গ্রাম গঞ্জে অনেক গরীব খেটে খাওয়া মানুষ আছে যারা সত্যিকারের জীবন যন্ত্রণা ভোগ করে বেঁচে আছে। অর্ধেকের বেশি মানুষের আয় নুন আনতে পান্তা ফুরায় অবস্থা। দিনের পর দিন না খেয়ে আধপেটা খেয়ে কোন রকম দিন কাটায়। সেই সব মানুষদের জন্য কী কেন্দ্র সরকার কী রাজ্য সরকার সে রকম কিছু ভাবে না। শুধু ভোট এলে প্রতিশ্রুতি দেন, যদি বা করেন যৎসামান্য। যেমন ধরুন দু টাকা কিলো দরে চাল সপ্তাহে মাথা পিছু ৫০০ গ্রাম। তাও সব গরীব মানুষ পায় না। ঐ কার্ড বেশিরভাগ বড়লোক বা ধনীর দখলে কারণ কার্ড বিলি করে শাসক দলের লোক দুর্গা দালান বা ক্লাবে বসে। যারা শাসকের বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তারাই কার্ড পেয়েছে। আর যে আটা দেওয়া হয়। সে তো বলবার নয়। রাস্তার ধূলোর থেকে একটু সাদা আর লেখা আছে এক মাসের মধ্যে ব্যবহার করতে হবে। দিচ্ছে এক মাস পর বা দু এক দিনের মধ্যে মাস ফুরবে বা সেই দিন মাস ফুরবে। অনেক বলবেন আপনি এসব জানলেন কীভাবে আমার পাশের বাড়ির এক জন এনে যে গুলো পারছেন নিজেরা খাচ্ছে আর খারাপ হয়ে গেল ছাগলকে খাওয়াচ্ছে। হ্যাঁ এই প্যাকেট আটা দোকানে পাঁচ টাকা প্যাকেট বিক্রি হচ্ছে। ধনী ব্যক্তি এনে বেশি দামে বিক্রি করছেন। সব খেতে পাক আর না সব অল্প শিক্ষিত বেকার কাজ পাক আর না পাক। কারণ পুরনো কারখানা বন্ধ হচ্ছে। নতুন কারখানা হচ্ছে না। কিন্তু ভোটের সময় সব দল এদের কাজে লাগাছে বোম আর বন্দুক শিল্পে কাজ দিয়ে। ভাই ভাই এর রক্তে হাত রাঙাছে কত মানুষের প্রাণ যাচ্ছে সে যাক তবুও তো ভোটে জিতছে। যারা এসব করছে তাদের একটা সান্ত্বনা আছে পুলিশ ধরবে না। ভোট এলেই গরীব খেটে খাওয়া নিরন্ন মানুষের রক্ত ঝরবে, তাতে কী? ভোট হবে নেতারা জিতবেন তাদের আঙুল ফুলে কলাগাছ হবে। কেমন সুন্দর ব্যবস্থা তাইনা
This is a news blog. Here I write story, social incidents, political incidents, & my life history etc.
Wednesday, 31 May 2017
Tuesday, 30 May 2017
পশ্চিমবঙ্গে বাম শাসনে আমরা কতটা কম্যুনিস্ট হয়েছি।
পশ্চিমবঙ্গে গত ৩৪ বছরের বাম আমলে একেবারে যে কিছু পাইনি তা বলা যাবে না। আবার অনেক কিছু পেয়েছি, এটাও বলা যাবে না। তাহলে হয়ত বলা হবে মানুষের সব চাহিদা পূরণ করা সম্ভব নয়। আজকে আমি এখানে এসব হিসাব করতে লিখতে আরাম্ভ করিনি। ওসব হিসেবে নিকেষ করার অনেক লোক আছে। আমি কম্যুনিস্ট শাসন শুরু হওয়ার কয়েক বছর আগে জন্মেছি। আমি বাহাত্তরের দাঙ্গার ছ বছর আগে জন্মেছি। আর ছোট থেকে কম্যুনিস্ট পার্টির আদর্শের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই চলে আসছি। কিন্তু দুঃখের বিষয় ঐ দলের নেতাদের বিশ্বাস অর্জন করতে পারিনি। কেন জানি না, অনেক সময় আমায় তারা মিটিং মিছিলে নিয়ে গিয়েছে। আবার অনেক সময় আমি নিজেও গিয়েছি। কিন্তু আজও নেতাদের আচরণ দেখলে মনে হয় তারা আমায় চায় না। কারণ আমার জানা