Friday, 20 September 2019

মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী তথা আমাদের প্রিয় দিদি কে অসংখ্য ধন্যবাদ।

আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা আমাদের প্রিয় দিদি দিল্লি থেকে ফিরে এসে জানিয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গে NRC হচ্ছে না, অযথা আতঙ্কিত হবেন না, সরকারি যে কাজ গুলো চলছে যেমন রেশন কার্ড সংশোধন ও ভোটার তালিকা তৈরি ঐ কাজ গুলো করে ফেলুন। দিদর উপর ভরসা রেখে বলছি যাদের পুরাতন রেশন কার্ড জমা দিয়েছে নতুন কার্ড পাওয়ার জন্য এখনও পাইনি তাদের জন্যে কি ব্যবস্থা আছে, রেশনের জিনিস দরকার নেই কিন্তু ডিজিটাল কার্ডের জন্য নিজের পুরাতন কার্ড ও আধার কার্ডের জেরক্স সমেত জমা নেওয়া হয়েছে, আজ ছ মাসের উপর এখনও পর্যন্ত কোনও কার্ড পায় নি। আমিও আবেদন করেছিলাম কিন্তু দুর্ভাগ্য এখনও পর্যন্ত কোনও কার্ড ঝোটেনি আদৌ পাব কিনা জানি না। কারণ আমার কাছে কোন প্রমাণ নেই আবেদনের আমার কার্ড গেল নতুন পেলাম না পুরনো সেটাও জমা নিয়ে নেওয়া হয়েছে। আপনি এই লেখাটা পড়বেন কিনা জানি না, তবুও লিখছি। 

Saturday, 10 August 2019

বিলম্বে বোধদোয়।

পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা হয়ে প্রথম মাথা হেঁট হয়ে গিয়েছিল, যখন 2013 সালে সামনে এসে ছিল। সারদা চিটফাণ্ডের মাধ্যমে গরীব মানুষের কয়েক হাজার কোটি টাকা লুঠ করে নেওয়া হয়েছে। কারা জড়িত না বড়ো বড়ো সব রাজনৈতিক দলের নেতা মন্ত্রী দূর্ভাগ্য বশত তারা শাসক দলের। 2013 আগে পর্যন্ত আমি অন্তত গর্ব করে বলেছি, বিভিন্ন রাজ্যের নেতা মন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় সরকারের কিছু ক্ষেত্রে বড়ো সর কেলেঙ্কারি যার জন্য এক সময় আমাদের মুখ্যমন্ত্রী বাজপেয়ী মন্ত্রী সভা ছেড়ে চলে এসেছিলেন। তিনি তখন বলেছিলেন, মন্ত্রীত্ব তার কাছে 40 টাকার হাওয়াই চটি, সেই নেত্রী অনেক জঙ্গী আন্দোলন করে এবং সিঙ্গুর থেকে টাটা কে তাড়িয়ে মিথ্যে বলে, 2011 সালে ক্ষমতায় এলেন আর 2013 সালে। ভারত তথা বিশ্বের কাছে, বাঙালির মাথা হেঁট হয়ে গিয়েছিল বাঙালি নেতা মন্ত্রীরা চোর। কারণ এর আগে স্বাধীনতার পর থেকে পশ্চিমবঙ্গের কোন সরকারের কোন নেতা মন্ত্রী চুরির দায়ে জেলে যায়নি। আমাদের বর্তমান শাসক দলের সাথে সেই সময় অনেক অভিনেতা অভিনেত্রী ঘুরে বেড়াতেন। মুম্বই এরও বেশ কিছু অভিনেতা অভিনেত্রী এই দলের কাজ কর্মে জড়িয়ে পড়েন। আমাদের রাজ্যের টালিগঞ্জ অভিনেত্রী শতাব্দী রায় তার মধ্যে একজন, আরেক অভিনেতা জেল খেটে এসেছেন, তার নাম নিতে চাই না। তার মুখের ভাষা ভালো নয়, বর্তমানে সিনেমা সিরিয়ালে কোন কাজ নেই, অনেক অভিনেতা অভিনেত্রী এ ভাবে টাকা রোজগার করতে নাম লেখাছেন। আমি এখনো পর্যন্ত এদের টেলিভিশন চ্যানেলে কোন সিনেমা দিলে বা মুখ দেখালে বন্ধ করে দিই। কারণ এরা চোরের দল থেকে ভোটে নির্বাচিত, বাঙালির এত অধঃপতন আমি ভাবতে পারি না। আমি জানি এই বাঙালি জাতি এক সময় স্বাধীনতার জন্যে গোটা ভারত বর্ষ কে নেতৃত্ব দিয়েছেন। এটাও এই বাঙালি জাতির মধ্যে অনেক বেইমান ছিল, যারা ব্রিটিশদের চর হিসেবে কাজ করে টাকা উপার্জন করত। আমার মনে হয় এখন তাদের বংশধর বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে শাসন করছে। জনগণের কয়েক হাজার কোটি টাকা লুঠ করে বেমালুম বলে দিতে পারেন যা গেছে তা যাক, কত গরীবের চোখের জল বেশ কয়েক জন তো আত্মহত্যা করে ফেলেছেন। আবার এই টাকা ফেরত দিতে শ্যামল সেন কমিটি পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দাদের বেশি করে সিগারেট খেতে বলা। শ্যামল সেন কমিটির চেক কয়েক জন পেল যাদের বেশি টাকা তারা বাদ, অনেকে চেক আর পেল না। তারপর একে একে সামনে আসতে থাকে আরও নানা চিটফাণ্ড কেলেঙ্কারি, আরও কয়েক লক্ষ হাজার কোটি টাকা হজম করে ফেলেছে এরা। অদৃষ্টের নির্মম পরিহাস, যারা টাকা তুলে দিল বা টাকা তুলতে সাহায্য করল তারা জেলে, আর যারা টাকা হজম করলে তারা জেলের বাইরে। চোরের উপর বাটপারি করা হয়েছে। যা হোক এর আগেও মিঠুন চক্রবর্তী তার বোধহয় হয়ে ছিল, তিনি তার নেওয়া পারিশ্রমিক ফিরিয়ে দিয়ে ছিলেন। এবার আরেক জন, নাম নিচ্ছি না, উপরে ছবি দেওয়া আছে। আর এই ই ডি ও সি বি আই নামক সংস্থার তো কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে এরা আনন্দ পায় বাঙালির বিপর্যয় দেখলে। এদের কাছে টাকা ফেরত দিলে জানি না সাধারণ মানুষ সেই আর কোন দিন ফেরত পাবেন কি না! এরা তদন্ত করে না মানুষ কে নিয়ে মজা করে এই কিছুদিন আগে এক অফিসার কে ঘুষ নেওয়ার জন্য সরিয়ে দেওয়া হল। যা এই ঘুষ খোর দের ভরসা তেই আমাদের থাকতে হবে। তবুও তো বিলম্বে বোধদোয় হলো। 

Tuesday, 6 August 2019

তোরা যে যা বলিস ভাই, আমার কোনো বদল নাই।

সরকারি কর্মীরা ডিএ মামলায় স্যাটে জিতেছে, রায়ের কপি সরকারের কাছে দেওয়া হয়েছে। পে কমিশন তো সে তো এই আর মনে হয় দিনের আলো দেখবে না। এই সরকার যত দিন থাকবে পে কমিশন সে স্বপ্ন হয়ে থেকে যাবে। যদি বা ডিএ মামলায় স্যাটে জয় লাভ করে আশার আলো দেখতে পেয়েছেন। সে আশায় বালি সরকার জন গনের করের টাকায় উচ্চ আদালতে যাওয়ার পথে। তবে এটাও ঠিক সরকারি কর্মীরা এটা জানত এ সরকার কর্মচারী মারা সরকার। কর্মীদের বেতন কম দিয়ে পারলে না দিয়ে 'উৎসব আনন্দে খরচ করা, দান খয়রাতি করা তাহলেই ভোটে জেতা যাবে। অমিত মিত্র মতো অর্থ মন্ত্রী যত দিন থাকবে ততদিন এই রাজ্যের কর্মীদের বেতন পাওয়া মুশকিল আছে। নিজেদের বেতন বৃদ্ধি করতে কমিশন গঠন করতে হয় টপাটপ বৃদ্ধি হয়ে যায়। আর কর্মী দের সময় কেবল কাজ করে যাও টাকা নেই, দেব কোথা থেকে। নতুন একটা বিষয় শুরু হয়েছে, দিদি কে বল আরে বলে কি লাভ, উল্টে ক্ষতি হবে। সাধারণ মানুষ কে বলছি, এই সরকার বেকার দের চাকরি দেয় না। টাকা খরচের ভয়, কেবল কাগজে কলমে বিজ্ঞাপন বা বিজ্ঞপ্তিতে ভর্তি চাকরির আবেদন করার জন্য। বেকার ছেলে মেয়ে দের থেকে পরীক্ষা ফি বাবদ মোটা টাকা তোলার জন্য। খুব সাবধান চরম মিথ্যে বাদী জোরচোর তোলা বাজ কাট মানি খোর সরকার এ রাজ্যে এসেছে। কচি কচি বাচ্ছার খাদ্যের টাকা, তাদের পোষাকের টাকা কোনো কিছুতেই কাট মানি বন্ধ নেই। জন সংযোগের নামে সাধারণ মানুষের অবস্থান জেনে নিয়ে, তাকে আরও কি করে বিপাকে ফেলতে পারে তার পরি কল্পনা করা এদের কাজ। দেখছেন না সরকারি কর্মীদের হাতে না মেরে ভাতে মারছে। কোটি কোটি টাকা মামলা দায়ের করতে খরচ তবু ডিএ দেওয়া হবে না। বেতন কমিশন সে কোথায় নিরুদ্দেশ হয়ে গেছে, খুঁজে আনতে হবে। ধন্যবাদ দিদি আপনি বেঁচে থাকুন আরও কোটি কোটি টাকার মালিক হয়ে যান। 

Sunday, 14 July 2019

এ সরকার সত্যি "অনশন" কি বোঝে!


এক মাত্র বামপন্থীরা পারে সঠিক পথ দেখাতে ।

একমাত্র বামপন্থীরা পারে সঠিক পথ দেখাতে, তাই যে কোন নির্বাচন যদি সঠিক ভাবে পরিচালিত হয়, সেখানে বামেদের জয় নিশ্চিত। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে একটি নির্বাচন ও সঠিক ভাবে বিনা রক্ত পাতে হয়নি। বামপন্থীরা যেতে কারণ তারা দুর্নীতি গ্রস্থ নয়, এবং সর্বোপরি তারা শ্রমিক কর্মচারী দের নিয়ে নিতী নির্ধারণ করে এসেছে। কিছু দূর্নীতি গ্রস্থ মানুষ বামপন্থী দের সাথে মিশে, বামেদের বদনাম করে, 2011 সালে ক্ষমতায় আসতে দেয়নি। যে সব মানুষ এসব করে ছিল, তারা এখন কাট মানির দলে, কে কত খেতে পার বা লুটে নিতে পার তার প্রতিযোগিতা চলছে। ইচ্ছা হলে সাধারণ মানুষের দিকে একটু রুটি ছুঁড়ে দিচ্ছে, খুব ঘেউ ঘেউ করলে ডিএ জুটছে, যারা সেদিন মহাকরণ ভাঙচুর করে ছিল ডিএর জন্য, তারা এখন চুপ, আর শিক্ষকের কথা সে তো তথৈবচ, সে যে স্তরের শিক্ষক হোন না কেন, কেউ রেহাই পাচ্ছে না। একমাত্র শাসক দলে নাম লেখালে, এবং হীরক দেশের রাজা সিনেমার মতো, শ্রমিকদের বেতন নেই, শিক্ষকের পড়াবার অধিকার নেই, কেবল মি ডে মিল খাওয়া হলো কিনা তার হিসেব করা। আর জামা, জুতো,সাইকেল, কন্যাশ্রী রূপ শ্রী, বই বিলি, বিএলও ডিউটি আরও নানা কিছু। এতো কিছুর পরেও পান থেকে চুন খসলে হলো, এবার সে যদি বাম সমর্থক হয়, তাহলে তার কপালে অশেষ দুঃখ প্রথমে বদলির নির্দেশ, অন্য রাজ্যে তো দিতে পারে না, এই রাজ্যের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে। এভাবে যদি দমান না যায় তাহলে, সাময়িক বর। খাস্ত। অর্থাৎ শাস্তি তাকে পেতে হবেই। পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে, প্রতিটি নির্বাচন যদি শান্তি পূর্ণ হতো তাহলে বামফ্রন্ট অনেক অনেক আসন পেতে পারতো। বর্তমান শাসক দল গনতান্ত্রিক ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিচ্ছে। 

