আগে লিখেছিলাম আমার গ্রাম টি হুগলি জেলার সিঙ্গুর থানার অন্তর্গত পল্তাগড় গ্রাম। গ্রামে যেতে হলে সিঙ্গুর বোরা রাস্তা ধরে যেতে হয়। প্রথমে পড়ে অপূর্বপুর তার পড়ে খালের পর থেকে শুরু হয় পলতাগড় গ্রাম প্রথমে আসে একটি ছোট আদিবাসী পাড়া তার পর শ্মশান কালী মাতা মন্দির ।তার পাশে ছোট বসতি পার হয়ে গ্রামের শুরু আছে বহু পুরনো রাম মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ, কয়েক পা এগোলে আরেক প্রাচীন এবং বর্তমানে ছোট মা মনসার মন্দির। পাশে বড় শিব পুকুর কথিত আছে যে এই মনসা ঠাকুর ঐ পুকুর থেকে উঠে এসেছেন। এরপর বর্তমান পিচ রাস্তা দিয়ে এগিয়ে গেলে ছোট খেলার মাঠ, তার পর পলতাগড় রাধা রানী উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়। লাগোয়া উত্তর দিকে কেন্দ্রীয় সরকারের বহু পুরনো হেলথ সেন্টার আর দক্ষিণ দিকে ভাঙা চোরা ধর্ম ঠাকুরের মন্দির। এর সামনে অনেকটা ফাঁকা খাস জায়গা যা দখল হয়ে গেছে এবং চক্রবর্তীরা বর্তমানে একটি জগদ্ধার্ত্রী মন্দির করেছেন। আর আছে পলতাগড় গ্রামের ছোট ডাকঘর, এর উল্টো দিকে গ্রামের শত বছরের পুরনো দুর্গা মণ্ডপ। ওর থেকে একটু ভেতরে আছে পলতাগড় রাধা রানী প্রাথমিক বিদ্যালয়। আরেক টি কালী মন্দির, যেখানে মাঘ মাসে রত্ নটি কালী পূজো হয় প্রতি বছর।পিচ রাস্তা দিয়ে আরেকটু এগিয়ে শীতলা মাতার মন্দির। এই মন্দিরের পিছনে একটু ভেতরে বর্তমানে একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান তাদের অনাথ আশ্রম করেছে কয়েক বছর হল। পিচ দিয়ে এগিয়ে চলুন পলতাগড় শিব তলা। কথিত আছে এই শিব ঠাকুর ও মন্দির বর্ধমানের মহারাজ নির্মাণ করে দিয়ে ছিলেন। সে মন্দির কাল ক্রমে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল গ্রাম বাসীরা বর্তমান ঘরটি করে দিয়েছে। কথিত আছে বর্ধমানের মহারাজ এই মন্দিরের দেখভাল করার জন্য অনেক দেবত্তর সম্পত্তি দিয়ে ছিলেন। মন্দির ভেঙে গেল এলাকার গোমস্তা চক্রবর্তীরা ঠাকুর নিয়ে যায় এবং কালে কালে সব জমি আত্মসাৎ করে নেন। পরে গ্রাম বাসীরা মন্দির ঘর নির্মাণ করলেও সে ঠাকুরও দেয় না, আর জমি তো দূরের কথা। ঐ চক্রবর্তীর সব জমি বিক্রি করে দেন। বর্ধমানের মহারাজের দেওয়া ঠাকুর এখনও তাদের দখলে। যাহোক এই মন্দিরের উল্টো দিকে একটি পরিবারের লক্ষী নারায়ণের মন্দির আছে। এবার নব নির্মিত পিচ রাস্তা দিয়ে এগিয়ে গেলে বিরামনগর গ্রাম। এই গ্রামের প্রথমে শিব মন্দির আছে। শোনা যায় এ মন্দিরও বর্ধমানের মহারাজা করে দিয়ে দিয়ে ছিলেন। রাস্তা দিয়ে একটু এগিয়ে গিয়ে বিরামনগর প্রাথমিক বিদ্যালয়। এই বিদ্যালয়ের পিছন দিয়ে একটু ভেতরে এগলে পলতাগড় গ্রামের একটি অংশ গৌরীবাটী। এই গৌরীবাটী অংশটিও সমৃদ্ধ অনেক মানুষের বাস সর্ব রকম ধর্মীয় অনুষ্ঠান এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। এবং এই গৌরীবাটীর গৃহ শিক্ষক অমর নাথ দাসের উদ্যোগে একটি ক্ষুদ্র মাসিক পত্রিকা প্রকাশিত হয় "দিগন্ত সংবাদ "।
No comments:
Post a Comment