পশ্চিমবঙ্গে গত ৩৪ বছরের বাম আমলে একেবারে যে কিছু পাইনি তা বলা যাবে না। আবার অনেক কিছু পেয়েছি, এটাও বলা যাবে না। তাহলে হয়ত বলা হবে মানুষের সব চাহিদা পূরণ করা সম্ভব নয়। আজকে আমি এখানে এসব হিসাব করতে লিখতে আরাম্ভ করিনি। ওসব হিসেবে নিকেষ করার অনেক লোক আছে। আমি কম্যুনিস্ট শাসন শুরু হওয়ার কয়েক বছর আগে জন্মেছি। আমি বাহাত্তরের দাঙ্গার ছ বছর আগে জন্মেছি। আর ছোট থেকে কম্যুনিস্ট পার্টির আদর্শের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই চলে আসছি। কিন্তু দুঃখের বিষয় ঐ দলের নেতাদের বিশ্বাস অর্জন করতে পারিনি। কেন জানি না, অনেক সময় আমায় তারা মিটিং মিছিলে নিয়ে গিয়েছে। আবার অনেক সময় আমি নিজেও গিয়েছি। কিন্তু আজও নেতাদের আচরণ দেখলে মনে হয় তারা আমায় চায় না। কারণ আমার জানা নেই। সেই জন্য আমার মনে প্রশ্ন জাগে আমি বুঝি নি প্রকৃত কম্যুনিস্ট বা কম্যুনিজম কী? এখানে বলি আমি কিন্তু পার্টি সদস্য নয়। আমি সর্মথক, এসব কথা আগেই বলেছি। আজ আমার পাড়ার এক পার্টি সদস্যকে জিজ্ঞেস করলাম প্রকৃত কম্যুনিজম কী? সে তো আমার উপর রেগে গেলেন। অনেক কথা বলে দিলেন। আর একটি প্রশ্ন করলাম। পশ্চিমবঙ্গে ৩৪ বছরের বাম শাসনে কতটা কম্যুনিজম এসেছে? ভদ্রলোক অল্প শিক্ষিত বিবাহ করেন নি। তিনি প্রশ্ন শুনে ক্ষেপে গেলেন। আমি বললাম বিভিন্ন পত্রিকা ও বই পড়ে আমি যে টুকু বুঝেছি তা হলো, কম্যুনিজম মানে সব বিষয়ে সকলের সমান অধিকার। আপনার কাজের অধিকার ছিল, বিবাহ করে সংসারী হওয়ার অধিকার ছিল।বলেন ভারত সরকার দেয়নি, তাই হয়নি। আপনি ঠিক বলেছেন কিন্তু রাজ্য সরকারের দায় থাকে তো। বলেন তাহলে বলবে ভূমি সংস্কার হয়নি। আমি হ্যাঁ হয়েছে, সেটা হয়েছে ভোট পাবার জন্য। বাড়িতে বেশি ভোট থাকলে সে পাট্টা পেয়েছে। ঐ জমি নিয়ে সম অংশীদারির চাষ করা যেত, যেটা কম্যুনিজম এর প্রথম ধাপ। আমি বললাম অনেক দিন আগে খবরের কাগজে পড়ে ছিলাম বিহারের শব্দগাঁয় দুই কম্যুনিস্ট পার্টির সদস্য মহেশ ও সরিতা ঐ গ্রামকে ঐ ভাবে ভূমি সংস্কার করে কম্যুনিস্ট গ্রামে পরিবর্তন করে ছিল। পরে তাদের প্রাণ গিয়ে ছিল দুষ্কৃতী দের হাতে। খুব রেগে গেলেন বললেন ভারতে এক দিন কম্যুনিজম আসবে। আমি বললাম ঠিক বলেছেন পশ্চিমবঙ্গে কম্যুনিজম এলো না তো কি হয়েছে ভারতে তো আসবে। আপনার আমার মত পঞ্চাশ পার করা লোক যারা কমরেড হতে পারলাম না। কমরেট হয়ে রয়ে গেলাম তারা বিপ্লব করে ফেলবো।
No comments:
Post a Comment