Friday, 21 June 2019

আজ সকাল থেকে একটা খবর ঘুরেছে অনলাইনে পুজোর আগে পে কমিশন।

আজ সকাল থেকে অনলাইনে একটি খবর ঘুরেছে যে সরকারি কর্মীদের বেতন কমিশন দেওয়া হবে পুজোর আগে। প্রায় সব অন লাইন সংবাদদাতা যেন কতটা আগ্রহ নিয়ে এই সংবাদ লিখেছেন। সংবাদদাতারা উল্লেখ করেছেন না তারা সংবাদ টি কোথায় পেলেন, আসলে গত ১৩/৬/১৯ তারিখে অভিরূপ সরকার কে ডেকে মুখ্যমন্ত্রী কি নির্দেশ দিয়েছেন। সেই গোপন কথা কেউ জানে না, কারণ তখন এই সংবাদ মাধ্যম গুলো লিখেছিল, আগামী ১লা জুলাই থেকে বেতন কমিশন চালু হবে। যদিও কোন বছরের জুলাই সেটা বলেনি। সেখানে ও বিভ্রান্তি ছিল, বলা ছিল জুনে জমা পড়বে আর জুলাই থেকে পাবেন সরকারি কর্মীরা, কিন্তু কোন সালের জুন মাসে সেটা ছিল না। সেদিন ঐ সব খবরে বলা ছিল ২২ শতাংশ বেতন বৃদ্ধি হবে, আজ যে খবর কে বলল উল্লেখ না করে অনলাইনে ঘুরে বেড়াচ্ছে, সেখানে ১৪%বাড়বে বলা হচ্ছে।
এই বেতন কমিশন নিয়ে যে নাটক মঞ্চস্থ হচ্ছে, গত পাঁচ বারের বেতন কমিশন নিয়ে এতো নাটক হয় নি। আমার যতদূর জানা আছে প্রথম পে কমিশন নিয়ে এরকম একটা নাটক মঞ্চস্থ হয়েছিল। সেই বেতন কমিশন দিনের আলো দেখেনি। সেই এই রাজ্যের কর্মীরা সপ্তম জায়গায় ষষ্ঠ বেতন কমিশন পান, বামফ্রন্ট সরকার পঞ্চম বেতন কমিশন দিলেও, কেন্দ্রীয় ষষ্ঠ কমিশনের সমান বেতন কাঠামো দিয়ে ছিল। আর সেই পঞ্চম বেতন কমিশন লাগু হয়েছিল গত ২০০৯ সালের এপ্রিল মাস থেকে এবং ২০০৬ সালের ১লা জানুয়ারি থেকে নোশনাল ফিক্সশেন ছিল। ২০০৮ সালের এপ্রিল থেকে ২০০৯ সালের মার্চ পর্যন্ত এরিয়া দেওয়া হয়েছিল। সেই সময়ে কেন্দ্রীয় বেতন কমিশন অনুযায়ী বেতন কাঠামো পে ব্যণ্ড ও গ্রেড পে তে ভাগ করে বেতন কাঠামোর যতটা সম্ভব কমিয়ে এনে মূল বেতন কে ১.৮৬ দিয়ে গুণ করে, মূল বেতন ঠিক করে গ্রেড পে যোগ করে বেসিক তৈরি করা হয়েছিল। আমি এখন এই পে কমিশন নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। আমার মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী কাছে একটা প্রশ্ন আপনি এই বিভ্রান্তি দূর করুন। আপনি গত ১৩/৬/১৯ তারিখে বেতন কমিশনার কে কী বলে ছিলেন? আমি এও জানি আপনি সরকারি কর্মীদের বিশ্বাস করতে পারেন না, অথচ সব সরকারি কাজ তারা করে দেয়, দেখুন আপনি বাচ্ছা দের জুতো দিলেন সেই জুতো দিয়ে পিটুনি খেল শিক্ষক। আবার SHG পোশাক দেবে, তার জন্য শিক্ষকদের কপালে কি আছে জানি না। আর কোনও কথা লিখছি না, আপনি বিভ্রান্তি দূর করুন সঠিক ভাবে বলুন আদৌ আপনি বেতন কমিশন বা ডিএ দেবেন কিনা? আপনি ছাড়া আর কেউ নেই, যে জানে আদৌ বেতন কমিশন দিনের আলো দেখবে কি না! আবার শিক্ষকের আশা আপনি তাদের পি আর টি স্কেল দেবেন। যদি এই লেখা টি পড়েন, তবে আশা করি আপনি সঠিক ব্যবস্থা নেবেন বিভ্রান্তি দূর করে দেবেন। 

Sunday, 9 June 2019

মনে হচ্ছে, বর্তমান শাসক দল আর শাসন ভার বহন করতে পারছে না। চাইছে, রাষ্ট্রপতি শাসন!

বর্তমানে রাজ্যের শাসক দল মনে হয়, আর রাজ্য শাসন করতে চাইছে না। বাম আমলে শেষে এবং এই সরকারের আগমন থেকে আজ পর্যন্ত রাজনৈতিক সংঘর্ষ প্রতি নিয়ত ঘটছে, আর ভোট এলে তা বাড়ে, পুলিশ কে মারা, বিরোধী দলের প্রচার বা কোন সমাবেশে মিটিং মিছিল করার অনুমতি নেই এই রাজ্যে, অথচ তিনি অর্থাৎ বর্তমান শাসক দল বাম আমলে লাগাতার বনধ, ধর্মঘট, মিটিং মিছিল করে, রাজ্যের শিল্প সম্ভবনা কে ধুলিসাৎ করে অস্থির পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে ক্ষমতা দখল করে ছিল। জঙ্গল মহলে প্রতিনিয়ত মানুষ খুন, লাশ পড়ছে, সেই সময় আর আজ বেগম সাহেবা পশ্চিম বঙ্গ কে পশ্চিম বাংলাদেশ তৈরি করতে চাইছে। সেই জন্যেই বাংলাদেশের স্বাধীনতার শ্লোগান " জয় বাংলা" কে নিজের দলের শ্লোগানে পরিনত করেছে। তিনি তার কর্মী দের নির্দেশ দিয়েছেন ভোটের পর ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে বুঝে নেবেন। পুলিশের কথা বলে লাভ নেই, এ রাজ্যে পুলিশ বলে কিছু নেই, না হলে পুলিশ মন্ত্রী নিজেই আইন শৃঙ্খলা আনতে ঘর ছাড়া দের ফেরাতে ভাট পাড়ায় ধরনায় বসতে যায়। পুলিশের মেরুদন্ড ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে, টেবিলের নীচে লুকানো, মার খাওয়া কান ধরে উঠবস, পুলিশ কে বোম মারা আরও কত কি, এর পর আর পুলিশের ক্ষমতা নেই, রাজ্যে বেগম সাহেবার বিরুদ্ধে যায়। আর রাজ্যের গুণ্ডা বাহিনী জানে বেগমের দলে থাকলে কেউ টিকি ছুঁতে পারবে না। উনি চাইছেন রাজ্যের মানুষ অস্ত্র তুলে নিক আবার ছে চল্লিশ সালের মতো দাঙ্গা হোক, বা বাহাত্তর সালের মতো গৃহ যুদ্ধ হোক, তাহলে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হবে। উনি বলতে পারবেন, দেখ বি জে পি সরকার আমার নির্বাচিত সরকার টা ভেঙে দিয়ে ভোট চাইতে শুরু করেছে। ক্ষমতার এতো লোভ, এরা ক্ষমতা লোভী দল ইত্যাদি প্রচার করে সহানুভূতি ভোটে জিতে আসবে সেই জন্যই একজন মুখ্যমন্ত্রী উস্কানি মুলক বক্তব্য রাখছেন। আগামী ভোটে রাজ্যে বি জে পি আসছে এটা পরিষ্কার তাই উনি নিজের ক্ষমতা ধরে রাখতে চাইছেন, রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হোক। মনে আছে বাম আমলে তিনি কথায় কথায় 356 ধারা আর সি বি আই চাইতেন। আইন শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে উনি ফিরিয়ে আনবেন না। রাজ্যে আইনের শাসন ফেরত আনলে ওনার ক্ষতি। এর প্রতিকার দুটো রাজ্য জুড়ে আন্দোলন, আর তাতে না হলে, ঝোপ বুঝে কোপ না এই বাংলা পশ্চিম বাংলা দেশ হয়ে যেতে বেশি দেরি লাগবে না। বাঙালি ঘুমিয়ে থেক না, অত্যাচারিত হবার পর কেবল কেঁদে আর অভিশাপ দিয়ে কোনো লাভ নেই। ঠাকুর স্বর্গ থেকে নেমে এসে তোমার সাথে যোগ দেবে না। নিজেদের বুদ্ধি দিয়ে এর মোকাবিলা করতে হবে। যদি প্রয়োজন হয় তবে ঠাকুরের দশ হাতের... গুলো রইল, কিছুটা আধুনিক অত্যাধুনিক... নিয়ে আসতে হতে হবে। এই রাজ্যের পুলিশ কিছু করবে না, কোনো শাস্তি হবে না। ঐ সমাজের কীট গুলো আগে সি পি আই এম করত এখন টি এম সি করছে, এবার দেখতে হবে, ঐ কীট গুলো যেন বিজেপি তে না ঢোকে। ওদের খতম করার জন্য মানুষ বিজেপি কে ভোট দিয়েছেন। তাদের মর্যাদা দিতে হবে, ওদের খতম করতে হবে, না হলে শ্যামা প্রাসাদের পশ্চিমবঙ্গ গঠন করার স্বপ্ন সফল হবে না। 

Sunday, 2 June 2019

মাননীয় শিক্ষা মন্ত্রী সমীপে ।

আমি জানি না আপনি আমার লেখা এই পাতাটি পড়বেন কি না? আপনি যদি পড়েন তবে আপনার ঐ প্রশ্নের উত্তর আমি দিতে পারি, আপনার সাথে যারা বৈঠক করেছেন, আমি পড়লাম তারা বলেছে, ডিএ ও পে কমিশন পি আর টি স্কেল নেই, তাই ভোট কমেছে। আমি ওদের সাথে একমত ঐ গুলো মূল কারণ, কারণ আমারও দাবি ঐ গুলো, তাছাড়াও আরও কত গুলো বিষয় আছে, সে গুলো আপনার গোচরে এনেছেন কিনা জানি না। প্রথমে আসে মি ডে মিল নিয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের H. T. ও T. I. C. হয়রানির শেষ নেই, সিঙ্গুর ব্লকে বা বিধান সভায় হেরেছেন নিশ্চয়ই, হয়রানির উদাহরণ হিসেবে দিই, অনেক দিন আগে এই নিয়ে লিখেছিলাম, কিন্তু কোন ফল হয়নি। এবার মি ডে মিল নিয়ে সিঙ্গুরের শিক্ষকের হয়রানির হিসেবে আমার মনে হয় এসব রাজ্যের সর্বত্র, মনে করুন জানুয়ারি ফেব্রুয়ারি মার্চ মাসের 78 দিনের চাল এলো এপ্রিল মে জুন মাসে জন্য। এবার এপ্রিল মে জুন খাওয়ানোর দিন 46 দিন, কত দিনের বাঁচাতে পারে? আর সবদিন সমান মানে 100 গ্রাম চাল লাগে না, তাহলে আরও কিছু বাঁচল, এবার ঐ বাঁচা চালে পোকা ধরে গেল, দোষ কার প্রধান শিক্ষকের, কারণ তিনি খাওয়ানি তাই চাল বেঁচে গেছে। তার সাথে আর একটা কথা শুনতে হবে, না খাইয়ে পয়সা খরচ করে দিলেন।এই কথাটার অর্থ নিশ্চয়ই বোঝেন, প্রধান শিক্ষক চোর। এই বিষয়ে আরেকটু লিখি এখন ছাত্র পিছু 4 টাকা 35 পয়সা দেওয়া হয়। 100 জন ছাত্র থাকলে 85 জনের, তাহলে কোনো বিদ্যালয়ে 100 জন ছাত্র ছাত্রী আছে, 85 জনের টাকা পেলে এক দিনের কত টাকা হয়। 85 x 4.35 = 369.75 =370 টাকা এবার একদিনের খরচ ধরা যাক একদিন বিদ্যালয়ে 75 ছাত্র ছাত্রী এসেছে, খাবে 60 জন, ঐ পোকা ধরা চাল গন্ধ ভাত খেতে চায় না, স্বাভাবিক ভাবে চাল 6 কিলোর পরিবর্তে 5কেজি নেওয়া হলো। পোকা পরিস্কার করতে গিয়ে 1 কেজি বাধ গেল। আগে বাম আমলে বাড়তি চাল ছাত্র দের দিয়ে দেওয়া যেত, আপনার মতো একজন মানুষ আছেন নির্দেশ দিয়েছেন আর কি করা যাবে। এবার ঐ দিনের খরচ 60 খেলে 9 কেজি আলু, যে কোন আনাজ 4 কেজি, পিঁয়াজ 2 কেজি, লঙ্কা 100 গ্রাম আদা 200 গ্রাম। সর্ষে তেল 500 গ্রাম অন্য মশলা ( জিরে, ফোড়ন, ইত্যাদি) জ্বালানি গ্যাস 60 গড়ে হলে একটা 14 কেজি গ্যাস 8 থেকে 10 দিন চলে। ডাল লাগবে 600 এবার হিসেবে করি 9 কেজি আলু 9x16=144 টাকা 4 কেজি আনাজ 35 টাকা কেজি দরে 140 টাকা 2 কেজি পিঁয়াজ 20 টাকা দরে 40 টাকা 100 গ্রাম কাঁচা লঙ্কা ও আদা মিলে 37 টাকা, স:তেল 500 গ্রাম 55 টাকা 600 গ্রাম (মুসুর) 54 টাকা জ্বালানি 10 দিন ধরে 80 টাকা। মোট 144+140 +40+37+55+54+80 =550 টাকা, আর খরচ করার কথা কত টাকা, 4.35 x60 =262 টাকা, এই যে বাড়তি টাকা খরচ দেখানো যাবে না। আর ডিমের দিনের হিসেবে করলে, যদি 80 জন খায়। ডিমের দাম 80x5=400 টাকা খরচ করতে পারা যাবে কত 80x4.35=348 টাকা এবার ঐ দিনের জ্বালানি আলু পিঁয়াজ মশলা তেল সব নিয়ে কত হতে পারে। যেই ছাত্র সংখ্যা দিয়ে গুণ করে মিলছে না তখন বলা হচ্ছে, আপনি কেন বেশি খরচ করেছেন? এবার শিক্ষকের কাজ কিভাবে কম করা যায় আনাজ পত্র কম তেল মশলা কম এনে মেলানো, কিন্তু বিদ্যালয়ের ছাত্র অনুযায়ী সে 370 টাকা সে খরচ করতে পারলে টাকাও বাঁচত না মোটাামুটি খাওয়ানো যেত। এবার ঐ হাজিরা আর খাওয়া ছাত্র হিসেবে করতে গিয়ে  করে খাওয়াচ্ছে, ডাল, তরকারি একবারের বেশি দেওয়া যায় না, ডাল হচ্ছে কোথায় ও তো জল, সব আপনার দয়া আপনি বলেছেন যত জন খাবে গুন করে যেন মেলে  এভাবে খারাপ খাইয়ে যেই টাকা বেঁঁচে গেল অমনি টাকা ব্যাঙ্ক একাউন্টে থেকে গেল, আর টাকা দেওয়া বন্ধ, শিক্ষক কী করেন ধার করে খাওয়াবেন না। কারণ সিঙ্গুর ব্লকে 2011 সালে তিন মাাসে টাকা দেয়নি। তাছাড়া গ্যাস সিলিন্ডার তো ধার বাকি তেে দেয় না। ওখানে হিসেবে বাকি দেখানো বারণ, অথচ অগ্রীম টাকা দেেওয়া হবে না। আচ্ছা আপনার কাাছে আমার প্রশ্ন যে অফিসার কে এরকম নির্দেশ দিয়ে রেখেছেন। তাারা অফিসের জন্য নিজের বেতন থেকে ক টাকা খরচ করে? আপনার নির্দেশে তো এসব হচ্ছে, এর পর আছে সর্ব শিক্ষা মিশনের প্রতি মাসে চার পাঁচ দফা কাগজ পূরণ, আচ্ছা আপনি বলুন সুপ্রীম কোর্ট রায় দিল আধার লাগবে না, তার পর সর্ব শিক্ষা কী করে আধার রেজিস্টার করতে বাধ্য করে? বছরের মধ্যে পঁচিশ বার বিভিন্ন ভাবে ছাত্র সংখ্যা আর তাদের বিভিন্ন কলম পুরণ করে দিতে হবে, এ দিয়ে কোন কাজ হয় না। যাক গে ওসব বাদ দিন সব থেকে সমস্যা গ্রামে গ্রামে আপনাদের গ্রাম সদস্য বা মুখ্যমন্ত্রীীরা, নতুন V.E.C. তৈরি হয়েছে, সর্ব শিক্ষার টাকা খরচ করতে হব, ঐ A/ C তে ওনার নাম ঢোকাতে হবে, এই কাজের জন্য যে কাগজ লাগে চেয়ে না পাওয়া, আবার সিঙ্গুর নন্দনের যিনি তিনি তো দ্বিতীয় মুখ্যমন্ত্রী, বাড়িতে আনতে গিয়ে অপমানিত তিনি লোক দিয়ে বলে পাঠালেন, আপনি কে যান যান এখন  ওসব হবে না। আপনি    যান ত আবার নির্লজ্জের মতো ফোনে করে বলা হলো। আজ পর্যন্ত ফোট সহ অন্যান্য কাগজ পত্র আর এলো না। তাহলে ঐ টাকা খরচ করে যখন পেমেন্ট করবে তখন কী হবে? সর্বশিক্ষা সেখানে দায়িত্ব যিনি তিনি আরেক জিনিস,এসব কাজে কিছু হলেই  প্রধানশিক্ষক  চোর, সত্যিই শিক্ষক আজ নেড়ে কুত্তার অধম, আপনি তাদের কাছে ভোট চাইছেন। আপনি কী ভাবছেন এসব কথা শিক্ষকেরা অভিভাবক দের মধ্যে প্রচার করে না বলে না, আরে সেই কারণেই সিঙ্গুর বিধান সভায় 12 হাজার ভোটে হেরে গেছন। এই পরিস্থিতির জন্য আপনি দায়ি, একটা জিও করুন যে সর্ব শিক্ষার A/C তে নির্বাচিত প্রতিনিধি থাকবে না, একজন অভিভাবক থাকবে, M. D. M এর টাকা ছাত্র ছাত্রীদের খাওয়ার জন্য খরচ করা যাবে, আমি জানি আপনি আপনার ইচ্ছা থাকলেও পারবেন না।
     সেই জন্য আগামী 2021 সালে কী ভাবে হারবেন তৈরী থাকুন। নমস্কার নেবেন ভালো থাকবেন। 

