Tuesday, 27 June 2017

বাংলায় নতুন কারখানা।

বাংলায় শিল্প আনার জন্য অনেক ছোট ছুটি দেশ বিদেশের মাটিতে শিল্প সম্মেলন করে শিল্প আনার চেষ্টা। কিন্তু আমরা একটু নজর দিলে দেখব, আমাদের প্রিয় সনণ্মানীয় মুখ্যমন্ত্রীর বাতলে দেওয়া "চপ কারখানা" আগে থেকেই যা ছিল তার পরও অনেক হয়েছে। বিক্রি বাটা করে সংসার চলে না, কিন্তু হয়েছে। কত ছেলে করে খাচ্ছে ভাবুন, ঘুঁটে শিল্প এখন হয়নি, কারণ এখন ঘরে ঘরে উজ্জ্বলা যোযনার কম পয়সার গ্যাস সিলিন্ডার। লোকদীপ বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার মতো, এখন কম দাম  অভ্যস্ত হয়ে পরলে ভবিষ্যতে দাম বেশি দিয়ে কিনতে হবে। যদি বন্ধ ডানলপ, থুরি অধিগৃহিত ডানলপে মুড়ি শিল্প হত, অধিগৃহিত বসুমতি আরও কোনো কোনো কারখানা ওহো জেসপ এবং বন্ধ হিন্দমোটর এসব কারখানায় যদি ঘুঁটে শিল্পও হতো তবে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ে বাইরে যেতে হত না। এত ছুটো ছুটি জনগণের ট্যাস্কের টাকা খরচ করে বিদেশে ঘুরতে হতো না। আহা পশ্চিমবঙ্গে একটা জিনিস হয়েছে যুবশ্রী বঙ্গশ্রী সাইকেল শ্রী পঞ্চাশ শতাংশ ডিএ না দিয়ে কর্মীদের ভাতে মারা শ্রী থুরি দুটাকা কিলো চালের শ্রী তাহলে কর্মী বিপিএল আছে বিপিএল মাষ্টার আছে থুরি প্রাথমিক শিক্ষক সর্বদা বিপিএল শ্রী। এবার পশ্চিমবঙ্গের ভীষণ সুনাম ৭৫০ টাকা বছরে দিয়ে কন্যাশ্রী প্রকল্প আর্ন্তজাতিক পুরষ্কার পেয়েছে বিপিএল শ্রী মাষ্টার দের পড়াতে হবে। 'কন্যাশ্রী সাইকেল শ্রী পাচ্ছে তাই ভাই দের কী আনন্দ পার্কস্ট্রীট না মধ্যমগ্রামের পর ২০,৩০,হাজার টাকার যে ধর্ষনশ্রী ঘোষণা হয়েছিল সেটি পাইয়ে দেবার জন্য। ওতো শরীরের জ্বর জ্বালার মতো একটু যদি হয়েই থাকে দোষ কী? ছিঃ ছিঃ বিষয়ের বাইরে চলে গেলাম। একটু চুপ করে লিখি কারণ আমার ব্লগ কেউ পড়ে না। যদি সিঙ্গুরে চার শ একর ফিরিয়ে দিয়ে ছশ একরে একটা চপ বা মুড়ি শিল্প ও হত তাহলে কিছু ইঞ্জিনিয়ার চাকরি পেত। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক হবার জন্য ছুটত না, আহা ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস।

Monday, 26 June 2017

রথ যাত্রা খবর (কল 24*7)

ডেইলি হান্টের বঙ্গ বিভাগের খবর পড়লাম পশ্চিমবঙ্গে মুর্শিদাবাদ জেলার রঘুনাথগঞ্জে প্রায় ৪০০ বছরের পুরনো রথ যাত্রার অনুমতি দেয়নি পুলিশ। কারণ ঈদের আগের দিন মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় রথ যাত্রা হলে উত্তেজনা ছড়াতে পারে। দারুণ যুক্তি, এই না হলে আমরা ধর্ম নিরপেক্ষ দেশের অধিবাসী। আবার এও পড়লাম যে অনুমতি ছাড়া রথ টানা হচ্ছিল, খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে ১০০ মিটার দূরে থামিয়ে দেয়। কী সুন্দর ধর্ম নিরপেক্ষ দেশ ভাবুন, একটি ধর্মের মানুষ পরের দিন তাদের ধর্ম পালন করতে পারে তার সুব্যাবস্থা করতে অন্য আরেকটি ধর্মের মানুষের আচার অনুষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাক ক্ষতি নেই। কারণ তারা সংখ্যা গুরু, আমার ভাবনায় যাদের সংখ্যা লঘু বলছেন। তারা আসলে খাতা কলমে সংখ্যা লঘু বাস্তবে অনেক বেশি। রাজনৈতিক দল গুলো ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য বা বারবার ক্ষমতা দখল করার জন্য এমন তোলাই দিচ্ছে যে কল্পনা করা যায় না। আমাদের রাজ্যে তো অনেক বেশি ওই ধর্মের মানুষের মধ্যে কিছু লোকের জন্য ভাতা ঘোষণা করা হয়েছে। অথচ হিন্দু পুরোহিতদের জন্য নেই। কত সুবিধা করা হয়েছে বলে শেষ করা যাবে না। সেই জন্য মুর্শিদাবাদের ওই ঘটনায় অবাক হবার কিছু নেই। মুসলিম অধ্যুষিত তাই দুর্গা পুজো করা যাবে না, এতেও আশ্চর্য হবার কিছু নেই।

