Saturday, 6 October 2018

একটি গ্রামের কথা ( পলতাগড় গ্রাম)

এই পলতাগড় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবস্থান কিন্তু এই পলতাগড় প্রাথমিক বিদ্যালয় টি ঘনশ্যাম পুরের দক্ষিণ প্রান্তে। পলতাগড় গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পলতাগড় রাধারানী শিক্ষা মন্দির এবং পলতাগড় উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা মন্দির। পলতাগড় গ্রামের মধ্যে সব কিছু আছে সাব পোষ্ট অফিস সাব হেল্থ সেন্টার কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে। এছাড়া রয়েছে পাশেে গ্রামের শ্মশান এবং শ্মশান কালী মাতা মন্দির এবং বহু পূরাণো দুুর্গা মণ্ডপ ও বর্ধমানের মহারাজার দেওয়া শিব মন্দির, কিন্তু তখন জমিদার আমলের গোমস্তা কি সাম চক্রবর্তী শিব ঠাকুর ও তার সমস্ত সম্পত্তি ভোগ দখল করে নিয়েছেন। ওই বাড়ির সামনে ধর্ম ঠাকুরের মন্দির, সেই জায়গা নিজেরা মন্দির করে নিয়ে অর্থাৎ জনগণের সম্পদ আত্মসাৎ করে নিয়েছেন।  এত কিছু থাকতে গ্রাম কিন্তু কসবা হয়ে উঠতে পারেনি। তার একটা কারণ হতে পারে যোগাযোগ এখন কিছুুটা উন্নত হলেও সময়ে কোন অটো রিকশা বা অন্য কোন কিছুর দেেখা মেলা ভার। খেয়াল খুশি চলে যখন তখন বন্ধ করে দেওয়া এদের কাজ।গ্রামের লোকসংখ্যা ভালো। কিন্তু ব্যবস্থা পনা ভালো নয়। বেশির ভাগ শিক্ষিত ভদ্র পরিবার গ্রাম ছেড়ে অন্যত্র বাড়ি করে চলে গেছেন। কারণ গ্রামের বেশিরভাগ মানুষ যুগ যুগ ধরে চুল্লু বা মদ তৈরি করে। এদের আচার আচরন এতটাই খারাপ কোনো ভদ্র সভ্য মানুষ এদের সঙ্গে বসবাস করতে পারবেন না। আমি ও পারিনি, কারণ এদের যারা বলছে বা দেখতে পাচ্ছেন মদ করে না। তাদের কোনো না কোনো পূর্বপুরুষ চুল্লু বা মদ তৈরি করত। যখন প্রথম এই সরকার এলো তখন এরা খুুুব চাপে পড়ে ছিল মনে হলো যাহোক এবার একটু কমে যাবে, কোথায় কী শাসক দল তাদের কে এমন ভাবে পুলিশ চাপ তৈরি করতে শুুর করল যে তারা বর্তমান শাসক দল কে চাঁদা দিতে শুুর করল। আর পুলিশ ও কিছু বলল না যেকে সেই হয়ে গেল। সেই আগের মতোই থানার ডাক মাষ্টাও টাকা তোলে এবং দল ও বিভিন্ন সময়ে চাঁদা তোলে। বেশ আবার কি এরা কেউ লেখাপড়ার ধার ধারে না। তবে এই চুল্লু তে এ্যকোহল কম থাকে বেশির ভাগ টাই জল। একবার একবার ভাবি কল কারখানা নেই কি করবে তবুও কাজ করে খাচ্ছে। আবার ভাবি যে গ্রামে এই মদ তৈরি নেই, সেই গ্রামে কেউ কাজ করে না। জীবন জীবিকা সেখানে থেমে গেছে। আসল তোলা দিয়ে ঘুষ দিয়ে মাত্র ঘন্টা কয়েক কাজ করে ভালো ইনকাম। একটু বুদ্ধি করে চলে অর্থাৎ নিজে ঐ মদ না খেয়ে অপর কে খাইয়ে ও বিক্রি করে ভালো লাভ ওতেই বাড়ি গাড়ি। আর এই চুল্লু বা মদ তৈরির সরঞ্জামের যাার সাপ্লাই দেয় তারাও বাড়ি গাড়ি করে ফেলেছে। সরঞ্জাম মানে ঝোলা এবং বাতিল আখের গুর নিশাদল ঈষ্ট আরও অনেক কিছু। পুলিশ সব জানে সপ্তাহে সপ্তাহে টাকা নিয়ে আসে। শুুধ সরকার পাল্টায় এদের পরিবর্তন এর জোরে এরা শিক্ষা কে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দেয়। আবার আমার এ অভিজ্ঞতা ও আছে এদের মধ্যে যে সকল ছেলে মেয়ে মাধ্যমিক পাশ করেছে। বাম আমলে অনেক ইন্টারভিউ অনেক চাকরির পরীক্ষা দিয়েও ঘুষ দিতে পারেন না বলে সরকারি চাকরি হয় না। যাার এই জিনিস তৈরি করে তাদের বেশির ভাগ বাগদি বা তপশীলি জাতি। এরা লেখা পড়া শিখে যখন ঘুষের টাকা যোগার করতে পারে না বলে চাকরি পায় না। তখন এরা মদ করতে আসে। এটা যেন নিয়মে পরিনত হয়েছে, স্বাধীনতার পর থেকে এই গ্রামের তপশীলি জাতি লেখা পড়া শিখেও ঘুষ দিতে পারে নি বলে চাকরি করতে পায় নি। আর এই সুুযোগে বর্ণ হিন্দু রা এদের দিয়ে এরকম অনেক বে আইনি কাজ করিয়ে নিয়েছে। এদের এই সব কাজের জন্যে সুফল ভোগ করছে বর্ণ হিন্দু রা আজ ধনী ব্যক্তি। সে মানুষ খুন করানো থেকে আর এই মদ করা কোমরে মদের টিউব নিয়ে কলকাতা পৌঁছে দেওয়া আর কত কী? এখন এই বর্ণ হিন্দু মানে ব্রাহ্মণ বাদে তারা পূূজা করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। অনেক বর্ণ হিন্দু এখন এই সব সরঞ্জাম যোগান দেওয়ার কাজ করে। এই মাহিষ্য বা কৈবর্ত্ত জাতি অন্য অংশ শিক্ষিত ভদ্র তাদের উপর অত্যাচার করে যাতে তারা গ্রামে না থাকে। আজ আমার মতো অনেক শিক্ষিত মানুুষ ঐ গ্রাম ছেড়ে চলে গেছে। কী জাানি কবে এসব বন্ধ হবে, কারণ এই গ্রামে চিরকালের মদ এবং সরকারের মদতে কারণ পুলিশ ঘুষ নিয়ে এসব হচ্ছে। সরকার পরিবর্তন হয় কিন্তু সরকারি ব্যবস্থা পরিবর্তন হয় না। 

No comments:

Post a Comment