Friday, 31 May 2019

মোদীজি দেশের বেকার যুবকদের কাজ দিন।

আমি জানি আপনি আমার মত এই তুচ্ছ লোকের লেখা পড়বেন না। শিরোনাম সহ ছবি টি দেখেছেন নিশ্চয়ই, আমি বিভিন্ন কাগজ বা পত্রিকায় অন লাইন খবরে অনেক দিন আগেই পড়েছি, যে আমাদের দেশে 20 থেকে 35 বছর বয়সী যুবক বেশি,দেশের উন্নতির জন্য এদের কাজে লাগান ভারত তরতর করে এগিয়ে যাবে, এই শিক্ষিত বেকার যুবক যুবতী দের পকোরা ভাজার পরামর্শ দিচ্ছেন। এই নির্বাচনের আগে আপনি সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করে ছিলেন। ভারতীয় রেল প্রায় এক লক্ষ নব্বই হাজার লোক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি  জারি  করে ছিল। এই নির্বাচনে আগে রেল বিভিন্ন সময়ে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল, বেকার যুবক যুবতী 500টাকা দিয়ে অন লাইন ফর্ম ফিলাপ করে ছিল, পরীক্ষা হয়নি না হয়ে গেছে জানতে পারল না। এদিকে আপনি ব্যাঙ্ক বীমা বিএসএনএল রেল কে নাকি বেসরকারি করে দেবেন, তাহলে আমেরিকার হাল হবে, কর্মী ছাঁটাই লেগেই থাকবে। আর কিছু দিন পর অর্থ নৈতিক মন্দা মানুষের ক্রয় ক্ষমতা থাকবে না। আর যদি এটা হয় তাহলে দেশের সরকার থেকে লাভ কি? ভোটের আগে অনেক দপ্তরও একই রকম ভাবে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। এগুলো কি সব নির্বাচনি জুমলা, রেল হচ্ছে, ভারতের সব থেকে বড়ো নিয়োগের ক্ষেত্র, যদিও আমাদের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীও রেল মন্ত্রী থেকে মুখ্যমন্ত্রী হবার আগে রেলে নিয়োগের ফর্ম বিলি করে ছিলেন। সে নিয়োগ হয়নি, আপনি তো দেখছি, বেকার যুবক দের নিয়ে মস্করা করছেন, নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়, আর নিয়োগ হয় না। মনে রাখবেন দেশে যুবক সম্প্রদায় কে নিয়ে এরকম মস্করা করবেন না। 

Thursday, 30 May 2019

মুখ্যমন্ত্রী কথায় সি পি আই এম কাকে ভোট দিয়েছে? ।

 ছবি সহ খবর টি পড়ে আমার মনে হলো তৃণমূল দল টা পুরো নাম পাল্টে বিজেপি হয়ে যাবে ।আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আবার মুখ্যমন্ত্রী হবেন। মুখ্যমন্ত্রী লোকসভা নির্বাচনের পরে অভিযোগ করেন, সি পি আই এম বিজেপি কে ভোট বিক্রি করেছে। মুখ্যমন্ত্রীর এসব ফালতু কথার কোন দাম নেই, উনি যখন যা মনে আসে বলে দেন, তাহলে বলা যায় উনি বিধায়ক সাংসদ কাউন্সিলর বিক্রি করছেন। পশ্চিমবঙ্গের এই পরিস্থিতির জন্য মুখ্যমন্ত্রী এবং তার দল দায়ি, কারণ তেরো সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে সিঙ্গুর ব্লকের বারুইপাড়া পলতাগড় পঞ্চায়েত বামফ্রন্ট দখল করে ছিল, বামফ্রন্টের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের এমন ভয় দেখানো হচ্ছিল, যাতে তারা দল পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছিলেন। যাকে ভয় দেখিয়ে দলে নিতে পারেনি, 2014 সালে লোক সভা নির্বাচনে আগে বামেদের প্রচার করতে দেয় নি। তাদের মারা হয়েছে, তারা যখন আমাদের নেতৃত্বের সঙ্গে থানায় গেছে, থানা নেতৃত্ব সহ এদের নামে কেস দিয়েছে। এসব সিঙ্গুর থানার ঘটনা, এসব সিঙ্গুরের বিধায়কের কথায় হয় নি, সিঙ্গুরে বাড়ি আরেক জন বিধায়কের কথায় হয়েছে। বিনা অপরাধে সিঙ্গুরের মহামায়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের নামে কেস করে তাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে, কারণ তিনি নিখিল বঙ্গ শিক্ষক সমিতির সম্পাদক ছিলেন। প্রতিটি নির্বাচনের আগে বাম ভোটার দের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দেওয়া রেশন কার্ড করে না দেওয়া। পঞ্চায়েতের যে সব কাজ করে   না দেওয়া, এসব করে পঞ্চায়েত দখল নেওয়া, আমাদের উপর তলার নেতৃত্বের বিষয় গুলো গুরুত্ব না দেওয়ার জন্য অর্থাৎ এই খেটে খাওয়া মানুষের পাশে এসে না দাঁড়ানোর জন্য আজ তারা বিজেপি কে ভোট দিয়েছে। তৃণমূলের এই অত্যাচার থেকে বাঁচতে বামেদের ভোট বিজেপি কে দিয়েছে, কারণ এখানে কাছাকাছি আর এস এস ক্যাম্প করেছে, অনেক যুব ছেলে  কে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে, কিছু ঘটনা ঘটেছে তারা ছুটে আসছে।  আমি যা দেখছি, তাই লিখেছি গোটা তৃণমূল দলটি বিজেপি হয়ে যাবে, তাই যে সব বাম ভোটার তৃণমূলের অত্যাচারের হাত থেকে রক্ষা পেতে বিজেপি কে ভোট দিয়েছে, তাদের কী হবে? গোটা তৃণমূল দল বিজেপি হয়ে গেলো দিদি বললেন আমি মুখ্যমন্ত্রী মন্ত্রী হব, না হলে ধর্ণায় বসব। দিদি আবার মুখ্যমন্ত্রী হলেন, মনে করুন এটা এমন সময় হলো যখন বিধান সভা হয়ে গেল, তার পর হলো, তাহলে যারা অত্যাচার থেকে মুক্তি পাওয়ার আশায় বিজেপি কে ভোট দিলেন তখন কী হবে? কারণ যে হারে তৃণমূল থেকে বিজেপি তে যাচ্ছে, তাতে করে আমার মনে হচ্ছে, দিদি বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী হবেন। কারণ রাজনীতি তো কিছু বলা যায় না। অনেকেই বলবেন  সি পি আই এম থেকেও বিধায়ক বিজেপি তে যাচ্ছে, কথা তো ঠিক, আমার মনে হয় তারা আদর্শ হারিয়ে ফেলেছে, নীতি হীন হয়ে পড়েছে, তাই বিজেপি তে যাচ্ছে। ভোটার রা সি পি আই এম এর প্রতীকে ভোট দিয়ে ছিল ওনারা মানুষের সেই মর্যাদা রাখতে পারলেন না।

Tuesday, 28 May 2019

সতী দাহ পায়েল রোহিতগীর মন্তব্য।

বেশ কয়েক দিন ধরেই নেট মিডিয়াতে দেখছি, পায়েল রোহিতগী নামে এক ভদ্র মহিলার সতী দাহ নিয়ে লিখেছেন, সেই লেখা নিয়ে খুব চর্চা হচ্ছে। ঐ লেখার সাথে তিনি রাজা রামমোহন রায় কে ব্রিটিশদের চামচা বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি লিখেছেন সতী দাহ প্রথা সঠিক ছিল, উনি ইতিহাস না জেনে মন্তব্য করেছেন। আবার বলছি আপনি ইতিহাস পড়ুন তখন কার হিন্দু সমাজে মেয়ে দের সাথে কী রকম আচরণ করা হতো, না জেনে মন্তব্য  করা উচিত নয়। আপনি আজ যে ভাষায় লিখেছেন, ঐ ইংরেজি ভাষা তো দূর লেখা পড়া করার অধিকার ছিল না, বারো বছরের মধ্যে জাত কুল দেখে মেয়েদের বিয়ে দিতে হতো, ৯ হলে গৌরী দান, পর্দাসীন মেয়ে দের বাড়ির বাইরে যাওয়ার অধিকার ছিল না। তীর্থ স্নান করতে নিয়ে যাওয়া হতো ঢাকা পালকি করে, পালকি সহ জলে চুবিয়ে বা ডুবিয়ে তুলে আনা হতো, আর কুল রাখতে বিয়ে দেওয়া হতো নয় বছরের কন্যার সাথে ষাট থেকে আশি বছরের বৃদ্ধর সাথে, বৃদ্ধ মারা গেলে যত গুলো তিনি বিবাহ করতেন, এবং সেই বৌ দের মধ্যে যাদের হাতের কাছে পাওয়া যেত, তাদের জোর করে চিতায় তুলে দিয়ে জীবন্ত জ্বালিয়ে দেওয়া হতো। ভাববেন একটা ১২ থেকে তেরো বছরের মেয়ে আশি বছরের স্বামীর মৃত্যুর জন্যে তাকেও জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হবে, এটা আপনার কাছে সু প্রথা। আপনি যে আজ লেখা পড়া শিখে টুইটারে ইংরেজি ভাষায় লিখেছেন, মেয়েদের এই শিক্ষার অধিকার দেওয়ার জন্য সমাজের বিপরীতে গিয়ে লড়াই করে ছিলেন, সেই রকম এক জন মহান ব্যক্তি হলেন রাজা রামমোহন রায়। তিনি এক ঈশ্বর বাদ প্রচার করে ছিলেন, ব্রাহ্ম সমাজ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সমাজ ব্যবস্থা পাল্টাতে হলে সরকারের সাহায্য দরকার হয়, সেই জন্য তিনি ব্রিটিশ সরকারের সাহায্য নিয়ে ছিলেন, এরকম আরেক জন মহান বাঙালি যিনি মেয়েদের শিক্ষার জন্য নিজের সর্বস্ব দান করে দিয়ে ছিলেন। তিনি ঈশ্বর চন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়, দয়ার সাগর, বিদ্যাসাগর, আরেক সমাজ সংস্কারক স্বামী বিবেকানন্দ  ,তিনি বলেছিলেন, সমাজের দুটি ডানা নারী ও পুরুষ একটি ডানা অকেজো হলে পাখি যেমন উড়তে পারে না, সেই রকম সমাজের এই দুটি ডানার একটি অকেজো হলে সমাজ ব্যবস্থা কোনো দিন টিকে থাকতে পারে না। তৎকালীন সমাজ সংস্কারের অগ্রনী এই সব মহান ব্যক্তির সম্পর্কে না জেনে মন্তব্য করা উচিত হয়নি। মনে রাখতে হবে বাঙালি তথা গোটা ভারতের শিক্ষা সমাজ ব্যবস্থা ধর্মান্ধতা।হিন্দু দের মধ্যে ছোট জাত উঁচু জাত যা এখনও সমাজ ব্যবস্থা কে তথা হিন্দু জাতিকে পিছনে ঠেলে দিচ্ছে। এই কিছুদিন আগে মুম্বইয়ের একটি মেয়ে ডাক্তারি পড়ছিল, প্রতি নিয়ত তার দিদি রা নীচু জাত বলে খোঁটা দিত, সহ্য করতে না পেরে তিনি আত্মহত্যা করতে বাধ্য হন। রোহিত ভেমুলার  ক্ষেত্রে  একই রকম, ঘটনা ঘটে ছিল। আর যদি বলেন, আমি বাঙালি সমাজ সংস্কারক রামমোহন রায় কে মানি না। তাহলে আপনার অভিভাবক কে বলুন, আপনার কুল রাখার আশি বছরের বৃদ্ধের সাথে বিয়ে দিতে, তিনি মারা গেলে - - - - -.। 

