
This is a news blog. Here I write story, social incidents, political incidents, & my life history etc.
Saturday, 29 September 2018
গ্রামের কথায় আজ একটি গ্রামের কথা।

Thursday, 27 September 2018
সোনার গদা ( শেষ অংশ)
দুপুরে খাওয়ার পর সকলে আবার মিলিত হলো একটা লম্বা ঘরে। তখন মনোতোষ বাবু এসে ছিলেন কিন্তু তিনি তখন কিছু বলেন নি। দুপুরের খাবার খেতে গৃহ কত্রী সকল কে ডেকে নিয়ে গিয়ে ছিলেন। আজ এ বাড়িতে সকলে মিলে দুপুরে খাওয়ার ব্যবস্থা ছিলো। কারণ ভবতোষ বাবু সব ব্যবস্থা করে ছিলেন। কেবল গৃহ কর্তার বাল্য বন্ধু কেশব বাবু ছিলেন না। তিনি সেই হরিপদ মিস্ত্রি কে গেছেন। এখনও কোন খবর নিয়ে আসতে পারেন নি। যাহোক সকলে চুপচাপ সত্যেন বলল " মনোতোষ বাবু এবার আপনি বলুন কী হয়েছিল সে দিন।" " বাবা মশাই সেদিন আপনি জেলে ডেকে নিয়ে জাল ফেল ছিলাম অনেক গুলো বড়ো মাছ জালে উঠে ছিল। আমি চলে আসব এমন সময় কেশব কাকু সেখানে এলো। বলল তুমি মাছ ধরাছ আমি তো তোমাদের বাড়ি যাচ্ছি। জেলে কে বলল তুমি ঐ জায়গাটা একবার জাল ফেলে দেখ আরও বড়ো মাছ আছে। পুকুরের উত্তর পশ্চিম কোনে একটা জায়গায় ঢিল ছুঁড়ে দেখিয়ে দিলেন। আবার যে দিন বাবা মশায় একা গেলেন, সে দিন ভোরে এসে জিজ্ঞেস করে গেলেন বাবা হাঁটতে গেছেন কিনা। আমি বললাম আপনি বলেছিলেন আপনি যাবেন না, তাই বাবা মশায় একটু আগে বেড়িয়ে গেছেন। শুনে আমতা আমতা করে বলল আমি যাব না। আমি এখন একটু স্টেশনের দিকে যাব। ট্রেন ধরতে হবে কলকাতা যাব। " মনোতোষ বাবু কথা শেষ হয় নি। কেশব বাবু এসে ঢুকল হল ঘরে তিনি এবাড়ির সব চেনেন। তিনি বললেন " আমাকে নিয়ে কথা হচ্ছে, দেখুন আমি, - - - " শুধু এটুকু মাত্র বলেছেন তখন সত্যেন বলল," কেশব বাবু আপনি হরিপদ মিস্ত্রি কে খুঁজে পাননি। ওকে আর খুঁজতে হবে না। আপনি জিনিস টা এখনো নষ্ট করেন নি। আপনি ফেরত দিয়ে দিন কেউ কিছু বলবে না।" বড়ো ছেলে বলল, " কাকা বাবু আপনি আমাকে বলতে পারতেন, আমি আপনাকে সাহায্য করতাম।" কেশব " তোমরা আমাকে চোর বানিয়ে ছাড়লে। বিশ্বাস করো আমি, " কথা শেষ করতে না দিয়ে রজত বলল," আর কোনো কথা নয় জিনিস টা কোথায় আছে বলুন? আপনার বাল্য বন্ধু কে কেন কষ্ট দিচ্ছেন? " ভবতোষ - " দেখ কেশব যদি তোর কাছে থাকে শুধু ঐ গনেশ ঠাকুরের গদা টা ফেরত দে। আর কিছু তোকে দিতে হবে না। আমি কেশ তুলে নিচ্ছি সুরেশ বাবু তোকে কিছু বলবেন না।" সত্যেন " আপনি যদি না নিয়ে থাকেন তাহলে জেলে কে ঐ নির্দিষ্ট জায়গায় জাল ফেলতে বললেন। বলে ভবতোষ বাবুর কাছে চলে এলেন। আবার দেখুন আপনি যে কদিন ভবতোষ বাবুর সঙ্গে হাঁটতে যাচ্ছিলেন ঐ কথা বা ওরকম কোনো কথা ভবতোষ বাবুকে কেউ বলে নি। কিন্তু আপনি যেদিন সঙ্গে গেলেন না। সেদিন ভবতোষ বাবু কে আবার কথা টা শুনতে হল। শুধু আপনি ভাবেননি ঐ দিন সুরেশ বাবু কে নজর রাখতে বলা হয়েছিল। মনোতোষ বাবু আপনি বাকী টা বলে ফেলুন। মনোতোষ, " কেশব কাকা চলে যাবার পর আমি ভজু কে নিয়ে মাঠে গিয়ে ছিলাম। বেগুন একজন পাইকের ভোর ভোর বেগুন নিতে এসে ছিল। তখন দেখি আমরা দেখি কেশব কাকা জমির পাশ দিয়ে দৌড়ে যাচ্ছেন। আমি চিনতে পেরেছি কারণ কিছুখন আগে ঐ পোশাক পরে আমার কাছে এসে ছিলেন বাবা মশায় হাঁটতে গেছেন কিনা জানতে। " সত্যেন " কী কেশব বাবু এর পরও বলবেন জিনিস টা আপনার কা নেই। কারণ আপনি সেদিন সুরেশ বাবুর তাড়া খেয়ে মাঠ দিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। যে হেতু মাঠের দিকে কুয়াশা বেশি তাই আপনি মাঠের দিকে গিয়ে ছিলেন। " সুরেশ " কেশব বাবু কেন অস্বীকার করেছেন আপনি ধরা পরে গেছেন। "
