আগে অনেক বার লিখেছি যে আমাদের দেশে অনেক মানুষ স্বাধীনতার মাধ্যমে নিজেদের আখের গুছিয়ে নিতে ব্যস্ত। আবার কেউ কেউ পদ নিয়ে দরা দরি করছিল।কেউ তার পদবী দিয়ে বেঁচে থাকার বা চিরকালের জন্য ইতিহাস তৈরি করছিলেন। সদ্য দেশ স্বাধীন হয়েছে, অসংখ্য ছোট রাজ্য ছোট দেশ ছিল ভারত বর্ষের মধ্যে তারা অনেক স্বাধীনতা চাইছে। অনেক রাজ্য বা দেশ পাকিস্তানের সাথে থাকতে চাইছে। কারোর সে সব দিকে নজর নেই, তখন ব্রিটিশ কে বলে জেল খাটা স্বাধীনতা সংগ্রামীর দল, নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোস কে কী করে দেশে ঢুকতে না দেওয়া যায় তার ব্যবস্থা করতে ব্যস্ত। তাকে যুদ্ধ অপরাধী ঘোষণা করে সেই কাজে তারা সফল হয়েছে। আজাদ হিন্দ বাহিনীর যে সব সৈনিক সেদিন লালকেল্লার ভেতরে বন্দী তাদের জন্য মায়া কান্না কাঁদতে ওকালতি করে দেখিয়ে দিলেন। কেন তার একটা কারণ তখন বোম্বাই এ ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর মধ্যে যে সব ভারতীয় সেনা জওয়ান ছিল তারা বিদ্রোহ করতে শুরু করেছে। দেশের অন্য অনেক জায়গায় সেনাবাহিনীর মধ্যে বিদ্রোহ দেখা দিয়েছে। এমত অবস্থায় কালো কোট গায়ে ওকালতি করা ছাড়া আর উপায় ছিল না। কে করে ছিল সেটা সত্যি কার ভারতের ইতিহাস পড়লে অবশ্যই জানাবেন। আর এই সময়ে দেশ কে এক ছাতার তলায় আনতে দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে দৌড়ে বেড়াচ্ছেন। যে মানুষ টি তিনি হলেন, সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটেলে।তিনি একা সর্বত্র পৌঁছতে পারেননি, যে খানে তার যেতে বা পৌঁছতে দেরি হয়ে গেছে। সেই সব রাজ্যে আজও গণ্ডগোল লেগে আছে, তিব্বত কে তো চীন দখল করে নিয়েছে। এখন ভুটান নেপালের দিকে তাদের লক্ষ্য যেমন করেই হোক শিলিগুড়ি করিডোর দখল নিয়ে পুর্ব ভারত কে ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করা। আর বাংলাদেশের উপর নিজের প্রভাব বিস্তার করে ভারত কে চাপে রাখা। পাকিস্তান কে উন্নয়ন করে দেবার নামে প্রায় কিনে ফেলেছে। যেমন তারা হংকং কে করেছে, তাইওয়ান কে নিয়েছে, তিব্বতকে নিয়েছে। চীন কমিউনিস্ট হতে পারে কিন্তু দেশ দখলের আগ্রাসী মনোভাব তার আছে। উন্নয়ন করে দেওয়ার নামে ঢোকে, সেই দেশ কে ঋণের জালে বন্দী করে সেখানে চীনা টাউন বা কলোনি তৈরী করে। কারণ চীনের লোক সংখ্যা বেশি।তারা বাসস্থান খোঁজে এবং সেই সাথে সেই স্থানের অধিকার চীনের সেখানে যে দেশে তারা আছে তাদের আইন চলেনা বললেই চলে। উল্টো দিকে ভারত বা দেখুন বিশ্বে লোক সংখ্যায় দ্বিতীয়। পাশের দেশ চীন যে ভাবে টেকনিক্যাল থেকে সমস্ত দিয়ে উন্নতি করেছে , ভারত দুবছর আগে স্বাধীন হয়েও পারেনি। কারণ খুঁজে দেখুন দেখবেন সেই নেতা যারা ক্ষমতা দখল করতে বা গদিতে বসবে বলে মরিয়া তারা শিক্ষার জন্য কোনো নজর দেয়নি। সংবিধানের অনেক ধারা উপধারায় নিশ্চয়ই লেখা আছে এত সালের মধ্যেই সবাই কে শিক্ষিত করতে হবে।. আগে চাই শিক্ষা মানুষ শিক্ষিত নয়, সেই জন্যই আজও ভারতের মজবুত ইউনিটি আসেনি। এখনও বিভিন্ন স্থানে বিচ্ছিন্নতাবাদ মাথা চারা দিচ্ছে। বিভিন্ন ভাষাভাষী ও বিভিন্ন ধর্মের এই দেশকে এক করতে পারে যে শিক্ষা সেই শিক্ষা দরকার। কারণ এই মূহুর্তে দেশে কোনো বল্লভ ভাই প্যাটেলে নেই, শুধু তার মূর্তি স্থাপন করে ইউনিটি বা একতা আনা সম্ভব যদি সঠিক শিক্ষা না দেওয়ার ব্যবস্থা থাকে।
This is a news blog. Here I write story, social incidents, political incidents, & my life history etc.
Wednesday, 31 October 2018
আজ ভারত বাসীর কাছে দুঃখের দিন। ভারতের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যু দিন।
আজ থেকে ৩৪ বছর আগে ১৯৮৪ সালে ৩১ শে অক্টোবর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। দেহরক্ষীর গুলি তে নিহত হন, দিন টি ভারত বাসীর কাছে দুঃখের দিন।সেদিন সকালে বেতার তরঙ্গের মাধ্যমে ভারত বর্ষের আপামর জনসাধারণের প্রিয় প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যু এবং ঐ ভাবে মেনে নিতে পারে নি। সকল ভারত বাসির চোখের জল পড়ে ছিল। গোষ্ঠ পাল নামে এক লোকসংগীত লেখক ও গায়ক গান গেয়ে ছিলেন। ৩১শে অক্টোবর ১৯৮৪ কী খবর পেল ভারত বাসী। সত্যিই সে দিন সেই গান টি সারা বাংলার মানুষ সারা দিন শুনে ছিল। আমি তখন একজন ছাত্র, আমার কাছেও সংবাদ টা মর্মভেদী।
এরকম একজন মহান মানুষ কে আজ আমি সশ্রদ্ধ চিত্তে স্মরণ করি। তিনি স্বর্গের যে লোকে থাকুন শান্তি তে থাকুন। আমার পক্ষ থেকে রইল সশ্রদ্ধ প্রণাম।
এরকম একজন মহান মানুষ কে আজ আমি সশ্রদ্ধ চিত্তে স্মরণ করি। তিনি স্বর্গের যে লোকে থাকুন শান্তি তে থাকুন। আমার পক্ষ থেকে রইল সশ্রদ্ধ প্রণাম।
Tuesday, 30 October 2018
বেতন বৃদ্ধি নিয়ে শিক্ষকের আন্দোলন নিয়ে, পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা মন্ত্রী কথায় সত্তর দশকের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে।
ছবি টি ডেইলি হান্ট নিউজ ওয়েব সাইট থেকে নেওয়া ।উস্থি ইউনাইটেড নামে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক দের পি আর টি স্কেলে বেতন বৃদ্ধি নিয়ে দু দিনের অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি নিয়ে বর্তমান রাজ্য সরকারের শিক্ষা মন্ত্রী কলা শিক্ষা প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করতে গিয়ে যা বললেন, তাতে করে সত্তর দশকের শিক্ষক দের একটা আন্দোলনের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। আমার বাবার কাছে শুনেছি, তিনি এবং আরও অনেক শিক্ষক মিলে কলকাতায় অবস্থান বিক্ষোভ করছিলেন, দাবি ছিলো এক টাকা চিকিৎসা ভাতা দিতে হবে। আর বেতন বাড়ানোর জন্য সুব্যবস্থা নিতে হবে। আরো কয়েকটা দাবি ছিলো, অনেক দিন হলো বাবার কাছে শুনেছি, আমার বাবা একজন প্রাথমিক শিক্ষক ছিলেন। তিনি বলেছিলেন, উক্ত দাবি নিয়ে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি বা শেষ অবস্থান বিক্ষোভ করছেন, ঐ শীতের রাতে হঠাৎ হোস পাইপের জল দিয়ে ভিজিয়ে দেওয়া হয়ে ছিল। তখন কার শিক্ষা মন্ত্রী নাম টা ভুল হতে পারে। অজয় মুখার্জি এবং মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন প্রফুল্ল সেন। বলে ছিলেন আমাদের সাধ আছে সাধ্য নেই। আর বর্তমান শিক্ষা মন্ত্রী কলা কেন্দ্রের সভা থেকে একই কথাই বলছেন। কী বললেন, যে রাজ্যের আর্থিক অবস্থা খারাপ তাই তারা ঐ দাবি মানতে পারবে না। শিক্ষক দের প্রতি তারা সহানুভূতি শীল, তার সাথে আলোচনা করতে পারেন। ওসব দাবি নিয়ে আলোচনা আগে যোগ্যতা দেখান, একথা বলে উনি কী বোঝাতে চাইছেন। তবে শিক্ষা মন্ত্রীর কথার সাথে আমি একমত কারণ রাজ্যের আর্থিক অবস্থা সত্যিই খুব খারাপ। সেই জন্যই দুর্গা পুজো করতে আঠাশ কোটি, ক্লাব গুলো কে দু লক্ষ টাকা করে কয়েক বছর ধরে এক লক্ষ ক্লাব টাকা পেয়েছেন। আবার যার বাবা চার চাকা কিনে দিতে পারে তাকেও সাইকেল, এই সাইকেল দেওয়ায় সত্যিই দূরদর্শিতা আছে, সাইকেল সারাই এর দোকান গুলো যাতে সপ্তাহে একদিন করে সাইকেল সরিয়ে টাকা নিতে পারে তার ব্যবস্থা পাকা।কন্যাশ্রী সে তো কথাই নেই, সবাই পাবে লেখা পড়া করুক আর ছাই নাই করুক। বাবার মেয়ের বিয়ে তে খরচ করার ক্ষমতা আছে তাও সে পাবে।বয়সের কোনো বাধা নেই। আরেকটা বড়ো কারণ তোকে গ্রামের ছোট নেতা দের একটা ইনকামের রাস্তা করে দিতে হবে।
ছবি টি কোথা থেকে পেয়েছি তা ছবির উপর লেখা আছে । আমি এই ছবি দিচ্ছি এরা কন্যাশ্রী পেয়েছেন। এদের এ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকার পর কারা টাকা নিয়ে নিজের বলে নিয়েছেন। তাদের নামে একটি অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রী কাছে লেখা হয়েছে। সেই চিঠি টি ও এখানে দেব। ঘটনা টি ঝড়খালির। বন্ধু শিক্ষকের এবং কর্মীদের বেতন বাড়ানোর টাকা নেই। বলতে পারবেন না, অপচয় হচ্ছে, কারণ উত্তর মুখস্থ করে ফেলেছেন বেশ করেছে। কারণ ঐ টাকা জনগণের ট্যাক্সের টাকা নয়, ওগুলো আলাদা জায়গা থেকে নেওয়া বা তোলা ট্যাক্স আদায় হলে ডিএ পাবেন এবং পে কমিশন পাবেন। তাও পাবেন কিনা সন্দেহ বামফ্রন্ট সরকার যে দেনা করে গেছেন সেটা শোধ করে টাকা বাঁচলে তবে পাবেন। এবার ঐ চিঠি টি
এটিও কলকাতা 24*7অন লাইন নিউজ পোর্টালে বেড়িয়ে ছিল ।দক্ষিণ ২৪ পরগনার ঝড়খালির ঘটনা। একদম বেতন বাড়াতে বলবেন না, তাহলে বেতন কনসোলিডেট করে দেব বেতন আর কোন দিন বাড়বে না। আবার বলবেন না, বাম সরকার দেনা করুক যাই করুু বছরে দুবার ডিএ দিয়েছে সঠিক সময়ে পে কমিশন দিয়েছেন। শিক্ষক দের ১৯৮০ সালের আগে কোন বেতন কাঠামো ছিল না । নিয়মিত পেনশন ছিল না, বামফ্রন্ট সরকার শিক্ষকদের পে কমিশন ও পেনশন ফ্যামিলি পেনশন এর ব্যবস্থা করে দিয়ে ছিল। আর আজকের সরকার সত্ত্ত দশকের শিক্ষা মন্ত্রী সুরে কথা বলছেন। এই তফাৎ একটা সম্পুর্ণ উগ্র ক্ষমতা লোভী ডান পন্থী সরকারের সঙ্গে বামফ্রন্ট সরকারের। আমরা ভুল করে ফেলেছি, সেই ভুলের মাশুল আমাদের দিতে হবে। আমাদের মধ্যে এখনও অনেক শিক্ষক আছেন যারা এই সরকার কে সর্মথন করে যাচ্ছে। বেতন কম দিলেও যা করছে ভালো করছে। এই সরকার হাতেও মারছে ভাতেও মারছেে, এটা সকল কে বুঝতে হবে। আরো বড়ো আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। দল মত নির্বিশেষে সকল শিক্ষকে আহ্বান জানানো দরকার। আর শিক্ষক আন্দোলনের সঠিক ভাবে জানতে হবে।
ছবি টি কোথা থেকে পেয়েছি তা ছবির উপর লেখা আছে । আমি এই ছবি দিচ্ছি এরা কন্যাশ্রী পেয়েছেন। এদের এ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকার পর কারা টাকা নিয়ে নিজের বলে নিয়েছেন। তাদের নামে একটি অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রী কাছে লেখা হয়েছে। সেই চিঠি টি ও এখানে দেব। ঘটনা টি ঝড়খালির। বন্ধু শিক্ষকের এবং কর্মীদের বেতন বাড়ানোর টাকা নেই। বলতে পারবেন না, অপচয় হচ্ছে, কারণ উত্তর মুখস্থ করে ফেলেছেন বেশ করেছে। কারণ ঐ টাকা জনগণের ট্যাক্সের টাকা নয়, ওগুলো আলাদা জায়গা থেকে নেওয়া বা তোলা ট্যাক্স আদায় হলে ডিএ পাবেন এবং পে কমিশন পাবেন। তাও পাবেন কিনা সন্দেহ বামফ্রন্ট সরকার যে দেনা করে গেছেন সেটা শোধ করে টাকা বাঁচলে তবে পাবেন। এবার ঐ চিঠি টি

মানুষের সব কিছুর পরিবর্তন করে দিচ্ছে মিডিয়া।
আমার কথা বা লেখা সত্যিই কজন পড়েছেন? আমি ঠিক বুঝতে পারছি না কারণ কারও কোনও মন্তব্য আজ পর্যন্ত পেলাম না। জানি না কতটা ভালো লাগছে? কারণ আমি দেখেছি ইউ টিউবে চটুল ভিডিও দেখতে সবাই অভ্যস্ত লেখা পড়ে সময় নষ্ট করার সময় নেই। নিউজ পোর্টাল গুলো লেখার ধরণ পাল্টে ফেলেছে। খবর গুলো ছোট আকারের হয়েছে । প্রতিটি তে কোনো না কোনো ছবি থাকছে। ছবি না থাকলে এ্যমিনেশণ ছবি দিয়ে দিচ্ছে। আর ছোট খাটো নিউজ পোর্টাল প্রতিনিয়ত যৌন তা নিয়ে লিখছে। যে লেখা দশ দিন আগে অন লাইন ছিল সেই লেখা কে আবার পোষ্ট করে দিচ্ছে। আর কিছু আছে ইউটিউবে চটুল ভিডিও, দূর্বো ঘাসের রস খান যৌন উত্তেজনা বাড়বে বলে একটা নোংরা ছবি দিয়ে পোষ্ট করে দিচ্ছে। এবিষয়ে বাংলাদেশের মেয়েরা বেশি এগিয়ে, সব রকমের আবেদন গল্প পাবেন, গল্প মানে অডিও গল্প সামনে একটি ছবি। সারা রাত ধরে তাকে কি বলল কি করল বলছে ঐ সব অডিও। এই সব বেশি পাওয়া যাবে বাংলাদেশ থেকে পোস্ট করা ইউটিউব ভিডিও তে, কী করে সব করতে হবে সব শেখাচ্ছে। এগুলোর ভিউ বেশি মানুষ এগুলো তাহলে চাইছেন। কিছু সময় লেখা আছে আঠারো বছরের নীচে কেউ দেখবা না। আচ্ছা ঐ টুকু আবেদন কোনো সিস্টেম নেই যে আঠারোর নীচে হলে তাকে সাইটে ঢুকে বয়স জানাতে হবে, তবে খুলবে। বলবেন সামাজিক শিক্ষা হচ্ছে। এই যৌন শিক্ষা দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে না। এতো সামাজিক অবক্ষয় ডেকে আনতে পারে। সেই শিক্ষা দিতে বলা হচ্ছে, যে খানে চুমু খেলে পেগনেন্সি হয়েছে বলে, তামিল নাড়ুর মেয়ে টি গর্ভনিরোধক পিল খেয়ে ডাক্তারের কাছে এসে ছিল। এরকম পরিস্থিতিতে পড়তে না হয়, সেই জন্য সামাজিক শিক্ষা হিসেবে যৌন শিক্ষা দিতে হবে। আর ছোট শিশুদের মানে যারা নেট সার্চ সেই সব, কিশোর দের কথা ভাবতে হবে। প্রাচ্যের দেশ গুলো তে বিশেষ করে ভারতীয় উপমহাদেশে এখনও খোলা মেলা নয়। খোলা মেলা করা উচিত কি না সে বিতর্ক চলছে। জানে সবাই যৌন মিলন অপরিহার্য কিন্তু খোলা মেলা হলে যৌন রোগ গুলো অপ্রতিরোধ্য হয়ে ঢুকে যাবে শরীরে। আবার খোলা মেলা হলে এই মেয়ে দের উপর যে অত্যাচার সেটা কমবে। সবেরি ভালো মন্দ দুটো দিক থাকে।আমাদের খাদ্যাভ্যাস পাল্টে যাচ্ছে, অনেক অখাদ্য যা বাঙালি খেত না। সে গুলো আজ তাদের খাদ্য তালিকায় ঢুকে পড়েছে। মদ খাওয়া এখন কিশোর কিশোরী রাও বাবা মায়ের সঙ্গে বসে মদ্যপান করছে। ইংরেজ রা দেশ ছেড়ে চলে গেছে ৭০ বছর আগে, কিন্তু তাদের পোশাক ও ঐ মদ্যপান রেখে গেছে। যা আমরা এখন অভ্যাসে পরিনত করে ফেলেছি। কেউ কেউ ধর্মীয় অনুশাসন দিয়ে ধরে রাখতে চাইছেন। সেই অনুশাসনের ফাঁকে আমরা আরও বেশি করে মদ্যপান করে চলেছি। খাদ্য অভ্যাস পাল্টানোর জন্য দেওয়া হচ্ছে যৌনতার সুরসুরি, যাতে খায় তার জন্যে চটক দার বিজ্ঞাপন। এসব পড়ে অনেক বলবেন আপনি তো মশাই সেকালের মানুষের মতো ব্যাকডেটেট কথা লিখছেন। মানুষ কি চিরকাল একই রকম থেকে যাবে, পাল্টাবে না, হ্যাঁ নিশ্চয়ই পাল্টাবে কিন্তু খারাপ হবে এরকম কিছু না করে পাল্টাবে। রামকৃষ্ণের সেই কথা মনে রেখে পাল্টাবে, তিনি বলেছেন, "খারাপ টা বাদ দিয়ে ভালো টা নিতে হবে।" আসুন আমরা সেই ভাবে আমাদের পাল্টাই যা আমাদের সুস্থ সমাজ ব্যবস্থা তৈরিতে সাহায্য করে দেবে। আমরা ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নিই, ভালো মন্দ বিচার করে সিদ্ধান্ত নিই। আমরা আধুনিক বিজ্ঞানের শিক্ষা নিই, যে বিজ্ঞান মানুষের জীবন কে পাল্টে দিতে পারে।নিজের আব্রু বজায় রেখে আধুনিক পোশাক পরি। নিজের শরীর কে সুস্থ রেখে খাদ্যাভ্যাস পাল্টাই। নিজেকে সংযত করে শ্লালিনতা বজায় রেখে মানুষের সাথে মেলামেশা করি, কথা বার্তা বলি। আসুন সমাজ পাল্টাই কিন্তু সব কিছু কে বিসর্জন দিয়ে নয়। অন্ধের মতো অনুকরণ করে নয়। অপরের সব ভালো আর আমার যা আছে সবটা খারাপ বা আমার যা আছে সব ভালো অপরের সব জিনিস খারাপ এটা না করে। বিচার বিবেচনা করে নিজেকে পাল্টাই।
