শিব ঠাকুর ও তার সমস্ত সম্পত্তি ভোগ দখল করে নিয়েছেন। ওই বাড়ির সামনে ধর্ম ঠাকুরের মন্দির, সেই জায়গা নিজেরা মন্দির করে নিয়ে অর্থাৎ জনগণের সম্পদ আত্মসাৎ করে নিয়েছেন।  এত কিছু থাকতে গ্রাম কিন্তু কসবা হয়ে উঠতে পারেনি। তার একটা কারণ হতে পারে যোগাযোগ এখন কিছুুটা উন্নত হলেও সময়ে কোন অটো রিকশা বা অন্য কোন কিছুর দেেখা মেলা ভার। খেয়াল খুশি চলে যখন তখন বন্ধ করে দেওয়া এদের কাজ।গ্রামের লোকসংখ্যা ভালো। কিন্তু ব্যবস্থা পনা ভালো নয়। বেশির ভাগ শিক্ষিত ভদ্র পরিবার গ্রাম ছেড়ে অন্যত্র বাড়ি করে চলে গেছেন। কারণ গ্রামের বেশিরভাগ মানুষ যুগ যুগ ধরে চুল্লু বা মদ তৈরি করে। এদের আচার আচরন এতটাই খারাপ কোনো ভদ্র সভ্য মানুষ এদের সঙ্গে বসবাস করতে পারবেন না। আমি ও পারিনি, কারণ এদের যারা বলছে বা দেখতে পাচ্ছেন মদ করে না। তাদের কোনো না কোনো পূর্বপুরুষ চুল্লু বা মদ তৈরি করত। যখন প্রথম এই সরকার এলো তখন এরা খুুুব চাপে পড়ে ছিল মনে হলো যাহোক এবার একটু কমে যাবে, কোথায় কী শাসক দল তাদের কে এমন ভাবে পুলিশ চাপ তৈরি করতে শুুর করল যে তারা বর্তমান শাসক দল কে চাঁদা দিতে শুুর করল। আর পুলিশ ও কিছু বলল না যেকে সেই হয়ে গেল। সেই আগের মতোই থানার ডাক মাষ্টাও টাকা তোলে এবং দল ও বিভিন্ন সময়ে চাঁদা তোলে। বেশ আবার কি এরা কেউ লেখাপড়ার ধার ধারে না। তবে এই চুল্লু তে এ্যকোহল কম থাকে বেশির ভাগ টাই জল। একবার একবার ভাবি কল কারখানা নেই কি করবে তবুও কাজ করে খাচ্ছে। আবার ভাবি যে গ্রামে এই মদ তৈরি নেই, সেই গ্রামে কেউ কাজ করে না। জীবন জীবিকা সেখানে থেমে গেছে। আসল তোলা দিয়ে ঘুষ দিয়ে মাত্র ঘন্টা কয়েক কাজ করে ভালো ইনকাম। একটু বুদ্ধি করে চলে অর্থাৎ নিজে ঐ মদ না খেয়ে অপর কে খাইয়ে ও বিক্রি করে ভালো লাভ ওতেই বাড়ি গাড়ি। আর এই চুল্লু বা মদ তৈরির সরঞ্জামের যাার সাপ্লাই দেয় তারাও বাড়ি গাড়ি করে ফেলেছে। সরঞ্জাম মানে ঝোলা এবং বাতিল আখের গুর নিশাদল ঈষ্ট আরও অনেক কিছু। পুলিশ সব জানে সপ্তাহে সপ্তাহে টাকা নিয়ে আসে। শুুধ সরকার পাল্টায় এদের পরিবর্তন এর জোরে এরা শিক্ষা কে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দেয়। আবার আমার এ অভিজ্ঞতা ও আছে এদের মধ্যে যে সকল ছেলে মেয়ে মাধ্যমিক পাশ করেছে। বাম আমলে অনেক ইন্টারভিউ অনেক চাকরির পরীক্ষা দিয়েও ঘুষ দিতে পারেন না বলে সরকারি চাকরি হয় না। যাার এই জিনিস তৈরি করে তাদের বেশির ভাগ বাগদি বা তপশীলি জাতি। এরা লেখা পড়া শিখে যখন ঘুষের টাকা যোগার করতে পারে না বলে চাকরি পায় না। তখন এরা মদ করতে আসে। এটা যেন নিয়মে পরিনত হয়েছে, স্বাধীনতার পর থেকে এই গ্রামের তপশীলি