কেশব আর কিছু বলতে পারলেন না। তখন সকলে মিলে বলল।ঠিক আছে আপনি ভবতোষ বাবু কে বলুন কী হয়েছিল? আমরা সকলেই বাইরে অপেক্ষা করছি। কেশব" না যা বলার আমি সবার সামনে বলব, তখন ঠাকুর ঘর সারানো হচ্ছিল। এক দিন ভবতোষ ঠাকুর ঘরের ছবির গোছা ফেলে এল। আমি ওখানে গিয়েছিলাম কেমন হচ্ছে দেখতে। একজন মিস্ত্রি চাবি টা আমায় দিল বলল বাবু চাবি ফেলে গেছেন। আমি চাবি টা নিয়ে এসে ভবতোষ কে দিলাম। তখন সূর্য ডুবে যাবে সন্ধ্যা প্রায় হয়ে এসেছে। আমার কেমন সন্দেহ হলো। আমি ঠাকুর দালানের দিকে গেলাম। একটু কাছে যেতে দেওয়াল ভাঙার আওয়াজ পেলাম। ঠাকুর দালানে ওরকম একটা চোরা কুটুরি আমি জানতাম না। আমি আওয়াজ লক্ষ্য করে এগিয়ে গেলাম। আড়ালে লুকিয়ে থেকে দেখি মিস্ত্রি রা একটা সিন্দুক নিয়ে বেড়িয়ে পড়ছে, এবং তার চাবি দিয়ে চাবি খুলছে। তখন বুঝলাম ভবতোষ সব চাবি ভুল বশত রেখে গিয়ে ছিল। ওরা চোরা কুটুরি খুলে রেখে ও সিন্দুকের চাবি রেখে আমাকে দিয়েছে। আর ঐ দিন ছিল কাজের শেষ দিন। সুযোগে ওরা কাজে লাগিয়েছে। যখন সিন্দুক খুলে সব বাড় করা হয়ে গেছে। তখন আমি চুপি কাছে গেলাম। ওরা আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিল। বলল তোকে এই জিনিস টা দিলাম, বলে সোনার গদা টা আমার হাতে দিয়ে বলল। তুই ও আজ থেকে আমাদের সাথে চোর হলি। কাউকে যদি বলেছিস। তাহলে তোকে কী করব ভেবে পাবি না। আমি সেই থেকে অনেক ভাবে ভবতোষ কে মনে করাব বলে এই সব করতে, বাধ্য হয়েছি। " এর জন্যে আমি
আমাকে এবং আমার ছেলে কে হুমকির মুখে পড়তে হয়েছে।" ভবতোষের মেজ ছেলে বলল, কাকা আপনি যেটা বললেন সেটা সত্যি ধরে নিলাম, তাহলে আপনি লুকিয়ে যখন দেখে ছিলেন, বললেন। তখন খবর দিলেন না কেন? " সত্যেন" আমরা সকলেই, সব ঘটনা টা শুনলাম। আমাদের প্রথম কাজ হবে ঐ মিস্ত্রি দের খুঁজে বের করা। কেশব বাবু আপনাকে আমাদের সঙ্গে আর যেতে হবে না। কেন আমি চাই না আপনি হুমকির মুখে পড়ুন। রজত ওদের ঠিকানা খুঁজে বাড় করে ফেলেছে। সুরেশ বাবু আপনার ফোর্স নিয়ে রজতের সঙ্গে যান। আশা করি সব গুলো ধরা পড়ে যাবে।
(আমার ছোট গোয়েন্দা গল্প শেষ হলো। কেউ যদি পড়েন তাহলে কমেন্ট করতে অনুরোধ করছি। ভালো লাগলেও লিখবেন খারাপ লাগলেও লিখবেন কেমন। এপর আমার ছোট গোয়েন্দা গল্প থাকবে সত্যেন এর পাশাপাশি গোয়েন্দা হবেন আপনি ও।)
ব্রিজ কথন।
ওরে গৌরে আজও একটা ব্রিজ ভেঙে পড়েছে। কাক দ্বীপের কালনাগীনি নদীর নতুন ব্রিজ তৈরী হচ্ছিল, সেই ব্রিজ ভেঙে পড়েছে। গৌর ” তার মানে এই নিয়ে কটা হলো। হরি. ” কেন পোস্তা, মাঝেরহাট, শিলিগুড়ি আর কাক দ্বীপ। ” শুনলি না কাল ট্রেনে আসতে আসতে, যে দুর্গা পুজো করার জন্য ২৮ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়। আর বিরিজ সারাবার ৩ কোটি টাকা থাকে না।” কথা গুলো গ্রামের চায়ের দোকানে বসে হচ্ছিল। পল্টে কোথায় ছিল, আড়ালে বলে উঠল,” হরে কাকা আবার আরম্ভ করে দিলে। কেন টাকা বিরিজ সরাতে টাকা দেবে শুনি, বামেরা কিনা কি করে গেছে সেটা দিদি সারাবে কেন। ” হরি ” দেখ পল্টে তুই দিদি বলবি না, বাপের দিদি ওরো দিদি তুই পিসি বলবি।”. গৌর কেন নীল সাদা রং করলে নিশ্চয়ই ভাঙতো না। ” হরি. ” দূর মাঝেরহাট বিরিজ তো নীল সাদায় রং করা ছিল।” পল্টে. “. আবার বলছি বলবে না, বামেরা কি সব করে ছিল তার নেই ঠিক।”. হরি ” তুই আর বামেদের কথা বার বার বলিস না। দিদি যে নবান্নে বসে আছেন সেটাও বামেদের তৈরি। শুধু নীল সাদা রং করে নিয়েছে। আর বলব বামেদের অনেক কিছু আছে।
