ভূমিকা । এখন যে গল্প লিখতে যাচ্ছি সেটি এক রাজনৈতিক দাদার গল্প কিন্তু চরম বাস্তব। আমার জীবনে প্রথম আমি বাইরের লোকের কাছে মার খেয়ে ছিলাম। সেটা ছিল 1978 সদ্য ক্ষমতায় এসেছে cpim। আর ঐ বছর বাংলায় বন্যা ব্যাপকভাবে CPIM দলের তরফে বা সরকার থেকেই হোক আটা বিলি করা হচ্ছে। আমিও গিয়েছি লাইনে দাঁড়িয়ে পড়েছি। যত বার সামনে যাই আমাকে আর দেয় না। আমি ছোট ছিলাম অত বুঝি নি যে আমাকে দেওয়া হবে না। যখন প্রায় শেষ হয়ে গেছে সবাই চলে গেছে আমি দাঁড়িয়ে আছি। তখন ললিত পাল নামে CPM এক নেতা অমুকের বাচ্ছা বলে গালে সপাটে চড় মারেন। আমি পড়ে গেলাম। মার খেয়ে চলে আসছি এমন সময় শুনছি ললিত পাল বলছে শালা অমুকের বাচ্ছার জান শক্ত মরবে না। সতীশ দার কী দয়া হল ডাকল ওই শোন আমি ভয়ে কাছে যাচ্ছিলাম না যদি আবার মারে। সতীশ দাস বলল ভয় নেই মারব না। আমি কাছে গেলাম সে যারা আটা দিচ্ছিল তাদের বলল বস্তাগুলো ঝাড় বস্তা ঝাড়া হল। আটা শানে পড়ল ঝাঁড় দিয়ে জড়ো করে আমার ব্যাগে ভরে দেওয়া হল। আমি তাই নিয়ে বাড়ি এলাম।
সতীশ দাস সর্ম্পকে কিছু কথা। এই সতীশ বাবার কাছে ছোট বেলায় পড়তো। পড়তে চাইতো না। বাবা জোর করে ধরে রেখে পড়াতো । সতীশ দাসের অনেক গুন ছিল, তার মধ্যে একটি যেখানে বা যে বাড়িতে মেয়ে থাকত সেই বাড়িতে আড্ডা দিত। এভাবে চলতে পাড়ার পারুল দির সঙ্গে লটরপটর বেশি ছিল। একদিন সন্ধ্যায় আমি পড়ে আসছি ওখানে একটা ক্লাব ছিল তারা ডাকল নাটকের বই পড়ে বলার জন্য। সেই শুরু হলো আমার CPM এ যাওয়া তারপর বুথে বসা। মিটিং মিছিলে যাওয়া তখন আমার বয়স কম ক্লাস সেভেনে বা এইটে পড়ি। মতীশ দাদা 1980 সালে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিযুক্ত হল। দেখলাম যারা CPM কে দেখে ঘৃণা করত তারাও CPM এ এল কারণ সতীশ দাস তাদের বাড়ি আড্ডা দিত। ওই বাড়িতে দুটি মেয়ে ছিল আমি যতই মিটিং মিছিল বুথে বসা দেওয়াল লেখা করিনা কেন আমি সদস্য হলাম না। ওরা সদস্য হল ভোটে দাঁড়াল হেরে গেল চরিত্র খারাপের জন্য। অনেক পরে ওদের এক ভাই CPM থেকে দাঁড়িয়ে জিতল। এখানে আমি পঞ্চায়েত ভোটের কথা বলছি। ভাইটি সতীশ দাসের সাথে এক সঙ্গে দাঁড়িয়ে জিতল তার কী দেমাকে ধরাকে সরা জ্ঞান করতে লাগল। আমি কোনো একটা কাজে পঞ্চায়েতে গিয়েছি আমার থেকে কাগজটা নিয়ে বলল এখানে আমার পাওয়ার বেশি তোমার পাওয়ার কাজ করবে না। আমার কাজ টা আর হলই না। এসব মানে ভাইটার সঙ্গে যে ঘটনা সেটা ঘটে ছিল আমি চাকরি পাওয়ার পর। এখন ঐ ভাইটা বাবার চাকরি পেয়েছে আমার মত। এবং CPM ছেড়ে দিয়েছে। এখন মানে আমি 2011 সালের পরের কথা বলছি। আমি কিন্তু CPM ছাড়েনি। এখনও মিটিং মিছিলে যাই সংগঠনের কাজ করি। এখন মানে 2017 সাল পর্যন্ত।