জাতি লেখা পড়া শিখেও ঘুষ দিতে পারে নি বলে চাকরি করতে পায় নি। আর এই সুুযোগে বর্ণ হিন্দু রা এদের দিয়ে এরকম অনেক বে আইনি কাজ করিয়ে নিয়েছে। এদের এই সব কাজের জন্যে সুফল ভোগ করছে বর্ণ হিন্দু রা আজ ধনী ব্যক্তি। সে মানুষ খুন করানো থেকে আর এই মদ করা কোমরে মদের টিউব নিয়ে কলকাতা পৌঁছে দেওয়া আর কত কী? এখন এই বর্ণ হিন্দু মানে ব্রাহ্মণ বাদে তারা পূূজা করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। অনেক বর্ণ হিন্দু এখন এই সব সরঞ্জাম যোগান দেওয়ার কাজ করে। এই মাহিষ্য বা কৈবর্ত্ত জাতি অন্য অংশ শিক্ষিত ভদ্র তাদের উপর অত্যাচার করে যাতে তারা গ্রামে না থাকে। আজ আমার মতো অনেক শিক্ষিত মানুুষ ঐ গ্রাম ছেড়ে চলে গেছে। কী জাানি কবে এসব বন্ধ হবে, কারণ এই গ্রামে চিরকালের মদ এবং সরকারের মদতে কারণ পুলিশ ঘুষ নিয়ে এসব হচ্ছে। সরকার পরিবর্তন হয় কিন্তু সরকারি ব্যবস্থা পরিবর্তন হয় না। 

বর্তমান দিনে শিক্ষকের ভূমিকা।



বর্তমানে বিদ্যালয় সে যে কোন বিদ্যালয় হোক। প্রাথমিক বা উচ্চ মাধ্যমিক বা মাধ্যমিক বিদ্যালয় সে গুলো যেন আজ রেশনের দোকান। ছবি টি আমার এক বন্ধু আমায় পাঠিয়েছে। শিক্ষক হলেন রেশনের দোকান দার। ওখানে সব বলা নেই, যেমন ওখানে নেই এস এস এমের কাজ। বিড়ি শ্রমিকদের বাচ্ছা দের টাকা, সংখ্যা লঘু স্কলারশিপ , পোশাক, আয়রন ও ফলিক বড়ি বিতরণ ও তার হিসেব রাখা। নির্মল বিদ্যালয় পালন ।
স্কুলের তথ্য দিয়ে ডাইস নামক ফর্ম ফিলাপ। দু রকম ক্যাশ বুক একটা স্কুল লেবেল স্পোর্টস। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তো ক্লার্ক কাম শিক্ষক। জুতো সেলাই থেকে চণ্ডি পাট সব করতে হয়। এর উপর আছে পান যদি এক বার পান থেকে চুন খসলে হয়। কপালে নানা দূর্গতির শেষ থাকবে না। যে লোক গুলো কে ওই পদে মানে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে তারা তো মনে হয় জণ্ম গ্রহণ করেন লেখা পড়া শিখে। শিক্ষক দের সামান্য তম সম্মান করে না। এবারে কাগজে পড়লেন ভোটার তালিকা তৈরির কাজ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বলে তাকে কী হেনস্থা করা হলো। সব শিক্ষক সমান আমি বলেছি না, ফাঁকিবাজ চোর সব ধরনের লোকই আছেন। যার বেশির ভাগই শিক্ষকতার কাজে নিয়োগ হয়েছেন, ২০১০ এর পর। যাদের মানসিকতা কী করে চুরি করব কী করে না পড়িয়ে বেতন নেব। আবার দেখুন কী মজার বিষয় এই শিক্ষক রা শিক্ষা রত্ন সম্মানে ভূষিত হয়েছেন আরও বেশি করে। যেমন কদিন আগে কী নেজ যিনি শিক্ষা রত্ন সম্মান পেয়েছেন তিনি নাকি দূর্নীতির সাথে যুক্ত। যদিও বিষয়টা দরপত্র নিয়ে কোনো একজন কে বাদ দিয়ে অন্য আরেক জন কে ঠিক করে দিয়েছেন। কাগজের খবর অনুযায়ী, সব কিছু মানিয়ে নিয়ে শিক্ষকের কাজ শিক্ষা দান করা সেটা কখন হবে। 