পঠন পাঠন ।
পড়ছে পড়ছে টুকাই, পড়ছে পড়ছে নিতাই, পড়ছে পড়ছে বাবাই, পড়ছে পড়ছে সবাই। পড়ছে পড়ছে ইঁট, পড়ছে পড়ছে পাথর। কেউ বোঝে না তাদের কদর, বুঝবে কি আর, লাগলে পরে কম্ম কাবার , না হয় সাবার ।কেউ নেই কেউ নেই আর তাকে বাঁচাবার। সবাই তখন ছুটে হচ্ছে দেখবে পগার পার, চায়ের দোকান দার খোকন বলল ” থাম থাম ভোলা থাম। রবি ঠাকুর বেঁচে থাকলে তোর কবিতা শুনে লেখা বন্ধ করে দিতো তুই রবি ঠাকুর হয়ে যেতিস।” ভোলা ” কেন আমি কি খারাপ লিখেছি। দেখবে আমি একদিন নোবেল পাব। তখন তোমাদের হিংসে হবে। জানতো আমি বিনা পয়সায় পড়াই, আমার একটা মাষ্টার দের টিম আছে। তাদের হাতে কয়েক টাকা তুলে দিই। আগে আর্ট পেপারে কয়েক টা আঁচর কেটে দিতাম ভ্যাবলা কয়েক হাজার টাকা দিয়ে কিনে নিত।,” হরি, তখন হাটে জামা কাপড় বিক্রি করে এসে গেছে। আজ মসাট হাট ছিল সেখানে গিয়ে ছিল বিক্রি করতে। এসে ও ঐ চায়ের দোকানে হাজির, বলল,” তা তোর ভ্যাবলা দা কোথায়?” ভোলা,” ঐ ফাণ্ড গণ্ডগোল হলো সে জেলে। কি করব আমি কবিতা লেখা শুরু করে দিলাম, জান আমার দুটো বই বেড়িয়েছে, ঐ যে নেপো গাড়ি তে বই বিক্রি করে ও আমার বই গাড়িতে বিক্রি করে দেয়। যা আসে ও অল্প কিছু নেয়, আর বেশি টা আমাকে দেয়। ঐ দিয়ে আমি মাষ্টার দের দল টা চালাই।” হরি,” তোর এই পড়ানোর কথা শুনে আমার একটা কথা মনে পড়ে গেল, আমার নাতনি টা ফোরে পড়ে, মাষ্টার কালকে সাধারণ কিসব পারছিল, কোথায় পরীক্ষা দিতে যাবে কম্পিউটারে।” চায়ের দোকানদার,” আরে ওটা কম্পিটিশন আসছে রবিবার হবে। ও তো আমার ছোট ছেলে পরীক্ষা টা দেবে। তা হরি কাকা তুমি কী বল ছিলে? ” হরি,” কী বলব ঐ মাষ্টার আমার নাতনি কে প্রশ্ন করা ছিল। নাতনি কে জিজ্ঞেস করল বলত মহম্মদ বিন তুঘলগের বড়ো কীর্তি কী? নাতনি বলল কেন রাজধানী পরিবর্তন, মাষ্টার জিজ্ঞেস করল কোথা থেকে কোথায়? নাতনি বলল কেন, কলকাতা থেকে হাওড়ার ডুমুরজলা। আগে নাম ছিল রাইটার্স এখন নাম নবান্ন। নাতনি কে জিজ্ঞেস করল রবীন্দ্র নাথ কত সালে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন? আমার নাতনি উত্তর দিল ১৮১৩ সালে। মাষ্টার বলল ১৯১৩ হবে। নাতনি আপনি ভুল বলছেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জন কীসের সাথে দেখা করে ছিল। জন কীটস ১৭৯৫ সালে জন্ম গ্রহণ করেন ও ১৮২১ সালে মারা যান। যদি ১৮১৩ না হবে, তবে কীভাবে রবি ঠাকুর কীটসের সাথে দেখা করল। ” মাষ্টার কী বলবে ভেবে পেলেন না। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, বলতো সিধু কানু কে? নাতনি উত্তর দিল,” ডহর বাবুর কেউ হবে। মাষ্টার মশায় বলল, ওহো অলচিকি ভাষায় ডহর পুকুর নয় বাগান হবে। ওরে তুই কিচ্ছু জানিস না। বলতো মোমবাতি মিছিল কখন হয়? নাতনি – “ছাত্র বা ছোট কেউ মারা গেলে হতো, এখন আর হয় না। ” মাষ্টার তারমানে, নাতনি এখন মোমবাতি কেনার পয়সা নেই, ভ্যাবলা কাকু থাকলে অনেক পয়সা থাকতো। এখন ঐ ভূষণ আর শ্রীর অল্প টাকায় অত মোমবাতি কেনা যায় না। মাষ্টার তুই ভীষণ পেকেছিস তোর দ্বারা আর কিছু হবে না। আমি জানি না আমার নাতনি সব ভুল বলল কিনা!