Tuesday, 21 May 2019

পশ্চিমবঙ্গের পরিবর্তনের মূল কাণ্ডারি কে?

2011 সালে পশ্চিমবঙ্গের বামফ্রন্ট সরকারের শেষ এবং বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পিছনে নিশ্চয়ই বর্তমান শাসক দলের আন্দোলন এবং সংবাদ মাধ্যমের হাত ছিল, আরেক জন ছিলেন, আমাদের প্রাক্তন বাঙালি রাষ্ট্রপতি তিনি ইউ পি এ সরকারের উপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার একদম সহ্য করতে পারেনি। তিনি দেখেছিলেন তৃণমূল ও কংগ্রেস যদি পশ্চিম বঙ্গে জোট করতে পারে, তবে বামফ্রন্ট সরকারের পতন অনিবার্য। কংগ্রেসের রাজ্য নেতৃত্ব বর্তমান শাসক দলের শর্তে রাজি হচ্ছিল না কিছুতেই, তখন দিল্লি থেকে উনি এসে বর্তমান শাসক দলের সব শর্ত মেনে জোট তৈরি করে দিয়ে গেলেন। আর এখন উনি মন্তব্য করছেন বাম আমলেও এতো খারাপ অবস্থা ছিল না। আসলে তা এই সব পদধারি মানুষের সাথে মিশতে না পারা নেতারা এই রকম ভাবেন, আমি আজ যা বলছি বা করছি মানুষ কাল ভুলে যাবে। শেষ দফা ভোটের আগে উনি বিবৃতি দিয়ে বলেন, পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা বামফ্রন্ট আমলের থেকে খারাপ, উনি পক্ষান্তরে স্বীকার করে নেন বামফ্রন্ট সরকার ভালো ছিল। আপনি তাহলে কেন সেই সময় জোট সরকার গড়ার জন্য দিল্লি থেকে ছুটে এসেছিলেন। আজ বাংলার এই পরিস্থিতির জন্য আপনি অনেকাংশেই দায়িত্ব এড়াতে পারেন না। উপরের ছবি টি দেখছেন নিশ্চয়ই, পশ্চিমবঙ্গের এই পরিস্থিতি তৈরি করার জন্য আপনি এসে জোট করে ছিলেন! আমরা তখন শুনতাম বামফ্রন্ট সাধারণ মানুষ কে ভোট দিতে দেয় না। সাধারণ মানুষের এতো বড়ো গনতান্ত্রিক দেশে একটাই অধিকার একটা ভোট দেবার, সেই অধিকার কেড়ে নিতে চাইছে, এরা যে দলের হোক এরা দুষ্কৃতী এদের জেলে থাকা উচিত, প্রশাসন কে ব্যবস্থা নিতে হবে কিন্তু না কোন ব্যবস্থা সরকার নেবেন না। মানুষ মরলে এই সরকারের নেতা মন্ত্রীদের আনন্দ হয়। বিরোধী হলে কথাই নেই, কেটে তার মাংস খেতে পারলে বাঁচে, এত উন্নয়ন তবুও সাধারণ ভোটার কে ভোট দিতে দিলে হবে না। সাধারণ ভোটার কে বিশ্বাস করতে পারছে না। আপনি রাষ্ট্রপতি ছিলেন, পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি নিয়ে আক্রান্ত আমরা বলে একটা সংগঠন আপনার কাছে গিয়ে ছিল, আরো অনেক আপনাকে চিঠি দিয়ে ছিল দুঃখের বিষয় কোনো কাজ হয়নি। বাঙালি আর শিখ এই দুই জাতি ভারত বর্ষে যত মারা যাবে দিল্লির লোকজন ততঃ আনন্দ পায়। সেই কারণেই স্বাধীনতার সময় এই দুই রাজ্যে কে ভাগ করা হয়েছিল। এখনও চলছে, দিল্লি মানুষ খুব আনন্দ পাচ্ছে নিশ্চয়ই, বাংলাদেশে প্রায় নিশ্চিহ্ন হতে চলল, আর এপার বাংলায় আসামে ত্রিপুরায় সেখানেও একই পরিস্থিতি, এপার বাংলায় শেষ করছে কারা বিহার উত্তর প্রদেশ থেকে আসা কত গুলো আসামী যারা গুণ্ডা গিরি তোলা তোলা বোমাবাজি ছাড়া আর কিছু জানে না। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন সময়ের শাসক দল এদের মদতে ক্ষমতায় এসেছে, বর্তমান শাসক দল বেশি করে মদত নিচ্ছে, তবুও আমরা স্বাধীন ভারতের নাগরিক, ভোটের অধিকার নাই বা থাকল, অন্তত বেঁচে থাকার অধিকার টুকু থাক, সব শেষ আপনি আমার প্রণাম নেবেন, ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন, ঈশ্বর আপনার মঙ্গল করুন। 

Wednesday, 15 May 2019

বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার জন্য বর্তমান শাসক দল ও দায়িত্ব এড়াতে পারেন না।

ছবি টি ফেসবুক থেকে সংগৃহীত। আগামী কাল কলকাতার বিদ্যাসাগর কলেজে যে ঘটনা ঘটেছে তার জন্যে অসভ্য বর্বর দল বিজেপি যেমন দায়ি, তেমন বর্তমান শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস ও দায়ি।বর্তমান শাসক দল বারবার বিজেপির সাথে জোট করে কেন্দ্রে মন্ত্রী হয়েছিল। এই শাসক দলের নেত্রী বিধান সভা ভাঙচুর করে ছিল, তিনি বিরোধী রাজনীতি করবেন কেউ বাধা দিতে পারবেন না, কেউ বাধা দেয়নি, সিঙ্গুরে মাচা বেঁধে কারখানা গুজরাতের সানন্দে পাঠানো সেই 21 দিনের জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বসে থাকা কেউ বাধা দেয়নি।উনি 2011 সালে ক্ষমতায় এসে বিরোধী দল কে রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতে দেব না। প্রতি পদক্ষেপে বাধা আগে ছিল সি পি আই এম তথা বামফ্রন্ট কে আটকানো এখন ভোটার কে ভোট দিতে না দেওয়া অর্থাৎ নিজের দলের মধ্যে গণ্ডগোল মানুষ কে বিশ্বাস না করা, বিজেপি তে কারা যারা তৃণমূল দলের থেকে সে ভাবে আর টাকা তুলতে পাচ্ছে না, ভাগ দিতে দিতে শেষ হয়ে যাচ্ছে, তারা গিয়ে ভিড় করছে, বিজেপি তে। দু দলের নেতা মন্ত্রী রা প্রতি নিয়ত মারব কাটব করে যাচ্ছে, কে বলছে নারকেল মুড়ি খাওয়াব। আজকের বাংলা জুড়ে অশান্তি আর বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙচুর এ অপসংস্কৃতি তৃণমূল আমদানি করেছে এই বাংলায়। শাসক দলের লোক হলে ছাড়া পায় অন্যায় করে, বিরোধী অপরাধ করুক আর না করুন তার জেল, এই তো নীতি। দুর্নীতি লুটপাট মানুষ খুন বোমা বাজি গুলি পিটিয়ে হত্যা আরো কতকি, মোটের উপর বিরোধী দের জায়গা দিলে হবে না। আজ যা ঘটছে, সেখানে অমিত শাহ, বা বিজেপি কে কালো পতাকা দেখানোর জন্য বিদ্যাসাগর কলেজের সামনে আর সন্ধ্যা পর্যন্ত কলেজ খোলা সেখানে ছাত্র ছাত্রীদের ক্লাস হচ্ছিল, আমি জানি না। এই দুই রাজনৈতিক দল বাংলার তথা বাঙালি জাতির শিক্ষা দীক্ষার উপর আঘাত করছে। এদের বর্জন করে বুঝিয়ে দিতে হবে বাঙালি আজও মরে নি তারা প্রতিবাদ করতে জানে। 

Friday, 26 April 2019

ভূতের ভোটে আবার গণ্ডগোলের লক্ষণ।

ভূতের ভোটে কে হারিয়ে যায় কে আবার ফিরে আসে, সে সব নিয়ে মাথা নেই, চামচিকে ভুতের, কিন্তু রক্তচোষা বাদুর যারা মানুষ ভুত গুলোর দিন রাত রক্ত চুষে খায়। বিনিময়ে এসব সাধারণ ভূতের দল কী পেয়েছে, এক জায়গায় থেকে অন্য স্থানে যাওয়ার অনুমতি, আগে মানুষ ভুতের এটা অধিকার ছিল না। মেছুনি মানে মেছ ভূতনির আমলে ভোট দিতে হয় না। গো ভুত এদের সাথে যোগ দিয়ে এমন হয়েছে, একা ভানুর ভোলা সামলাতে পারে না। এর মধ্যে একজন হারিয়ে গিয়েছিল, তাকে নিয়ে খুব ঝামেলা সে ভূ ই মের দ্বায়িত্বে  ছিল। মনে হয় কোন কারসাজি করছিল, কারণ মেছ ভুতনি সব করে, ও হয়তো মানতে চাননি, তাই ভয়ে লুকিয়ে ছিল। কী ছলনা, কী ছলনা, এখন মানুষ ভুত আর গো ভুত দের এক অংশ দাবি করছে ঐ ভূ ই ম ভালো করে পরীক্ষা করে দেখতে হবে, কারণ ও তো ভূতের মেশিন কখন কী করে তার ঠিক নেই। পিশ্চাস শাঁখচূর্নী এরা তো ঝামেলা করবে বলে বসে আছে। যত যাই করো ও ভূতের মেশিন ও খারাপ হবেই সব পাল্টে গিয়ে সব মেছ ভুতনি আর গো ভুতের দল পাবে। মানুষ ভূতের দল কোরাস গাইবে, কত রঙ্গ দেখব দুনিয়ায়, নিজেই লুকিয়ে থাকার নাটক করে। যম রাজ এর ঘরে। আবার দু দিন পরে ফিরে আসার নাটক করে। কী যে ভূ ই ম তে সেতো ভগা জানে। মানুষ ভূতের যে কষ্ট সে আর যাবার নয়। মানুষেরে মর্ত্যে পাঠায় বুঝে শুনে, মর্ত্যে যায় গো ভুত আর ছাগ ভুত মিলে ।যম রাজ মেছুনির সাথে মিলে কী রাজত্ব আনল যমালয়ে।