প্রতিবাদী হলেই তকমা জোটে মাওবাদী ।

অনলাইন আনন্দ বাজার পত্রিকার ছবি। ( ডেইলি হান্ট)
অনেকেই ভাবছেন এই শিরোনামে অনেকে অনেক বার লিখেছেন, কিন্তু কিছু হয়েছে কী? আমি বলছি না কিছু হয় নি। আজাও সেই ধারা সমানে চলচাছে, আজকের দিনে পশ্চিম বঙ্গের দিকে যদি দেখেন। মানুষ সরকার পরিবর্তন করে দিয়ে ছিল সিঙ্গুর ও নন্দী গ্রামের ঘটনা কে ইলেকট্রনিক মিডিয়ার মন ভরানো রং চড়ান খবর দেখিয়ে দেখিয়ে মানুষ কে বিভ্রান্ত করে যে পরিবর্তন তারা এনেছেন, বুকে হাত দিয়ে বলুন তো এই পরিবর্তন আপনারা চেয়ে ছিলেন। না সাধারণ মানুষ কে বোকা বানিয়ে নিজেদের আখের গুছিয়ে নিতে ঐরকম নাটক করে ছিলেন। ২০০৬ সাল থেকে ২০১১ পর্যন্ত জঙ্গল মহলে কোনো মাওবাদী ছিল না। যে ছত্রধরের বাইকে চেপে ঘুরে বেড়াতেন সে এখন জেলে মাওবাদী বলে জেল বন্দি। আবার দেখুন শশধর সারের মূল্য বৃদ্ধির কারণ জানতে চেয়েছিলেন বলে, তিনি হয়ে গেলেন মাওবাদী। আবার কামদুনির টুম্পা ও মৌসুমী একটি মেয়ের ধর্ষণ ও নির্মম মৃত্যু মেনে নিতে পারেনি প্রতিবাদ করে ছিলেন, তাঁরা হলেন মাওবাদী। তানিয়া ভরদাজ দিয়ে শুরু কোথায় শেষ কেউ জানে না। আরেক একটা বিষয় লক্ষ্য করছি, যারা সে দিন একজন মানুষ মারা গেলে মোমবাতি নিয়ে কোলকাতার রাজ পথে মিছিল করে ফেলতেন। এখন মনে হচ্ছে তাদের মোমবাতি কেনার টাকা পয়সা নেই। আর টিভি চ্যানেল গুলো সেভাবে কোনো প্রচারো নেই। কারণ এখন যে কোন বাংলা নিউজ পোর্টাল খুলুন, দেখবেন প্রতিদিন খুন কাউকে গুলি করে তো কাউ কে পিটিয়ে। তেরো বছরের ছোট ছেলে, ছাত্র খুন আজও কোচবিহারে একজন প্রথম বর্ষের ছাত্র ঘুষ নেওয়ার প্রতিবাদ করে ছিল তাকে পিটিয়ে খুন করে দিয়েছে, ঘুষ নেওয়া ছাত্রের দল। যে সব ছবি মৃতদেহের ছবি আমারা নিউজ চ্যানেলে বা অনলাইন বাংলা নিউজে দেখছি। সে সকল ছবি এতো বিভৎস যে এখানে দিতে পারছি না। আর বাংলা এখন জতুগৃহ, আমরা অস্ত্রের স্তুপের উপর দাঁড়িয়ে আছি। বড় মেজ ছোট সব নেতাদের কাছে অস্ত্র আছে, আর তারা যদি শাশক দলের হন তাহলে তো কথাই নেই।
এই যে ছবি দেখছেন, কিছু দিন আগে একটা অনলাইন খবরের কাগজে বেড়িয়ে ছিল। এই তাজা বোমা গুলো কোনো স্কুলের পিছনে ফেলে রেখে দিয়ে ছিল। কে বা কারা রেখেছে খোঁজ নেই, পুলিশ উদ্ধার করেছে। আরেকটা ছবি দিচ্ছি দেখুন যে অস্ত্র গুলো আজ উদ্ধার হয়েছে।
এই ছবি টি অনলাইনে বাংলা আজকের খবরের কাগজে বেড়িয়েছে । মালদা জেলার একটি জায়গা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে, কোনো এক অস্ত্র কারখানা থেকে । কোথায় বাস করছি আমরা, বারুদের স্তুপে! 