বিদ্যুৎ নিয়ে তামাশা।
গ্রামের চায়ের দোকান খরিদ্দার কম।গ্রামের কয়েক জন জমে তারা বিভিন্ন রকম কথা বলে। আলোচনা করে ভালো লাগে, কিছু দরকারি আলোচনা হয়। অনেকর কাজে লাগে, অনেক সময় চা দোকান দার পটলাও অংশ নেয়। আবার বাড়াবাড়ি হলে বারণ করে। এরকম চলে, আজ সন্ধে বেলা সকলে কাজ থেকে ফিরে এসে, চায়ের দোকানে জমেছে। গৌরে কথা টা তুলল, জানিস এবার আমার কারেন্ট বিল এসেছে ১২০০ টাকা। এই তো জামা কাপড় বিক্রি করে সংসার চলে তিনটে ঘরে লাইট ফ্যান আর একটা টিভি আছে। পাশে জীবন দা বসে ছিল, সে বলল, “আর বলিস না, আমার মিটার আবার তিন বছর আগে খারাপ। অনেক আবেদন করেছি মিটার আর ঠিক হয় না।” ভোলা – ” অনলাইনে করেছ ওটা না করলে, তোমার মিটার ঠিকই হবে না।” জীবন – ” ঐ টা সেদিন একজন বলল, আমার তো আর দামী মোবাইল ফোন নেই। কী করে করব?” ভোলা – অফিসে সব কাগজ পত্র নিয়ে যাবে ওরা করে দেবে।” জীবন – ” ওরে ভাই অনেক ঘুরেছি করে দেয়নি।” ইতিমধ্যে হরি এসে হাজির, বলল -” মিটার খারাপ তো ও চট করে ঠিক করে দেবে না। ওটাই ওদের বিজনেস, যারা রিডিং নেয় তাদের শেখানো আছে। ওরা কারসাজি টা করে। আচ্ছা জীবন দা মিটার বন্ধ হবার আগে কত বিল আসত? ” জীবন -” কত আবার ছ’শ সাত শ” হরি ” এখন কত আসে? ” জীবন – ” এখন কত আসে?” জীবন – ” এখন ২০০ না ২৫০ ইউনিট ধরে পাঠায়। এখন বিল আসে ১২০০ টাকা ১৬০০ টাকা। ” হরি -” কী বুঝলি ভোলা? এখন ডবল বিল আসে। এটাই বিজনেস কারণ ঐ রিডিং ওলা দের শেখানো আছে তোরা একটু এদিক ওদিক করে দিয়ে আসবি আর বলবি মিটার খারাপ আমরা এক বিল পাঠিয়ে বছরের পর বছর বেশি টাকা তুলবো। তোলা তোলার নতুন কায়দা। সারা পশ্চিমবঙ্গে এরকম অসংখ্য গ্রাহক আছে। যাদের থেকে এভাবে ঘুরিয়ে তোলা তোলা হচ্ছে।” ভোলা -” তাহলে গৌর দার বিল কী করে বেশি এল? ” হরি -” ওটা মিটার রিডিং ওলা তার যন্ত্রে প্রথম সংখ্যাটা ভুল করেছে সেই জন্য হতে পারে। তাছাড়া এখন তো প্রতি ইউনিট প্রায় ৬ টাকা, আগে এই শাসক দল ১০ পয়সা বিদ্যুতের দাম বাড়লে, আন্দোলন করেছে। অফিস ভাঙচুর করে দিয়েছে। আন্দোলনের নামে তাণ্ডব চালিয়েছে। আর এখন তারাই ক্ষমতায় এসে জিনিস পত্রের দাম কোথায় নিয়ে গেছে। ” ভোলা -” যাই বল হরি এখন লোডশেডিং হয় খুব কমই। ” হরি – ” সাধে তোকে গাধা বলি, ওরে এখন পুরোনো কল কারখানা বন্ধ, হিন্দমোটর, জেশপ আরও কতো। নতুন করে কোন কারখানা হয়নি, কারখানা না চললে বিদ্যুৎ লাগবে কি করে? “
মা আমাদের কল্পতরু।
কল্পনা করে নিতে দোষ কী? মায়ের তো তৃতীয় নয়ন আছে আমার কি করি তিনি অনেক যুগ ধরে দেখছেন। মনে করে নিই যে এখন উপগ্রহ দিয়ে মা কী করছেন, মর্ত্যে আসা নিয়ে কী বলছেন সব জানা যাচ্ছে। মা বলল – ” দেখ গনশা তুই ভীষণ মোটা হয়ে যাচ্ছিস। তুই এবারে কলকাতায় কোনো ব্রিজের উপর দিয়ে যাবি না।” গনেশ – ” কেন মা ব্রিজ ভেঙে পড়তে পারে বলে।” মা – ” কেত লক্ষী সরস্বতী এদের আমার চিন্তা নেই। ওরা ওদের বাহন নিয়ে উপর দিয়ে উড়ে চলে যাবে। চিন্তা তো তোর আমার আর বাবার। ইঁদুর, সিংহ, ষাঁড়, তো আর উড়ে যেতে পারে না। কার্তিক বলল না মা আমি তোমার সাথে যাব। আলাদা যাব না। আমরা সবাই এক সাথে যাব। দেখ কলকাতায় প্রতি বছর যাচ্ছি, এবছর একটু অন্য রকম ভাবতে হবে। কলকাতা যাব তবে ডান বাম উপর দিক দেখে