আগে অনেক বার লিখেছি যে আমাদের দেশে অনেক মানুষ স্বাধীনতার মাধ্যমে নিজেদের আখের গুছিয়ে নিতে ব্যস্ত। আবার কেউ কেউ পদ নিয়ে দরা দরি করছিল।কেউ তার পদবী দিয়ে বেঁচে থাকার বা চিরকালের জন্য ইতিহাস তৈরি করছিলেন। সদ্য দেশ স্বাধীন হয়েছে, অসংখ্য ছোট রাজ্য ছোট দেশ ছিল ভারত বর্ষের মধ্যে তারা অনেক স্বাধীনতা চাইছে। অনেক রাজ্য বা দেশ পাকিস্তানের সাথে থাকতে চাইছে। কারোর সে সব দিকে নজর নেই, তখন ব্রিটিশ কে বলে জেল খাটা স্বাধীনতা সংগ্রামীর দল, নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোস কে কী করে দেশে ঢুকতে না দেওয়া যায় তার ব্যবস্থা করতে ব্যস্ত। তাকে যুদ্ধ অপরাধী ঘোষণা করে সেই কাজে তারা সফল হয়েছে। আজাদ হিন্দ বাহিনীর যে সব সৈনিক সেদিন লালকেল্লার ভেতরে বন্দী তাদের জন্য মায়া কান্না কাঁদতে ওকালতি করে দেখিয়ে দিলেন। কেন তার একটা কারণ তখন বোম্বাই এ ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর মধ্যে যে সব ভারতীয় সেনা জওয়ান ছিল তারা বিদ্রোহ করতে শুরু করেছে। দেশের অন্য অনেক জায়গায় সেনাবাহিনীর মধ্যে বিদ্রোহ দেখা দিয়েছে। এমত অবস্থায় কালো কোট গায়ে ওকালতি করা ছাড়া আর উপায় ছিল না। কে করে ছিল সেটা সত্যি কার ভারতের ইতিহাস পড়লে অবশ্যই জানাবেন। আর এই সময়ে দেশ কে এক ছাতার তলায় আনতে দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে দৌড়ে বেড়াচ্ছেন। যে মানুষ টি তিনি হলেন, সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটেলে।তিনি একা সর্বত্র পৌঁছতে পারেননি, যে খানে তার যেতে বা পৌঁছতে দেরি হয়ে গেছে। সেই সব রাজ্যে আজও গণ্ডগোল লেগে আছে, তিব্বত কে তো চীন দখল করে নিয়েছে। এখন ভুটান নেপালের দিকে তাদের লক্ষ্য যেমন করেই হোক শিলিগুড়ি করিডোর দখল নিয়ে পুর্ব ভারত কে ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করা। আর বাংলাদেশের উপর নিজের প্রভাব বিস্তার করে ভারত কে চাপে রাখা। পাকিস্তান কে উন্নয়ন করে দেবার নামে প্রায় কিনে ফেলেছে। যেমন তারা হংকং কে করেছে, তাইওয়ান কে নিয়েছে, তিব্বতকে নিয়েছে। চীন কমিউনিস্ট হতে পারে কিন্তু দেশ দখলের আগ্রাসী মনোভাব তার আছে। উন্নয়ন করে দেওয়ার নামে ঢোকে, সেই দেশ কে ঋণের জালে বন্দী করে সেখানে চীনা টাউন বা কলোনি তৈরী করে। কারণ চীনের লোক সংখ্যা বেশি।তারা বাসস্থান খোঁজে এবং সেই সাথে সেই স্থানের অধিকার চীনের সেখানে যে দেশে তারা আছে তাদের আইন চলেনা বললেই চলে। উল্টো দিকে ভারত বা দেখুন বিশ্বে লোক সংখ্যায় দ্বিতীয়। পাশের দেশ চীন যে ভাবে টেকনিক্যাল থেকে সমস্ত দিয়ে উন্নতি করেছে , ভারত দুবছর আগে স্বাধীন হয়েও পারেনি। কারণ খুঁজে দেখুন দেখবেন সেই নেতা যারা ক্ষমতা দখল করতে বা গদিতে বসবে বলে মরিয়া তারা শিক্ষার জন্য কোনো নজর দেয়নি। সংবিধানের অনেক ধারা উপধারায় নিশ্চয়ই লেখা আছে এত সালের মধ্যেই সবাই কে শিক্ষিত করতে হবে।. আগে চাই শিক্ষা মানুষ শিক্ষিত নয়, সেই জন্যই আজও ভারতের মজবুত ইউনিটি আসেনি। এখনও বিভিন্ন স্থানে বিচ্ছিন্নতাবাদ মাথা চারা দিচ্ছে। বিভিন্ন ভাষাভাষী ও বিভিন্ন ধর্মের এই দেশকে এক করতে পারে যে শিক্ষা সেই শিক্ষা দরকার। কারণ এই মূহুর্তে দেশে কোনো বল্লভ ভাই প্যাটেলে নেই, শুধু তার মূর্তি স্থাপন করে ইউনিটি বা একতা আনা সম্ভব যদি সঠিক শিক্ষা না দেওয়ার ব্যবস্থা থাকে।
No comments:
Post a Comment