এরকম ঘটনা প্রতিদিন অনেক ঘটছে কটা খবরে আসছে। আবার সারা ভারত বর্ষের বিভিন্ন প্রান্তে ঘটনা ঘটে চলেছে। আর এখন যে ভাবেই প্রতিবাদ হোক মাওবাদী তকমা লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আপনি যদি লিখেও প্রতিবাদ করতে শুরু করেন তাহলেও আপনার কপালে জুটবে মাওবাদী তকমা  এখন আবার নতুন নাম করণ হয়েছে, শহুরে মাওবাদী। 
এই শহুরে মাওবাদী তাহলে কারা যারা বিভিন্ন অন্যায়ের প্রতিবাদ করে আসছে তারা। আজ যারা ক্ষমতায় আছে এক সময় তাদের হয়ে যে সব মহান বুদ্ধি জীবি তথা আখের গোছানোর জীবি এখন চুপচাপ। এখন আর বাচ্চা শিশুর মৃত্যু কিম্বা ছাত্রের মৃত্যু অথবা ধর্ষণ করে খুন। সে বাচ্ছা শিশু কন্যা থেকে শুরু ষাট বছরের বৃদ্ধা কেউ তো বাকি নেই তালিকায়। এদিকে দেখুন সারদা নারদা রোজভ্যালীর এমপিএস গ্রীনারী ।আই কোর এর প্রতিটা সঙ্গে শাসক দলের কোনও কোন নেতা মন্ত্রী জড়িত। আর কেন্দ্র সরকার সি বি আই তদন্তের নামে প্রহশন করছে। রাজ্যের মাথা যখন বলে দিয়েছে, যা গেছে তা যাক আমি আর আমার দল চুরি করে খেয়েছি। কোটি টাকার ঝাড়বাতি লাগিয়ে ছি, রারিং সিঁড়ি লাগিয়ে ছি ।জনগণের টাকায় জনগনকে বোকা বানাই। দু টাকা কিলো চাল কত পশ্চিমবঙ্গের মানুষের কাছে ধোঁকা। কারা পাচ্ছে রেলের চাকুরি করে সেই পরিবার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পরিবার। সত্যি কার যারা পাবার কথা তারা বাধ। তারা পাচ্ছেন তেরো টাকা কিলো চাল। আবার অনেকে পাচ্ছে না। আমি চাকুরি করি আলাদা বাড়ি করে চলে গেছি। আমার বোনের বিধবা বাবার বাড়িতে থাকে। সে পড়ের বাড়িতে কাজ করে তার পাওয়ার কথা। আবার আমি একজন সাধারণ মানুষ কে চিনি যিনি যিনি আশি বছর বয়সে কলকাতা থেকে মাল এনে দোকানে দোকানে দিয়ে খাবার জোটে। তার তেরো টাকা কিলো চাল। আবার তিনি বার্ধক্য ভাতা পেতেন সেটাও বাধ। আর এর সঙ্গে আছে শাশক দলের নেতাদের কারসাজি কিছু বললই
 চুপ আগেও হয়েছে। আরে আগে হয়েছে বলেই তো মানুষ পরিবর্তন করেছে। না হলে তোরা কী করে জিতে এলি? লিখে শেষ করা যাবে না। পরে আবার লিখব নির্বাচনে কী ভাবে জয়ী হয় শাসক দল। আপনারা সকলে ভালো থাকুন আমার লেখা পড়ুন মন্তব্য করুণ ।