নেই। সেই জন্য আমার মনে প্রশ্ন জাগে আমি বুঝি নি প্রকৃত কম্যুনিস্ট বা কম্যুনিজম কী? এখানে বলি আমি কিন্তু পার্টি সদস্য নয়। আমি সর্মথক, এসব কথা আগেই বলেছি। আজ আমার পাড়ার এক পার্টি সদস্যকে জিজ্ঞেস করলাম প্রকৃত কম্যুনিজম কী? সে তো আমার উপর রেগে গেলেন। অনেক কথা বলে দিলেন। আর একটি প্রশ্ন করলাম। পশ্চিমবঙ্গে ৩৪ বছরের বাম শাসনে কতটা কম্যুনিজম এসেছে? ভদ্রলোক অল্প শিক্ষিত বিবাহ করেন নি। তিনি প্রশ্ন শুনে ক্ষেপে গেলেন। আমি বললাম বিভিন্ন পত্রিকা ও বই পড়ে আমি যে টুকু বুঝেছি তা হলো, কম্যুনিজম মানে সব বিষয়ে সকলের সমান অধিকার। আপনার কাজের অধিকার ছিল, বিবাহ করে সংসারী হওয়ার অধিকার ছিল।বলেন ভারত সরকার দেয়নি, তাই হয়নি। আপনি ঠিক বলেছেন কিন্তু রাজ্য সরকারের দায় থাকে তো। বলেন তাহলে বলবে ভূমি সংস্কার হয়নি। আমি হ্যাঁ হয়েছে, সেটা হয়েছে ভোট পাবার জন্য। বাড়িতে বেশি ভোট থাকলে সে পাট্টা পেয়েছে। ঐ জমি নিয়ে সম অংশীদারির চাষ করা যেত, যেটা কম্যুনিজম এর প্রথম ধাপ। আমি বললাম অনেক দিন আগে খবরের কাগজে পড়ে ছিলাম বিহারের শব্দগাঁয় দুই কম্যুনিস্ট পার্টির সদস্য মহেশ ও সরিতা ঐ গ্রামকে ঐ ভাবে ভূমি সংস্কার করে কম্যুনিস্ট গ্রামে পরিবর্তন করে ছিল। পরে তাদের প্রাণ গিয়ে ছিল দুষ্কৃতী দের হাতে। খুব রেগে গেলেন বললেন ভারতে এক দিন কম্যুনিজম আসবে। আমি বললাম ঠিক বলেছেন পশ্চিমবঙ্গে কম্যুনিজম এলো না তো কি হয়েছে ভারতে তো আসবে। আপনার আমার মত পঞ্চাশ পার করা লোক যারা কমরেড হতে পারলাম না। কমরেট হয়ে রয়ে গেলাম তারা বিপ্লব করে ফেলবো।
Sunday, 28 May 2017
গ্রামের দুই মহিলা কাণ্ড।
ছবি টি ভালো করে খেয়াল করুন দেখবেন এক মহিলা তার বাড়ির পোষ্যটি খাবার সংগ্রহ করছে, অপর জন তার পোষ্যটি এনে সেই কাটা ঘাস খাওয়াচ্ছে। দ্বিতীয় জনের ব্যবহার কী সত্যিই ভালো লাগলো আপনার? এখানে দ্বিতীয় জন যিনি ছাগলের দড়ি ধরে আছেন।
Wednesday, 24 May 2017
চাষিদের কথা
ওরে ওরা যে যায় লাঙল কাঁধে।
কাস্তে হাতে ওরা যে ধান কাটে।
ওরা যে সারাদিন মল খেটে।
ওরা যে ফসল ফলায়।
তাতে মোদের খাবার জোটে।
ওরা পেটে গামছা বাঁধে।
ওরে ওরা যায় লাঙল কাঁধে।
ওরা ফলায় সোনার ধান।
ফলায় বেগুন আলু পটল,
ওদের ফসল বিকোয় না আজ,
ওদের মাথায় পড়ে বাজ
ওদের কথা সবাই গেল ভুলে।
ওরা ঋণের ফাঁদে জড়িয়ে আজ,
ওরাই দেখো পটল তোলে।
ওদের দুঃখে পশু পাখি কাঁদে।
ওরে ওরা যায় লাঙল কাঁধে।
ওদের মাথায় পড়ে লাঠি।
ওরা আজ ঘর ছেড়ে গেছে চলে,
আজ থেকে ওদের কথা বলে।
যেন ওদের পথে হাঁটি।
ওরা যে পড়েছে ভীষন ফাঁদে।
ওরে ওরা যে যায় লাঙল কাঁধে।
গ্রামের শ্মশান কালী। (আর কত খাবি মা।)
আর কত খাবি মা ও মা শ্মশান কালী?
স র দা খেলি যা গেছে তা বলি।
গোলাপ ভূমি খেলি, কত মানুষ হল বলি।
শিবের ষাঁড়ের শিং এর গুঁতোয় মা।
ম্যাথ আর নারদে ঝগড়া লাগালি।
আর কত খাবি মা ও মা শ্মশান কালী?