Monday, 29 October 2018
শিশু আজ শিশু কে খুন করছে।
ছবি টি ডেইলি হান্ট নিউজ ওয়েব সাইট থেকে নেওয়া হয়েছে।
প্রায় প্রতিদিনই অন লাইন নিউজ পোর্টাল গুলো খুললেই খবর থাকে শিশুরা শিশুর উপর অত্যাচার করছে। আবার কোন পাষণ্ড শিশুর উপর অঅত্যাচার করছে। যেমন উপরের ছবিটি দীল্লির । আজকের নিউজ পোর্টালে বেড়িয়ে ছিল ।শিশু টি কে কে বা কারা মেরে দিয়েছে। আবার আরেকটা নিউজ পোর্টালে Zee 24 ঘন্টায় বেড়িয়ে ছিল। পশ্চিমবঙ্গের একটি গ্রামে ফিরহাদ নামের একটি বাচ্ছা ছেলেকে কাল থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। আজ সকালে তাকে খালের জল থেকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে । আরো লেখা ছিলো তার সম বয়সি বন্ধু তাকে বাড়িতে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে ছিল। তার সাইকেল সহ জুতো খালের ধারে পাওয়া গেছে। কেন এই সব প্রবনতা তৈরী হচ্ছে। বাচ্ছারাও অপরাধ করে ফেলছে? বাংলায় একটা প্রবাদ আছে বাচ্ছারা শেখে বড়ো দের দেখে, বড়োরা এমন কোনো কথা বলছেন বা কাজ করছেন, শিশু মনে প্রভাব ফেলছে। আর সঙ্গে আছে বিভিন্ন গেম, ইলেকট্রনিক মিডিয়ার খবর যেখানে খুনের দৃশ্য দেখানো হচ্ছে। আর আছে নেট দুনিয়া ফেসবুক হোয়াটস এ্যাপে মেসেজ থাকছে, আর ইউ টিউবে সে তো কথাই নেই। যা দেখতে চাইবেন তাই পাবেন ইউটিউবে, শুধু শুধু ভিউ বাড়বে বলে খারাপ ছবি কথা বলছেন লিখেছেন। বেশি আছে দেখলাম বাংলা দেশের।
শিশু মন অনুকরণ প্রিয় তারা যা দেখে তাই শেখে, যা শোনে সেটা মনে রেখে দেয়। অনেকেই ভাবছেন শিশু শিশু অবস্থায় যা শুনল বা দেখল বেশি দিন মনে রাখতে পারে না। এসব ধারণা কিন্তু ভুল ছোট বেলায় শোনা সমস্ত কথার মধ্যে যেটা তার মনে দাগ কাটে সে সেটা সে দীর্ঘ দিন মনে রাখতে পারে। অনেক কথা বা ঘটনা সারা জীবন মনে রাখে। মহাভারতের অভিমুন্যুর কথা যে মাতৃ গর্ভে থাকা কালীন, শুনে ছিল চক্রবূহে কী করে ঢুকতে হয়, কিন্তু বেড়িয়ে আসার কথা শুনতে পাননি কারণ তার মা ঘুমিয়ে পড়ে ছিলো।
আর এখন এই সব নেট দুনিয়াতে বিভিন্ন ভাবে ভিডিও ফুটেজ খবর প্রতিনিয়ত আপলোড হয়েছে। সেখানে রক্ত মাখা ছুরি, খুন হওয়া বডির ছবি, আর গলায় ফাঁস দেওয়া দেহের ছবি অনলাইন নিউজ পোর্টালে প্রতিনিয়ত আসছে । অনেকেই এসব দৃশ্য বাচ্ছা দের থেকে লুকিয়ে রাখতে পারে না। তাই অনলাইন নিউজ পোর্টালে ঐসব ছবি দেওয়ার আগে ভেবে দেখুন। শিশু মন কতটা প্রভাব ফেলতে পারে, আপনি আপনার চ্যানেলের ভিউ বাড়বে বলে ধরে নিলাম ঐ সব ছবি দিচ্ছেন। কিন্তু শিশু মন কীভাবে নেবে ভাবা যাবে না। আর অনলাইন গেম খেলতে দেওয়া উচিত কিনা ভেবে দেখুন। আপনি মোবাইল ফোন থেকে বাচ্চা দের দূরে রাখুন নিজের মোবাইল এ গেম এ্যাপ ডাউনলোড করতে দিতে পারেন যে সব গেমের কোনো খুন খারাপি নেই। আর অনলাইন নিউজ পোর্টালে ছবি গুলো বন্ধ করে দিন ইউটিউবে অনেক শিক্ষা মুলক চ্যানেল আছে। সে গুলো দেখতে দিন তাদের সামনে খারাপ কথা খারাপ আলোচনা না করাই ভালো। শিশু কে সুস্থ ভাবে মানুষ হলে অনেক কিছু নিজেদের ত্যাগ করতে হবে। নিজেদের মধ্যে অশান্তি ঝগড়া ঝাঁটি, অভাব প্রত্যেক বাড়িতে আছে কারণ আজকের দিনে সাধারণ গরীব মানুষের উপায় কমেছে। বর্তমানে রাজ্যে অর্থ নৈতিক জরুরী অবস্থা চলছে, মানুষের আয় কমেছে ক্রয় ক্ষমতা কমে গেছে। বিশেষ করে চাষিদের, যে হারে ফসল ফলাতে খরচ তাতে করে ফসলের দাম নেই।শিশু রা আমাদের ভবিষ্যৎ তাদের কথা ভেবে অনেক কিছু সহ্য করে বেঁচে থাকতে হবে। শিশু ভীষণ অনুকরণ প্রিয়। তাই এই শিশু দের সামনে এমন কোনো কথা বলা বা কাজ করা থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে । সমাজের খারাপ মানুষের কাছ থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করে যেতে হবে। তাকে বোঝানো দরকার কিন্তু মারধর বন্ধ করে নিজের রাগ কেকে সংযত করে রাখতে। কথায় বলে রাগ চণ্ডাল, মানুষ যদি তার রাগ কন্ট্রোল করতে পারে তবে সে ঐ খারাপ কাজ করতে যাবে না। অনেক ভালো কাজ করা যাবে। নিজেকে বশে রাখতে রাগ হলে একটু দূরে সরে যান ইষ্ট দেবতার নাম করুন। বিশ্বের অনেক বড়ো বড়ো মানুষ নিজেদের রাগ কে বশে রেখে অনেক ভালো কাজ করে গেছেন। শেষ করব যৌবনের কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের ছাড় পত্র কবিতার কয়েক টি লাইন দিয়ে।" চলে যাব তবু যত ক্ষণ দেহে আছে প্রাণ পনে দু হাতে সরাব জঞ্জাল। এবিশ্ব কে এ শিশুর বাস যোগ্য করে যাব আমি। নবজাতকের কাছে আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।" প্রতিটি শিশুর সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকার অধিকার আছে, তাদের ঐ অধিকার কে সুনিশ্চিত করতে হবে আমাদের। আমরাই আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য সুন্দর পরিবেশ তৈরি করে দেব। আজ থেকে এই শপথ নিতে হবে। আসুন আমরা সবাই মিলে এই প্রতিজ্ঞা করি আজ থেকে একটি শিশুও যেন অত্যাচারিত না হয়।
প্রায় প্রতিদিনই অন লাইন নিউজ পোর্টাল গুলো খুললেই খবর থাকে শিশুরা শিশুর উপর অত্যাচার করছে। আবার কোন পাষণ্ড শিশুর উপর অঅত্যাচার করছে। যেমন উপরের ছবিটি দীল্লির । আজকের নিউজ পোর্টালে বেড়িয়ে ছিল ।শিশু টি কে কে বা কারা মেরে দিয়েছে। আবার আরেকটা নিউজ পোর্টালে Zee 24 ঘন্টায় বেড়িয়ে ছিল। পশ্চিমবঙ্গের একটি গ্রামে ফিরহাদ নামের একটি বাচ্ছা ছেলেকে কাল থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। আজ সকালে তাকে খালের জল থেকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে । আরো লেখা ছিলো তার সম বয়সি বন্ধু তাকে বাড়িতে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে ছিল। তার সাইকেল সহ জুতো খালের ধারে পাওয়া গেছে। কেন এই সব প্রবনতা তৈরী হচ্ছে। বাচ্ছারাও অপরাধ করে ফেলছে? বাংলায় একটা প্রবাদ আছে বাচ্ছারা শেখে বড়ো দের দেখে, বড়োরা এমন কোনো কথা বলছেন বা কাজ করছেন, শিশু মনে প্রভাব ফেলছে। আর সঙ্গে আছে বিভিন্ন গেম, ইলেকট্রনিক মিডিয়ার খবর যেখানে খুনের দৃশ্য দেখানো হচ্ছে। আর আছে নেট দুনিয়া ফেসবুক হোয়াটস এ্যাপে মেসেজ থাকছে, আর ইউ টিউবে সে তো কথাই নেই। যা দেখতে চাইবেন তাই পাবেন ইউটিউবে, শুধু শুধু ভিউ বাড়বে বলে খারাপ ছবি কথা বলছেন লিখেছেন। বেশি আছে দেখলাম বাংলা দেশের।
শিশু মন অনুকরণ প্রিয় তারা যা দেখে তাই শেখে, যা শোনে সেটা মনে রেখে দেয়। অনেকেই ভাবছেন শিশু শিশু অবস্থায় যা শুনল বা দেখল বেশি দিন মনে রাখতে পারে না। এসব ধারণা কিন্তু ভুল ছোট বেলায় শোনা সমস্ত কথার মধ্যে যেটা তার মনে দাগ কাটে সে সেটা সে দীর্ঘ দিন মনে রাখতে পারে। অনেক কথা বা ঘটনা সারা জীবন মনে রাখে। মহাভারতের অভিমুন্যুর কথা যে মাতৃ গর্ভে থাকা কালীন, শুনে ছিল চক্রবূহে কী করে ঢুকতে হয়, কিন্তু বেড়িয়ে আসার কথা শুনতে পাননি কারণ তার মা ঘুমিয়ে পড়ে ছিলো।
আর এখন এই সব নেট দুনিয়াতে বিভিন্ন ভাবে ভিডিও ফুটেজ খবর প্রতিনিয়ত আপলোড হয়েছে। সেখানে রক্ত মাখা ছুরি, খুন হওয়া বডির ছবি, আর গলায় ফাঁস দেওয়া দেহের ছবি অনলাইন নিউজ পোর্টালে প্রতিনিয়ত আসছে । অনেকেই এসব দৃশ্য বাচ্ছা দের থেকে লুকিয়ে রাখতে পারে না। তাই অনলাইন নিউজ পোর্টালে ঐসব ছবি দেওয়ার আগে ভেবে দেখুন। শিশু মন কতটা প্রভাব ফেলতে পারে, আপনি আপনার চ্যানেলের ভিউ বাড়বে বলে ধরে নিলাম ঐ সব ছবি দিচ্ছেন। কিন্তু শিশু মন কীভাবে নেবে ভাবা যাবে না। আর অনলাইন গেম খেলতে দেওয়া উচিত কিনা ভেবে দেখুন। আপনি মোবাইল ফোন থেকে বাচ্চা দের দূরে রাখুন নিজের মোবাইল এ গেম এ্যাপ ডাউনলোড করতে দিতে পারেন যে সব গেমের কোনো খুন খারাপি নেই। আর অনলাইন নিউজ পোর্টালে ছবি গুলো বন্ধ করে দিন ইউটিউবে অনেক শিক্ষা মুলক চ্যানেল আছে। সে গুলো দেখতে দিন তাদের সামনে খারাপ কথা খারাপ আলোচনা না করাই ভালো। শিশু কে সুস্থ ভাবে মানুষ হলে অনেক কিছু নিজেদের ত্যাগ করতে হবে। নিজেদের মধ্যে অশান্তি ঝগড়া ঝাঁটি, অভাব প্রত্যেক বাড়িতে আছে কারণ আজকের দিনে সাধারণ গরীব মানুষের উপায় কমেছে। বর্তমানে রাজ্যে অর্থ নৈতিক জরুরী অবস্থা চলছে, মানুষের আয় কমেছে ক্রয় ক্ষমতা কমে গেছে। বিশেষ করে চাষিদের, যে হারে ফসল ফলাতে খরচ তাতে করে ফসলের দাম নেই।শিশু রা আমাদের ভবিষ্যৎ তাদের কথা ভেবে অনেক কিছু সহ্য করে বেঁচে থাকতে হবে। শিশু ভীষণ অনুকরণ প্রিয়। তাই এই শিশু দের সামনে এমন কোনো কথা বলা বা কাজ করা থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে । সমাজের খারাপ মানুষের কাছ থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করে যেতে হবে। তাকে বোঝানো দরকার কিন্তু মারধর বন্ধ করে নিজের রাগ কেকে সংযত করে রাখতে। কথায় বলে রাগ চণ্ডাল, মানুষ যদি তার রাগ কন্ট্রোল করতে পারে তবে সে ঐ খারাপ কাজ করতে যাবে না। অনেক ভালো কাজ করা যাবে। নিজেকে বশে রাখতে রাগ হলে একটু দূরে সরে যান ইষ্ট দেবতার নাম করুন। বিশ্বের অনেক বড়ো বড়ো মানুষ নিজেদের রাগ কে বশে রেখে অনেক ভালো কাজ করে গেছেন। শেষ করব যৌবনের কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের ছাড় পত্র কবিতার কয়েক টি লাইন দিয়ে।" চলে যাব তবু যত ক্ষণ দেহে আছে প্রাণ পনে দু হাতে সরাব জঞ্জাল। এবিশ্ব কে এ শিশুর বাস যোগ্য করে যাব আমি। নবজাতকের কাছে আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।" প্রতিটি শিশুর সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকার অধিকার আছে, তাদের ঐ অধিকার কে সুনিশ্চিত করতে হবে আমাদের। আমরাই আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য সুন্দর পরিবেশ তৈরি করে দেব। আজ থেকে এই শপথ নিতে হবে। আসুন আমরা সবাই মিলে এই প্রতিজ্ঞা করি আজ থেকে একটি শিশুও যেন অত্যাচারিত না হয়।
Sunday, 28 October 2018
গ্রামের দিকে গ্যাস সিলিন্ডার পাওয়া সমস্যা।
ছবি টি ডেইলি হান্ট নিউজ ওয়েব সাইট থেকে নেওয়া ।
উজ্জ্বলা যোযনা হোক বা সুজ্জ্বলা গ্রামের মানুষের রান্না করা সেই কাঠ জ্বালা আর গুল কয়লা জ্বেলে ধোঁয়া খাওয়া খুব একটা বন্ধ হয়নি। কারণ কোথাও কোথাও গ্যাস পাওয়া দুষ্কর হয়ে দাঁড়ায়। একটা অজুহাত যেখান থেকে গ্যাস সেন্টার দূরে। গ্যাস নাকি বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার জন্য নয় গিয়ে নিয়ে আসতে হবে।
আমার অভিজ্ঞতা লিখি, আমি ২০১৬ সালে বাসস্থান পরিবর্তনের জন্য পূর্বের বাসস্থানের গ্যাস সিলিন্ডার টা ভাই এর নামে করে দিয়ে আসি। ঐ কাজ টা কি তে গিয়ে আমাকে এমন পরিস্থিতি সম্মুখীন হতে হয়েছিল। প্রায় ছমাস আমার জুতোর শুকতলা খয় গিয়ে ছিল ।একবার বেগমপুরের গ্যাস অফিস থেকে বের করে দিয়ে ছিল। বলল যান আমি করব না। যাহোক ভাই এর নামে করে দিয়ে ২০১৭, আমি এবাড়িতে গ্যাস ডবল সিলিন্ডার ওভেন সমেত যে করে দিল তাকে দিলাম ১১ হাজার টাকা।যিনি গ্যাস কানেকশন করে দিলেন, তিনি টাকা তো নিলেন, কিন্তু রসিদ দিলেন ছয় হাজারের একটু বেশি টাকার। প্রশ্ন করা যাবে না, তাহলে কানেকশন হবে না। আমরা এলাকায় নতুন একবছর গ্যাস কানেকশন নেবার জন্য হন্যে হয়ে ঘুরে বেড়িয়ছি, সমস্যা সমাধান করতে পারিনি। হরিপালের HP আছে সেখানে গেছি ইণ্ডেন এখানে কাছাকাছি নেই। আবার HP যে আছে সেও শুনলাম এখানে একটা দোকান আসল যিনি তিনি গজার মোরের ইণ্ডেন ও ওখানে আছে। গজার মোর হরিপাল স্টেশন থেকে অটোয় প্রায় আধ ঘণ্টা লাগে। এরকম করে হরিপালের বিভিন্ন এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডার পাওয়া যায়। আবার গ্যাস সিলিন্ডার বুক করতে যিনি গ্যাস কানেকশন করে দিলেন তাকে ফোন করে বুক করতে হবে। IVR এ করা যাবে না। তিনি তাঁর মর্জি মতো গ্যাস পৌঁছে দেবেন। দামও তাঁর মর্জি মতো। কোন রসিদ নেই একটা ব্লু বুক আছে সেটা দেওয়া নেই। বললেই হুমকি আপনি নিজে নিয়ে আসবেন। এই গ্যাস সিলিন্ডার বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার জন্য নয়।
ভর্তুকি কোনো সময় ঢোকে কোনো সময় ঢোকে না। যিনি গ্যাস দিয়ে যান তাঁরা বাড়ি মালিয়ায়। তাহলে বুঝে নিন হরিপালের মানুষ গ্যাস সিলিন্ডার পাওয়া নিয়ে কতো সুখে আছে। টাকা বেশি তো লাগে তাও সময় মতো পেলে হতো। তাই বলছি ঐ উজ্জ্বলা বা সুজ্জ্বলা যাই হোক মানুষ যদি নিজের থেকে পরিবর্তন না হলে যতই পরিবর্তন হোক, কিছু হবে না।
উজ্জ্বলা যোযনা হোক বা সুজ্জ্বলা গ্রামের মানুষের রান্না করা সেই কাঠ জ্বালা আর গুল কয়লা জ্বেলে ধোঁয়া খাওয়া খুব একটা বন্ধ হয়নি। কারণ কোথাও কোথাও গ্যাস পাওয়া দুষ্কর হয়ে দাঁড়ায়। একটা অজুহাত যেখান থেকে গ্যাস সেন্টার দূরে। গ্যাস নাকি বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার জন্য নয় গিয়ে নিয়ে আসতে হবে।