Thursday, 4 October 2018

যার যেমন জণ্ম কর্ম তার তেমন ভাবেই পালন।

২ রা অক্টোবর কংগ্রেসের গান্ধীর জণ্ম দিন পালন করছে কংগ্রেস। অনলাইন আনন্দ বাজার পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে খবর টি। সাংবাদিক লিখেছেন গান্ধীর জণ্ম দিন পালন অনুষ্ঠানে কংগ্রেস কর্মীদের উদ্দ্যাম নৃৃত্য ।
আমার মনে হয় কংগ্রেস কর্মীদের দোষ নেই, যে যেমন তার জণ্ম দিন সেভাবে পালন করা উচিত কিনা বলুন? মনে করুন চোরের জণ্ম, কেমন করে পালন করবেন। এরা মানে এই গান্ধী নামক প্রাণী টির জন্য দেশের আজ এই অবস্থা। ও নিজে কে সবচেয়ে জ্ঞানী মনে করতেন। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে বিতাড়িত হয়ে ভারতের সর্বনাশ করতে এলেন। আচ্ছা সকলে একবার ভাবুন কংগ্রেস মানে সভা এই সভার প্রতিষ্ঠাতা কে? একজন ইংরেজ অক্টোভিয়ান হিউম, একজন ইংরেজের তৈরি প্রতিষ্ঠান ইংরেজের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে দেবে। ঐ আবেদন নিবেদন করা যায়, ঐ সাহেব সেটা করতে ঐ কংগ্রেস তৈরি করে ছিলেন। আর এই গান্ধী নামক যন্ত্র দেশে ফেরত এসে শুরু করলেন ইংরেজ তথা ব্রিটিশদের দালালি। অসহযোগ আন্দোলন চলছে ব্রিটিশ সরকার কোন ঠাসা চৌরিচোরায় কী ঘটেছিল থানায় আগুন দিয়ে ছিল কাদের থানা ইংরেজের সাদা চামড়ার পুলিশ কালা আদমী বলে চাবগা তো সেই পুলিশ। বেশ আর যায় কোথায় তিনি বলেন আমি আর এ আন্দোলন চাই না। অনেক লোক বসে গেল, আন্দোলনে ভাটা পড়ল। ইংরেজ রাজ স্বত্ত্বি পেল, ঐ নীতি তোমার এক গালে চড় মেরেছে আর এক পেতে দাও। প্রতি মুহূর্তে ব্রিটিশ কে সাহায্য করে গেছে ওর সিদ্ধান্ত।ব্রিটিশদের দালাল নিজেকে মহাপুরুষ বলে ভাবত,। দেশের স্বাধীনতা এল হিটলার ও সুভাষ চন্দ্র বোসের চেষ্টায়। আরেক জন পাঁঠা লর্ড মাউন্ট ব্যাটনের বউ এর সঙ্গে - - সেই  এসে নাটক করে দেশের এই যনতরের সঙ্গে হাত মিলিয়ে নকল স্বাধীনতা সংগ্রামী সেজে দেশ ভাগ করে গদীতে বসে পড়ল। কেন জেলে যেতে হতো এক ছিল লোক কে দেখাতে হবে, আর ছিল যদি জনগণ মেরে দেয়। এই ভয়ে জেলে গিয়ে বসে থাকতো। এরা প্রচারের উদ্দেশ্যে নিজেদের নাম যাতে থাকে তার জন্যে জণ্ম দিন গুলো এক একটা নাম দিয়েছে। আমার তো মনে হচ্ছে