এবার আমার কথা। আগেই লিখেছি আমি চাকরি করি এই চাকরি পাওয়ার একটা ইতিহাস আছে। 1986 সালে আমার বাবা অসুস্থ হয়ে পড়েন। বাবার পায়ে পচা ঘা হয়ে ছিল সঙ্গে সুগার প্রায় এক বছর রোগ ভোগের পর বাবা চাকরিতে যোগ দেন। এই এক বছরের কোন বেতন পেলেন না। কাজ করেন নি বেতন দেওয়া হয়নি। এ পর্যন্ত ঠিক ছিল। 1987 সালের ফেব্রুয়ারি থেকে 1988 সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তিনি কাজ করা সত্বেও কোন বেতন পেলেন না। মার্চ মাসের বেতন দেওয়া হল। এর মধ্যে তিনি আবার অসুস্থ হলেন চিকিৎসা করার পয়সা ছিল না। তিনি মারা গেলেন 1988 সালের 20 শে এপ্রিল। আমি বাড়ির বড়ো ছেলে তাই মা আমাকে চাকরিটি দেবন ঠিক করলেন। এ পর্যন্ত ঠিক আছে। চাকরিটি পেতে হলে বাবার ডেথ সার্টিফিকেট বা বার্নিংঘাট সার্টিফিকেট লাগে বাবার বার্নিং এর সময় সতীশ দা ছিল কাগজ তার কাছে যতবার আনতে যাই ঘোরায়। শেষে জুন 1988 দাদার বাড়িতে বসে থেকে একটা আধ ছেঁড়া কাগজ দিল সেটি সার্টিফিকেট নয়। ওই কাগজ দেখিয়ে সার্টিফিকেট আনতে হবে। সে অনেক বার নাকি গেছে তাকে দেয়নি। এদিকে আমাদের সংসার চলে না মা কারখানায় কাজে যায়। আমি কাগজটা নিয়ে গেলাম তারা আমাকে একটা ডেট দিল এবং কত টাকা লাগবে বলে দিল। আমি সেই দিন যাব দেখি পাড়ার দাদাও আমার সঙ্গে গেলেন। সেদিন কাজ হল। এবার আবেদন করার পালা জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহে আবেদন পত্র নিয়ে আমি আর আমার আরেক ভাই অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক অফিসে জমা দিতে গেলাম তিনি নানা ফিরিস্তি শুনিয়ে ফিরিয়ে দিলেন। এবার আগষ্ট মাসে আবার গেলাম তিনি যা বলেছিলেন সেই রকম সব করে নিয়ে। এবার আমার থেকে জমা নিলেন কিন্তু সব আসল কাগজ নিয়ে রাখলেন। রিসিভ করেও দিলেন না বাড়িতে বলার পর ভাই রেগে গিয়ে অফিসে গেল ও রিসিভ করিয়ে আনল। আসল কাগজ কেবল বাবার appointment ও আর কয়েকটা আসল কাগজ ফেরত নিয়ে এল। বলল আমি নাকি ফেলে এসেছি। তার ঠিক এক মাস পর গেলাম আমাকে একটা মেমো নং ও তারিখ দেওয়া হল। এবং হুগলি জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্ষদে যোগাযোগ করতে বলা হল। আমি গেলাম এ টেবিল ও টেবিলে ঘোরার পর এক জনের দয়া হল। তিনি একটি ছোট ঘরে নিয়ে গেলেন এবং সব খুঁজে বলেন কাগজ হারিয়ে গেছে। এই ঘটনার মাস দুয়েক বাদে আবার গেলাম ওই মেমো নং নিয়ে আমাকে যাচ্ছেতাই ব্যবহার করে তাড়িয়ে দেওয়া হল। বাড়ি ফিরে সন্ধ্যায় CPM এর ক্লাবে বসে আছি হঠাৎ একজন আমাকে বলল তোর চাকরিটা রমেশকে দেওয়া হবে। আমি বললাম সে আবার হয় নাকি আমার মায়ের দাবি পত্র চাই। বলল জানি না তবে কাগজ পত্র তৈরি হচ্ছে তাতে তোর মায়ের লেখা কাগজ বাবার পোড়ানোর কাগজ সব আছে। আমি বাড়িতে এসে মা কাজ থেকে