প্রতিটি প্রধান শিক্ষক আজ এই সংখ্যা লঘু স্কলারশিপ নিয়ে বিভিন্ন রকম ভাবে নাজেহাল। কখনও সভা ডেকে বলা কখনও সকল সংখ্যালঘু ছাত্র ছাত্রী যাতে আবেদন করতে পারে তার ব্যবস্থা করতে হবে প্রধান শিক্ষক কে? সে যে ভাবেই হোক, ছাত্র ছাত্রী দের অভিভাবক দের ডেকেও স্কুলে আসছে না। তার দায় ও প্রধান শিক্ষকের। ব্যাঙ্ক একাউন্ট খুলে দিচ্ছে না। দায় প্রধান শিক্ষকের। গত দু বছর আবেদন করে টাকা পায় নি। দায় প্রধান শিক্ষকের। যেমন করে ধরে বেঁধে করাতেই হবে না পারলে প্রধান শিক্ষক কে লিখিত দিতে হবে। ঐ যে পর পর দু বছর আবেদন করে ছিল যারা তারা টাকা পায় নি। তাদের অনেকেই আবার উচ্চ বিদ্যালয়ে পঞ্চম বা ষষ্ঠ শ্রেণি তে পড়ে।সংখ্যা লঘু অভিভাবক রা প্রধান শিক্ষকের কাছে অভিযোগ করেন যে আমরা টাকা পেলাম না। একবার দেখুন আপনি অফিসে একটু বলুন। ওর সমাধান করতে হবে প্রধান শিক্ষক কে। তিনি সব কিছুর দ্বায়িত্বে। তিনি সরাসরি ঐ সব অভিভাবক দের সাথে কথা বলতে পারেন। অফিস থেকে অর্ডার দিয়ে খালাস শুধু একটা তারিখ বলে দিলেই হলো তবে এবারে অফিস দ্বায়িত্ব নিয়ে ছিল। কিন্তু এমন সময় অফিসে গিয়ে কাজ টা করার তারিখ দিল সেটা হল, শুরুর একদিন আগে নোটিশ দিয়ে বলে অনেক কষ্টে কয়েক জন ছাত্রছাত্রীর অভিভাবক করে এলেন, বেশ কয়েক জন বাকী। এবার দায় প্রধান শিক্ষকের। আমার প্রশ্ন কেন এতো চাপ দু বছর ধরে করার পরও যখন টাকা এলো না। তার পরেও কেন এতো চাপ দিয়ে করানো। কে জবাব দেবে কেউ নেই, কারণ তুমি একজন প্রাথমিক শিক্ষক তোমার আবার জিজ্ঞাসা কীসের যা বলছি সেটা করো। তোমার কাজ তুমি করবে, যদি জিজ্ঞেস করেন শিক্ষকের কাজ কী? পড়ানো বাদে মি- ডে - মিল খাওয়ানো। ছাত্র ছাত্রীরা না খেলে দায় তোমার। আবার ধরুন খেল ১৫৯ জন টাকা খরচ হওয়ার কথা ৬৫৬ টাকা খরচ হয়ে গেল ৮০০ টাকা কেন হল। কৈফিয়ত দেবেন কেন বেশি খরচ হলো। আনাজ গ্যাস তেলের দাম বেশি ওসব কথা আমরা শুনব না। পারলে আপনার বেতন থেকে দিতে হবে। আর ছাত্র ছাত্রীদের আধার নম্বর নেবেন অফিসে এসে ডাটা এন্ট্রি করবেন নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে। মি- মিলের ক্যাশ বুক করবেন। তাতে টাকা যে মাসে পেলেন না। সে মাসে খরচ লিখবেন না। আবার প্রতি সপ্তাহে একদিন আয়রন আর ফলিক এসিড বড়ি দেবেন। বছরের এক দিন ছবি তুলে পাঠাবেন। দুবার করে নির্মল বিদ্যালয় পালন ( কেন্দ্র সরকারের এবং একবার রাজ্য সরকারের রাজ্যের আবার পাঁচ দিন ধরে।) করে ছবি তুলে হোয়টস এ্যাপে পাঠাবেন। তার আনুসাঙ্গিক কাগজ পূরণ করে পাঠাবেন। আবার ভি - ই - সির খরচ তার ক্যাশ বুক আপনি না পারনে অন্য কাউকে দিয়ে করবেন। তিনি টাকা নিলে আপনি দেবেন কিন্তু খরচে দেখানো যাবে না। সারা বছর জেরক্স করবেন টাকা টাকা আপনি দেবেন, খরচ দেখানো যাবে না। ভোটের ডিউটি আছে না বললে কোচবিহারের শিক্ষকের মতো অবস্থায় পড়তে হবে। সত্যি সেলুকাস কী বিচিত্র এই দেশ। প্রধান শিক্ষককে পড়াতে হবে না কেবল এই কাজ মাঝে মাঝে আরও নানা আদেশ পালন করতে হবে না বলা যাবে না। এর সঙ্গে আছে সর্ব শিক্ষার কাজ।
No comments:
Post a Comment