কত চপ কার খানা হল মা তোর খোলা।
তবু গেল না মা বেকারত্বের জ্বালা।
বেকার ছেলে ট্রেনে বাসে বাদুর ঝোলা।
ভোট এলে মা বোম বন্দুক হাতে তুলে
ছোটে মা তোর দামাল ছেলে, কিছু বলে না
মা গো তোর টেবিল তলের পুলি।
আর কত খাবি মা ও মা শ্মশান কালী
কত রক্ত খেলে মা গো তুই শান্ত হবি,
ভোট এলে মা তোর তোর ছেলেরা রনে মা রঙ্গে মাতে
মা তোর আজব সব কথাতে রক্ত নিয়ে খেলে হলি,
বাংলা আজ আর সেই বাংলা তে, তোর চরণে হচ্ছে বলি কত জওয়ান বেকার যুবক বোমা আর গুলি তে।
পশ্চিম বাংলা আজ রক্তাক্ত।
পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক পরিস্থিতি আজ এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে বলার নয়। বিরোধী কন্ঠস্বর রোধ করতেই হবে। নইলে চলবে না। গত পুরসভার ভোটে দাপিয়ে বেড়িয়েছে বোমা পিস্তল হাতে দুস্কৃতি পুলিশ কিছু বলেনি। ভোট যা হয়েছে সে তো আমরা সবাই টিভি চ্যানেলের মাধ্যমে দেখেছি। শুধু পৌরসভা কেন গত বছর বিধানসভা নির্বাচনের আগে থেকেই এই সব দুস্কৃতি দাপিয়ে বেড়িয়েছে পুলিশ কিছু বলেনি কাজ করে নি ঠিক মতো। কিন্তু যারা এগুলো সামান্য পয়সার বিনিময়ে করছে তারা ভাবছে না, যে যারা আমাদের এগুলো করাছে বা করতে বলছে বা বাধ্য করছে তারা ভোটে জিতে বা বড় নেতা হয়ে কোটি কোটি টাকা আয় করছে। কি জানি আমার ঠিক বুদ্ধিতে আসছে না, এরা শিক্ষিত তো? আসছে পঞ্চায়েত নির্বাচনে কী হবে সেটা ভেবেই গায়ে কাঁটা দিচ্ছে। যে ভাবে বীর পুলিশের দল শাসকের ভয়ে ছুটে পালানো, শাসকের ভয়ে টেবিলের তলায় লুকানো পুলিশ গতকাল ২২-০৫-২০১৭ বিরোধী দলের নেতা কর্মীদের লাঠি পেটা করছে সত্যি বাংলা আজ রক্তাক্ত। ছবি টি গনশক্তি থেকে নেওয়া হয়েছে।
Monday, 22 May 2017
তবুও তো দিচ্ছে (রেশনের আটা)
গ্রামের একটি পরিবার রেশনের আটা নিয়ে এসেছে একটি যে এই আটা এক মাসের মধ্যে ব্যবহার করতে হবে। একটি প্যাকেটে তারিখ আছে ২৮-০৩-১৭ আর অন্যটি তে তারিখ আছে ১১-০৪-১৭ আর দিচ্ছে কবে 19-05-17। পাড়ার পাশের বাড়ির এক জন এনে ছাগলকে খাওয়াচ্ছে। তাহলে কাদের খাদ্য কারা খাচ্ছে। তবুও তো দিচ্ছে তাই না।
Sunday, 21 May 2017
নির্বাচন কমিশন ও জনগণ।
আমি আপনাদের অনুরোধ করছি যারা আমার ব্লগ দেখছেন দয়া করে মন্তব্য করুন। ভালো লাগলে অপরের সাথে শেয়ার করার অনুরোধ করছি।
আজ ইন্টারনেটের বিভিন্ন সংবাদ পত্রের নেট সংস্করণে পড়লাম যে নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক দল গুলোকে চ্যালেঞ্জ দিচ্ছে যে ইভিএম মেশিনে রিগিং করে দেখাতে। আমি সাধারণ মানুষ কোন দল করি না কিন্তু আমি জানি ওই রাজনীতি করা দল গুলো আমার জীবনের চলাফেরা থেকে শুরু করে সব জিনিস নিয়ন্ত্রণ করে। দেখা গেল মেশিনে কোন কারচুপি করা গেল না। তাহলে পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচন দেড় মাস ধরে হল। জনগণ টিভির পর্দায় দেখল কেমন করে সব নেতা মন্ত্রীরা টাকা নিচ্ছে। সারদা রোজভ্যালি কান্ড দেখল। তবুও পশ্চিমবঙ্গের আমার মত বোকা জনগন গিয়ে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করে এল। যদি হ্যাঁ হয় মিটে গেল না তবুও প্রশ্ন থাকে যেখানে ভোটের মেশিনের দুটি পাট ব্যালট ইউনিট ও কন্ট্রোল ইউনিট বা কাউন্টিং ইউনিট। যে কাউন্টিং ইউনিট গুলো 1ম দফায় ভোট এভাবে ভোট হতে হতে এক মাস দশ বারো দিন ধরে ভোট হলো। তার পর গননা। যারা পাহারা দিচ্ছিল তারা তো ভালো নিশ্চয়ই।।।কারণ কাউন্টিং ইউনিট কাগজের স্টিপ সীল করা থাকে ওই একই নাম্বারের স্টিপ ছাপাতে কতখন লাগে। আমার আরেক টি প্রশ্ন আছে যদি ভোট মেশিন ঠিক থাকে তবে যে সব সমবায় বা অন্য কোন সংস্থায় ব্যালটে নির্বাচন হচ্ছে বিরোধীরা কীভাবে জয়ী হচ্ছে।
Saturday, 20 May 2017
আজকের দিনে সাধারণ মানুষের ভূমিকা।
লেখার প্রথমে বলি কেউ যদি আমার ব্লগ দেখেন তবে মন্তব্য করুন। তবে ভালো লাগবে।
