Monday, 12 November 2018

প্রিয় শিক্ষা মন্ত্রীর শিক্ষার উন্নতি।

পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা মন্ত্রীর সঙ্গে আমি একমত শিক্ষার এত উন্নতি এবং শিক্ষকদের এতো টাকা বেতন কোনো দিন হয়নি। শিক্ষক দের বদলি, সঠিক ভাবে শিক্ষক নিয়োগ কত কিছু হচ্ছে। শিক্ষক বদলি শুধু নেতা কে খুশি করলেই হবে। নতুন   শিক্ষক যদি  বাড়ির কাছে নিয়োগ চাইলে একরকম, আর একটু দূরে বা শুধু নিয়োগ চাইলে ও নেতাদের একটু খুশি করে মিষ্টির প্যাকেটে দিতে হবে, ব্যস তাহলে কেল্লাফতে। বাম আমলে দেখেছি নেতারা যখন তখন স্কুলে আসতেন যেতেন। আর এখন শিক্ষা সেল করলে স্কুল না এলেও হবে। অন্য শিক্ষকরা কিছু বলে, তার কোথায় বদলি হবে বা সাময়িক বরখাস্ত করা হবে, তার ঠিক নেই। আরো কটা কথা ছাত্র দের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি পাঁচ বছর হতে হবে, এটা আগেও ছিলো, তবে তফাৎ হচ্ছে জণ্ম তারিখ জানুয়ারি দু তারিখ হলে ভর্তি করা যাবে না। উদাহরণ সরূপ বলি এবছর কোনো ছাত্র ছাত্রী প্রাক প্রাথমিকে ভর্তি হতে এলো, তার বয়স হতে হবে, 5+ জণ্ম তারিখ হতে হবে, ৩১ শে ডিসেম্বর ২০১৪ বা ১ লা জানুয়ারি ২০১৫ যদি ২/১/২০১৫ হয়েছে তাহলে আর ভর্তি করা যাবে না। আরো কতগুলো উন্নতি প্রাক প্রাথমিকে ভর্তি হলো বই কুটুম কাটাম যারা কেজি ওয়ান এ ইংরেজি বাংলা গনিত পড়ে এসেছে, যাদের মেধা বিষয় ভিত্তিক নিতে পারে, তারা পড়বে মজারু আর ঐ বই এই জন্য আজ কাল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনেক অভিভাবক ছাত্র ভর্তি করে না। এক বয়সের কড়াকড়ি আর বই এর ঐ ছিরি। আজ অনেক মিডিয়া অনেক সমীক্ষা করে থাকে, এই সমীক্ষা করুন এই জানুয়ারি তে কতজন ছাত্র ছাত্রী প্রাক প্রাথমিকে ভর্তি হলো আর কতো জন বেসরকারি বিদ্যালয়ে। আমি আগেও লিখেছি যে পাঠ্যপুস্তক এবং পাঠ্যক্রম পরিবর্তন করতে হবে, সে সম্পর্কে আগে আমার লেখা আছে। আর অনুদান প্রাক প্রাথমিক শ্রেণীর জন্য ঐ বই ছাড়া কোনো টাকা নেই, এমনকি আগে প্রতি মাসে পঞ্চাশ টাকা করে খুচরা খরচের টাকা দেওয়া হতো প্রধান শিক্ষক শিক্ষিকা দের, এখন মানে ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর থেকে সেটা বন্ধ একটা চকের প্যাকেট তাও প্রধান শিক্ষক নিজের টাকায় কেনেন, শুধু চক নয় বিদ্যুতের বিল, আর নানা রকম অনুষ্ঠান ও দিবস পালন করতে গিয়ে ছাত্র ছাত্রীদের মিষ্টি মুখ করা, বিদ্যালয় স্তরের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা থেকে শুরু করে চক্র স্তর শিক্ষকের চাঁদা। বর্তমান রাজ্য সরকারের রাজ্যের এতো উন্নতি করছেন, কত জায়গায় টাকা দিচ্ছেন। জনগণের ট্যাক্সের টাকা ও যেমন ভাবে খরচ করা যায়। ক্লাব গুলো কে দেওয়া যায়, ধর্ষিত হলে রেট করে টাকা দেওয়া যায়। পুজো কমিটির জন্য দিয়ে দেওয়া যায়, সরকারি কর্মীদের এবং শিক্ষকদের ডিএ ও বেতন দেওয়া যায় না, পে কমিশন দেওয়া যায় না, অথচ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক দের চাঁদায় খেলা করতে হবে একেমন কথা। বাম আমলে এতো লোক এতো সুযোগ পায়নি, বিভিন্ন ভাবে টাকা পায় নি, সেই জন্য বলছি এই সরকার যদি শিক্ষকদের চাঁদায় খেলা করে সে তো লজ্জার। যে সব শিক্ষক বলছেন সমর্থন করছেন বলছেন চাঁদা দেবেন, ভয়ে বলছেন না হলে এই আমলে অন্য ভাবে চাকরি তে ঢুকেছেন, সেই কারণে বলছেন। ভাবছেন সাময়িক বরখাস্ত করে দেবে বদলি করে দেওয়া হবে, বেতন বন্ধ করে দেওয়া হবে। ভয় খাওয়া টা সঙ্গত, কারণ বর্তমান রাজ্য সরকারের প্রতিশোধ নেবার মানসিকতা বেশি বাম আমলে আন্দোলন হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে বহু আন্দোলনে আমি অংশ নিয়েছি, কিন্তু সেই সরকার এতো প্রতিশোধ নিতে যেতেন না। এই সব কারণে অনেক শিক্ষক ভয়ে সমর্থন করে চলেছে তারাই বলছে চাঁদা দেবে বলছে। এই রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন মুরগি চোর ধরে এমন কেস সাজায় তার ফাঁসি অনিবার্য, আর জনগণের কোটি কোটি টাকা লুঠ করে নেতা মন্ত্রী হলে তাদের টিকি ছুঁতে ভয় পায়। তবে চিন্তার কিছু নেই, বাম আমলের শেষ দিক গুলো ঠিক এ গুলো ঘটে চলেছিল। বর্তমান রাজ্য সরকারের অনেক বলতেন পুলিশ দল দাসে পরিনত হয়েছে, এখন তো দল দাস নয় কেবল ঝাণ্ডা ধরতে বাকী। তারাও বেতন পে কমিশন থেকে বঞ্চিত ওতে কী হয়েছে, ওসব সামান্য ব্যাপার। আর বেশি লেখা মনে হচ্ছে না কেউ পড়বেন, আমি জানি না কজন আমার লেখা পড়েন, তবে যে ক'জন শিক্ষক পড়বেন তাদের বলছি, ভয় নয় নিজের অস্তিত্ব রক্ষার তাগিদে, এবং যারা বেতন না বাড়িয়ে ডিএ না দিয়ে আমাদের বঞ্চিত করছে, তাদের কোনো আর্থিক   সাহায্য করবেন না।

No comments:

Post a Comment