আমার অভিজ্ঞতা লিখি, আমি ২০১৬ সালে বাসস্থান পরিবর্তনের জন্য পূর্বের বাসস্থানের গ্যাস সিলিন্ডার টা ভাই এর নামে করে দিয়ে আসি। ঐ কাজ টা কি তে গিয়ে আমাকে এমন পরিস্থিতি সম্মুখীন হতে হয়েছিল। প্রায় ছমাস আমার জুতোর শুকতলা খয় গিয়ে ছিল ।একবার বেগমপুরের গ্যাস অফিস থেকে বের করে দিয়ে ছিল। বলল যান আমি করব না। যাহোক ভাই এর নামে করে দিয়ে ২০১৭, আমি এবাড়িতে গ্যাস ডবল সিলিন্ডার ওভেন সমেত যে করে দিল তাকে দিলাম ১১ হাজার টাকা।যিনি গ্যাস কানেকশন করে দিলেন, তিনি টাকা তো নিলেন, কিন্তু রসিদ দিলেন ছয় হাজারের একটু বেশি টাকার। প্রশ্ন করা যাবে না, তাহলে কানেকশন হবে না। আমরা এলাকায় নতুন একবছর গ্যাস কানেকশন নেবার জন্য হন্যে হয়ে ঘুরে বেড়িয়ছি, সমস্যা সমাধান করতে পারিনি। হরিপালের HP আছে সেখানে গেছি ইণ্ডেন এখানে কাছাকাছি নেই। আবার HP যে আছে সেও শুনলাম এখানে একটা দোকান আসল যিনি তিনি গজার মোরের ইণ্ডেন ও ওখানে আছে। গজার মোর হরিপাল স্টেশন থেকে অটোয় প্রায় আধ ঘণ্টা লাগে। এরকম করে হরিপালের বিভিন্ন এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডার পাওয়া যায়। আবার গ্যাস সিলিন্ডার বুক করতে যিনি গ্যাস কানেকশন করে দিলেন তাকে ফোন করে বুক করতে হবে। IVR এ করা যাবে না। তিনি তাঁর মর্জি মতো গ্যাস পৌঁছে দেবেন। দামও তাঁর মর্জি মতো। কোন রসিদ নেই একটা ব্লু বুক আছে সেটা দেওয়া নেই। বললেই হুমকি আপনি নিজে নিয়ে আসবেন। এই গ্যাস সিলিন্ডার বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার জন্য নয়।
ভর্তুকি কোনো সময় ঢোকে কোনো সময় ঢোকে না। যিনি গ্যাস দিয়ে যান তাঁরা বাড়ি মালিয়ায়। তাহলে বুঝে নিন হরিপালের মানুষ গ্যাস সিলিন্ডার পাওয়া নিয়ে কতো সুখে আছে। টাকা বেশি তো লাগে তাও সময় মতো পেলে হতো। তাই বলছি ঐ উজ্জ্বলা বা সুজ্জ্বলা যাই হোক মানুষ যদি নিজের থেকে পরিবর্তন না হলে যতই পরিবর্তন হোক, কিছু হবে না।
শুভ দীপাবলির আগাম শুভেচ্ছা।

দুনিয়া টাই ভেজাল।
আমাদের চারপাশে যা দেখি তার অধিকাংশই ভেজাল বা জাল। দেশের স্বাধীনতা এসেছে কতগুলো ক্ষমতা লোভী জাল মানুষের হাত ধরে । জাল পুলিশ জাল ডাক্তার জাল. ইঞ্জিনিয়ার সেতু বানাচ্ছে ভেঙে পড়েছে। জাল ঔষধে বাজার ছেয়ে গেছে, জাল নোট সে তো হামেশাই মিলছে। মানুষের জীবন ধারণের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস থেকে খাদ্য বস্তু সবেতেই ভেজাল। বাজারে গিয়ে টাটকা সবজি কিনলাম, কি সুন্দর একে বারে টাটকা সবুজ, তাতে যে রাসায়নিক সার কীটনাশক স্প্রে ব্যবহার করা হয়েছে, সেই বিষ আমাদের পেটে যাচ্ছে। আবার কথায় আছে চক চক করলে সোনা হয় না, করলা বেগুন সিম পটল এমনকি কাঁচা লঙ্কা সেও রং করা। চেনার উপায় সব্জির বোঁটা টার গোরা টা দেখুন দেখবেন সেই জায়গা টা হাল্কা সাদার বদলে যে রংয়ের ফল সেই রং হয়ে আছে।
বাঙালির মাছ সেই মাছ সংরক্ষণ করতে কী না ব্যবহার করা হয়। মর্গের বরফ বা ডিপ ফ্রিজের বরফ এই বরফ দেখে চেনা যায়, একটু বেশি সাদা আর অল্পতেই গুঁড়িয়ে যায়। চালানি মাছ সে তো বরফেে বদলে ব্য্যবহা হচ্ছে ফরমালিন। ফরমালিন দেওয়া মাছ চেনা যায়, সেই মাছ প্রথমত চালানি দেশি মাছ নয়। অনেক সামুদ্রিক মাছ ও ফরমালিন দেওয়া হচ্ছে। চিনতে পারা যায় পেটের জায়গা টা বড্ড বেশি শক্ত কানকো লাল টকটকে এরকম মাছ না কেনা ভালো। মাছের গায়ে হরহর করছে লালা, ইউরিয়ার জল দেওয়া হয়েছে।
(ছবি টি খোঁজ খবর অন লাইন নিউজ পোর্টালে থেকে নেওয়া। ) সর্ষের তেলে পাম তেল রেপসিড তিল তেল মেশায়। আর নারকোল তেলে পাম তেল তো আছে, অনেক রকম কেমিক্যাল মেশানো হচ্ছে।অসময় পাকা ফল কেমিক্যাল দিয়়ে পাকানো। স্বাদ বা মিষ্টতা আনতে ব্যবহার করা হয় কেমিক্যাল। সামান্য কলার হলুদ রং সেও কেমিক্যাল দিয়ে। আমরা যা খাচ্ছি সবেতেই ভেজাল, এই জন্য বলছি দুনিয়া টা ভেজাল। আমাদের সাবধানে থাকতে হবে । দেখে শুুনে খেতে হবে। কিছু মুনাফা খোর মানুষ মুনাফার লোভে এসব করে বেড়াচ্ছে তাদের চরম শাস্তি দিতে হবে।

মুড়ি খাবেন বেশ ভালো দেখতে সাদা ধবধব করছে, ইউরিয়া দিয়ে ভাজা। দুধের কথা না বলা ভালো, প্যাকেট দুধ পারলে শত হস্ত দূরে থাকুন কোন টায় লিকুইড সোপ, গ্লিসারিন আছে। সর্ষের তেল মাছ ভাজা হবে ভীষণ ঝাঁজ ভেজাল আছে। কেমিক্যাল দিয়ে ঝাঁঝ তৈরি করা হয়েছে।
আবার গরম ভাতে গাওয়া ঘি সে গরমে গলে না। ভেজাল ঘি নয় তো!

Saturday, 27 October 2018
স্বাধীনতা ও প্রিয় নেতাজী।
আজকের কলকাতা 24*7 অন লাইন খবর কাগজে বেড়নো ছবি। যে বিষয়ে খবর ছিল যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র দামোদর দাস মোদী। আমাদের মহা সম্মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আজাদ হিন্দ সরকারের ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে লাল কেল্লায় পতাকা উত্তোলন করেন এবং নেতাজী কে অখণ্ড ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী বলে উল্লেখ করেন। তাই কংগ্রেস গোঁসা করে বলছে প্রধানমন্ত্রী সুভাষচন্দ্র বোস কে নিয়ে রাজনীতি করছেন। বাঙালি ভাবাবেগ কে উস্কে দিতে তিনি এটা করেছেন । তবুও তিনি এটা করেছেন, কিন্তু কংগ্রেস পৃথিবী খ্যাত অহিংস নেতা। যিনি হিংসা না করে ভারতের বুকে মহাপুরুষ সেই মহান ব্যক্তি অনশন করল আর ইংরেজ দেশ ছেড়ে চলে গেলে। সুভাষচন্দ্র বোস সেই মহান ব্যক্তি (গান্ধী) তার মনোনীত প্রার্থী কে হারিয়ে কংগ্রেসের সভাপতি হয়েছিলেন। তিনি বললেন ঐ ব্যক্তির হার আমার হার আমি কংগ্রেসের আর কোনো কিছু তেই নেই। যদি সেই সময়ে নেতাজী পদত্যাগ না করে বলতেন। বেশ হয়েছে ঐ ইংরেজ দের দালাল যাক। তাহলে ভারতের ইতিহাস অন্য রকম লেখা হতো। গান্ধী ও নেহরু মিলে আর দেশ ভাগ করে পাঞ্জাব ও বাংলা কে ভাগ করে শিখ ও বাঙালি হিন্দু জাতির যে সর্বনাশ করেছে। তাতে করে ঐ দুই নেতা তথা কংগ্রেস দলটা চির ঘৃণার পাত্র। দেশ শতধা বিভক্ত ৫৬২ টা রাজ্য বা দেশ এ বলে আমি আলাদা ও বলে আমি পাকিস্তানের সঙ্গে যাব। সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল দেশের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে ছুটে বেড়াচ্ছেন। আর নেহরু আর গান্ধী কে প্রধানমন্ত্রী হবে সেই নিয়ে ব্যস্ত।
দুটোতেই ব্রিটিশ কে বলত আমাদের জেলে ভরো না হলে মেরে দেবে। ব্রিটিশ কে বলে বলে জেল ঢুকত।
আজ ভুটান, তিব্বত নেপাল আলাদা দেশ এই দুই স্বাধীনতা সংগ্রামী সেজে নাটক বাজদের জন্য।আর তখন কাশ্মীরের রাজা হরি সিং ভারতে যোগ দেবেন তৈরি, ঐ নাটক বাজের জন্য সর্দার জীর পৌঁছতে দেরি তিনি পাকিস্তানের সঙ্গে চুক্তি করতে যাবেন এমন সময় হাজির হলেন সর্দার জী ব্যাস শুরু হলো গণ্ডগোল সেই সমস্যা এখনো পর্যন্ত মেটেনি। তবে এটাও ঠিক দেশের স্বাধীনতার জন্য সুভাষ বোসের অবদান আছে ঠিকই, তার থেকে অবদান হিটলারের তিনি যে ভাবে ইংল্যান্ড আক্রমণ করে ধ্বংস করে দিয়েছিলেন । তাতে করে ব্রিটিশরা বিভিন্ন দেশ বা উপনিবেশ কে স্বাধীনতা দিয়ে চলে যেতে বাধ্য হয়ে ছিলেন। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় পাশের দেশ শ্রীলঙ্কা। আমার ঠিক জানা নেই এর জন্যে কী সুভাষ চন্দ্র বোস, জাপান যাত্রার আগে হিটলারের সাথে দেখা করে গিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে কী আলোচনা হয়েছিল সেদিন তা আমরা কোন ইতিহাস বই এ পড়িনি। কারণ স্বাধীনতার ইতিহাস সঠিক ভাবে লেখা হয়নি। কংগ্রেস কোনো দিন নেতাজী কে সন্মান জানায়নি।. ব্রিটিশদের সঙ্গে মিলে তাকে যুদ্ধ অপরাধী ঘোষণা করে দেশে যাতে না ঢুকতে পারে তার ব্যবস্থা পাকা করে ছেড়েছে। নেতাজীর অস্তিত্ব কে স্বাধীনতার ইতিহাস থেকে মুছে দিতে সচেষ্ট হয়েছে সচেতন ভাবে।
দুটোতেই ব্রিটিশ কে বলত আমাদের জেলে ভরো না হলে মেরে দেবে। ব্রিটিশ কে বলে বলে জেল ঢুকত।
আজ ভুটান, তিব্বত নেপাল আলাদা দেশ এই দুই স্বাধীনতা সংগ্রামী সেজে নাটক বাজদের জন্য।আর তখন কাশ্মীরের রাজা হরি সিং ভারতে যোগ দেবেন তৈরি, ঐ নাটক বাজের জন্য সর্দার জীর পৌঁছতে দেরি তিনি পাকিস্তানের সঙ্গে চুক্তি করতে যাবেন এমন সময় হাজির হলেন সর্দার জী ব্যাস শুরু হলো গণ্ডগোল সেই সমস্যা এখনো পর্যন্ত মেটেনি। তবে এটাও ঠিক দেশের স্বাধীনতার জন্য সুভাষ বোসের অবদান আছে ঠিকই, তার থেকে অবদান হিটলারের তিনি যে ভাবে ইংল্যান্ড আক্রমণ করে ধ্বংস করে দিয়েছিলেন । তাতে করে ব্রিটিশরা বিভিন্ন দেশ বা উপনিবেশ কে স্বাধীনতা দিয়ে চলে যেতে বাধ্য হয়ে ছিলেন। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় পাশের দেশ শ্রীলঙ্কা। আমার ঠিক জানা নেই এর জন্যে কী সুভাষ চন্দ্র বোস, জাপান যাত্রার আগে হিটলারের সাথে দেখা করে গিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে কী আলোচনা হয়েছিল সেদিন তা আমরা কোন ইতিহাস বই এ পড়িনি। কারণ স্বাধীনতার ইতিহাস সঠিক ভাবে লেখা হয়নি। কংগ্রেস কোনো দিন নেতাজী কে সন্মান জানায়নি।. ব্রিটিশদের সঙ্গে মিলে তাকে যুদ্ধ অপরাধী ঘোষণা করে দেশে যাতে না ঢুকতে পারে তার ব্যবস্থা পাকা করে ছেড়েছে। নেতাজীর অস্তিত্ব কে স্বাধীনতার ইতিহাস থেকে মুছে দিতে সচেষ্ট হয়েছে সচেতন ভাবে।
Friday, 26 October 2018
গ্রামের ডাক ঘর বা পোস্ট অফিস।
ছবি টি অন লাইন আনন্দ বাজার পত্রিকায় থেকে নেওয়া । ছবি টি একজন বিধবা যিনি ফ্যামিলি পেনশন পান। পোস্ট অফিসের মাধ্যমে, দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে আর পেনশন পাচ্ছেন না। গাফিলতি কার পোস্ট অফিসের কারণ ট্রেজারি যথারীতি পেনশন প্রাপকের হাতে পৌঁছে দিতে পারেননি পোষ্ট অফিস। জেলা পোষ্ট মাস্টারের সাথে এ্যডিশনাল ডি এম দেখা করেছেন তারপর কাজ হয়নি। এখবর আনন্দ বাজার পত্রিকার অনলাইন খবরের কাগজে দেখলাম। আমি এখানে এই পোষ্ট অফিসের বড়ো বাবুদের কিছু গুনের কথা লিখব। একজনের গুনের কথা লিখি সবার আগে কারণ তিনি ভীষণ গুণধর। তিনি হলেন পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার সিঙ্গুর পোষ্ট অফিসের অধীন পলতাগড় গ্রামের সাব পোষ্ট অফিসের পোষ্ট মাস্টার। কেউ কেউ আবার বলেন উনি পোষ্ট মাস্টার নন, আসলে পোষ্ট মাস্টার হলেন ওনার গৃহীনি। গৃহীনীর বাচ্ছা হবে তাই উনি স্ত্রী হয়ে প্রক্সি দিচ্ছিলেন। গত এপ্রিলে বা তার আগে পরে এ ঘটনা ঐ ছোট পোস্ট অফিস দু মাস তিন মাস যে টাকা সাধারণ মানুষ জমা করেছে। সিঙ্গুর হেড অফিসে সে টাকা আর জমা হয়নি। তাহলে ঐ সময়ে যারা তাদের পোষ্ট অফিসের বই এ টাকা কত জমা করে ছেন কার বই এ লেখা আছে কারো লেখা নেই। প্রায় লক্ষাধিক টাকা নিয়ে তিনি চম্পট দিয়েছেন। সিঙ্গুরে গিয়ে ঐ সব গ্রাহকরা জানতে পারেন ঘটনা টা তবে আশ্বাস মিলেছে যাদের পাশবই এ লেখা আছে তারা টাকা ফেরত পাবেন।
এ তো ধাপ্পা বাজির কথা গেল, আপনি পোষ্ট অফিসে গেছেন কোনো দরকার চিঠি পোষ্ট করবেন বা টাকা তুলবেন বিভিন্ন রকম ভাবে যখন আপনি কাউন্টারে পৌঁছলেন শুনলেন ও কাউন্টারে ঐ কাজ হয় না। পাশের কাউন্টারে আপনি তার সেই আস্তে বলা কথা শুনতে পাননি যেই দ্বিতীয় বার জিজ্ঞেস করলেন জুটল ধমক দেখতে পান না। বলছি পাশের টায় যান। আবার সাব পোষ্ট অফিসে কোনো চিঠি এসেছে আপনার হাতে পৌঁছ কিনা সন্দেহ কারণ এরা দু চার দিন কাছে চিঠি টা রেখে দেবে এবার যদি প্রাপকের সাথে দেখা হলে তাকে দেওয়া হবে দশ টাকার বিনিময়ে। কারণ তারা ইডি কর্মী বেতন কম পান। আর যদি দেখা না হয় তাহলে আর চিঠি পেলেন না। যত গুরুত্ব থাক আপনি পেলেন না। এখন তো চিঠি আসে এল আই সির চেক বা ম্যাচুরিটি বেনিফিটের আর খুব দৈবাৎ কোনো চাকরির নিয়োগ পত্র। তাও আপনার কাছে সময়ে পৌঁছবে না। অভিযোগ কোথায় দায়ের হবে দায়িত্ব কার কেউ জানে না। এরা জানে আমরা দিল্লি সরকারের অধীনে কাজ করি দিল্লি থেকে ব্যবস্থা নিতে নিতে অবসরপ্রাপ্ত হয়ে যাব। আর ততদিনে ওসব অভিযোগ কোথায় চলে যাবে । তাই সাধারণ মানুষ কে যত পারো হয়রানি কর কিচ্ছু হবে না। আগে এই ডাকঘর ছিল মানুষের ভরসার জায়গা জানত এখানে টাকা রেখে নিশ্চিন্ত কোনো টাকা পয়সা মার যাবে না। সে ভরসা নেই। আরো যদি অন্য কোন প্রয়োজন থাকে গেলে হয়রানির শেষ নেই। সাধারণ মানুষের কিছু করার নেই। আবার এখন এই সব পোষ্ট অফিস নাকি ব্যাঙ্কের কাজ করবে যে গ্রামে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক নেই সেখানে এই পোষ্ট অফিস গুলো কে ব্যাঙ্ক বানান হবে, যাতে সাধারণ মানুষ হাতের কাছে ব্যাঙ্কের পরিষেবা পায়। যারা প্রতিনিয়ত সাধারণ মানুষ কে হয়রানি করে যাচ্ছে। তারা দেবে ব্যাঙ্কের পরিষেবা, কি ভালো হবে চিন্তা ভাবনা ভালো কিন্তু আগে পরিষেবা ঠিক করা হোক। সাধারণ মানুষের অভিযোগ শোনার ব্যবস্থা করা হোক । পরিকাঠামো উন্নয়নের ব্যবস্থা না করে যদি এসব হয় তাহলে সাধারণ মানুষের হয়রানি বাড়বে বৈ কমবে না।
আজ গ্রামের কথায় কথায় জলাপাড়া গ্রামের কথা।
ছবি টি তে প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা ছাত্র ছাত্রীদের ঔষধ খাওয়াছেন। কী ঔষধ আয়ন এবং ফলিক এসিড। কারণ প্রাথমিক প্রধান শিক্ষক শিক্ষিকা দের সব করতে হয়। জুতো সেলাই থেকে চণ্ডীপাঠ, কি নেই সেই কাজের মধ্যে প্রশাসন যা বলবেন সব পারে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শিক্ষিকা। প্রধান শিক্ষক শিক্ষিকা যদি বলেন পারব না কিম্বা জানি না তাহলে জুটবে বেতন বন্ধ বা বরখাস্ত করার হুমকি। সেই হুমকি পঞ্চায়েতের ঝাড়ুদার থেকে অফিসের বড়ো বাবু পর্যন্ত দিতে পারেন।
আজ এসব এখানে লিখব না। লিখব জলাপাড়া গ্রামের কথা লিখব ।গ্রাম টি পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার সিঙ্গুর থানার অন্তর্গত ।সিঙ্গুর রেল স্টেশনে নেমে দক্ষিণ দিকে মহামায়া হাই স্কুলের পাশ থেকে টোট অটো ছাড়ছে। ঐ টোটো অটো চেপে প্রথম অপূর্বপুর তারপর পলতাগড় এবং বিরামনগর পার করে আপনি পৌঁছে যাবেন জলাপাড়া গ্রামে। আমি এখানে একটা গ্রামের কথা লিখিনি সেটা বিরামনগর এই গ্রামের বেশির ভাগই চাষি আর বিশেষ পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছে চুল্লু তৈরি। এ গ্রামের ভালো শিক্ষিত মানুষ যারা চাকরি করতেন তারা সিঙ্গুরে বা সল্টলেকে বাড়ি করে চলে গেছেন। চুল্লু ভালো জিনিস তো তাই, এই বিরামনগরের সাথে দক্ষিণ পূর্ব দিকে পলতাগড় গ্রামের একটি অংশ গৌরীবাটী জুড়ে আছে।
এই বিরামনগর গ্রামের পর জলাপাড়া গ্রামের শুরু অনেকেই বলেন জলাপাড়া বলে কোন গ্রাম নেই ওটা রামনগর গ্রামের অংশ।যা হোক গ্রামের ভেতর দিয়ে গিয়েছে সিঙ্গুর বড়া রাস্তা এই রাস্তার দু পাশে বসতি। গ্রাম টিতে অনেক শিক্ষিত মানুষ জন বাস করেন। কেউ কেউ ভালো চাকরি করেন বা করতেন। এখান থেকে একটি রথ আসে পলতাগড় শিবতলা পর্যন্ত। রাস পড়া না রাসতলার মাঠ রাস্তার পাশে। এই
গ্রামের মধ্যেই কালী পূজোর সময় দুটো কালী পুজো হয়, খুব ধুমধাম করে।
অপূর্বপুর থেকে রামনগর গ্রামের সরস্বতী নদীর ধার পর্যন্ত এই সিঙ্গুর বড়া রাস্তার পাশে কার্তিক মাসের কালী পুজোর সময় খুব ধুম। প্রচুর কালী পুজো হয় তা ছোট বড়ো সব মিলিয়ে প্রায় একশোর কাছে। অনেক লোক সমাগম হয় এই সময়, মদের দেশ তাই মদের দেবীর পুজো।
মদ বা চুল্লু একবারে যে তৈরি হয় না, সেটা বলা যাবে না। তবে বর্ধিষ্ণু গ্রাম, ইদানিং রাস্তা ঘাট ভালো হয়েছে।
এবার স্কুল টি নিয়ে বলি প্রাথমিক বিদ্যালয় টি তে ছাত্র ছাত্রী কম গ্রামের লোকের এখন একটু ঝোঁক শহরের বা ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা বেসরকারি বিদ্যালয়ে পড়াবে । পয়সা খরচ করে লোক দেখাতে হবে না। সেই জন্যই এই সব বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রী সংখ্যা কম।
আজ এসব এখানে লিখব না। লিখব জলাপাড়া গ্রামের কথা লিখব ।গ্রাম টি পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার সিঙ্গুর থানার অন্তর্গত ।সিঙ্গুর রেল স্টেশনে নেমে দক্ষিণ দিকে মহামায়া হাই স্কুলের পাশ থেকে টোট অটো ছাড়ছে। ঐ টোটো অটো চেপে প্রথম অপূর্বপুর তারপর পলতাগড় এবং বিরামনগর পার করে আপনি পৌঁছে যাবেন জলাপাড়া গ্রামে। আমি এখানে একটা গ্রামের কথা লিখিনি সেটা বিরামনগর এই গ্রামের বেশির ভাগই চাষি আর বিশেষ পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছে চুল্লু তৈরি। এ গ্রামের ভালো শিক্ষিত মানুষ যারা চাকরি করতেন তারা সিঙ্গুরে বা সল্টলেকে বাড়ি করে চলে গেছেন। চুল্লু ভালো জিনিস তো তাই, এই বিরামনগরের সাথে দক্ষিণ পূর্ব দিকে পলতাগড় গ্রামের একটি অংশ গৌরীবাটী জুড়ে আছে।
এই বিরামনগর গ্রামের পর জলাপাড়া গ্রামের শুরু অনেকেই বলেন জলাপাড়া বলে কোন গ্রাম নেই ওটা রামনগর গ্রামের অংশ।যা হোক গ্রামের ভেতর দিয়ে গিয়েছে সিঙ্গুর বড়া রাস্তা এই রাস্তার দু পাশে বসতি। গ্রাম টিতে অনেক শিক্ষিত মানুষ জন বাস করেন। কেউ কেউ ভালো চাকরি করেন বা করতেন। এখান থেকে একটি রথ আসে পলতাগড় শিবতলা পর্যন্ত। রাস পড়া না রাসতলার মাঠ রাস্তার পাশে। এই
গ্রামের মধ্যেই কালী পূজোর সময় দুটো কালী পুজো হয়, খুব ধুমধাম করে।
অপূর্বপুর থেকে রামনগর গ্রামের সরস্বতী নদীর ধার পর্যন্ত এই সিঙ্গুর বড়া রাস্তার পাশে কার্তিক মাসের কালী পুজোর সময় খুব ধুম। প্রচুর কালী পুজো হয় তা ছোট বড়ো সব মিলিয়ে প্রায় একশোর কাছে। অনেক লোক সমাগম হয় এই সময়, মদের দেশ তাই মদের দেবীর পুজো।
মদ বা চুল্লু একবারে যে তৈরি হয় না, সেটা বলা যাবে না। তবে বর্ধিষ্ণু গ্রাম, ইদানিং রাস্তা ঘাট ভালো হয়েছে।
এবার স্কুল টি নিয়ে বলি প্রাথমিক বিদ্যালয় টি তে ছাত্র ছাত্রী কম গ্রামের লোকের এখন একটু ঝোঁক শহরের বা ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা বেসরকারি বিদ্যালয়ে পড়াবে । পয়সা খরচ করে লোক দেখাতে হবে না। সেই জন্যই এই সব বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রী সংখ্যা কম।
প্রতি বর্গ মিটারে নেতা।
অনেকে ভাববেন হেডিং হচ্ছে প্রতি বর্গ মিটারে নেতা ।আর ছবি বা ভিডিও হলো বাড়িতে ঢোকার রাস্তার। এই ভিডিও টি ভালো করে দেখলে দেখতে পাবেন নারকেল গাছে ইলেকট্রিক তার লাগানো কারণ ইলেকট্রিক পোস্ট পুঁতে তে দেয় নি এবং আমার বাড়ির পরে আরও দুটো বাড়ি আছে তাদের বাড়িতে কোন ভাবে ইলেকট্রিক যেতে দেয়নি। এবং মাঝে মাঝে এই বেড়বার রাস্তায় কাঁটা দেওয়া রাস্তা কুপিয়ে দেওয়া কলের জল বার করা বহু কিছু করে এই সব ভাল মানুষের দল। বাম আমলে এদের পরিচালনা করত পাড়ার দাদা সতীশ দা অনেকে তাকে ভগবান বলত। এখন তিনি বসে গেছেন। চাকরি থেকে অবসর নিয়েছেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন, আশি সালে বামফ্রন্টের দয়ায় চাকরি করতেন। কিছু টি পড়াতে পারতেন না। জে বি টি পড়তে গিয়ে পরীক্ষা দিয়ে পাশ করতে পারে নি। এরকম একজন লোক পাড়ার ভগবান। এই ভগবানের একটা ভালো গুন ছিল যে বাড়িতে অবিবাহিত মেয়ে থাকতো তাদেরকে মাথায় করে রাখত সুযোগে সুবিধা সব তাদের হাতে তুলে দিত। দলের সব কাজ করলেও সে সুযোগ পেত না। ভগবান যাকে ঠিক করত সে সব করবে কারণ এর উপরের যারা তারা ভগবানের কথায় সব করত। কেবল যে ভগবান আড্ডা দিত তা না। সঙ্গে থাকতো তার কাছের কিছু চেলা। এই রকম একটি বাড়ির ছেলে ( বিকাশ) কে একবার দুর্গা পুজো চাঁদা তুলতে এসেছে তার চাঁদা তোলার ধরন হচ্ছে মনে করুন আমার বাড়ির গত বছর চাঁদা ছিল ১৫০টাকা আমি হয়তো ১০০টাকা দিয়েছি। এবার নতুন বছর চাঁদা নিতে এসে বলল দেখ এবছর ১৫০ টাকা আছে আর গত বছরের বাকী ৫০ টাকা মোট ২০০ টাকা দিতে হবে। যেন মনে হল আমি ওর কাছে ঋণ করে খেয়ে রেখেছি সেই টাকা দয়া করে একবছর পর চাইছে। ঠিক যেন মহাজন পাওনা টাকা আদায় করতে বেড়িয়েছে। প্রতিবাদ করলাম টাকা খরচের হিসেব আছে তোরা তো লক্ষ্মী পূজোর পর ফিষ্টি করিস আমি জানি। চড়ূইভাতি বললে না বুঝতে পারে সেই জন্যই ফিষ্টি বললাম।যতটা সম্ভব
১৯৯৯ সালের আগের ঘটনা। তারপর পাড়ার দাদা এলেন লোক জন নিয়ে আগে বল তুই কেন বলেছিস, যে আমরা চাঁদা তুলে স্ফুর্তি করে খাই। আমি যত বলছি ওটা আমি বলিনি তত সাগরেদ সহ সবাই মিলে চিৎকার করে বলতে শুরু করল হ্যাঁ তুই এটা বলেছিস। আমি বলেছি লক্ষ্মী পূজো শেষে তোরা ফিষ্টি করিস। কিছুতেই শোনে না, একটু তোতলা ছিল তুতলে বলল তুই জানিস একটা কাপড়ের দাম কতো? বিভিন্ন রকম কথা কয়েক জন বলল ওসব ওকে নিয়ে আয় পিটব কেউ কেউ বাঁশ তুলে ফেলল আমাকে মারবে। এবার আরম্ভ হলো দাদা আমার কী কী উপকার করেছে এবং আমার কিছু বলার থাকতে পারে না। যা চাঁদা চাইবে তাই দেওয়া উচিত। আর কত কি ওরা গত বছরের বকেয়া চাঁদা চাইছে সেটাও দিয়ে দেওয়া উচিত।প্রায় আধ ঘন্টা ধরে হম্বি তম্বি করে বাড়ি থেকে গেল। বলবেন ওরা তো বামেদের লোক কম্যুনিস্ট তাহলে দুর্গা পুজো করে। আরে ঐ রকম কম্যুনিস্ট কমিউনিজমের অর্থ কী জানে না। কিছু দিন আগে একটা শ্লোগান শুনলাম "ইনক্লাব জিন্দাবাদ আমরা খাব তোরা সব বাদ" এরা সব পূজো করত কোন টা বাদ ছিল না। এদের পূজা মানে মদ খেয়ে হইহুলর করা। আর পাবলিকের কাছ থেকে চাঁদা তুলে আনন্দ করা। তারপর ১৯৯৯ সালে আমি বাড়িতে কল করে ছিলাম এবার ফাঁকা বাড়ি ঘিরে একটা রান্না ঘর করব ঠিক করলাম। পাশের বাড়ির ঐ সব থেকে ভালো ছেলে শুনলাম ইঁট ব্যবসা করে। তার থেকে ইঁট ও অন্য জিনিস নেওয়া হবে আমি এখন মানে শুরুতে কিছু টাকা দেব আর বাকী টাকা তিন বারে দেব। কথা হলো আমি টাকা সঙ্গে সঙ্গে দিলাম না, কারণ সে হ্যাঁ কি না কিছু বলেনি। বলল তোকে পড়ে বলব, ওর ব্যবহার হচ্ছে জমিদার শ্রেণীর মতো। বাবা কাকা মদ বা চুল্লু বিক্রি করে জমি জায়গা করেছে। সেই জমি জায়গা বিক্রি করে এখন। নবাব (তাপস মাজি) যখন ডেকেছে একবার দেখা করে আসি নবাব বলল আমি ঐ ভাবে পারব না। তোকে দু বারে টাকা দিতে হবে। আমি হবে না বলে চলে এলাম। এগল প্প্রথ দফা আমি অন্য জায়গা থেকে কিছু ইঁট কিনলাম।তারপর জায়গা মেপে প্রাচীর দিতে হবে নবাব সহ সকল আশপাশের জমির মালিক কে বললাম প্রথম নবাব বাধা দিল বলল আমি এই মাপ মানি না। আবার মাপা হবে আমি আমিন কিন্তু নবাব আনে না। তার আগে নবাব পাড়ার দাদা সহ অনেকে আমি যে আমিন এনে ছিলাম তার বাড়িতে গিয়ে তাকে আমরা যে কত খারাপ তার একটা বর্ণনা করে এসেছে। তার কাছে আমি গেলাম দ্বিতীয় বার আসার জন্য বলতে তিনি শুধু বলেন তুমি সতীশ দা সতীশ দা করো সে তো তোমাকে দেখতে পারে না। তুমি ওখানে না বাস করতে পার তার ব্যবস্থা করছে। শুনে চলে এলাম তিনি এলেন না, অন্য এক জন কে ঠিক করে দিলেন। বাড়িতে এসে ভগবানের প্রথম কথা হল তুই লিখে দে যে টুকু অন্যের জায়গায় পরবে তুই ভেঙে দিবি। নিজে বাড়ি করেছে সরকারি রাস্তা উপর দেড় ফুটো ছাড়ে নি। আর আমি বাউন্ডারি দেব আমার বেলায় বাধা। দেখলাম দ্বিতীয় আমিন কিসব বাঁকা সোজা করে বুঝিয়ে দিলেন। আমার গাঁথাটা মাটির লেবেল পর্যন্ত ছিল। খানিকটা বাইরে পড়তে ভাঙচুর শুরু হলো। সে গেল আমি বললাম আমি এমাপ মানি না এবার নবাব এক দখল নিতে এলো আমার বাড়ি খানিকটা। তুমুল ঝগড়া প্রতিবাদ হলো যাহোক এবার নবাব আমিন নিয়ে এলো সে যত টুকু দেখিয়ে ছিল তার থেকে কমল। মাপের আগে আমিন কে বলল আম গাছ টা আমার চাই। আমিন ( হেমন্ত দাস ) বলল পেয়ে যাবে। ঐ ঘুষখোর চিটিংবাজ হেমন্ত দাস কে দিয়ে পাড়ার ভগবান অনেকের জমি অন্য জনের দখল করে দিয়েছে। ও চার বার এলো শেষ বার। আমার আমিন ছিল রঞ্জিত দাস। মাপের শেষে আমাকে বলে গেলেন তোমার বিষয় বুদ্ধি নেই। যার সঙ্গে আমার জমি নিয়ে গণ্ডগোল সে সারাক্ষণ ফিতে ধরল। সব মাপের শেষে হেমন্ত দাস কে বললাম আমার বুঝিয়ে দিন। আমায় উত্তর দিলেন সূর্য দেব কে থাকতে বলুন। সত্যিই সেদিন যদি সূর্য দেব থেকে যেত কী হতো জানি না। তারপর আর কোনো আমিন ও হ্যাঁ এর মাঝে রমেন কোলে বলে এক জন কলকাতা পুলিশে চাকরি করত সে আমিন এনে আমার একটা ঘর অপরের জায়গায় সেটা দেখিয়ে দিলেন। এই রমেন কোলে কলকাতা পুলিশের কোথায় চাকরি করতেন জানি শুনে ওটা অপরের চাকরি। আমি ছিলাম না সেবার আমিন এসে গেল আমার ভিটের জমি টা ম্যাপের মধ্যে নেই। আমরা অন্যের জমি দখল করে নিয়েছি। ভগবান এর আগেও আমার বাড়ির দলিল দেখেছে তারপর ও বলছে তোর ভিটের দলিল পরচা দেখাবি। তার আগে একদিন বাঙাল তাড়ানো অত্যাচার করে গেছে। আর এক দিন সন্ধ্যায় আমার বাড়ির ঘটনা নিজেদের গায়ে নিয়ে আমায় মারধর করে গেল। থানায় গেলাম ভগবানের ভগবান ফোন করে দিয়ে ছিল। আমার কেস নিল এক উকিলের কাছে গেলাম সেখানে দেখি নবাব ও পাশের গ্রামের এক মাস্তান বসে আছে। ঐ খানে আমাকে হুমকি দেওয়া হলো এবার এমন মারব কলকাতার কোন হাসপাতালে ভর্তি নেবে না। উকিল ও দেখলাম ঐ ঘটনা নিয়ে খিস্তি দিল। আমি বোকামি করে ওর এক আত্মীয়র সামনে বলে ছিলাম ঐ উকিলের কাছে যাচ্ছি। আমি অসহায় ভিটে রক্ষা করতে পারিনি। আমাকে ভিটে ছাড়া করার জন্য দেখলাম আমার ভাই কে ব্যবহার করা হলো। ভাই ওদের সাথে মিশতে শুরু করে ওদের কথায় বাড়ির কোনো কাজ করত না। কোন সাহায্য না বললেই অশান্তি। এই ভাবে থাকতে থাকতে সত্যিই একদিন ভিটে ছেড়ে অন্য জায়গায় বাড়ি করে চলে এলাম। আমার বাবা ভিটে মাটি ছেড়ে বাংলাদেশের বরিশালের গৌরনদী থানার নলচিরা গ্রাম থেকে এপার বাংলায় এসেছিলেন ।আমি সিঙ্গুর থানার অন্তর্গত পল্তাগড় গ্রামের ভিটে ছেড়ে হরিপালের বাসিন্দা ।
১৯৯৯ সালের আগের ঘটনা। তারপর পাড়ার দাদা এলেন লোক জন নিয়ে আগে বল তুই কেন বলেছিস, যে আমরা চাঁদা তুলে স্ফুর্তি করে খাই। আমি যত বলছি ওটা আমি বলিনি তত সাগরেদ সহ সবাই মিলে চিৎকার করে বলতে শুরু করল হ্যাঁ তুই এটা বলেছিস। আমি বলেছি লক্ষ্মী পূজো শেষে তোরা ফিষ্টি করিস। কিছুতেই শোনে না, একটু তোতলা ছিল তুতলে বলল তুই জানিস একটা কাপড়ের দাম কতো? বিভিন্ন রকম কথা কয়েক জন বলল ওসব ওকে নিয়ে আয় পিটব কেউ কেউ বাঁশ তুলে ফেলল আমাকে মারবে। এবার আরম্ভ হলো দাদা আমার কী কী উপকার করেছে এবং আমার কিছু বলার থাকতে পারে না। যা চাঁদা চাইবে তাই দেওয়া উচিত। আর কত কি ওরা গত বছরের বকেয়া চাঁদা চাইছে সেটাও দিয়ে দেওয়া উচিত।প্রায় আধ ঘন্টা ধরে হম্বি তম্বি করে বাড়ি থেকে গেল। বলবেন ওরা তো বামেদের লোক কম্যুনিস্ট তাহলে দুর্গা পুজো করে। আরে ঐ রকম কম্যুনিস্ট কমিউনিজমের অর্থ কী জানে না। কিছু দিন আগে একটা শ্লোগান শুনলাম "ইনক্লাব জিন্দাবাদ আমরা খাব তোরা সব বাদ" এরা সব পূজো করত কোন টা বাদ ছিল না। এদের পূজা মানে মদ খেয়ে হইহুলর করা। আর পাবলিকের কাছ থেকে চাঁদা তুলে আনন্দ করা। তারপর ১৯৯৯ সালে আমি বাড়িতে কল করে ছিলাম এবার ফাঁকা বাড়ি ঘিরে একটা রান্না ঘর করব ঠিক করলাম। পাশের বাড়ির ঐ সব থেকে ভালো ছেলে শুনলাম ইঁট ব্যবসা করে। তার থেকে ইঁট ও অন্য জিনিস নেওয়া হবে আমি এখন মানে শুরুতে কিছু টাকা দেব আর বাকী টাকা তিন বারে দেব। কথা হলো আমি টাকা সঙ্গে সঙ্গে দিলাম না, কারণ সে হ্যাঁ কি না কিছু বলেনি। বলল তোকে পড়ে বলব, ওর ব্যবহার হচ্ছে জমিদার শ্রেণীর মতো। বাবা কাকা মদ বা চুল্লু বিক্রি করে জমি জায়গা করেছে। সেই জমি জায়গা বিক্রি করে এখন। নবাব (তাপস মাজি) যখন ডেকেছে একবার দেখা করে আসি নবাব বলল আমি ঐ ভাবে পারব না। তোকে দু বারে টাকা দিতে হবে। আমি হবে না বলে চলে এলাম। এগল প্প্রথ দফা আমি অন্য জায়গা থেকে কিছু ইঁট কিনলাম।তারপর জায়গা মেপে প্রাচীর দিতে হবে নবাব সহ সকল আশপাশের জমির মালিক কে বললাম প্রথম নবাব বাধা দিল বলল আমি এই মাপ মানি না। আবার মাপা হবে আমি আমিন কিন্তু নবাব আনে না। তার আগে নবাব পাড়ার দাদা সহ অনেকে আমি যে আমিন এনে ছিলাম তার বাড়িতে গিয়ে তাকে আমরা যে কত খারাপ তার একটা বর্ণনা করে এসেছে। তার কাছে আমি গেলাম দ্বিতীয় বার আসার জন্য বলতে তিনি শুধু বলেন তুমি সতীশ দা সতীশ দা করো সে তো তোমাকে দেখতে পারে না। তুমি ওখানে না বাস করতে পার তার ব্যবস্থা করছে। শুনে চলে এলাম তিনি এলেন না, অন্য এক জন কে ঠিক করে দিলেন। বাড়িতে এসে ভগবানের প্রথম কথা হল তুই লিখে দে যে টুকু অন্যের জায়গায় পরবে তুই ভেঙে দিবি। নিজে বাড়ি করেছে সরকারি রাস্তা উপর দেড় ফুটো ছাড়ে নি। আর আমি বাউন্ডারি দেব আমার বেলায় বাধা। দেখলাম দ্বিতীয় আমিন কিসব বাঁকা সোজা করে বুঝিয়ে দিলেন। আমার গাঁথাটা মাটির লেবেল পর্যন্ত ছিল। খানিকটা বাইরে পড়তে ভাঙচুর শুরু হলো। সে গেল আমি বললাম আমি এমাপ মানি না এবার নবাব এক দখল নিতে এলো আমার বাড়ি খানিকটা। তুমুল ঝগড়া প্রতিবাদ হলো যাহোক এবার নবাব আমিন নিয়ে এলো সে যত টুকু দেখিয়ে ছিল তার থেকে কমল। মাপের আগে আমিন কে বলল আম গাছ টা আমার চাই। আমিন ( হেমন্ত দাস ) বলল পেয়ে যাবে। ঐ ঘুষখোর চিটিংবাজ হেমন্ত দাস কে দিয়ে পাড়ার ভগবান অনেকের জমি অন্য জনের দখল করে দিয়েছে। ও চার বার এলো শেষ বার। আমার আমিন ছিল রঞ্জিত দাস। মাপের শেষে আমাকে বলে গেলেন তোমার বিষয় বুদ্ধি নেই। যার সঙ্গে আমার জমি নিয়ে গণ্ডগোল সে সারাক্ষণ ফিতে ধরল। সব মাপের শেষে হেমন্ত দাস কে বললাম আমার বুঝিয়ে দিন। আমায় উত্তর দিলেন সূর্য দেব কে থাকতে বলুন। সত্যিই সেদিন যদি সূর্য দেব থেকে যেত কী হতো জানি না। তারপর আর কোনো আমিন ও হ্যাঁ এর মাঝে রমেন কোলে বলে এক জন কলকাতা পুলিশে চাকরি করত সে আমিন এনে আমার একটা ঘর অপরের জায়গায় সেটা দেখিয়ে দিলেন। এই রমেন কোলে কলকাতা পুলিশের কোথায় চাকরি করতেন জানি শুনে ওটা অপরের চাকরি। আমি ছিলাম না সেবার আমিন এসে গেল আমার ভিটের জমি টা ম্যাপের মধ্যে নেই। আমরা অন্যের জমি দখল করে নিয়েছি। ভগবান এর আগেও আমার বাড়ির দলিল দেখেছে তারপর ও বলছে তোর ভিটের দলিল পরচা দেখাবি। তার আগে একদিন বাঙাল তাড়ানো অত্যাচার করে গেছে। আর এক দিন সন্ধ্যায় আমার বাড়ির ঘটনা নিজেদের গায়ে নিয়ে আমায় মারধর করে গেল। থানায় গেলাম ভগবানের ভগবান ফোন করে দিয়ে ছিল। আমার কেস নিল এক উকিলের কাছে গেলাম সেখানে দেখি নবাব ও পাশের গ্রামের এক মাস্তান বসে আছে। ঐ খানে আমাকে হুমকি দেওয়া হলো এবার এমন মারব কলকাতার কোন হাসপাতালে ভর্তি নেবে না। উকিল ও দেখলাম ঐ ঘটনা নিয়ে খিস্তি দিল। আমি বোকামি করে ওর এক আত্মীয়র সামনে বলে ছিলাম ঐ উকিলের কাছে যাচ্ছি। আমি অসহায় ভিটে রক্ষা করতে পারিনি। আমাকে ভিটে ছাড়া করার জন্য দেখলাম আমার ভাই কে ব্যবহার করা হলো। ভাই ওদের সাথে মিশতে শুরু করে ওদের কথায় বাড়ির কোনো কাজ করত না। কোন সাহায্য না বললেই অশান্তি। এই ভাবে থাকতে থাকতে সত্যিই একদিন ভিটে ছেড়ে অন্য জায়গায় বাড়ি করে চলে এলাম। আমার বাবা ভিটে মাটি ছেড়ে বাংলাদেশের বরিশালের গৌরনদী থানার নলচিরা গ্রাম থেকে এপার বাংলায় এসেছিলেন ।আমি সিঙ্গুর থানার অন্তর্গত পল্তাগড় গ্রামের ভিটে ছেড়ে হরিপালের বাসিন্দা ।
Thursday, 25 October 2018
জ্যান্ত ভূতের কোরাস।
আসছে কালী পুজো অনেক জ্যান্ত ভূত বেড়বে। কারণ আমাদের রাজ্যের প্রায় প্রতিটি প্রান্তে এখন জ্যান্ত ভূতের উৎপাত যে তারা প্রতি মুহূর্তে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। মা কালী রূপে কী করে ছিলেন। তবে শোনা কথা বা পূরান কথা কিনা জানি না। প্রচলিত গল্প টি হলো মা যখন অসুর নিধন করে ক্লান্ত হয়ে গেছেন । তখন ধরা ধাম বা পৃথিবী রসাতল হয়ে যাবে। তখন সমস্ত দেব গন শিবের কাছে গিয়ে হাজির হলেন। মা কালী খড়্গ হাতে সম্মুখে যা পাচ্ছেন বিনাশ করতে করতে যে রাস্তা দিয়ে এগিয়ে আসছিলেন মহাকাল রূপে শিব সেই রাস্তায় শুয়ে পড়লেন। মা কালী এসে মহাকালের বুকে পা দিলেন এবং জিভ কাটলেন। এই গল্প ছোট থেকে শুনেছি জানি না কতটা সত্যি। নাকি মা রক্তবীজের রক্ত পান করবেন বলে জিভ বার করে ছিলেন এবং শিয়ালের দল হাতে থাকা মুণ্ড ও মুণ্ড মালার থেকে পড়া রক্ত খেতে ব্যস্ত । মা যখন অশুভ শক্তি বিনাশ করতে করতে ক্লান্ত তখন মহাকাল রূপী শিব তাকে কিছু টা সাহায্য করতে ঐ ভাবে শয়ন করে ছিলেন। মা কালী এবং মহাকাল রূপী শিব অসুর বা দানব রূপী অশুভ শক্তির বিনাশ করে, ধরাধামে শান্তি প্রতিষ্ঠা করে ছিলেন। বর্তমানে তাঁর পূজার সময় যে শব্দ দানব মানুষের জীবন কেড়ে নেবে। তার জন্য মা যদি আরকে বার আবির্ভূত হয়ে শব্দ দানব কে দমন করতেন। তাহলে যারা এই দানবীয় কাজ করে তাদের যদি একটু বিরত করেন, তাহলে অনেক মানুষ শান্তিতে ঘুমাতে পারে । আর মা কালীর কাছে আরেক টা প্রার্থনা যদি মাতাল রূপী অসুর দের একটু শান্ত করেন তবে অনেক নিরীহ মানুষের জীবন বাঁচে ও শান্তি পায়। এখন মা যে হারে এই দুই দানব বেড়েছে, এবং প্রতিবাদ করলে অনেক মায়ের কোল খালি হচ্ছে। আর যদি ভোটের সময় একটু আবির্ভূত হন, তবে শান্তি পূর্ণ ভোট হয়। কারোর কে মুড়ি বা নারকেল খেতে হয় না। এ গুলো মা শুনেছি বীরভূমের এক জন সভায়। পরে জেনেছি এগুলো গুলি ও বোমার সাংকেতিক নাম। আজ আমাদের রাজ্যের প্রায় সর্বত্র সত্যিই কথায় কথায় মুড়ি মুড়কির মতো গুলি ও বোমা বাজী চলে। কত যে মায়ের কোল খালি হলো। কেউ হিসেবে রাখে না। কোন টা খবরে আসে কোন টা নয়। কেউ বিচার পায় কেউ পায় না। আরেক টি অসুর আছে মা ধর্ষণ রূপে বিরাজ করে সে একশ বছরের বৃদ্ধা কেও বাদ দেয় না। মা গো তোমার কাছে আমার প্রার্থনা একবার আবির্ভূত হও মা তবে যদি বেকারাসুর বদ হয়। সঠিক বেতন পায় তার ব্যবস্থা করে দিও দু হাজার আট হাজার পাঁচ হাজার আর আমার টা অষ্ট আশি হাজার থেকে আট লক্ষ করে দিতে তুমি একবার আবির্ভূত হও মা। একশ দিনের টাকা পাই মা, আবার ঘর তৈরির টাকাও আসে মা কিন্তু তোলাসুর কে দিয়ে দিতে হয়। এই সব অসুর দের সাথে আবার কিছু ভূত জুটেছে তুমি মা বাবা কে বলে যদি একটু ভূতেদের কণ্ট্রোল করে দাও। না হলে ঐ সব অসুর দের কথায় মতালাসুর হয়ে এরা এমন কোরাস ধরে চিন্তা করতে পারবে না। এতে আবার মিউজিক বাজে বোমা আর গুলি এবার পূজায় ভালো করে সকলে পূজো করুক যেন অসুর আর ভূতের কোরাস না শুনতে হয়।
আসছে ভূত চতূর্দশী।
আবার একটা ভুত চতুর্দশী এসে গেল। যাকে কালী পূজো বা দীপাবলির আগের যে চতুর্দশী হয়। এই চতুর্দশী কে ভূত চতূর্দশী বলে।
ছবি টি আনন্দ বাজার পত্রিকার অনলাইন বেড়িয়ে ছিল।
এই চতুর্দশী দিন ১৪ শাক খাওয়া ও দেব গৃহে ১৪ প্রদীপ জ্বালাতে হয়। ১৪ শাকের নাম, ১) ওল ২) কেঁউ ৩) বেতো ৪) সরিষা ৫) কালকাসুন্দা ৬) নিম ৭) জয়ন্তী ৮) শাঞ্চে ৯) হিলঞ্চ ১০) পলতা ১১) শৌলফ ( শাপলা) ১২) গুলঞ্চ ১৩) ভাঁটপাতা ১৪) শুষনীশাক ।আমি জানি না এই শাক গুলো আদৌ সব গুলো খায় কি না? তবে বাজারে ওর আগের দিন ১৪ শাক বিক্রি হয়। এই চতুর্দশীর দিন দিন টিকে কোথাও কোথাও যম চতুর্দশী বলে পালন করা হয়। আবার কোথাও কোথাও পুরনো জিনিস পত্রের দিয়ে বুড়ো বুড়ি করে পড়ানো হয়। বাচ্ছারা ভুল উচ্চারণ করে বলে আজোরে পূজোর। ঐ উচ্চারণ হবে আলোরে পূজোরে, অর্থাৎ আলোর পূজো সকল অন্ধকার থেকে আলোয় নিয়ে আসার উৎসব। কালী রূপে মাতা সমস্ত কালিমা দূর করতে ঐ দিন পূজিতা হন।আবার অনেকে এদিন পার্থিব শিবের পূজা করেন গঙ্গা মাটি দিয়ে বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ প্রমাণ শিব তৈরি করে এই শিবের পূজা করা হয়। আসুন আমরা সকলে মিলে মা সত্যিই আমাদের মন থেকে সমস্ত কালিমা দূর করে পশ্চিম বাংলা কে নতুন পথ দেখাক।কারণ পশ্চিমবঙ্গের প্রায় সকলেই এক একটা জীবন্ত ভূত ।সব জেনে বুঝেও ভূতের মতো আচরণ করে যাচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন । আলোর উৎসবে মেতে উঠি এই আলোতে সকলের মনের কালো দূরে যাক।
পশ্চিমবঙ্গের পরিবর্তনের অংশীদার।
ছবি টি অন লাইন আনন্দ বাজার পত্রিকা থেকে নেওয়া। ছবি টি দেখে বুঝবেন ইনি একজন সেলিব্রেটি বাংলা চলচ্চিত্র বা ধারাবাহিকের। ভাবছেন এর ছবি আর উপরের হেড লাইনে কী মিল। ভাবুন যখন চার পাশে বিভিন্ন ভাবে আন্দোলন হচ্ছে। বনধ পালিত হচ্ছে, বামফ্রন্ট সরকারের শেষ কয়েক বছর। অরাজকতা চালিয়ে যারা আজ ক্ষমতায়। সেই সময় পরিবর্তনের ডাক দিয়ে কলকাতার রাস্তায় একটি হোর্ডিং বেড়িয়ে ছিল। সেই হোডিংএর একটি ছিল এই সেলিব্রেটির ছবি। ইনি এই পরিবর্তন সরকারের একজন অংশীদার তাহলে এখন যা হচ্ছে তার কিছু টা দায় নিতে হবে। এই সব পরিবর্তন পন্থী মানুষ দের কাছে আমার প্রশ্ন ১)রাজ্য টা ধর্ষণের রাজ্যে পরিণত হকো সেই জন্যই পরিবর্তন করতে চেয়েছিলেন।
২)বিভিন্ন রকম চিটফাণ্ডের টাকা লুঠ করে নেওয়া হবে। এর জন্যে পরিবর্তন করতে চেয়েছিলেন।
৩) কলেজের ভর্তির জন্য ঘুষ দিতে হবে এর জন্য পরিবর্তন করতে চেয়েছিলেন।
৪) প্রতিটি নির্বাচনে বোমা গুলি চলবে মানুষ মরবে। এমনকি ভোট নিতে যাওয়া সাধারণ কর্মী কে খুন করা হবে।
৫) যে কোনো সরকারি কাজ করতে গিয়ে নেতা থেকে
কর্মী প্রত্যেক কে ঘুষ দিয়ে কাজ করাতে হবে।
৬) আপনি কি এই জন্য পরিবর্তন করতে চেয়েছিলেন যে কলেজে কলেজে অধ্যক্ষ অধ্যাপকরা মার খাবেন।
৭) আপনারা এই পরিবর্তন নিশ্চয়ই চাননি যে চাকরির তালিকা ভুক্ত বেকার যুবক আন্দোলন করবে আর পুলিশ লাঠি চালাবে।
৮) দাড়িভিটার ঘটনা ঘটুক নিশ্চয়ই চাননি।
৯) আচ্ছা এর জন্যে পরিবর্তন করতে চেয়েছিলেন, প্রায় প্রতিটি গ্রামে মদের দোকান হোক।
১০) নিজেদের মধ্যে বোমা গুলি নিয়ে মারামারি মাঝখানে পড়ে। বাচ্ছা সে হয় আহত নয়তো প্রাণ চলে গেল। এই পরিবর্তন নিশ্চয়ই চাননি।
১১) আমার মনে হয় এর জন্যে পরিবর্তন হয়েছে, যে একশ বছরের বৃদ্ধাও ধর্ষণ থেকে বাদ যাবে না।
আমি জানি আপনাদের উত্তর জাস্টিফাই করা। আগেও হয়েছে এতো মিডিয়া ছিল না। লোক জানত না। ঠিক বলেছেন, কিন্তু যে টুকু জানতে পারত সেই অপরাধীর শাস্তি হতো। আরো বলবেন উন্নয়ন দেখতে পারেন না। হ্যাঁ উন্নয়ন দেখতে পাই, আমি চাই উন্নয়ন হোক কিন্তু কোনো নেতা মন্ত্রীর পকেট ভারী করে নয়। কোন মায়ের কোল খালি করে উন্নয়ন আপনারা ও নিশ্চিত চান না।
২)বিভিন্ন রকম চিটফাণ্ডের টাকা লুঠ করে নেওয়া হবে। এর জন্যে পরিবর্তন করতে চেয়েছিলেন।
৩) কলেজের ভর্তির জন্য ঘুষ দিতে হবে এর জন্য পরিবর্তন করতে চেয়েছিলেন।
৪) প্রতিটি নির্বাচনে বোমা গুলি চলবে মানুষ মরবে। এমনকি ভোট নিতে যাওয়া সাধারণ কর্মী কে খুন করা হবে।
৫) যে কোনো সরকারি কাজ করতে গিয়ে নেতা থেকে
কর্মী প্রত্যেক কে ঘুষ দিয়ে কাজ করাতে হবে।
৬) আপনি কি এই জন্য পরিবর্তন করতে চেয়েছিলেন যে কলেজে কলেজে অধ্যক্ষ অধ্যাপকরা মার খাবেন।
৭) আপনারা এই পরিবর্তন নিশ্চয়ই চাননি যে চাকরির তালিকা ভুক্ত বেকার যুবক আন্দোলন করবে আর পুলিশ লাঠি চালাবে।
৮) দাড়িভিটার ঘটনা ঘটুক নিশ্চয়ই চাননি।
৯) আচ্ছা এর জন্যে পরিবর্তন করতে চেয়েছিলেন, প্রায় প্রতিটি গ্রামে মদের দোকান হোক।
১০) নিজেদের মধ্যে বোমা গুলি নিয়ে মারামারি মাঝখানে পড়ে। বাচ্ছা সে হয় আহত নয়তো প্রাণ চলে গেল। এই পরিবর্তন নিশ্চয়ই চাননি।
১১) আমার মনে হয় এর জন্যে পরিবর্তন হয়েছে, যে একশ বছরের বৃদ্ধাও ধর্ষণ থেকে বাদ যাবে না।
আমি জানি আপনাদের উত্তর জাস্টিফাই করা। আগেও হয়েছে এতো মিডিয়া ছিল না। লোক জানত না। ঠিক বলেছেন, কিন্তু যে টুকু জানতে পারত সেই অপরাধীর শাস্তি হতো। আরো বলবেন উন্নয়ন দেখতে পারেন না। হ্যাঁ উন্নয়ন দেখতে পাই, আমি চাই উন্নয়ন হোক কিন্তু কোনো নেতা মন্ত্রীর পকেট ভারী করে নয়। কোন মায়ের কোল খালি করে উন্নয়ন আপনারা ও নিশ্চিত চান না।
Wednesday, 24 October 2018
যে লঙ্কায় যায় সেই রাবন।
আমাদের মধ্যে একটা প্রচলিত প্রবাদ আছে যে লঙ্কায় যায় সেই রাবন হয়। সব পাল্টে গেল সকল বিষয় পাল্টে গেল তবুও আসলে কোনো পরিবর্তন হলো না। দেশের স্বাধীনতার পর থেকে মানুষের ভোটে গান্ধী পরিবার দেশ চালিয়েছেন। পঞ্চ বার্ষিকী পরিকল্পনা করে উন্নয়ন করা। সে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, খাদ্য, শিল্প এবং পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ আরো অনেক কিছু। স্বাধীনতার পর দীর্ঘ দিন ক্ষমতায় থাকা সত্ত্বেও এখনো দেশের ৭০% মানুষ একবেলা খেতে পায় আর শিক্ষা অবস্থা ও না বলা ভালো। পরিকাঠামো সে তো অন্য রাজ্যে হলেও সেই সময়ে এই রাজ্যে হয়নি। কংগ্রেস পরিচালিত শেষ দুটো ইউ পি এ সরকার বামেদের চাপে পড়ে একশো দিনের কাজ প্রকল্প শুরু করে ছিল । আর পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান শাসক দল দেখিয়ে দিয়েছে কী করে করে ঐ টাকা ভোট ব্যাংক তৈরী করা যায়। কাজ না করে পয়সা তোর দু হাজার আমার তিন হাজার। এখন তো আরও মারাত্মক তোর একাউন্টে টাকা ঢুকেছে তুই কাজ করিস নি। টাকা তুলে আমাকে দিয়ে যাবি। মাঠের কাজের লোক জন নেই, যেখানে কাজ না করে পয়সা পাওয়া যাবে। সে খাটবে কেন, এতো একশ দিনের কাজের প্রকল্প । আরেক টা একদম শেষের দিকে চালু করতে ছেয়ে ছিল সবার খাদ্য প্রকল্প। সেটা করতে গিয়ে বি পি এল তালিকা তৈরি করতে হবে। কী বলা হলো গ্রামের একজন মানুষ যদি ছত্রিশ টাকা দৈনিক খরচ করতে পারে তবে সে বড়ো লোক সে বি পি এল নয়। আর শহরের জন্য হলো আট চল্লিশ টাকা খরচ করতে পারে তিনি বি পি এল নয়। বি জে পি এসে সবার খাদ্য প্রকল্প শুরু করে দিলেন । এ রাজ্যের বর্তমান সরকারের ভালো হলো। ভুয়ো রেশন কার্ড বাদ দেওয়ার নাম করে। যারা অন্নপূর্ণা যোজনায় দু টাকা কিলো চাল পাচ্ছিল তাদের মধ্যে অনেকেই বাদ গেলনা। কারা এলেন বা পেলেন যারা রেলে চাকরি করে স্কুল টিচার তারা। উন্নতি হয়েছিল কিছু শিল্প পতি ক্ষেত্র বিশেষে শিল্প করে ছিলেন। বেকার সমস্যার কিছু টা হলেও সমাধান হয়ে । তারা ছিলেন মনুফা লোভী সেই কারণে শিল্প কারখানার যন্ত্র পাতি যে আধুনিক করণ না প্রতি নিয়ত উৎপাদন বাড়িয়ে গেছেন। যার ফলশ্রুতিতে সে সব যন্ত্র ক্রমশ অকেজো হয়ে পড়েছে। আর অনেক কারখানা এজন্যই বন্ধ হয়ে গেছে। তার উপরে শ্রমিক সংগঠনের অসন্তোষ। আর বর্তমান শাসক তো শিল্প কারখানা তাড়িয়ে ক্ষমতা এসেছে। আর বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকারের আচ্ছে দিন, কালো টাকা উদ্ধার করে প্রত্যেকের এ্যাকাউন্টে টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি সব কোথায় কী? তাই ভারত বর্ষের কেন্দ্র ক্ষমতায় যে আসুক সে বি জে পি আর কংগ্রেস সব একই। যে ক্ষমতায় আসুক সেই রাবন বনে যান ।
সাধারণ মানুষ শুধু ভোট দিতে পারেন তাও সবার ভাগ্যে ঐ রাজনৈতিক অধিকার প্রয়োগের সুযোগে হয় না। ভয় দেখিয়ে মেরে বার করে দেওয়া হয়। কি আজব দেশ!
