Friday, 19 May 2017

অসত্বিতের সংকট।

ওপার বাংলা থেকে আসা মানুষের অস্তিত্বের সংকট। কীভাবে বলছি যে সব পরিবার এপার বাংলার গ্রামের দিকে বসবাস শুরু করেন। যেমন আমার বাবা তিনি দেশ স্বাধীন হওয়ার অনেক আগেই এপার বাংলায় এসেছিলেন। কিন্তু দেশ ভাগের পর হতেই শুরু হয়েছিল নানা রকম অত্যাচার তোর বাড়ি এখানে নয় তোকে থাকতে দেবনা। চাকরি করতে দেব না। আমরা বড়ো হয়েও দেখেছি সেই অত্যাচার। সব সময় আসত এবং বলত তোদের এখানে থাকতে দেবে না। কারণ এ জমি তোদের নয় আর গালাগাল খিস্তি ওটা ছিল উপরই পাওনা। 1971 - 1972 সালে এই অত্যাচার চরমে ওঠে। কারণ ছিল বাবা নাকি যুক্ত ফ্রন্টের পোষ্টার মের ছিলেন না ছিঁড়ে ছিলেন। কারণ দলের লোকজন এসে অত্যাচার করত। এক দল বলত মাষ্টার ফ্রন্টের পোষ্টার মেরেছে আরেক দল বলত ফ্রন্টের পোষ্টার ছিঁড়েছে। এই অযুহাতে বাবাকে 11মাস স্কুলে ঢুকতে দেয় নি, শেষে কয়েক জন ভাল মানুষের চেষ্টায় বাবাকে বদলি করা হয়েছিল অন্য স্কুলে। আমরা পড়তে গেছি কোনো সমস্যা হয়েছে একটু যেই বলেছি অমনি শুনতে হত এই বাঙল বাচ্চা চুপ কর। যেন আমরা অমানুষ আমাদের কথাবলার অধিকার নেই। ছোট থেকে বড় হয়ে প্রচুর অর্থ নৈতিক কষ্ট পেয়েছি। 1980 সালের পর একটু কষ্ট লাঘব হয়েছিল। ছোট থেকে বড় হয়েছি প্রচুর হীনমন্যতায় ভুগেছি। 1986 থেকে 1989 সালের মার্চ মাস পর্যন্ত কষ্টে কেটেছে। কারণ এই সময় বাবা অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং তিনি 1988 সালের এপ্রিল মাসে মারা যান।
এবার আমার কথা। আমি 1989 সালের মার্চ মাসে বাবার চাকরিতে যোগ দিই সে নাটকের কথা আগেই লিখেছি। চাকরি পাওয়ার এক বছর পর আমি মাটির ঘর ফেলে ইঁট দিয়ে দু কামরা ঘর করলাম টালি দিয়ে ছাওয়া। তার পর 1994 সালে বিবাহ করলাম। আমার পক্ষ থেকে সব সত্য জানান হলো। কিন্তু অপর পক্ষ যা করল ঠিক তার উল্টো তাই মিথ্যা আর অবিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠল আমার সংসার। অবিশ্বাস থাকলে যা হয়। এপর 1999 সালে বাড়ি সংস্কার করে নিতে চাইলাম। জায়গা মাপতে গিয়ে বাধা এল তথা কথিত প্রতিবেশী দের কাছ থেকে। আগেই বলেছি পাড়ার সি পি আই এম দলের রাজনৈতিক দাদা সতীশ দাস দলবল নিয়ে চড়াও হল আমার বাড়িতে। আমিও ঐদলকেই সর্মথন করি কিন্তু তাতে কী আমার বাড়িতে চারটি ভোট ওরা অনেক সুতরাং পার্টি ওদের দিকে। আমার পক্ষে নেই এখানে সি পি আই এম পার্টি যারা সেই সময় ক্ষমতায় ছিল। ঠিক আমার বাবার সঙ্গে যা ঘটে ছিল আমার সাথে অল্প বিস্তর ঘটলো আমার বাবাকে প্রশাসন সাহায্য করে ছিল। আমাকে প্রশাসন সাহায্য করল না। তার পর যা হবার হল ওরকম ফাঁকা বাড়িতে দিনের পর দিন রয়ে গেলাম। তবুও ওই দল ছাড়লাম না। কিন্তু ওই দলের সাঙ্গ পাঙ্গরা আমায় বিশ্বাস করতে পারল না। অথচ ভোট এলেই চাঁদা দিতে বলে। সব রকমের সাহায্য গত বছর পর্যন্ত করেছি। মিছিল মিটিংয়ে অংশ গ্রহণ করেছি। তাও এদের শিক্ষক সংগঠন যার আমি সদস্য তারা অপমান কর কথা বলে সংগঠন থেকে বের করে দেয়। আমার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি করব তবে সিদ্ধান্ত নিতেই হবে না হলে আরও অপমানিত হতে হবে। তা হলে এখন আপনারা বিচার করে দেখুন আমার অস্তিত্বের সংকট দেখা দিয়েছে কিনা। যদি কেউ আমার লেখা পড়েন অবশ্যই মতামত দেবেন। আপনাদের মতামতের আশায় রইলাম।

No comments:

Post a Comment