Tuesday, 9 April 2019

নন্দীগ্রাম আজকের ঘটনা সি পি আই এম পার্টি অফিসে কালো পতাকা লাগিয়ে দেওয়া।

ছবি টি অন লাইন কলকাতা 24 *7 থেকে নেওয়া ।নন্দী গ্রামের সি পি আই এম পার্টি অফিসের ছবি, গত দু দিন আগে ঘটা করে যে অফিস খোলা হয়েছিল, মানুষ সেটি বন্ধ করে দিয়ে কালো পতাকা লাগিয়ে দিয়েছে। উক্ত অন লাইন নিউজের দাবি বা লেখা হয়েছে, মানুষ বলছেন, সি পি আই এম হার্মাদ রা মানুষ খুন করে দেহ লোপাট করে দিয়েছেন, এখন অনেকেই খুঁজে পাওয়া যায়নি। আমি ঐ সকল মানুষের সাথে একমত আমার একটা প্রশ্ন আছে, সি পি আই এম হার্মাদ রা করুক আর জহ্লাদরা করুক, ঘটনার জন্য মানুষ বামফ্রন্ট সরকার কে রাজ্যের ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিয়েছে। সবথেকে বড়ো কথা, নন্দীগ্রাম ও সিঙ্গুর দু টো ঘটনায় সি বি আই তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দিয়েছেন, বর্তমান সরকারের কাছে তাহলে যারা অপরাধী তাদের ধরল না কেন? আমি ও খান কার সি পি আই এম দলের যারা করেছে বলে অভিযোগ তাদের নাম নিশ্চয়ই ঐ তালিকায় নেই, তাহলে আজ আট বছর ক্ষমতা আছেন সব কটা কে ছেড়ে রেখে দিত! যার বাইকে চেপে ঘুরে বেড়াতেন তিনি এখন জেলে, তাহলে কি বলা যাবে যারা ঐ কালো পতাকা লাগিয়ে দিয়েছেন, তারা অশিক্ষিত বা তাদের সত্যিই ঘটনা বলা হয়নি, যে ঐ ঘটনার সি বি আই রিপোর্ট জমা পড়েছে প্রায় চার পাঁচ বছর আগে, আমার সন্দেহ হয় তাদের শিক্ষা নিয়ে। দেখুন মানুষের মৃত্যু আমাকে ভীষণ কষ্ট দেয়, আরো কষ্ট দেয় যখন দেখি আসল খুনি ঘুরে বেড়ায় আর অপরাধ না করে ধরা পড়ে, ভাবুন বিধায়ক খুন তরতাজা যুবক তুষার সে এবং আরও অনেক এরা সবাই শাসক দলের লোক তাও এদের প্রাণ দিতে হলো। আর সিঙ্গুর সে তো আমরা চোখে দেখছি, তাপসী মালিক মারা গেল তার মৃত দেহ নিয়ে যারা বলল অপরাধী শান্তি পাবে সে সি বি আই রিপোর্ট জমা পড়েছে, কিন্তু কোন কিছু হয়নি, উল্টে নেতাদের ভাগ্য পাল্টে গেল। আরেকটা অনেক দিনের ঘটনা, শাসক দলের শহীদ দিবস পালন করে যার জন্য। আমি ফেসবুক থেকে নেওয়া ছবি টি এখানে দিচ্ছি পড়ে নেবেন ।

Wednesday, 13 March 2019

ফেসবুক বন্ধু ও আমি।

আমি ফেসবুকে বহু বন্ধুত্বের অনুরোধ পাচ্ছি। আমি অনেকেই চিনি না, জানি না, অথচ বন্ধুত্বের অনুরোধ আসছে। সকলের বন্ধুত্ব গ্রহণ করতে পারছি না, তার জন্য দুঃখিত, তবে এটা আমি এখানে পরিস্কার করে বলছি, যারা চোর কে চোর বলতে পারেন না। মিথ্যাবাদী কে মিথ্যাবাদী বলতে পারেন না। প্রতারক কে প্রতারক বলতে পারেন না। যারা টিভি চ্যানেল দেখন তবু ঘুষ নেওয়ার কথা বিশ্বাস করতে চান না, আগেও হয়েছে বলে justify করেন। আগের চোরদের ধরার জন্য 42 টা কমিশন হয়েছিল একটি ও চোরের হদিস মেলেনি। আগের সরকারের শেষ কয়েক বছর ধরেই খুন খারাপি চলছিল, মানুষ শান্তি পাবার আশায় পরিবর্তন করে দিয়েছিল। নিজের ভোট নিজে দেবে বলে পরিবর্তন করে দিয়েছিল, কিন্তু বর্তমানের শাসক দল এতো উন্নয়ন করে ফেলেছে, তবুও মানুষ কে বিশ্বাস করতে পারে না। আবার যারা বিশ্বাস করেন চাকরি পেতে হলে অনশন করতে হবে, গর্ভস্থ ভ্রুণ নষ্ট হলেও। যারা বিশ্বাস করেন 500 টাকা থেকে 5000 টাকা বা 10000 টাকা বেতনের চাকরি বা স্কুল টিচার হোক বা আই সি ডি এস লক্ষ লক্ষ টাকা ঘুষ দিয়ে চাকরি করতে হবে। যারা বিশ্বাস করেন সিভিক পুলিশের নামে কিছু তোলা বাজ নিয়োগ করে, গাড়ি ধরে তোলা তোলা ঠিক। আরো অনেক কিছু আছে লিখলে শেষ করা যাবে না। যারা এসব চোখে দেখে কানে শুনে, কেবল দু এক বছর অন্তর কিছু টাকা পাওয়ার জন্য চোখ বন্ধ করে, অন্ধের মতো এই সরকার কে সমর্থন করেন তারা বন্ধুত্বের অনুরোধ পাঠাবেন না, এটা আমার বিশেষ অনুরোধ, যদি এরকম কেউ আমার বন্ধু থাকেন তাহলে তিনি আমাকে ব্লক করুন, কারণ আমি অন্যায় কে অন্যায় আর সত্যি কথা বলতে জানি। আমি একটু সহজ সরল মানুষ তাই অন্যায় দেখলে চুপ করে থাকতে পারি না।

Wednesday, 6 March 2019

পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচন আর দূস্কৃতি রাজ।

আমাদের রাজ্যের নির্বাচন, ভোটের আগে দূস্কৃতি দের জেলে ভরার পালা, কিন্তু প্রশ্ন এই রাজ্যের আসলে যারা দূস্কৃতি তারা থেকে যাবে জেলের বাইরে, খুব কম দূস্কৃতি ধরা পড়বে। যারা ধরা পড়বে তারা বিভিন্ন দলের কর্মী সমর্থক কারণ আমাদের রাজ্যের প্রায় প্রতিটি শাসক দল সর্বদা এরকম রাজনৈতিক নীতি নিয়ে চলে। যত রকম কেস আছে শ্লীলতাহানি, ডাকাতি, চুরি, খুন সব ধরনের মামলা আছে বিভিন্ন দলের নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে, কারণ এই রাজ্যে কোনো অপরাধ ঘটলে, শাসক দল বলে, বিরোধী দল করেছে, আর বিরোধী দল বলছেন শাসকের গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব, মামলা বা কেস ডায়েরি পুলিশ সেই ভাবে সাজাচ্ছে, যে লোক ঘটনার কথা ঘুনাক্ষরে জানে না। তার নামে কেস বা মামলা রুজু হচ্ছে, এরকম করে আসল অপরাধী জেলের বাইরে থেকে যাচ্ছে, তারা যখন যে শাসক সেই দলে নাম লেখাচ্ছে, আসল অপরাধীরা ভোটের সময় মদ মাংস খেয়ে দিব্যি হুমকি দিয়ে বেড়াচ্ছে, মানুষ খুন করছে, পুলিশ কে মারছে, এই আজ অন লাইন নিউজ পোর্টালে (DNA বাংলা) বেড়িয়ে ছিল এক জন তৃণমূল যুব কর্মী কে বোমা মেরে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে,হতভাগ্য মায়ের কোল খালি হলো। আমি এতখন কোনো না কোনো বিরোধী দলের নেতাদের নামে কেস হয়েছে। আর আসল অপরাধী ঠিক ঘুরে বেড়াচ্ছে। বাংলায় এই সমস্যা আজ থেকে নয়, দীর্ঘ দিনের এরকম সমস্যার জন্য তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকার কে মানুষ পাল্টে বর্তমান সরকার কে নিয়ে এসে ছিলেন । সেই tradition সমানে চলছে। 

Saturday, 2 March 2019

Bajaj finserv ও আমি।


গত 21/1/19 তারিখে সিঙ্গুর থানার অন্তর্গত বুড়াশান্তি এলাকার santra communications থেকে bajaj finserv with mobikwik এর মাধ্যমে একটি oppo ফোন কিনেছিলাম। তার পর গত 7/2/2019 তারিখে আমার কাছে SMS এল আমার signature mismatch হয়েছে।
আমি গত 7/2/2019 তারিখে উক্ত দোকানে গিয়ে পুনরায় কাগজ পত্র দিয়ে আসি, ব্যাঙ্ক থেকে signature verification করিয়ে, তার পর গত 20/2/2019 থেকে বিভিন্ন ব্যক্তি আমাকে ফোন করতে থাকে বলে আপনার signature mismatch আছে, আপনার বাড়িতে আমাদের লোক যাবে সব কাগজপত্র নিয়ে আসতে, আমি সব ঘটনা বলার পর আমায় জানায়, আপনি সব কাগজপত্র ঐ দোকানে আবার জমা দিলে, ঠিক আছে কোন চিন্তা নেই সব ঠিক হয়ে যাবে। আমার জানা ছিল না bajaj finserv একটা চিটিংবাজ সংস্থা, অন লাইনে অনেক নম্বর আছে, কোনো টায় লেখা আছে 24×7 কোনো টায় লেখা কেবল misscall দিন, একটি number এ misscall দেবার পর দিন সকালে অন্য একটি number থেকে আমাকে ফোন করে সব শোনার পর বলেন আপনি ভুল জায়গায় misscall দিয়েছেন। অথচ আমি number টি অন লাইন থেকেই পেয়ে ছিলাম। আরেকটা কথা না বলে পারছি না, আমার email id bfl এ ভুল আছে, (মোবিক্যুইকে ঠিক আছে) দেখাচ্ছে অন লাইন ঠিক করা যাবে, কিন্তু আমি তিন দিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা চেষ্টা করেও পাল্টাতে পারছি না। এর মধ্যে আমি ও আমাকে যে ঐ দোকানে নিয়ে গিয়ে bajaj finserv ও মোবিক্যুইকের মাধ্যমে ফোন কিনতে বলেন, সেও দোকান দার কে ফোন করে বলে সব ঠিক আছে, আপনার কোনো সমস্যা হবে না। তারিখ টা ছিল 23/2/2019 তার আগের দিন ও আমি ফোন করে ছিলাম। আমাকেও একই কথা বলেন, এর পর গত 1/3/2019 bajaj finserv থেকে আমাকে আবার SMS করে জানান হয়, আপনার signature mismatch আছে, আগামী 2/3/2019 আপনার প্রথম কিস্তি কাটা হচ্ছে না। আপনাকে একমাস সময় দেওয়া হলো, আপনি আবার কাগজ পত্র জমা দেবেন বা আপনার সাথে আমাদের লোক বাড়িতে গিয়ে দেখা করে নিয়ে আসবে।

আজ 2/3/2019 হরিপাল থেকে ট্রেনে যাবার সময় এর আগে আমি যাকে কাগজ পত্র দ্বিতীয় বার দিয়ে ছিলাম, তার সাথে দেখা হলে তাকে বিষয় টা বললাম সে আমাকে আরও দু জনের কথা বলে যাদের নাকি এই সমস্যা গত বছর অক্টোবর থেকে, সে একটি নম্বর দিয়ে আগামী রবিবার (3/3/2019) সকাল দশটার পর ফোন করতে বলেন। যে নম্বর টি দিয়েছে সেটি ঐ দোকান দারের যাকে গত 22/2/2019 তারিখে ফোন করার পর বলে ছিল আপনি নিশ্চিত থাকতে পারেন কি হলো না আপনা কে আমি ফোন করে জানাব, আজ পর্যন্ত আমি তার কাছ থেকে ফোন পেলাম না। আমি  এখন বুঝতে পারছি অপরের কথায় আমি bajaj finserv ও mobikwik এর মত মহান চিটিংবাজ সংস্থা থেকে finance এ মোবাইল ফোন কিনেছিলাম। আমি বুঝতে পারছি না কী করে এই মহান চিটিংবাজ সংস্থার থেকে কীভাবে মুক্তি পেতে পারি। আমি জানি আমি এসব লিখছি, যারা পড়েছেন তারা এই চিটিংবাজ সংস্থার দূরে থাকুন।