ফিরতেই সব বললাম। মাকে এও বললাম মনে হয় হারিয়ে যাওয়ার নাম করে কাগজ এখানে নিয়ে এসেছে। মা শুনলেন কিছু বললেন না। পরের দিন সন্ধ্যায় মা কাজ থেকে একটু তাড়াতাড়ি ফিরে এলেন। আমাকে তপন স্যারের লেখা একটা চিঠি দিলেন সেটি নিয়ে ভোর বেলায় হাওড়া সালকিয়ায় এক জনের সাথে সাক্ষাৎ করতে বললেন। তিনি হাওড়া জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্ষদের চেয়ারম্যান। আরো বললেন সন্ধ্যার পর ক্লাবে গিয়ে আমি যেন বলি পনেরো দিনের মধ্যে চাকরিটা না হলে কোর্টে কেস করা হবে। আমি সন্ধ্যায় ক্লাবে গিয়ে তাই বললাম। অনেক অনেক শুনে হাসল কারণ আমাদের খাবার পয়সা নেই আমরা আবার কেস করব। আমি বললাম আমার স্যার বলেছেন তিনি আমার জন্য এটা করবেন। তপনবাবুর কাছে আমি অঙ্ক করতে যেতাম তিনি আমাকে বিনা পয়সায় পড়াতেন। তিনি ছিলেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের অঙ্কের অধ্যাপক। পরের দিন ভোরে উঠে আমি হাওড়া সালকিয়ায় গেলাম ওই ভদ্রলোকের সাথে দেখা করতে তিনি তপন স্যারের চিঠি নিলেন এবং আমায় আরেকটা চিঠি লিখে দিলেন আর বললেন ঐদিনই যেন হুগলি জেলার চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করি। হাওড়া জেলার চেয়ারম্যানের নাম কী ছিলো ভুলে গেছি কী সাম মুখার্জী। ওই দিন সকাল দশটার পর আমি হুগলি জেলার চেয়ারম্যান অমিয় মৈত্র সঙ্গে দেখা করি। তিনি a. I. কল্যাণ বাবুকে ডেকে পাঠান আমি তার তাঁর ঘরে যাই অনেক খোঁজার পরে তাঁর ড্রয়ার থেকে কাগজ বেরিয়ে আসে। আবার নীচ থেকে অমিয় মৈত্র ডাকেন আমাকে জিজ্ঞেস ঐ চেয়ারম্যান কে হন। আরও নানা রকম প্রশ্ন যার অনেক মনে নেই। আর কল্যাণ বাবুকে বলেন কাগজ গুলো রাজ্য দপ্তরে ঐ দিনই পাঠিয়ে দিতে। পরে শুনেছি উনি কাগজ গুলো ঐ দিনই জমা করে এসেছিলেন। এটা ছিলো ডিসেম্বর মাস। ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ে রাজ্য দপ্তর থেকে খবর আসে আঠাশে ফেব্রুয়ারি আমার appointment latter লেখা হবে। আমি গেলাম appointment latter আমার হাতে দেওয়া হল না। বলা হল ডাক যোগে পাব। সে এক নাটক মার্চ মাসের এক তারিখেই আমার appointment latter নাকি S. I. S. এসেছে বাড়িতে দফাদার সে বই আনতে গিয়ে ছিল তাকে খবর দিতে বলেছে। আমাকে XEROX করে আনতে হবে। Appointment latter আবার xerox বললাম ওতো post মারফৎ আসবে। এটাও প্রচার হল পনেরো মার্চের মধ্যে joint করতে হবে। কী করি ভেবে পাচ্ছি না শেষে 3রা মার্চ s. I. S. থেকে Xerox করে নিলাম। এবার attested করতে হবে। তবে joint করা যাবে। s. I. S. যখনই যাই s. I. S থাকে না। তখন 12 তারিখ হয়ে গেছে। তপন স্যার বলেছেন যিনি চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন তিনি attested করে দেন তবে ওটাই আসল কপি হবে। 