কল্পনা করে নিতে দোষ কী? মায়ের তো তৃতীয় নয়ন আছে আমার কি করি তিনি অনেক যুগ ধরে দেখছেন। মনে করে নিই যে এখন উপগ্রহ দিয়ে মা কী করছেন, মর্ত্যে আসা নিয়ে কী বলছেন সব জানা যাচ্ছে। মা বলল – ” দেখ গনশা তুই ভীষণ মোটা হয়ে যাচ্ছিস। তুই এবারে কলকাতায় কোনো ব্রিজের উপর দিয়ে যাবি না।” গনেশ – ” কেন মা ব্রিজ ভেঙে পড়তে পারে বলে।” মা – ” কেত লক্ষী সরস্বতী এদের আমার চিন্তা নেই। ওরা ওদের বাহন নিয়ে উপর দিয়ে উড়ে চলে যাবে। চিন্তা তো তোর আমার আর বাবার। ইঁদুর, সিংহ, ষাঁড়, তো আর উড়ে যেতে পারে না। কার্তিক বলল না মা আমি তোমার সাথে যাব। আলাদা যাব না। আমরা সবাই এক সাথে যাব। দেখ কলকাতায় প্রতি বছর যাচ্ছি, এবছর একটু অন্য রকম ভাবতে হবে। কলকাতা যাব তবে ডান বাম উপর দিক দেখে চলতে হবে। ” লক্ষী বলল -” বাবা তুমি দিব্য দৃষ্টি তে দেখ তো কলকাতায় কী হচ্ছে? ” শিব -” কেন রে লক্ষী তোর ভয় করছে? ” লক্ষী -” না না ভয় করছে না। আমি দেখতে বলতে বলছি কেমন সব সাজিয়েছে। ” মা -” ওদিকে ঘাটতি নেই, আমার এক রূপে মুগ্ধ সবাই তিনি তো আমার দয়ায় কল্পতরু। তিনি তো আমরা যাতে যেতে পারি তার জন্যে পূজো কমিটি গুলো কে দশ হাজার টাকা দিচ্ছে। আবার কন্যাশ্রী, রূপশ্রী বঙ্গ শ্রী বঙ্গ ভূষণ শিক্ষকের সম্মান শিক্ষা রত্ন গ্রামের গায়ক দের টাকা সাইকেল দু টাকা কিলো টাকা চাল। আরো কত কী? এবার তো ডেঙ্গি থুরি অজানা জ্বর আটকানোর জন্যে গ্রামের গরিব মানুষকে মশারি দেবে। ” সর বলল ” দেখ মা সব ঠিক আছে, কিন্তু আমার মানস পুত্র দের অবস্থা ভালো নয়। ” মা ” তুই সরকারি কর্মী দের কথা বলছিস, ওদের ডি এ দেয়নি পে কমিশন দেয়নি ঠিক করছে। অনেক কর্মীর বেতন বাড়বে বলেছেন। আবার কী? সরস্বতী :- ” না তাহলে তাদেরও টাকা পয়সা দরকার।”. মা ” আরও অনেক কিছু দিচ্ছে আমি কয়েক টার নাম বলেছি। গ্রামের কত রাস্তা করে দিয়েছে, যেখানে ঢোকা যেত না। সে সব জায়গায় সহজে যাওয়া যায়। মানুষকে যতই দাও তাদের খুশি করতে পারবে না।” লক্ষী ” যাই বল মা দিয়ে দিয়ে মানুষ কে কুঁড়ে বানিয়ে ফেলা ঠিক নয়। যখন দিতে পারবে না। তখন বিপদ ঘনিয়ে আসবে। অতিরিক্ত কিছুই ভালো নয়। ” মা ” যাহোক এবার কলকাতায় চার পাশের সঙ্গে সঙ্গে উপর দিকটা দেখে নিবি। মোট কথা ব্রিজ এড়িয়ে যাওয়া ভাল হবে।
No comments:
Post a Comment