Friday, 16 November 2018

কলকাতার ছোট ছবি বা তথ্য চিত্র প্রদর্শনী।

ছবি টি অন লাইন আনন্দ বাজার পত্রিকায় থেকে নেওয়া।কলকাতা এমন সুন্দর একটা তথ্য চিত্র প্রদর্শনী সত্যিই অনেক দিন দেখেনি। কত বড়ো বড়ো মানুষ অভিনেতা সেখানে উপস্থিত। এই রকম উৎসব মেলা আরও আয়োজন করা হোক। এসব উৎসব খুব উপকার করে সমাজের পরিবর্তন আনতে, সমাজ তথা মানুষ জন অনেক কিছু শিখতে পারে। তবে এখন নেটের যুগ ইউটিউব খুললেই নানা রকম ভিডিও দেখতে পারেন। আমার মনে হয়, যে তথ্য চিত্র বা শর্ট ফিল্ম দেখানো হচ্ছে, সে গুলো ইউটিউবে আপলোড করে দিলে অনেক লোক দেখতে পাবে।
উৎসব আমাদের রাজ্যের খুব উপকার করে। আমার একটা জিজ্ঞাসা আছে ওখানে কীএই তথ্য চিত্র দেখানো হচ্ছে? দু টাকা কিলো চাল আর একশ দিনের কাজ কাজ প্রকল্প থাকতে চা বাগান আর পুরুলিয়ায় শ্বর জন গোষ্ঠী মানুষ না খেয়ে মারা যাচ্ছে। আজ অন লাইন আনন্দ বাজার পত্রিকায় পড়লাম, মল্লিকা রায় চৌধুরী একটি তথ্য চিত্র "মা" দেখানো নিয়ে একটা গুঞ্জন উঠেছে। এই তথ্য চিত্র টি নাকি কন্যাশ্রী রূপশ্রী আরও যে সব শ্রী নিয়ে তৈরী। আমি একটা কথা মনে পড়ে গেল ঐ তথ্য চিত্রে আমার যতদূর মনে পড়ে পার্কষ্ট্রীট না অন্য কোন ধর্ষণ কাণ্ডের পর, ধর্ষিতার রেট ঠিক করে দেওয়া হয়ে ছিল। কে কত টাকা পাবে ১০, ২০,৩০ হাজার এটাকে কী ধর্ষণ শ্রী বলে দেখিয়েছেন ? আচ্ছা চপ শিল্প, মদ শিল্প, বোমা শিল্প, আর রাস্তা ঘাট তৈরি ক্লাব গুলো কে টাকা দেওয়া, মাটি উৎসব, জল উৎসব, খাদ্য মেলা, টাকা দিয়ে কলেজে ভর্তি, প্রিয় মুখ্যমন্ত্রী কন্যাশ্রী পঁচিশ হাজার টাকা দেন কলেজে পড়ার জন্য। সত্যিই অনেকেই ঐ টাকা কাজে লাগিয়েছে। কলেজে অনেক ভাইপো আছে তারা টাকা টা নিয়েছে । ভর্তির শেষের দিকে অবশ্য কলেজে পৌঁছে গিয়েছেন টাকা নেওয়া বন্ধ করার জন্য। পঁচাত্তর শতাংশ টাকা তখন চলে গেছে, যথা স্থানে আর ফেষ্টিভেলের মাথায় তার তো কথাই নেই। খুব ভালো লোক, ওনার কাছে অনেক কিছু শেখার আছে, কী ভাবে অনেক গুলো বিয়ে করতে হয়। শুধু উনি কেন টালিগঞ্জের প্রায় সমগ্র চলচ্চিত্র জগৎ আজ ঐ দিকে।  এরা নাকি সমাজ কে শিক্ষা দেন সিনেমা বা চলচ্চিত্রের মাধ্যমে। কী শিক্ষা দেন তাহলে, টাকার লোভে সত্য কে বিসর্জন দিতে হবে। একবার এম পি এম এল এ হলে, সারা জীবন বসে বসে পেনশন পাওয়া যাবে। যে রাজ্যে না খেতে পেয়ে মানুষ মারা যাচ্ছে, অভাবের তাড়নায় তিন তলা বা পাঁচ তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। সপরিবারে বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হচ্ছে। কৃষক ঋণ শোধ করতে না পেরে আত্মহত্যা করেছেন। কারণ দু হাজার টাকা এক প্যাকেট সার আর আরও কয়েক হাজার টাকা বীজ কিনে ফসল করে জলের দরে বিক্রি করতে বাধ্য হন। আবার চিটফাণ্ডে টাকা রেখে সর্বশান্ত মানুষ গুলো যে কারণে কত এজেন্ট আত্ম হত্যা করে ফেলেছেন। সত্যি বাদীর দল সত্যি কথা বলতে পেরেছে কে কত টাকা নিয়েছে। আজ পাঁচ বছর হয়ে গেল টাকা ফেরতের নাম করে ভুয়ো চেক দেওয়া, কেউ এসব নিয়ে ছবি তৈরি করে না। এরা নাকি সমাজ কে শিক্ষা দিতে সিনেমা তৈরি করে, সে শিক্ষা তাহলে কি টাকার জন্য যা খুশি তাই করতে পারে। লেখাপড়া শেখ চাকরির দাবি করো না, চাকরির করতে চাও ঘুষ দাও, তাও কেমন চাকরি পাঁচ হাজার টাকা বেতন চুক্তি ভিত্তিতে, কাগজে ঘোষণা করা হবে বেতন বাড়ানো হবে। টিভি ফেটে যাবে সেই বেতন বৃদ্ধি নিয়ে  কিন্তু বাস্তবে তার দেখা নেই । এই সব পেটয়া আর অন্যায়ের কাছে বিক্রি হওয়া চ্যানেল গুলো জানে না, বাজার সচল রাখতে টাকার যোগান দরকার , আর সেই টাকা সরাসরি কর্মী দের বেতনের মাধ্যমে বাজারে যোগান দেওয়া হয়। এমন ভাবে এই সব টিভি চ্যানেল প্রচার করে যে যাতে করে সাধারণ মানুষ সরকারি কর্মীদের উপর ক্ষেপে যায়। আর এই সব চলচ্চিত্র অভিনেতা নিজের আখের গোছানোর জন্য অন্যায় কে অন্যায় বলতে পারে না। সাধারণ মানুষ মরছে মরুক আমার টাকা পেলেই হবে।
সাধারণ মানুষের কাছে আমার অনুরোধ এদের কে বয়কট করুন। এদের অভিনিত চলচ্চিত্র, সিরিয়াল, এবং এদের টিভির যে চ্যানেল যে ভাবে দেখাক টিভির চ্যানেল টি স্কিপ করে দিন, এরা আর যাই করুক সে গুলো দেখবেন না। কিছু কিছু চ্যানেলে কেউ কেউ এ্যঙ্কারিং করে এদের সেই অনুষ্ঠান দেখবেন না।
আসুন সকলে মিলে এই সব সিনেমা বয়কট করুন।








No comments:

Post a Comment