পুজোনীয় দিদি প্রথমে আপনি আমার সশ্রদ্ধ প্রণাম নেবেন। আজ অন লাইন নিউজ পোর্টাল, আজ বিকেলের একটি খবর আপনি, কানলার সভা মঞ্চ থেকে সরকারি কর্মীদের সাবধান করে বলেন। টাকা নেই খালি দাও দাও, কাজ না করে খালি দাও দাও কিছু বাম আমলে নিয়োগ পাওয়া কর্মী এসব করছে। আপনি একদম ঠিক কথা বলেছেন, আপনার সাথে আমি একমত সত্যিই আপনি কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, নিজশ্রী, যুবশ্রী দু টাকা কিলো চাল বিনা পয়সা চিকিৎসা,অনেক রাস্তা করেছেন, গ্রামের অলিতে গলিতে ঢালাই রাস্তা। যদি এই সব রাস্তা তাড়াতাড়ি ভেঙে যায় আপনার কী করার আছে। খেলার উন্নতির ক্লাব কে টাকা দিয়েছেন। পুজো করার টাকা দিয়েছেন, আরও কত কী করছেন। এইতো কটা দিন আগে পার্শ্বশিক্ষক দের সিভিক ভলেন্টিয়ার দের আই ডি এস কর্মী দের বেতন বাড়িয়ে আবার কেটে নিয়েছেন। আমি কাগজে পড়েছি, ঠিক করেছেন। আপনি ঠিক বলেছেন বামফ্রন্ট সরকার এদের মাথায় তুলে রেখেছিল। বছরে দুবার ডিএ পাঁচ বার পে কমিশন ।একবার দুমাস ডিএ দিতে দেরি হয়ে ছিল। মহাকরণে ভাঙচুর আন্দোলন শুরু করে ছিল। তবুও কিছু বলেননি বামফ্রন্ট সরকার। না দিদি কথা টা আমার নয় whatsapp এ ভিডিও ফুটেজ দেখে লিখছি। কে একজন ফেডারেশন নেতা বলছিলেন, শুনলাম আপনি তাকে সহ যারা কাল আন্দোলন করছিল। তাদের বদলি করে দিয়েছেন, আপনি এতো উন্নয়ন করছেন। তাছাড়া আপনার খাটুনি কত, সারা রাজ্যে আপনি ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এখন তো আবার কপটার চড়ে ঘুরছেন। খরচ কত ওরা জানে না, আপনার টাকা আপনি নাও দিতে পারেন। এই সরল কথা টা এরা কবে বুঝবে। দিদি আপনি একটা কাজ করতে পারেন পুলিশ সহ আই পি এস আই এস সমস্ত কর্মীদের বেতন বন্ধ করে দিন। আপনার টাকা আপনি কেন দেবেন, তাতে আগের সরকারের দেনা শোধ হবে। আপনি রাজ্য টা সোনার বাংলা করবেন বলেছিলেন, সেটাও পূরণ হয়ে যাবে। আপনা আপনা কে প্রধানমন্ত্রী হয়ে যাবেন আর কেন্দ্রীয় কর্মীদের ডিএ না দিয়ে পে কমিশন বন্ধ করে দেবেন। আপনি দেশের দশের জন্য এত কিছু করবেন, গরীব বলে কিছু থাকবে না। আর কর্মীরা আন্দোলন করলে এর পর ঐ আপনি অনেক দিন আগে বীরভূমের এক সভায় বলছিলেন, নারকেল মুড়ি খেতে দেওয়ার কথা। ওটা সত্যিই নারকেল মুড়ি তো আপনার ভাইয়েরা কারখানা করে ফেলেছে। আপনি নবান্ন আর ঐ শিক্ষকদের সব নারকেল মুড়ি খাইয়ে দিন না। আপনার টাকা আপনি কাকে দেবেন না দেবেন আপনি সিদ্ধান্ত নেবেন তা নয়। আন্দোলন করে উন্নয়ন পিছিয়ে দিচ্ছে।
This is a news blog. Here I write story, social incidents, political incidents, & my life history etc.
Friday, 30 November 2018
Monday, 26 November 2018
মাননীয়া শিক্ষা মন্ত্রীর অবগতির জন্য।
মাননীয় শিক্ষা মন্ত্রী আপনি সব টা মনে হয় জানেন। হয়তো বা কম বেশি জানেন, বা জেনেও অন্য কথা বলছেন। আপনি আপনার শিক্ষক সংগঠন কে সরকারের সাফল্য প্রচার করতে বলছেন। সে আপনি বলতে পারেন। আপনার দলের নামে শিক্ষক সংগঠন। পশ্চিমবঙ্গের আর কোনো শিক্ষক সংগঠন কোনো রাজনৈতিক দলের নামে নেই। আপনি নিখিল বঙ্গ শিক্ষক সংগঠন কে বামপন্থী শিক্ষক সংগঠন বলছেন। আমি বলছি নিখিল বঙ্গ শিক্ষক সংগঠনের সকলে বামপন্থী নয়। যদি তাই হতো তবে বামফ্রন্ট সরকার হেরে যেত না। অনেক শিক্ষক আছেন যারা শিক্ষক আন্দোলনের ইতিহাস জানেন না। আপনি হয়তো জানেন যে নিখিল বঙ্গ শিক্ষক সংগঠন তৈরি হয়েছিল, ১৯৩৫ সালে। যে সংগঠন কে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মাষ্টার দা সূর্য সেন ।আর সি পি আই এম পার্টির জন্ম ১৯৬৭সালে, বামফ্রন্ট সরকার তারও পরে। আপনি নিশ্চয়ই জানেন যে ১৯৫৮ সালের আগে শিক্ষকদের কোনো বেতন কাঠামো ছিল না। আপনি হয়তো এও জানেন যে ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জহর লাল নেহরু বলেছিলেন যে এরাজ্যে শিক্ষকের বেতন তার বাড়ির চাপরাশির থেকে কম।আপনি হয়তো জানেন ১৯৬৭ সালে যুক্তফ্রন্ট সরকার ক্ষমতায় এসে শিক্ষকদের জন্য কিছু আইন করেন। যার মধ্যে একটা ছিল শিক্ষকের আবেদন ছাড়া তাকে বদলি করা যাবে না। ঐ সরকার প্রথম পে কমিশন গঠন করে ছিল। যেখানে শিক্ষক সহ আরও অনেক কর্মী কে তার আওতায় নিয়ে আসা হয়েছিল। শিক্ষক সহ সমগ্র সরকারি কর্মীদের দূর্ভাগ্য সেই সরকার কে ১৯৬৯ সালে ভেঙে দেওয়া হয়। জরুরি অবস্থা জারি করে দেওয়া হয়েছিল। সেই জন্যই পশ্চিমবঙ্গের কর্মী কুল ষষ্ঠ বেতন কমিশন পায় আর কেন্দ্রীয় কর্মীদের সপ্তম বেতন কমিশন। এতো সত্ত্বেও বামফ্রন্ট সরকার কর্মী দের কেন্দ্রীয় সরকারের হারে বেতন দিয়ে গিয়েছে। ১৯৬৯ সালে নির্বাচিত যুক্তফ্রন্ট সরকার ভেঙে দেবার পর, বেছে বেছে সেই সব শিক্ষক কে যেখানে সেখানে বদলি করে দেওয়া হয়েছিল। শিক্ষক যদি বদলি অস্বীকার করেছেন তবে তাকে মুচলেকা দিতে বাধ্য করা হয়েছিল। না মুচলেকা দিলে সাময়িক বরখাস্ত করা হতো। আমার বাবা এগারো মাস সাময়িক বরখাস্ত (suspended) ছিলেন এখন যে টা প্রায় হচ্ছে, নিখল বঙ্গ করেছ তবে তোমায় বদলি করে দেওয়া হবে। নয়তো বিভিন্ন রকম ভাবে খুঁত খুঁজে বের করে এনে তাকে সাময়িক বরখাস্ত (suspended) করে রাখ। এরকম সাময়িক বরখাস্ত শিক্ষক কত আপনি নিশ্চয়ই জানেন। বিভিন্ন রকম লোক নিয়োগ করে রেখেছেন, খুঁত খোঁজার জন্য।সিঙ্গুরে ফনী বাবু বলছেন যেখানে ধমক দিয়ে কাজ হবে। কথা টা হয়তো পাল্টে ফেলবেন, সেই জন্য ভাবছি এবার এলে ওনার সব কথা ও কাজ রেকর্ড করে রাখব। আপনি বলেছিলেন শিক্ষকরা তাদের দাবি গুলো জানে না। আমি বলেছি উস্থি নামক সংগঠনের উদ্ভব হয়েছে, নিখল বঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি কে ভেঙে দিতে। আপনি ও দেখছেন আমরা ও দেখছি, যে শুধু নিখিল বঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি নয়। আপনার দলের অনেক শিক্ষক ঐ নতুন দলে বা সংগঠনে যোগ দিয়েছেন ।এবার শিক্ষকদের দাবি গুলো লিখছি, কারণ আপনি বলেছেন অনেক শিক্ষক দাবি গুলো জানে না। উস্থি এই নতুন সংগঠনের একটাই দাবি PRT স্কেল। আমি বা নিখিল বঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি মনে করে PRT স্কেল প্রাথমিক শিক্ষক দের পাওয়া দরকার। তবে এখন এইচ এস স্কেল দিন। কারণ পশ্চিমবঙ্গের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা অন্য রাজ্যের থেকে বেশি, এখানে পি আর টি স্কেল দেওয়া সম্ভব নয়। তাই PB2 থেকে PB3 সর্বোচ্চ গ্রেড পে ৩৯০০ টাকা দিয়ে এইচ এস স্কেল। ডিএ পে কমিশন, আর প্রতিহিংসা মুলক বদলি করা যাবে না। এখন আবার নতুন ভাবে বদলির চিঠি আসছে। এক চক্র থেকে অন্য চক্রে স্থায়ী ড্রাফট হয়ে আসছে। স্বাক্ষর করেছে দুবছর আগে চেয়ারম্যান বা সভাপতি। এই ড্রাফটের নিয়ম ছিল যেখানে সিংগেল টিচার হয়ে যাচ্ছে, বা গেছে সেখানে এস আই এস সেই চক্রের যে বিদ্যালয়ে বেশি শিক্ষক আছেন, সেখান থেকে একজন কে ঐ বিদ্যালয়ে পাঠাবেন। এই নিয়ম টা কে এখন সভাপতি ব্যবহার করছেন, যে হেতু তিনি সভাপতি নেই, তাই তারিখ থাকছে দুবছর আগের। কি অদ্ভুত আর কী সুন্দর ব্যবস্থাপনা। সেই জন্যই নিখিল বঙ্গ দাবি সচ্ছ বদলি নীতি, প্রতি হিংসা থাকবে না। আবেদনের ভিত্তিতে বদলি চাই। আরেক টা দাবী বর্তমান সিলেবাসের আমুল পরিবর্তন, প্রাক প্রাথমিক থেকে দ্বিতীয় শ্রেণি পর্যন্ত বাংলা, অঙ্ক, ইংরেজি, আর তৃতীয় শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত বাংলা, অঙ্ক, ইংরেজি, ইতিহাস, ভূগোল, বিজ্ঞান থাকবে। আরেক টা দাবী প্রতি বিদ্যালয়ে আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা করতে হবে। কম্পিউটার দিতে হবে। পাঠ্যবিষয় বেশিরভাগটাই আধুনিক অনলাইন করতে হবে। প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলো কে আধুনিক projector দিতে হবে। প্রাক প্রাথমিক ছাত্র ছাত্রীদের পোশাক দিতে হবে। আধুনিক শ্রেণি কক্ষের ব্যবস্থা করতে হবে। মি ডে মিলের টাকা দশ টাকা করতে হবে। সময় মতো সব বই বিদ্যালয়ে পৌঁছে দিতে হবে। সর্বশিক্ষা অভিযানের নাম করে গোছা গোছা ফর্ম ফিলাপ বন্ধ করতে হবে। এই ফর্ম পূরণ করে কোনো বাস্তব কাজ হয় না। শিক্ষক দের শিক্ষা বর্হিভূত কাজে নিয়োগ করা যাবে না। বিদ্যালয় গুলোর বিদ্যুৎ বিল সরকার কে মেটাতে হবে। পূর্বের চালু খুচরা খরচ জন্য টাকা দেওয়া হতো। সেটি চাল করতে হবে। বর্তমানে আরেকটা দাবি উঠেছে বিদ্যালয় স্তর থেকে টাকা বরাদ্দ করতে হবে। না হলে এবছর বিদ্যালয় স্তর থেকে খেলে পঞ্চায়েত স্তরে যাচ্ছে। আগামী বছর স্কুল স্তর বন্ধ হয়ে যাবে। খেলা করতে হবে, এই আদেশ পাঠিয়ে দিলাম ওতে আর হবে না। কারণ ক্লাব থেকে প্রায় সর্বত্র টাকার ছড়াছড়ি আর খেলা শিক্ষার অঙ্গ বলে টাকা নেই। এসব আর হবে না, আপনি বা আপনারা সবাই সততার প্রতীক।আশা করি সব টা সত্যিই বলছেন, বামফ্রন্ট সরকার দেনা রেখে গেছে। আমার যতদূর জানা আছে সব রাজ্য সরকারের দেনা থাকে, সরকার পরিবর্তন হলে সেই দেনা ঐ সরকার বহন করে। কারণ ঐ দেনা কোনো রাজনৈতিক দলের নয়। আমার সংগ্রহ করা একটি তথ্য দিলাম ছবি সহ।
আপনারা সততার প্রতীক, আপনাদের দেখে আমরা শিখব। আপনি বলেছিলেন শিক্ষকরা তাদের দাবি কী জানে না। উপরে অনেক গুলো লিখেছি। আরও আছে দিচ্ছি,

আপনি বলছিলেন এই দাবি ২০০৯ সালের তাহলে আপনি স্বীকার করে নিয়েছেন। নিখিল বঙ্গ শিক্ষক সমিতি বাম আমলে ও আন্দোলন করত। ঠিক বলেছেন, তবে তখন ডিএ পে কমিশন নিয়ে দাবি করতে হয়নি। কারণ তারা দেনার অজুহাত দিয়ে ডিএ বা পে কমিশন বন্ধ করে দেয় নি। আর মি ডে মিলের টাকা বাড়ানোর দাবি কেন্দ্র যখনই বাড়িয়েছেন, রাজ্য সরকারও বাড়িয়েছেন। সেই কারণেই ২ টাকা ৮০ থেকে বেড়ে ৩ টাকা ৮৪ পয়সা হয়ে ছিল। সিলেবাস পরিবর্তনের দাবি সেও অনেক বার মেনে নিয়েছে। আপনারা ২০১২ সাল থেকে মৃত শিক্ষকের পরিবারের যোগ্য প্রার্থীর চাকরি বন্ধ করে দিয়েছেন। আর টি ই আইন দেখিয়ে, উক্ত আইন অনুযায়ী ভর্তি করেছেন। যাতে বাবা মা কে সন্তান জন্ম দিতে হবে ১ লা জানুয়ারীর মধ্যে, অথচ বেসরকারি বিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে ওসব নিয়ম নেই। যে পাঁচ বছরের বাচ্চা কে জি তে বাংলা অঙ্ক ইংরেজি পড়ে এলো সে মজারু কুটুম কাটাম পড়ছে। আর টি ই আইনের দোহাই দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা ব্যবস্থা কে ধ্বংস করার কেন্দ্রীয় পরিকল্পনা আপনারা বাস্তব করে ছেড়ে দিচ্ছেন। এই সব বই বা সিলেবাসের জন্য অধিকাংশ বাবা মা তাদের সন্তানদের আর সরকারি বিদ্যালয়ে ভর্তি করছে না । অনেক বিদ্যালয় বন্ধ হয়ে গেছে, অনেক বিদ্যালয় বন্ধ হবার মুখে। তার উপরে শিকক নিয়োগ সে আর বলে কাজ নেই। পরিশেষে বলি যদি পড়েন, তবে আমার প্রণাম নেবেন। আর দাবি গুলো পূরণ করে দেবেন, আর আর টি ই আইন সংশোধন করে পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা ব্যবস্থা কে বাঁচাবেন কেমন।
Sunday, 25 November 2018
প্রাথমিক শিক্ষক দের বিচিত্র সব কাজ কর্ম।
আজ একটি অন লাইন নিউজ পোর্টালে পড়লাম।পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা মন্ত্রী তাঁদের দলের শিক্ষক সংগঠন। তৃণমূল কংগ্রেস শিক্ষা সেলের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক দের নিয়ে বৈঠকে বসেন। সেখানে তিনি বাম পন্থী শিক্ষক সংগঠনের মতো তার দলের শিক্ষক দের সরকারের সাফল্য প্রচার করতে বলেন। আমি এখানে প্রথমেই শিক্ষা মন্ত্রীর অবগতির জন্য জানাই, বামপন্থী বা সি পি আই এমের নিজস্ব কোনো শিক্ষক সংগঠন নেই। নিখিল বঙ্গ শিক্ষক সমিতি বামেদের সমর্থন করে এসেছে, বা তাদের মধ্যে অনেক শিক্ষক বামেদের সমর্থন করে। এর একটা ইতিহাস আছে, কারণ নিখিল বঙ্গ শিক্ষক সংগঠন মাষ্টার দা সূর্য সেনের মতো নেতৃত্ব পেয়েছে। তখন সি পি আই এম পার্টি তৈরি হয়নি। তাহলে নিখল বঙ্গ শিক্ষক সমিতির অধিকাংশ শিক্ষক সমর্থন করে কেন? কারণ টা আপনিও জানেন, কিন্তু আপনারা মানেন না। আপনারা কেবল ভয় দেখিয়ে নিজের দলে নেওয়ার চেষ্টা করে চলেছেন। এভাবে বেশি দিন চলে না। তারাই আপনার দলে থাকবে যারা আপনাদের ভয় পায়। আপনি নিশ্চয়ই শুনেছেন ভয়ে ভক্তি, কিন্তু এই ভয়ে থাকা মানুষ গুলো যখন ভয় কাটিয়ে রুখে দাঁড়াবে তখন ক্ষমতায় থাকতে পারবেন তো!
Thursday, 22 November 2018
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খেলা ও শিক্ষকদের ভূমিকা।
শিরোনাম দেখে বোঝা যাচ্ছে, বর্তমানে শিক্ষকরা বিভিন্ন জায়গায় খেলার চাঁদা দিতে অস্বীকার করছেন। অনেক সংবাদ পত্রের খবর যে ডিএ এবং পে কমিশন বা পি আর টি স্কেল দিচ্ছে না। তাই এই চাঁদা না দেওয়ার হিড়িক পড়ছে। শিক্ষক দের নিয়ে তৈরি হওয়া নতুন সংগঠন অন্তত তাই বলছে। আমি এগুলো নিয়ে একমত, কিন্তু পি আর টি স্কেল ঐ বেতন পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষকদের দেওয়া মানে সরকারের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক দের বেতন দিতে রাজ্যস্বের অনেক টাকা খরচ করে দিতে হবে। কারণ পশ্চিমবঙ্গে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা অনেক বেশি অন্যান্য রাজ্যের মতো নয়। এখানে গ্রামে গ্রামে বিদ্যালয়, তবে স্কেল পরিবর্তন করে গ্রেড পে বাড়ানো যেতে পারে। অনেক বলতে শুরু করেছেন, তোমরা মানে শিক্ষকরা বাম আমল থেকে শুরু আজ পর্যন্ত চাঁদা দিয়ে আসছে তাহলে তখন অর্থাৎ বাম আমলে প্রতিবাদ হয়নি কেন? প্রতিবাদ হয়েছে এবং বেশ কিছু শিক্ষক চাঁদা দেননি। কারণ চাঁদা সে নাও দিতে পারে। তবে এখন কার মতো এতো বড়ো প্রতিবাদ আগে হয়নি। অনেকেই যে বলছেন ডিএ পে কমিশনের জন্য, আমি বলছি কেবল ঐ কারণের জন্য নয়।
সমগ্র রাজ্য বাসির সাথে শিক্ষকরা দেখছেন, বর্তমান সরকারের উন্নয়ন এবং সরকারি কোষাগার থেকে অর্থ দান। এই রকম অর্থ দান বাম আমলে শিক্ষক কেন, কোন রাজ্য বাসি দেখে নি। মারা শসান খরচ, কন্যাশ্রী রূপশ্রী যুবশ্রী বঙ্গশ্রী আরও আমার অনেক শ্রী আছে আমার ঠিক এই মূহুর্তে মনে পড়ছে না। সম্প্রতি দুর্গা পূজার কমিটি কে চাঁদা দেওয়া, কার্নিভাল, ক্লাব গুলো কে খেলার উন্নয়নের জন্য টাকা দেওয়া, দেখার দরকার নেই মদ খেয়ে বেড়াতে গিয়ে খেলার উন্নতি হচ্ছে কিনা। এদিকে কী কেন্দ্র সরকার কী রাজ্য সরকার কোন সরকারের নজর নেই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খেলার প্রতি। বিদ্যালয় স্তরের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা যে টুকু টাকা খরচ হোক করবে শিক্ষক। পঞ্চায়েত স্তরের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা চক্র স্তর এমনকি কোনো কোনো ক্ষেত্রে মহকুমা স্তরের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা পর্যন্ত শিক্ষকের চাঁদা দিতে হয়। অথচ প্রচার সর্বস্ব সরকার বিভিন্ন ভাবে প্রচার করে যাচ্ছে, ক্রীড়া বা খেলা শিক্ষার অঙ্গ। চার পাশে বিভিন্ন ভাবে সরকারি টাকা খরচ করা হচ্ছে। আর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্রীড়া প্রতিযোগিতার জন্য টাকা নেই। কোন কোন জায়গায় বিদ্যালয় পরিদর্শক ও পঞ্চায়েত প্রধান টাকা দিতে চাপ সৃষ্টি করছেন। আবার উল্টো টাও আছে, পঞ্চায়েত তাদের তহবিল থেকে টাকা দেওয়ার পরিমান বাড়িয়ে দিয়েছে। যারা আমার এই লেখা পড়ছেন। তাদের কাছে আমার প্রশ্ন আপনারা বলুন, এই পরিস্থিতিতে শিক্ষকের চাঁদা তুলে খেলা বা ক্রীড়া প্রতিযোগিতা কে উৎসবে পরিণত করা ঠিক?
