পরের দিন ভবতোষ বাবুর বাড়িতে সকাল সাড়ে ন টা বাজে। ভবতোষ বাবু নিজের ঘরে বসে আছেন। এমন সময় সত্যেন ও রজত অনুমতি নিয়ে ঘরে ঢুকল। সত্যেন বলল " ভবতোষ বাবু আপনার আসল জিনিস নষ্ট হয়নি। এখনো অক্ষত আছে। শুধু আপনি আমার কয়েকটি কথার সঠিক জবাব দিতে হবে।" ভবতোষ " হ্যাঁ প্রশ্ন করতে পার আমার জানা থাকলে নিশ্চয়ই জবাব দেব।" সত্যেন " খুব সাধারণ প্রশ্ন, আপনার বলা কথা আর একবার জিজ্ঞেস করব।" এসব কথা যখন হচ্ছে তখন সুরেশ বাবু এলেন। " সত্যেন বাবু আমার আসতে দেরি হয়ে গেলো। " সত্যেন," না না সেরকম দেরি হয় নি। আমি এই শুরু করতে যাচ্ছি। ". সুরেশ -" আপনি শুরু করুন, তাকে আবার পাঠিয়েছি এখন আসবে না। " সত্যেন -" ভবতোষ বাবু, আপনা কে শীতের সকালে মর্নিং ওয়াকে হাঁটতে গিয়ে প্রথম ঐ কথা বলে ছিল। কি যেন গদা টা ঠিক আছে তো। এরকম আরো কয়েকটা দিন বলেছিল কে বলে ছিল আপনি চিনতে পারেন নি। কারণ তার মুখ হনুমান টুপি দিয়ে ঢাকা ছিল। দ্বিতীয় না তৃতীয় দিনে যখন আপনাকে আবার বলল এবং আপনার বাড়িতে মেয়ে জামাই আসার তোর জোর হচ্ছে। ছোট ছেলে জেলে ডেকে জাল দিয়ে সদর পুকুরে মাছ ধরতে গেল। জেলে জাল ফেলল কিন্তু কিছুতেই তুলতে পারছিলনা।, ".
ভবতোষ বাবু -- " এসব কথা আবার বলার কি আছে। " রজত -" আছে ভবতোষ বাবু, এর মধ্যেই রহস্য আপনি ধরতে পারেনি। " ভবতোষ -" তার মানে। " সত্যেন -" শুনুন আপনার ঠাকুর ঘর থেকে ওটি চুরি হয়েছে ঠাকুর ঘর সারানোর সময়। আগে বা পরে নয়, আচ্ছা ঐ শীতের ভোরে আপনি যখন একা হাঁটতে যেতেন তখনই কথা গুলো বলতো সঙ্গে যখন লোক থাকতো তখন বলতো। কারণ এসব ঘটনার পর আপনা কে একা যেতে দেওয়া হয়নি, কিন্তু একদিন যখন আপনি একা মানে কেশব বাবুও ছিল না। সেদিন আপনাকে কথা টা আবার বলা হয়েছিল। আর সুরেশ বাবু কুয়াশার মধ্যেই আপনাকে ফলো করছিল সে সেটা বুঝতে পারেননি। ". সুরেশ বাবু --" আরে সে দিন আপনার বড়ো ছেলে বলল, যে সুরেশ বাবু আজ কেশব কাকু বাবার সঙ্গে হাঁটতে যাবে না। আপনি যদি দয়া করে বিষয় একটু দেখেন, কারণ বাবা মশাই কথা শুনবেন না, একাই যাবেন। সেই জন্য আমি গোপনে পিছু নিয়ে ছিলাম, কিন্তু ব্যাটা সেদিন ও ভবতোষ বাবু কে কী যেন বলল। আমি পিছু নিলাম কুয়াশার আঁধারে কোথায় গেল দেখতে পেলাম না। না হলে ঐ দিনই ধরে ফেলতাম। " সত্যেন " ঐ দিন আপনি যদি ধরে ফেলতেন তাহলে আমার আর আসা