Thursday, 14 February 2019

উৎসবের বাংলায় আবার উৎসব।

উৎসব মুখর বাংলা, না বাংলাদেশ নয় পশ্চিমবঙ্গে, আবার উৎসব এই উৎসব হতো কেবল বর্ধমান জেলায়, এ বছর সারা পশ্চিমবঙ্গের সব জেলায় হবে । কারণ শিল্প হীন কাজ হীন পশ্চিমবঙ্গের এটা বড়ো শিল্প, কল কারখানা হচ্ছে না। পুরানো কল কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। সরকারি দপ্তরের চাকরি নেই, কেবল ঘোষণা আছে, কী অবস্থা বাংলার । দীর্ঘ দিন SSC এবং PSC পরীক্ষা হয় না। PSC দপ্তর উঠে গেছে, মাঝে মাঝে পরীক্ষার নামে প্রহসন হয়। বেকার ছেলে মেয়ে রা কোনো কোনো সময় পরীক্ষার ফিস দিয়ে ফর্ম পুরণ করে হতাশ হয়ে পরে, সেই রকম একটা খারাপ খবর আজ পড়লাম TDN বাংলা অনলাইনে কাগজে ছেলে টি জমি বিক্রির টাকা দিয়ে DELED training করে চাকরি না পেয়ে আত্মহত্যা করেছেন। নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে SSC অফিসের সামনে বিক্ষোভ, কিন্তু এই সরকারের মানবিকতা নেই, মানুষ মরলে এই সব মন্ত্রী নেতা দের আনন্দ হয়। সারদা রোজভ্যালীর এজেন্টরা টাকা ফেরত দিতে না পারলে, লোকজন ঝামেলা করলে অতিষ্ঠ হয়ে আত্মহত্যা করেছেন, নেতা মন্ত্রীরা আনন্দে ধর্ণা দিচ্ছেন ।মানুষ মরলে আনন্দ হয়, আমরা কেবল ক্ষমতা চাই, যে কোন ভাবে টাকা চাই, ক্লাব কে টাকা দেওয়া, মেলার নামক অনুষ্ঠান করে লোক সভা ভোটের আগে কিছু কর্মী কে টাকা পাওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়া, এই খানে একটা কথা বলি, সরকারি যে কোন সাহায্য পেতে হলে, শাসক দলের সমর্থক হতে হবে, অন্যথায় জুটবে না। ভোট আসছে যে কোন ভাবে কর্মী দের টাকা দিতে হবে। তাই এই মেলা, কিছু দিন আগে ব্লকে ব্লকে কী কী উন্নয়ন হয়েছে তার প্রদর্শনী হয়ে গেল। প্রদর্শনী তে কী হলো নীল সাদায় মণ্ডপ, তার মধ্যে ফ্লেক্স ব্যানারে কী কী উন্নয়ন হয়েছে, এবং আর কী কী কাজ করতে হবে তার প্রচার সবটাই সরকারি টাকায়, তাতে কী হলো মণ্ডপ তৈরি করতে টাকা পাওয়া গেল। তারপর কী হলো আর না বলাই ভালো বুঝে নিন। মানুষ কিন্তু বুদ্ধি হীন নয়, কিন্তু কিছু মানুষ আছেন যারা এসব সমর্থন করে যাচ্ছে, সামান্য কিছু টাকা হলেও তারা ভাগ পায়। চাকরির তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও চাকরি না পেয়ে আত্মহত্যা কিম্বা চিটফাণ্ডের টাকা ফেরত দিতে না পেরে এজেন্ট, কিম্বা টাকা ফেরত না পেয়ে সাধারণ মানুষ সর্বস্ব হারিয়ে আত্মহত্যা করছে, ঐ নেতা মন্ত্রী আর সেই সব বুদ্ধিজীবী যারা কথায় কথায় মোমবাতি মিছিল বের করতেন, তাদের কোনো বিবেক বুদ্ধি জাগ্রত হয় না । আমার মনে হয় এই সব মানুষ মানুষ মারা গেলে খুব আনন্দ করে ।
বলবেন হঠাৎ করে এখানে আবার ছবি কেন। ছবি টি জামালপুর ২নং পঞ্চায়েতের একটি চুরির ঘটনা বর্ধমান জেলার। এক পঞ্চায়েত কর্মী, ৩৭ লক্ষ টাকা হাতিয়ে পালিয়েছে বলে খবর বেড়িয়ে ছে। আমার মতে এখুুনি ধরণা মঞ্চ বেঁধে ওকে যাতে না ধরা হয়, তার জন্য বুদ্ধিজীবীর দলের বসে পরা দরকার। এই সব বুদ্ধি জীবীদের 
কী বলবেন তাঁবেদার, না অন্য কিছু বলবেন । সাধারণ মানুষ এদের কাছে পশুর অধম, এই সব স্বার্থান্বেষী পদলোভী অর্থ লোভী মানুষ না অমানুষ জানি না। এরা  বাট পারের সঙ্গ দিতে      প্রস্তুত, যিনি চিটফাণ্ডের তদন্ত কে প্রহসনে পরিনত করে, বাটপারা যাতে ধরা না পরে তার ব্যবস্থা পাকা করে দিয়েছেন, তাকে বাঁচাতে মঞ্চ বেঁধে নাটক হলো সরকারি টাকা ধ্বংস হলো। সেই   মঞ্চে হাজির, আপনার আমার করের টাকা একদিকে মেলা করে  ধ্বংস অর্থাৎ কাট মানি পাইয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা। পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা এরকম লুটে নাও লুটে নাও, যত রকম ভাবে পার টাকা লোট লুটের রাজত্ব। বিবেক ন্যায় নীতি বিসর্জন দিয়ে, কে মরল কে বাঁচল দেখার দরকার নেই। 

Tuesday, 12 February 2019

চিটফাণ্ডের টাকা ফেরত দিতে কী করছে দেখুন।

আজ সন্ধ্যায় অন লাইন আনন্দ বাজার পত্রিকায় খবরটি পড়লাম, চিটফাণ্ডের টাকা ফেরত দিতে তিনি ফুল বিক্রি করছেন। এভাবে তিনি কয়েক লক্ষ টাকা ফেরত দেওয়ার পরিকল্পনা করেছেনে, সাধু প্রচেষ্টা ভালো থাকুন, আপনি সফল হবেন, আপনার সফলতা কামনা করি। আপনি একজন বেকার যুবক সেই কারণেই সেই সময় কাজ না পেয়ে চিটফাণ্ডের এজেন্সি নিয়ে ছিলেন। আপনার বেকারত্বের সমাধান হয়েছিল ঠিকই, কিন্তু কিছু মানুষ ঐ ফাণ্ড গুলো কে বিপথে চালনা করে, টাকা পয়সা লুট করেছে, আর আপনার মতো কয়েক হাজার বেকার যুবক যুবতী এদের স্বীকার হয়েছেন। যদি সঠিক পথে এই চিটফাণ্ড গুলো চলত এবং কোন লোভী রাজনৈতিক দলের লোকজন এর এক টাকাও নিজের পকেটে না ঢোকাত, তাহলে আজ অন্য রকম হতো আপনার ভবিষ্যত ।আপনি বেকার যুবক সেই সময় বামফ্রন্ট সরকার আপনার কাজের ব্যবস্থা করতে পারে নি ।আপনি চিটফাণ্ডের এজেন্সি নিয়ে ছিলেন, আমি জানি আপনি এই কথাটা বলবেন, সেই সময় কেন তার একটু আগে অর্থাৎ ১৯৯০ থেকে পশ্চিমবঙ্গের বেকারত্বের সংখ্যা বাড়তে কল কারখানা কমতে থাকে। চট কলের মালিক এবং কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমতি না নিয়ে কিছু করা যেত না। এটা আমরা বামফ্রন্ট নেতাদের মুখে শুনেছি। অনেক পরে এ রাজ্যে কম্পিউটার এসেছে, কম্পিউটার এলে নাকি কর্ম সংস্থান কমে যাবে, মানুষের জায়গায় যন্ত্র কাজ করবে। এরকম অনেক যুক্তি শুনেছি, আবার ২০০০ সালের পর থেকে দেখেছি উন্নয়নে বাধা দান। 2006 থেকে সেটা চরম আকার ধারন করে। মানুষ লোভের বশবর্তী হয়ে আড়াই বছর বা তিন বছরে ডবল পাবে, এই আশায় টাকা রাখতে শুরু করে, নেতাদের নজর এড়িয়ে যায়নি, প্রতি নিয়ত প্রসাদ গ্রহন করে গেছে, টাকা ডবল হওয়ার জায়গায় টাকা উবে গেছে, আর যে সব নেতা মন্ত্রী টাকা কোটি কোটি টাকা হজম করে ফেলেছে, তারা এখন সাধারণ মানুষের কাছে সাধু সেজে বসে আছে ।কিছু পুলিশ অফিসার সেই টাকার ভাগ নিয়ে কেসটা পুরো চাপা দিয়ে ফেলেছে, কমিশন গঠন করে জনগণের টাকা ট্যাক্সের টাকা নিয়ে, টাকা ফেরত দেওয়ার নাটক মঞ্চস্থ হলো। ৩রা ফেব্রুয়ারি আরেক নাটক মঞ্চস্থ হলো, যারা এজেন্ট হিসেবে কাজ করেছেন, তাদের কথা কেউ ভাবল না। আপনি ও এক জন এজেন্ট টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য, ফুল বিক্রি করতে শুরু করেছেন। আজ অন লাইন কাগজে পড়লাম, পিয়ালির এক এজেন্ট নিজের সব সম্বল বিক্রি করে টাকা ফেরত দিয়েছিলেন। পরে তিনি চাকরি পেয়ে ছিলেন, এবং বাকি টাকা ফেরত দেবন বলেছিলেন, তাতেও রেহাই মেলেনি তার আর বেঁচে থাকা হয়নি। রেল লাইনে দেহ মেলে, তার পরিবার অজ্ঞাত বাসে থেকে ঠোঙা বিক্রি করে সংসার চালাতে হচ্ছে। যারা আসলে টাকা হজম করে ফেলেছে তারা বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়াচ্ছে । যা গেছে তা যাক, বিধাতার কী নিষ্ঠুর পরিহাস, কে করল চুরি আর তুমি এজেন্ট তুমি পেলে সাজা। 

Thursday, 7 February 2019

উলুখাগড়ার প্রাণ না যায়।

আমার যত ভাই বন্ধু আছে তাদের বলছি, রাজায় রাজায় যুদ্ধ হচ্ছে, আমরা উলুখাগড়ার দল আমাদের শান্ত থাকতে হবে। কারণ নেতা মন্ত্রী যারা আজ ২৮০ টাকা মজুরি তে মোটর চালাতেন জুট মিলে এখন দু শ আশি কোটি টাকার মালিক। তোলা বাজির টাকা এখন দেখি নতুন তোলা বাজ নিয়োগ করেছে। সিভিক পুলিশ এখন তাদের বেতন আট হাজার, আগে যতটা সম্ভব বেতন ছিল পাঁচ হাজার চারশ, ঐ টাকা বেতন পেয়ে সে ফ্লাট কিনেছে, কারণ রাস্তার মোড়ে মোড়ে দাঁড়িয়ে আছে বাইক লড়ি অন্য গাড়ি আটকে পয়সা, ওরা হচ্ছে সরকারের বেতন পাওয়া তোলা বাজ। তবে হ্যাঁ ঐ টাকা ওরা একা খায় না, এর তো আবার শতাংশ ভাগ আছে, না হলে রাত জেগে ধরনা মঞ্চে বড়ো বড়ো কর্তারা হাজিরা দেয়। আমরা তো সাধারণ মানুষ আমাদের আর কী দাম, ও একটা ভোট ওতো সিভিক আছে তার পর লাখ লাখ টাকা পাওয়া ক্লাবের ছেলেরা,আর বিনা টাকায় মদ আর ভাগারের মাংস, তার পর আছে, বোমা কারখার বোম আর গুলি, গুর বাতাসা চড়াম চড়াম পড়বে পাঁচনের বারি। আমি এক জন উলুখাগড়ার বক্তব্য হচ্ছে, ভাই বন্ধু কেউ যদি দেখছ প্রাণের ঝুঁকি আছে ভোট দিতে যাবেন না। ঘরে খিল দিয়ে চুপ করে বসে থাকবে, আমি যা দেখছি তাতে আসন্ন নির্বাচনে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা বলে কিছু থাকবে না। মশা মাছির মতো ভোট দিতে যাওয়া জনগন কে খুন করবে। পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ প্রশাসনের কর্তারা বা কেন্দ্রীয় সরকারের বাহিনী কেউ প্রশাসনের বাংলার সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা দেবে না। তাই বলছি, কোনো গণ্ডগোলে যাবেন, ঐ দু টাকার চাল আর পাঁচ শ টাকা বছরে তাও সবাই নয়। দু টাকার ভিক্ষার চাল মাসে দু কিল মেরে কেটে পাঁচ কিলো এর জন্যে প্রাণ দিতে যাবেন, ওর থেকে ভোট দিতে যাবেন না । বাংলার সব বাঙালি ভোটার দের বলছি, যেখানে অশান্তি সেখানে নিঃশব্দে কোনো কথা না বলে, নিজের   প্রাণ বাঁচিয়ে পালিয়ে আসুন ভোট বয়কট করুন। আমি চাই রাজায় রাজায় যুদ্ধ হবে মন্ত্রী নেতারা কোটি পতি হবে আর উলুখাগড়ার প্রাণ যাবে এ হতে পারে না। 

Sunday, 3 February 2019

কলকাতা পুলিশ কমিশনার গেলেন কোথায়?

ছবি টি অন লাইন নীলকণ্ঠ খবরের কাগজ থেকে নেওয়া। আজ বিকেলের অন লাইন থেকে শুরু করে বিভিন্ন অন লাইন কাগজে বেড়িয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের সব থেকে দক্ষ এবং ভালো পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার কে সি বি আই সারদা তদন্তের বিভিন্ন তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছে,কারণ তিনি রাজ্য সরকার যে সিট গঠন করে ছিল তার প্রধান ছিলেন। স্বাভাবিক ভাবেই তিনি সমস্ত নথি নিশ্চয়ই উদ্ধার করে ছিলেন।সুপ্রিম কোর্টের রায়ের সারদা তদন্তের দ্বায়িত্ব নেয় তখন থেকেই সেইসব নথি তিনি কিছুতেই সি বি আই কে দিচ্ছেন না। আমি তো 2013 সাল থেকে দেখছি, কেমন তদন্ত চলছে, প্রায় একশ জন এজেন্ট আত্মহত্যা করেছেন। আমাদের রাজ্যের দক্ষ পুলিশ কমিশনার তদন্তের নামে তাকে প্রহসনে পরিবর্তন করেছেন।সুপ্রিম কোর্টের রায়ে সি বি আই তদন্ত সেই তদন্তও তথৈবচ কাগজে পড়লাম ঐ অফিসার ও নাকি ঘুষ খেয়ে তদন্ত গুলিয়ে দিয়েছে। ঐ যে যা গেছে তা যাক। সত্যিই সাধারণ মানুষের টাকা আত্মসাৎ করেও কোন লজ্জা সরম নেই, আবার বিবেক চেতনা উৎসব চলছে মহা ধূমধাম করে। আর নিজে দের বিবেক গুলো হারিয়ে ফেলেছে। পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ মানুষের কোনো দাম নেই, তারা গরু ছাগল, তাদের দু টাকা কিলো চালের ভিক্ষারি বানিয়ে ফেলেছে। কথা না শুনলে মৃত্যু অনিবার্য, কারণ বর্তমান সরকারের উন্নয়ন রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকে, এই দল তথা সরকার মানুষ কে অবিশ্বাস করে, তাই সাধারণ মানুষের কী হলো দেখার দরকার নেই।গরীব মানুষের টাকা চিট হয়েছে, তাতে প্রায় লক্ষ টাকা বেতন পাওয়া দক্ষ অফিসারের কী আসে যায়। উনি তো সাধারণ মানুষের জন্য নয় মন্ত্রী নেতা দের সুরক্ষা দেখেন। নাম টা খুব ভালো রাজীব কুমার, রাজীব কথার অর্থ পদ্ম, পদ্ম কোথায় হয়? আমরা জানি পদ্ম জলাশয়ে হয়, আবার আমরা অনেকেই বলি পদ্ম পাঁকেই জণ্মায়। এবার আপনারা ভেবে দেখুন যা হয়েছে তা ঠিক হয়েছে, আর সেই কারণেই এই দক্ষ কমিশনার কে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তাকে এখন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, খবরটা অন লাইন নিউজ পোর্টালে বেড়িয়ে ছিল ।

Friday, 1 February 2019

প্রোপাগান্ডা কাহারে কয়!