যে বিষয়ে এখন লিখতে যাচ্ছি সেটি অত্যন্ত জটিল। আর লিখছি কারণ কিছুক্ষণ আগে কলকাতা 24*7 একটি খবর পড়লাম একজন গৃহবধূ হত্যা ঘটনাটি খুব দুঃখজনক কারণ যার সন্তান বা কাছের লোক এই ভাবে অকালে চলে যায় সেই জানে ব্যথা কী। কিন্তু বর্তমানে আমাদের সমাজ হয়ে গেছে স্বার্থপর কেউ কারো জন্যে ভাবে না। যে যার সে তার নিয়ে ব্যস্ত। কাদের বুদ্ধিজীবি বলা হয়েছে বুঝতে পারছি না। কারণ যে মানুষ গুলো রিজানুরের রাস্তায় নেমে মোমবাতি মিছিল করে ছিল তাদের স্বার্থ রক্ষা হয়ে গেছে। সেই কাকের ছবি আঁকা লোকজনকে এসব ঘটনায় আর ভাবায় না। আর পুলিশ প্রশাসন আজ বলে নয় সেই স্বাধীনতার আগে থেকেই পরিচালিত হত বিট্রিশ দ্বারা আর এখন পরিচালিত হয় দল দ্বারা। সে যে সরকার আসুক যতই বদল হোক এর বদল হয়নি আর হবে বলে মনেও হয় না। আর বাঙালি জাতির মধ্যে এমন একটা মানসিকতা আছে যে অল্প খেটে বা না খেটে পয়সা রোজগার করব। সেই জন্য পণ প্রথা কিছু তেই যাচ্ছে না। প্রথম হয়তো বলছেন কিছু লাগবে না পরে এমন দাবি করেছেন যা অনেকের সাধ্যের বাইরে। এই প্রথার বলি হচ্ছে মেয়েরা। আগের সতীদাহ প্রথার নব রূপ। আর বাঙালিদের মেরুদন্ড ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে স্বাধীনতার সময় বিট্রিশের মিলে আমাদের দেশের কতগুলো অবাঙালী ক্ষমতা লোভী নেতা। সেই যে মেরুদণ্ড ভাঙা হয়েছে তা আর সোজা হয় নি। আর হবে বলে মনে হচ্ছে না। কারণ সেই রত্নগর্ভা বাঙালি মায়ের আজ বড়ো অভাব।
Friday, 19 May 2017
অসত্বিতের সংকট।
ওপার বাংলা থেকে আসা মানুষের অস্তিত্বের সংকট। কীভাবে বলছি যে সব পরিবার এপার বাংলার গ্রামের দিকে বসবাস শুরু করেন। যেমন আমার বাবা তিনি দেশ স্বাধীন হওয়ার অনেক আগেই এপার বাংলায় এসেছিলেন। কিন্তু দেশ ভাগের পর হতেই শুরু হয়েছিল নানা রকম অত্যাচার তোর বাড়ি এখানে নয় তোকে থাকতে দেবনা। চাকরি করতে দেব না। আমরা বড়ো হয়েও দেখেছি সেই অত্যাচার। সব সময় আসত এবং বলত তোদের এখানে থাকতে দেবে না। কারণ এ জমি তোদের নয় আর গালাগাল খিস্তি ওটা ছিল উপরই পাওনা। 1971 - 1972 সালে এই অত্যাচার চরমে ওঠে। কারণ ছিল বাবা নাকি যুক্ত ফ্রন্টের পোষ্টার মের ছিলেন না ছিঁড়ে ছিলেন। কারণ দলের লোকজন এসে অত্যাচার করত। এক দল বলত মাষ্টার ফ্রন্টের পোষ্টার মেরেছে আরেক দল বলত ফ্রন্টের পোষ্টার ছিঁড়েছে। এই অযুহাতে বাবাকে 11মাস স্কুলে ঢুকতে দেয় নি, শেষে কয়েক জন ভাল মানুষের চেষ্টায় বাবাকে বদলি করা হয়েছিল অন্য স্কুলে। আমরা পড়তে গেছি কোনো সমস্যা হয়েছে একটু যেই বলেছি অমনি শুনতে হত এই বাঙল বাচ্চা চুপ কর। যেন আমরা অমানুষ আমাদের কথাবলার অধিকার নেই। ছোট থেকে বড় হয়ে প্রচুর অর্থ নৈতিক কষ্ট পেয়েছি। 1980 সালের পর একটু কষ্ট লাঘব হয়েছিল। ছোট থেকে বড় হয়েছি প্রচুর হীনমন্যতায় ভুগেছি। 1986 থেকে 1989 সালের মার্চ মাস পর্যন্ত কষ্টে কেটেছে। কারণ এই সময় বাবা অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং তিনি 1988 সালের এপ্রিল মাসে মারা যান।
এবার আমার কথা। আমি 1989 সালের মার্চ মাসে বাবার চাকরিতে যোগ দিই সে নাটকের কথা আগেই লিখেছি। চাকরি পাওয়ার এক বছর পর আমি মাটির ঘর ফেলে ইঁট দিয়ে দু কামরা ঘর করলাম টালি দিয়ে ছাওয়া। তার পর 1994 সালে বিবাহ করলাম। আমার পক্ষ থেকে সব সত্য জানান হলো। কিন্তু অপর পক্ষ যা করল ঠিক তার উল্টো তাই মিথ্যা আর অবিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠল আমার সংসার। অবিশ্বাস থাকলে যা হয়। এপর 1999 সালে বাড়ি সংস্কার করে নিতে চাইলাম। জায়গা মাপতে গিয়ে বাধা এল তথা কথিত প্রতিবেশী দের কাছ থেকে। আগেই বলেছি পাড়ার সি পি আই এম দলের রাজনৈতিক দাদা সতীশ দাস দলবল নিয়ে চড়াও হল আমার বাড়িতে। আমিও ঐদলকেই সর্মথন করি কিন্তু তাতে কী আমার বাড়িতে চারটি ভোট ওরা অনেক সুতরাং পার্টি ওদের দিকে। আমার পক্ষে নেই এখানে সি পি আই এম পার্টি যারা সেই সময় ক্ষমতায় ছিল। ঠিক আমার বাবার সঙ্গে যা ঘটে ছিল আমার সাথে অল্প বিস্তর ঘটলো