সাধারণ মানুষ শুধু ভোট দিতে পারেন তাও সবার ভাগ্যে ঐ রাজনৈতিক অধিকার প্রয়োগের সুযোগে হয় না। ভয় দেখিয়ে মেরে বার করে দেওয়া হয়। কি আজব দেশ!
বিধবা না বার্ধক্য ভাতা দেওয়া হয়েছে না।
ছবি টি অন লাইন নিউজ পোর্টালে আনন্দ বাজার পত্রিকায় বেড়িয়ে ছিল ।আজকের দিনে, কেন বামেদের শেষ কয়েক টা বছর পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় যারা অরাজকতা তৈরি করে ছিল ক্ষমতার লোভে এখন ক্ষমতায়। তাদের উৎসাহের শেষ নেই, কন্যাশ্রী আর সাইকেল পাচ্ছে তার সরকার দিচ্ছে সেই জন্যই তাদের অধিকার আছে। এসব করার আর একশ বছরের বৃদ্ধা কে ধর্ষণ সে আপনি বিকৃত কাম বলুন না, তাতে কী? এই কদিন আগেই খবর হলো এক গৃহ বধু কে ধর্ষণ করে তার গোপন অঙ্গে রড ঢুকিয়ে দেওয়ার। আবার দশম শ্রেণির ছাত্রী কে আটকে রেখে ধর্ষণ নিউটনের গৃহ বধু কে শ্বশুরের ধর্ষণের চেষ্টা ।যতটা সম্ভব ১৯-৮-১৮ খবর খুব সম্ভবত চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী কে যৌন নির্যাতন।আমি আগেই লিখেছি রাজ্য টার নাম পাল্টে ধর্ষণ বঙ্গ করা হোক। এসব ঘটনা কোন কোন ক্ষেত্রে পুলিশ সঠিক পদক্ষেপ করলেও বিচারের নামে চলে প্রহসন। বছরের পর বছর ধরে বিচার চলে। জামিনে ছাড়া পান হয়তো সেই অপরাধী আবার অপরাধ করে। তার সঙ্গে আছে মদ কিনলে মাংস ফ্রি। জানে মদ খেয়ে মারা গেলে দু লাখ টাকা আবার মদের দোকান করার অনুমতি দেওয়া হবে। যদি আদালতে বিচার হতো তাহলে এবং অপরাধী সঠিক সাজা পেত তবে কমে যেত এই অবস্থা আজ দাঁড়াতো না । পুলিশ প্রশাসন কে আরো সক্রিয় হয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতেন। তাহলে আজকে এই পরিস্থিতিতে পৌঁছতো না । একশ বছর বয়সে বিকৃত লালসার শিকার হতে হতো না।
ইউটিউবে সরকারি কর্মীদের শুভাকাঙ্খী চ্যানেল।
ইউটিউবে কিছু চ্যানেল আছে বেশ কিছু দিন ধরে সরকার সরকারি কর্মীদের প্রতি কতটা ভাবে কত উপকার করে। এই চ্যানেল আর কিছু অনলাইনে কাগজ আছে যারা প্রতি নিয়ত এরম খবর প্রকাশ করে চলেছে। এতে সাধারণ মানুষের কাছে এই সরকার কতটা কর্মী দরদী সেটা তুলে ধরতে সাহায্য করছে । যেমন পে কমিশন নিয়ে খবর প্রকাশ করে চলেছে। আবার যে ভাবে সরকার ঘোষণা করেছে বেতন বেড়ে যাবে পার্শ্ব শিক্ষকের। হেড লাইন হলো, শিক্ষকদের বেতন বেড়ে গেল। কখনো সেটা এপ্রিল থেকে আবার কখনো অক্টোবর থেকে কোন এপ্রিল কোন অক্টোবর তার ঠিক থাকে না। তার পর আর খোঁজ থাকে না। সত্যিই বেতন বাড়ল কিনা। এই পে কমিশন নিয়ে প্রতিনিয়ত ভুল খবর করে যাচ্ছে। কারণ সরকারি কর্মীদের বেতন বাড়াতে বা ডি এ দিতে সরকারের টাকা নেই। তখন বামফ্রন্ট দেনা রেখে গেছে, কিন্তু এই সরকার এখনো পর্যন্ত কতো কত টাকা দেনা করেছে । সেটা ঐসব নিউজ চ্যানেলে খবর হয় না। একটা পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির টিফিন খরচ কত? টেন্ডারের কত শতাংশ টাকা প্রকৃত কাজে লাগে উন্নয়নে সে সব খবর নেই। সারদার টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য শ্যামল সেন কমিটির পাঁচ শো কটি টাকা কোথায় গেল? কজন টাকা ফেরত পেল, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় অন্য রাজ্যে ঢালাই দেওয়া পাকা বাড়ি হয়। আমাদের রাজ্যের টাকা পেতে জুতোর শুকতলা ছিঁড়ে যায়। যার পাকা বাড়ি আছে তার নামে অনুমোদন করে টাকা তুলে নেওয়া হয়। এই অর্থ মন্ত্রী ফিকির সংগে ছিলেন। ফিকি কাদের সংগঠন, আমার যতদূর জানা আছে এটা একটা শিল্পপতি দের সংগঠন। ইনি অর্থ নিয়ে সেখানে কী ভেবেছেন বা কী যুক্তি দিয়েছেন অনুমান করুন। আমি জানি না উনি শিল্পপতি হিসেবে ঐ সংগঠনে ছিলেন। তাহলে উনি নিজে শিল্পপতি, হলে এই রাজ্যে বিনিয়োগের বন্যা বয়ে যেত। উনি তাহলে অর্থ নীতিবীদ হয়ে কী যুক্তি দিয়েছেন কীভাবে কর্মীদের বেতন কম দিয়ে কাজ করানো যায়। ট্যাক্স ফাঁকি দিতে পারেন শিল্প পতিরা। তাহলে তাঁর কাছে কর্মীরা কী আশা করতে পারেন। তবে এ রাজ্যের এক জন মন্ত্রী সব তিনি যা বলেন সেটাই হয়। বাকী দের কথা। আর পে কমিশন সে যিনি পে কমিশনার তিনি জানেন না ।কবে রিপোর্ট জমা পরবে। চালু হওয়া তো দূরের কথা। যিনি ছ মাস আগে ডিএ ঘোষণা করেন, তিনি এখন শিল্প কে বিসর্জন দিয়ে, বিসর্জন কে শিল্প করতে ব্যস্ত। এর পর লক্ষ্মী মেলা হতে পারে। তাতে কন্যাশ্রী রা হিন্দি গানের সাথে নাচবে। আর ভাই ভাইপো রা আনন্দ পাবেন।
Tuesday, 23 October 2018
জোনাকির রক্তের খিদে ।এর সপ্তম গল্প। দিনে ডাকাতি।
আমি এসবের কথা লিখব না। গত কয়েক দিন আগে একটা বড়ো সোনার দোকানে অদ্ভুত ডাকাতি হয়েছে। কী বড়ো রাস্তার পাশে দোকান একদিন সকাল থেকে লোক দেখলো কতগুলো লোক রাস্তার কাজ করছে একটা জায়গায় ঘিরে দিয়ে পিচ তুলে গর্ত করছে। সকলে ভাবল রাস্তার নীচ দিয়ে জলের পাইপলাইন সারানো হবে। এর আগেও ঐ জায়গাটা খোঁড়া হয়ে ছিল। সেই জায়গা আবার খোঁড়া হচ্ছে । এর ঠিক দুদিন পর শোনা গেল। সোনার দোকানে বড়ো ডাকাতি হয়েছে। কয়েক লক্ষ টাকার গয়না ক্যাশ বা নগদ টাকা চুরি করে পালিয়েছে। কোথা দিয়ে ঢুকে ছিল না। রাস্তা থেকে সিঁদ কেটে, সবাই ভাবছিল পাইপলাইনের কাজ হচ্ছে। তাহলে ওটা ছিলো ডাকাতির জন্য কাটা সিঁদ। জল কাদা থেকে বাঁচতে সুরঙ্গের বড়ো বড়ো তেলের ড্রাম ব্যবহার করা হয়েছে । খুব বুদ্ধিমান ডাকাত, পুলিশ এলো সব রকমের নমুনা সংগ্রহ হলো। হাতের ছাপ দেরাজের চাবি ভাঙার ছবি। আর একটা ভালো ক্লু পাওয়া গেল। গর্তের ভেতরে ব্যবহৃত ড্রামের গায়ে লেখা দুটো ফোন নাম্বার। এ ছাড়া তেমন কিছু নেই। শুরু করা হয়েছে তদন্ত প্রথম দোকানের কর্মচারী দের জিজ্ঞাসা বাদ। তেমন কিছু পাওয়া গেল না। তবে এও ঠিক দোকান কর্মী না থাকলে এতো সুন্দর ডাকাতি সম্ভব নয়। জিজ্ঞাসা বাদে তেমন কিছু উঠে এল না। এবার ঐ ড্রামের ঠিকানা ধরে এগোতে হবে। দেখা গেল ঐ ঠিকানা এদেশের নয় বাইরের দেশের। পুলিশ যখন অনেক দিন সময় লাগিয়ে দিচ্ছে ।তখন দোকান মালিক তার বন্ধুদের সাহায্যে সত্যেন কে খবর দিল। সে এসে মালিক কে নিয়ে হাজির হলো থানায়। নিজের পরিচয় দিয়ে বলল আমি আপনাদের সাহায্য করতে পারি এই কেসে ঐ ড্রাম গুলো থেকে ধরা পড়বে আসামী। পুলিশ অফিসার বলেন কী করে? এই ড্রামের ঠিকানা বিদেশের ব্যবহার করেছেন স্থানীয় ও এন জি সি। তাদের সাথে কথা বলে দেখতে হবে। কারা সরাসরি আমদানী করতে পারে। কারণ বিদেশের হলেও ওদের নিশ্চয়ই কোন কিছু ব্যবস্থা আছে যেটা দিয়ে জানে এই ড্রাম কার কাছে যাবে। সে ভাবে ওরা পাঠিয়ে দেয়। সত্যেনের কথা মতো কাজ শুরু করে সুফল পেলেন। তিন চারটি ঠিকানা পাওয়া গেল। পুলিশ সব ঠিকানায় যোগাযোগ করে ওর মধ্যে মধ্যম গ্রামের একটি ঠিকানা পেল যেখানে এই পূরাণো খালি ড্রাম বিক্রি করা হয় বা রিসাইক্লিন করা হয়। এবার পুলিশ ছুটল সেখানে, সেটা একটা ছোট খাটো কারখানা। ওদের কাছে খাতা আছে কাকে কবে কত গুলো ড্রাম বিক্রি করেছে। এমন সময় এক দিন চিঠি এলো আঁকা বাঁকা হাতের লেখা। লেখা আছে "বড্ড বাড়াবাড়ি হচ্ছে অফিসার। তবে যার কথায় এতদিন পরে এসব হচ্ছে। তাকে আমরা চিনে ফেলেছি। শালা সুখের টিকটিকি সত্যেন বোস তাই না। শালা মহাধরি বাজ। ওকে দেখে নেব, কিন্তু আর এগলে ফল ভালো হবে না। "পুলিশ বুঝতে পারল তারা ঠিক পথে এগিয়েছে । সত্যিই বাবু কে ডেকে তার নিরাপত্তার জন্য সিভিল ড্রেসে পুলিশ মোতায়েন করা হলো। এবার একদিন সত্যেন ও তার কজন সঙ্গী ও সাথে ঐ সিকিউরিটি গার্ড কে নিয়ে মধ্যম গ্রামের পাশে হাজিপুর বলে একটা জায়গায় পৌঁছলেন। সেখানে বাবলু শেখ কাটা তেলের ব্যবসা করে খুঁজতে লাগলেন। সঙ্গীদের অনেক টা দূরে দাঁড়িয়ে থাকতে বলে নিজে আর গার্ড কে নিয়ে ভেতরে গেলেন। খুঁজতে খুঁজতে বাবলু শেখের খোঁজ মিলল। সত্যেন বলল আমার কাছে অনেক মাল আছে আমি সঠিক খরিদ্দার চাই। তাই খুঁজতে খুঁজতে তোমার কাছে আসা। প্রথমে তো খালি ড্রাম লাগবে, বাবলু কত টা হবে পাঁচ ড্রাম তো বটেই। অত খালি ড্রাম জানেন এক জন বছর দুয়েক আগে গোটা পাঁচেক খালি ড্রাম নিল আমি যোগার করে দিলাম। বলল তেল দেবে এখনও তাদের দেখা নেই। আমি তেল ও জায়গায়ার হাফ দাম দিয়ে দিলাম যে মাল দিলে লেন দেন চলবে তখন বাদ দিয়ে দেব। কোথায় কী? মাল এলো না ড্রাম নয় বললেই বলে পেয়ে। আমরা সে রকম নয়। সে পোশাক দেখে বুঝতে পারছি তবে এই পোশাক পরে এসেছেন ভালো কেউ সন্দেহ করবে না । আপনারা চোরাই তেল বিক্রি করেন। আর আপনাদের পয়সা আছে, আপনারাজ যদি পয়সা খরচ করতে পারেন ড্রাম আমি যোগার করে দেব। না না আমরা ঐ লোক গুলোর মতো নয় যে তোমাকে ঠকাব। সঙ্গের অফিসার বলল - সত্যিই লোক গুলো খারাপ কাজ করেছে,, তোমার মতো লোকের পয়সা মেরে দেওয়া ঠিক করে নি। বাবলু বলল - - মেরে দিতে পারবে না। ওদের আমি চিনি। তাহলে তো কথাই নেই তোমার পয়সা পেয়ে যাবে। আমরা কবে ড্রাম পাব?