আমার ব্লগ পড়বেন মন্তব্য করবেন।

Saturday, 24 June 2017

আমার গ্রাম পল্তাগড়ের কিছু কথা।

আগে লিখেছিলাম আমার গ্রাম টি হুগলি জেলার সিঙ্গুর থানার অন্তর্গত পল্তাগড় গ্রাম। গ্রামে যেতে হলে সিঙ্গুর বোরা রাস্তা ধরে যেতে হয়। প্রথমে পড়ে অপূর্বপুর তার পড়ে খালের পর থেকে শুরু হয় পলতাগড় গ্রাম প্রথমে আসে একটি ছোট আদিবাসী পাড়া তার পর শ্মশান কালী মাতা মন্দির ।তার পাশে ছোট বসতি পার হয়ে গ্রামের শুরু আছে বহু পুরনো রাম মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ, কয়েক পা এগোলে আরেক প্রাচীন এবং বর্তমানে ছোট মা মনসার মন্দির। পাশে বড় শিব পুকুর কথিত আছে যে এই মনসা ঠাকুর ঐ পুকুর থেকে উঠে এসেছেন। এরপর বর্তমান পিচ রাস্তা দিয়ে এগিয়ে গেলে ছোট খেলার মাঠ, তার পর পলতাগড় রাধা রানী উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়। লাগোয়া উত্তর দিকে কেন্দ্রীয় সরকারের বহু পুরনো হেলথ সেন্টার আর দক্ষিণ দিকে ভাঙা চোরা ধর্ম ঠাকুরের মন্দির। এর সামনে অনেকটা ফাঁকা খাস জায়গা যা দখল হয়ে গেছে এবং চক্রবর্তীরা বর্তমানে একটি জগদ্ধার্ত্রী মন্দির করেছেন। আর আছে পলতাগড় গ্রামের ছোট ডাকঘর, এর উল্টো দিকে গ্রামের শত বছরের পুরনো দুর্গা মণ্ডপ। ওর থেকে একটু ভেতরে আছে পলতাগড় রাধা রানী প্রাথমিক বিদ্যালয়। আরেক টি কালী মন্দির, যেখানে মাঘ মাসে রত্ নটি কালী পূজো হয় প্রতি বছর।পিচ রাস্তা দিয়ে আরেকটু এগিয়ে শীতলা মাতার মন্দির। এই মন্দিরের পিছনে একটু ভেতরে বর্তমানে একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান তাদের অনাথ আশ্রম করেছে কয়েক বছর হল। পিচ দিয়ে এগিয়ে চলুন পলতাগড় শিব তলা। কথিত আছে এই শিব ঠাকুর ও মন্দির বর্ধমানের মহারাজ নির্মাণ করে দিয়ে ছিলেন। সে মন্দির কাল ক্রমে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল গ্রাম বাসীরা বর্তমান ঘরটি করে দিয়েছে। কথিত আছে বর্ধমানের মহারাজ এই মন্দিরের দেখভাল করার জন্য অনেক দেবত্তর সম্পত্তি দিয়ে ছিলেন। মন্দির ভেঙে গেল এলাকার গোমস্তা চক্রবর্তীরা ঠাকুর নিয়ে যায় এবং কালে কালে সব জমি আত্মসাৎ করে নেন। পরে গ্রাম বাসীরা মন্দির ঘর নির্মাণ করলেও সে ঠাকুরও দেয় না, আর জমি তো দূরের কথা। ঐ চক্রবর্তীর সব জমি বিক্রি করে দেন। বর্ধমানের মহারাজের দেওয়া ঠাকুর এখনও তাদের দখলে। যাহোক এই মন্দিরের উল্টো দিকে একটি পরিবারের লক্ষী নারায়ণের মন্দির আছে। এবার নব নির্মিত পিচ রাস্তা দিয়ে এগিয়ে গেলে বিরামনগর গ্রাম। এই গ্রামের প্রথমে শিব মন্দির আছে।  শোনা যায় এ মন্দিরও বর্ধমানের মহারাজা করে দিয়ে দিয়ে ছিলেন। রাস্তা দিয়ে একটু এগিয়ে গিয়ে বিরামনগর প্রাথমিক বিদ্যালয়। এই বিদ্যালয়ের পিছন দিয়ে একটু ভেতরে এগলে পলতাগড় গ্রামের একটি অংশ গৌরীবাটী। এই গৌরীবাটী অংশটিও সমৃদ্ধ অনেক মানুষের বাস সর্ব রকম ধর্মীয় অনুষ্ঠান এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। এবং এই গৌরীবাটীর গৃহ শিক্ষক অমর নাথ দাসের উদ্যোগে একটি ক্ষুদ্র মাসিক পত্রিকা প্রকাশিত হয় "দিগন্ত সংবাদ "।