আমার বাবাকে প্রশাসন সাহায্য করে ছিল। আমাকে প্রশাসন সাহায্য করল না। তার পর যা হবার হল ওরকম ফাঁকা বাড়িতে দিনের পর দিন রয়ে গেলাম। তবুও ওই দল ছাড়লাম না। কিন্তু ওই দলের সাঙ্গ পাঙ্গরা আমায় বিশ্বাস করতে পারল না। অথচ ভোট এলেই চাঁদা দিতে বলে। সব রকমের সাহায্য গত বছর পর্যন্ত করেছি। মিছিল মিটিংয়ে অংশ গ্রহণ করেছি। তাও এদের শিক্ষক সংগঠন যার আমি সদস্য তারা অপমান কর কথা বলে সংগঠন থেকে বের করে দেয়। আমার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি করব তবে সিদ্ধান্ত নিতেই হবে না হলে আরও অপমানিত হতে হবে। তা হলে এখন আপনারা বিচার করে দেখুন আমার অস্তিত্বের সংকট দেখা দিয়েছে কিনা। যদি কেউ আমার লেখা পড়েন অবশ্যই মতামত দেবেন। আপনাদের মতামতের আশায় রইলাম।
Thursday, 18 May 2017
পশ্চিমবঙ্গে সাম্প্রদায়িকতা
আগেই লিখছি যে স্বাধীনতার সময় বাঙালি হিন্দু জাতির মেরুদন্ড ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে। কারণ ইংরেজরা জানত এই জাতির মেরুদন্ড সোজা থাকলে ভারতবর্ষকে কোনো দিক দিয়ে দমিয়ে রাখা যাবে না। আর এই কাজে সহায়তা করেছে আমাদের দেশের কতগুলো ক্ষমতা লোভী নেতা। আর সেই ক্ষমতা লোভীর দল এরাজ্যেও ক্ষমতায় ছিল। সেই থেকে বিশেষ ধর্মের মানুষকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় করে করে এমন উপরে তুলেছে যে তারা নিজেদের ধর্ম প্রচার করে গেছে আর জনসংখ্যা বাড়িয়ে গেছে যা বলার নয়। সেই স্বাধীনতার পর থেকে ভোটের জন্য ঐ বিশেষ সম্প্রদায় কে যে ভাবে তোলা হয়েছে। আজ এই পশ্চিমবঙ্গে তাদের ভোট শতাংশে 25-30%।তাহলে জনসংখ্যা কত। স্বাধীনতার সময় থেকে আজ পর্যন্ত ওপার বাংলায় হিন্দুদের উপর যে অত্যাচার চলছে তা অবর্ননীয়। কারণ মাঝে মাঝে খবরের প্রকাশ পাচ্ছে এসব খবর। আরেকটা প্রশ্ন আমার মনে জাগে যে ঐ সম্প্রদায়ের কজন স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশ গ্রহণ করে ছিল। কিন্তু বর্তমান তাদের এমন সুযোগ দেওয়া হচ্ছে কল্পনা করা যায় না। ঐ সম্প্রদায়ের বিশেষ ধর্মীয় পদাধিকারী কে বিশেষ ভাতা দেওয়া হয়েছে। আবার কাজ হারিয়ে অন্য রাজ্য বা বিদেশ থেকে আসা লোকজনকে 50 হাজার থেকে 1লক্ষ টাকা দেওয়া হচ্ছে। আর এরা সবাই শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত মানুষ। যারা শোড বল্লাম আর একে 47 রিভলভার নিয়ে মিসাইলের সংগে যুদ্ধ করে। যা করতে গিয়ে তারা হাত বোমা বা গ্রেনেড আর রিভলভার নিয়ে ভোটের সময় নেতাদের কথায় নিজেদের মধ্যে মারামারি করে ঐ সামান্য উপহার হিসেবে টাকা পাবার জন্য। আর নেতারা তাদের কাজে লাগিয়ে মানুষকে ভয় দেখিয়ে মেরে ভোটে জিতে পাঁচ বছরে তাদের স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি 10 থেকে 1000 গুন বাড়িয়ে নেয়।
Wednesday, 17 May 2017
কে কত অসাম্প্রদায়িক চলছে প্রতিযোগিতা।
আজ ভারতের প্রতিটি রাজনৈতিক দল প্রতিযোগিতায় নেমেছে কে কত অসাম্প্রদায়িক চলছে তার প্রতিযোগিতা। কিন্তু আমারা যদি ভেবে দেখিনি ভারত বর্ষ স্বাধীন হয়েছিল সাম্প্রদায়িক বিভাজনের মধ্যে দিয়ে। এবিষয়ে আমারা ইতিহাসে কী পড়ছি যে বিট্রিশরা আমাদের দেশ ভাগ করে স্বাধীনতা দিয়েছে। এ বিষয়ে আমাদের দেশীয় নেতা দের কোনো দোষ নেই। তখন কার কংগ্রেসের ক্ষমতা লোভী নেতা দের কথা ভাবুন যারা ক্ষমতায় বসার জন্য নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু কে ভারতে ঢুকতেই দিল না। তারা দেশ ভাগের অংশীদার নয়। সুভাষ বোস যাতে না আসে তার সমস্ত রকম ব্যবস্থা পাকা করল জানত নেতাজী দেশে ফিরে এলে। এদের গদি থাকবে না। I. N. A. সেনা দের ধরে বিচারের নামে প্রহসন তৈরী করল। আচ্ছা আমরা যদি ভাবি যে জাতির জনক অসহযোগ আন্দোলন করল কিম্বা অনশনে বসল অমনি ইংরেজরা দেশ স্বাধীন করে চলে গেল। তাহলে শর্মিলা চানু অত দিন অনশন করল কয় ভারত সরকার মনিপুরের বিশেষ আইন প্রত্যাহার করে নিয়ে ছিল।?