সমগ্র রাজ্য বাসির সাথে শিক্ষকরা দেখছেন, বর্তমান সরকারের উন্নয়ন এবং সরকারি কোষাগার থেকে অর্থ দান। এই রকম অর্থ দান বাম আমলে শিক্ষক কেন, কোন রাজ্য বাসি দেখে নি। মারা শসান খরচ, কন্যাশ্রী রূপশ্রী যুবশ্রী বঙ্গশ্রী আরও আমার অনেক শ্রী আছে আমার ঠিক এই মূহুর্তে মনে পড়ছে না। সম্প্রতি দুর্গা পূজার কমিটি কে চাঁদা দেওয়া, কার্নিভাল, ক্লাব গুলো কে খেলার উন্নয়নের জন্য টাকা দেওয়া, দেখার দরকার নেই মদ খেয়ে বেড়াতে গিয়ে খেলার উন্নতি হচ্ছে কিনা। এদিকে কী কেন্দ্র সরকার কী রাজ্য সরকার কোন সরকারের নজর নেই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খেলার প্রতি। বিদ্যালয় স্তরের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা যে টুকু টাকা খরচ হোক করবে শিক্ষক। পঞ্চায়েত স্তরের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা চক্র স্তর এমনকি কোনো কোনো ক্ষেত্রে মহকুমা স্তরের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা পর্যন্ত শিক্ষকের চাঁদা দিতে হয়। অথচ প্রচার সর্বস্ব সরকার বিভিন্ন ভাবে প্রচার করে যাচ্ছে, ক্রীড়া বা খেলা শিক্ষার অঙ্গ। চার পাশে বিভিন্ন ভাবে সরকারি টাকা খরচ করা হচ্ছে। আর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্রীড়া প্রতিযোগিতার জন্য টাকা নেই। কোন কোন জায়গায় বিদ্যালয় পরিদর্শক ও পঞ্চায়েত প্রধান টাকা দিতে চাপ সৃষ্টি করছেন। আবার উল্টো টাও আছে, পঞ্চায়েত তাদের তহবিল থেকে টাকা দেওয়ার পরিমান বাড়িয়ে দিয়েছে। যারা আমার এই লেখা পড়ছেন। তাদের কাছে আমার প্রশ্ন আপনারা বলুন, এই পরিস্থিতিতে শিক্ষকের চাঁদা তুলে খেলা বা ক্রীড়া প্রতিযোগিতা কে উৎসবে পরিণত করা ঠিক?
Sunday, 18 November 2018
ভারতের ভোটার আর নেতা মন্ত্রী।
আমি একজন ভারতীয় তবুও বলছি, যে ভারতের স্বপ্ন বিবেকানন্দ থেকে বিভিন্ন মহাপুরুষ বলে গেছেন, তারা এই ভারতের এই রূপ চাননি। একটা দেশ এক দেশের আমরা অধিবাসী কিন্তু ছবি টি দেখলে বুঝতে পারবেন এরা দীর্ঘ দিন খেতে পায় নি। এরা আজ ভারতের বুকে বেশি সংখ্যক মানুষ যারা একবেলা খেতে পায় আবার কোথাও কোন দিন জোটে না। আমি জানি না এরা ভোট দিতে পারেন কিনা ? আমি ধরে নিচ্ছি এরা ভোট দিয়ে সরকার তৈরী করতে সাহায্য করল। যারা ভোট পেয়ে নির্বাচিত হলেন, সরকার তৈরী করলেন। সেই সরকারের দায়িত্ব থাকে কিনা সকল জনগণ তিন বেলা না হোক, দুবেলা দুমুঠো খেয়ে ঘুমতে যাক। স্বাধীনতার পর সংবিধানের অনেক ধারা উপধারা আছে অনেক সংরক্ষণ আছে, সে সব সুবিধা ওদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কথা যাদের তারা রইল নিস্ক্রিয়। এর আগের লেখায় লিখেছি, নেতারাও সিদ্ধান্ত নিলেন সংবিধানের অন্তর্ভুক্ত হলো, কিন্তু যে স্থানীয় নেতা এবং অফিসার কার্যকর করবেন তিনি তার দায়িত্ব পালন করলেন না।
স্বাধীনতার সত্তর বছর পরেও আমরা বিভিন্ন খবরের কাগজ পত্র পড়ে জানতে পারি, দেশের মোট সম্পদের আশি শতাংশ ভারতের পঁচিশ শতাংশ মানুষের দখলে। বাকি পঁচাত্তর শতাংশ মানুষ কুড়ি শতাংশ ভোগ দখল করে। স্বাধীনতার সময় সংবিধানে সংরক্ষণ করা এবং শিক্ষা সকলের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। স্বাধীনতার সত্তর বছর পরেও এরা অনেক কিছু থেকে বঞ্চিত। তার একমাত্র কারণ যারা ক্ষমতা দখল করে ইতিহাসের পাতায় নাম তুলতে ব্যস্ত ছিলেন। তারা ঘোষণা করে সেই সব প্রচারের মাধ্যমে বার বার ক্ষমতা দখল করে গেছেন, কোনো কাজ করেন নি। আমরা এখনও দেখি সেই ট্যডিশন বা তার ধারাবাহিকতা চলছে। আমাদের বা এদের ভোট নিয়ে নেতা মন্ত্রী হলেন, ভুলে গেলেন প্রতিশ্রুতির কথা। তিনি বছর বছর বাড়ির তলা বাড়িয়ে চলেছেন, গাড়ির সংখ্যা বাড়ছে স্বনামে বেনামে সম্পত্তি বাড়ছে, আর এসব কাজ যে সব সরকারি অফিসারের করার কথা তারাও হাত গুটিয়ে বসে আছেন, নেতার ভয়ে বা উপর ওলার ভয়ে। একটা আশ্চর্য বিষয় যখন দেখা যাচ্ছে কোন অঘটন ঘটছে, সে কেউ না খেতে পেয়ে মারা যান তখন সেই অফিসার দল বল নিয়ে হাজির, তাদের খবর নেওয়ার জন্য। নেতারা ভালো মন্দ রান্না করে খাওয়াচ্ছেন, কিন্তু কী আশ্চর্য সরকারের ব্যবস্থা আছে একশো দিনের কাজ প্রকল্প, যদিও সঠিক লোক কাজ পায় না। আবার কাজ না করে অনেকের ব্যাঙ্কের খাতায় টাকা আসে, তাতে নেতারা ভালো ভাগ পায়। এরা গরিব মানুষ এরা হয়তো ভাগ দেয় না, আবার দেখা যাবে এদের হয়তো জব কার্ড নেই। সরকারি প্রকল্পের দু টাকা কিলো চাল পাওয়ার কথা, দেখা যাবে সেই দু টাকা কেন দু পয়সা তাদের নেই। দোষ কার এসব সরকারের প্রকল্পের সুযোগ এদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব কাদের প্রথম যাদের কথা আসে তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটে জিতে নেতা বা ঐ দলের যারা ভোটের সময় মানুষ কে ভোট দিতে বলেছেন। এই সব নেতারা সঠিক তথ্য দেবেন, বা সরকার তার অফিসের লোক দিয়ে তথ্য সংগ্রহ করে সঠিক পদক্ষেপ নেবেন। দায়িত্ব থেকে যায় ঐ এলাকার সরকারি অফিসার দেরও, এই তারা এড়িয়ে যেতে পারেন না। সকলে সঠিক ভাবে দায়িত্ব না পালন করলে, বাম আমলে আমলাশোল আর এই সরকারের আমলে পূর্ণপাণি মতো ঘটনা ঘটে যাবে যত্রতত্র। সরকারি প্রকল্পের সুবিধা সঠিকভাবে ঠিক ঠাক মানুষ কে পৌঁছে দিতে নেতা মন্ত্রী দের যেমন দল ভুলে কাজ করতে হবে, ও আমার দলের ও পাবে, সে দোতলা বাড়ি থাক আর সরকারি বা বেসরকারি ভালো বেতনের চাকরি করুক তাও পাবে। আর খেটে খাওয়া গরীব মানুষ ভোট দিয়ে আমাকে নেতা মন্ত্রী করবে সে আশা না করাই ভালো। নজরুল ইসলামের একটি কবিতা "কুলি মজুর" কবিতা টি আসলে সাম্যবাদী থেকে নেওয়া, সেই কবিতার দু টি লাইন লিখতে বাধ্য হলাম। " তোমরা শুয়ে রবে, তে তলার 'পরে। অথচ তোমারে দেবতা বলিব সে ভরসা, আজ মিছে।সিক্ত যাদের মন এ মাটির মমতা রসে, এ ধরণীর তরণীর হাল রবে তাহাদেরি বশে।"
স্বাধীনতার সত্তর বছর পরেও আমরা বিভিন্ন খবরের কাগজ পত্র পড়ে জানতে পারি, দেশের মোট সম্পদের আশি শতাংশ ভারতের পঁচিশ শতাংশ মানুষের দখলে। বাকি পঁচাত্তর শতাংশ মানুষ কুড়ি শতাংশ ভোগ দখল করে। স্বাধীনতার সময় সংবিধানে সংরক্ষণ করা এবং শিক্ষা সকলের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। স্বাধীনতার সত্তর বছর পরেও এরা অনেক কিছু থেকে বঞ্চিত। তার একমাত্র কারণ যারা ক্ষমতা দখল করে ইতিহাসের পাতায় নাম তুলতে ব্যস্ত ছিলেন। তারা ঘোষণা করে সেই সব প্রচারের মাধ্যমে বার বার ক্ষমতা দখল করে গেছেন, কোনো কাজ করেন নি। আমরা এখনও দেখি সেই ট্যডিশন বা তার ধারাবাহিকতা চলছে। আমাদের বা এদের ভোট নিয়ে নেতা মন্ত্রী হলেন, ভুলে গেলেন প্রতিশ্রুতির কথা। তিনি বছর বছর বাড়ির তলা বাড়িয়ে চলেছেন, গাড়ির সংখ্যা বাড়ছে স্বনামে বেনামে সম্পত্তি বাড়ছে, আর এসব কাজ যে সব সরকারি অফিসারের করার কথা তারাও হাত গুটিয়ে বসে আছেন, নেতার ভয়ে বা উপর ওলার ভয়ে। একটা আশ্চর্য বিষয় যখন দেখা যাচ্ছে কোন অঘটন ঘটছে, সে কেউ না খেতে পেয়ে মারা যান তখন সেই অফিসার দল বল নিয়ে হাজির, তাদের খবর নেওয়ার জন্য। নেতারা ভালো মন্দ রান্না করে খাওয়াচ্ছেন, কিন্তু কী আশ্চর্য সরকারের ব্যবস্থা আছে একশো দিনের কাজ প্রকল্প, যদিও সঠিক লোক কাজ পায় না। আবার কাজ না করে অনেকের ব্যাঙ্কের খাতায় টাকা আসে, তাতে নেতারা ভালো ভাগ পায়। এরা গরিব মানুষ এরা হয়তো ভাগ দেয় না, আবার দেখা যাবে এদের হয়তো জব কার্ড নেই। সরকারি প্রকল্পের দু টাকা কিলো চাল পাওয়ার কথা, দেখা যাবে সেই দু টাকা কেন দু পয়সা তাদের নেই। দোষ কার এসব সরকারের প্রকল্পের সুযোগ এদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব কাদের প্রথম যাদের কথা আসে তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটে জিতে নেতা বা ঐ দলের যারা ভোটের সময় মানুষ কে ভোট দিতে বলেছেন। এই সব নেতারা সঠিক তথ্য দেবেন, বা সরকার তার অফিসের লোক দিয়ে তথ্য সংগ্রহ করে সঠিক পদক্ষেপ নেবেন। দায়িত্ব থেকে যায় ঐ এলাকার সরকারি অফিসার দেরও, এই তারা এড়িয়ে যেতে পারেন না। সকলে সঠিক ভাবে দায়িত্ব না পালন করলে, বাম আমলে আমলাশোল আর এই সরকারের আমলে পূর্ণপাণি মতো ঘটনা ঘটে যাবে যত্রতত্র। সরকারি প্রকল্পের সুবিধা সঠিকভাবে ঠিক ঠাক মানুষ কে পৌঁছে দিতে নেতা মন্ত্রী দের যেমন দল ভুলে কাজ করতে হবে, ও আমার দলের ও পাবে, সে দোতলা বাড়ি থাক আর সরকারি বা বেসরকারি ভালো বেতনের চাকরি করুক তাও পাবে। আর খেটে খাওয়া গরীব মানুষ ভোট দিয়ে আমাকে নেতা মন্ত্রী করবে সে আশা না করাই ভালো। নজরুল ইসলামের একটি কবিতা "কুলি মজুর" কবিতা টি আসলে সাম্যবাদী থেকে নেওয়া, সেই কবিতার দু টি লাইন লিখতে বাধ্য হলাম। " তোমরা শুয়ে রবে, তে তলার 'পরে। অথচ তোমারে দেবতা বলিব সে ভরসা, আজ মিছে।সিক্ত যাদের মন এ মাটির মমতা রসে, এ ধরণীর তরণীর হাল রবে তাহাদেরি বশে।"
Saturday, 17 November 2018
দেশের প্রশাসন পরিচালনা করে যারা।
আমরা বিশ্বের বৃহত্তম গনন্তান্ত্রিক দেশ ভারত বর্ষে বাস করি। আমাদের দেশে পঞ্চায়েত স্তর থেকে জাতীয় স্তর পর্যন্ত অর্থাৎ লোকসভা পর্যন্ত আমাদের নির্বাচিত প্রতিনিধি দলের সদস্য।আমরা দেখি যে এরা দেশের সরকার পরিচালন করে। সবাই জানি বা দেখি যেটা সেটা মনে করি, কিন্তু এমন অনেক সিদ্ধান্ত আছে যা বিভিন্ন আই এস বা আই পি এস অফিসার নিয়ে থাকেন। সেই সব সিদ্ধান্ত এদের বলেন, অনেক ক্ষেত্রেই সেগুলো কার্যকর করা হয়। মোটের উপর ভারতের শাসন ব্যবস্থায় এই উচ্চ পদস্থ অফিসার গন, দেশের শাসন ব্যবস্থা পরিচালনা করেন। আমরা তাহলে এ কথা বলতে পারি, যে এই সব মোটা বেতনের অফিসার রা গরীব মানুষের দুঃখের কথা শুনবেন, তাদের বেতন এতো বেশি যে কল্পনা করতে পারবেন না। এই সব অফিসার গণ সাধারণ মানুষের দুঃখের কথা, যারা ১৫০ টাকা প্রতিদিন উপায় করতে পারেন না, সেই সকল মানুষের জন্য কিছু করতে যাবেন! এদের একদিনের উপায় বর্তমানে আট হাজার টাকা থেকে নয় হাজার টাকা। আর তার নীচের কর্মচারীদের বেতন এদের দশ ভাগের এক ভাগ, এই বৈষম্য এরা তৈরী করে রেখেছে, কারণ এই সব অফিসার রা সরকারের সকল সিদ্ধান্ত কার্যকর করার দায়িত্ব প্রাপ্ত। পশ্চিমবঙ্গের ষষ্ঠ বেতন কমিটির কমিশনার, অভিরূপ বাবু তিনি ইন্ডিয়ান ট্যাটেস্টিক্যাল ইনস্টিটিউট চাকরির করেন, যেটি কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে বর্তমানে তিনি প্রায় দু লক্ষ টাকা বেতন পান। এই সব মানুষ নিজের টা ভালো বোঝেন বাকী মানুষ মরল কী বাঁচল বেতন পেল কী না পেল তাতে কিছু যায় আসে না। যদি দেখেন মন্ত্রী গন যা খুশি তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ঐ অফিসার রা সেটা কার্যকর করতে উঠে পরে লাগেন, তাতে সাধারণ মানুষের ক্ষতি করেও করে দেখিয়ে দেন। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী ও আমলা সব ঠিক এই পথে চলছে, ধরুন সরকার সিদ্ধান্ত নিল যে তারা সকলকে বস্ত্র বিতরণ করা হবে। সঠিক তথ্য দেওয়ার প্রয়োজন, এমন করা হল, লাগবে দু হাজার এসে পৌঁছয় আঠারো শো।
সাধারণ মানুষের দুঃখের মূল কারণ এই সব উচ্চ পদস্থ কর্তারা। এরা কখনো চায় না, সাধারণ মানুষ সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ উপার্জন করুক,এখন বিভিন্ন চিটফাণ্ড কেলেঙ্কারি নিয়ে তদন্ত চলছে। এই সব তদন্তের দায়িত্বে কারা ঐ ধরনের বড়ো অফিসার, আজ কত বছর হলো দেখুন কোনো সুরাহা হয়নি। সাধারণ মানুষ সর্বশ্রান্ত হয়েছে তাতে ওনাদের কী? সাধারন মানুষ আত্মহত্যা করেছেন তো ওদের কী? এই সব অফিসার রা দেখেন নেতা মন্ত্রীরা কী চাইছেন। ভোটের সময় এই অফিসার রা পরিচালনা করেন প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত, যখন দেখা যায় ইভিএম বা ব্যালট বাক্স বদলে গেছে,এরা চাপা দেন যা তাই হোক অত কিছু দেখতে হবে না ।তিনি জানেন ওই কথা বলে যেমন ভাবে হোক কাজটা করতে হবে। তিনি যদি না পারেন তবে তার ওপর অফিসারের কোপে পড়তে হবে। তাই নেতা মন্ত্রীরা নিজের কোলে ঝোল টানলেও কিছু বলেন না। আমরা যদি সত্যি প্রতি পাঁচ বছর অন্তর নতুন নতুন সরকার ক্ষমতায় আসুক চাই, তাহলে এই অফিসার দের সৎ হতে হবে, ভাবতে হবে যে তাদের উপর সাধারণ মানুষের সুখ, দুঃখ, জীবন, মরণ নির্ভর করছে। আর যারা নির্বাচিত হয়ে নেতা মন্ত্রী হলেন, তারা পাঁচ বছরের জন্য ।তিনি থেকে যাবেন, তাই প্রতিটি সরকারি কর্মীদের সর্তক থেকে কাজ করতে হবে। ঘুষ নিয়ে সাময়িক আনন্দ পাবেন, কিন্তু আপনার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে দেখবেন, তারা আপনার ঘুষ নেওয়া বা চুরির পক্ষে কিনা? আমার মনে হয় না, কারণ দস্যু রত্নাকরের পাপের ভাগ তার পরিবারের লোকজন নেয়নি।
সাধারণ মানুষের দুঃখের মূল কারণ এই সব উচ্চ পদস্থ কর্তারা। এরা কখনো চায় না, সাধারণ মানুষ সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ উপার্জন করুক,এখন বিভিন্ন চিটফাণ্ড কেলেঙ্কারি নিয়ে তদন্ত চলছে। এই সব তদন্তের দায়িত্বে কারা ঐ ধরনের বড়ো অফিসার, আজ কত বছর হলো দেখুন কোনো সুরাহা হয়নি। সাধারণ মানুষ সর্বশ্রান্ত হয়েছে তাতে ওনাদের কী? সাধারন মানুষ আত্মহত্যা করেছেন তো ওদের কী? এই সব অফিসার রা দেখেন নেতা মন্ত্রীরা কী চাইছেন। ভোটের সময় এই অফিসার রা পরিচালনা করেন প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত, যখন দেখা যায় ইভিএম বা ব্যালট বাক্স বদলে গেছে,এরা চাপা দেন যা তাই হোক অত কিছু দেখতে হবে না ।তিনি জানেন ওই কথা বলে যেমন ভাবে হোক কাজটা করতে হবে। তিনি যদি না পারেন তবে তার ওপর অফিসারের কোপে পড়তে হবে। তাই নেতা মন্ত্রীরা নিজের কোলে ঝোল টানলেও কিছু বলেন না। আমরা যদি সত্যি প্রতি পাঁচ বছর অন্তর নতুন নতুন সরকার ক্ষমতায় আসুক চাই, তাহলে এই অফিসার দের সৎ হতে হবে, ভাবতে হবে যে তাদের উপর সাধারণ মানুষের সুখ, দুঃখ, জীবন, মরণ নির্ভর করছে। আর যারা নির্বাচিত হয়ে নেতা মন্ত্রী হলেন, তারা পাঁচ বছরের জন্য ।তিনি থেকে যাবেন, তাই প্রতিটি সরকারি কর্মীদের সর্তক থেকে কাজ করতে হবে। ঘুষ নিয়ে সাময়িক আনন্দ পাবেন, কিন্তু আপনার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে দেখবেন, তারা আপনার ঘুষ নেওয়া বা চুরির পক্ষে কিনা? আমার মনে হয় না, কারণ দস্যু রত্নাকরের পাপের ভাগ তার পরিবারের লোকজন নেয়নি।
