Thursday, 27 September 2018

বিদ্যুৎ নিয়ে তামাশা।



গ্রামের চায়ের দোকান খরিদ্দার কম।গ্রামের কয়েক জন জমে তারা বিভিন্ন রকম কথা বলে। আলোচনা করে ভালো লাগে, কিছু দরকারি আলোচনা হয়। অনেকর কাজে লাগে, অনেক সময় চা দোকান দার পটলাও অংশ নেয়। আবার বাড়াবাড়ি হলে বারণ করে। এরকম চলে, আজ সন্ধে বেলা সকলে কাজ থেকে ফিরে এসে, চায়ের দোকানে জমেছে। গৌরে কথা টা তুলল, জানিস এবার আমার কারেন্ট বিল এসেছে ১২০০ টাকা। এই তো জামা কাপড় বিক্রি করে সংসার চলে তিনটে ঘরে লাইট ফ্যান আর একটা টিভি আছে। পাশে জীবন দা বসে ছিল, সে বলল, “আর বলিস না, আমার মিটার আবার তিন বছর আগে খারাপ। অনেক আবেদন করেছি মিটার আর ঠিক হয় না।” ভোলা – ” অনলাইনে করেছ ওটা না করলে, তোমার মিটার ঠিকই হবে না।” জীবন – ” ঐ টা সেদিন একজন বলল, আমার তো আর দামী মোবাইল ফোন নেই। কী করে করব?” ভোলা – অফিসে সব কাগজ পত্র নিয়ে যাবে ওরা করে দেবে।” জীবন – ” ওরে ভাই অনেক ঘুরেছি করে দেয়নি।” ইতিমধ্যে হরি এসে হাজির, বলল -” মিটার খারাপ তো ও চট করে ঠিক করে দেবে না। ওটাই ওদের বিজনেস, যারা রিডিং নেয় তাদের শেখানো আছে। ওরা কারসাজি টা করে। আচ্ছা জীবন দা মিটার বন্ধ হবার আগে কত বিল আসত? ” জীবন -” কত আবার ছ’শ সাত শ” হরি ” এখন কত আসে? ” জীবন – ” এখন কত আসে?” জীবন – ” এখন ২০০ না ২৫০ ইউনিট ধরে পাঠায়। এখন বিল আসে ১২০০ টাকা ১৬০০ টাকা। ” হরি -” কী বুঝলি ভোলা? এখন ডবল বিল আসে। এটাই বিজনেস কারণ ঐ রিডিং ওলা দের শেখানো আছে তোরা একটু এদিক ওদিক করে দিয়ে আসবি আর বলবি মিটার খারাপ আমরা এক বিল পাঠিয়ে বছরের পর বছর বেশি টাকা তুলবো। তোলা তোলার নতুন কায়দা। সারা পশ্চিমবঙ্গে এরকম অসংখ্য গ্রাহক আছে। যাদের থেকে এভাবে ঘুরিয়ে তোলা তোলা হচ্ছে।” ভোলা -” তাহলে গৌর দার বিল কী করে বেশি এল? ” হরি -” ওটা মিটার রিডিং ওলা তার যন্ত্রে প্রথম সংখ্যাটা ভুল করেছে সেই জন্য হতে পারে। তাছাড়া এখন তো প্রতি ইউনিট প্রায় ৬ টাকা, আগে এই শাসক দল ১০ পয়সা বিদ্যুতের দাম বাড়লে, আন্দোলন করেছে। অফিস ভাঙচুর করে দিয়েছে। আন্দোলনের নামে তাণ্ডব চালিয়েছে। আর এখন তারাই ক্ষমতায় এসে জিনিস পত্রের দাম কোথায় নিয়ে গেছে। ” ভোলা -” যাই বল হরি এখন লোডশেডিং হয় খুব কমই। ” হরি – ” সাধে তোকে গাধা বলি, ওরে এখন পুরোনো কল কারখানা বন্ধ, হিন্দমোটর, জেশপ আরও কতো। নতুন করে কোন কারখানা হয়নি, কারখানা না চললে বিদ্যুৎ লাগবে কি করে? “


No comments:

Post a Comment