12 তারিখ সকালে এক জন শিক্ষক ও পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষক সমিতির সদস্য দিলীপ চক্রবর্তীর কাছে মা আর আমরা দুভাই গেলাম তিনি বললেন নিশ্চিন্তে যান আমি আজই করে এনে দেবে। তিনি কথা রাখলেন এবং আমি রাম নগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহ শিক্ষক হিসেবে যোগদান করলাম। এটা ছিল 1989 সালের 14 ই মার্চ। আমার জীবনে আরও অনেক স্মরণীয় ঘটনা আছে সে সব অন্য সময় লিখব। আজ এই পর্যন্ত থাক।
সতীশ দাস সর্ম্পকে কিছু কথা। এই সতীশ বাবার কাছে ছোট বেলায় পড়তো। পড়তে চাইতো না। বাবা জোর করে ধরে রেখে পড়াতো । সতীশ দাসের অনেক গুন ছিল, তার মধ্যে একটি যেখানে বা যে বাড়িতে মেয়ে থাকত সেই বাড়িতে আড্ডা দিত। এভাবে চলতে পাড়ার পারুল দির সঙ্গে লটরপটর বেশি ছিল। একদিন সন্ধ্যায় আমি পড়ে আসছি ওখানে একটা ক্লাব ছিল তারা ডাকল নাটকের বই পড়ে বলার জন্য। সেই শুরু হলো আমার CPM এ যাওয়া তারপর বুথে বসা। মিটিং মিছিলে যাওয়া তখন আমার বয়স কম ক্লাস সেভেনে বা এইটে পড়ি। মতীশ দাদা 1980 সালে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিযুক্ত হল। দেখলাম যারা CPM কে দেখে ঘৃণা করত তারাও CPM এ এল কারণ সতীশ দাস তাদের বাড়ি আড্ডা দিত। ওই বাড়িতে দুটি মেয়ে ছিল আমি যতই মিটিং মিছিল বুথে বসা দেওয়াল লেখা করিনা কেন আমি সদস্য হলাম না। ওরা সদস্য হল ভোটে দাঁড়াল হেরে গেল চরিত্র খারাপের জন্য। অনেক পরে ওদের এক ভাই CPM থেকে দাঁড়িয়ে জিতল। এখানে আমি পঞ্চায়েত ভোটের কথা বলছি। ভাইটি সতীশ দাসের সাথে এক সঙ্গে দাঁড়িয়ে জিতল তার কী দেমাকে ধরাকে সরা জ্ঞান করতে লাগল। আমি কোনো একটা কাজে পঞ্চায়েতে গিয়েছি আমার থেকে কাগজটা নিয়ে বলল এখানে আমার পাওয়ার বেশি তোমার পাওয়ার কাজ করবে না। আমার কাজ টা আর হলই না। এসব মানে ভাইটার সঙ্গে যে ঘটনা সেটা ঘটে ছিল আমি চাকরি পাওয়ার পর। এখন ঐ ভাইটা বাবার চাকরি পেয়েছে আমার মত। এবং CPM ছেড়ে দিয়েছে। এখন মানে আমি 2011 সালের পরের কথা বলছি। আমি কিন্তু CPM ছাড়েনি। এখনও মিটিং মিছিলে যাই সংগঠনের কাজ করি। এখন মানে 2017 সাল পর্যন্ত।
এবার আমার কথা। আগেই লিখেছি আমি চাকরি করি এই চাকরি পাওয়ার একটা ইতিহাস আছে। 1986 সালে আমার বাবা অসুস্থ হয়ে পড়েন। বাবার পায়ে পচা ঘা হয়ে ছিল সঙ্গে সুগার প্রায় এক বছর রোগ ভোগের পর বাবা চাকরিতে যোগ দেন। এই এক বছরের কোন বেতন পেলেন না। কাজ করেন নি বেতন দেওয়া হয়নি। এ পর্যন্ত ঠিক ছিল। 