হতো না। যা হোক ভবতোষ বাবু, আপনি তো এই গরমেও ভোর বেলা হাঁটতে যাচ্ছেন। ". ভবতোষ " হ্যাঁ যাচ্ছি তাতে কি হলো? " সত্যেন" এখন আপনার সঙ্গেও কেউ থাকছে না। " ভবতোষ " না কেউ থাকছে না। ". সত্যেন " আপনাকে ঐ সোনার গদা নিয়ে আর কেউ কিছু বলছে না। " ভবতোষ " না কেউ কিছু বলছে না, আমি নির্ভয়ে নির্ঝঞ্ঝাটে হেঁটে আসছি। সত্যেন " রহস্য এখানে লুকিয়ে আছে, এখন আর শীতের পোশাক পরা যাবে না। মুখ বলুন আর শরীর ভালো ভাবে চাপা দেওয়া যাবে না। তাই আপনাকে কেউ কিছু বলছে না। ভবতোষ বাবু জিনিস টি মানে সোনার গদা টি আপনার খুব পরিচিত লোকের কাছে আছে। এবার আপনি বুঝেনিন কে সে?" ভবতোষ - " সত্যি সত্যেন বাবু আমি বুঝতে পারছি না। কে সে কার কাছে আছে? " সত্যেন -" আপনি হাঁটতে যান ভোরে তখন খুব কম মানুষই ঘুম থেকে উঠে। আপনি নিশ্চয়ই রোজ রাস্তা পাল্টান না। " ভবতোষ " আমি প্রায় বেশির ভাগ দিন একই রাস্তা যাই " সত্যেন " তাহলে আপনি যে ঐ রাস্তায় যান, এসব জানল কি করে? আপনার খুব কাছের মানুষ ছাড়া জানবে না। সে খুব দ্বিধায় পরেছে, জিনিস টা ফেরত দেবে কি না। তবে আমার বিশ্বাস আপনি জিনিস টা তাড়াতাড়ি ফেরত পাবেন।" সুরেশ বাবু - " ও সত্যেন বাবু খোলশা করে বলে দিন আমরা জিনিস টা নিয়ে আসি। " সত্যেন -" একটা কথা বলব সুরেশ বাবু আপনি মাঝে আছেন তাই সে আরো ভয় পেয়ে গেছে। যদি জেল হাজতে থাকতে হয়। আপনি যদি না থাকতেন তাহলে যে দিন সিন্দুক জালে আটকা পড়ে ছিল সেই দিন ওটা ভবতোষ বাবু ফেরত পেয়ে যেতেন।" আমি বুঝতে পারছি না, কেন আমার জন্যে এটা ঘটল। ভবতোষ বাবু আপনার ছোট ছেলে কে ডাকুন দেখবেন বিষয় টা আরও পরিষ্কার হয়ে যাবে। ভবতোষ" তার মানে জিনিসটা আমার ছোট ছেলের কাছে। " রজত চুপ করে বসে ছিল সে বলল, দেখুন আপনার অনুমতি না নিয়ে আমি সেদিন আপনার ছোট ছেলের সঙ্গে বিষয় টা নিয়ে কথা বলছিলাম। কারণ ছোট ছেলে মানে মনোতোষ বাবু জেলে নিয়ে পুকুরে জাল দিচ্ছিল। প্রথমে জেলে ঐ জায়গাটায় জাল ফেলে নি। অন্য সব দিকে জাল ফেলে আস ছিল।"
এমন সময়ে ঘরে মনোতোষ বাবু এলেন।
( গল্পের শেষ অংশ পরের পর্বে)
This is a news blog. Here I write story, social incidents, political incidents, & my life history etc.
Tuesday, 25 September 2018
সোনার গদা ( ৫ম অংশ)
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment