আমি একজন ভারতীয় তবুও বলছি, যে ভারতের স্বপ্ন বিবেকানন্দ থেকে বিভিন্ন মহাপুরুষ বলে গেছেন, তারা এই ভারতের এই রূপ চাননি। একটা দেশ এক দেশের আমরা অধিবাসী কিন্তু ছবি টি দেখলে বুঝতে পারবেন এরা দীর্ঘ দিন খেতে পায় নি। এরা আজ ভারতের বুকে বেশি সংখ্যক মানুষ যারা একবেলা খেতে পায় আবার কোথাও কোন দিন জোটে না। আমি জানি না এরা ভোট দিতে পারেন কিনা ? আমি ধরে নিচ্ছি এরা ভোট দিয়ে সরকার তৈরী করতে সাহায্য করল। যারা ভোট পেয়ে নির্বাচিত হলেন, সরকার তৈরী করলেন। সেই সরকারের দায়িত্ব থাকে কিনা সকল জনগণ তিন বেলা না হোক, দুবেলা দুমুঠো খেয়ে ঘুমতে যাক। স্বাধীনতার পর সংবিধানের অনেক ধারা উপধারা আছে অনেক সংরক্ষণ আছে, সে সব সুবিধা ওদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কথা যাদের তারা রইল নিস্ক্রিয়। এর আগের লেখায় লিখেছি, নেতারাও সিদ্ধান্ত নিলেন সংবিধানের অন্তর্ভুক্ত হলো, কিন্তু যে স্থানীয় নেতা এবং অফিসার কার্যকর করবেন তিনি তার দায়িত্ব পালন করলেন না।
স্বাধীনতার সত্তর বছর পরেও আমরা বিভিন্ন খবরের কাগজ পত্র পড়ে জানতে পারি, দেশের মোট সম্পদের আশি শতাংশ ভারতের পঁচিশ শতাংশ মানুষের দখলে। বাকি পঁচাত্তর শতাংশ মানুষ কুড়ি শতাংশ ভোগ দখল করে। স্বাধীনতার সময় সংবিধানে সংরক্ষণ করা এবং শিক্ষা সকলের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। স্বাধীনতার সত্তর বছর পরেও এরা অনেক কিছু থেকে বঞ্চিত। তার একমাত্র কারণ যারা ক্ষমতা দখল করে ইতিহাসের পাতায় নাম তুলতে ব্যস্ত ছিলেন। তারা ঘোষণা করে সেই সব প্রচারের মাধ্যমে বার বার ক্ষমতা দখল করে গেছেন, কোনো কাজ করেন নি। আমরা এখনও দেখি সেই ট্যডিশন বা তার ধারাবাহিকতা চলছে। আমাদের বা এদের ভোট নিয়ে নেতা মন্ত্রী হলেন, ভুলে গেলেন প্রতিশ্রুতির কথা। তিনি বছর বছর বাড়ির তলা বাড়িয়ে চলেছেন, গাড়ির সংখ্যা বাড়ছে স্বনামে বেনামে সম্পত্তি বাড়ছে, আর এসব কাজ যে সব সরকারি অফিসারের করার কথা তারাও হাত গুটিয়ে বসে আছেন, নেতার ভয়ে বা উপর ওলার ভয়ে। একটা আশ্চর্য বিষয় যখন দেখা যাচ্ছে কোন অঘটন ঘটছে, সে কেউ না খেতে পেয়ে মারা যান তখন সেই অফিসার দল বল নিয়ে হাজির, তাদের খবর নেওয়ার জন্য। নেতারা ভালো মন্দ রান্না করে খাওয়াচ্ছেন, কিন্তু কী আশ্চর্য সরকারের ব্যবস্থা আছে একশো দিনের কাজ প্রকল্প, যদিও সঠিক লোক কাজ পায় না। আবার কাজ না করে অনেকের ব্যাঙ্কের খাতায় টাকা আসে, তাতে নেতারা ভালো ভাগ পায়। এরা গরিব মানুষ এরা হয়তো ভাগ দেয় না, আবার দেখা যাবে এদের হয়তো জব কার্ড নেই। সরকারি প্রকল্পের দু টাকা কিলো চাল পাওয়ার কথা, দেখা যাবে সেই দু টাকা কেন দু পয়সা তাদের নেই। দোষ কার এসব সরকারের প্রকল্পের সুযোগ এদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব কাদের প্রথম যাদের কথা আসে তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটে জিতে নেতা বা ঐ দলের যারা ভোটের সময় মানুষ কে ভোট দিতে বলেছেন। এই সব নেতারা সঠিক তথ্য দেবেন, বা সরকার তার অফিসের লোক দিয়ে তথ্য সংগ্রহ করে সঠিক পদক্ষেপ নেবেন। দায়িত্ব থেকে যায় ঐ এলাকার সরকারি অফিসার দেরও, এই তারা এড়িয়ে যেতে পারেন না। সকলে সঠিক ভাবে দায়িত্ব না পালন করলে, বাম আমলে আমলাশোল আর এই সরকারের আমলে পূর্ণপাণি মতো ঘটনা ঘটে যাবে যত্রতত্র। সরকারি প্রকল্পের সুবিধা সঠিকভাবে ঠিক ঠাক মানুষ কে পৌঁছে দিতে নেতা মন্ত্রী দের যেমন দল ভুলে কাজ করতে হবে, ও আমার দলের ও পাবে, সে দোতলা বাড়ি থাক আর সরকারি বা বেসরকারি ভালো বেতনের চাকরি করুক তাও পাবে। আর খেটে খাওয়া গরীব মানুষ ভোট দিয়ে আমাকে নেতা মন্ত্রী করবে সে আশা না করাই ভালো। নজরুল ইসলামের একটি কবিতা "কুলি মজুর" কবিতা টি আসলে সাম্যবাদী থেকে নেওয়া, সেই কবিতার দু টি লাইন লিখতে বাধ্য হলাম। " তোমরা শুয়ে রবে, তে তলার 'পরে। অথচ তোমারে দেবতা বলিব সে ভরসা, আজ মিছে।সিক্ত যাদের মন এ মাটির মমতা রসে, এ ধরণীর তরণীর হাল রবে তাহাদেরি বশে।"
স্বাধীনতার সত্তর বছর পরেও আমরা বিভিন্ন খবরের কাগজ পত্র পড়ে জানতে পারি, দেশের মোট সম্পদের আশি শতাংশ ভারতের পঁচিশ শতাংশ মানুষের দখলে। বাকি পঁচাত্তর শতাংশ মানুষ কুড়ি শতাংশ ভোগ দখল করে। স্বাধীনতার সময় সংবিধানে সংরক্ষণ করা এবং শিক্ষা সকলের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। স্বাধীনতার সত্তর বছর পরেও এরা অনেক কিছু থেকে বঞ্চিত। তার একমাত্র কারণ যারা ক্ষমতা দখল করে ইতিহাসের পাতায় নাম তুলতে ব্যস্ত ছিলেন। তারা ঘোষণা করে সেই সব প্রচারের মাধ্যমে বার বার ক্ষমতা দখল করে গেছেন, কোনো কাজ করেন নি। আমরা এখনও দেখি সেই ট্যডিশন বা তার ধারাবাহিকতা চলছে। আমাদের বা এদের ভোট নিয়ে নেতা মন্ত্রী হলেন, ভুলে গেলেন প্রতিশ্রুতির কথা। তিনি বছর বছর বাড়ির তলা বাড়িয়ে চলেছেন, গাড়ির সংখ্যা বাড়ছে স্বনামে বেনামে সম্পত্তি বাড়ছে, আর এসব কাজ যে সব সরকারি অফিসারের করার কথা তারাও হাত গুটিয়ে বসে আছেন, নেতার ভয়ে বা উপর ওলার ভয়ে। একটা আশ্চর্য বিষয় যখন দেখা যাচ্ছে কোন অঘটন ঘটছে, সে কেউ না খেতে পেয়ে মারা যান তখন সেই অফিসার দল বল নিয়ে হাজির, তাদের খবর নেওয়ার জন্য। নেতারা ভালো মন্দ রান্না করে খাওয়াচ্ছেন, কিন্তু কী আশ্চর্য সরকারের ব্যবস্থা আছে একশো দিনের কাজ প্রকল্প, যদিও সঠিক লোক কাজ পায় না। আবার কাজ না করে অনেকের ব্যাঙ্কের খাতায় টাকা আসে, তাতে নেতারা ভালো ভাগ পায়। এরা গরিব মানুষ এরা হয়তো ভাগ দেয় না, আবার দেখা যাবে এদের হয়তো জব কার্ড নেই। সরকারি প্রকল্পের দু টাকা কিলো চাল পাওয়ার কথা, দেখা যাবে সেই দু টাকা কেন দু পয়সা তাদের নেই। দোষ কার এসব সরকারের প্রকল্পের সুযোগ এদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব কাদের প্রথম যাদের কথা আসে তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটে জিতে নেতা বা ঐ দলের যারা ভোটের সময় মানুষ কে ভোট দিতে বলেছেন। এই সব নেতারা সঠিক তথ্য দেবেন, বা সরকার তার অফিসের লোক দিয়ে তথ্য সংগ্রহ করে সঠিক পদক্ষেপ নেবেন। দায়িত্ব থেকে যায় ঐ এলাকার সরকারি অফিসার দেরও, এই তারা এড়িয়ে যেতে পারেন না। সকলে সঠিক ভাবে দায়িত্ব না পালন করলে, বাম আমলে আমলাশোল আর এই সরকারের আমলে পূর্ণপাণি মতো ঘটনা ঘটে যাবে যত্রতত্র। সরকারি প্রকল্পের সুবিধা সঠিকভাবে ঠিক ঠাক মানুষ কে পৌঁছে দিতে নেতা মন্ত্রী দের যেমন দল ভুলে কাজ করতে হবে, ও আমার দলের ও পাবে, সে দোতলা বাড়ি থাক আর সরকারি বা বেসরকারি ভালো বেতনের চাকরি করুক তাও পাবে। আর খেটে খাওয়া গরীব মানুষ ভোট দিয়ে আমাকে নেতা মন্ত্রী করবে সে আশা না করাই ভালো। নজরুল ইসলামের একটি কবিতা "কুলি মজুর" কবিতা টি আসলে সাম্যবাদী থেকে নেওয়া, সেই কবিতার দু টি লাইন লিখতে বাধ্য হলাম। " তোমরা শুয়ে রবে, তে তলার 'পরে। অথচ তোমারে দেবতা বলিব সে ভরসা, আজ মিছে।সিক্ত যাদের মন এ মাটির মমতা রসে, এ ধরণীর তরণীর হাল রবে তাহাদেরি বশে।"
No comments:
Post a Comment