আমি পশ্চিমবঙ্গের একজন অধিবাসী, আমি দীর্ঘ দিন ধরে শিক্ষকতার কাজে যুক্ত,  শাসক নিজের গুনগান নিজে করছে, এবং সেটা হচ্ছে জনগণের করের টাকায়, এই সব আমি দেখিনি।আমি ঘোষণা করে দিয়েছি,  সেই সব কাজ বা সুযোগ সুবিধা একশ জনের মধ্যে দশ পেল রিপোর্ট পেশ হলো একশো শতাংশ কাজ হয়েছে। আর সেই নিয়ে আমি প্রোপাগান্ডা করতে শুরু করে দিলাম। চিঠি বিলি করে শুভেচ্ছা পাঠিয়ে নানা রকম ভাবে কাগজ পত্র ছাপা তে টাকা ও তো জনগণ দেবে। দু টাকা দিয়ে দশ টাকার কাজ করতে বলব, না হলে যে কর্মী করবে না তার বাপের বিয়ে দেখিয়ে ছেড়ে দেব। আমি ইতিহাসে পড়েছি বা শুনেছি হিটলার সহ অন্যান্য যত, এরকম শাসক ছিল তারা প্রোপাগান্ডা করে নিজেদের কুকর্ম চাপা দিত। একটা কথা প্রচলিত আছে মিথ্যে কথা সত্য করতে হলে, গ্লোবলসীয় কায়দায় প্রচার কর। মিথ্যা কে বার বার প্রচার কর সেটা মানুষ বিশ্বাস করে নেবে। সত্যজিৎ রায়ের "হীরক রাজার দেশে" চলচ্চিত্র দেখেছেন নিশ্চয়ই, সেখানে হীরক রাজার গুনগাননা করলে নানা রকম শাস্তি দেওয়া হতো।    বর্তমানে আমাদের দেশে এবং রাজ্যে সেই রকম ভাবে চলছে, একজন তবুও কিছুটা সহনশীল আর জন ওরে বাবা পারলে ফাঁসির সাজা ঘোষণা করে দেব। পশ্চিমবঙ্গে তাঁর যা সাঙ্গ পাঙ্গ কে ওরা একটা বোমা মারলে তোরা একুশটা মারবি।আরেকটা বলে ওরা বোমা মেরে হামলা করলে আমরা কি কমলালেবু ছুঁড়ব, এরা নাকি গান্ধীর অহিংস নীতিতে বিশ্বাসী, জানি না তিনি বেঁচে থাকলে কী করতেন? এটাও ঠিক বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে সবচেয়ে বড়ো শিল্প বোমা বন্দুক শিল্প, ঐ সব কারখানায় তৈরী বোমা পিস্তল আর বন্দুক তো আর সেনা বাহিনী নেবে না, বিক্রি করতে হবে বা ব্যবহার করতে হবে, তাই এই ব্যবস্থা। ভোট দিবি না গুলি খা, আন্দোলন করবি দাবি জানাবি প্রথম পুলিশের লাঠি খা তাতে না হলে বোমা না হলে গুলি খাবি। হীরক রাজ যেমন কাউকে বিশ্বাস করতে পারত না, সেই রকম এই শাসক জনগণ কে বিশ্বাস করতে পারেন না। হীরক রাজার দেশে কর্মীদের বেতন কম দিয়ে কাজ করানো হতো, না করলে ঘর বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হতো, বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে সেরকম একজন শাসক কাজ করছেন। পশ্চিমবঙ্গে তিনি এতো উন্নয়ন করছেন রাস্তা আলো ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ বিদ্যুতের মাশুল বাড়ল তো কী হয়েছে? অনেক নতুন নতুন কাজ বা উন্নয়ন করছেন, তবুও তিনি জনগণ কে বিশ্বাস করতে পারছেন না। জনগণের প্রতি বিশ্বাস হারিয়ে তিনি মেরে ধরে, সিভিক দিয়ে বাক্স বদলে ভোটে জিতে ক্ষমতা দখল করছেন। সামনে লোকসভা নির্বাচনে কত লোক মারা যাবে তার ঠিক নেই। এত কিছু করেও যে শাসক জনগণ কে বিশ্বাস করতে পারেন না। তিনি হাজার হাজার টাকা খরচ করে খবরের কাগজে পাতা জুড়ে বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রচার করেও মনে করবেন মানুষ আমাকে ভোট দেবে না, তখন জনগণের করের টাকায় কয়েক লক্ষ টাকার কাগজ ছাপিয়ে বাড়ি বাড়ি বিলি করতে দেন । 

Thursday, 24 January 2019

ওপার বাংলার মানুষ আজও উদ্বাস্তু।

আমি আমার ব্লগে অনেক আগেই লিখেছি, যে দেশ স্বাধীন হয়েছিল বাঙালি হিন্দু জাতি টা কে ধ্বংস করার জন্য। এই বিষয়ে আমি আমার ব্লগে অনেক লেখা লিখেছি। আমরা বাঙালি ওরা বাঙাল, কিছু দিনের আগের লেখা বাঙালির জীবন থেকে কাঁটা তারের বেড়া আর গেল না। আমি জানি না কতজন পড়েছেন, আজ আবার লিখতে শুরু করেছি। আজ দেশ স্বাধীন হয়েছে সত্তর বছর আগে, সত্তর বছর আগে এরকম অবস্থা ছিলো না কারণ তখন বাংলা ভাগ হয়নি। 1905 সালে লর্ড কার্জন বাংলা ভাগারের চেষ্টা করে ছিলেন, কিন্তু সফল হতে পারেন নি, কারণ তখন অনেক বিখ্যাত মানুষ এর বিরুদ্ধে আন্দোলন প্রতিবাদ শুরু করে ছিলেন। সেই আন্দোলনের চাপে শেষ পর্যন্ত বঙ্গ ভঙ্গ রদ করতে বাধ্য হন। সেই বিখ্যাত বাঙালি গন এখন আর নেই, এখন অর্থাৎ স্বাধীনতা পাওয়ার পর থেকে কিছু স্বার্থান্বেষী বাঙালি, মিরজাফরের বংশ ধর দিল্লির সেই সব নেতার পা চেটে ক্ষমতা বা গদি ও মন্ত্রী হবার লক্ষ্যে যারা বাংলা ভাগ করে দেশের স্বাধীনতা নিল একজন প্রধানমন্ত্রী হবার লোভে আগে থেকেই ইংরেজ পা চাটত মাউন্ট ব্যাটেনের বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করে মিথ্যে স্বাধীনতা সংগ্রামী সেজে জেলে যেত যদি কেউ খুন করে দেয় সেই ভয়ে। আর একজন একজন অন্য ধর্মের মানুষ কে নিজের পদবী দান করে বংশ ধরে রাখার চেষ্টা করেছে। আমার তো মনে হয়, ঐ বিধর্মী ঐ বিখ্যাত মহাপুরুষের অবৈধ সন্তান। আর এই সব মহান পুরুষ বাংলা ভাগ করে বাঙালি জাতির মেরুদন্ড ভেঙ্গে দিয়ে ছিল। বাংলা মায়ের দামাল ছেলে ও সুসন্তান বীর স্বাধীনতা সংগ্রামী সুভাষ কে কায়দা করে দেশে ফিরতে দেয়নি। আজাদ হিন্দ বাহিনীর বিচারের নামে প্রহসন, এই মহা শয়তান দুজনে প্রথম আজাদ হিন্দ বাহিনীর সেনা দের পাশে দাঁড়ানি, যখন মুম্বাই এ নৌ সেনা বিদ্রোহ ও দেশের নানা প্রান্তে সেনা বিদ্রোহ শুরু হয়েছে, তখন সব মহান ব্যারিস্টার দ্বয় কালো কোর্ট গায়ে নেমে পড়েন প্রহসনে যঢ়যন্ত্র করে সুভাষ কে যুদ্ধ বন্দী ঘোষণা করে, আজাদ হিন্দ বাহিনীর কিছু সেনার মুক্তি দিতে সাহায্য করেন। এরা জানত একমাত্র বাঙালি জাতি পারে তাদের সরিয়ে ঐ পদ দখলে নিতে, বিশেষ করে বাঙালি হিন্দু রা তাই তাদের সংখ্যা কমিয়ে আনার জন্য দাঙ্গায় মদত দিতে একজন নোয়াখালী চলে গিয়ে ছিল । ওপার বাংলা থেকে আসা বাঙালি হিন্দু দের কোথায় ঠাঁই হলো। আন্দামানে দন্ডকারণ্যে তাদের জন্য না করা হলো বাসস্থানের ব্যবস্থা না করা হলো রুটি রুজির ব্যবস্থা। আর এই সমস্যা এপার বাংলার মানুষ মেনে নিতে পারল না, আর যারা পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতায় বা গদিতে বসল তারা দিল্লির ঐ মহা শয়তানের দের তেল মালিশ করা ব্যক্তি, সমস্যা সমাধানের কোনো চেষ্টা না করে নিজের গদি বাঁচাতে ব্যস্ত, নিজেরা করল দেশ প্রচার করা হলো ইংরেজ করে দিয়েছে । শ্যমাপ্রসাদ মুখার্জী না থাকলে আজকের এই বাংলাও থাকতো না হিন্দু দের জন্য । আর লাখ লাখ হিন্দু ভগবানের দোহাই দিয়ে সব ভাগ্য বলে মেনে নিয়ে হাত পা ছড়িয়ে কাঁদতে বসে পড়ল। এখন ও সময় আছে স্বাধীনতার সত্তর বছর পরেও যে সব নেতা আমাদের ঠকিয়েছেন, যারা নিঃস্ব করে দিয়েছে, যারা আমাদের স্বজন কে আমাদের কাছ থেকে কেড়ে নিয়েছে । আসুন সেই সব দালাল দের আমরা সমর্থন করব না। 

Tuesday, 15 January 2019

রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ নতুন ঘোষণা।

গত দু দিন বিভিন্ন অন লাইন নিউজ পোর্টালে পড়ছি, যে স্নাতক স্তরের পড়াশোনা শেষ করলেই, হাসপাতালের মতো বিদ্যালয় গুলোতে ইন্টার্ন নিয়োগ করা হবে। এই ভাবে শিক্ষকের চাকরি ভালো না মন্দ সেই নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে। আমাদের প্রিয় সনণ্মানীয়া মুখ্যমন্ত্রী শিক্ষক নিয়োগের যে পদ্ধতি বলেছেন। এই পদ্ধতি এক সময় সর্ব শিক্ষা শুরু করে ছিল পাঁচ শ টাকার পার্শ্ব শিক্ষক নিয়োগের মধ্যে দিয়ে। সেই শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ হয়ে ছিল 2010 সালে এপ্রিল থেকে। এই ভাবে শিক্ষকের চাকরি আদৌ সম্ভব কীনা পরের কথা কারণ যারা টেট দিয়ে বসে আছে কিম্বা যে ছেলে মেয়েরা ট্রেনিং নিয়ে বসে আছে, তারা কোর্টে মামলা রুজু করে দেবে। আর যদিও এই নিয়োগ হয় তবে আগামী দিনে তাহলে সিভিক পুলিশ হয়ে দাঁড়াবে এরা কম বেতনে শিক্ষক যেখানে শিক্ষকরা prt স্কেল দাবি আর করতে পারবে না, ওরকম দাবি হলেই ছাঁটাই করা হবে। আমি জানি না যে খানে আর টি এ্যক্ট অনুযায়ী এন সি আর টি ঈ বলে দিচ্ছে সকল শিক্ষকদের দু বছরের ট্রেনিং থাকতে হবে এবং উচ্চ মাধ্যমিক পঞ্চাশ শতাংশ বা স্নাতক হতে হবে। আমি দেখেছি উস্থি নামক শিক্ষক দের আন্দোলন ভাঙার নতুন দাওয়াই এটা তার সাথে পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা ব্যবস্থা কে ধ্বংস করার প্রয়াস। যেটা আর টি এ্যক্ট পশ্চিমবঙ্গের সনাতন শিক্ষা ব্যবস্থা কে ধ্বংস করে দিচ্ছে। আমার মনে হয় এ সিদ্ধান্ত উনি একা নিয়েছেন, না বন্ধু এর পেছনে এমন একজন আছেন, যিনি কিছুতেই শ্রমিকদের বেতন দিতে চান না। কি করে কম বেতন দিয়ে কাজ করানো যায় তার ব্যবস্থা করা। আবার উল্টো হতে পারে সম বেতনের দাবিতে আন্দোলন আরও জোরদার হতে পারে। সম কাজে সম বেতন এটা সুপ্রিম কোর্টের রায় কিন্তু মানছে কে, তাহলে এই ঘোষণা করা হতো না। শিক্ষিত বেকার ছেলে মেয়ে তে রাজ্য ভরে গেছে কিছু বেকার এগিয়ে আসবে শাসক দলের লোক বাড়বে। আর এই নিয়োগ দু হাজার টাকা বেতনে শিক্ষক নিয়োগের জন্য কত টাকা তোলা দিতে হবে । এখন তো শিক্ষকের চাকরি এমনকি বদলি পেতে টাকা লাগে। বদলি তো বন্ধ হয়ে গেছে, আগে সাধারণ ভাবে আবেদন করলে বদলি হওয়া যেত, একটু সময় লাগত বটে কিন্তু বদলি হতো, এখন তার উপায় নেই বহু কাঠ খড় পড়াতে হবে, নেতা মন্ত্রী ধরতে হবে চাহিদা মতো ব্যবস্থা করতে হবে, তার পর যদি সিকে ছেঁড়ে। এতো আলোচনা করে লাভ নেই, আগে নিয়োগ হোক তার পর দেখা যাবে। আমি একটা পরামর্শ দিতে পারি সনণ্মানীয়া যদি গ্রহন করেন ভালো হয়। আপনি ট্রেনিং প্রাপ্ত দের কেবল শুরুর বেসিক পে দিয়ে নিয়োগ করুন দুবছর যদি যদি তিনি ভালো কাজ করে তবে চাকরি কনফার্ম করে পূর্ণ বেতন দেবেন, কারও কথায় আপনি বেকার ছেলে মেয়েদের ভবিষ্যৎ নিয়ে এরকম ছেলে খেলা করবেন না। অন্তত সম কাজে সম বেতন এটা মানুন যাতে মানুষের ভালো হয়। আর বেশি কিছু লিখেছি না সব শেষে প্রণাম নেবেন। 