Wednesday, 21 June 2017

ইংল্যান্ডে পাকিস্তানের কাছে ভারতের হার।

ইংল্যান্ডে চাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ফাইনালে পাকিস্তানের কাছে ভারতের হার, একটি বিশেষ ধর্ম সম্প্রদায়ের মানুষ পাকিস্তানের পতাকা নিয়ে বাজি ফাটিয়ে আনন্দে আত্মহারা। কাল কাগজে পড়লাম জনা পনেরোকে গ্রেফতার করা হয়েছে, দেশদ্রোহিতার অপরাধে। যারা গ্রেফতার হলেন তারা ঐ বিশেষ সম্প্রদায় বলে, পাকিস্তানকে সমর্থন করে বলছি ভুল হল। কারণ বিশ্ব ফুটবলে যখন ব্রাজিল বা আর্জেন্টিনা জেতে তখন অলিতে গলিতে ঐ দু দেশের পতাকা নিয়ে বাজি ফাটিয়ে আনন্দে আত্মহারা হয়ে ওঠে। তখন কিন্তু এক জন গ্রেফতার হয়না, কারণ তখন ভারত খেলে না তাই, এ যুক্তি মানা যায় না। কেউ কেউ আবার বলেন পাকিস্তান প্রথম হেরে গেলেও পরে খুব ভাল খেলেছে। কিন্তু আমি মনে করি অন্য কিছু আছে ভারতের এই জঘন্য হারের পিছনে। কারণ ভারত যদি ঐ চাম্পিয়ন্স ট্রফি ফাইনালে জয় পেত, তবে পাকিস্তানের খেলোয়াড় রা দেশে মানে পাকিস্তানে ফিরতে পারত না। তাদের প্রিয় জন দের অবস্থা বা বাড়ি ভাঙচুর হয়ে যেত। আমার ঠিক সালটা মনে নেই এরকমই ফাইনালে ভারতের কাছে পাকিস্তান হেরে ছিল, তাদের ক্রিকেট দল দেশে ফিরতে পারেনি। কয়েক জন ক্রিকেট খেলোয়াড়ের বাড়ি ভাঙচুর হয়ে ছিল। এসব কাগজে পড়েছি। সেই জন্য আমার মনে হয় ভারত হেরে গিয়ে ওদের বাঁচিয়ে দিয়েছে। তাই এ নিয়ে মাতামাতি করার কিছুই নেই, ওরা সপরিবারে দেশে ফিরেছে এটার জন্য আনন্দ করা যেতে পারে। শুভেচ্ছা জানানো যেতে পারে।
আমার ব্লগ যারা পড়ছেন, তাদের অনুরোধ দয়া করে খারাপ ভালো মন্তব্য করবেন।

Thursday, 15 June 2017

(খবর আ :বা:) সিঁদুরে আপত্তি নেই, হিজাবে কেন?

আমি শ্যামল বন্দ্যোপাধ্যায় উক্ত খবরটি পড়ে লিখতে বাধ্য হলাম। আমি আনন্দ বাজার পড়ি কিন্তু লেখার সুযোগ নেই। কারণ আমি অখ্যাত গ্রামের ছেলে ওদের কাছে আমার যোগ্যতা নেই। তাই ঐ কাগজের নেট দূর সাধারণ কাগজেও লেখা ছাপা হয় না। তাই আমার কথা আমার ব্লগ এ লিখলাম যদি কেউ দেখন ভালো লাগবে।
লেখিকা মনীষা বন্দ্যোপাধ্যায় তিনি সূন্দর নাম দিয়েছেন। লিখেছেন ধর্ম ও রাজনীতি নিয়ে যা অনেক আগেই আমি আমার ব্লগে লিখেছি। তবে ওনার তোলা প্রশ্নের সহজ জবাব হল। হিজাব পরে অনেক দূস্কৃতি অনেক দূস্কর্ম করছে, কারণ হিজাব পরে সর্বাঙ্গ চাপা সি সি টিভি তো দূর কারর পক্ষে চেনা সম্ভব নয় সে পুরুষ না মহিলা। কিন্তু সিন্দুর পরলে সে ওভাবে নিজেকে আড়াল করা সম্ভব নয়। তাই আমার মনে হয় নাম করণের সঙ্গে লেখার মিল নেই। উনি যে টা লিখেছেন সেটা হল ধর্ম নিয়ে রাজনীতি, ও রাজনীতি স্বাধীনতার সময় তার বীজ বপন করা হয়েছে। দেশ ভাগ হয়েছে ধর্মের ভিত্তিতে স্বাধীনতা সংগ্রামে যত মানুষ শহীদ হয়েছিল তার থেকে মনে হয় বেশি লোক ঐ সময়ে মারা গেছে। শুধু আমাদের দেশের তখন কার নেতাদের ভুল সিদ্ধান্তের ফলে।
সেই শুরু ধর্ম নিয়ে রাজনীতি এখন চলছে সে রাজনীতি। একটি বিশেষ সম্প্রদায় কে ভোটের জন্য তোলাই দিয়ে যাচ্ছে, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। যত রকম ভাবে হয় এদের সুযোগ দিচ্ছে, এদের এক ধরনের কর্মীর জন্য বিশেষ ভাতা ঘোষণা হচ্ছে। অথচ হিন্দু পুরোহিত দের কোনো ভাতা নেই। আবার সেই দেশ ভাগের সময় যে দুটি জাতি বেশি ক্ষতি গ্রস্ত হল, বাঙালি হিন্দু জাতি আর পাঞ্জাবি শিখ সম্প্রদায় তাদের জন্য কেউ ভাবে না। এমন তোলাই যে এরা ধর্মীয় আইনের নামে আলাদা একটা শাসন ব্যবস্থা চালু করে রেখেছে, একটা সমান্তরাল সরকার চালাচ্ছে। আর জনসংখ্যা বাড়িয়ে চলছে, হিন্দু বিবাহ আইন এবং জনসংখ্যার কড়াকড়ি করে আজ হিন্দুস্থানে হিন্দুরাই সংখ্যালঘু। এর পরও বলেন যারা বলছে ভারত একটি ধর্ম নিরপেক্ষ দেশ এখানে সকল ধর্মের জন্য আইন এক কোনো ধর্মীয় থাকবে না। একটু চোখ খুলনা দেখুন গোটা ভারতবর্ষের সকল মানুষের জন্য যে কোন আইন নিয়ম এক। একটু ভেবে দেখবেন এতে সকলের মঙ্গল।