ভারতের ভোটের মেশিন।
কথায় বলে সত্যি একদিন না একদিন প্রকাশ পাবে। ভাববেন হঠাৎ আমি কী সব লিখছি, যা লিখছি যদি কেউ পড়েন তবে তিনি ভাল মন্দ মন্তব্য করতে ভুলবেন না। আমি জানি কেউ পড়ছে না। কারণ গুগুল ঠিক করে রেখেছে পোস্ট করলে ১ থেকে ৫ জন দেখাবে। এর থেকে বেশি হলে আমি মনে করি কেউ পড়ছে।
আজ আমি যে টা লিখছি সেটা হলো, আজকের একটা খবর অন লাইন আনন্দ বাজার পত্রিকায় পড়েছি। আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সন্দেহ করছেন, আগামী লোকসভা ভোটে বিজেপি ৪০% ইভিএম এ কারচুপি করবে। নির্বাচন কমিশন বলছেন ইভিএম এ কার চুপি করা যায় না, অথচ একটা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন কারচুপি করা হবে। তাহলে বোঝা যাচ্ছে ইভিএম এ যেকোন ভাবে কারচুপি করা যায়। যেমন পঞ্চায়েত নির্বাচনে ইভিএম ছিল না, কিন্তু কারচুপি কী করে অনেক ঘটনা টিভি তে মানুষ দেখেছে। আর যে খানে ভালো ভোট হলো সেখানে সিভিক রা কিছু কিছু বাক্স পাল্টে দিয়েছে। গত বিধানসভা নির্বাচনে এই ভাবেই জয় লাভ। আর এই পরিবর্তনের অর্থাৎ বাক্স বদলে সাহায্য কারা যারা পাহারা দার, তাতে তাদের নিশ্চয়ই কোন লাভ আছে। বলতে পারেন তোর কী আছেরে ওরা যাই করুক তোর কী? আম জনতার মতো তোর কাজ একটা ভোট দেওয়ার দিতে পারলে দিবি না পারলে না দিবি। একদম সঠিক কথা, কিন্তু এই রাজনীতি যে আমাদের জীবনের সঙ্গে ওতোপ্রতো ভাবে জড়িয়ে আছে। যে রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় আসে তারাই ঠিক করে দেয় আমাদের পেশা খাবার নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্রের দাম। আমাদের প্রতিটি ওঠাপরা সর্বত্র রাজনৈতিক দলের ঠিক করে দেওয়া।কয়েকটি কথা লিখছি, সরকার দু টাকা কিলো চালের ব্যবস্থা করেছে, তা সত্ত্বেও পুরুলিয়ায় শ্বর জনগোষ্ঠীর লোক না খেয়ে মারা গেছে। এদের জন্য একশ দিনের কাজ আছে যেটা সরকারের ঠিক করে দিয়েছে, কিন্তু দুর্ভাগ্য এরা একশ দিনের কাজ করে আর টাকা পায় না। টাকা যদিও সেও রাজনৈতিক দলের নেতাদের অর্ধেক দিয়ে দিতে হয়। এই সরকার তৈরি করে সেই রাজনৈতিক দল যে ভোটে সবচেয়ে বেশি বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হয়েছে। সেই জন্যই এই যে দল মানুষের জন্য কাজ না করে দলের নেতা মন্ত্রী দের পকেট ভর্তির জন্য ভোট কারচুপি করে জেতে ক্ষমতা পেয়ে পূর্ব প্রতিশ্রুতি ভুলে যান। সাধারণ মানুষ থেকে সব ধরনের সরকারি কর্মী কৃষক সকলের জীবন জীবিকা বিপন্ন হয়ে যায়। ভোটে কারচুপি রুক্ষতে সঠিক পাহারাদার চাই। আর রাজনৈতিক দল গুলো কে সঠিক নেতা ঠিক করতে হবে।
আজ আমি যে টা লিখছি সেটা হলো, আজকের একটা খবর অন লাইন আনন্দ বাজার পত্রিকায় পড়েছি। আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সন্দেহ করছেন, আগামী লোকসভা ভোটে বিজেপি ৪০% ইভিএম এ কারচুপি করবে। নির্বাচন কমিশন বলছেন ইভিএম এ কার চুপি করা যায় না, অথচ একটা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন কারচুপি করা হবে। তাহলে বোঝা যাচ্ছে ইভিএম এ যেকোন ভাবে কারচুপি করা যায়। যেমন পঞ্চায়েত নির্বাচনে ইভিএম ছিল না, কিন্তু কারচুপি কী করে অনেক ঘটনা টিভি তে মানুষ দেখেছে। আর যে খানে ভালো ভোট হলো সেখানে সিভিক রা কিছু কিছু বাক্স পাল্টে দিয়েছে। গত বিধানসভা নির্বাচনে এই ভাবেই জয় লাভ। আর এই পরিবর্তনের অর্থাৎ বাক্স বদলে সাহায্য কারা যারা পাহারা দার, তাতে তাদের নিশ্চয়ই কোন লাভ আছে। বলতে পারেন তোর কী আছেরে ওরা যাই করুক তোর কী? আম জনতার মতো তোর কাজ একটা ভোট দেওয়ার দিতে পারলে দিবি না পারলে না দিবি। একদম সঠিক কথা, কিন্তু এই রাজনীতি যে আমাদের জীবনের সঙ্গে ওতোপ্রতো ভাবে জড়িয়ে আছে। যে রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় আসে তারাই ঠিক করে দেয় আমাদের পেশা খাবার নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্রের দাম। আমাদের প্রতিটি ওঠাপরা সর্বত্র রাজনৈতিক দলের ঠিক করে দেওয়া।কয়েকটি কথা লিখছি, সরকার দু টাকা কিলো চালের ব্যবস্থা করেছে, তা সত্ত্বেও পুরুলিয়ায় শ্বর জনগোষ্ঠীর লোক না খেয়ে মারা গেছে। এদের জন্য একশ দিনের কাজ আছে যেটা সরকারের ঠিক করে দিয়েছে, কিন্তু দুর্ভাগ্য এরা একশ দিনের কাজ করে আর টাকা পায় না। টাকা যদিও সেও রাজনৈতিক দলের নেতাদের অর্ধেক দিয়ে দিতে হয়। এই সরকার তৈরি করে সেই রাজনৈতিক দল যে ভোটে সবচেয়ে বেশি বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হয়েছে। সেই জন্যই এই যে দল মানুষের জন্য কাজ না করে দলের নেতা মন্ত্রী দের পকেট ভর্তির জন্য ভোট কারচুপি করে জেতে ক্ষমতা পেয়ে পূর্ব প্রতিশ্রুতি ভুলে যান। সাধারণ মানুষ থেকে সব ধরনের সরকারি কর্মী কৃষক সকলের জীবন জীবিকা বিপন্ন হয়ে যায়। ভোটে কারচুপি রুক্ষতে সঠিক পাহারাদার চাই। আর রাজনৈতিক দল গুলো কে সঠিক নেতা ঠিক করতে হবে।
Friday, 16 November 2018
কলকাতার ছোট ছবি বা তথ্য চিত্র প্রদর্শনী।
ছবি টি অন লাইন আনন্দ বাজার পত্রিকায় থেকে নেওয়া।কলকাতা এমন সুন্দর একটা তথ্য চিত্র প্রদর্শনী সত্যিই অনেক দিন দেখেনি। কত বড়ো বড়ো মানুষ অভিনেতা সেখানে উপস্থিত। এই রকম উৎসব মেলা আরও আয়োজন করা হোক। এসব উৎসব খুব উপকার করে সমাজের পরিবর্তন আনতে, সমাজ তথা মানুষ জন অনেক কিছু শিখতে পারে। তবে এখন নেটের যুগ ইউটিউব খুললেই নানা রকম ভিডিও দেখতে পারেন। আমার মনে হয়, যে তথ্য চিত্র বা শর্ট ফিল্ম দেখানো হচ্ছে, সে গুলো ইউটিউবে আপলোড করে দিলে অনেক লোক দেখতে পাবে।
উৎসব আমাদের রাজ্যের খুব উপকার করে। আমার একটা জিজ্ঞাসা আছে ওখানে কীএই তথ্য চিত্র দেখানো হচ্ছে? দু টাকা কিলো চাল আর একশ দিনের কাজ কাজ প্রকল্প থাকতে চা বাগান আর পুরুলিয়ায় শ্বর জন গোষ্ঠী মানুষ না খেয়ে মারা যাচ্ছে। আজ অন লাইন আনন্দ বাজার পত্রিকায় পড়লাম, মল্লিকা রায় চৌধুরী একটি তথ্য চিত্র "মা" দেখানো নিয়ে একটা গুঞ্জন উঠেছে। এই তথ্য চিত্র টি নাকি কন্যাশ্রী রূপশ্রী আরও যে সব শ্রী নিয়ে তৈরী। আমি একটা কথা মনে পড়ে গেল ঐ তথ্য চিত্রে আমার যতদূর মনে পড়ে পার্কষ্ট্রীট না অন্য কোন ধর্ষণ কাণ্ডের পর, ধর্ষিতার রেট ঠিক করে দেওয়া হয়ে ছিল। কে কত টাকা পাবে ১০, ২০,৩০ হাজার এটাকে কী ধর্ষণ শ্রী বলে দেখিয়েছেন ? আচ্ছা চপ শিল্প, মদ শিল্প, বোমা শিল্প, আর রাস্তা ঘাট তৈরি ক্লাব গুলো কে টাকা দেওয়া, মাটি উৎসব, জল উৎসব, খাদ্য মেলা, টাকা দিয়ে কলেজে ভর্তি, প্রিয় মুখ্যমন্ত্রী কন্যাশ্রী পঁচিশ হাজার টাকা দেন কলেজে পড়ার জন্য। সত্যিই অনেকেই ঐ টাকা কাজে লাগিয়েছে। কলেজে অনেক ভাইপো আছে তারা টাকা টা নিয়েছে । ভর্তির শেষের দিকে অবশ্য কলেজে পৌঁছে গিয়েছেন টাকা নেওয়া বন্ধ করার জন্য। পঁচাত্তর শতাংশ টাকা তখন চলে গেছে, যথা স্থানে আর ফেষ্টিভেলের মাথায় তার তো কথাই নেই। খুব ভালো লোক, ওনার কাছে অনেক কিছু শেখার আছে, কী ভাবে অনেক গুলো বিয়ে করতে হয়। শুধু উনি কেন টালিগঞ্জের প্রায় সমগ্র চলচ্চিত্র জগৎ আজ ঐ দিকে। এরা নাকি সমাজ কে শিক্ষা দেন সিনেমা বা চলচ্চিত্রের মাধ্যমে। কী শিক্ষা দেন তাহলে, টাকার লোভে সত্য কে বিসর্জন দিতে হবে। একবার এম পি এম এল এ হলে, সারা জীবন বসে বসে পেনশন পাওয়া যাবে। যে রাজ্যে না খেতে পেয়ে মানুষ মারা যাচ্ছে, অভাবের তাড়নায় তিন তলা বা পাঁচ তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। সপরিবারে বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হচ্ছে। কৃষক ঋণ শোধ করতে না পেরে আত্মহত্যা করেছেন। কারণ দু হাজার টাকা এক প্যাকেট সার আর আরও কয়েক হাজার টাকা বীজ কিনে ফসল করে জলের দরে বিক্রি করতে বাধ্য হন। আবার চিটফাণ্ডে টাকা রেখে সর্বশান্ত মানুষ গুলো যে কারণে কত এজেন্ট আত্ম হত্যা করে ফেলেছেন। সত্যি বাদীর দল সত্যি কথা বলতে পেরেছে কে কত টাকা নিয়েছে। আজ পাঁচ বছর হয়ে গেল টাকা ফেরতের নাম করে ভুয়ো চেক দেওয়া, কেউ এসব নিয়ে ছবি তৈরি করে না। এরা নাকি সমাজ কে শিক্ষা দিতে সিনেমা তৈরি করে, সে শিক্ষা তাহলে কি টাকার জন্য যা খুশি তাই করতে পারে। লেখাপড়া শেখ চাকরির দাবি করো না, চাকরির করতে চাও ঘুষ দাও, তাও কেমন চাকরি পাঁচ হাজার টাকা বেতন চুক্তি ভিত্তিতে, কাগজে ঘোষণা করা হবে বেতন বাড়ানো হবে। টিভি ফেটে যাবে সেই বেতন বৃদ্ধি নিয়ে কিন্তু বাস্তবে তার দেখা নেই । এই সব পেটয়া আর অন্যায়ের কাছে বিক্রি হওয়া চ্যানেল গুলো জানে না, বাজার সচল রাখতে টাকার যোগান দরকার , আর সেই টাকা সরাসরি কর্মী দের বেতনের মাধ্যমে বাজারে যোগান দেওয়া হয়। এমন ভাবে এই সব টিভি চ্যানেল প্রচার করে যে যাতে করে সাধারণ মানুষ সরকারি কর্মীদের উপর ক্ষেপে যায়। আর এই সব চলচ্চিত্র অভিনেতা নিজের আখের গোছানোর জন্য অন্যায় কে অন্যায় বলতে পারে না। সাধারণ মানুষ মরছে মরুক আমার টাকা পেলেই হবে।
সাধারণ মানুষের কাছে আমার অনুরোধ এদের কে বয়কট করুন। এদের অভিনিত চলচ্চিত্র, সিরিয়াল, এবং এদের টিভির যে চ্যানেল যে ভাবে দেখাক টিভির চ্যানেল টি স্কিপ করে দিন, এরা আর যাই করুক সে গুলো দেখবেন না। কিছু কিছু চ্যানেলে কেউ কেউ এ্যঙ্কারিং করে এদের সেই অনুষ্ঠান দেখবেন না।
আসুন সকলে মিলে এই সব সিনেমা বয়কট করুন।
উৎসব আমাদের রাজ্যের খুব উপকার করে। আমার একটা জিজ্ঞাসা আছে ওখানে কীএই তথ্য চিত্র দেখানো হচ্ছে? দু টাকা কিলো চাল আর একশ দিনের কাজ কাজ প্রকল্প থাকতে চা বাগান আর পুরুলিয়ায় শ্বর জন গোষ্ঠী মানুষ না খেয়ে মারা যাচ্ছে। আজ অন লাইন আনন্দ বাজার পত্রিকায় পড়লাম, মল্লিকা রায় চৌধুরী একটি তথ্য চিত্র "মা" দেখানো নিয়ে একটা গুঞ্জন উঠেছে। এই তথ্য চিত্র টি নাকি কন্যাশ্রী রূপশ্রী আরও যে সব শ্রী নিয়ে তৈরী। আমি একটা কথা মনে পড়ে গেল ঐ তথ্য চিত্রে আমার যতদূর মনে পড়ে পার্কষ্ট্রীট না অন্য কোন ধর্ষণ কাণ্ডের পর, ধর্ষিতার রেট ঠিক করে দেওয়া হয়ে ছিল। কে কত টাকা পাবে ১০, ২০,৩০ হাজার এটাকে কী ধর্ষণ শ্রী বলে দেখিয়েছেন ? আচ্ছা চপ শিল্প, মদ শিল্প, বোমা শিল্প, আর রাস্তা ঘাট তৈরি ক্লাব গুলো কে টাকা দেওয়া, মাটি উৎসব, জল উৎসব, খাদ্য মেলা, টাকা দিয়ে কলেজে ভর্তি, প্রিয় মুখ্যমন্ত্রী কন্যাশ্রী পঁচিশ হাজার টাকা দেন কলেজে পড়ার জন্য। সত্যিই অনেকেই ঐ টাকা কাজে লাগিয়েছে। কলেজে অনেক ভাইপো আছে তারা টাকা টা নিয়েছে । ভর্তির শেষের দিকে অবশ্য কলেজে পৌঁছে গিয়েছেন টাকা নেওয়া বন্ধ করার জন্য। পঁচাত্তর শতাংশ টাকা তখন চলে গেছে, যথা স্থানে আর ফেষ্টিভেলের মাথায় তার তো কথাই নেই। খুব ভালো লোক, ওনার কাছে অনেক কিছু শেখার আছে, কী ভাবে অনেক গুলো বিয়ে করতে হয়। শুধু উনি কেন টালিগঞ্জের প্রায় সমগ্র চলচ্চিত্র জগৎ আজ ঐ দিকে। এরা নাকি সমাজ কে শিক্ষা দেন সিনেমা বা চলচ্চিত্রের মাধ্যমে। কী শিক্ষা দেন তাহলে, টাকার লোভে সত্য কে বিসর্জন দিতে হবে। একবার এম পি এম এল এ হলে, সারা জীবন বসে বসে পেনশন পাওয়া যাবে। যে রাজ্যে না খেতে পেয়ে মানুষ মারা যাচ্ছে, অভাবের তাড়নায় তিন তলা বা পাঁচ তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। সপরিবারে বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হচ্ছে। কৃষক ঋণ শোধ করতে না পেরে আত্মহত্যা করেছেন। কারণ দু হাজার টাকা এক প্যাকেট সার আর আরও কয়েক হাজার টাকা বীজ কিনে ফসল করে জলের দরে বিক্রি করতে বাধ্য হন। আবার চিটফাণ্ডে টাকা রেখে সর্বশান্ত মানুষ গুলো যে কারণে কত এজেন্ট আত্ম হত্যা করে ফেলেছেন। সত্যি বাদীর দল সত্যি কথা বলতে পেরেছে কে কত টাকা নিয়েছে। আজ পাঁচ বছর হয়ে গেল টাকা ফেরতের নাম করে ভুয়ো চেক দেওয়া, কেউ এসব নিয়ে ছবি তৈরি করে না। এরা নাকি সমাজ কে শিক্ষা দিতে সিনেমা তৈরি করে, সে শিক্ষা তাহলে কি টাকার জন্য যা খুশি তাই করতে পারে। লেখাপড়া শেখ চাকরির দাবি করো না, চাকরির করতে চাও ঘুষ দাও, তাও কেমন চাকরি পাঁচ হাজার টাকা বেতন চুক্তি ভিত্তিতে, কাগজে ঘোষণা করা হবে বেতন বাড়ানো হবে। টিভি ফেটে যাবে সেই বেতন বৃদ্ধি নিয়ে কিন্তু বাস্তবে তার দেখা নেই । এই সব পেটয়া আর অন্যায়ের কাছে বিক্রি হওয়া চ্যানেল গুলো জানে না, বাজার সচল রাখতে টাকার যোগান দরকার , আর সেই টাকা সরাসরি কর্মী দের বেতনের মাধ্যমে বাজারে যোগান দেওয়া হয়। এমন ভাবে এই সব টিভি চ্যানেল প্রচার করে যে যাতে করে সাধারণ মানুষ সরকারি কর্মীদের উপর ক্ষেপে যায়। আর এই সব চলচ্চিত্র অভিনেতা নিজের আখের গোছানোর জন্য অন্যায় কে অন্যায় বলতে পারে না। সাধারণ মানুষ মরছে মরুক আমার টাকা পেলেই হবে।
সাধারণ মানুষের কাছে আমার অনুরোধ এদের কে বয়কট করুন। এদের অভিনিত চলচ্চিত্র, সিরিয়াল, এবং এদের টিভির যে চ্যানেল যে ভাবে দেখাক টিভির চ্যানেল টি স্কিপ করে দিন, এরা আর যাই করুক সে গুলো দেখবেন না। কিছু কিছু চ্যানেলে কেউ কেউ এ্যঙ্কারিং করে এদের সেই অনুষ্ঠান দেখবেন না।
আসুন সকলে মিলে এই সব সিনেমা বয়কট করুন।
Thursday, 15 November 2018
যম পুরীতে অধিবেশন ।