ব্যাপারটা হাস্যকর মনে হচ্ছে না। কিছু দিন আগে আন্না হাজারে অনশন করলেন সে দাবি পূরণ হয়েছে?তাহলে বিট্রিশ ভারত ছেড়ে ছিল নেতাজির জন্য। এ বিষয়ে লর্ড মাউন্ট ব্যাটেনের লেখা বই আছে পড়তে পারেন। তাহলে দেশ ভাগের মূলে সাম্প্রদায়িকতা কারা বিট্রিশের আলোচনায় বসে ছিলেন তৎকালীন কংগ্রেসের নেতারা গান্ধীজী জহরলাল নেহরু আর মুসলিম লীগের তরফে ইয়াহিয়া খান এরাই সাম্প্রদায়িক ভাবে দেশ ভাগ করে দেশের স্বাধীনতা এনেছেন। এভাবে দেশ স্বাধীন হবার ফলে যখন পাঞ্জাবে ও বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় দাঙ্গা লেগেছে দু সম্প্রদায়ের মধ্যে তখন গান্ধীজী বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে অনশনে বসেছেন। দাঙ্গা থামাবার জন্য। এযেন গোড়া কেটে ডগায় জল ঢালা। তাঁর অনশনের জন্য দাঙ্গা থামেনি বরং বেড়েছে। আর এর জন্য কাদেরকে বেশি মূল্য দিতে হল। সেই দুটো জাতিকে যারা ভারতের স্বাধীনতা যুদ্ধে বেশি করে অংশ গ্রহণ করেছিলেন। সেই দুটো জাতি হল পাঞ্জাবী ও বাঙালি জাতি। এই দুই জাতি বিশেযকরে বাঙালি হিন্দু জাতি ও ভারতের আরেক জাতি পাঞ্জাবী শিখ জাতি। এ বিষয়ে আরও অনেক কিছু লেখার আছে পরে অন্য অনুচ্ছেদ লিখব।
Tuesday, 16 May 2017
গ্রামের দাদা আর আমি
সতীশ দাস সর্ম্পকে কিছু কথা। এই সতীশ বাবার কাছে ছোট বেলায় পড়তো। পড়তে চাইতো না। বাবা জোর করে ধরে রেখে পড়াতো । সতীশ দাসের অনেক গুন ছিল, তার মধ্যে একটি যেখানে বা যে বাড়িতে মেয়ে থাকত সেই বাড়িতে আড্ডা দিত। এভাবে চলতে পাড়ার পারুল দির সঙ্গে লটরপটর বেশি ছিল। একদিন সন্ধ্যায় আমি পড়ে আসছি ওখানে একটা ক্লাব ছিল তারা ডাকল নাটকের বই পড়ে বলার জন্য। সেই শুরু হলো আমার CPM এ যাওয়া তারপর বুথে বসা। মিটিং মিছিলে যাওয়া তখন আমার বয়স কম ক্লাস সেভেনে বা এইটে পড়ি। মতীশ দাদা 1980 সালে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিযুক্ত হল। দেখলাম যারা CPM কে দেখে ঘৃণা করত তারাও CPM এ এল কারণ সতীশ দাস তাদের বাড়ি আড্ডা দিত। ওই বাড়িতে দুটি মেয়ে ছিল আমি যতই মিটিং মিছিল বুথে বসা দেওয়াল লেখা করিনা কেন আমি সদস্য হলাম না। ওরা সদস্য হল ভোটে দাঁড়াল হেরে গেল চরিত্র খারাপের জন্য। অনেক পরে ওদের এক ভাই CPM থেকে দাঁড়িয়ে জিতল। এখানে আমি পঞ্চায়েত ভোটের কথা বলছি। ভাইটি সতীশ দাসের সাথে এক সঙ্গে দাঁড়িয়ে জিতল তার কী দেমাকে ধরাকে সরা জ্ঞান করতে লাগল। আমি কোনো একটা কাজে পঞ্চায়েতে গিয়েছি আমার থেকে কাগজটা নিয়ে বলল এখানে আমার পাওয়ার বেশি তোমার পাওয়ার কাজ করবে না। আমার কাজ টা আর হলই না। এসব মানে ভাইটার সঙ্গে যে ঘটনা সেটা ঘটে ছিল আমি চাকরি পাওয়ার পর। এখন ঐ ভাইটা বাবার চাকরি পেয়েছে আমার মত। এবং CPM ছেড়ে দিয়েছে। এখন মানে আমি 2011 সালের পরের কথা বলছি। আমি কিন্তু CPM ছাড়েনি। এখনও মিটিং মিছিলে যাই সংগঠনের কাজ করি। এখন মানে 2017 সাল পর্যন্ত।
এবার আমার কথা। আগেই লিখেছি আমি চাকরি করি এই চাকরি পাওয়ার একটা ইতিহাস আছে। 1986 সালে আমার বাবা অসুস্থ হয়ে পড়েন। বাবার পায়ে পচা ঘা হয়ে ছিল সঙ্গে সুগার প্রায় এক বছর রোগ ভোগের পর বাবা চাকরিতে যোগ দেন। এই এক বছরের কোন বেতন পেলেন না। কাজ করেন নি বেতন দেওয়া হয়নি। এ পর্যন্ত ঠিক ছিল। 