Friday, 9 June 2017

বিভিন্ন সময়ে ভারতের মহাপুরুষ দের বানী।

ভারতের আদি যুগ থেকে যে সব মহান ব্যক্তি জন্ম গ্রহণ করেছেন, ভারতের মানুষের ভালো চেয়েছেন। তারা কিছু কথা বলেছেন বা উপদেশ দিয়েছেন সকলের ভালোর জন্য।আবার এরকম আছে যা কোন সময় কোন মহাপুরুষ হয়তো বলেছেন যা কেউ জানে না সেই প্রচলিত কথা গুলো আজ আমার কাছে অন্তত বানী বলে মনে হচ্ছে। এখন গুলো অনেকে মুখে বলেন, মেনে চলেন না। আমি এই বানী গুলো বিভিন্ন বই পত্র পত্রিকা থেকে এবং বিভিন্ন জায়গায় দেওয়াল লিখন থেকে সংগ্রহ করেছি। যদি কিছু মানুষও পড়েন অনেক আমরা এসব ভুলতে বসেছি।
প্রচলিত বানী।
১)সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপর নাই।
২)ঈশ্বর মানব জাতি সৃষ্টি করিয়াছেন, ধর্ম নয়, ধর্ম মানবের সৃষ্টি।
৩)সকল জীবকে ভালোবাসো, ভালোবাসা বা বন্ধুত্ব শ্রেষ্ঠ ধর্ম।
৪)সদা সত্য কথা বলবে, সৎ পথে চলবে। তাতে বাধা আসবে কিন্তু ফল ভাল হবে।
৫)কেউ আঘাত করলে তাকে আঘাত করিও না পারলে ভালোবেসো।
৬)তোমার মন থেকে পাপ দূর কর, দেখবে সমাজ থেকেও পাপ দূরে যাবে।
৭)অপরের ক্ষতি বা অনিষ্ট করিও না, তাহলে নিজের ক্ষতি বা অনিষ্ট হইবে।
৮)অপর কে দুঃখ কষ্ট দেওয়া মহাপাপ।
৯)মানবের মাঝে দেবতার বাস তাকে অপমান করিও না।
১০)অপরের দুঃখে বা বিপদে আনন্দ নিওনা।
১১)তুমি পাপ করলে বা খারাপ কাজ করলে তার দায় তোমার, কেউ তার ভাগ নেবে না।
১২)সকলের বাঁচার অধিকার আছে। সে অধিকার অপরকে দিতে হবে।
১৩)তুমি তোমার কাজ টুকু করিয়া যাও তাহাতেই সকলের মঙ্গল।
১৪)অপরের দোষ ত্রুটি দেখিও না, নিজের দোষ ত্রুটি দেখিও।
১৫) পরের সম্পদ বা ধন নিজের বলিয়া করিও না। তাহলে বিপদে পড়িবে।
১৬)তোমার ব্যবহার ই তোমার পরিচয়।
১৭) কেউ কটু কথা বললে তাকে কটু কথা বলিও না।
১৮)সংসারের বা সমাজের নিয়ম হচ্ছে, মানিয়ে নেওয়া, যে মানিয়ে নিতে পারে সে বাঁচে।
১৯)কর্মের বিকল্প নাই, সুতরাং যে যার মতো কর্ম করে যাও
২০) অপরের কর্মে বাধা দিওনা, তাহলে তোমার কর্মে বাধা আসিবে।
২১)অপরকে সন্মান দিলে, নিজের সন্মান বজায় থাকে।
২২)তোমার জিনিস অপরে নষ্ট করলে, যেমন তোমার কষ্ট হয়। সে রকম অপরের জিনিস নষ্ট করলে তাহার কষ্ট হয়।
২৩)ভুল মানুষ কে শিক্ষা দেয় কারণ ভুল করতে করতে মানুষ শিক্ষা লাভ করে।
২৪)নিজের দোষ বা অপরাধ অপরের উপর বা অন্যের উপর চাপিয়ে দেওয়া মহাপাপ।
২৫)আমাদের নিজের বলে কিছু নেই, যা নিজের বলছ ভেবে দেখো তা অপরের তৈরি।
২৬)কারণে অকারণে অপরের সাথে তুলনা করিও না, তোমার যা আছে সেটাই ভালো।
২৭)উচ্চ ধনী ব্যক্তির সাথে তুলনা করিও না, নিম্ন আয়ের লোকের দিকে দেখো, তাহার থেকে তুমি ভালো আছ কিনা।
২৮)তোমার অনেক বুদ্ধি বা জ্ঞান বেশি, অপরের তা নেই। এই অহংকার করিও না।
২৯)মানবতাই পরম ধর্ম।
৩০)অশিক্ষার থেকে কুশিক্ষা ভীষণ খারাপ।
৩১)ভালোবাসায় সব সব হয়। হিংসা শুধু ক্ষতি করে।
৩২)গরীব হয়ে জন্মানো পাপ নয়, গরীব হয়ে মারা যাওয়াটা পাপ।
৩৩)যা আছে তা রক্ষা করে রাখ, সন্তুষ্ট থাকতে হবে। অপরের দেখে বেশি লোভ কর না।
৩৪)ধৈর্য্য ধরে থাক সুফল পাবে।
৩৫)রক্তের সম্পর্ক বড়ো নয়, ভালোবাসার সম্পর্ক বড়ো।
৩৬)পরের উপকার করা ভালো তবে নিজের ক্ষমতার ভেতরে থেকে। উপকারের প্রতিদান চেয় না।
৩৭ )সকলের উপকার করো না, আগে দেখ সে উপকার নেবার যোগ্য কিনা।
৩৮)কোনো ব্যক্তিকে অসন্মান করিও না, তাহলে নিজে সন্মান পাবে না।
৩৯)চরিত্র ঠিক রাখতে হবে না হলে পরে পস্তাতে হবে।
৪০)বনের বাঘ যেমন বন আর মাংসের কথা ভোলে না। সে রকম চরিত্র হীন রা কোনো দিন নিজেকে ঠিক রাখতে পারে না।
৪১)দান কর কিন্তু অপাত্রে না।
৪২)মনুষ্যত্ব, বিবেক, চরিত্র ঠিক থাকলে নিশ্চয়ই লক্ষ্যে পৌঁছে যাবে।
৪৩)অসহায় দূর্বল মানুষকে সাহায্য কর, ঈশ্বর তোমার সাথে থাকবেন।
88)কেউ তোমাকে খারাপ বলছে, তুমি নজর দিওনা, নিজের কর্মে এগিয়ে যাও।
৪৫)আদিম যুগে মানুষ অসহায় ছিল, সে তার বুদ্ধি ও আর শ্রম দিয়ে আজকের পৃথীবী তৈরী করেছে। তাই কর্ম করে যাও। উন্নতি হবে।
৪৬)কখনো পিছনে ফিরিয়ে দেখিও না, অতীত কে মনে রেখো, অতীতের ভুল শুধরে কাজ করে যাও।
৪৭)কেউ কেউ কাজের সমালোচনা করেন, করুক তুমি বিরক্তি বোধ করিও না।
৪৮)প্রত্যেকের মধ্যে ভালো মন্দ দুটি গুন আছে। ভেতর থেকে ভালোটি কে বার করে আনো।