1987 সালের ফেব্রুয়ারি থেকে 1988 সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তিনি কাজ করা সত্বেও কোন বেতন পেলেন না। মার্চ মাসের বেতন দেওয়া হল। এর মধ্যে তিনি আবার অসুস্থ হলেন চিকিৎসা করার পয়সা ছিল না। তিনি মারা গেলেন 1988 সালের 20 শে এপ্রিল। আমি বাড়ির বড়ো ছেলে তাই মা আমাকে চাকরিটি দেবন ঠিক করলেন। এ পর্যন্ত ঠিক আছে। চাকরিটি পেতে হলে বাবার ডেথ সার্টিফিকেট বা বার্নিংঘাট সার্টিফিকেট লাগে বাবার বার্নিং এর সময় সতীশ দা ছিল কাগজ তার কাছে যতবার আনতে যাই ঘোরায়। শেষে জুন 1988 দাদার বাড়িতে বসে থেকে একটা আধ ছেঁড়া কাগজ দিল সেটি সার্টিফিকেট নয়। ওই কাগজ দেখিয়ে সার্টিফিকেট আনতে হবে। সে অনেক বার নাকি গেছে তাকে দেয়নি। এদিকে আমাদের সংসার চলে না মা কারখানায় কাজে যায়। আমি কাগজটা নিয়ে গেলাম তারা আমাকে একটা ডেট দিল এবং কত টাকা লাগবে বলে দিল। আমি সেই দিন যাব দেখি পাড়ার দাদাও আমার সঙ্গে গেলেন। সেদিন কাজ হল। এবার আবেদন করার পালা জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহে আবেদন পত্র নিয়ে আমি আর আমার আরেক ভাই অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক অফিসে জমা দিতে গেলাম তিনি নানা ফিরিস্তি শুনিয়ে ফিরিয়ে দিলেন। এবার আগষ্ট মাসে আবার গেলাম তিনি যা বলেছিলেন সেই রকম সব করে নিয়ে। এবার আমার থেকে জমা নিলেন কিন্তু সব আসল কাগজ নিয়ে রাখলেন। রিসিভ করেও দিলেন না বাড়িতে বলার পর ভাই রেগে গিয়ে অফিসে গেল ও রিসিভ করিয়ে আনল। আসল কাগজ কেবল বাবার appointment ও আর কয়েকটা আসল কাগজ ফেরত নিয়ে এল। বলল আমি নাকি ফেলে এসেছি। তার ঠিক এক মাস পর গেলাম আমাকে একটা মেমো নং ও তারিখ দেওয়া হল। এবং হুগলি জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্ষদে যোগাযোগ করতে বলা হল। আমি গেলাম এ টেবিল ও টেবিলে ঘোরার পর এক জনের দয়া হল। তিনি একটি ছোট ঘরে নিয়ে গেলেন এবং সব খুঁজে বলেন কাগজ হারিয়ে গেছে। এই ঘটনার মাস দুয়েক বাদে আবার গেলাম ওই মেমো নং নিয়ে আমাকে যাচ্ছেতাই ব্যবহার করে তাড়িয়ে দেওয়া হল। বাড়ি ফিরে সন্ধ্যায় CPM এর ক্লাবে বসে আছি হঠাৎ একজন আমাকে বলল তোর চাকরিটা রমেশকে দেওয়া হবে। আমি বললাম সে আবার হয় নাকি আমার মায়ের দাবি পত্র চাই। বলল জানি না তবে কাগজ পত্র তৈরি হচ্ছে তাতে তোর মায়ের লেখা কাগজ বাবার পোড়ানোর কাগজ সব আছে। আমি বাড়িতে এসে মা কাজ থেকে ফিরতেই সব বললাম। মাকে এও বললাম মনে হয় হারিয়ে যাওয়ার নাম করে কাগজ এখানে নিয়ে এসেছে। মা শুনলেন কিছু বললেন না। পরের দিন সন্ধ্যায় মা কাজ থেকে একটু তাড়াতাড়ি ফিরে এলেন। আমাকে তপন স্যারের লেখা একটা চিঠি দিলেন সেটি নিয়ে ভোর বেলায় হাওড়া সালকিয়ায় এক জনের সাথে সাক্ষাৎ করতে বললেন। তিনি হাওড়া জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্ষদের চেয়ারম্যান। আরো বললেন সন্ধ্যার পর ক্লাবে গিয়ে আমি যেন বলি পনেরো দিনের মধ্যে চাকরিটা না হলে কোর্টে