যমরাজ বলেন, ভানু বাবু আপনি কেন যেতে চাইছেন না " মহারাজ আমি এর আগে দুবার ঘুরে এসেছি। একবারে ম্লেচ্ছ ব্যপার, কে যে কার বৌ আর কে যে কার মা, কে কার স্বামী বোঝা যাচ্ছে না। যে যাকে খুশি নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে, রাস্তা ঘাটে যা খুশি তাই করছে। হোটেলে নাইট ক্লাবে পার্টির নাম করে, সব খোলা খুলি আরম্ভ করে দিয়েছে। বিয়ের আগেই সব করে বসে আছে, কত নতুন নতুন রোগ হচ্ছে। ঐসব কাণ্ড দেখে আমি শেষ বারের বার আর বিয়ে করিনি। বাঘা বলে, মহারাজ আপনি তো সব জানেন আমাদের জিজ্ঞেস করছেন। মর্ত্যের অবস্থা ভালো নয়, জানেন আমি ভুত হয়ে অনেক অনেক বার আপনার কাজে মর্ত্যে গিয়েছি। দেখেছি সেখানে যেন তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধ চলছে। ভোট এলে তো কথাই নেই, আপনি জানেন কম আত্মা আমরা নিয়ে এসেছি। কত কচি কচি আত্মা দেখলে মায়া লাগে। যম রাজ, "তুমি কী করবে? ওর মৃত্যু ওভাবে লিখেছেন বিধাতা। গুপি বলল," আমি এই বিধাতার সাথে একবার দেখা করতে চাই।" " সে তুমি করতে পার, কারণ তোমরা আমার বিশেষ দূত, তুমি কথা বললে যে পরিবর্তন হবে, এর কোনো মানে নেই। তবে ভানু বাবু যে টা বলল ওর জন্য দায়ী এই মেছুনি, ভুতের রাজ্যের বা নরকের দায়িত্ব পেয়ে বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিয়ে মর্ত্যে মানুষ করে পাঠিয়ে দিচ্ছে। ষাঁড় আর পাঁঠা গুলো কে বেশি পাঠিয়েছে। তারা আজ যত গণ্ডগোল পাকাচ্ছে। ওদের সঙ্গে গাভী আর ছাগী গুলো কে পাঠাতো তাহলে এই গণ্ডগোল হতো না। মেছুনি এতখন চুপ করে ছিল এবার বলল, " মহারাজ যত দোষ আমাকে চাপিয়ে দিচ্ছেন, গো ভুতরা অনেক দোষ করে গেছেন। আর গাভী আর ছাগী মানুষ হতে চায় না। ওরা বলে মানুষ হলে ভীষণ জ্বালা খাবার যোগার করা খুবই কঠিন। চড়ে যা খুশি খাওয়া যাবে, আর মানুষ হলে নানা ফিরিস্তি টাকা চাই ভালো রোজগার না করতে পারলে খেতে পাবে না। আবার মেয়ে মানুষ ওরে বাবা সে পুরুষদের কাছে ভোগের বস্তু। বাড়িতে বিয়ে করে নিয়ে যাবে, আর একটু ত্রুটি হলে, রেহাই নেই যা খুশি তাই সাজা খেতে না দেওয়া মার ওতো লেগেই আছে। ওর থেকে গাভী ছাগী হওয়া খুব ভালো, মানুষ হলে আপনি নরকে পাঠিয়ে নরক যন্ত্রণা দেবেন। হয় তেলে ভাজা করে দেবেন। করাত দিয়ে কাটবেন। মুগুর দিয়ে পেটাই করবেন। মানুষ গুলো বেশি নরক যন্ত্রণা ভোগ করে। আপনি এসব বন্ধ করুন, তাহলে আমাকে প্রতিশ্রুতি দিতে হবে না।যমরাজ, " কী আর করা যাবে ওরা যে পাপ করে আসে তাতে স্বর্গে পাঠানো যায় না। ওদের নরক যন্ত্রণা পেতে হবেই। আমি বন্ধ করতে পারব না। মানুষেরা মর্ত্যে গিয়ে জণ্ম নিয়ে ভাবে কেউ কেটা হয়ে গেছি। যা খুশি তাই করতে পারি, পাপ পুণ্য জ্ঞান থাকে না। কেউ কেউ তো আমাদের মানে না, লোক ঠকানো জীব হত্যা মানুষের মুখের গ্রাস কেড়ে নেওয়া। খুন চুরি ডাকাতি মানুষ হত্যা, আর ঐ যে বললে মেয়ে মানুষ মানে ভোগের বস্তু। পুরুষ প্রকৃতি বিধাতার তৈরি তাদের মিলন হবে। নতুন জীবন সৃষ্টি হবে, সে মিলন হবে সুখের সুন্দর ভাবে, তা না করে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই জোর করে অসুস্থ ভাবে সব সৃষ্টি হচ্ছে।সত্যিই তোমার কোনো দোষ নেই, তবে তুমি ঐ যে আজব প্রতিশ্রুতি দিচ্ছ। নরকের যে খানে যা খুশি যা খুশি করে দিচ্ছ। পাপের সাজা কমিয়ে দিয়েছ, আবার আমি এখান থেকে যা সাজা বলে পাঠাচ্ছি। তুমি সে গুলো সহজ সরল করে দিচ্ছ। মেছুনি " মহারাজ না হলে কেউ মর্ত্যে মানুষ হতে চাইছে না। আমি বলেছি মর্ত্য থেকে নরক পর্যন্ত রেল লাইন বসাব। আপনি যদি অনুমতি দেন খুব ভালো না হলে চুপি চুপি পুষ্প রথ পাঠিয়ে ওদের নিয়ে আসব কষ্ট দেব না। আচ্ছা মহারাজ রাবন স্বর্গের সিঁড়ি তৈরী করতে শুরু করে ছিল কেবল রাম বাধা হয়ে দাঁড়াল তাই। আমি রেল বসাব বলেছি বলে এতো কথা। বলুন না আমি ভুতের রেল কেমন হবে ভুতের রেল কেউ দেখতে পাবে না। নিয়ে আসবে আপনার দূতেরা তাদের রথ দিন তাহলে এই সমস্যা থাকবে না। " . "ঠিক আছে আমি চেষ্টা করছি ভুতেরা যাতে নরকে কষ্ট কম পায় তার ব্যবস্থা করা যায় কি না দেখব। চিত্র গুপ্ত তুমি না ঢুলে কোথায় কী পরিবর্তন হচ্ছে লক্ষ্য রাখবে।". " যে আজ্ঞা মহারাজ। "
( চলবে)
( চলবে)
যম পুরীতে বিশেষ অধিবেশন।
আজ যম পুরীতে বিশেষ একটা সভা হচ্ছে, অনেকে সেখানে উপস্থিত থাকবেন, মেছুনি গো ভুত কিছু বিখ্যাত মানুষ ভুত আর অন্যান্য ভুতে দের প্রতিনিধি। যমরাজ কেন সকল কে ডেকে এনেছেন তা যমরাজের মুখে শুনুন।
যমরাজ মেছুনি কে বললেন, "তুমি মর্ত্যে তোমার ভক্ত কে শত শত বর দিচ্ছ শুনলাম। একটা বর খুব অদ্ভুত, তুমি নাকি বর দিয়েছ, যে স্বর্গ থেকে মর্ত্য পর্যন্ত রেল লাইন পেতে দেবে। আবার বৈতরণি মানে আগুনের নদীর উপরে সেতু বানিয়ে দেবে। এসব বর দিয়ে তুমি নরক থেকে ভুতে দের মর্ত্যে মানুষ করে পাঠাচ্ছ। তুমি জানো অনেক দিন আগে ভুতে দের রাজা ছিল একজন মানুষ সে গুপি বাঘা কে বর দিয়ে ছিল। ওহে গুপি বাঘা তোমাদের কটা বর দিয়ে ছিল। কী কী বল তার জন্যে এখানে এসে তোমাদের কী করতে হয়েছে সব বল।"
গুপি বলল, "বাঘা তুই বল" "কেন তুই বল না" না বাবা আর আমি কিছু বলব না। যদি আবার কাজ করতে হয় মর্ত্যে নিয়ে গিয়ে কষ্ট দেয়। ও আমি কিছু বলব না। আমি অনেক কষ্টে তোলা তুলে ঐ দেনা শোধ করতে পেরেছি।" " তুই একা আমি করিনি, ভুতের রাজা আমাদের তিন বর দিয়ে ছিল, প্রথম বর ছিল, পায়ে দিয়ে জুতো, হাতে দিয়ে তালি যেখানে খুশি যেতে পারি। দুনম্বর ছিল, যা চাইব তাই তাই আমারা খেতে পারি। তিন নম্বর ছিল, গলায় হবে সুর যেমন খুশি গাইতে পারি। এই জন্য এখানে এসে শুনি আমাদের খাবার দিতে আর যেখানে খুশি পাঠাতে, যমরাজের অনেক খরচ হয়েছে। সেটা আমাদের শোধ করতে হবে।না হলে নরকের কঠিন সাজা গরম তেলে ভাজা হবে। সেই জন্যই গো ভুত আর চিত্র গুপ্ত স্যার আমাদের ঘন ঘন মর্ত্যে পাঠিয়েছে, আধমরা কে মেরে তুলে আনতে। খালি পোশাকে ঐ আগুনে নদী পার হতে হয়েছিল। কত কষ্ট করে আমরা তোলা তুলে তুলে যমরাজের দেনা শোধ করেছি। " গো ভুত আমাদের খাটিয়ে মেরেছে, আমি আর মর্ত্যে যেতে চাই না।আমি আর বাঘা শিব লোক যেতে চাই, যমরাজ ও চিত্র গুপ্ত স্যার কথা দিয়েছেন। দেনা শোধ হলে শিব লোকে থাকার ব্যবস্থা করে দেবেন।"
যমরাজ বললেন এই যে ভানু না মরে জীবন্ত অবস্থায় এখানে এসে কত কাণ্ড করে গেল। তখন বলে ছিলাম তুমি এখন আমাকে কষ্ট দিচ্ছ দাও পরে এলে আমি ছাড়ব না। ভানু, দেহেন মহারাজ আপনে আমাকে অযথা দোষ দিচ্ছেন। আপনের লোকই ভুল করে আমাকে জীবন্ত নিয়ে এলো। আর দোষ হলো আমার দেহেন আপনাগো এই একটা দোষ নাই দেইখা আপনে তো কেবল আমার দোষ দেহেন । আপনের লোক ঐ ভুল টা করল কেন? যাউগা আপনে কহেন আমারে কেন ডাকছেন? যম রাজ বলল, " ভানু বাবু আপনাকে মর্ত্যে জণ্ম নিতে হবে। আপনার ঐ ষাঁড় ভোলা কে মর্ত্যে মেছুনি মর্ত্যে মানুষ করে পাঠিয়েছে। সে কারও কথা শুনছে না। যখন যা খুশি তাই বলছে, যা খুশি তাই করছে, কাউ কে মানে না। মর্ত্যে নির্বাচন এলে তো কথাই নেই, কাকে বোম মার বলছে, কাকে মিথ্যে কেস দিতে বলেছে। লাঠি সরকি নিয়ে ওর কথায়, সকলে দাঁড়িয়ে অন্য কাউকে নির্বাচনে নাম দিতে দেবে না। সেই জন্যই তোমাকে মর্ত্যে মানুষ করে পাঠানো, কারণ ভোলা তোমার কথা শুনবে। ভানু বলল, " আর যাই করেন মহারাজ আমাকে আর মর্ত্যে মানুষ জণ্ম নিতে বলবেন না ।
( চলবে )
যমরাজ মেছুনি কে বললেন, "তুমি মর্ত্যে তোমার ভক্ত কে শত শত বর দিচ্ছ শুনলাম। একটা বর খুব অদ্ভুত, তুমি নাকি বর দিয়েছ, যে স্বর্গ থেকে মর্ত্য পর্যন্ত রেল লাইন পেতে দেবে। আবার বৈতরণি মানে আগুনের নদীর উপরে সেতু বানিয়ে দেবে। এসব বর দিয়ে তুমি নরক থেকে ভুতে দের মর্ত্যে মানুষ করে পাঠাচ্ছ। তুমি জানো অনেক দিন আগে ভুতে দের রাজা ছিল একজন মানুষ সে গুপি বাঘা কে বর দিয়ে ছিল। ওহে গুপি বাঘা তোমাদের কটা বর দিয়ে ছিল। কী কী বল তার জন্যে এখানে এসে তোমাদের কী করতে হয়েছে সব বল।"
গুপি বলল, "বাঘা তুই বল" "কেন তুই বল না" না বাবা আর আমি কিছু বলব না। যদি আবার কাজ করতে হয় মর্ত্যে নিয়ে গিয়ে কষ্ট দেয়। ও আমি কিছু বলব না। আমি অনেক কষ্টে তোলা তুলে ঐ দেনা শোধ করতে পেরেছি।" " তুই একা আমি করিনি, ভুতের রাজা আমাদের তিন বর দিয়ে ছিল, প্রথম বর ছিল, পায়ে দিয়ে জুতো, হাতে দিয়ে তালি যেখানে খুশি যেতে পারি। দুনম্বর ছিল, যা চাইব তাই তাই আমারা খেতে পারি। তিন নম্বর ছিল, গলায় হবে সুর যেমন খুশি গাইতে পারি। এই জন্য এখানে এসে শুনি আমাদের খাবার দিতে আর যেখানে খুশি পাঠাতে, যমরাজের অনেক খরচ হয়েছে। সেটা আমাদের শোধ করতে হবে।না হলে নরকের কঠিন সাজা গরম তেলে ভাজা হবে। সেই জন্যই গো ভুত আর চিত্র গুপ্ত স্যার আমাদের ঘন ঘন মর্ত্যে পাঠিয়েছে, আধমরা কে মেরে তুলে আনতে। খালি পোশাকে ঐ আগুনে নদী পার হতে হয়েছিল। কত কষ্ট করে আমরা তোলা তুলে তুলে যমরাজের দেনা শোধ করেছি। " গো ভুত আমাদের খাটিয়ে মেরেছে, আমি আর মর্ত্যে যেতে চাই না।আমি আর বাঘা শিব লোক যেতে চাই, যমরাজ ও চিত্র গুপ্ত স্যার কথা দিয়েছেন। দেনা শোধ হলে শিব লোকে থাকার ব্যবস্থা করে দেবেন।"
যমরাজ বললেন এই যে ভানু না মরে জীবন্ত অবস্থায় এখানে এসে কত কাণ্ড করে গেল। তখন বলে ছিলাম তুমি এখন আমাকে কষ্ট দিচ্ছ দাও পরে এলে আমি ছাড়ব না। ভানু, দেহেন মহারাজ আপনে আমাকে অযথা দোষ দিচ্ছেন। আপনের লোকই ভুল করে আমাকে জীবন্ত নিয়ে এলো। আর দোষ হলো আমার দেহেন আপনাগো এই একটা দোষ নাই দেইখা আপনে তো কেবল আমার দোষ দেহেন । আপনের লোক ঐ ভুল টা করল কেন? যাউগা আপনে কহেন আমারে কেন ডাকছেন? যম রাজ বলল, " ভানু বাবু আপনাকে মর্ত্যে জণ্ম নিতে হবে। আপনার ঐ ষাঁড় ভোলা কে মর্ত্যে মেছুনি মর্ত্যে মানুষ করে পাঠিয়েছে। সে কারও কথা শুনছে না। যখন যা খুশি তাই বলছে, যা খুশি তাই করছে, কাউ কে মানে না। মর্ত্যে নির্বাচন এলে তো কথাই নেই, কাকে বোম মার বলছে, কাকে মিথ্যে কেস দিতে বলেছে। লাঠি সরকি নিয়ে ওর কথায়, সকলে দাঁড়িয়ে অন্য কাউকে নির্বাচনে নাম দিতে দেবে না। সেই জন্যই তোমাকে মর্ত্যে মানুষ করে পাঠানো, কারণ ভোলা তোমার কথা শুনবে। ভানু বলল, " আর যাই করেন মহারাজ আমাকে আর মর্ত্যে মানুষ জণ্ম নিতে বলবেন না ।
( চলবে )
Tuesday, 13 November 2018
চপ বিক্রেতার আত্ম হত্যা।
আমার ভারত ডটকমে আজকের খবর, উত্তর দিনাজপুর জেলায় কাজল মোহন্ত নামে এক চপ বিক্রেতা আত্ম হত্যা করেছে। সে ভালোবাসা করে বনকর্মীর মেয়ে কে বিয়ে করে ছিল। তাদের একটি এক বছরের ছেলে আছে,সংসারে অভাবের জন্য মেয়ের মা মেয়ে কে নিয়ে চলে যায়। চপ বিক্রেতা আনতে গেলে তার সাথে পাঠায় না। যার ফলশ্রুতিতে দুঃখে আত্ম হত্যা করে ঐ চপ বিক্রেতা।
এতো ঐ সংবাদ সংস্থার খবর, কিন্তু এখানে কিছু কথা আমি না লিখে থাকতে পারছি না।যে কোন মৃত্যু দুঃখের, আমার কাছে সমান কষ্টের, সে যে ভাবে মারা যান। আর এখন তো রাজ্যে মৃত্যুর মিছিল চলছে। সকালে খবরের কাগজ খুললে দেখা যাচ্ছে তৃণমূল নেতা গুলি বিদ্ধ, সি পি আই এম নেতা খুন, বিজেপি কর্মী পিটিয়ে হত্যা। আর সাধারন মানুষের মৃত্যু সে তো রয়েছে। বিশেষ করে মহিলা তথা গৃহ বধুর মৃত্যু এ যেন একটা মামুলি ঘটনা, হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা যেন মৃত্যু পুরিতে বাস করছি। এই ছেলেটা গরীব ভালোবেসে বিয়ে করে ছিল, এটা তার অপরাধ শ্বশুর বাড়ির গরীব জামাই মেনে নিতে পারে নি, মেয়ে কে নিয়ে চলে এলো একটি বাচ্চা সমেত।ছ মাস এভাবে চলার পর সে চরম পথ বেছে নিয়েছে। কার লাভ হলো মেয়েটির পরিবারের, একটি প্রাণ অকালে চলে গেল, মেয়ের বাড়ির লোক কি ঐ প্রাণ ফিরিয়ে দিতে পারবে! আর একটা প্রশ্ন করি এই বাংলায় ঘরে ঘরে বেকার আর গরীব মানুষের সংখ্যা অনেক, তবে এটাও ঠিক যদি সঠিক ভাবে সরকারি সাহায্য গুলো ঠিক ঠাক পেলে অনেক গরীব মানুষ বেঁচে থাকতে পারতো। নেতারা বা এলাকার দাদারা সেই সুযোগ গুলো সকল কে সঠিক ভাবে দেয় না। অনেকেই নিজেরা কুক্ষিগত করে নেন, আমি এসব ছোট বেলা থেকেই দেখে আসছি, সরকারি সাহায্য নেতার মর্জির উপর নির্ভর করে। ছেলে টি কিন্তু নিজে বাঁচার চেষ্টা করে ছিল, চাপের দোকান করে ছিল। জানি না সে দণ্ড মুণ্ডের কর্তার ভাষণ শুনে ছিল কিনা। যে চপ শিল্প করে তিন তোলা বাড়ি করা যায়। পুরুলিয়ায় শবর সম্প্রদায়ের সাত জনের মৃত্যু প্রশাসন খবর নিতে গেছে কেন মৃত্যু হয়েছে।
যতক্ষণ বা যত দিন বেঁচে ছিল প্রশাসনের প্র টাও দেখা যায় না। আমি আপনি প্রশাসনের যে কোন ব্যক্তির সঙ্গে দেখা করতে যান, দেখবেন লেখা আছে বিনা অনুমতি তে সাধারণের প্রবেশ নিষেধ। বোঝা যাচ্ছে কারা বিনা অনুমতি নিয়ে প্রবেশ করতে পারে। আমার মনে পরছে আমি স্কুলের বিদ্যুৎ সংযোগ নিতে গিয়ে বিডিও অফিসে বিডিওর ঘরে সামনে প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা দাঁড়িয়ে ছিলাম অনুমতি নিয়ে ঢোকার জন্য । আমার মনে হচ্ছিল আমার নিজের কাজ করতে গিয়ে ছিলাম। কে বিডিও নাম করে বলি বিষ্ণু কবিরাজ। নেতারা ঢুকে যাচ্ছেন বেড়িয়ে আসছেন আমি যত বার জিজ্ঞেস করছি ততবার উত্তর আসছে একটু পরে। অথচ এরা নাকি জনগণের প্রশাসক, আর এখন দেখুন সেই প্রশাসক জেলার সর্বোচ্চ কর্তা নিজেদের দোষ ঢাকতে শবর গ্রামের মধ্যে হাজির।সঠিক তথ্য জানুন গরীব মানুষের পাশে দাঁড়ান আমি এটা চাই। কেবল প্রতিশ্রুতি নয়, কাজ করে দেখান। শবর রা অবলুপ্ত প্রায় একটা জনজাতি এদের বাঁচান। শুধু প্রশাসন নয় সকলে মিলে আমরা প্রতিজ্ঞা করি যে যা রাজনৈতিক দলের নেতা হন সে তার নিজের মত থাকুক সবার আগে আমরা মানুষ। সকল মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার দিতে শিখি, সকালে খবর কাগজে আর যেন মৃত্যুর খবর না থাকে। সকলে সুস্থ হয়ে বেঁচে থাকুন জগদ্ধাত্রী মায়ের কাছে আমার এই প্রার্থনা।
এতো ঐ সংবাদ সংস্থার খবর, কিন্তু এখানে কিছু কথা আমি না লিখে থাকতে পারছি না।যে কোন মৃত্যু দুঃখের, আমার কাছে সমান কষ্টের, সে যে ভাবে মারা যান। আর এখন তো রাজ্যে মৃত্যুর মিছিল চলছে। সকালে খবরের কাগজ খুললে দেখা যাচ্ছে তৃণমূল নেতা গুলি বিদ্ধ, সি পি আই এম নেতা খুন, বিজেপি কর্মী পিটিয়ে হত্যা। আর সাধারন মানুষের মৃত্যু সে তো রয়েছে। বিশেষ করে মহিলা তথা গৃহ বধুর মৃত্যু এ যেন একটা মামুলি ঘটনা, হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা যেন মৃত্যু পুরিতে বাস করছি। এই ছেলেটা গরীব ভালোবেসে বিয়ে করে ছিল, এটা তার অপরাধ শ্বশুর বাড়ির গরীব জামাই মেনে নিতে পারে নি, মেয়ে কে নিয়ে চলে এলো একটি বাচ্চা সমেত।ছ মাস এভাবে চলার পর সে চরম পথ বেছে নিয়েছে। কার লাভ হলো মেয়েটির পরিবারের, একটি প্রাণ অকালে চলে গেল, মেয়ের বাড়ির লোক কি ঐ প্রাণ ফিরিয়ে দিতে পারবে! আর একটা প্রশ্ন করি এই বাংলায় ঘরে ঘরে বেকার আর গরীব মানুষের সংখ্যা অনেক, তবে এটাও ঠিক যদি সঠিক ভাবে সরকারি সাহায্য গুলো ঠিক ঠাক পেলে অনেক গরীব মানুষ বেঁচে থাকতে পারতো। নেতারা বা এলাকার দাদারা সেই সুযোগ গুলো সকল কে সঠিক ভাবে দেয় না। অনেকেই নিজেরা কুক্ষিগত করে নেন, আমি এসব ছোট বেলা থেকেই দেখে আসছি, সরকারি সাহায্য নেতার মর্জির উপর নির্ভর করে। ছেলে টি কিন্তু নিজে বাঁচার চেষ্টা করে ছিল, চাপের দোকান করে ছিল। জানি না সে দণ্ড মুণ্ডের কর্তার ভাষণ শুনে ছিল কিনা। যে চপ শিল্প করে তিন তোলা বাড়ি করা যায়। পুরুলিয়ায় শবর সম্প্রদায়ের সাত জনের মৃত্যু প্রশাসন খবর নিতে গেছে কেন মৃত্যু হয়েছে।