রামকৃষ্ণের অমৃত বানী ।
১) যত মত তত পথ। কালী খ্রীষ্ট আল্লাহ সব এক কোন ভেদা ভেদ নেই ।
২) শিব জ্ঞানে জীব সেবা করো , তাতেই মুক্তি।
৩) সবেরি ভালো মন্দ থাকে মন্দ টা বাদ দিয়ে ভালো টা নিতে হয় ।
৪) টাকা মাটি মাটি টাকা।৫)পাপ কে ঘৃণা করো পাপী কে নয়। ৬) পাঁকেই তো পদ্ম ফুল ফোটে, সেই ফুলেই মায়ের পূজা হয়। কয় তাতে কি পাঁক লেগে থাকে। ৭) পিতা মাতার ছবি দেখে যেমন পিতা মাতা কে মনে পড়ে। সেরকম দেবতার ছবি দেখে তাকে মনে পড়ে। 
     ৮)মানুষের মন যেমন চঞ্চল দেবতাও চঞ্চল, দেবতা বা ঈশ্বর কে অনুভব করতে হলে মন কে স্থির করতে হবে। 

আমাদের মুখ্যমন্ত্রী কল্পতরু।

আমাদের মুখ্যমন্ত্রী তুলনা হয়না, উনি সাক্ষাৎ কল্পতরু। সারা ভারত বর্ষের এক জন মুখ্যমন্ত্রী পাবেন না যিনি আমাদের মুখ্যমন্ত্রীর মত কাজ করেন। আমরা গর্বিত এ রকম এক জন মানুষ কে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে পেয়ে। কী গুন নেই, উনি ছবি আঁকতে পারেন। অনেক ভালো বই লেখেন। কবিতা লিখতে পারেন, কবিতা গুলো এত সুন্দর একবার পড়লে বারবার পড়তে মন চায়। ভাবুন উনি সিঙ্গুরের মানুষের জন্য কি না করেছেন। সিঙ্গুরে কলেজ করেছেন, জমি ফিরিয়ে দিয়েছেন, শুধু অনিচ্ছুকদের নয়, সকল চাষিদের। যদিও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে, তাতে কি উনি তো চাষিদের জন্য সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত আইনের লড়াই করেছেন সরকারি টাকায়, তাতে কি। ভাবুন ক্ষমতা এসে চলচ্চিত্র অভিনেতা ও অভিনেত্রী দের জন্য কত সুন্দর ব্যবস্থা করেছেন। প্রায় সব অভিনেতা, অভিনেত্রী কে নিজের দলে জায়গা দিয়েছেন। কতজন আবার M. P.ও M. L.A.হয়েছেন। কত সুযোগ করে দিয়েছেন কত পদ। কতরকম পুরষ্কার দিচ্ছেন ভাবা যায়। বঙ্গশ্রী, বঙ্গভুষণ, বঙ্গবিভুষণ, শিক্ষক দের জন্য কত কিছু করেছেন। শিক্ষক দিবসে পুরষ্কার দিচ্ছেন, এক তারিখে বেতনের ব্যবস্থা করেছেন। যুবকদের জন্য যুবশ্রী, কন্যার জন্য কন্যাশ্রী বছরে ৫০০ টাকা মাসিক ভাতা ৪১ টাকা। তাতে কি যদি আঠারো বছরের মধ্যে বিয়ে না হয় তবে এক কালীন ২৫০০০ টাকা। একটা শ্রী লজ্জায় লিখতে পারি নি, যেটি উনি পার্ক স্ট্রিট, মধ্যমগ্রাম ঘটনার পর হয়তো ঘোষণা করেছিলেন। আরো আছে সাইকেল দেওয়া হয়, প্রাথমিক বিভাগের জন্য পোশাক ও জুতো। এখানে মজা আছে এই প্রাথমিক বিভাগের সব থেকে ছোট যারা তাদের জন্য জুতো ও নেই জামাও নেই কী মজা। এই জামা দেওয়ার জন্য বছর কয়েক আরও মজা যোগ হয়েছে। কোথায় থেকে কী সব গুরুপ বা দল এসেছে এরা কেউ পোশাক তৈরি করে না। বুঝতেই পারছেন মাঝখানে কি হচ্ছে, দালালরা দালালি নিচ্ছে। আর ঐ দালালির টাকা বাঁচিয়ে আগে সব ছেলে মেয়ে দের পোশাক দেওয়া হত। এখন হবে না। এটা হুগলি জেলার কথা বলছি। আরো আছে মদ খেয়ে মারা গেলে দু লক্ষ টাকা, ক্লাব গুলো কে দু লক্ষ টাকা। বাঁশের মাচাও তখন ক্লাব। তবে একটি জায়গায় তিনি ঠিক আছেন, বলে ছিলেন ক্ষমতায় এলে সরকারি কর্মীদের কেন্দ্রীয় সরকারের হারে ডি, এ, সঙ্গে সঙ্গে দেবন। তা কিন্তু দেননি, ১৬ শতাংশ বকেয়া ডিএ এর জন্য যারা মহাকরণে ভাঙচুর করেছিল তারা আজ পঞ্চাশ শতাংশের উপর বকেয়া ডিএ নিয়ে আর মুখে কথাটি নেই। ডি, এ যদি চায় তবে বাম আমলের দেনা শোধ করতে টাকা খরচ হচ্ছে। সেই দেনা শুনেছি স্বাধীনতার পর থেকে ঐ পর্যন্তই। কিছু দেনা শুনেছি কাগজে পড়েছি সেটা বাধ্যতামূলক করতে হয়েছে। আর এখন এই ক বছরের মধ্যে কত লক্ষ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছেন, তার হিসেব নেই। তবুও তিনি কাজ করেছেন গ্রামের রাস্তা গুলো পিচ ঢালা হচ্ছে, কোথাও ঢালাই।তবে নিন্দুকরা বলছে ওসব দিল্লির টাকায় হচ্ছে। তবে যে যাই বলুক, এরপর উনি রাস্তা গুলো সব সোনা দিয়ে বাঁধিয়ে দেবেন, কারণ উনি বলেছিলেন পশ্চিমবঙ্গকে সোনার বাংলা করবেন। আমরা সবাই সেই আশায় রইলাম। কল্পতরু নিয়ে আবার লিখব, অনেক বাকি থেকে গেল। ধন্যবাদ সকলে পড়বেন।