কংগ্রেসের কর্মীরা সঠিক ভাবে ইংরেজের দালালদের জণ্ম দিন পালন করেছে। এত দিনে বুঝতে পেরেছ আসল রূপ। কারণ স্বাধীনতার পর দেশের মানুষ যাতে লেখা পড়া না শেখে তার ব্যবস্থা করে দিয়ে ছিল। মাউন্ট ব্যাটনের বউ এর ড্যাশ। লেখা পড়া শিখলে জেনে যাবে আসল ইতিহাস কী? একজন বাঙালির কংগ্রেস নামক দল থেকে শত হস্ত দূরে থাকা উচিত। কংগ্রেসের কর্মীরা ঠিক করেছে যার যেমন প্রাপ্য সম্মান তাকে সেটা দিয়েছে। অশেষ ধন্যবাদ তোমাদের ভাই সকলে ভালো থেকো। 

প্রিয় জঙ্গল মহল।

(আগেই বলেছি ছবি পেয়েছি আনন্দ বাজার পত্রিকায়) আর একটা কথা , আমি কবিতা গল্প লিখতে জানি না। তাই হয়তো আমার লেখা পড়ে কারো ভালো লাগবে না। সেই কারণেই আমার লেখায় কমেন্ট নেই। আমি কবি নই তবুও চেষ্টা করছি কবিতা লেখার ভুু হলে নিজ গুনে ক্ষমা করে দেবেন।
জঙ্গল মহলে ছিল না, কোনো মাওবাদী।
২০০৬ থেকে ২০১১ সাল অবধি, 
ছিল হার্মাদ দস্যু সি পি এম মার্কসবাদী। 
ছত্রধরের মোটরবাইক এর পিছনে, 
ঘুরতাম আমি, যেতাম যখন ওখানে। 
সাথে আমার থাকত তখন আমের ফুল, 
জনগণ কে বানিয়ে ছি বেয়াকুব বিলকুল। 
তখন বলেছিলাম নন্দী গ্রামে গুলি করে 
হার্মাদ দস্যু শাসক সি পি এম দল বর্বরে। 
তাই তো নন্দী গ্রামের সি বি আই দলের, 
সে রিপোর্ট চলে গেছে, ঠান্ডা ঘরে চিরতরে। 
কারণ আমি একমাত্র আছি সত্যবাদী, 
বাকিরা সবাই এক একজন পাকা মিথ্যাবাদী। 
আকাশে বাতাসে ভেসে বেড়াছিল গুঞ্জন, 
বাংলায় এবার হবেই হবে পরিবর্তন। 
হায় হায় স্নেহের ভাই মাহাতো ছত্রধর, 
কি হলো ২০১১ সালের জুনের পর। 
তোমার বাস এখনো যে সেই শ্রী ঘর। 
তুমি হলে সেরার সেরা মাওবাদী, 
অন্যায়ের প্রতিবাদ তুমি করছ যদি। 
জিজ্ঞেস করছ কেন সারের মূল্য বৃদ্ধি। 
তুমি হবেই হবে সঠিক মাওবাদী। 
আমি খুব ভালো কাজের কাজী। 
কাজ ফুরলে হবেই হবে কিষেনজি। 
এখন দেখি জঙ্গল মহল হল প্রতিবাদী, 
আমি ঠিক জানি, এরাই তো মাওবাদী। 
শুনুন না দিল্লির বাবু জি রাজনাথ। 
তুলবেন না ওখান থেকে সেনা বাহিনীর হাত। 
২০০৬ থেকে ২০০৯ বলেছি আমি বার বার, 
সেনা বাহিনী করতে প্রত্যাহার। 
সেদিন কথা শোনেনি কেউ ই আমার, 
তখন আমার দরকার ছিল গদি 
সেদিন ছিলো না কোন মাওবাদী। 
আমি পৃথিবীর সেরা সৎ ও সত্যবাদী।