যতক্ষণ বা যত দিন বেঁচে ছিল প্রশাসনের প্র টাও দেখা যায় না। আমি আপনি প্রশাসনের যে কোন ব্যক্তির সঙ্গে দেখা করতে যান, দেখবেন লেখা আছে বিনা অনুমতি তে সাধারণের প্রবেশ নিষেধ। বোঝা যাচ্ছে কারা বিনা অনুমতি নিয়ে প্রবেশ করতে পারে। আমার মনে পরছে আমি স্কুলের বিদ্যুৎ সংযোগ নিতে গিয়ে বিডিও অফিসে বিডিওর ঘরে সামনে প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা দাঁড়িয়ে ছিলাম অনুমতি নিয়ে ঢোকার জন্য । আমার মনে হচ্ছিল আমার নিজের কাজ করতে গিয়ে ছিলাম। কে বিডিও নাম করে বলি বিষ্ণু কবিরাজ। নেতারা ঢুকে যাচ্ছেন বেড়িয়ে আসছেন আমি যত বার জিজ্ঞেস করছি ততবার উত্তর আসছে একটু পরে। অথচ এরা নাকি জনগণের প্রশাসক, আর এখন দেখুন সেই প্রশাসক জেলার সর্বোচ্চ কর্তা নিজেদের দোষ ঢাকতে শবর গ্রামের মধ্যে হাজির।সঠিক তথ্য জানুন গরীব মানুষের পাশে দাঁড়ান আমি এটা চাই। কেবল প্রতিশ্রুতি নয়, কাজ করে দেখান। শবর রা অবলুপ্ত প্রায় একটা জনজাতি এদের বাঁচান। শুধু প্রশাসন নয় সকলে মিলে আমরা প্রতিজ্ঞা করি যে যা রাজনৈতিক দলের নেতা হন সে তার নিজের মত থাকুক সবার আগে আমরা মানুষ। সকল মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার দিতে শিখি, সকালে খবর কাগজে আর যেন মৃত্যুর খবর না থাকে। সকলে সুস্থ হয়ে বেঁচে থাকুন জগদ্ধাত্রী মায়ের কাছে আমার এই প্রার্থনা।
Monday, 12 November 2018
প্রিয় শিক্ষা মন্ত্রীর শিক্ষার উন্নতি।
পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা মন্ত্রীর সঙ্গে আমি একমত শিক্ষার এত উন্নতি এবং শিক্ষকদের এতো টাকা বেতন কোনো দিন হয়নি। শিক্ষক দের বদলি, সঠিক ভাবে শিক্ষক নিয়োগ কত কিছু হচ্ছে। শিক্ষক বদলি শুধু নেতা কে খুশি করলেই হবে। নতুন শিক্ষক যদি বাড়ির কাছে নিয়োগ চাইলে একরকম, আর একটু দূরে বা শুধু নিয়োগ চাইলে ও নেতাদের একটু খুশি করে মিষ্টির প্যাকেটে দিতে হবে, ব্যস তাহলে কেল্লাফতে। বাম আমলে দেখেছি নেতারা যখন তখন স্কুলে আসতেন যেতেন। আর এখন শিক্ষা সেল করলে স্কুল না এলেও হবে। অন্য শিক্ষকরা কিছু বলে, তার কোথায় বদলি হবে বা সাময়িক বরখাস্ত করা হবে, তার ঠিক নেই। আরো কটা কথা ছাত্র দের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি পাঁচ বছর হতে হবে, এটা আগেও ছিলো, তবে তফাৎ হচ্ছে জণ্ম তারিখ জানুয়ারি দু তারিখ হলে ভর্তি করা যাবে না। উদাহরণ সরূপ বলি এবছর কোনো ছাত্র ছাত্রী প্রাক প্রাথমিকে ভর্তি হতে এলো, তার বয়স হতে হবে, 5+ জণ্ম তারিখ হতে হবে, ৩১ শে ডিসেম্বর ২০১৪ বা ১ লা জানুয়ারি ২০১৫ যদি ২/১/২০১৫ হয়েছে তাহলে আর ভর্তি করা যাবে না। আরো কতগুলো উন্নতি প্রাক প্রাথমিকে ভর্তি হলো বই কুটুম কাটাম যারা কেজি ওয়ান এ ইংরেজি বাংলা গনিত পড়ে এসেছে, যাদের মেধা বিষয় ভিত্তিক নিতে পারে, তারা পড়বে মজারু আর ঐ বই এই জন্য আজ কাল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনেক অভিভাবক ছাত্র ভর্তি করে না। এক বয়সের কড়াকড়ি আর বই এর ঐ ছিরি। আজ অনেক মিডিয়া অনেক সমীক্ষা করে থাকে, এই সমীক্ষা করুন এই জানুয়ারি তে কতজন ছাত্র ছাত্রী প্রাক প্রাথমিকে ভর্তি হলো আর কতো জন বেসরকারি বিদ্যালয়ে। আমি আগেও লিখেছি যে পাঠ্যপুস্তক এবং পাঠ্যক্রম পরিবর্তন করতে হবে, সে সম্পর্কে আগে আমার লেখা আছে। আর অনুদান প্রাক প্রাথমিক শ্রেণীর জন্য ঐ বই ছাড়া কোনো টাকা নেই, এমনকি আগে প্রতি মাসে পঞ্চাশ টাকা করে খুচরা খরচের টাকা দেওয়া হতো প্রধান শিক্ষক শিক্ষিকা দের, এখন মানে ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর থেকে সেটা বন্ধ একটা চকের প্যাকেট তাও প্রধান শিক্ষক নিজের টাকায় কেনেন, শুধু চক নয় বিদ্যুতের বিল, আর নানা রকম অনুষ্ঠান ও দিবস পালন করতে গিয়ে ছাত্র ছাত্রীদের মিষ্টি মুখ করা, বিদ্যালয় স্তরের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা থেকে শুরু করে চক্র স্তর শিক্ষকের চাঁদা। বর্তমান রাজ্য সরকারের রাজ্যের এতো উন্নতি করছেন, কত জায়গায় টাকা দিচ্ছেন। জনগণের ট্যাক্সের টাকা ও যেমন ভাবে খরচ করা যায়। ক্লাব গুলো কে দেওয়া যায়, ধর্ষিত হলে রেট করে টাকা দেওয়া যায়। পুজো কমিটির জন্য দিয়ে দেওয়া যায়, সরকারি কর্মীদের এবং শিক্ষকদের ডিএ ও বেতন দেওয়া যায় না, পে কমিশন দেওয়া যায় না, অথচ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক দের চাঁদায় খেলা করতে হবে একেমন কথা। বাম আমলে এতো লোক এতো সুযোগ পায়নি, বিভিন্ন ভাবে টাকা পায় নি, সেই জন্য বলছি এই সরকার যদি শিক্ষকদের চাঁদায় খেলা করে সে তো লজ্জার। যে সব শিক্ষক বলছেন সমর্থন করছেন বলছেন চাঁদা দেবেন, ভয়ে বলছেন না হলে এই আমলে অন্য ভাবে চাকরি তে ঢুকেছেন, সেই কারণে বলছেন। ভাবছেন সাময়িক বরখাস্ত করে দেবে বদলি করে দেওয়া হবে, বেতন বন্ধ করে দেওয়া হবে। ভয় খাওয়া টা সঙ্গত, কারণ বর্তমান রাজ্য সরকারের প্রতিশোধ নেবার মানসিকতা বেশি বাম আমলে আন্দোলন হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে বহু আন্দোলনে আমি অংশ নিয়েছি, কিন্তু সেই সরকার এতো প্রতিশোধ নিতে যেতেন না। এই সব কারণে অনেক শিক্ষক ভয়ে সমর্থন করে চলেছে তারাই বলছে চাঁদা দেবে বলছে। এই রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন মুরগি চোর ধরে এমন কেস সাজায় তার ফাঁসি অনিবার্য, আর জনগণের কোটি কোটি টাকা লুঠ করে নেতা মন্ত্রী হলে তাদের টিকি ছুঁতে ভয় পায়। তবে চিন্তার কিছু নেই, বাম আমলের শেষ দিক গুলো ঠিক এ গুলো ঘটে চলেছিল। বর্তমান রাজ্য সরকারের অনেক বলতেন পুলিশ দল দাসে পরিনত হয়েছে, এখন তো দল দাস নয় কেবল ঝাণ্ডা ধরতে বাকী। তারাও বেতন পে কমিশন থেকে বঞ্চিত ওতে কী হয়েছে, ওসব সামান্য ব্যাপার। আর বেশি লেখা মনে হচ্ছে না কেউ পড়বেন, আমি জানি না কজন আমার লেখা পড়েন, তবে যে ক'জন শিক্ষক পড়বেন তাদের বলছি, ভয় নয় নিজের অস্তিত্ব রক্ষার তাগিদে, এবং যারা বেতন না বাড়িয়ে ডিএ না দিয়ে আমাদের বঞ্চিত করছে, তাদের কোনো আর্থিক সাহায্য করবেন না।
Thursday, 8 November 2018
চরিত্র হীনা ( স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক)
সবাই ভাবছেন হঠাৎ এই শিরোনামে লিখছি কেন? আমি দীর্ঘ দিন ধরে চারপাশে যা দেখছি, এই সব দেখে আমার যা অভিজ্ঞতা হয়েছে, সেই গুলো না লিখতে পারলে মন থেকে শান্তি পাচ্ছি না।
তবে আমার দেওয়া ঐ শিরোনাম দেখে কেউ ভাববেন না, আমি পল্লী কবি শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মতো বিখ্যাত কোনো উপন্যাস লিখতে শুরু করেছি বোধহয়।
না আমি কোনো উপন্যাস লিখব না। আর আমার লেখা কেউ পড়ছে বলে মনে হচ্ছে না, কারণ তাহলে কোনো না কোনো মন্তব্য থাকতো আজ পর্যন্ত কোন মন্তব্য পেলাম না। একটা অবাক করা ব্যাপার আছে, গুগুলে পোস্ট করলেই দেখায় এক বা পাঁচ জন দেখে ফেলেছে সাথে সাথে। আমার মনে হয় গুগুল ওটা সেট করে রেখেছে পোস্ট করা মাত্র পাঁচ জন দেখেছে দেখিয়ে দেবে। না হলে গুগুলে কেউ পোস্ট করবে না। কারণ গুগুল অনেক কারসাজি জানে, সব দেখে শুনে এসব লিখছি। এই ব্লগে গুগুল এ্যডস্নেস যুক্ত করে ছিলাম, কে কি করল জানি না, আমার ব্লগে এ্যড বন্ধ করে দিয়েছে। অপরাধ করে অন্য জন এরা শাস্তি দেয় আরেক জন কে।
সবাই ভাবছেন শিরোনাম এক আর লিখছি আরেক বিষয়ে।
এই বিষয়ে অন্য কোন দিন লিখব । আজ বিষয়ে ফিরে আসি। কথায় বলে মেয়েদের চরিত্র দেবতারা টের পায় না। আমি তো কোন একটা তুচ্ছ মানুষ। বলতে পারেন তবে লিখছ কেন, কারণ হচ্ছে আমি দেখেছি আজকের দিনে প্রায় একশ জনের মধ্যে একশ ভাগ মেয়ে বিয়ের আগে প্রেম করে এবং শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়। কেউ কেউ ঐ প্রেমিক কে বা ঐ রোমিও কে বিয়ে করে। বেশিরভাগ মেয়ে বাবা মা এর কথায় বা নিজের ভুল বুঝতে পেরে ছেড়ে চলে এসে অন্য ছেলে কে বিয়ে করে নেয়। বাবা মা এর দেখে দেওয়া পাত্র সরকারি চাকরি করলে সোনায় সোহাগা। আবার এরকমো হয় বিয়ে করলেও পূরণো প্রেমিক কে ভুলতে পারে না। মোট কথা তার সাথে যে যৌনতা উপলব্ধি করেছে সেটা সে ভুলতে পারে না। হয়তো বা কেউ যৌন পল্লী তে ছিল যে তাকে সেখানে যৌন সুখ ভালো দিয়ে ছিল তাকে সঙ্গে আনে। যদি স্বামী সেই সুখ না দিতে পারে, স্বামী কেবলমাত্র টাকা উপার্জনের যন্ত্র আর কিছু না। ছেলের জণ্ম দেয় ঐ প্রেমিকের কারণ স্বামী চাকরি করতে চলে গেলেন আর রোমিও আসে। এই সব রোমিও বেশির ভাগ অংশ লেখা পড়ার কোনো ধারধারে না। বেশিরভাগ বাবার টাকায় ফানটুস সেজে বাইক নিয়ে ঘুরে বেড়ায় আর মেয়েদের সাথে রোমিও সেজে মজা করে। মেয়েদের মোটরবাইকের পেছনে চাপিয়ে ঘুরে এখানে ওখানে গিয়ে প্রেমের নামে মজা লোটে। কোন কোন রোমিও যৌন পল্লী থেকে উদ্ধার করে আনে কিন্তু বিয়ে করে না। কিন্তু তার সঙ্গে সম্পর্ক রেখে দেয়, স্বামীর অবর্তমানে গিয়ে যৌন সুখ দেয় আবার সন্তানের জন্ম দেয়। স্বামী বোকা চোদা বনে যায়, খাঁটি বেশ্যার মতো স্বামীর সন্তানের জন্ম দেবে না বলে স্বামীর সঙ্গে যৌন মিলনের সাথে সাথে আঙুল দিয়ে ধুয়ে নেয়। সন্তানের জন্ম হয় স্বামীর সাথে বাহ্যিক কোনো মিল নেই, জিজ্ঞেস করলে নানা রকম কথা এদিকে সে অন্য ভাবে স্বামীর সন্তান না নিয়ে এমন করেছে, যে স্বামী ভাবে তার সন্তান জন্ম দেবার ক্ষমতা নেই। কোন কিছু জিজ্ঞেস করলে উত্তর তুমি দেখেছ, দেখে তারপর বলবে, সন্তান তোমার তুমি খালি অস্বীকার করে যাও,, স্বামী বেচারা কী করে বিবাহ বিচ্ছেদ দিতে পারে না। একটাই কারণ খোরপোশ স্বামীর খাবে আর প্রেমিকের কাছে শোবে। সবাই এর জিজ্ঞাসা তাহলে স্বামীর সাথে মিলন হয় না। হ্যাঁ হয় ঐ শুতে হয় শুয়ে থাকা আর মাঝে মধ্যে অনেক বলার পর তবে। বলুন তো স্বামীর কী অপরাধ? একটাই অপরাধ তার তার সে চাকরি করতে পারে, কিন্তু তার ভালো বাড়ি নেই, পরে বাড়ি করবে এখন তো নেই। মোটর বাইক নেই, আর একটা অপরাধ তার তার বাবা বাংলাদেশ থেকে এসে ছিলেন। অনেক কথা আছে স্বামীর বেশি লিখলে আপনারা পড়বেন না। একদিন হয়েছে কী বড়ো ছেলে টি একটু বড়ো সে সন্ধ্যা বেলা একটা মাঠে পঁচিশে বৈশাখের মেলা দেখতে গেছে, একটু রাত হয়েছে, স্বামী এসে ছেলে টিকে আনতে গেল কিন্তু খুঁজে না পেয়ে তাড়াতাড়ি চলে এসেছে। দেখে স্বামীর ভাই বৌদি কে বলছে কয়গো হবে না কি দাদা তো নেই। ঠিক একদম দ্বিতীয় স্বামী, এই ভাই কোন কাজ করতে চাইত না। দাদার উপায়ে বসে বসে খেত , রাতে স্বামী যখন জিজ্ঞেস করে. দাদা নেই হবে না কি একথার অর্থ কী? তখন স্ত্রী লাফিয়ে উঠে চিৎকার শুরু করে পাশের ঘরে ভাই ছুটে আসে বলে তুই কি ভেবেছিস দুটো খেতে দিছিস বলে। যা খুশি তাই বলবি, তুই কোনো প্রমাণ পেয়েছিস দেখেছিস? ওসব কথা কানে শুনলে হবে না।. আমি রুটি চাই ছিলাম তুই আগে ধরে বা অন্য ভাবে প্রমান দে না হলে এরপর বললে তোকে কী করব জানিস না। স্ত্রী ও তার কথায় সায় দেয় পারলে তখনই মেরে শুধু ঐ চাকরি করে তাই, টাকার দরকার তাই. সম্পর্ক আছে না হলে কবে স্বামীকে শেষ করে দিত। স্ত্রী যে এরকম চরিত্রের এবং স্বামীর সাথে এরকম ব্যবহার করতে তার বাড়ির লোক শুধু মদত দেয়। তারাই স্ত্রী যাতে প্রেমিক বা যৌন পল্লী থেকে উদ্ধার করা রোমিওর সন্তান জন্ম দিতে পারে তার ব্যবস্থা করে দিয়েছে। এই রকম মেয়েদের সংখ্যা আজ বেশি, বলবেন তুমি ভাই কানা বেগুন পেয়েছ তাই এসব লিখছ। ঠিক কথা আমার অভিজ্ঞতা আমি লিখেছি সব লেখা যায় না, তাই লিখছি না। আমি কোনো দিন কোন মেয়ে কে আই লাভ ইউ বা আমি তোমায় ভালবাসি বলিনি। আর বাবার বা আমার সে রকম টাকা ছিল না, মোটরবাইকের পেছনে চাপিয়ে নিয়ে ঘোরাব, আর ভালো বাড়ি ছিল না, একটা চিন্তা নিয়ে পড়াশোনা করেছি আমায় চাকরি করে নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে। আর হয়তো আমায় দেখতে ভালো নয়, সেই জন্য চাকরি পাওয়ার পরও কোনো মেয়ে আই লাভ ইউ বা আমি তোমাকে ভালবাসি বলেনি। আমার মনে হয় রোমিও আরও বেশি. সুন্দর দেখতে হয়। না হলে হয়তো যৌন সুখ দিতে পারে ভালো । আমি এই বয়সের মুখের একটা ছবি দিলাম যারা আমার ব্লগ দেখছেন বলুন তো আমায় দেখতে কতটা খারাপ। ভালো মন্দ মন্তব্য করবেন কেমন ।
অনেক টা লিখে ফেলেছি, জানি এতো লেখা আজকাল কেউ পড়ছে না। সবাই অল্প একটু চটুল ভিডিও ফুটেজ দেখে মনে অনেক শাান্তি পান। আমাদের মত ফালতু লেখকের লেখা ফালতু লেখা পড়া়া সময় কোথায়? বাতুলতা মাপ করে দেবেন, আপনাার সব জ্ঞানী গুুণী মানুষ আপনাদের কাছে আমি সত্যিই ফালতু। অনেক সময় আজে বাজে লেখা হয়তো পড়েন, যদি আমাকে গালাগালি করতে ইচ্ছে করে তাও আমার ব্লগে মন্তব্য করতে ভুলবেন না, ঐ গালাগালিটাও আমার কমেন্ট বক্সে লিখুন।
তবে আমার দেওয়া ঐ শিরোনাম দেখে কেউ ভাববেন না, আমি পল্লী কবি শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মতো বিখ্যাত কোনো উপন্যাস লিখতে শুরু করেছি বোধহয়।
না আমি কোনো উপন্যাস লিখব না। আর আমার লেখা কেউ পড়ছে বলে মনে হচ্ছে না, কারণ তাহলে কোনো না কোনো মন্তব্য থাকতো আজ পর্যন্ত কোন মন্তব্য পেলাম না। একটা অবাক করা ব্যাপার আছে, গুগুলে পোস্ট করলেই দেখায় এক বা পাঁচ জন দেখে ফেলেছে সাথে সাথে। আমার মনে হয় গুগুল ওটা সেট করে রেখেছে পোস্ট করা মাত্র পাঁচ জন দেখেছে দেখিয়ে দেবে। না হলে গুগুলে কেউ পোস্ট করবে না। কারণ গুগুল অনেক কারসাজি জানে, সব দেখে শুনে এসব লিখছি। এই ব্লগে গুগুল এ্যডস্নেস যুক্ত করে ছিলাম, কে কি করল জানি না, আমার ব্লগে এ্যড বন্ধ করে দিয়েছে। অপরাধ করে অন্য জন এরা শাস্তি দেয় আরেক জন কে।
সবাই ভাবছেন শিরোনাম এক আর লিখছি আরেক বিষয়ে।