Wednesday, 7 June 2017

ধর্ম ও রাজনীতি।

আমি আগেই বলেছি যে আমি কোনো রাজনৈতিক দলকে আঘাত দিয়ে বা দুর্নাম করার জন্য এসব লিখছি না। আমার ব্লগ যদি পড়েন তবে খারাপ ভালো মন্তব্য করবেন। ভালো লাগলে অপরের সাথে শেয়ার করবেন।
ভারতের স্বাধীনতার সময় থেকে ভারতীয় রাজনীতিতে ধর্মের বিষ ঢুকেছে। কীভাবে বলছি ভারত স্বাধীন হয়েছে ধর্মের ভিত্তিতে ভাগ হয়ে। ভারত হিন্দুস্থান অর্থাৎ হিন্দুদের প্রাধান্য আর দুটো অংশ হল মুসলিম প্রধান। কিন্তু ভারতীয় সংবিধানে ভারতকে ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। যেখানে সকল ধর্মের মানুষের নিজের নিজের ধর্ম পালনের কোনো বাধা নেই। এই ধর্ম নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে গিয়ে এবং হিন্দু ধর্মের অনেক কুপ্রথা দূর করার জন্য আইন হল। বহু বিবাহ, বাল্যবিবাহ, দলিতদের সন্মান প্রদান, তপশীল জাতি, তপশীল উপজাতির জন্য সংরক্ষণ। পরে আরও যোগ হল দুটির বেশি সন্তান হবে না। কারণ জন বিস্ফোরণ ঘটে যাবে। কিন্তু অপর দিকে ইসলাম ধর্মাবলম্বী তাদের ধর্মে নিয়ম আছে কি নেই, তারা বহু বিবাহ করেন যত খুশি সন্তানের জন্ম দিচ্ছেন। সংবিধানের সুযোগ নিয়ে ধর্মের নামে জন বিস্ফোরণ ঘটানো হচ্ছে। এতে বসবাসের জন্য জমি লাগছে। খাদ্য উৎপাদনের জন্য জমি কমে যাচ্ছে। এখন ভারতের জনসংখ্যার প্রায় ২০ শতাংশ ইসলাম ধর্মাবলম্বী। অদূর ভবিষ্যতে এই জন গোষ্ঠী অর্ধেক হয়ে যাবে। আর এরা ধর্মের নামে জেহাদ ঘোষণা করছে, এবং সাধারণ নিরীহ মানুষকে হত্যা করেছে। সে নিজের ধর্মের বা অপর ধর্মের বাছবিচার নেই। তাই যারা তথাকথিত জেহাদী তারা যে ধর্মের হোক আসলে তারা মানবতার শত্রু,  ঈশ্বর বা আল্লাহ্‌র সৃষ্টি প্রাণ যারা কেড়ে নেয় তারা মানবতার বন্ধু হতে পারে না। ইতিহাসে যে টুকু পড়েছি তা হলো ইসলাম কথার অর্থ হচ্ছে "শান্তি।" কিন্তু সারা বিশ্বে যত জেহাদ হচ্ছে বা যারা এই কাজ করেছে তারা বেশিরভাগ মুসলিম সম্প্রদায়ের। আসুন আমরা সবাই মিলে একসাথে এই মানবতার শত্রুর মোকাবিলা করি। আমাদের পথ হোক শান্তির পথ।

ধর্ম ও সমাজ ব্যবস্থা।