কেস করা হবে। আমি সন্ধ্যায় ক্লাবে গিয়ে তাই বললাম। অনেক অনেক শুনে হাসল কারণ আমাদের খাবার পয়সা নেই আমরা আবার কেস করব। আমি বললাম আমার স্যার বলেছেন তিনি আমার জন্য এটা করবেন। তপনবাবুর কাছে আমি অঙ্ক করতে যেতাম তিনি আমাকে বিনা পয়সায় পড়াতেন। তিনি ছিলেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের অঙ্কের অধ্যাপক। পরের দিন ভোরে উঠে আমি হাওড়া সালকিয়ায় গেলাম ওই ভদ্রলোকের সাথে দেখা করতে তিনি তপন স্যারের চিঠি নিলেন এবং আমায় আরেকটা চিঠি লিখে দিলেন আর বললেন ঐদিনই যেন হুগলি জেলার চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করি। হাওড়া জেলার চেয়ারম্যানের নাম কী ছিলো ভুলে গেছি কী সাম মুখার্জী। ওই দিন সকাল দশটার পর আমি হুগলি জেলার চেয়ারম্যান অমিয় মৈত্র সঙ্গে দেখা করি। তিনি a. I. কল্যাণ বাবুকে ডেকে পাঠান আমি তার তাঁর ঘরে যাই অনেক খোঁজার পরে তাঁর ড্রয়ার থেকে কাগজ বেরিয়ে আসে। আবার নীচ থেকে অমিয় মৈত্র ডাকেন আমাকে জিজ্ঞেস ঐ চেয়ারম্যান কে হন। আরও নানা রকম প্রশ্ন যার অনেক মনে নেই। আর কল্যাণ বাবুকে বলেন কাগজ গুলো রাজ্য দপ্তরে ঐ দিনই পাঠিয়ে দিতে। পরে শুনেছি উনি কাগজ গুলো ঐ দিনই জমা করে এসেছিলেন। এটা ছিলো ডিসেম্বর মাস। ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ে রাজ্য দপ্তর থেকে খবর আসে আঠাশে ফেব্রুয়ারি আমার appointment latter লেখা হবে। আমি গেলাম appointment latter আমার হাতে দেওয়া হল না। বলা হল ডাক যোগে পাব। সে এক নাটক মার্চ মাসের এক তারিখেই আমার appointment latter নাকি S. I. S. এসেছে বাড়িতে দফাদার সে বই আনতে গিয়ে ছিল তাকে খবর দিতে বলেছে। আমাকে XEROX করে আনতে হবে। Appointment latter আবার xerox বললাম ওতো post মারফৎ আসবে। এটাও প্রচার হল পনেরো মার্চের মধ্যে joint করতে হবে। কী করি ভেবে পাচ্ছি না শেষে 3রা মার্চ s. I. S. থেকে Xerox করে নিলাম। এবার attested করতে হবে। তবে joint করা যাবে। s. I. S. যখনই যাই s. I. S থাকে না। তখন 12 তারিখ হয়ে গেছে। তপন স্যার বলেছেন যিনি চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন তিনি attested করে দেন তবে ওটাই আসল কপি হবে। 12 তারিখ সকালে এক জন শিক্ষক ও পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষক সমিতির সদস্য দিলীপ চক্রবর্তীর কাছে মা আর আমরা দুভাই গেলাম তিনি বললেন নিশ্চিন্তে যান আমি আজই করে এনে দেবে। তিনি কথা রাখলেন এবং আমি রাম নগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহ শিক্ষক হিসেবে যোগদান করলাম। এটা ছিল 1989 সালের 14 ই মার্চ। আমার জীবনে আরও অনেক স্মরণীয় ঘটনা আছে সে সব অন্য সময় লিখব। আজ এই পর্যন্ত থাক।
No comments:
Post a Comment