এই বিষয়ে অন্য কোন দিন লিখব । আজ বিষয়ে ফিরে আসি। কথায় বলে মেয়েদের চরিত্র দেবতারা টের পায় না। আমি তো কোন একটা তুচ্ছ মানুষ। বলতে পারেন তবে লিখছ কেন, কারণ হচ্ছে আমি দেখেছি আজকের দিনে প্রায় একশ জনের মধ্যে একশ ভাগ মেয়ে বিয়ের আগে প্রেম করে এবং শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়। কেউ কেউ ঐ প্রেমিক কে বা ঐ রোমিও কে বিয়ে করে। বেশিরভাগ মেয়ে বাবা মা এর কথায় বা নিজের ভুল বুঝতে পেরে ছেড়ে চলে এসে অন্য ছেলে কে বিয়ে করে নেয়। বাবা মা এর দেখে দেওয়া পাত্র সরকারি চাকরি করলে সোনায় সোহাগা। আবার এরকমো হয় বিয়ে করলেও পূরণো প্রেমিক কে ভুলতে পারে না। মোট কথা তার সাথে যে যৌনতা উপলব্ধি করেছে সেটা সে ভুলতে পারে না। হয়তো বা কেউ যৌন পল্লী তে ছিল যে তাকে সেখানে যৌন সুখ ভালো দিয়ে ছিল তাকে সঙ্গে আনে। যদি স্বামী সেই সুখ না দিতে পারে, স্বামী কেবলমাত্র টাকা উপার্জনের যন্ত্র আর কিছু না। ছেলের জণ্ম দেয় ঐ প্রেমিকের কারণ স্বামী চাকরি করতে চলে গেলেন আর রোমিও আসে। এই সব রোমিও বেশির ভাগ অংশ লেখা পড়ার কোনো ধারধারে না। বেশিরভাগ বাবার টাকায় ফানটুস সেজে বাইক নিয়ে ঘুরে বেড়ায় আর মেয়েদের সাথে রোমিও সেজে মজা করে। মেয়েদের মোটরবাইকের পেছনে চাপিয়ে ঘুরে এখানে ওখানে গিয়ে প্রেমের নামে মজা লোটে। কোন কোন রোমিও যৌন পল্লী থেকে উদ্ধার করে আনে কিন্তু বিয়ে করে না। কিন্তু তার সঙ্গে সম্পর্ক রেখে দেয়, স্বামীর অবর্তমানে গিয়ে যৌন সুখ দেয় আবার সন্তানের জন্ম দেয়। স্বামী বোকা চোদা বনে যায়, খাঁটি বেশ্যার মতো স্বামীর সন্তানের জন্ম দেবে না বলে স্বামীর সঙ্গে যৌন মিলনের সাথে সাথে আঙুল দিয়ে ধুয়ে নেয়। সন্তানের জন্ম হয় স্বামীর সাথে বাহ্যিক কোনো মিল নেই, জিজ্ঞেস করলে নানা রকম কথা এদিকে সে অন্য ভাবে স্বামীর সন্তান না নিয়ে এমন করেছে, যে স্বামী ভাবে তার সন্তান জন্ম দেবার ক্ষমতা নেই। কোন কিছু জিজ্ঞেস করলে উত্তর তুমি দেখেছ, দেখে তারপর বলবে, সন্তান তোমার তুমি খালি অস্বীকার করে যাও,, স্বামী বেচারা কী করে বিবাহ বিচ্ছেদ দিতে পারে না। একটাই কারণ খোরপোশ স্বামীর খাবে আর প্রেমিকের কাছে শোবে। সবাই এর জিজ্ঞাসা তাহলে স্বামীর সাথে মিলন হয় না। হ্যাঁ হয় ঐ শুতে হয় শুয়ে থাকা আর মাঝে মধ্যে অনেক বলার পর তবে। বলুন তো স্বামীর কী অপরাধ? একটাই অপরাধ তার তার সে চাকরি করতে পারে, কিন্তু তার ভালো বাড়ি নেই, পরে বাড়ি করবে এখন তো নেই। মোটর বাইক নেই, আর একটা অপরাধ তার তার বাবা বাংলাদেশ থেকে এসে ছিলেন। অনেক কথা আছে স্বামীর বেশি লিখলে আপনারা পড়বেন না। একদিন হয়েছে কী বড়ো ছেলে টি একটু বড়ো সে সন্ধ্যা বেলা একটা মাঠে পঁচিশে বৈশাখের মেলা দেখতে গেছে, একটু রাত হয়েছে, স্বামী এসে ছেলে টিকে আনতে গেল কিন্তু খুঁজে না পেয়ে তাড়াতাড়ি চলে এসেছে। দেখে স্বামীর ভাই বৌদি কে বলছে কয়গো হবে না কি দাদা তো নেই। ঠিক একদম দ্বিতীয় স্বামী, এই ভাই কোন কাজ করতে চাইত না। দাদার উপায়ে বসে বসে খেত , রাতে স্বামী যখন জিজ্ঞেস করে. দাদা নেই হবে না কি একথার অর্থ কী? তখন স্ত্রী লাফিয়ে উঠে চিৎকার শুরু করে পাশের ঘরে ভাই ছুটে আসে বলে তুই কি ভেবেছিস দুটো খেতে দিছিস বলে। যা খুশি তাই বলবি, তুই কোনো প্রমাণ পেয়েছিস দেখেছিস? ওসব কথা কানে শুনলে হবে না।. আমি রুটি চাই ছিলাম তুই আগে ধরে বা অন্য ভাবে প্রমান দে না হলে এরপর বললে তোকে কী করব জানিস না। স্ত্রী ও তার কথায় সায় দেয় পারলে তখনই মেরে শুধু ঐ চাকরি করে তাই, টাকার দরকার তাই. সম্পর্ক আছে না হলে কবে স্বামীকে শেষ করে দিত। স্ত্রী যে এরকম চরিত্রের এবং স্বামীর সাথে এরকম ব্যবহার করতে তার বাড়ির লোক শুধু মদত দেয়। তারাই স্ত্রী যাতে প্রেমিক বা যৌন পল্লী থেকে উদ্ধার করা রোমিওর সন্তান জন্ম দিতে পারে তার ব্যবস্থা করে দিয়েছে। এই রকম মেয়েদের সংখ্যা আজ বেশি, বলবেন তুমি ভাই কানা বেগুন পেয়েছ তাই এসব লিখছ। ঠিক কথা আমার অভিজ্ঞতা আমি লিখেছি সব লেখা যায় না, তাই লিখছি না। আমি কোনো দিন কোন মেয়ে কে আই লাভ ইউ বা আমি তোমায় ভালবাসি বলিনি। আর বাবার বা আমার সে রকম টাকা ছিল না, মোটরবাইকের পেছনে চাপিয়ে নিয়ে ঘোরাব, আর ভালো বাড়ি ছিল না, একটা চিন্তা নিয়ে পড়াশোনা করেছি আমায় চাকরি করে নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে। আর হয়তো আমায় দেখতে ভালো নয়, সেই জন্য চাকরি পাওয়ার পরও কোনো মেয়ে আই লাভ ইউ বা আমি তোমাকে ভালবাসি বলেনি। আমার মনে হয় রোমিও আরও বেশি. সুন্দর দেখতে হয়। না হলে হয়তো যৌন সুখ দিতে পারে ভালো । আমি এই বয়সের মুখের একটা ছবি দিলাম যারা আমার ব্লগ দেখছেন বলুন তো আমায় দেখতে কতটা খারাপ। ভালো মন্দ মন্তব্য করবেন কেমন ।

Character less

Because I'm not a much more famous writer. I write about the current time, the character of Girl in the current society, how they love one or many of the boys before marriage, and Ninety-nine in the premice of a hundred girls. Day after day some people enjoy sex and they get pregnant again. If the great lover is not married, Girl is married to another man Or parents who marry the right boy. The former girl who had no relationship with the girls was involved. A lot of these girls are going to have a physical relationship after the wedding to emulate her with the Easter lover. Daughter T is in the way if her husband may not have sex. She had previously had sex with her lover husband and the boyfriend were both found. In the absence of the husband he will come and give her sexual pleasure and Lover's son would have Bron. The husband will crows a man who is the great lover. No matter how much the husband does, I will deny every moment. Because the girl knows that she has a job and I will be happy to have boyfriend jobless . Sex on the first night of the wedding if the husband asked where your Virginity would lie, ride the bike and bicycle or play game then my Virginity was lost. But husband didn't love with any girl before marriage. The husband told all the truth before the wedding. The girl T or her family did not mean before the wedding their daughter was born baby before the wedding. Husband saw the milk coming to her best. Girl when was delivered baby. Didn't match with her husband in any way. This is not my child when the husband said to wife. The wife said, ' It is your faith that I have given birth to your child. When her husband presses her, Then she says to her ' husband his my ex lover. Then her husband said that the lover had sex with you without getting married. He came in my absence without having sex with you. The wife knew her husband couldn't get her divorced. She also knew I was going to get Khorposh divorced and I sat downHe will have sex with lover. In this, the people of his father's house are joined by the girl who was married to your lover, who had sex with your'll and if
divorced her that she get money Monthly and spent life with her lover or ex husband. Wife knows husband won't marry second. Now the boys are getting bigger and the real husband is spending money. The world is acting in the name of elimination. So far, the husband has not been with sex appeal. Now he has nothing to say about sexuality. The married life of about twenty-five years is what she was like that. Husband's life is over, he can't do anything for fear of his gov. job. The husband is no longer able to endure. Something The decision is too early to take him. Let me tell you what you can decide. And first of all I wrote about a hundred hundred girls who had sex before the wedding. This is because the way that abdale the road embankments wraps up a new rise The village park is sitting on the umbrella of the Gamcha with polythene cover.
Wednesday, 7 November 2018
দক্ষিণেশ্বরে স্কাই ওয়ার্ক এক দিনে পান ও গুটখার পিকে নোংরা হলো।
আমি আমার এই ব্লগে অনেক দিন আগে লিখেছিলাম, শিরোনামে ছিল আমরা কতটা সভ্য হয়েছি। জানি না লেখা টা কজন পড়েছেন। কারণ সেই সময়ে আমি একদিন কলকাতা গিয়ে ছিলাম। রাস্তা দিয়ে হেঁটে যেতে বমি পাবে গুটখার পিকে ভর্তি, সেই সাথে যেখানে সেখানে রাস্তার খাবারের স্টল খাবার খেয়ে পাতা পরে আছে রাস্তার উপর তাতে কাক বসছে।কারা এ কাজ করে গুটখা খাওয়া কাদের অভ্যাস, এসব যদি খতিয়ে দেখা যায়। দেখা যাবে বেশির ভাগ মানুষ হলো অবাঙালী এদের কোনো শিক্ষা দীক্ষা সভ্যতা ভালো মন্দ জ্ঞান নেই। শুনতে ভালো না লাগলে কিছু করার নেই, এই অবাঙালীরা বেশি নোংরা। রাস্তার পাশে ঝুপড়ি বা ছোট একটা ঘর ভাড়া করে বাস করে তার মধ্যে সব কিছু, এরা অভ্যস্ত নোংরার মধ্যে থাকতে, আমি ট্রেনে যাবার সময়ও দেখেছি, গুটখা খেয়ে খৈনি খেয়ে মুখ ভর্তি থুতু চলন্ত ট্রেনের গেটের সামনে ঝুলতে ঝুলতে যায়, আর সুযোগ মানে ট্রেন একটু আস্তে হলে, মুখের থেকে ফেলে দেওয়া। পাশের কম্পারমেন্টে কার গায়ে বা মুখে গিয়ে লাগবে সে সব জ্ঞান নেই।
যত্রতত্র পলিথিন প্যাকেটে, গুটখা আর খৈনির প্যাকেটের শেষ নেই, সাধারণ মানুষ ভদ্র পথচারী এসব দেখে এবং পাশ দিয়ে হেঁটে চলে যায়, কোনো কথা বলেন না। নেশাখোর দের কে বোঝাবে, আর এই গুটখার পলিথিন গুলো যেখানে সেখানে রাস্তার পাশে পরে থাকে দেখতে ভীষণ দৃষ্টি কটূ লাগে। সরকার যেমন আইন করেছেন, যে যত্রতত্র ধূমপান করলে ফাইন করা হবে, সেই রকম গুটখা নিয়েও কড়া আইন তৈরি করতে হবে। সেই আইন পুলিশ প্রশাসন কে কঠোর ভাবে প্রয়োগ করতে হবে, তবে যদি এসব বন্ধ করা যায়। সিগারেট খাওয়ার আইনের মতো হলে, তা হলে তো কথাই নেই । আইন আইনের জায়গায় থেকে মানুষ যেমন গুটখা খেয়ে যাচ্ছে, খেয়ে যাবে আর যত্রতত্র ঐ থুতু ফেলে যাবে। বাংলার গর্বের কিছু বস্তু কে এরা এভাবে নোংরা করে যাবে। আমাদের কিছুই করার থাকবে না। সরকার আইন করুন পাশাপাশি আমাদের আরও সচেতন হতে হবে এবং সভ্য হতে হবে। বুঝতে হবে আমরা যে টা করছি সেটা কোনো শিক্ষিত ভদ্র মানুষ করে না।
যত্রতত্র পলিথিন প্যাকেটে, গুটখা আর খৈনির প্যাকেটের শেষ নেই, সাধারণ মানুষ ভদ্র পথচারী এসব দেখে এবং পাশ দিয়ে হেঁটে চলে যায়, কোনো কথা বলেন না। নেশাখোর দের কে বোঝাবে, আর এই গুটখার পলিথিন গুলো যেখানে সেখানে রাস্তার পাশে পরে থাকে দেখতে ভীষণ দৃষ্টি কটূ লাগে। সরকার যেমন আইন করেছেন, যে যত্রতত্র ধূমপান করলে ফাইন করা হবে, সেই রকম গুটখা নিয়েও কড়া আইন তৈরি করতে হবে। সেই আইন পুলিশ প্রশাসন কে কঠোর ভাবে প্রয়োগ করতে হবে, তবে যদি এসব বন্ধ করা যায়। সিগারেট খাওয়ার আইনের মতো হলে, তা হলে তো কথাই নেই । আইন আইনের জায়গায় থেকে মানুষ যেমন গুটখা খেয়ে যাচ্ছে, খেয়ে যাবে আর যত্রতত্র ঐ থুতু ফেলে যাবে। বাংলার গর্বের কিছু বস্তু কে এরা এভাবে নোংরা করে যাবে। আমাদের কিছুই করার থাকবে না। সরকার আইন করুন পাশাপাশি আমাদের আরও সচেতন হতে হবে এবং সভ্য হতে হবে। বুঝতে হবে আমরা যে টা করছি সেটা কোনো শিক্ষিত ভদ্র মানুষ করে না।
Tuesday, 6 November 2018
আমরা বাঙালি আর ওরা বাঙাল।
আমার লেখা টা সম্পূর্ণ টা পড়বেন কেমন। গত ৪-১১-২০১৮ বাজারে গিয়ে ছিলাম। বাজার করতে অনেকেই মাছ কিনেছ, সেখানে লটে মাছ বিক্রি হচ্ছিল। আমি ও ছিলাম সেখানে কথাটা মাছ বিক্রেতা বলল, এই মাছ বাঙালরা ভালো রান্না করে, কিন্তু বাঙালিরা পারে না। আমি বুঝলাম বাঙাল না হয় ওপার বাংলার মানুষ কিন্তু বাঙালি তাহলে এপার বাংলার মানুষ! সকলে বলবেন বাঙাল বললে আপনি রেগে যান। না আমি বাঙাল বললে রেগে যাই না। আমি রেগে যাই যারা সঠিক ইতিহাস না জেনে কথা বলে বোলে। আবার অনেকে বলেন জ্যোতি বসু বাঙাল দের সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করে ছিলেন। আমি বলি না সকল বাঙাল বা বাঙালি সমর্থন করে নি। অনেকে কংগ্রেস কে সমর্থন করে। আমি এই কংগ্রেস সমর্থক দের বলছি, যারা এখনো পারলে গান্ধী পরিবারের পা ধোয়া জল খেতে পারে। সেই সব কংগ্রেস কর্মী দের আপনারা তাহলে, দেশ ভাগের সমর্থক, আপনারা দেশ ভাগ করে বাঙাল তৈরি করলেন। আর এখন তাদের দেশে ঠাঁই দিতে নারাজ বিভিন্ন ভাবে অপমান করে যাচ্ছেন, দোষ টা আপনাদের অনেকের নয়, কারণ ইতিহাস যদি সঠিক লেখা না হয়, সঠিক ইতিহাস জানতে পারলে বা জানার ইচ্ছা থাকলে কংগ্রেস কে সমর্থন করতেন না। বিশেষ করে দেশ ভাগের নায়ক কে জাতির জনক বানিয়ে দিতেন না। যে ভারত বর্ষের গরীব মানুষের জীবন নিয়ে ছেলে খেলা করেছে তাকে পূজা করতেন না। বললাম সঠিক ইতিহাস সঠিক তথ্য জানতে চেষ্টা করুন। আজ কাল নেটের যুগ বহু তথ্য নেটে পাবেন, কেবল নেটে অসভ্য ছবি দেখে দেখে কাটিয়ে দিলে হবে, আর যারা দেশ টা কে ভাগ করে কয়েক হাজার মানুষের জীবন অকল্পনীয় অন্ধকারে ঠেলে দিয়ে ছিল।সেই কংগ্রেস কে সমর্থন করলে হবে। আমি জানি আপনি এপার বাংলার সেই সুখী মানুষ স্বাধীনতার সময় যাদের পূর্ব পুরুষ কে ভিটে মাটি ছেড়ে চলে আসতে হয় নি। স্বজন হারানোর বেদনা বুকে চেপে চোখের সামনে সন্তান কে হত্যা করেছে কিছু করতে পারে নি। অনেকে শত অত্যাচার সহ্য করেও এখনো রয়ে গেছে, প্রতি নিয়ত তারা অত্যাচারিত, আপনি যদি সত্যি কারের মানুষ হন, আপনার যদি বিবেক মনুষ্যত্ব বলে কিছু থাকে এবং শুধু ভোটের ও নিজের আখের গোছাবার রাজনীতি না করেন তাহলে এখুনি কংগ্রেস শব্দ লাগানো দল গুলো কে ভুলে। মানুষের সমর্থনে এগিয়ে আসুন।