আমি এখানে যে কথা গুলো লিখছি হয় তো অনেক আগেই জানেন। আর একটা কথা কোন ধর্মকে আঘাত করা বা ছোট করা আমার উদ্দেশ্য নয়। ধর্ম কী কেন সঠিক জানা নেই। কারণ সেই আদিম যুগের মানুষ যে সব নিয়ম পূজা অর্চনা করত। এখন ও তাই করে আসছে, ইতিহাসে পড়েছি, আদিম যুগে মানুষ যে সব ভয় পেত বা কেন হচ্ছে বুঝতে পারত না, সে সব ঘটনা কে দেবতা জ্ঞানে পূজা করত। যেমন বন্যা বা বান থেকে জলের দেবতা বরুণ। বৃষ্টি হলে বাজ পড়ত সেই জন্য ব্রজ ধারী ইন্দ্রের পূজা করত বা এখনো করে। সর্প বা সাপের দেবী মনসা, তা ছাড়া সূর্য, চন্দ্র, অনেক আছে। তাহলে বোঝা যাচ্ছে হিন্দু ধর্ম কত প্রাচীন। আমার তো গর্ব হয় এরকম একটা প্রাচীন ধর্মের ধারক আমি। কিন্তু আর্য রা এসে এই হিন্দু ধর্মকে আরো উন্নত ও কঠিন করে তুলে ছিল। পৌরোহিত্য প্রথা চালু করা, কাজের ভিত্তিতে সমাজকে ভাগ করা, যা ধীরে ধীরে কঠিন জাতি ভেদ প্রথায় পরিনত হয়েছে। এই জাতিভেদ যত কঠোর হয়েছে হিন্দু ধর্ম ভেঙে অন্য ধর্মের জন্ম হয়েছে। বৌদ্ধ ধর্ম, জৈন ধর্ম, আর কত ধর্মের আবির্ভাব ঘটেছে এই ভারতে। শেষে যখন তুর্কি আক্রমণ ঘটেছে তখন অনার্য, অন্য পিছিয়ে পড়া গোষ্ঠীকে কাছে টানতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু খুব একটা সুফল দেয়নি। আবার  বৈষ্ণব ধর্ম যখন প্রবল ভাবে প্রচার হচ্ছে। ইসলাম ও হিন্দু ধর্মের উপর আঘাত হানছে তখন সত্যপীর ঠাকুরের উদ্ভব ঘটেছে। এখনও হিন্দু ধর্মের তথা কথিত উচ্চবর্ণের হিন্দুরা পিছিয়ে পড়া দলিত শুদ্র বা হরিজন দের যে ভাবে অপমান করছে তারা ক্রমশ অন্য ধর্মের দিকে ঝুঁকে পড়েছে। আমার গ্রামে গত বছর দুর্গা পুজো কমিটির সভাপতি করা হয়নি বর্গক্ষেত্রী বা বাগদি বলে। তারা নিজেদের মতো ঠাকুর এনে পূজো করছে। উচ্চবর্ণের হিন্দু দের মধ্যে অনেকে অশিক্ষিত আছে যারা বিবেকানন্দের সেই বাণী পড়েনি যে "হে বীর সর্দপে বল আমি ভারতবাসী। মুর্খ, অজ্ঞান, মুচি, মেথর, চণ্ডাল, ভারতবাসী আমার রক্ত আমার ভাই।"
কিম্বা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের "হে মোর দুর্ভাগা দেশ" কবিতাটা পড়ে নিলে ভালো হয়। তাহলে হিন্দু ধর্মের বর্তমান অবস্থা থেকে অনেকটা মুক্তি পাবে। দলিতদের উপর অত্যাচার বন্ধ করতে হবে তাদের সকল সামাজিক অধিকার দিতে হবে। তবে সহস্র বছরের পুরানো হিন্দু ধর্ম রক্ষা পাবে। আজ দলিতরা অনেকেই ধর্ম পরিবর্তন করছে। উচ্চ বর্ণের অত্যাচার থেকে বাঁচতে অন্য ধর্ম গ্রহণ করছে। আর বেশ কিছু ধর্মনিরপেক্ষতার নাম করে বিশেষ এক ধর্ম গোষ্ঠীকে মাথায় তুলে নাচানাচি। তারাই এখন আমাদের নাচা ছে।

