আমাদের মুখ্যমন্ত্রী তুলনা হয়না, উনি সাক্ষাৎ কল্পতরু। সারা ভারত বর্ষের এক জন মুখ্যমন্ত্রী পাবেন না যিনি আমাদের মুখ্যমন্ত্রীর মত কাজ করেন। আমরা গর্বিত এ রকম এক জন মানুষ কে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে পেয়ে। কী গুন নেই, উনি ছবি আঁকতে পারেন। অনেক ভালো বই লেখেন। কবিতা লিখতে পারেন, কবিতা গুলো এত সুন্দর একবার পড়লে বারবার পড়তে মন চায়। ভাবুন উনি সিঙ্গুরের মানুষের জন্য কি না করেছেন। সিঙ্গুরে কলেজ করেছেন, জমি ফিরিয়ে দিয়েছেন, শুধু অনিচ্ছুকদের নয়, সকল চাষিদের। যদিও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে, তাতে কি উনি তো চাষিদের জন্য সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত আইনের লড়াই করেছেন সরকারি টাকায়, তাতে কি। ভাবুন ক্ষমতা এসে চলচ্চিত্র অভিনেতা ও অভিনেত্রী দের জন্য কত সুন্দর ব্যবস্থা করেছেন। প্রায় সব অভিনেতা, অভিনেত্রী কে নিজের দলে জায়গা দিয়েছেন। কতজন আবার M. P.ও M. L.A.হয়েছেন। কত সুযোগ করে দিয়েছেন কত পদ। কতরকম পুরষ্কার দিচ্ছেন ভাবা যায়। বঙ্গশ্রী, বঙ্গভুষণ, বঙ্গবিভুষণ, শিক্ষক দের জন্য কত কিছু করেছেন। শিক্ষক দিবসে পুরষ্কার দিচ্ছেন, এক তারিখে বেতনের ব্যবস্থা করেছেন। যুবকদের জন্য যুবশ্রী, কন্যার জন্য কন্যাশ্রী বছরে ৫০০ টাকা মাসিক ভাতা ৪১ টাকা। তাতে কি যদি আঠারো বছরের মধ্যে বিয়ে না হয় তবে এক কালীন ২৫০০০ টাকা। একটা শ্রী লজ্জায় লিখতে পারি নি, যেটি উনি পার্ক স্ট্রিট, মধ্যমগ্রাম ঘটনার পর হয়তো ঘোষণা করেছিলেন। আরো আছে সাইকেল দেওয়া হয়, প্রাথমিক বিভাগের জন্য পোশাক ও জুতো। এখানে মজা আছে এই প্রাথমিক বিভাগের সব থেকে ছোট যারা তাদের জন্য জুতো ও নেই জামাও নেই কী মজা। এই জামা দেওয়ার জন্য বছর কয়েক আরও মজা যোগ হয়েছে। কোথায় থেকে কী সব গুরুপ বা দল এসেছে এরা কেউ পোশাক তৈরি করে না। বুঝতেই পারছেন মাঝখানে কি হচ্ছে, দালালরা দালালি নিচ্ছে। আর ঐ দালালির টাকা বাঁচিয়ে আগে সব ছেলে মেয়ে দের পোশাক দেওয়া হত। এখন হবে না। এটা হুগলি জেলার কথা বলছি। আরো আছে মদ খেয়ে মারা গেলে দু লক্ষ টাকা, ক্লাব গুলো কে দু লক্ষ টাকা। বাঁশের মাচাও তখন ক্লাব। তবে একটি জায়গায় তিনি ঠিক আছেন, বলে ছিলেন ক্ষমতায় এলে সরকারি কর্মীদের কেন্দ্রীয় সরকারের হারে ডি, এ, সঙ্গে সঙ্গে দেবন। তা কিন্তু দেননি, ১৬ শতাংশ বকেয়া ডিএ এর জন্য যারা মহাকরণে ভাঙচুর করেছিল তারা আজ পঞ্চাশ শতাংশের উপর বকেয়া ডিএ নিয়ে আর মুখে কথাটি নেই। ডি, এ যদি চায় তবে বাম আমলের দেনা শোধ করতে টাকা খরচ হচ্ছে। সেই দেনা শুনেছি স্বাধীনতার পর থেকে ঐ পর্যন্তই। কিছু দেনা শুনেছি কাগজে পড়েছি সেটা বাধ্যতামূলক করতে হয়েছে। আর এখন এই ক বছরের মধ্যে কত লক্ষ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছেন, তার হিসেব নেই। তবুও তিনি কাজ করেছেন গ্রামের রাস্তা গুলো পিচ ঢালা হচ্ছে, কোথাও ঢালাই।তবে নিন্দুকরা বলছে ওসব দিল্লির টাকায় হচ্ছে। তবে যে যাই বলুক, এরপর উনি রাস্তা গুলো সব সোনা দিয়ে বাঁধিয়ে দেবেন, কারণ উনি বলেছিলেন পশ্চিমবঙ্গকে সোনার বাংলা করবেন। আমরা সবাই সেই আশায় রইলাম। কল্পতরু নিয়ে আবার লিখব, অনেক বাকি থেকে গেল। ধন্যবাদ সকলে পড়বেন।
No comments:
Post a Comment