আমি মাইনোরিটি এলাকায় আদম সুমারি করেছি। সেখানে উপস্থিত হলে বলত একজন বাঙালি এসেছে, কী সব লিখবে বলছে। কথা গুলো বলছেন বাংলা ভাষায়, আমি না হয় জানতাম তাদের মাতৃভাষা আরবি, কিন্তু এ দিন যে বলছেন তিনি এপার বাংলার একজন মাছ বিক্রেতা। আমি আগেই লিখেছি, সঠিক শিক্ষার অভাব আছে বিশেষ করে ইতিহাস শিক্ষার, প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে সঠিক ইতিহাস শিক্ষা না হলে, পরিনতি এটাই হবে। আগের কোনো লেখায় লিখেছি, যে প্রাথমিকের পাঠ্যক্রমে অনন্ত তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর আলাদা ইতিহাস বই দেওয়া এবং সেখানে বাংলার সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে হবে, না হলে এসব চিরকাল থাকবে। আমি ধরে নিলাম উনি মাছ বিক্রি করেন অশিক্ষিত কিন্তু আমি আগেই লিখেছি, আবার ও লিখছি। আমার ছোট বেলার বা বিদ্যালয়ে পড়ার সময় উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক থেকে শুরু করে অনেকে বলতেন বাঙাল বাচ্ছা। তারা তো উচ্চ শিক্ষিত, আর এই সব উচ্চ শিক্ষিত মানুষ যদি বলেন তাহলে সাধারণ মানুষ তো বলবেই। বলবেন তুমি গায়ে মাখছ কেন বলছে বলুক কানে শুনতে হয় শুনে নাও উত্তর না দিলেই হবে। আমি এই কথাটা ছোট থেকে শুনেছি, যে বাচ্চা দের বলছে তারা হীনমন্যতায় ভোগে, সমাজে মিশতে পারে না। আমি ভুগেছি, সঠিক ইতিহাস পড়ানো হোক, যেখানে কেবল একটি বা দুটি লাইন নয়, যে দেশ স্বাধীন হলো বাংলা ভাগ হোলো আর ওপার বাংলা থেকে হাজার হাজার মানুষ এপারে চলে এলো, শুধু এইটুকু আমরা পড়েছি, না এটা সঠিক ইতিহাস নয়। এপার বাংলা তথা ভারতের তা বড়ো সব শিক্ষিত নেতা মন্ত্রী দের কাছে আমার প্রশ্ন একবার আয়নায় পিছনের ইতিহাসের দিকে ফিরে দেখুন, তখন কার দিল্লির বড়ো বড়ো কংগ্রেস নেতারা দেশ স্বাধীন করার নামে কী করে ছিলেন? অন্য কোন প্রদেশ কে ভাগ না করে কেবল বাংলা আর পাঞ্জাব কে রক্তাক্ত করা হয়েছিল কেন? কারা বাঙাল জাত তৈরি করল? ক্ষমতা লোভী নেতা যারা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার লোভে আর একজন নিজের পদবী টা যাতে ইতিহাসে থাকে সেই একজন অ-হিন্দু কে দত্তক নিয়ে নিল। এরা তৈরি করে ছিল বাঙাল জাত, এদের হটকারি সিদ্ধান্তের জন্যে লক্ষ লক্ষ মানুষ ভিটে মাটি ছেড়ে কেবল প্রাণ টুকু হাতে নিয়ে এপার বাংলায় এসেছিলেন, তারাই আজ বাঙাল, তারা এপারে এসেও অত্যাচারিত, আজ আসাম বাঙালি দের মেরে তাড়াচ্ছে, কাল মহারাষ্ট্রে বাঙালি তাড়ানো হবে। বাঙালি জাতি আর কত সহ্য করবে, স্বাধীনতার সময় শ্যমাপ্রসাদ মুখার্জী ছিলেন, তিনি একাই এসবের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে, বাঙালি কে কালাপানি পার করে দেওয়া আটকে ছিলেন। আজ তিনি নেই, তাকে একটা বিশেষ দল সরিয়ে দিয়ে ছিল। আর নয় এবার বাঙালি ওঠো জাগো নিজেদের জানান দাও, আমরা সেই মাস্টার দা সূর্য সেন, বীর নেতাজী, ক্ষুদিরাম, রাস বিহারী বসু, কানাইলাল দত্ত, যতীন মুখার্জি ( বাঘা যতীন) এদের বংশধর। আমাদের রক্তে বইছে সেই মহান মায়ের রক্ত যারা পরাধীন ভারতে অস্ত্র শস্ত্রে বলীয়ান ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের ভিত নাড়িয়ে দিয়ে ছিল। যাদের ভয়ে প্রবল পরাক্রমশালী ইংরেজ রা রাজধানী রাতারাতি কলকাতা থেকে দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে ছিল। সেখানে ও বাঙালি তাদের শান্তিতে রাজত্ব করতে দেয়নি। রাস বিহারী বসু ও বসন্ত কুমার বিশ্বাস লর্ড হান্ডিঞ্জ কে হত্যা করার চেষ্টা করেন, বসন্ত কুমার কে ফাঁসি দেওয়া হয়। রাস বিহারী বসু পালিয়ে যেতে সমর্থ হন। তিনি জাপানে পালিয়ে গিয়ে আজাদ হিন্দ বাহিনী গঠন করেন। আর ভগত সিং রাজ গুরু সুখদেও আর বটুকেশ্বর দত্ত ব্রিটিশ পার্লামেন্ট বোমা বিস্ফোরণে অংশ নেন। ভগত সিং দের ফাঁসির সময় গান্ধী বলেছিলেন, এসব লোক দের ফাঁসি দেওয়ার অধিকার ইংরেজ দের আছে। আরো অনেকে অনেক আছে এখানে লিখে শেষ করা যাবে না। সেই সব বাংলা মায়ের দামাল ছেলে দের রক্ত কোথায় গেল? নাকি এক টুকরো রুটি ছুঁড়ে দিয়ে, আপনা কে বলে ভোট দিয়ে দেবেন, আপনি ও সেই রুটি খেয়ে গুটি গুটি পায়ে ভোট দিয়ে আসেন , সেই মহান বাঙালি বীর সন্তানরা এটা চেয়েছিলেন। তারা চিরকাল পরে পরে মার খাও আর এক টুকরো রুটি আর আর এক মুঠো ভাত ফেলে দেবে আর আমরা সে গুলো চেটে পুটে খেয়ে কাছা দুলিয়ে ভোট দিয়ে এসে বাড়িতে ঘুমাব। ভোট দিয়ে এসে নিশ্চিন্তে ঘুম দিতে পারছেন। যতই ভোট দেন আর যাই করুন যতই মন যুগিয়ে চলুন শান্তি তে বাস করতে দেবে না। তার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে, ওপার থেকে প্রাণের ভয়ে এপারে এসেছেন আট চল্লিশ সাল থেকে যে নির্মম হত্যা দেখেছেন। চোখের সামনে নিজের নিকট আত্মীয় কে খুন হতে দেখেছেন। সেই ভয়াবহ দিনে এপার বাংলায় এসেছেন কে কোথায় ছিটকে পড়েছে খোঁজ নিয়েও খুঁজে পাননি। কত মা তার সন্তান হারিয়েছে, কত শিশু অনাথ হয়েছে। কত মেয়ে ধর্ষিতা হয়েছে, তার ঠিক নেই। সেই সময় এক মহাপুরুষ নোয়াখালী গিয়ে ছিলেন মায়া কান্না কাঁদতে। বাঙালি জাগো এপার বাংলার কথায় বাঙাল জাগো, শিব যেমন মহা ধ্যান ভেঙে তাণ্ডব নৃত্য করে ছিলেন, তার শূল নিয়ে, কারণ কী ছিল তার প্রিয় মানুষের মৃত্যু। বুঝিয়ে দিতে হবে আমরা দোয়াঁচলা নয়। কথা টা আমার বিদ্যালয়ের এক দিদি মনির, তাকে যখন জিজ্ঞেস করলাম কথাটার মানে কী তখন তিনি পরিষ্কার উত্তর দিলেন। কথাটার অর্থ জণ্মের ঠিক নেই যাদের তাদের বলা হয়, ওরা নাকি ওপার বাংলার মানুষ কে দোয়াঁচলা বলে থাকে। ভাবুন নিজেদের ডি এন এ স্টেট করলে কি হবে তার ঠিক নেই। আমি তো দেখি এপার বাংলার একশো টা মেয়েই চরিত্র হীন। বিয়ের আগেই শুয়ে পড়ে, কিছু দিনের মধ্যেই এ্যবারশন করে অন্য আরেক টা ছেলের গলায় ঝুলে পরে। অনেকে আবার প্রথম প্রেমিক কে সঙ্গে আনে সন্তান জন্ম দেবার জন্য, প্রথম স্বাদ কিছুতেই ভোলা যায়। এই যাদের চরিত্র তারা আবার অপরকে দোয়াঁচলা বলে গালাগাল দেয়। যা হোক আর নয়, এবার পরিশেষে নজরুল ইসলামের আমার কৈফিয়ত কবিতার কয়েকটি লাইন লিখব, একটু পাল্টে নিয়ে নজরুল ভক্তরা মাপ করে দেবেন কেমন। " রক্ত ঝড়াতে পারি না তো একা, তাই লিখে যাই রক্ত লেখা। যারা দেশ ভাগ করে হাজার হাজার বাঙালির নিল প্রাণ, যারা দু পায়ে মরাল হাজার হাজার বাঙালির লাশ। আমার এই রক্ত লেখায়, লেখা হোক তাদের সর্বনাশ।"
আমি মাইনোরিটি এলাকায় আদম সুমারি করেছি। সেখানে উপস্থিত হলে বলত একজন বাঙালি এসেছে, কী সব লিখবে বলছে। কথা গুলো বলছেন বাংলা ভাষায়, আমি না হয় জানতাম তাদের মাতৃভাষা আরবি, কিন্তু এ দিন যে বলছেন তিনি এপার বাংলার একজন মাছ বিক্রেতা। আমি আগেই লিখেছি, সঠিক শিক্ষার অভাব আছে বিশেষ করে ইতিহাস শিক্ষার, প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে সঠিক ইতিহাস শিক্ষা না হলে, পরিনতি এটাই হবে। আগের কোনো লেখায় লিখেছি, যে প্রাথমিকের পাঠ্যক্রমে অনন্ত তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর আলাদা ইতিহাস বই দেওয়া এবং সেখানে বাংলার সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে হবে, না হলে এসব চিরকাল থাকবে। আমি ধরে নিলাম উনি মাছ বিক্রি করেন অশিক্ষিত কিন্তু আমি আগেই লিখেছি, আবার ও লিখছি। আমার ছোট বেলার বা বিদ্যালয়ে পড়ার সময় উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক থেকে শুরু করে অনেকে বলতেন বাঙাল বাচ্ছা। তারা তো উচ্চ শিক্ষিত, আর এই সব উচ্চ শিক্ষিত মানুষ যদি বলেন তাহলে সাধারণ মানুষ তো বলবেই। বলবেন তুমি গায়ে মাখছ কেন বলছে বলুক কানে শুনতে হয় শুনে নাও উত্তর না দিলেই হবে। আমি এই কথাটা ছোট থেকে শুনেছি, যে বাচ্চা দের বলছে তারা হীনমন্যতায় ভোগে, সমাজে মিশতে পারে না। আমি ভুগেছি, সঠিক ইতিহাস পড়ানো হোক, যেখানে কেবল একটি বা দুটি লাইন নয়, যে দেশ স্বাধীন হলো বাংলা ভাগ হোলো আর ওপার বাংলা থেকে হাজার হাজার মানুষ এপারে চলে এলো, শুধু এইটুকু আমরা পড়েছি, না এটা সঠিক ইতিহাস নয়। এপার বাংলা তথা ভারতের তা বড়ো সব শিক্ষিত নেতা মন্ত্রী দের কাছে আমার প্রশ্ন একবার আয়নায় পিছনের ইতিহাসের দিকে ফিরে দেখুন, তখন কার দিল্লির বড়ো বড়ো কংগ্রেস নেতারা দেশ স্বাধীন করার নামে কী করে ছিলেন? অন্য কোন প্রদেশ কে ভাগ না করে কেবল বাংলা আর পাঞ্জাব কে রক্তাক্ত করা হয়েছিল কেন? কারা বাঙাল জাত তৈরি করল? ক্ষমতা লোভী নেতা যারা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার লোভে আর একজন নিজের পদবী টা যাতে ইতিহাসে থাকে সেই একজন অ-হিন্দু কে দত্তক নিয়ে নিল। এরা তৈরি করে ছিল বাঙাল জাত, এদের হটকারি সিদ্ধান্তের জন্যে লক্ষ লক্ষ মানুষ ভিটে মাটি ছেড়ে কেবল প্রাণ টুকু হাতে নিয়ে এপার বাংলায় এসেছিলেন, তারাই আজ বাঙাল, তারা এপারে এসেও অত্যাচারিত, আজ আসাম বাঙালি দের মেরে তাড়াচ্ছে, কাল মহারাষ্ট্রে বাঙালি তাড়ানো হবে। বাঙালি জাতি আর কত সহ্য করবে, স্বাধীনতার সময় শ্যমাপ্রসাদ মুখার্জী ছিলেন, তিনি একাই এসবের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে, বাঙালি কে কালাপানি পার করে দেওয়া আটকে ছিলেন। আজ তিনি নেই, তাকে একটা বিশেষ দল সরিয়ে দিয়ে ছিল। আর নয় এবার বাঙালি ওঠো জাগো নিজেদের জানান দাও, আমরা সেই মাস্টার দা সূর্য সেন, বীর নেতাজী, ক্ষুদিরাম, রাস বিহারী বসু, কানাইলাল দত্ত, যতীন মুখার্জি ( বাঘা যতীন) এদের বংশধর। আমাদের রক্তে বইছে সেই মহান মায়ের রক্ত যারা পরাধীন ভারতে অস্ত্র শস্ত্রে বলীয়ান ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের ভিত নাড়িয়ে দিয়ে ছিল। যাদের ভয়ে প্রবল পরাক্রমশালী ইংরেজ রা রাজধানী রাতারাতি কলকাতা থেকে দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে ছিল। সেখানে ও বাঙালি তাদের শান্তিতে রাজত্ব করতে দেয়নি। রাস বিহারী বসু ও বসন্ত কুমার বিশ্বাস লর্ড হান্ডিঞ্জ কে হত্যা করার চেষ্টা করেন, বসন্ত কুমার কে ফাঁসি দেওয়া হয়। রাস বিহারী বসু পালিয়ে যেতে সমর্থ হন। তিনি জাপানে পালিয়ে গিয়ে আজাদ হিন্দ বাহিনী গঠন করেন। আর ভগত সিং রাজ গুরু সুখদেও আর বটুকেশ্বর দত্ত ব্রিটিশ পার্লামেন্ট বোমা বিস্ফোরণে অংশ নেন। ভগত সিং দের ফাঁসির সময় গান্ধী বলেছিলেন, এসব লোক দের ফাঁসি দেওয়ার অধিকার ইংরেজ দের আছে। আরো অনেকে অনেক আছে এখানে লিখে শেষ করা যাবে না। সেই সব বাংলা মায়ের দামাল ছেলে দের রক্ত কোথায় গেল? নাকি এক টুকরো রুটি ছুঁড়ে দিয়ে, আপনা কে বলে ভোট দিয়ে দেবেন, আপনি ও সেই রুটি খেয়ে গুটি গুটি পায়ে ভোট দিয়ে আসেন , সেই মহান বাঙালি বীর সন্তানরা এটা চেয়েছিলেন। তারা চিরকাল পরে পরে মার খাও আর এক টুকরো রুটি আর আর এক মুঠো ভাত ফেলে দেবে আর আমরা সে গুলো চেটে পুটে খেয়ে কাছা দুলিয়ে ভোট দিয়ে এসে বাড়িতে ঘুমাব। ভোট দিয়ে এসে নিশ্চিন্তে ঘুম দিতে পারছেন। যতই ভোট দেন আর যাই করুন যতই মন যুগিয়ে চলুন শান্তি তে বাস করতে দেবে না। তার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে, ওপার থেকে প্রাণের ভয়ে এপারে এসেছেন আট চল্লিশ সাল থেকে যে নির্মম হত্যা দেখেছেন। চোখের সামনে নিজের নিকট আত্মীয় কে খুন হতে দেখেছেন। সেই ভয়াবহ দিনে এপার বাংলায় এসেছেন কে কোথায় ছিটকে পড়েছে খোঁজ নিয়েও খুঁজে পাননি। কত মা তার সন্তান হারিয়েছে, কত শিশু অনাথ হয়েছে। কত মেয়ে ধর্ষিতা হয়েছে, তার ঠিক নেই। সেই সময় এক মহাপুরুষ নোয়াখালী গিয়ে ছিলেন মায়া কান্না কাঁদতে। বাঙালি জাগো এপার বাংলার কথায় বাঙাল জাগো, শিব যেমন মহা ধ্যান ভেঙে তাণ্ডব নৃত্য করে ছিলেন, তার শূল নিয়ে, কারণ কী ছিল তার প্রিয় মানুষের মৃত্যু। বুঝিয়ে দিতে হবে আমরা দোয়াঁচলা নয়। কথা টা আমার বিদ্যালয়ের এক দিদি মনির, তাকে যখন জিজ্ঞেস করলাম কথাটার মানে কী তখন তিনি পরিষ্কার উত্তর দিলেন। কথাটার অর্থ জণ্মের ঠিক নেই যাদের তাদের বলা হয়, ওরা নাকি ওপার বাংলার মানুষ কে দোয়াঁচলা বলে থাকে। ভাবুন নিজেদের ডি এন এ স্টেট করলে কি হবে তার ঠিক নেই। আমি তো দেখি এপার বাংলার একশো টা মেয়েই চরিত্র হীন। বিয়ের আগেই শুয়ে পড়ে, কিছু দিনের মধ্যেই এ্যবারশন করে অন্য আরেক টা ছেলের গলায় ঝুলে পরে। অনেকে আবার প্রথম প্রেমিক কে সঙ্গে আনে সন্তান জন্ম দেবার জন্য, প্রথম স্বাদ কিছুতেই ভোলা যায়। এই যাদের চরিত্র তারা আবার অপরকে দোয়াঁচলা বলে গালাগাল দেয়। যা হোক আর নয়, এবার পরিশেষে নজরুল ইসলামের আমার কৈফিয়ত কবিতার কয়েকটি লাইন লিখব, একটু পাল্টে নিয়ে নজরুল ভক্তরা মাপ করে দেবেন কেমন। " রক্ত ঝড়াতে পারি না তো একা, তাই লিখে যাই রক্ত লেখা। যারা দেশ ভাগ করে হাজার হাজার বাঙালির নিল প্রাণ, যারা দু পায়ে মরাল হাজার হাজার বাঙালির লাশ। আমার এই রক্ত লেখায়, লেখা হোক তাদের সর্বনাশ।"
Monday, 5 November 2018
পশ্চিমবঙ্গের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা।
পশ্চিমবঙ্গের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, যা বাম আমলে শুরু হয়েছিল। এবছর ৩৬ তম বর্ষ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।ছোটছোট ছাত্র ছাত্রীরা খেলা ধূলোর করবে। রাজ্য স্তর পর্যন্ত, যাবে কারণ এই প্রতিযোগিতা সর্ব ভারতীয় নয়, হলে ভালো হতো । আমার বক্তব্য অন্য বাম আমল থেকে আমরা মানে আমার মতো বেশ কিছু শিক্ষক বলে আসছে, কী কথা না স্কুল স্তর যেখান থেকে খেলা শুরু হবে, সেই স্তর থেকে চক্র স্তর এমনকি কোনো কোনো ক্ষেত্রে মহকুমা স্তরের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা পর্যন্ত শিক্ষকের চাঁদা তুলে খেলা হয়। আমার মনে পড়ছে বাম আমলে প্রথম চাকরি তে ঢুকে পঞ্চায়েত ও চক্র স্তরের ক্রীড়া প্রতিযোগিতার জন্য চাঁদা দিয়ে ছিলাম ১৫ টাকা, 1990 সাল। আর এখন এই চাঁদা বাড়তে বাড়তে পৌঁছে গেছে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা কোথায়ও ১০০০ টাকা। যখন বাড়ানো হয় তখনই প্রতিবাদ ব্যাস ঐ পর্যন্তই তার পর শিক্ষকরা চাঁদা দিয়ে দেন, কারণ ছোট ছোট ছাত্র ছাত্রীরা খেলায় অংশ গ্রহণ করে সেই জন্য। যখন চক্র স্তরের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা হয় তখন পঞ্চায়েত সমিতি একটা সামান্য টাকা তাদের ফাণ্ড থেকে দেয়, কিন্তু সিঙ্গুর পঞ্চায়েত সমিতি দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে এই টাকা দেয় না। অথচ মাঠে গিয়ে লম্বা চওড়া ভাষণ দিয়ে আসেন। সরকারি টাকা এখন নানা রকম ভাবে বিভিন্ন জায়গায় বরাদ্দ করা হচ্ছে, খালি এই বাচ্ছা রা খেলা ধুলো করবে সেদিকে নেই। আবার একটা বিষয় এখন শিক্ষকের বেতন বাজার দরের তুলনায় অনেক কম, কোথাও কোথাও শিক্ষক শিক্ষিকা দের হেনস্থা করা হচ্ছে, বেতন এতো কম যে তারাদের সাত মাসের বেতন কে বারো মাসে ভাগ করে দেওয়া হয়। আমি জানি না আমার লেখা কারা পড়ছেন, যদি কোন শিক্ষক শিক্ষিকা পড়েন তবে এই চাঁদা দেওয়া বন্ধ করবেন। এই সরকার পূজা কমিটি কে আঠাশ কোটি টাকা দেয়,আর যেসব জায়গায় টাকা বিলিয়ে দেওয়া হয়, সে সব আর লিখছি না,আরও বিভিন্ন জায়গায় টাকা দেওয়া হয় সেসব অনেকে জানেন। আর আর কুড়ি না একুশ টা জেলার জন্য এক কোটি করে টাকা নেই! জেলার সংখ্যা হয়তো সঠিক হয়নি, কারণ এখন প্রতি ভোটের আগে দু চার টে করে জেলা বাড়ে। সরকারি কর্মীদের ও শিক্ষক দের বা আর যেসব কর্মী আছে তাদের বেতন বাড়ানো হয় না। যদি বা বাড়ানো হয় আবার পরে তা কমিয়ে দেওয়া হয়। যেমন হয়েছে আই সি ডি এস কর্মী দের সঙ্গে। এর প্রতিবাদ করে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন তারা ঘটনা টা ঝাড়গ্রাম জেলায় অন লাইন আনন্দ বাজার পত্রিকায় বেড়িয়ে ছিল ।