Friday, 11 January 2019

আজ বিবেক চেতনার দিন।

আজ বাঙালি জাতির গর্বের দিন, কারণ আজ এমন একজন মহাপুরুষের জণ্ম দিন, যিনি গোটা বিশ্বের মানুষের কাছে বন্দিত । যার বানী প্রতি কথা তৎকালীন সমাজ কেন বর্তমান দিনে খুব প্রাসঙ্গিক, কিন্তু কিছু মানুষ আছেন যারা মুখে তার আদর্শের কথা বলেন বাস্তবে অন্য কাজ করেন। কত গুলো ঠকবাজ মিথ্যে বাদি তার আর্দশ নিয়ে অনুষ্ঠান করেন, ভালো ভালো কথা বলে কিন্তু প্রতিনিয়ত মানুষ কে ঠকানো তাদের বেঁচে থাকার অধিকার হরণ করে নেন। বর্তমানে রাজনৈতিক নেতাদের এরকম মানসিকতা বেশি, একদিকে বিবেকানন্দ এর আদর্শের কথা বলছেন, আর অন্য দিকে নিরন্ন না খেতে পাওয়া মানুষ দেখলেই ঘৃনা করেন। কীভাবে এই সব অর্ধশিক্ষিত অভুক্ত মানুষ কে ভুল বুঝিয়ে নিজের আখের গুছিয়ে নেওয়া যায় তার ব্যবস্থা পাকা করে নেন। ভোট এলে প্রতিশ্রুতির ফোয়ারা ছোটে মানুষ নিজের সঠিক মত প্রকাশ করতে না পারে তার ব্যবস্থা পাকা করে দেওয়া হয়, মদ আর মাংস মশা মারার মতো মানুষ খুন করতে পারে সেরকম লোক লাগানো হয়। আর প্রতি বছর বিবেকানন্দের জন্ম দিন বিবেক চেতনা উৎসব পালন করা হয়, ঘটা করে কিন্তু নিজেদের বিবেক আর জাগ্রত হয় না। মানুষ ঠকানো চতুর ভাবে মানুষের উন্নয়নের টাকা হাতানো ঘুষ তোলা তোলা তোলা কোথাও আবার মানুষ কে কাজ করতে না দেওয়া সঠিক মজুরি বা বেতন না দেওয়া এই কাল অন লাইন নিউজ পোর্টালে পড়লাম একজন বনদপ্তরে সিকিউরিটি গার্ড তিন মাস বেতন না পেয়ে আত্মহত্যা করেছেন। কর্মী টি একটি বেসরকারি সংস্থার দ্বারা নিযুক্ত, এরকম অনেক শ্রমিক কর্মচারী আছেন যাদের বেতন এক থেকে দেড় হাজার টাকা মাসে। আর এক দিকে দেখুন এম পি, এম এল এ ও মন্ত্রীদের বেতন আকাশ ছোঁয়া আবার কোন রকম পাঁচ বছর থাকলে পেনশন পাবে, তাতেও তাদের আশা মেটে না আরো চাই, জন গনের নেতা জন গন থেকে বিচ্ছিন্ন ঘুষ খেয়ে তোলা বিভিন্ন সরকারি কাজ থেকে কাটমানি নিয়ে প্রাসাদ তৈরি করে বাস করেন। চার চাকা করে ঘুরে বেড়ায় সিকিউরিটি গার্ড নিয়ে। সত্যিই যদি এই নেতা মন্ত্রীরা স্বামী বিবেকানন্দের আদর্শ নিয়ে চলতেন তবে আজ আমার বাংলা তথা ভারত বর্ষ আরও অনেক নেতাজী, চিত্তরঞ্জন দাশ, রাস বিহারী বসু বিদ্যাসাগরের মতো মহাপুরুষ পেতে পারতো। আমাদের দূর্ভাগ্য ঘটা করে সরকারি ভাবে বিবেক চেতনা উৎসব পালন করা হচ্ছে, শুধু কিছু নেতার পকেটে কিছু সরকারি টাকা কাট মানি হিসেবে পাইয়ে দেওয়ার জন্য। ভালো ভালো কথা বলে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে মানুষ কে মানুষ মনে না করা এই সব নেতা মন্ত্রী দের বিবেক বুদ্ধি যদি একটু জাগ্রত হতো, তবে সাধারণ মানুষের দুঃখ ও অবহেলিত মানুষ অনেক সুখে শান্তিতে বসবাস করতে পারে। আমি বিবেকানন্দের কথা যত পড়েছি এই বিশ্ব জয়ী মহাপুরুষের অমৃত বানী গুলো যত পড়ি তত ভাবি সত্যিই আমি মানুষ হতে পেরেছি তো।.আশায় রইলাম নেতা তথা মন্ত্রী দের বিবেক জাগ্রত হবে। 

Thursday, 10 January 2019

বছরের শুরুতে স্কুলে ভর্তি সব ছাত্র ছাত্রীদের বই নেই, আছে শুভেচ্ছা পত্র।

জানুয়ারি মাসে প্রতিটি বিদ্যালয়ে ভর্তির সময়। ছাত্র ভর্তি সেতো আজব নিয়ম জানুয়ারি মাসের ২রা জানুয়ারি জণ্ম তারিখ হলে আর ভর্তি নেই, যারা নতুন বিয়ে করেছ ভাই শুনে নাও সন্তানের জন্ম যেন ১লা ডিসেম্বর থেকে ৩১ শে ডিসেম্বরের মধ্যে হয়, না হলে ২রা জানুয়ারি হলে তাকে সরকারি স্কুলে ভর্তি নেওয়া হবে না। তবে সারা বছর এবং যেকোন শ্রেণিতে ভর্তি হতে পারে। এবার বছরের প্রথম বই দেওয়া হয়েছে, কীভাবে শিক্ষকের কাছে চাহিদা পত্র না নিয়ে ডাইস নামক একটা ফর্মাট দেখে যেটা প্রতি বছর পূরণ করতে হয়। ঐ ডাইস ফর্মাটে অনেক কিছু আছে শ্রেণি মেরামত দরকার খাবার জলের সমস্যা সেব দিকে মন নেই কিন্তু বই দিতে হবে ঐ ফর্মাট দেখে নির্দেশ ঐ ফর্মাটে প্রাক প্রাথমিকে ছাত্র ছিল ত্রিশ জন প্রথম শ্রেণীর বই দেওয়া হলো ত্রিশ টা কিন্তু সরকারের নির্দেশ সারা বছর বয়স অনুযায়ী যে কোন শ্রেণিতে ভর্তি করা যাবে, সেই অনুযায়ী প্রথম শ্রেণীতে আরও চল্লিশ বা তার বেশি ছাত্র ভর্তি হলো এবার বই দেওয়া নিয়ে শুরু হলো সমস্যা বলা হলো ৮/১/২০১৯ বই এর চাহিদা পত্র নিয়ে আসুন বই দেওয়া হবে। হঠাৎ করে বলা বই দেওয়া বাতিল হয়েছে দেওয়া হবে শুভেচ্ছা পত্র। এবার সমস্যা তৈরি হলো বই না পাওয়া ছাত্র ছাত্রীদের অভিভাবকদের জবাব দেবে কে প্রধান শিক্ষক শিক্ষিকা কারণ ঐ অফিস ধরা ছোঁয়ার বাইরে। এখনও পর্যন্ত কবে বই দেওয়া হবে জানান হলো না। অথচ ভর্তি করার আগে অফিস থেকে বলা হলো ছাত্র ভর্তি করুন বই পেয়ে যাবেন। ঘটা করে পুস্তক দিবস পালন করা হলো ২রা জানুয়ারি। অন্য দিকে দেখছি কিছু ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা স্কুলের ছাত্র ছাত্রীরা বাজার থেকে বই কিনে পড়াচ্ছে । এমন ব্যবস্থা এই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীরা খুব সহজেই সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তি হতে পারে, আর সরকারি বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তি করতে হলে নানা বাধা। আমার তো মনে হচ্ছে সরকার চায়না সরকার পোষিত প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোতে ছাত্র ভর্তি হোক। আমি তো অফিসের কথায় ছাত্র ভর্তি করেছি এখনো বই দিতে পারিনি, জানি না কবে বই দিতে পারব। বুঝতে পারছি না কবে ঐ বড়ো বড়ো বাবুদের মাথায় ঢুকবে যে শিক্ষক দের বাঁশ দিতে গিয়ে সরকারের বদনাম হচ্ছে। পরিশেষে বলি সকলে ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন ।

Tuesday, 1 January 2019

কম বেতনের কর্মী।

ছবি টি অন লাইন নিউজ পোর্টাল আজ বিকেলের থেকে নেওয়া। সর্বশিক্ষা অভিযান মিশনের নিয়োগ প্রাপ্ত শিক্ষা বন্ধু দের আন্দোলন। আমি ওদের ঐ আন্দোলন কে সমর্থন করে লিখি, ভাই বন্ধু তোমরা কেউ দুঃখ করো না। তোমাদের থেকেও কম বেতনে কাজ করতে হয় আশা আর মিড ডে মিলের রাঁধুনি দে আই সি ডি এস রাঁধুনি আর কর্মী দের, এটা এরাজ্যের দস্তুর। শুধু এ রাজ্য কেন গোটা দেশে এরকম চলছে, এম পি এম এল এ দের বেতন বছর বছর বাড়ে। তাদের বেতন এখন যতটা সম্ভব একলক্ষ টাকা থেকে শুরু করে তিন লক্ষ টাকা পর্যন্ত আবার পেনশন আছে, কেবল কর্মী দের সময় টাকা নেই, পেনশন ও নেই। কর্মীদের বেতন দেওয়া বাংলার অর্থ মন্ত্রী কাছে খুব কষ্টের। আমি শুনেছি তিনি ব্যবসায়ী দের সংগঠন ফিকির সাথে যুক্ত ছিলেন। তিনি ব্যবসায়ী দের যুক্তি দিয়ে এসেছেন কীভাবে কর্মী তথা লেবার দের বেতন কম দিয়ে, সরকারি ঋণ শোধ না করে সরক ট্যাক্স না দিয়ে, মুনাফার পাহাড় করা যায়। উনি সেই সব প্রকল্পের জন্য জন্য টাকা দেন যেখান থেকে কাট মানি পাওয়া যাবে। ক্লাবে টাকা দেওয়া, জুতো দেওয়া, থালা দেওয়া, পোশাক দেওয়া, মদ খেয়ে মারা গেলে, কাট মানি নেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনা হয়ে যায় গ্রাম বাংলা সড়ক যোজনা, একশ দিনের কাজ ও তো কথাই নেই। কৃষকের ফসল বিমা আরও নতুন নতুন প্রকল্প চালু করতে চলেছে এই সরকার। ভাই ভাইপো দের পো বার এ বলে আমায় দেখ ও বলে আমায় দেখ সকালেই অন লাইন নিউজ পোর্টালে পড়লাম একজন ছোট্ট নেতা খুন হয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী এতো বলা সত্ত্বেও বন্ধ হয়নি তোলা আর তোলা নিয়ে নিজ দলের মধ্যে মারামারি খুন খারাপি। কত প্রকল্প যে আরও ঘোষণা করা হবে তার ঠিক নেই, সব টাকা পাওয়া যাবে কিনা ঠিক নেই, কি কেন্দ্রীয় সরকার কি রাজ্য সরকার লোকসভা নির্বাচনে আগে কল্পতরু, যদিও প্রকল্প চালু করতে ধরে নেওয়া গেল টাকা আছে বা টাকা পাওয়া যাবে, তাহলে বলতে হবে সব কাজের জন্য টাকা আছে কিন্তু সরকারি কর্মীদের বেতন দেওয়ার জন্য টাকা নেই। তখন বামফ্রন্ট সরকার দেনা করে রেখে গেছে, এই সরকার কত ইতিমধ্যে বাজার থেকে ঋণ নিয়েছে সেটা কিছু না। সব মিলিয়ে সরকারি কর্মীরা ভালো আছি বলুন কাজ না করলে আপনি ভালো নয়, পেটে ভাত নেই, ছেলে মেয়েদের পড়ানোর টাকা নেই, তাতে কি বেতন নেই তো কি আছে ভয় দেখানো আছে।