চলতে হবে। ” লক্ষী বলল -” বাবা তুমি দিব্য দৃষ্টি তে দেখ তো কলকাতায় কী হচ্ছে? ” শিব -” কেন রে লক্ষী তোর ভয় করছে? ” লক্ষী -” না না ভয় করছে না। আমি দেখতে বলতে বলছি কেমন সব সাজিয়েছে। ” মা -” ওদিকে ঘাটতি নেই, আমার এক রূপে মুগ্ধ সবাই তিনি তো আমার দয়ায় কল্পতরু। তিনি তো আমরা যাতে যেতে পারি তার জন্যে পূজো কমিটি গুলো কে দশ হাজার টাকা দিচ্ছে। আবার কন্যাশ্রী, রূপশ্রী বঙ্গ শ্রী বঙ্গ ভূষণ শিক্ষকের সম্মান শিক্ষা রত্ন গ্রামের গায়ক দের টাকা সাইকেল দু টাকা কিলো টাকা চাল। আরো কত কী? এবার তো ডেঙ্গি থুরি অজানা জ্বর আটকানোর জন্যে গ্রামের গরিব মানুষকে মশারি দেবে। ” সর বলল ” দেখ মা সব ঠিক আছে, কিন্তু আমার মানস পুত্র দের অবস্থা ভালো নয়। ” মা ” তুই সরকারি কর্মী দের কথা বলছিস, ওদের ডি এ দেয়নি পে কমিশন দেয়নি ঠিক করছে। অনেক কর্মীর বেতন বাড়বে বলেছেন। আবার কী? সরস্বতী :- ” না তাহলে তাদেরও টাকা পয়সা দরকার।”. মা ” আরও অনেক কিছু দিচ্ছে আমি কয়েক টার নাম বলেছি। গ্রামের কত রাস্তা করে দিয়েছে, যেখানে ঢোকা যেত না। সে সব জায়গায় সহজে যাওয়া যায়। মানুষকে যতই দাও তাদের খুশি করতে পারবে না।” লক্ষী ” যাই বল মা দিয়ে দিয়ে মানুষ কে কুঁড়ে বানিয়ে ফেলা ঠিক নয়। যখন দিতে পারবে না। তখন বিপদ ঘনিয়ে আসবে। অতিরিক্ত কিছুই ভালো নয়। ” মা ” যাহোক এবার কলকাতায় চার পাশের সঙ্গে সঙ্গে উপর দিকটা দেখে নিবি। মোট কথা ব্রিজ এড়িয়ে যাওয়া ভাল হবে।
শিল্প তামাশা।
আসুন আবার আমরা, গ্রামের সেই চায়ের দোকানে কানে ফিরে আসি সন্ধ্যা বেলা সকলে কাজ থেকে ফিরে এসে, এই চায়ের দোকানে বসে আড্ডা দিতে থাকেন। সবাই বলতে যারা আসে তারাই প্রায় প্রতিদিনই আসে বিভিন্ন রকম আলোচনা হয়। আজ একটু অন্য রকম হয়ে গেল। কারণ মন্টু কাজ থেকে ফিরে এসে চায়ের দোকানে চা খেতে এসেছে। সে ওপারে মানে গঙ্গার ওপারে চটকলে কাজ করে। সে খুব কমই এই দোকানে আসে, আজ কাজ থেকে ফিরে এসে চায়ের দোকানে চা খেতে এসেছে, কিন্তু তার মন টা খারাপ। গৌর জিজ্ঞেস করলেন – ” মন্টু কেমন আছিস রে?” মন্টু – ” আজ পর্যন্ত ভালো ছিলাম, কাল থেকে থেকে আর ভালো থাকব না।” হরি – ” কেন রে কী আবার হলো?” মন্টু :- ” কাল থেকে কারখানা বন্ধ করে দিল মালিক। আজ সন্ধ্যার পর সকল কে ডেকে বলে দিল। মাল বিক্রি নেই তাই কারখানা বন্ধ থাকবে।কাল থেকে বেকার হয়ে গেলাম। ” গৌর -” তুই একা তুই ভাব এরকম কত হচ্ছে। অনেক কারখানা আজ বন্ধ। তোদের চটকল কথায় কথায় বন্ধ। তুই ভাব হুগলির অত বড়ো মোটর কারখানা হিন্দু স্থান মোটর সেও বন্ধ। আমাদের রাজ্যে আর নতুন কোনো কারখানা হবে না। টাটার মতো আন্তর্জাতিক কোম্পানি কে আমরা তাড়িয়ে দিয়েছি তার একটা প্রভাব পরবে না। ” হরি -” শুধু কী টাটা উইপ্র, ইনফোশিসের মতো কোম্পানি যারা তথ্য প্রযুক্তি শিল্প গড়ে তুলেছে সাড়া বিশ্বে। তাদের আমরা জায়গা দিইনি, শুধু রাজনৈতিক কারণে। জানিস সমরের ভাইপো কম্পিউটারে সায়েন্স না ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ে পুনে না ব্যাঙ্গালোর গিয়ে ছিল চাকরি করতে ওকে এবং ওর মতো আরও কয়েক জনকে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তোদের বেঙ্গলে যেদিন তথ্য প্রযুক্তি সংস্থা হবে তখন চাকরি