এই বিক্ষোভ সার সরকারের কোন হেল দোল নেই। কোন আন্দোলন কে এই সরকার গুরুত্ব দেয় না। বামফ্রন্ট সরকারের শেষ দিকে এরকম শুরু হয়েছিল। তবে তারা খেলার চাঁদা দেবেন কি না।
এই বিক্ষোভ সার সরকারের কোন হেল দোল নেই। কোন আন্দোলন কে এই সরকার গুরুত্ব দেয় না। বামফ্রন্ট সরকারের শেষ দিকে এরকম শুরু হয়েছিল। তবে তারা খেলার চাঁদা দেবেন কি না।
আমার গয়া ভ্রমণ, এক বিরল অভিজ্ঞতা।
আমি গত 1-11-2018 গয়া যাবার টিকিট বুক করে ছিলাম। হাওড়া মুম্বই ভায়া গয়া মেলে, আর ফেরার টিকিট বুক ছিল শিপ্রা এক্সপ্রেসে। ফেরার টিকিট. কনফার্ম ছিল না। অবশ্যই অনলাইনে টিকিট বুক করে ছিলাম। 1-11-2018 রাত ৯টা ৫৫ মিনিটে হাওড়া থেকে মুম্বই মেল ছাড়বে, আমরা সন্ধ্যা ৭ টা ২০মিনিটে হরিপাল স্টেশন থেকে ট্রেন করে হাওড়া গিয়ে মেল ধরব। দুপুরে ম্যাসেজ এল ট্রেন ৭ ঘন্টা ২০ মিনিট লেট। মেল ট্রেন টি ছাড়বে 2 - 11-2018 ভোর ৫ টা ১৫ মিনিটে । আমাদের যাওয়ার খুব দরকার ছিল, তাই টিকিট বাতিল না করে হরিপাল থেকে তারকেশ্বর হাওড়া শেষ ট্রেন ধরে হাওড়া গেলাম। সারা রাত প্রায় জেগে, ট্রেনে A-1 কামার রিজার্ভ করা সিটে উঠলাম। মুম্বই মেল ৫ টা ১৫ মিনিটে হাওড়া থেকে ছাড়লো। খানা জংশন পর্যন্ত ট্রেনের গতি ঠিক ছিল, তারপর যে কী হলো বলতে পারছি না । যে স্টেশনে থামার কথা নয় সেখানেও ট্রেন দাঁড়িয়ে পড়ছিল। জানি না চেন টেনে ট্রেন থামানো হচ্ছিল কী না! গাড়ির গতি সে কথা না লেখা ভালো কখনো ৪৫ কিমি সর্বোচ্চ ১১০ কিমি ঘন্টায় মেল যাচ্ছিল। আমাদের পৌঁছে যাবার কথা ছিল বেলা ১১টা ৩৬ মিনিটে পৌঁছলাম দুপুর ১টা ১৫ মিনিটে।
AC 3 টায়ার সব টিকিট আছে কিন্তু আমরা টিকিট বুক করতে পারছি না। যতটা সম্ভব এই ট্রেন টি গয়া আসার কথা ২-১১-২০১৮ ভোর ৩ টে ১০ মিনিটে। দুজনে মিলে অনেক চেষ্টা করেও টিকিট বুক করতে পারছিলাম না। এই হতাশার মধ্যে দুজনে মিলে গিয়ে জেনারেল কামরার টিকিট কেটে আনলাম। তারপর ও অনেক চেষ্টা করলাম কিছুতেই 2-11-2018 ভোরের বা 3-11-2018 সকালের AC ওয়ান, টু এবং থ্রি যাই বলুক কোনো টিকিট বুক করতে না পেরে হতাশ হয়ে, রাত ১১টা ১০ মিনিটের ডাউন ট্রেন ধরতে বলে দু নম্বর স্টেশনে এলাম। একটা চিন্তা হচ্ছিল আমার বড়ো ছেলে সাথে ছিল ও একটু গরম সহ্য করতে পারে না। এখানে বলি রাত ১১টা ১০ মিনিটের ট্রেন গয়া এলো ১২টা ৪৫ মিনিটে। ঘেমে চান করে যায় এবং খুব অসুস্থ হয়ে পড়ে। ভয়ে ভয়ে ওকে নিয়ে জেনারেল কমপারমেন্টে উঠলাম। যথারীতি বসার জায়গা নেই, দাঁড়াবার জায়গা ও ঠিক মত নেই। দুজনে উঠে প্রসাবের গন্ধ শুঁকতে শুঁকতে আসছি, আর ছেলে কে বাপি একটু কষ্ট করে দাঁড়িয়ে থাক ধানবাদ এলে ঠিক বসার জায়গা পাব। যে সময়ে ধানবাদ আসার কথা এলো তার দু ঘন্টা পর। কারণ মাঝে মাঝে চেন টেনে ট্রেন দাঁড় করিয়ে মানুষ নেমে যাচ্ছিল। সত্যিই ধানবাদে বসার জায়গা পেলাম। টিকিট কেটে ছিলাম বর্ধমান পর্যন্ত, কারণ কষ্ট টা কম করার জন্য, বর্ধমানে নেমে দৌড়ে গিয়ে বড় পুত্র টিকিট কেটে নিয়ে এলো কর্ড বর্ধমান ট্রেনে কামার কুণ্ডু আসার। কারণ যোধপুর এক্সপ্রেস বর্ধমান ঢুকে ছিল লেটে তখন বর্ধমান কর্ড ফার্স্ট ট্রেন ছাড়ার ঘোষণা হচ্ছিল। যাহোক ধন্যবাদ ভারতীয় রেল, তোমার এতো সুন্দর ব্যবস্থাপনা খুব ভালো লাগলো।
কাজ মিটিয়ে ফেরার সময়ে ঘটল আরেক বিপত্তি। আগেই বলেছি ফেরার টিকিট কনফার্ম ছিল না। টিকিট ছিল শিপ্রা এক্সপ্রেসে ১ ও ২ নং ওয়েটিং লিস্টটে। মাঝখানে উঠার স্টেশনে একই ভাবে শিপ্রা এক্সপ্রেসের A-1 কমপারমেন্টে, এবং বিকল্প আরও সাত টি ট্রেনের নাম দেওয়া ছিল। যখন আসতে দু ঘন্টা বাকি তখনও অনলাইন দেখাচ্ছে কনফার্ম হওয়ার সুযোগ ৮৭ % কিন্তু যে চার্ট ডিসপ্লে হচ্ছিল সেখানে শিপ্রা এক্সপ্রেসের ডিসপ্লে হচ্ছিল না। ছেলে এদিকে ওদিকে দেখতে লাগলো নেট সার্চ করতে যাচ্ছি নেটওয়ার্ক নেই। মুখ্য টিকিট পরীক্ষক কে জিজ্ঞেস করল তিনি বলেন ট্রেন লেট আছে, আপনাদের ও টিকিট বাতিল হয়ে গেছে। আপনারা জেনারেল টিকিট কেটে চলে যান। অনেক কষ্টে যখন নেটওয়ার্ক এলো আমরা চেষ্টা করছি পরের দিনের ভোরের কোনো টিকিট অনলাইন বুক করতে। কারণ ঐ রাতে স্টেশনের কাউন্টারে রিজার্ভেশন টিকিট কাটা যাবে না। অনলাইনে দেখলাম একটা (নামটি এখন ঠিক মনে করতে পারছি না) মেলে কলকাতা অর্থাৎ চিৎপুর স্টেশনে আসবে সেই মেলে
Thursday, 1 November 2018
স্বাধীনতার সত্তর বছর পরেও আমরা পরাধীন।
স্বাধীনতার সত্তর বছর পরেও আমরা পরাধীন। একথা লিখছি কারণ আমাদের দেশ, আজও শিক্ষায় পিছিয়ে অর্থনৈতিক ভাবে পিছনে, কারণ এখনো আমাদের সেই জ্ঞান আসেনি আমি যা উপায় করি তার একটা অংশ সারা বছর পর ট্যাক্স বা কর হিসেবে দিতে হয়। যা দিয়ে দেশের উন্নয়নের কাজে লাগবে। আমরা সর্ব কিছুতেই পর নির্ভরশীল হব না। শিক্ষা, শিল্প, আধুনিক টেকনোলজি বা টেকনিক্যাল বা কারিগরি শিক্ষা সব কিছুতেই আমরা পরাধীন।
টেকনোলজি যুক্ত যে কোন জিনিস কিনতে যান সব বিদেশী। অথচ আমরা চাঁদে, মঙ্গল গ্রহে যন্ত্র পাঠাচ্ছি। স্যাটেলাইট বা কৃত্রিম উপগ্রহ মহাকাশে যাচ্ছে। আধুনিক মিশাইল তৈরী করা হচ্ছে, কিন্তু মোটরবাইক বা চার চাকা গাড়ির প্রযুক্তি বিদেশী। ভালো সুতোর পোশাক পরবেন বিদেশে তৈরী। সুঁচ থেকে রেল ইঞ্জিন ভালো করতে হবে সেই বিদেশের উপর নির্ভর করতে হবে। একটি কম্পিউটার কিনবেন বিদেশে তৈরী, সামান্য কম দামে মোবাইল ফোন কিনতে যান। মোবাইল ভারতের তৈরি হলেও প্রযুক্তি বিদেশী। আর এব্যাপারে চীন পিছনে ফেলে দিয়েছে সকল কে ভারতের বাজারে ছেয়ে ফেলেছে চীনা প্রযুক্তির মোবাইল। এই আমি যে মোবাইল টি ব্যবহার করে লিখছি সেটা চীনের প্রযুক্তি। জানি না কারখানা টা কোথায়, ভারতে না চীনে। এতো স্যাটেলাইট পাঠানো হয়েছে সেখানে জিও আসার আগে নেট সার্চ করা ভাবা যেতো না। মাসে ২০০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকা খরচ করে নেট পাওয়া যেত এক থেকে দুই জিবি এক মাসের জন্য। আর সার্চ ইঞ্জিন সেই গুগুল যা বিদেশী, এখন শুনছি ইউ সি সার্চ ইঞ্জিন আছে চীনের তৈরী। তা নয় আমরা সকাল থেকে শুতে যাবার আগে যেসব জিনিস ব্যবহার করি তার বেশির ভাগই চীনের তৈরী। তাহলে আমার দেশের আছে টা কী? যদি সত্যি এতো উপগ্রহ পাঠিয়ে থাকে এবং ভারতীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিজ্ঞানীরা তৈরী করে থাকেন, তাহলে একটা নেট সার্চ ইঞ্জিন তৈরি করতে পারে না কেন? যে টাকে মনে হয় অনেকে ব্রাউজার বলেন। এই যে আমি ব্লগ লিখছি এটাও গুগুলের, আমার দেশের এরকম কোন ব্রাউজার আছে যে খানে বিনা পয়সা বা খরচে আপনি ব্লগ লিখতে পারেন বা পত্রিকা লিখতে পারেন না নেই। একটা যে কোন ভারতীয় ভাষার নিউজ ওয়েব সাইট খুলতে যান, সার্চ ইঞ্জিন বা ব্রাউজার সেই গুগুল। ইউটিউব হোয়াটসএ্যাপ সব গুগুলের ক্রোম ব্রাউজার ব্লগতৈরি করতে গেলে লাগে ব্লগস্পট ডটকম এই সব গুগুলের। আমি দেখেছিলাম অনেক ব্লগে বা ব্লগ ওয়েব সাইটে গুগুল এ্যডসেন্স বিজ্ঞাপন দেয়। সে খান থেকে সামান্য কিছু টাকা ব্লগ লেখক বা ওদের ভাষায় পাবলিশার্স কে দেওয়া হয়। অনেক শর্ত আছে সে জন্য যদি দেখা যায় ওদের নির্ধারিত টাকার থেকে বেশি হয়ে গেছে তবে সেই ব্লগ সাইট থেকে এ্যাড তুলে নেয়। ব্লগার হয়তো জানেন না কে করেছেন তবুও তার শাস্তি এবং তার আগের যে সব আয় হয়েছে সব বন্ধ। পারলে ব্লগ লেখক বা পাবলিশার্স কে ফাঁসি দিয়ে দেবেন, এরকম ই মেইল আসে।
কারণ সে জানে আমি নেট দুনিয়ার একা একটি বিজ্ঞাপন কোম্পানি। একচেটিয়া কারবার আমার কাছে কেউ নেই, ভারত সরকার ও তো তুচ্ছ, কারণ ভারতের এরকম কোনো প্রতিযোগী বা প্রতিষ্ঠান নেই আর হবে না। এরকম প্রতিষ্ঠান করতে হলে ভারত সরকার যে ট্যাক্স নেয় সেটা দিয়ে, এবং প্রথম শুরু করতে যে টাকা খরচ করতে হবে বিদেশের প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে। সে রকম কেউ নেই, ভারত সরকার ভারতীয় দের কম সুযোগ দেয়। বিদেশী রা যত তাড়াতাড়ি ঐ সুযোগ পায় যদি কোনো ভারতীয় আবেদন করে তাহলে সে যদি কুড়ি বছর বয়সে আবেদন করে, আবেদন মঞ্জুর হতে হতে তার বয়স হবে পঞ্চাশ বছর। এসব দেখে আমার মনে হয়, তাহলে ভারত যে এতো উপগ্রহ পাঠিয়েছে ও মঙ্গল যান চন্দ্র যান পাঠানো হচ্ছে অমার মনে সব কিছু বিদেশী শুধু ভারতীয় ছাপ দেওয়া হচ্ছে। ভারত এখনো স্বাধীন নয়, সব কিছুতেই বিদেশের উপর নির্ভর করতে হচ্ছে। তাহলে এই শিক্ষা ব্যবস্থা এত বিশ্ববিদ্যালয়ের এতো কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয়ের দরকার নেই। অভিভাবকেরা এতো টাকা খরচ করে ছেলে মেয়েদের যে কারিগরি শিক্ষা দিচ্ছেন তাহলে কোথায় যাচ্ছে সে সব প্রযুক্তি কোথায় গেল।
ওসব করতে হলে যত টাকা খরচ আম ভারতীয়র নেই, যদি কোনো শিল্পপতি করেন তবে হবে, আবার তিনি যদি আম জনতা ব্যবহার করতে পারেন এরকম ব্যবস্থা করেন যেমন গুগুল করে ফ্রি তে, কিন্তু আমি জানি তিনি ভারতীয় শিল্প পতি তিনি যে টাকা ট্যাক্স দিতে হবে সেটার থেকেও বেশি নেবেন, যাতে আম জনতা ব্যবহার করতে না পারেন। এই জন্য আমার ঐ হেডিং স্বাধীন হয়েও আমরা পরাধীন।
টেকনোলজি যুক্ত যে কোন জিনিস কিনতে যান সব বিদেশী। অথচ আমরা চাঁদে, মঙ্গল গ্রহে যন্ত্র পাঠাচ্ছি। স্যাটেলাইট বা কৃত্রিম উপগ্রহ মহাকাশে যাচ্ছে। আধুনিক মিশাইল তৈরী করা হচ্ছে, কিন্তু মোটরবাইক বা চার চাকা গাড়ির প্রযুক্তি বিদেশী। ভালো সুতোর পোশাক পরবেন বিদেশে তৈরী। সুঁচ থেকে রেল ইঞ্জিন ভালো করতে হবে সেই বিদেশের উপর নির্ভর করতে হবে। একটি কম্পিউটার কিনবেন বিদেশে তৈরী, সামান্য কম দামে মোবাইল ফোন কিনতে যান। মোবাইল ভারতের তৈরি হলেও প্রযুক্তি বিদেশী। আর এব্যাপারে চীন পিছনে ফেলে দিয়েছে সকল কে ভারতের বাজারে ছেয়ে ফেলেছে চীনা প্রযুক্তির মোবাইল। এই আমি যে মোবাইল টি ব্যবহার করে লিখছি সেটা চীনের প্রযুক্তি। জানি না কারখানা টা কোথায়, ভারতে না চীনে। এতো স্যাটেলাইট পাঠানো হয়েছে সেখানে জিও আসার আগে নেট সার্চ করা ভাবা যেতো না। মাসে ২০০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকা খরচ করে নেট পাওয়া যেত এক থেকে দুই জিবি এক মাসের জন্য। আর সার্চ ইঞ্জিন সেই গুগুল যা বিদেশী, এখন শুনছি ইউ সি সার্চ ইঞ্জিন আছে চীনের তৈরী। তা নয় আমরা সকাল থেকে শুতে যাবার আগে যেসব জিনিস ব্যবহার করি তার বেশির ভাগই চীনের তৈরী। তাহলে আমার দেশের আছে টা কী? যদি সত্যি এতো উপগ্রহ পাঠিয়ে থাকে এবং ভারতীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিজ্ঞানীরা তৈরী করে থাকেন, তাহলে একটা নেট সার্চ ইঞ্জিন তৈরি করতে পারে না কেন? যে টাকে মনে হয় অনেকে ব্রাউজার বলেন। এই যে আমি ব্লগ লিখছি এটাও গুগুলের, আমার দেশের এরকম কোন ব্রাউজার আছে যে খানে বিনা পয়সা বা খরচে আপনি ব্লগ লিখতে পারেন বা পত্রিকা লিখতে পারেন না নেই। একটা যে কোন ভারতীয় ভাষার নিউজ ওয়েব সাইট খুলতে যান, সার্চ ইঞ্জিন বা ব্রাউজার সেই গুগুল। ইউটিউব হোয়াটসএ্যাপ সব গুগুলের ক্রোম ব্রাউজার ব্লগতৈরি করতে গেলে লাগে ব্লগস্পট ডটকম এই সব গুগুলের। আমি দেখেছিলাম অনেক ব্লগে বা ব্লগ ওয়েব সাইটে গুগুল এ্যডসেন্স বিজ্ঞাপন দেয়। সে খান থেকে সামান্য কিছু টাকা ব্লগ লেখক বা ওদের ভাষায় পাবলিশার্স কে দেওয়া হয়। অনেক শর্ত আছে সে জন্য যদি দেখা যায় ওদের নির্ধারিত টাকার থেকে বেশি হয়ে গেছে তবে সেই ব্লগ সাইট থেকে এ্যাড তুলে নেয়। ব্লগার হয়তো জানেন না কে করেছেন তবুও তার শাস্তি এবং তার আগের যে সব আয় হয়েছে সব বন্ধ। পারলে ব্লগ লেখক বা পাবলিশার্স কে ফাঁসি দিয়ে দেবেন, এরকম ই মেইল আসে।
কারণ সে জানে আমি নেট দুনিয়ার একা একটি বিজ্ঞাপন কোম্পানি। একচেটিয়া কারবার আমার কাছে কেউ নেই, ভারত সরকার ও তো তুচ্ছ, কারণ ভারতের এরকম কোনো প্রতিযোগী বা প্রতিষ্ঠান নেই আর হবে না। এরকম প্রতিষ্ঠান করতে হলে ভারত সরকার যে ট্যাক্স নেয় সেটা দিয়ে, এবং প্রথম শুরু করতে যে টাকা খরচ করতে হবে বিদেশের প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে। সে রকম কেউ নেই, ভারত সরকার ভারতীয় দের কম সুযোগ দেয়। বিদেশী রা যত তাড়াতাড়ি ঐ সুযোগ পায় যদি কোনো ভারতীয় আবেদন করে তাহলে সে যদি কুড়ি বছর বয়সে আবেদন করে, আবেদন মঞ্জুর হতে হতে তার বয়স হবে পঞ্চাশ বছর। এসব দেখে আমার মনে হয়, তাহলে ভারত যে এতো উপগ্রহ পাঠিয়েছে ও মঙ্গল যান চন্দ্র যান পাঠানো হচ্ছে অমার মনে সব কিছু বিদেশী শুধু ভারতীয় ছাপ দেওয়া হচ্ছে। ভারত এখনো স্বাধীন নয়, সব কিছুতেই বিদেশের উপর নির্ভর করতে হচ্ছে। তাহলে এই শিক্ষা ব্যবস্থা এত বিশ্ববিদ্যালয়ের এতো কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয়ের দরকার নেই। অভিভাবকেরা এতো টাকা খরচ করে ছেলে মেয়েদের যে কারিগরি শিক্ষা দিচ্ছেন তাহলে কোথায় যাচ্ছে সে সব প্রযুক্তি কোথায় গেল।
ওসব করতে হলে যত টাকা খরচ আম ভারতীয়র নেই, যদি কোনো শিল্পপতি করেন তবে হবে, আবার তিনি যদি আম জনতা ব্যবহার করতে পারেন এরকম ব্যবস্থা করেন যেমন গুগুল করে ফ্রি তে, কিন্তু আমি জানি তিনি ভারতীয় শিল্প পতি তিনি যে টাকা ট্যাক্স দিতে হবে সেটার থেকেও বেশি নেবেন, যাতে আম জনতা ব্যবহার করতে না পারেন। এই জন্য আমার ঐ হেডিং স্বাধীন হয়েও আমরা পরাধীন।
Subscribe to:
Posts (Atom)