অনলাইন আনন্দ বাজার পত্রিকার ছবি। ( ডেইলি হান্ট)
অনেকেই ভাবছেন এই শিরোনামে অনেকে অনেক বার লিখেছেন, কিন্তু কিছু হয়েছে কী? আমি বলছি না কিছু হয় নি। আজাও সেই ধারা সমানে চলচাছে, আজকের দিনে পশ্চিম বঙ্গের দিকে যদি দেখেন। মানুষ সরকার পরিবর্তন করে দিয়ে ছিল সিঙ্গুর ও নন্দী গ্রামের ঘটনা কে ইলেকট্রনিক মিডিয়ার মন ভরানো রং চড়ান খবর দেখিয়ে দেখিয়ে মানুষ কে বিভ্রান্ত করে যে পরিবর্তন তারা এনেছেন, বুকে হাত দিয়ে বলুন তো এই পরিবর্তন আপনারা চেয়ে ছিলেন। না সাধারণ মানুষ কে বোকা বানিয়ে নিজেদের আখের গুছিয়ে নিতে ঐরকম নাটক করে ছিলেন। ২০০৬ সাল থেকে ২০১১ পর্যন্ত জঙ্গল মহলে কোনো মাওবাদী ছিল না। যে ছত্রধরের বাইকে চেপে ঘুরে বেড়াতেন সে এখন জেলে মাওবাদী বলে জেল বন্দি। আবার দেখুন শশধর সারের মূল্য বৃদ্ধির কারণ জানতে চেয়েছিলেন বলে, তিনি হয়ে গেলেন মাওবাদী। আবার কামদুনির টুম্পা ও মৌসুমী একটি মেয়ের ধর্ষণ ও নির্মম মৃত্যু মেনে নিতে পারেনি প্রতিবাদ করে ছিলেন, তাঁরা হলেন মাওবাদী। তানিয়া ভরদাজ দিয়ে শুরু কোথায় শেষ কেউ জানে না। আরেক একটা বিষয় লক্ষ্য করছি, যারা সে দিন একজন মানুষ মারা গেলে মোমবাতি নিয়ে কোলকাতার রাজ পথে মিছিল করে ফেলতেন। এখন মনে হচ্ছে তাদের মোমবাতি কেনার টাকা পয়সা নেই। আর টিভি চ্যানেল গুলো সেভাবে কোনো প্রচারো নেই। কারণ এখন যে কোন বাংলা নিউজ পোর্টাল খুলুন, দেখবেন প্রতিদিন খুন কাউকে গুলি করে তো কাউ কে পিটিয়ে। তেরো বছরের ছোট ছেলে, ছাত্র খুন আজও কোচবিহারে একজন প্রথম বর্ষের ছাত্র ঘুষ নেওয়ার প্রতিবাদ করে ছিল তাকে পিটিয়ে খুন করে দিয়েছে, ঘুষ নেওয়া ছাত্রের দল। যে সব ছবি মৃতদেহের ছবি আমারা নিউজ চ্যানেলে বা অনলাইন বাংলা নিউজে দেখছি। সে সকল ছবি এতো বিভৎস যে এখানে দিতে পারছি না। আর বাংলা এখন জতুগৃহ, আমরা অস্ত্রের স্তুপের উপর দাঁড়িয়ে আছি। বড় মেজ ছোট সব নেতাদের কাছে অস্ত্র আছে, আর তারা যদি শাশক দলের হন তাহলে তো কথাই নেই।
এই যে ছবি দেখছেন, কিছু দিন আগে একটা অনলাইন খবরের কাগজে বেড়িয়ে ছিল। এই তাজা বোমা গুলো কোনো স্কুলের পিছনে ফেলে রেখে দিয়ে ছিল। কে বা কারা রেখেছে খোঁজ নেই, পুলিশ উদ্ধার করেছে। আরেকটা ছবি দিচ্ছি দেখুন যে অস্ত্র গুলো আজ উদ্ধার হয়েছে।
এই ছবি টি অনলাইনে বাংলা আজকের খবরের কাগজে বেড়িয়েছে । মালদা জেলার একটি জায়গা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে, কোনো এক অস্ত্র কারখানা থেকে । কোথায় বাস করছি আমরা, বারুদের স্তুপে!
এরকম ঘটনা প্রতিদিন অনেক ঘটছে কটা খবরে আসছে। আবার সারা ভারত বর্ষের বিভিন্ন প্রান্তে ঘটনা ঘটে চলেছে। আর এখন যে ভাবেই প্রতিবাদ হোক মাওবাদী তকমা লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আপনি যদি লিখেও প্রতিবাদ করতে শুরু করেন তাহলেও আপনার কপালে জুটবে মাওবাদী তকমা এখন আবার নতুন নাম করণ হয়েছে, শহুরে মাওবাদী।
এই শহুরে মাওবাদী তাহলে কারা যারা বিভিন্ন অন্যায়ের প্রতিবাদ করে আসছে তারা। আজ যারা ক্ষমতায় আছে এক সময় তাদের হয়ে যে সব মহান বুদ্ধি জীবি তথা আখের গোছানোর জীবি এখন চুপচাপ। এখন আর বাচ্চা শিশুর মৃত্যু কিম্বা ছাত্রের মৃত্যু অথবা ধর্ষণ করে খুন। সে বাচ্ছা শিশু কন্যা থেকে শুরু ষাট বছরের বৃদ্ধা কেউ তো বাকি নেই তালিকায়। এদিকে দেখুন সারদা নারদা রোজভ্যালীর এমপিএস গ্রীনারী ।আই কোর এর প্রতিটা সঙ্গে শাসক দলের কোনও কোন নেতা মন্ত্রী জড়িত। আর কেন্দ্র সরকার সি বি আই তদন্তের নামে প্রহশন করছে। রাজ্যের মাথা যখন বলে দিয়েছে, যা গেছে তা যাক আমি আর আমার দল চুরি করে খেয়েছি। কোটি টাকার ঝাড়বাতি লাগিয়ে ছি, রারিং সিঁড়ি লাগিয়ে ছি ।জনগণের টাকায় জনগনকে বোকা বানাই। দু টাকা কিলো চাল কত পশ্চিমবঙ্গের মানুষের কাছে ধোঁকা। কারা পাচ্ছে রেলের চাকুরি করে সেই পরিবার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পরিবার। সত্যি কার যারা পাবার কথা তারা বাধ। তারা পাচ্ছেন তেরো টাকা কিলো চাল। আবার অনেকে পাচ্ছে না। আমি চাকুরি করি আলাদা বাড়ি করে চলে গেছি। আমার বোনের বিধবা বাবার বাড়িতে থাকে। সে পড়ের বাড়িতে কাজ করে তার পাওয়ার কথা। আবার আমি একজন সাধারণ মানুষ কে চিনি যিনি যিনি আশি বছর বয়সে কলকাতা থেকে মাল এনে দোকানে দোকানে দিয়ে খাবার জোটে। তার তেরো টাকা কিলো চাল। আবার তিনি বার্ধক্য ভাতা পেতেন সেটাও বাধ। আর এর সঙ্গে আছে শাশক দলের নেতাদের কারসাজি কিছু বললই
চুপ আগেও হয়েছে। আরে আগে হয়েছে বলেই তো মানুষ পরিবর্তন করেছে। না হলে তোরা কী করে জিতে এলি? লিখে শেষ করা যাবে না। পরে আবার লিখব নির্বাচনে কী ভাবে জয়ী হয় শাসক দল। আপনারা সকলে ভালো থাকুন আমার লেখা পড়ুন মন্তব্য করুণ ।
No comments:
Post a Comment