পাবেন কিন্তু আপনাদের জন্য ড্রামের দাম দিতে হবে। তেলের দামের অর্ধেক আমাদের দেবেন না। না না সে আমি ওদের চিনি বলে দিয়েছি। ঐ তো ও পাড়ার কালী সাজিদ এসে ছিল। আমরা এখন যাই, পরে ড্রাম যোগার করে রাখুন আসব। বলে সত্যেন একটা পাঁচশ টাকার নোট তার হাতে দিল। দিয়ে তারা বেড়িয়ে এলো এবং আনন্দ ধরে রাখতে পারে না। সত্যেন ও গার্ড মিলে গ্রাম থেকে অনেক টা দূরে রয়ে গেল গেল তারপর তারা খাওয়া দাওয়া করে নিল। সত্যেন তার ছোট নোট বই এ একটা কথা লিখে সকল কে দিল। তোরা থানায় যা আরো ফোর্স ও অফিসার দের নিয়ে আয় বাবলু শেখ না হলে পালাতে পারে। প্রত্যেকে একই লেখা পেল সকলে মিলে। জিপ নিয়ে হাজির হলো থানায়। তারা সত্যেনের লেখা নোট টা দিল। থানায় একজন অফিসার বাদে সবাই বেড়িয়ে গেলেন।গোটা গ্রাম পুলিশ বাবলু শেখকে ধরতে। সত্যেন আর সেই অফিসার আরও কয়েক জনকে নিয়ে বাবলু শেখের বাড়ি পৌঁছে ডাকল কেউ সারা দিল না। কারণ সে বুঝতে পেরে ছিল ওরা পুলিশ তবে পাঁচ শো টাকা নিয়ে যে রসিদ সে দিয়ে ছিল। সেই হাতের লেখা আর সেদিনের চিঠির হাতের লেখা এক। বাবলু শেখ পালাতে পারেনি সে এখানে কোথাও আছে। কিছু আশ পাশের কয়েক টা পাড়া ঘেঁটে তাকে আর কালী কে এক সাথে পেল। দু জন কে এক সঙ্গে থানায় নিয়ে এলো। জিজ্ঞাসা বাদের মধ্যে দিয়ে আস্তে আস্তে সব কথা বেড়িয়ে এলো। দুবছর পর পুলিশ সাফল্য পেল। উদ্ধার করে ফেলল চুরি যাওয়া অনেক টা জিনিস।
পাঠক দের শারদীয়ার শুভেচ্ছা।
আমরা আগামী কোজাগরী পূর্ণিমায় ভক্তি সহকারে ধনসম্পদের দেবী শ্রী শ্রী লক্ষ্মী দেবীর আরাধনায় ব্রতী হই। মায়ের কাছে আমার প্রার্থনা সবার মঙ্গল করো মা। সকলকে শুভ বিজয়া দশমীর শুভেচ্ছা সহ কোজাগরী পূর্ণিমায় শুভ ধনসম্পদে ভরে উঠুক । এই কামনা করি।
তোমা সবার মঙ্গল হোক ।
Monday, 15 October 2018
ইভটিজিং এ জেল আর শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণের জন্য ছাড়.।
ছবি টি অন লাইন আনন্দ বাজার পত্রিকায় বেড়িয়ে ছিল। খবর হলো এই পূজোর সময় কোলকাতার ঠাকুর দেখতে গিয়ে কোন মেয়ে যদি কোনো যুবকের দ্বারা ইভটিজিং এর স্বীকার হন। তবে সেই রোমিও জেল বাস অনিবার্য। কিন্তু দেখুন কয়েক দিন আগে মেট্রো রেলের কামরার মধ্যেই একটি মেয়ে ইভটিজিং বা শ্লীলতাহানি করছিলেন কেউ প্রতিবাদ করেন নি। তার একটা কারণ থাকতে পারে, মনে আছে কিছু মাস আগে মেট্রোয় কত গুলো ছেলে মেয়ে অশ্লীল আচরণ করছিল তার প্রতিবাদ করে ছিল একজন সেই নিয়ে তোলপাড় পরে যায়। সেই নিয়ে আন্দোলন শুরু করে সব যুবক যুবতিরা হোক ভালবাসা। এর আবার উল্টো দিকে আন্দোলন শুরু হয় থাক শ্লালীনতা । আমার মনে হয় সেই জন্যই কোনো যাত্রী প্রতিবাদ করে নি। আবার দেখুন দু তিন দিন আগে শহরের রাস্তায় বসে মদ খাওয়ার সময় গাড়ি নিয়ে যাচ্ছিলেন। এমন ভাবে বসে মদ খাচ্ছিল গাড়ি নিয়ে যেতে পারছিলেন না। এর মধ্যে তার গাড়ির আলো পড়ায় মাতালের দল অভিনেত্রী উপর চড়াও হয়। এতো আপনারা খবরের কাগজে পড়ে কম বেশি পড়ে ফেলেছেন। ভাবুন রাজ্য টা চলছে মদ বিক্রির ট্যাক্সের উপর, সেই জন্য রাজ্য সরকার আরও মদের দোকান খোলার অনুমতি দেবেন। রাজ্যের আয় বাড়ানোর জন্য । সেই জন্য মদ খেয়ে শ্লীলতাহানি করেছেন বলে তাদের সাজা দেওয়া যাবে! আবার কদিন আগেই অনলাইন একটা খবরের কাগজে দেখলাম ধর্ষণ করে দুটি মেয়ে কে খালের জলে ফেলে দিয়েছে। ভাগ্যের জোরে তারা বেঁচে আছে, নিশ্চিত ঐ ঘটনার আসামী থুরি শারিরীক আরাম করে ছিল মদ খেয়ে। সেই জন্যই তাদেরকেও ছেড়ে দিতে হবে। এবার তাহলে রোমিও রা বুঝেছ তোমরা যদি মদ খেয়ে ইভটিজিং কর তাহলে তোমাদের ছাড়। কারণ মদ কিনবে রাজ্য সরকারের আয় বাড়বে। সঙ্গে একটু বড়ো নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে রেখো তাহলে ফ্রী বন্দুক আর বোম তৈরির অনুমতি পত্র পেয়ে যাবে । আর কাউকে যদি মেরে দাও তবে ও দোষের নয়। ওটাকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়া যাবে, আরে ওরকম কতো মরছে, নাম জানা কিন্তু তাকে সিঙ্গুর স্টেশন চত্বরে ঘোরাঘুরি করতে দেখেছি। আমি অনেক বার খেতে টাকা দিয়েছি । সেই লোক টিকে কদিন দেখতে পাচ্ছি না । ওখানে একজন কে জিজ্ঞেস করলাম ভাই এখানে একটা লোক খুব মদ খেত তাকে দেখতে পাচ্ছিনা সে নেই । পূজার সময় তাকে কিছু সাহায্য করি এই জন্য খোঁজ। যাকে জিজ্ঞেস করলাম তিনি বলেন ঠিক জানি না। তবে শুনেছি মদ বিক্রির অপরাধে জি আর পি ধরে নিয়ে গেছে। এভাবেই কত লোক হারিয়ে গরীব মানুষ হলে একটা ভোট কমে তাও ভোটার তালিকা থেকে তো বাদ দেওয়া হয় না। দেখুন কোলকাতার রাস্তায় মদ খেয়ে মেয়েদের সংগে অসভ্যতা করল তার শাস্তি নেই। কিন্তু ঝুপড়ি বাসী মাতাল মদ খেয়ে মদ একটু বিক্রি করল কী না করল তাকে তুলে নিয়ে চলে গেলেন। এই আমাদের দেশ বা রাজ্যের আইন। সকলের শুভ হোক, ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন আর মন্তব্য লিখুন।
Sunday, 14 October 2018
বাংলা এখন মদের বোতল ও ভাগারের রাজ্য।
ছবি টি অন লাইন আনন্দ বাজার পত্রিকায় বেড়িয়ে ছিল ।খবর টা ছিল নেশায় বুঁদ পুরুষ বন্দনা এখন দশভূজা । খবর টি আনন্দ বাজার পত্রিকায় পূজার থিম নিয়ে লেখা। বাস্তবে বর্তমান রাজ্যে যে ভাবে চুল্লু বা নকল বিদেশী মদ বিক্রি হচ্ছে সংগে ভাগারের মাংস তাতে গ্রামের খেটে খাওয়া গরীব মানুষের বাড়ির পুরুষ দের তাদের বধূর দল আটকে রাখতে পারে না। পূজোর সময় আরো বেশি কারণ দেড়শো দুশো টাকা রোজগার করে সংসার চালান দায়। সেই চিন্তা এবং নিত্য অশান্তি এড়াতে এরা মনে করে মদ মাংস খেয়ে একটু যদি ভোলা যায়। বলবেন টাকা আসে কোথা থেকে যা উপায় করে সেখান থেকে তারা কয়েক জন মিলে চাঁদা তোলে তারপর ঐ টাকায় ছাঁট মাংস আর মদ আসে। ওদিকে বাড়িতে মেয়েরা বাচ্ছা দের মুখে খাবার তুলে দিতে পারে না। সেই জন্যই অনেক বধু বাইরে কাজে যেতে হয়, ও বাড়ির কাজ করতে হয় । এভাবে তারা বেঁচে থাকে, মদ খেয়ে খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে ডাক্তার দেখানোর পয়সা থাকে না। এভাবে ঐ সব গ্রামের মেয়ের দল বা বধুরা সব সামাল দেন সেই জন্যই তারা দশভূজা।
বামেদের শেষ তৃণমূলের শুরু।
বাম শাসন যেখানে শেষ হয়ে ছিল, তৃণমূল শাসন সেখান থেকে শুরু হয়েছে।বাম শাসনের শেষ দশ বছর যে ভাবে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় নানা ঘটনা ঘটেছিল।
এখনো সেই ভাবে চলছে, তবুও বাম আমলে সরকারের চেষ্টা ছিলো আধুনিক শিল্প কারখানা করার। সেই কারণেই তারা বিভিন্ন শিল্পপতি দের এরাজ্যে আহ্বান করছিলেন। শিল্প পতি দের কেন্দ্রীয় সরকারের এস ই জেড অর্থাৎ বিশেষ সুযোগ সুবিধা দিয়ে আধুনিক কর্মসংস্থান মুখী শিল্প গড়ে তোলার । সেই সুযোগ নিয়ে এখানে তথ্য প্রযুক্তি শিল্প উইপ্র ইনফোসিস টাটা ন্যানো গাড়ির কারখানা আর হলদিয়ার নয়াচড়ে কেমিক্যাল হাব ইত্যাদি কর্মসংস্থান মুখী শিল্প গড়ে উঠতো। সরকারি বেসরকারি সংস্থা থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করা ছেলে মেয়েদের বাইরের রাজ্যে যেতে হতো না। আবার সরকারী নিয়োগ অনেক সহজ সরল করা হয়েছিল । প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগের জন্য বিনামূল্য ফর্ম বিলি করা হয় সেই সময়। নিয়োগ করা হয় হয়েছে ১৯৯৭ থেকে ২০১১ পর্যন্ত। আর এখন ঐ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চাকরির ফর্ম বিক্রি করে সরকার একশো টাকা নিয়ে। আবার একজন নেতা যাকে ঐ কাজ দেখাশোনা করতে নিয়োগ করা হয়েছিল। তিনি ঐ টাকা দিয়ে একটা দামি মোবাইল কিনে ফেলেছিলেন। শুধু তাই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঐ চাকরির জন্য চলে লক্ষ লক্ষ টাকার ঘুষ। নেতা মন্ত্রী আমলা টাকার কুমির হয়ে গেল, এখন দেখছি বদলি হতেও টাকা দিতে হয়। ভালো জিনিস কিছু লোকের ভালো লাগছিল না। তারা বেশিরভাগ ছিল সিঙ্গুর থেকে টাটা ন্যানো গাড়ির কারখানা তাড়াতে ।জঙ্গল মহল থেকে প্রতিদিন খবর হতো মানুষের মৃত্যুর। সে পুলিশ অফিসার থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের। এসব করার জন্য টাকা যোগাত খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। কীভাবে বলছি ঐ যে সারদা রোজভ্যালীর মতো সংস্থা যারা তিনি বছরে ডবল করে দেবেন বলে টাকা তুলতো। ২০০৬ থেকে ২০১১ পর্যন্ত পুরো অরাজকতা চলছিলো। কখনও ছাএ পিটিয়ে খুন কখনো পুলিশ অফিসার খুন। আবার পুলিশ অফিসার খুন করে তার দেহ নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া। সি পি আই এম কর্মী কে খুন করে তার দেহ সৎকার করতে না দেওয়া। আর দার্জিলিং কোচবিহার সর্বত্র অরাজকতা তৈরি করা হয়েছিল । আর কোনো কিছু হলেই বনধ ছিল নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা। সিঙ্গুরে উনচল্লিশ বার বনধ হয়েছে। এসব খুন খারাপি অরাজকতা তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য কে খুনের চেষ্টা যেখান সেখানে বোমা বাজি। সেই সব মহান মহাপুরুষ দের একটা বড়ো অংশ আজ নেতা মন্ত্রী। এই সব অমানুষ গুলো এখনো তাদের পুরনো অভ্যাস ছাড়তে পারে নি। এখন আবার পোয়াবার কারণ পুলিশ ধরবে না জেল হাজতে যেতে হবে না । ভবানী পুর থানা থেকে ছাড়িয়ে আনা দিয়ে অরাজকতা শুরু করেছে। অপরাধীরা বুঝে গেলেন অপরাধ করেও শাস্তি হবে না। আবার রায় গঞ্জ কলেজে কলেজে অধ্যক্ষ নিগ্রহ যেখানে ৪৫ থেকে ৫৫ বছরের বুড়ো বাচ্ছা ছেলে হয়েছিল। তখন যারা এসব করত তাদের বলা হতো, সিপিএমের হার্মাদ আর এখন কী বলবেন?
Saturday, 13 October 2018
পশ্চিম বঙ্গের নাম পাল্টে রাখা হোক বঙ্গ ধর্ষণ।
ছবি টি অন লাইন আনন্দ বাজার পত্রিকায় বেড়িয়ে ছিল ।একটি ধর্ষণের খবর দেওয়া হয়েছে। রোজ অনলাইনে যে কোনো খবরের কাগজ পত্র পড় ধর্ষণ শ্লীলতাহানি আর খুন এ ছাড়া খবর নেই। তবে এও ঠিক রাজ্যে যা ঘটছে তার কত টুকু আমাদের জানা। এই নতুন নতুন গজিয়ে ওঠা অন লাইন নিউজ পোর্টালে আমরা তবুও দেখতে পাই। আর পাঁচ বছর থেকে পঞ্চাশ বছর কেউ বাদ যাচ্ছে না। সে দিন অন লাইন নিউজ ওয়েব পড়লাম দুজন কে ধর্ষণ করে খালের জলে ফেলে দিয়েছে। ছবি টি এখানে দিচ্ছি,
পুলিশ প্রশাসন সে তো ঠুঁট জগন্নাথ সিভিক দিয়ে গাাড়ি আটকে তোলা তুলতে ব্যস্ত কারন বছরের শেষে হিসেব দিতে হবে। এই নিয়ে অন্য এক দিন লেখা যাবে । কাল কাগজে পড়লাম (অনলাইন) ধর্ষিতার মৃত্যু। বর্ধমানের আসানসোল এলাকা বা আশ পাসে বাড়ি দু সন্তানের মা গত আড়াই মাস আগে ছোট মেয়েকে নিয়ে হাসপাতালে গিয়ে ছিলেন সেই সময় তার পূর্ব পরিচিত পুরুষ অন্য কয়েক জন মিলে তাকে ধর্ষণ করে। গত ১৩/১০/১৮ তারিখে মারা যান । এসব আপনারা কাগজে পড়েছেন। মনে দাগ কাটা কয়েক টি ঘটনা। ১)পার্কস্ট্রী কাণ্ড ২) কামদুনি ৩) মধ্যম গ্রাম আরও কত আছে। আমাদের মাননীয়ার কথা অনুযায়ী শরীরে জ্বর জ্বালা হলে ও হয়ে থাকে। তিনি তো আবার ধর্ষিতা শ্র্রী চালু করে ছিলেন জানি না, কেউ পেয়েছেন কি না। রেট ছিল ১০, ২০,৩০ হাজার টাকা । তিনি জানতেন রাজ্যে ধর্ষিতা শ্রী তে ভরে যাবে। এতো উল্টো হয়ে গেছে ভাই আর ভাই পো রা মিলে ধর্ষিতা শ্রীতে ভরিয়ে তুলেছে আট থেকে আশি কেউ বাধ নেই, সুযোগ পেলে ছাড় নেই। তবে রেগে গেলে হবে না। যার দরকার নেই তাকেও তিনি কন্যাশ্রী দিচ্ছেন শুধু শুধু, যার দরকার নেই তাকেও সাইকেল দিচ্ছেন এমনি এমনি। ভাইয়েরা আদর করবে না। গত একটি মেয়ে মেট্র্রো করে বাড়ি ফিরছিলেন কয়েক জন যুবক তাকে ঘিরে বিভিন্ন রকম অশ্লীল আচরণ ও কথা বলতে থাকে। সবাই দেখেও চুপ কেউ প্রতিবাদ করেন নি। ঘটনা টি ৯ /১০ /১৮ রাত ন'টার সময়। আনন্দ বাজার পত্রিকায় বেড়িয়ে ছিল ।আবার এক অভিনেেত্রী কে শ্লীলতাহানি স্বীকার হতে হয়়েছে। এসব নিত্য নৈমিত্তিক হয়ে গেছে। কারণ ভাগারের মাংস আর মদ এখন যেখানে সেখানে মেলে, এবং সস্তায় মেলে। মা বোনেরা একটু সাবধানে পূজোয় ঠাকুর দেখতে যান। এই সব ভদ্র ভাই দের খপ্পরে পড়বেন না। সকলে ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন সাবধানে থাকবেন। আর আমার দেওয়া রাজ্যের নাম যেন সত্যি না হয়। মা দুর্গার কাছে এই প্রার্থনা করি। সকলে শারদীয়ার শুভেচ্ছা নেবেন ।

রাজ্যে এখন বারুদের স্তুপ।

Friday, 12 October 2018
পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষিত মানুষ কী ভুল ধরিয়ে দিতে জানে না। ভুল বলছে জেনেও চুপচাপ থাকেন কেন?
ছবি টি ডেইলি হান্ট নিউজ ওয়েব সাইট থেকে নেওয়া।আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রথম থেকেই এমন কোনো কথা বলছেন বা তথ্য দিচ্ছেন যার কোনো বাস্তব ভিত্তি নেই । এখন দেখি ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব একই রকম আরম্ভ করেছেনে। এরা সত্যিই কি জানেন না। জেনে শুনে বলছেন যাতে খবরের শিরোনাম থাকতে পারেন। যেসব স্থানে বা সভায় বলছেন সেখানে অনেক শিক্ষিত মানুষ বসে আছেন । তারা কেউ কিছু বলছেন না, হয়তো কেউ কেউ মুচকি হেসে নিচ্ছেন । অন্য কোনো কারণে বলছেন না, উনি কোলকাতার বইমেলার উদ্বোধন করতে গিয়ে বললেন রবীন্দ্র নাথ ঠাকুর নোবেল আনতে গিয়ে কীটস ও সেস্কপিয়রের সাথে দেখা করলেন। প্রথম জন মানে কীটস মারা গেছেন ১৮২১ সালে, আর সেক্সপিয়রের মৃত্যু হয় ১৬১৬ সালে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নোবেল প্রাইজ আনতে গিয়ে গিয়ে ছিলেন। ১৯১৩ সালে । জানি না দেশীয় ও বিদেশি বিভিন্ন নিউজ চ্যানেল এবং সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ভদ্র জন ঐ ভাষণ শুনলেন। কেউ কিছু বললেন না। তবে কী উনি বলেছিলেন যে তিনি ওনাদের লেখা নিয়ে আলোচনা করেন। কিন্তু চ্যানেল গুলো এবং খবরের কাগজ পত্র যা সংবাদ সেখানে লেখা হলো। উনি বলেছিলেন ঐ দুজন লেখকের সাথে দেখা করে ছিলেন। আবার উনি কোলকাতা বিধানসভার ৭৫ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে বলছিলেন রাজা রামমোহন রায় এই বিধানসভায় ঐতিহাসিক সতী দাহ রধ বিল পাশ করে ছিলেন। সেখানেও অনেক ভদ্র শিক্ষিত মানুষ উপস্থিত ছিলেন। আবার আরেক অনুষ্ঠানে উপস্থিত শিক্ষিত ভদ্রলোক দের সামনে বলছেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯৪৭ সালে নোয়াখালীতে সরবত বা ফলের রস খাইয়ে, গান্ধীর অনশন ভঙ্গ করে ছিলেন। অথচ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মৃত্যু হয় ১৯৪২ সালে। আরেক টি অনুষ্ঠানে বলছেন উনি ওনার কলেজে যখন পড়তেন তখন ছবি বিশ্বাসের মৃতদেহে মালা দিয়ে ছিলেন। ছবি বিশ্বাস গাড়ি দূর্ঘটনায় মারা যান ১৯৬২ সালে । আমি যত দূর জানি এবং আমি আমাদের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর লেখা ও তার সম্পর্কে লেখা পড়ে তথ্য থেকে জানতে পারি। উনি কলেজে পড়তেন ১৯৭৮ সালে । তাহলে ২৬ বছর আগে ঘটে যাওয়া ঘটনা ঘটে ছিল। উনি এই দিন কয়েক আগে একটা অনুষ্ঠানে বা সভায় উপস্থিত হন এবং বলেছেন যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নোয়াখালীতে গান্ধীর অনশন ভঙ্গ করিয়ে ছিলেন। এই সব বা অনুষ্ঠানে কোনো জ্ঞানী ভদ্র শিক্ষিত মানুষ বসে ছিলেন না। নাকি ঐ সব শুনে তারা খুশি হন। বাঙালি জাতি অপমানিত হলে ঐ সভায় উপস্থিত ভদ্র জনের ভালো লাগে। স্বাধীনতার আগে থেকে আজ পর্যন্ত কংগ্রেসের তা বড়ো নেতা প্রকাশ্যে বা আড়ালে বাঙালি হিন্দু দের দেখতে পারেন না। তা যদি না হতো তাহলে আমাদের তথা ভারতের বীর স্বাধীনতা যুদ্ধের সেনা সুভাষচন্দ্র বোস সম্পর্কে ভুল তথ্য দিতেন না। তাঁকে সম্মান দিয়ে দেশে ফিরিয়ে আনতে পারতেন। কিন্তু তা তারা করেননি, উল্টে বাংলা ভাগ করে দিয়েছেন, এবং বাঙালি মরছে তাতে মায়াকান্না কেঁদেছেন । সবটাই লোক দেখানো ।সেই জন্যই এই সব সভায় মাননীয়া যা বলেছেন। অনেকেই পিছনে বাঙালি জাতির নোংরা সমালোচনা করেছেন। ভুল বলছেন মনে মনে আনন্দ পাচ্ছেন। না হলে ঐ সভা বা অনুষ্ঠানে উপস্থিত শিক্ষিত ভদ্র জনের সাহস নেই, ওনার ভু সংশোধন করে দেবার। ঐ সব ভদ্র মহাজন দের দেখে, আমার কবি নীরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তীর উলঙ্গ রাজা কবিতার একটা লাইন মনে পড়ে যাচ্ছে। রাজা যখন উলঙ্গ হয়ে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন তখন অনেক লোক দেখছিল কিন্তু কারো সাহস হয়নি রাজাকে বলার, তখন এক সাহসী বালক রাজা কে বলল " রাজা তোর পোশাক কোথায়?"
