Wednesday, 17 May 2017

কে কত অসাম্প্রদায়িক চলছে প্রতিযোগিতা।

আজ ভারতের প্রতিটি রাজনৈতিক দল প্রতিযোগিতায় নেমেছে কে কত অসাম্প্রদায়িক চলছে তার প্রতিযোগিতা। কিন্তু আমারা যদি ভেবে দেখিনি ভারত বর্ষ স্বাধীন হয়েছিল সাম্প্রদায়িক বিভাজনের মধ্যে দিয়ে। এবিষয়ে আমারা ইতিহাসে কী পড়ছি যে বিট্রিশরা আমাদের দেশ ভাগ করে স্বাধীনতা দিয়েছে। এ বিষয়ে আমাদের দেশীয় নেতা দের কোনো দোষ নেই। তখন কার কংগ্রেসের ক্ষমতা লোভী নেতা দের কথা ভাবুন যারা ক্ষমতায় বসার জন্য নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু কে ভারতে ঢুকতেই দিল না। তারা দেশ ভাগের অংশীদার নয়। সুভাষ বোস যাতে না আসে তার সমস্ত রকম ব্যবস্থা পাকা করল জানত নেতাজী দেশে ফিরে এলে। এদের গদি থাকবে না। I. N. A. সেনা দের ধরে বিচারের নামে প্রহসন তৈরী করল। আচ্ছা আমরা যদি ভাবি যে জাতির জনক অসহযোগ আন্দোলন করল কিম্বা অনশনে বসল অমনি ইংরেজরা দেশ স্বাধীন করে চলে গেল। তাহলে শর্মিলা চানু অত দিন অনশন করল কয় ভারত সরকার মনিপুরের বিশেষ আইন প্রত্যাহার করে নিয়ে ছিল।?
ব্যাপারটা হাস্যকর মনে হচ্ছে না। কিছু দিন আগে আন্না হাজারে অনশন করলেন সে দাবি পূরণ হয়েছে?তাহলে বিট্রিশ ভারত ছেড়ে ছিল নেতাজির জন্য। এ বিষয়ে লর্ড মাউন্ট ব্যাটেনের লেখা বই আছে পড়তে পারেন। তাহলে দেশ ভাগের মূলে সাম্প্রদায়িকতা কারা বিট্রিশের আলোচনায় বসে ছিলেন তৎকালীন কংগ্রেসের নেতারা গান্ধীজী জহরলাল নেহরু আর মুসলিম লীগের তরফে ইয়াহিয়া খান এরাই সাম্প্রদায়িক ভাবে দেশ ভাগ করে দেশের স্বাধীনতা এনেছেন। এভাবে দেশ স্বাধীন হবার ফলে যখন পাঞ্জাবে ও বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় দাঙ্গা লেগেছে দু সম্প্রদায়ের মধ্যে তখন গান্ধীজী বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে অনশনে বসেছেন। দাঙ্গা থামাবার জন্য। এযেন গোড়া কেটে ডগায় জল ঢালা। তাঁর অনশনের জন্য দাঙ্গা থামেনি বরং বেড়েছে। আর এর জন্য কাদেরকে বেশি মূল্য দিতে হল। সেই দুটো জাতিকে যারা ভারতের স্বাধীনতা যুদ্ধে বেশি করে অংশ গ্রহণ করেছিলেন। সেই দুটো জাতি হল পাঞ্জাবী ও বাঙালি জাতি। এই দুই জাতি বিশেযকরে বাঙালি হিন্দু জাতি ও ভারতের আরেক জাতি পাঞ্জাবী শিখ জাতি। এ বিষয়ে আরও অনেক কিছু লেখার আছে পরে অন্য অনুচ্ছেদ লিখব।

No comments:

Post a Comment