Tuesday, 6 June 2017

এখন ও আমরা সভ্য নই।

রাস্তা দিয়ে যাচ্ছেন অধিকাংশ বাচ্চা বুড়ো বিভিন্ন ধরনের গুটখা পান মশলা খৈনি খাচ্ছে। আর এক মুখ তুথু জড়ো করে ফেলে দিচ্ছে সে আপনার গায়ে পড়ুক বা পাশে পড়ুক দেখার দরকার নেই। এটা করছে বাংলার বাইরে থেকে আসা কিছু মানুষ। এ ছাড়াও দেখছি ট্রেনে যাচ্ছি উঠার দরজায় পা ছড়িয়ে বসে আছে বললেও ওঠে না। আর ঐ গুটখা খাচ্ছে আর থু করে ফেলে দিচ্ছে। চলন্ত ট্রেনে ফেলা মানে যারা পরের কামরায় আছে তাদের কারো না কারো গায়ে ঐ থুতু লাগছে। আরো আছে যদি ট্রেন ফাঁকা থাকে তাহলে সিটে বসে আর একদিকে লাট সাহেবের মত জুতো সমেত পা তুলে দিচ্ছে। আর একজন উঠে বসতে গেলে পা নামিয়ে নিল বটে কিন্তু ঝেড়ে পরিষ্কার করে দিলনা। এখানে যত টুকু লিখেছি সেটা সামান্য মাত্র। তা হলে আমরা কতটা সভ্য হয়েছি। নাকি যত বিদেশী বা অন্য জাতিকে নকল করছি ততই ভুলে যাচ্ছি এই বাংলা তথা বাঙালি জাতি গোটা ভারত বর্ষ কে স্বাধীনতার মন্ত্রে দীক্ষিত করে ছিল। ভুল তে বসেছি বিদ্যাসাগর, রামমোহন, বিবেকানন্দের কথা।তাই বলছি আমরা সভ্য হতে পারিনি।

আজকের দিনে বাঙালি।

স্বাধীনতার জন্য লড়াইয়ে বাঙালির অংশ গ্রহণ সে বলে শেষ করা যাবে না। সেই সব বরেণ্য বাংলা মায়ের বীর সন্তান দের আমার সশ্রদ্ধ প্রণাম। সেই সময় অনেক মহান ব্যক্তি বলে ছিলেন ইংরেজ দের যা ভালো অভ্যাস সেগুলো গ্রহণ করা যেতে পারে। কিন্তু আমরা সেই সব মহান মানুষের কথা মত ভালোর বদলে খারাপ গুলো বেশি করে নিয়েছি। পোশাক পাল্টেছি, ভাষা বাংরেজি হয়ে গেছে। বারে গিয়ে আবার নাইট ক্লাবে গিয়ে মদ খাচ্ছি। মেয়েদের সাথে অসভ্যতা করছি। কেউ বাধা দিলে তার দফা রফা করছি। যার খুব টাকা পয়সা আছে সে ভালো মদ খেয়ে সারা রাত নুতন নুতন মেয়েদের সাথে রাত কাটিয়ে ভোরে ভালো মানুষ সেজে বাড়ি ফিরছে। এই ভাবে কত বাবা মা এর সন্তান অকালে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে। এ গুলো শহরের দিকে বেশি তবে আজ কাল গ্রামের দিকেও এই বদ অভ্যাস গুলো এসে পড়েছে, দূর্দশনের দৌলতে। গ্রামের ছেলেরা বিলেতি মদ না পেলে গ্রামে তৈরি চুল্লু খেয়ে অসভ্যতা করছে। গ্রাম্য সংস্কৃতি পারস্পরিক সম্পর্ক
ভুলতে বসেছে। তৈরি হয়েছে অপসংস্কৃতি কারণ গ্রামের অনেক অল্প শিক্ষিত বেকার ছেলে শহরের কারখানায় কাজে যেত। এখন কাজ নেই কারখানা বন্ধ, কী করবে ভেবে পাচ্ছে না। কাজের অভাব পয়সার টান তবুও চলে চুল্লুর ফোয়ারা। চুল্লুর নিয়ে পরে আবার লিখব এখন এই পর্যন্ত। পড়বেন মন্তব্য করবেন।