করবি এখানে আমরা কাজ করব। ” ভোলা ছিল সে বলল -” কেন দিদি এতো শিল্প সম্মেলন করছেন, এতো প্রতিটি শিল্প সম্মেলনে শিল্প পতিরা বলছেন কয়েক হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করবেন। আবার বিভিন্ন দেশে যাচ্ছেন শিল্প আনতে, এই এখন তিনি জার্মানি তে আছেন। শিল্প হচ্ছে তোমরা জানো না। ” হরি -” ঠিক শিল্প হচ্ছে আমরা দেখতে পাচ্ছি না। সবাই কানা হয়ে গেছি। শিল্প হচ্ছে বোম শিল্প বন্দুক শিল্প মদ বা চুল্লু শিল্প। মনে আছে দিদি ক্ষমতায় আসার আগে বলেছিলেন আমি ক্ষমতায় এলে চুল্লু বন্ধ করে দেব। কারণ বিষাক্ত চুল্লু খেয়ে অনেক মারা গিয়েছিল। আর এখন উল্টো চুল্লু করতে দেওয়া হবে শাসক দলকে সমর্থন করলে। তাছাড়া কত দেশি মদের দোকান হয়েছে। তুই শুধু এক দিন দুর্গাপুর এক্সপ্রেস ওয়ে দিয়ে যাবি। বাম আমলে অনেক ছোট ছোট কারখানা হয়ে ছিল। ওখানকার স্থানীয় বাসিন্দা যুবকরা কাজ করতে শুরু করেছিল। এখন অনেক গুলো বন্ধ হয়ে গেছে, মানে রাজনৈতিক দাদার তোলার চাপে বন্ধ হয়ে গেছে। এই রাজনৈতিক দাদারা শাসক দলের।কত শিক্ষিত বেকার রয়েছে একটা চাকরির জন্য হন্যে হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে । ” গৌর -” আরে গ্রুপ ডি পদে পিএইচডি ডিগ্রি ধারি আবেদন করছে। ৯৫০ টা পদ খালি আবেদন এগারো লক্ষ। ” হরি –” নির্বাচন এলে টাকার হরির লুট করা হচ্ছে, আর সেই টাকা দিয়ে বোমা তৈরি করা হচ্ছে। আচ্ছা গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে কী হলো, বলল উন্নয়ন রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকবে। আমরা টিভিতে কী দেখলাম বোমা বন্দুক আর নানা অস্ত্র হাতে দাঁড়িয়ে আছে বিরোধী দলের নমিনেশ আটকাতে হবে। কত গুলো নিরীহ মানুষের প্রাণ চলে গেল। কোন তদন্ত নেই কোনো কেস নেই। ভাবছিস যে লোক গুলো এসব করছে তারা বিনা পয়সায় করছে। গরিব মানুষ অল্প শিক্ষিত মানুষ তাদের পয়সা দিয়ে এসব করানো হচ্ছে। ভোলা – ” টাকা দিলেও তারা অপরাধ করবে কেন?” গৌর – ” আরে গরীব মানুষ মানুষ তাকে টাকার লোভ, ঘর করে দেওয়া প্রতিশ্রুতি, একশো দিনের কাজের না কাজ করে পয়সা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি কে লোভ সামলাতে পারে। আর লোক মারলে ও কেস হবে না, এসব হলে কেন লোক যাবে না শুনি। এককথায় গুণ্ডা বাজির দল তৈরি করা হয়েছে। যা খুশি তাই করো কিছু হবে না। ” মন্টু -” এতে কিন্তু রাজ্যের ক্ষতি হচ্ছে। ” হরি –” তাতে নেতা মন্ত্রীর কিছু যায় আসে না, তারা নিরাপত্তা নিয়ে ঘোরে। আর টাকার পরিমাণ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ে, এমন একজন নেতা বা সাংসদ আছে যখন সাংসদ হলো তখন কিছু ছিল না। এখন তার বাড়িতে এক কোটি টাকার ঝাড়বাতি, রারিং সিঁড়ি, বাড়িতে কী নেই। দেখলে বা শুনলে চমকে উঠতে হবে। সাধারণ মানুষ এদের কথায় নিজেদের মধ্যে মারামারি করে মরছে। ” ভোলা -” দিদি যে এতো ঘুরে বেড়াচ্ছে শিল্পের জন্য তাহলে কি শিল্প হবে না! ” ( উত্তর লেখকের জানা নেই, কারণ লেখক দেখছেন তিনি বিদেশ ঘুরেছেন অন্য রাজ্যে গিয়ে শিল্প সন্মেলনে অংশ নিচ্ছেন। কিন্তু ছোট বড়ো কোনো শিল্প নেই, কেবল প্রতিশ্রুতি, এসব বিরোধীতা করতে লিখছিলাম না। আজ ঘরে ঘরে শিক্ষিত বেকার কাজের হাহাকার, কোথায় কাজ?)
Wednesday, 26 September 2018
সন্তান হারা মা।
আজ ডেইলি হান্ট নিউজ পোর্টালে, দেখলাম উত্তর দিনাজপুরের ইসলাম পুরে এক নেতার উপস্থিতি তে বোমা গুলি চলছে।মানুষ গুলি খেয়ে বোমা খেয়ে মারা যাচ্ছে ছবিতে দেখা যাচ্ছে, নেতা হাসি মুখে সভা করতে যাচ্ছে। আমি সাধারণ মানুষ কে বলব ভাই নেতা মন্ত্রীরা নিরাপত্তা নিয়ে নিশ্চিন্তে ঘোরে। সাধারণ মানুষ কে উস্কে দিয়ে মজা দেখে, কারণ সাধারণ মানুষ মরলে ওদের কিছু যায় আসে না।ঐ সব নেতারা লুটে পুটে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়। সুকান্তের বোধন কবিতার কটা লাইনের বেশ মিল আছে। "ওরা মুদ্রা গোনে কোটি কোটি, তোমার ঘরে আজ কঙ্কাল করোটি।" আম জনতা কে কুত্তার মতো কয়েকটি রুটির টুকরো ছুঁড়ে দিয়ে কাছে টানে হাতে তুলে দেওয়া হয় বোমা পিস্তল তোরা মারামারি করে মর। আমি মজা দেখি, সে তো জানে আমার কিছু করতে পারবে না। আমি নিরাপত্তা বলয়ে নিরাপদে থাকব। দু দিন আগে ঐ ইসলাম পুরে দু তিন জন ছাত্র গুলি বিদ্ধ হয়েছিল। দুজন ছাত্র মারাও গেছে সেই সব সন্তান হারা মা দের বুক ফাটা আর্তনাদ আজ সারা বাংলায় শোনা যাচ্ছে। আবার আজ একটি রাজনৈতিক দল বনধ ডেকেছে। এই বনধের চলা কালীন ঐ ইসলাম পুরে আজও আজিজুল না কি যেন নামে এক ছাত্র গুলি বিদ্ধ হয়েছে এটাও ঐ খবরের পোর্টালে পড়ছি, আবার এক বিরোধী দলের নেতার মৃতদেহ মিলেছে। রক্ত খাওয়া পিশাচ দল আজ সারা বাংলা জুড়ে নৃত্য করছে। রক্তের নেশায় কাল ভৈরবী তাণ্ডব চালাচ্ছে, বাদ বিচার নেই মানুষের রক্ত চাই। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত একটা চিন্তা কি করে মানুষের রক্ত খাওয়া যায়। নির্বাচন এলে তো কথাই নেই, একটু যদি বিরোধীতা করেছে তাহলে তার বাঁচার অধিকার নেই। কারণ জানে একবার ক্ষমতা চলে গেলে, শেষের পরিনতি খুব একটা ভালো হব না। তাই যেমন করে হোক ক্ষমতা ধরে রাখতে হবে। ঐ সন্তান হারা মা দের সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা আমার জানা নেই, আমি সেই সব সন্তান হারা মা দের বলছি, তোমাদের বুক ফাটা আর্তনাদ কখনও বিফলে যাবে না। বাংলায় আজ কাল ভৈরব আর কাল ভৈরবী নৃত্য করছে। রক্ত খাওয়ার নেশা তাদের শিরায় শিরায়, তাদের বিষাক্ত ছোবলে আজ মানুষ রক্তাক্ত। এর একদিন শেষ আছে, মানুষ মেরে মানুষের অন্ন কেরে নিয়ে। নিজে রাজ প্রাসাদে থাকব সেটা বেশি দিন চলতে পারে না। শেষের সে দিন ভয়ঙ্কর।
Tuesday, 25 September 2018
আমার ও আমাদের রাজ্য।
আমার মনে আমারই মতো পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি সুস্থ মানুষ। যারা সত্যিকারের এই রাজ্য তথা সাধারণ মানুষের পশ্চিমবঙ্গে সুস্থ ভাবে বসবাস করতে চান। সেই মহান মানুষের কাছে আমার জিজ্ঞাসা। আপনারা বুকে হাত দিয়ে বলুন এতো রক্তপাত দেখ আপনি চুপ থাকবেন। প্রতিবাদ করবেন না, আমি জানি অনেকর মধ্যে একটা ভয় কাজ করছে। প্রতিবাদ করলে আপনি মাওবাদীদ তকমা পাবেন। এখন আবার নতুন ভাবে মাওবাদী তকমা লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে। শহরের ভদ্র মাওবাদী, যারা লিখে প্রতিবাদ করে তথা প্রথিতযশা লেখক তাদেরকে হেনস্থা করে জেলে ভরে রেখে দেওয়ার চেষ্টা করে চলেছে। এঘটনা যদিও মুম্বইয়ে কবি ভারভারা সঙ্গে যা হল। আর আমাদের রাজ্যে আন্দোলন করতে গিয়ে দু দুটো তাজা ছাত্র প্রাণ অকালে ঝরে গেল। মা বুক চাপরাছেন আর কেঁদে চলছেন, শাসক দলের বোর্ড গঠন হবে গোষ্ঠী সংঘর্ষ এড়াতে পুলিশ পাহারা দিচ্ছে, সেখানে একজন পুলিশ অফিসারের গায়ে বোমা পড়ল। আর পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এবং পরে আমরা দেখছি, অনবরত রক্ত পাত। একই দলের লোকজন মারপিট করে মরছে। পুলিশ প্রশাসন নিষ্ক্রিয় কারণ, প্রকাশ্যেই নেতা বলছেন পুলিশ কে বোম মার তারপর তিনি ঘুরে বেড়াচ্ছেন। টেলিভিশনে দেখানো হচ্ছে তার পরও তিনি নির্দোষ কারণ তিনি নেতা খবরের কাগজে পড়ছি। নন্দীগ্রাম ও সিঙ্গুরে আসলে কী ঘটে ছিল মানুষ জানাতেই পারল না। কারণ কথিত আছে মরা হাতি লাখ টাকা, তেমনি মরা মেয়ে কোটি টাকা হয়ে গেছে যে। বামফ্রন্টের শেষের দিকে এসে যা ঘটে ছিল। এখন যেন সেই শেষ থেকে শুরু হয়েছে। কোন প্রতিবাদ আন্দোলন করা যাবে না। ধর্মঘট হরতাল বনধ বাম জমানায় ছিল নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা। কারণ তখন সব বিরোধী দল প্রতি কথায় বনধ ডাকত। আমার মনে আছে সিঙ্গুর নিয়ে কেবল সিঙ্গুর বনধ হয়ে ছিল ৩৯ বার। অথচ এই সিঙ্গুরে বাম জমানা থেকে শাসক দল জিতে আসছে, গত পঞ্চায়েত ভোটেও জিতেছেন। কীভাবে সেটা পরের কথা, এখানেও গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব প্রকট পঞ্চায়েত সমিতি থেকে পঞ্চায়েত সব হয়েছে, পুলিশ পাহারায়। যে পুলিশ প্রশাসন শাসক দল কে সাহায্য করছে তাদের কথায় বিরোধী দের মিথ্যে কেসে জেল বন্দি করছে। যা বাম জমানায় হতো, এই জন্য মানুষ পরিবর্তন করে ছিল যে সরকার পরিবর্তন হলে এগুলো আর হবে না। কিন্তু না পরিবর্তন কোথায়, ভালোর বদলে যেন আরও খারাপ হয়ে গেল। যে পুলিশ সাহায্য করছে সর্বত্র ভাবে, সেই পুলিশ আবার নিজের প্রাণ বাঁচাতে ফাইল মাথায় টেবিলের তলায় লুকিয়ে পড়ছে। আবার কোথাও আন্দোলনের নামে থানা আক্রান্ত হচ্ছে। পুলিশ কর্মীরা মার খাচ্ছেন। কান্নাকাটি করছেন থানা রক্ষা করতে পারেনি বলে। এসব আমরা টিভি চ্যানেলে প্রচারিত খবরে দেখছি।আপনারা যারা কথায় মোমবাতি নিয়ে মিছিল করতেন। তারা সত্যিই মানুষের মৃত্যুর জন্যে প্রতিবাদ করতে মিছিল করতেন না নিজের সার্থ রক্ষা করতে আন্দোলন করতেন। যে কোন অকাল মৃত্যু আমায় ব্যথিত করে, আমি স্থির থাকতে পারি না। মায়ের বুক ফাটা হাহাকার, সে জানে তার সন্তান আর ফিরে আসবে না। কেউ ফিরিয়ে আনতে পারবে না। আমি যখন টিভিতে দেখি তখন আমার বুক ফেটে কান্না আসে। মনে হয় যেন ছুটে সেখানে চলে যাই সন্তান হারানোর যন্ত্রণা আমি লাঘব করতে পারব না। মা গো এ রাজ্যে সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকার অধিকার কারোর নেই। কারণ প্রতিবাদ আন্দোলন করলেই মরতে হবে। এটাই এই পোড়া রাজ্য তথা দেশে সাধারণ মানুষের ভবিতব্য। কারণ সাধারণ মানুষের দুঃখের কথা কেউ শুনবেন না। যারা নিজেদের সুনাগরিক বলে মনে করেন।তারা আজ বধির যেসব মা তাদের সন্তানদের অকালে চলে দেখেছেন, যে সব স্ত্রী তাদের স্বামীর অকাল মৃত্যু দেখেছেন। আর যে সন্তান পিতৃ হারা হয়ে রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে তাদের কান্না এই তথা কথিত স্বঘোষিত সুশীল সমাজের কানে পৌঁছবে না। মনে পড়ছে আপনাদের গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সন্তানের সামনে বাবা মা কে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়েছিল। পিতৃ মাতৃ হারা সেই সন্তান যখন লুকিয়ে বেড়িয়েছে। বাবা মায়ের লাশ পর্যন্ত দিতে চায় নি তখন ঐ সুশীল সমাজের কষ্ট হয় নি। কারণ জানিনা কেন প্রতিবাদ করেন নি।আর কাকের ছবি আঁকবেন না শকুনের ছবি আমি জানি আপনাদের সেই মেরুদন্ড নেই। আমি শুধু জানি মানুষের অকাল মৃত্যু কষ্ট দায়ক। আসুন যদি সত্যি মানুষ হন মানুষের মৃত্যু যদি ব্যথা দেয় সে পুলিশ হোক সাধারণ মানুষ হোক মাষ্টার মশায় হন। শাসক দলের হোন আর বিরোধী দলের। যে কেউ হন সত্যি কার মানুষ হলে আসুন প্রতিবাদ করি। যে আই পি এস এরাজ্যেও সর্বোচ্চ পদে আছেন তাদের কান পর্যন্ত যেন পৌঁছে যায় মানুষের বুক ফাটা আর্তনাদ।