1987 সালের ফেব্রুয়ারি থেকে 1988 সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তিনি কাজ করা সত্বেও কোন বেতন পেলেন না। মার্চ মাসের বেতন দেওয়া হল। এর মধ্যে তিনি আবার অসুস্থ হলেন চিকিৎসা করার পয়সা ছিল না। তিনি মারা গেলেন 1988 সালের 20 শে এপ্রিল। আমি বাড়ির বড়ো ছেলে তাই মা আমাকে চাকরিটি দেবন ঠিক করলেন। এ পর্যন্ত ঠিক আছে। চাকরিটি পেতে হলে বাবার ডেথ সার্টিফিকেট বা বার্নিংঘাট সার্টিফিকেট লাগে বাবার বার্নিং এর সময় সতীশ দা ছিল কাগজ তার কাছে যতবার আনতে যাই ঘোরায়। শেষে জুন 1988 দাদার বাড়িতে বসে থেকে একটা আধ ছেঁড়া কাগজ দিল সেটি সার্টিফিকেট নয়। ওই কাগজ দেখিয়ে সার্টিফিকেট আনতে হবে। সে অনেক বার নাকি গেছে তাকে দেয়নি। এদিকে আমাদের সংসার চলে না মা কারখানায় কাজে যায়। আমি কাগজটা নিয়ে গেলাম তারা আমাকে একটা ডেট দিল এবং কত টাকা লাগবে বলে দিল। আমি সেই দিন যাব দেখি পাড়ার দাদাও আমার সঙ্গে গেলেন। সেদিন কাজ হল। এবার আবেদন করার পালা জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহে আবেদন পত্র নিয়ে আমি আর আমার আরেক ভাই অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক অফিসে জমা দিতে গেলাম তিনি নানা ফিরিস্তি শুনিয়ে ফিরিয়ে দিলেন। এবার আগষ্ট মাসে আবার গেলাম তিনি যা বলেছিলেন সেই রকম সব করে নিয়ে। এবার আমার থেকে জমা নিলেন কিন্তু সব আসল কাগজ নিয়ে রাখলেন। রিসিভ করেও দিলেন না বাড়িতে বলার পর ভাই রেগে গিয়ে অফিসে গেল ও রিসিভ করিয়ে আনল। আসল কাগজ কেবল বাবার appointment ও আর কয়েকটা আসল কাগজ ফেরত নিয়ে এল। বলল আমি নাকি ফেলে এসেছি। তার ঠিক এক মাস পর গেলাম আমাকে একটা মেমো নং ও তারিখ দেওয়া হল। এবং হুগলি জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্ষদে যোগাযোগ করতে বলা হল। আমি গেলাম এ টেবিল ও টেবিলে ঘোরার পর এক জনের দয়া হল। তিনি একটি ছোট ঘরে নিয়ে গেলেন এবং সব খুঁজে বলেন কাগজ হারিয়ে গেছে। এই ঘটনার মাস দুয়েক বাদে আবার গেলাম ওই মেমো নং নিয়ে আমাকে যাচ্ছেতাই ব্যবহার করে তাড়িয়ে দেওয়া হল। বাড়ি ফিরে সন্ধ্যায় CPM এর ক্লাবে বসে আছি হঠাৎ একজন আমাকে বলল তোর চাকরিটা রমেশকে দেওয়া হবে। আমি বললাম সে আবার হয় নাকি আমার মায়ের দাবি পত্র চাই। বলল জানি না তবে কাগজ পত্র তৈরি হচ্ছে তাতে তোর মায়ের লেখা কাগজ বাবার পোড়ানোর কাগজ সব আছে। আমি বাড়িতে এসে মা কাজ থেকে ফিরতেই সব বললাম। মাকে এও বললাম মনে হয় হারিয়ে যাওয়ার নাম করে কাগজ এখানে নিয়ে এসেছে। মা শুনলেন কিছু বললেন না। পরের দিন সন্ধ্যায় মা কাজ থেকে একটু তাড়াতাড়ি ফিরে এলেন। আমাকে তপন স্যারের লেখা একটা চিঠি দিলেন সেটি নিয়ে ভোর বেলায় হাওড়া সালকিয়ায় এক জনের সাথে সাক্ষাৎ করতে বললেন। তিনি হাওড়া জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্ষদের চেয়ারম্যান। আরো বললেন সন্ধ্যার পর ক্লাবে গিয়ে আমি যেন বলি পনেরো দিনের মধ্যে চাকরিটা না হলে কোর্টে কেস করা হবে। আমি সন্ধ্যায় ক্লাবে গিয়ে তাই বললাম। অনেক অনেক শুনে হাসল কারণ আমাদের খাবার পয়সা নেই আমরা আবার কেস করব। আমি বললাম আমার স্যার বলেছেন তিনি আমার জন্য এটা করবেন। তপনবাবুর কাছে আমি অঙ্ক করতে যেতাম তিনি আমাকে বিনা পয়সায় পড়াতেন। তিনি ছিলেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের অঙ্কের অধ্যাপক। পরের দিন ভোরে উঠে আমি হাওড়া সালকিয়ায় গেলাম ওই ভদ্রলোকের সাথে দেখা করতে তিনি তপন স্যারের চিঠি নিলেন এবং আমায় আরেকটা চিঠি লিখে দিলেন আর বললেন ঐদিনই যেন হুগলি জেলার চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করি। হাওড়া জেলার চেয়ারম্যানের নাম কী ছিলো ভুলে গেছি কী সাম মুখার্জী। ওই দিন সকাল দশটার পর আমি হুগলি জেলার চেয়ারম্যান অমিয় মৈত্র সঙ্গে দেখা করি। তিনি a. I. কল্যাণ বাবুকে ডেকে পাঠান আমি তার তাঁর ঘরে যাই অনেক খোঁজার পরে তাঁর ড্রয়ার থেকে কাগজ বেরিয়ে আসে। আবার নীচ থেকে অমিয় মৈত্র ডাকেন আমাকে জিজ্ঞেস ঐ চেয়ারম্যান কে হন। আরও নানা রকম প্রশ্ন যার অনেক মনে নেই। আর কল্যাণ বাবুকে বলেন কাগজ গুলো রাজ্য দপ্তরে ঐ দিনই পাঠিয়ে দিতে। পরে শুনেছি উনি কাগজ গুলো ঐ দিনই জমা করে এসেছিলেন। এটা ছিলো ডিসেম্বর মাস। ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ে রাজ্য দপ্তর থেকে খবর আসে আঠাশে ফেব্রুয়ারি আমার appointment latter লেখা হবে। আমি গেলাম appointment latter আমার হাতে দেওয়া হল না। বলা হল ডাক যোগে পাব। সে এক নাটক মার্চ মাসের এক তারিখেই আমার appointment latter নাকি S. I. S. এসেছে বাড়িতে দফাদার সে বই আনতে গিয়ে ছিল তাকে খবর দিতে বলেছে। আমাকে XEROX করে আনতে হবে। Appointment latter আবার xerox বললাম ওতো post মারফৎ আসবে। এটাও প্রচার হল পনেরো মার্চের মধ্যে joint করতে হবে। কী করি ভেবে পাচ্ছি না শেষে 3রা মার্চ s. I. S. থেকে Xerox করে নিলাম। এবার attested করতে হবে। তবে joint করা যাবে। s. I. S. যখনই যাই s. I. S থাকে না। তখন 12 তারিখ হয়ে গেছে। তপন স্যার বলেছেন যিনি চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন তিনি attested করে দেন তবে ওটাই আসল কপি হবে। 12 তারিখ সকালে এক জন শিক্ষক ও পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষক সমিতির সদস্য দিলীপ চক্রবর্তীর কাছে মা আর আমরা দুভাই গেলাম তিনি বললেন নিশ্চিন্তে যান আমি আজই করে এনে দেবে। তিনি কথা রাখলেন এবং আমি রাম নগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহ শিক্ষক হিসেবে যোগদান করলাম। এটা ছিল 1989 সালের 14 ই মার্চ। আমার জীবনে আরও অনেক স্মরণীয় ঘটনা আছে সে সব অন্য সময় লিখব। আজ এই পর্যন্ত থাক।
Monday, 15 May 2017
পলতাগড় গ্রামের রাম মন্দিরের ভেতরের ছবি।
যে ছবি দু’টি এখানে দেওয়া হচ্ছে ছবি দু’টি পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার সিঙ্গুর থানার অন্তর্গত পল্তাগড় গ্রামের রাম মন্দিরের। স্থানীয় লোকজনের কথায় মন্দিরটি কয়েক হাজার বছরের পুরনো। তবে মন্দিরটির ভগ্ন স্তূপ দেখে মনে হয় কয়েক শতাব্দী পুরনো। আমারও খুব ছোট বেলায় শুনেছি পলতাগড় গ্রামের রাম মন্দিরের কথা। অবাক হবার কথা রাম মন্দির তো উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায়। স্থানীয় লোকজন এই ভগ্ন স্তূপের উপর একটা ঘর করে রেখেছে। আর এখনো প্রতি বছর রাম নবমী তিথিতে এখানে রামের পূজো হয়।
Sunday, 14 May 2017
বঙ্গের বাঙালি জাতি।
আমি অনেক দিন ধরেই এই খবর শুনে দেখে আসছি তথা কথিত বড় বড় সংবাদ পত্র গুলোতে যে খানে যদি কেউ হিন্দু বাঙালি জাতির বা হিন্দু জাতির কেউ কোনো ভালো কাজ করে বা তারা কেউ কিছু বলেন তবে ফোঁস করে ওঠে। নানা রকম লেখায় ভর্তি হয়ে যায় পাতার পর পাতা। অথচ এই ভারতে হিন্দুরা সর্বদিক থেকে কোন ঠাসা। মানছি হিন্দু দের মধ্যে অনেক গোষ্ঠী আছে। বিভিন্ন জায়গায় দলিত দের উপর অত্যাচার হচ্ছে। যে গুলো হওয়া উচিত নয়। উগ্র হিন্দুত্ব বাদ আমি বিশ্বাস করিনা। যারা এসব করছে তারা বিবেকানন্দের কথা গুলো ভুলে গেছেন। কিন্তু আমাদের ভুললে চলবে না এই ভারত সুভাষচন্দ্র বসুর মতো বাঙালি যিনি বিশ্ব বরেণ্য নেতা তাকে ভারতে ঢুকতে দেয়নি। অনেক বাঙালি সাংসদ সংসদে সেই সময়ে তোলেও নি। ভারত স্বাধীন হওয়ার সময় বাংলা ভাগ হয়ে গেছে এপার বাংলা হিন্দুস্তানে এসেছে। তাই ওপার বাংলা থেকে হিন্দুদের উপর অত্যাচার করে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তারা নিজেদের জন্মস্থান জণ্মভিটা ছেড়ে চলে আসতে বাধ্য হয়েছে। এপার বাংলায় এসেও তাদের ঠাঁই নাই ঠাঁই নাই অবস্থা। হিন্দু বলে তাদের তাড়িয়ে দেওয়া হল। আর তারা হিন্দুস্তানে এসেও কোন ঠাসা শুধু তারা নয় এপার বাংলায় সমস্ত হিন্দু জাতি আজ কোন ঠাসা। ভোটের রাজনীত করতে গিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল যেভাবে একটি সম্প্রদায় কে বিভিন্ন উপঢৌকন দিচ্ছে। তাতে সত্যি ভয় হয় একদিন আমারাই সংখ্যা লঘু হয়ে যাব।