যে দিন কুয়াশা মাটির কাছাকাছি নেমে এসেছে।ছবি অনেক সময় অনেক কিছু বলে জানি না। আমার এই ছবি দেখে কে কী ভেবেছেন। কারোর কোনো মন্তব্য পায়নি। শীতের সকালে ঘুম থেকে এমন সুন্দর ছবি আমার ভালো লেগেছে তাই তুলে পোস্ট করে ছিলাম। হয়তো কোনো ভালো কবি হলে অনেক কিছু লিখে ফেলতেন। আমাদের মাননীয়া দিদি কি সুন্দর কবিতা লিখেছেন। আরেক লেডি সুকুমার রায় এল বলে,, আমরা কত টুকু বুঝি থাকতো সুদীপ্ত সেন, আর সারদার টাকা তাহলে দেখতেন কি হতো? কারণ তিন আঁচর কাটা ছবি কয়েক কোটি টাকায় বিক্রি হয় তাহলে এই সুন্দর কবিতা কত দামি হতো। সেই জন্য দিদির দেখে আমিও লিখতে শুরু করেছি যদিও যখন স্কুলে পড়াশোনা করেছি তখন, আমার দু একটা কবিতা ছোট খাট প্রত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল। যেমন "সাঁঝের প্রদীপ" প্রত্রিকায় প্রত্রিকায় হাওড়া সালকিয়া থেকে প্রকাশিত হতো। সম্প্রাদাক ছিলেন সুনীল মুখোপাধ্যায়, কবিতা গুলি আমার নিক নাম, অরূপ বন্দ্যোপাধ্যায়। আসলে শ্যামল বন্দ্যোপাধ্যায়। জানি না শব্দের ঝঙ্কার এখনও প্রকাশিত হয় কি না! দেখুন লিখতে গিয়ে কি লিখে ফেললাম। বয়স হয়েছে সেই সব কবিতা লেখার ঝোঁক আর নেই। তবে সেই অনেক গুলো ছোট ছোট গল্প নাটক লিখে ছিলাম যা প্রকাশিত হয়নি। কারণ ছাপানোর পয়সা ছিল না। আবার কলকাতা বেতারে নাটক লিখে পাঠাতাম। আমার লেখা সে সব নাটক প্রচার করা হয়নি, কিন্তু নকল হয়ে অন্য লোকের নামে অন্য নামে প্রচারিত হয়েছে। সে সব অনেক দিনের কথা, শখ ছিলো লিখতাম কিন্তু টাকার অভাবে প্রকাশিত হয় নি। আমার মতো হয়তো অনেক হারিয়ে গেছে কালের নিয়মে। আজ এই বয়সে এসে ব্লগ লিখছি। মনে হচ্ছে ব্লগ লেখা তেও আমি অনেক পিছিয়ে। আমার লেখা কেউ পড়ছে বলে মনে হচ্ছে না। কারণ কোন কমেন্ট বা লাইক আজ পর্যন্ত জানতে পারলাম না। মনে হচ্ছে এখানেও আমি হেরে গেছি, আমি দেখেছি মানুষ নোংরা ভাষার গল্প ঐ সব ভিডিও বেশি দেখে। আমি এই খানে খুব পিছিয়ে, যা হোক আমি হতাশ হব না। এক দিন না এক দিন আমি সফল হব। আমাদের মাননীয়া দিদির মতো। ইতি শ্যামল বন্দ্যোপাধ্যায়।
No comments:
Post a Comment