Thursday, 11 October 2018
পশ্চিমবঙ্গের চুল্লু বা মদের খুচরো ব্যবসা।
সনণ্মানীয় মুখ্যমন্ত্রীর কিছু কথা এবং বাংলার উন্নয়নে কিছু কাজ। আমরা পশ্চিমবঙ্গের অধিবাসীরা দেখছি পশ্চিম বাংলার গ্রামের অলি গলি রাস্তা ঢালাই হচ্ছে । সে ছ ফুট চওড়া করার কথা চার ফুট চওড়া হচ্ছে। ছয় ইঞ্চি দশ ইঞ্চি মোটা হয় তো ঢালাই হওয়ার কথা হচ্ছে পাঁচ ইঞ্চি ।দিদির ছোট ছোট ভাই আর ভাইপোরা কিছু টাকা তাদের চাই না, নাহলে কিসের উন্নয়ন। সেই জন্যই বাম আমলে তৈরি ঢালাই রাস্তা এখনও পাথর উঠে যায়নি আর এই আমলে তৈরি রাস্তা পাথর উঠে ভেঙে চলে যাচ্ছে। যাহোক উনি বলেছিলেন সোনার বাংলা গড়ে দেবেন। উপরের ছবি দেখে কি মনে হয়, সোনার বাংলা হবে। আরেক বার উনি বলেছিলেন বেশি করে সিগারেট খান সারদার টাকা ফেরত দিতে হবে। কী মনে হয় টাকা চুরি করল ওনার ভাই আর ভাইপোরা আর তিনি বললেন সিগারেট খান ট্যাক্স দিন। যারা আমার এই ব্লগ দেখন বা পড়েন তারা বলুন এবার কি জেলায় জেলায় মদের দোকান খুলে উন্নয়ন হবে। মানে পশ্চিমবঙ্গ বাসী তোমরা মদ খাও আমায় ট্যাক্স দাও ।যদিও এখন অনেক গ্রামের শিল্প হচ্ছে চুল্লু তৈরি। উনি এভাবে সোনার বাংলা করবেন মদ খাও বাড়িতে ঢুকে অত্যাচার করো, কিম্বা এখন একটা রেওয়াজ হয়েছে ভোট মিটল শাসক দল তৃণমূল জয় লাভ করে শুরু হয় মদ মাংসের ফোয়ারা যে যত পার খাও। খেয়ে বাড়িতে গিয়ে মা বউ বোন দের পেটাও তাদের উপর অত্যাচার কর। ছেলে মেয়ে না খেতে পেয়ে মরুক তুমি মদ খাও। ভোটের পর ঐ মদ মাংস উৎসবে ওরা বিনা পয়সায় মদ যোগাবে। আমাকে ক্লাব গুলো কে টাকা দিতে হবে না। কেউ সমালোচনা করবে না। বাংলার মা বোন দের বলছি "গোলাবী গ্যাং" সিনেমা দেখেছেন। ঐ ঘটনা কিন্তু বাস্তবে আছে উত্তর প্রদেশের না বিহারে কোনো এলাকায়। আপনারাও তৈরি হন লাঠি সোঁটা নিয়ে ওরা গোলাপ শাড়ি পরে করছে। আপনারা যে যার মতো করে একটা দল করুন আর আমদের এই মুখ্যমন্ত্রীর প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দিন, না হলে দেখবেন কোন দিন আপনার বাড়ির লোক মদ খেয়ে এসে অত্যাচার করছে। কিম্বা সংসার চালাতে পারছেন না সব টাকা মদে খরচ করে আসছে। কোথায় চুল্লু বা মদ বন্ধ করবেন বলে ক্ষমতায় এলেন, কারণ তখন বিষ মদ খেয়ে অনেকে মারা গিয়ে ছিল। মাননীয়া অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসে ছিলেন তার কোনো টাই রাখেনি। যেমন দার্জিলিং হবে সুইজারল্যাণ্ড, কোলকাতা হবে লন্ডন। প্রতি বেকার এর চাকরি, রেলের পক্ষ থেকে ছত্রিশ টা সুপার স্পেশাল হসপিটাল শ্রীরামপুর পর্যন্ত মেট্রো সিঙ্গুর থেকে নন্দী গ্রাম পর্যন্ত ট্রেন। আরো শত সহস্র প্রায় দশ বছর হতে চলল দিদি কেন্দ্রীয় সরকারের ঘোষণার সাথে সাথে রাজ্য কর্মী দের ডি এ। বামফ্রন্ট সরকার যা দেনা করে দেখিয়ে গেছে আপনি বার বার বলেন। ওটা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে বাধ্যতামূলক দেনা। আর আপনি এই ক বছরের মধ্যে বাজার থেকে কত টাকা ঋণ করে ছেন। একবার অন্তত সত্যি কথা বলুন । আর বেশি কিছু কিছু লিখেছি না। সকলে ভালো থাকুন, এই পূজো সকলের ভালো কাটুক ।
বিহার বাসিন্দা বা বিহারী শুধু গুজরাত নয় গোটা ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে সমস্যা তৈরি করে। তবুও তারা ভারত বাসী।
ছবি টি একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল থেকে নেওয়া। ছবি টি ব্যবহার করা হয়েছিল গুজরাত থেকে বিহার রাজ্যের বাসিন্দারা বিহারে ফিরে আসছে। কারণ কোনো এক বিহারের বাসিন্দা গুজরাতে একটি নাবালিকা কে ধর্ষণ করেছে। সেই জন্যই তারা ভয়ে গুজরাত ছেড়ে চলে আসছে। মাঝে মাঝে আসামে হয়, কারণ খবরের কাগজ গুলো এবং নিউজ চ্যানেল গুলো খবর দেখায়। আসাম থেকে কখনো বিহারের তথা হিন্দি ভাষি তারাও। আবার এই কিছু দিন আগে বাংলাদেশি তারানোর নাম করে বাঙালি তারাও অভিযান শুরু করেছে। মাঝে মাঝে মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন জায়গায় আওয়াজ ওঠে হিন্দি ভাষি তারাও, আর বাংলা দেশি তারাও। তবে এটাও ঠিক এই বিহার উত্তর প্রদেশের মানুষ বেশি ভাগের সঠিক ভাবে শিক্ষিত নয় । আমরা দেখেছি বিহার বোর্ডের পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপক বিভিন্ন প্রশ্নের ভুল উত্তর দিতে। আবার এদের প্রাপ্ত নম্বরের শতাংশ অন্য রাজ্যের চেয়ে বেশি । এরা বেশিরভাগ হিন্দি ভাষী আর সর্বভারতীয় চাকরির পরীক্ষা গুলো হিন্দি তে দেওয়া যায়। আর অন্য রাজ্যের বাসিন্দারা পরীক্ষা দিতে পারে ইংরেজি ভাষায়, তবে এসব ক্ষেত্রে দেখা যায় প্রশ্নের উত্তর পরীক্ষা দেওয়ার আগে তারা জেনে যায়। যত রকমের নকল আছে এরা করতে ওস্তাদ। জাল সার্টিফিকেট জাল ( নকল) বিশ্ব বিদ্যালয়ে ভর্তি এই বলয়ে। আবার ঐ দুই রাজ্যেই রয়েছে জাতপাতের রাজনীতি, মূল সমাজ ব্যবস্থায় যাদের অংশ গ্রহণ করতে পারে না। অত্যাচারের স্বীকার এই দলিত জন গোষ্ঠী, এরা জণ্ম নিয়ন্ত্রণ করে না পিলপিল করে ছারপোকার মতো বংশ বিস্তার করে। এদের নিজে দের অর্থাৎ দলিত দের একটি রাজনৈতিক দল আছে। বেশিরভাগ দলিত জনজাতি এরকম এরাজ্য ও রাজ্য করে বেড়ায়। এই দলিত গোষ্ঠীর নির্দিষ্ট বা নিজস্ব কোন চাষের জমি জায়গা নেই। তবে যেটা বিভিন্ন রাজ্যে ঘটে চলছে তা মেনে নেওয়া যায় না । আসাম অসমীয়া দের জন্য, বিহার বিহারী দের জন্য, মহারাষ্ট্র মারাঠি দের জন্য, বাংলা বাঙালি দের জন্য ।কাশ্মীর কাশ্মীরি দের জন্য। তাহলে সে দিন আর বেশি দূরে নেই, আবার ভারত বর্ষ ভাগ হয়ে যাবে জাত পাত দিয়ে। জাত মানুষের সৃষ্টি এই কথাটা সকল কে বুঝতে হবে। না হলে বিবেকানন্দের সেই মহান বানী চণ্ডাল মুচি মেথর মূর্খ ভারত বাসি আমার ভাই আমার রক্ত। বিহারী গুজরাতি অসমিয়া বাঙালি মারাঠি ওড়িয়া তামিল সকলে ভারত বাসি। we are Indian. We can doen each and every things.
Wednesday, 10 October 2018
একটি বাচ্ছা ছেলে কে বাঁচাতে মানবিক আবেদন।
উপরের বাচ্ছার ছবি সহ যে রিপোর্ট টি দিয়েছি। বাচ্ছা টির নাম সৌনক বাগ হুগলি জেলার সিঙ্গুর থানার অন্তর্গত নন্দন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণীর ছাত্র। বাচ্ছা টি জণ্ম গত থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত। এখন বাচ্ছা টির রক্ত দেওয়া ব্যবধান কমে একুশ দিন হয়েছে। বাচ্ছাটির বনম্যারো পাল্টেলে ও বাঁচবে। তার জন্যে প্রচুর টাকা খরচ এবং ওর সাথে মেলে এরকম বনম্যারো প্রয়োজন ।যা পরিবারের পক্ষে যোগার করা সম্ভব হচ্ছে না। যদি কোন সহৃদয় ব্যক্তি বা সংস্থা। বাচ্ছা টির বাঁচার ব্যবস্থা করে দিতে পারেন তবে আমি এবং ওর পরিবার ও বিদ্যালয়ের সকলে চিরকৃতজ্ঞ থাকব। বেশি কিছু লিখেছি না যোগাযোগ করুন বিদ্যালয়ের ঠিকানায়। নন্দন প্রাথমিক বিদ্যালয় সিঙ্গুর হুগলি পশ্চিমবঙ্গ। পিন ৭১২৪০৯। আরেক টি আবেদন যারা আমার এই সাইট দেখেন, তারা এই আবেদন টি বেশি বেশি শেয়ার করুন। প্রয়োজনে এই ফোন নম্বরে ফোন করুন 7980951395
পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ কাকে ভয় করে?
এই পুলিশ কে ভয় দেখাবে? কার এমন বুকের পাটা। এই পুলিশ ( কোলকাতার ও পশ্চিমবঙ্গ) এদের নাকি ভয় দেখাবে বা ভয় দেখাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারের সংস্থা। এদের যারা ভয় দেখানো এবং সেই ভয়ে এরা জুজু হয়ে থাকে। তার কয়েক টা পরিসংখ্যান দিই ।লিখছি না আনন্দ বাজার পত্রিকায় বেড়িয়ে ছিল ।ছবি সহ দিচ্ছি,
এখানে দেওয়া ছবি সাথে লেখা গুলো একটু কষ্ট করে পড়ে নেবেন । এই পুলিশ ভয় পায় নেতা মন্ত্রী দের তাদের কথায় উঠে এবং বসে, কোনো নেতা মন্ত্রী যদি বলেন ওকে মিথ্যে কেস দিতে হবে। সঙ্গে সঙ্গে এক পায়ে খাঁড়া সে গাঁজার কেস হোক আর ডাকাতি কিম্বা শ্লীলতাহানি। দেহ ব্যবসা, খুন, চুরি, ছিনতাই নেতারা যাকে যেটা বলবে সেই কেস দেওয়া হবে। কেসের মালা পরিয়ে দেওয়া হবে, এটা এক নেতার ভাষণ। আর উপরে যে ছবি টি দেখছেন সেটা একটা নিউজ পোর্টাল থেকে নেওয়া, দাবি মতো দুর্গা পূজার চাঁদা দেয় নি বলে। দেহ ব্যবসার করেন এই কেস দেওয়া হয়েছে। সাধারণ মানুষ যদি মুরগি চুরি করে তবে তাকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। আর ভাবুন কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেও দিব্যি জেলের বাইরে থাকা যায় ।কেউ কাউকে কিছু বলবে না, ভোট এলে একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তোলে টিভি চ্যানেল খবর দেখায়। কিন্তু কিছুই হয় না, যেই ভোট মিটে গেল আর সব মিটে যায়। জনগণের টাকা হরিরলুট দেওয়া হয়েছে। সাধারণ মানুষ ঘটি বাটি বেচে জমি বেচে তিন বছর পর ডবল টাকা পাবে বলে, টাকা রেখেছিল ও গেছে যাক। পুলিশ তখন চুপ, কোন কিছুই নেই তদন্তের নামে প্রহসন। কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্ত সে যে কবে শেষ হবে আদৌ শেষ হবে!! রবীন্দ্র নাথের নোবেল প্রাইজ চুরির তদন্ত সে তো জনসাধারণ জানতেই পারল না। ঐ চুরি কে করেছে টিভিতে দেখায় নি, কিন্তু অন্য চুরি! পুলিশ কাকে ভয় পায় দেখেছেন, আমাদের রাজ্যের মাননীয়া একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে বলছেন । ভুঁই ফোড় গুণ্ডাদের দল ভয় দেখাচ্ছেন।
এখানে দেওয়া ছবি সাথে লেখা গুলো একটু কষ্ট করে পড়ে নেবেন । এই পুলিশ ভয় পায় নেতা মন্ত্রী দের তাদের কথায় উঠে এবং বসে, কোনো নেতা মন্ত্রী যদি বলেন ওকে মিথ্যে কেস দিতে হবে। সঙ্গে সঙ্গে এক পায়ে খাঁড়া সে গাঁজার কেস হোক আর ডাকাতি কিম্বা শ্লীলতাহানি। দেহ ব্যবসা, খুন, চুরি, ছিনতাই নেতারা যাকে যেটা বলবে সেই কেস দেওয়া হবে। কেসের মালা পরিয়ে দেওয়া হবে, এটা এক নেতার ভাষণ। আর উপরে যে ছবি টি দেখছেন সেটা একটা নিউজ পোর্টাল থেকে নেওয়া, দাবি মতো দুর্গা পূজার চাঁদা দেয় নি বলে। দেহ ব্যবসার করেন এই কেস দেওয়া হয়েছে। সাধারণ মানুষ যদি মুরগি চুরি করে তবে তাকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। আর ভাবুন কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেও দিব্যি জেলের বাইরে থাকা যায় ।কেউ কাউকে কিছু বলবে না, ভোট এলে একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তোলে টিভি চ্যানেল খবর দেখায়। কিন্তু কিছুই হয় না, যেই ভোট মিটে গেল আর সব মিটে যায়। জনগণের টাকা হরিরলুট দেওয়া হয়েছে। সাধারণ মানুষ ঘটি বাটি বেচে জমি বেচে তিন বছর পর ডবল টাকা পাবে বলে, টাকা রেখেছিল ও গেছে যাক। পুলিশ তখন চুপ, কোন কিছুই নেই তদন্তের নামে প্রহসন। কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্ত সে যে কবে শেষ হবে আদৌ শেষ হবে!! রবীন্দ্র নাথের নোবেল প্রাইজ চুরির তদন্ত সে তো জনসাধারণ জানতেই পারল না। ঐ চুরি কে করেছে টিভিতে দেখায় নি, কিন্তু অন্য চুরি! পুলিশ কাকে ভয় পায় দেখেছেন, আমাদের রাজ্যের মাননীয়া একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে বলছেন । ভুঁই ফোড় গুণ্ডাদের দল ভয় দেখাচ্ছেন।
Monday, 8 October 2018
কেন এতো অসহিষ্ণুতা? কীসের এতো হানা হানি!
কেন এতো অসহিষ্ণুতা? কীসের এতো হানা হানি! বাঙালির একান্নবর্তী পরিবার ভেঙে ক্রমশ নিউক্লিয়ার পরিবার তৈরি হয়েছে। এটা যদি কারণ হয়, তবে কী একান্নবর্তী পরিবার ভালো ছিলো। ঠাকুর মা ঠাকুর দা কাকা কাকা কাকিমা জেঠি মা জেঠা মশাই। মাঝে মাঝে পিসি পিসি মশায় আসত। আর মামা বাড়িতে দাদা মশাই দিদি মা মামা মামি মাসি মেসো। এই সম্পর্ক গুলো এখন হারিয়ে গেছে। আরো অনেক সম্পর্ক ছিল যা হারিয়ে গেছে। বেশ কিছু সম্পর্ক তো বই এর পড়ে জানতে পারে যে এরকম সম্পর্ক হতে পারে। এর জন্যে দায়ী আর্থ সামাজিক পরিস্থিতি, আমরা দুই আমাদের এক এখনও বিজ্ঞাপন দিয়ে যাচ্ছে। এটা বেশি ঘটেছে বাঙালি হিন্দু জাতির মধ্যে। আরেক টি জিনিস লক্ষ্য করা যাচ্ছে হিন্দু ধর্মের মধ্যে যে জাত পাত প্রায় উঠে যেতে বসেছে। কারণ ঐ একই আমারা দুই আমাদের এক। এই করতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে ব্রাহ্মণের মেয়ে আছে ছেলের সংখ্যা কম, আবার বৈশ্য (মাহিষ্য কৈবর্ত্য) দের ছেলে বেশি মেয়ে কম। ক্ষত্রিয় দের মধ্যে ছেলে বেশি মেয়ে সংখ্যা কম। আবার শুদ্র দের মধ্যে মেয়ের সংখ্যা অনেক কম। ছেলেরা সংখ্যায় বেশি। এসব কারণে বাঙালি হিন্দু জাতি আজ অন্য রকম হয়ে গেছে।

বাঙালি হিন্দু জাতির জণ্ম নিয়ন্ত্রণ সর্ব জন বিধিত। অন্য ভাষার যারা তারা অত জণ্ম নিয়ন্ত্রণ করে না। তারা পিল করে বারছে। আর তাদের মধ্যে বেশি অসহিষ্ণুতা। একই ধর্মের মধ্যে যদি দলিত ও বর্ণ হিন্দুর সম্পর্ক হয়। তাহলে কুল রক্ষা বা ধর্ম রক্ষার নামে অত্যাচার চলে। আর অন্য ধর্মের হলে কথা নেই, তারা কাফের কে কিছুতেই মেনে নিতে চান না। যেমন উপরের ছবিটি তে মেয়ে টির উপর অত্যাচার চালানো হয়েছে। এ খবর টি নিউজ পোর্টালে বেড়িয়ে ছিল। এরা ধর্ম ছাড়া নিজেদের ভাবতে পারেন না। সুযোগ পেলেই ধর্মের নামে অত্যাচার করে কারণ এদের কাছে মানুষের থেকে ধর্ম বড়ো। ছারপোকার মতো বংশ বিস্তার করে আর আধুনিক শিক্ষা নেই। নিজের ধর্ম কেও ভালো বোঝে না। সব ধর্মের মূল বার্তা যদি, শান্তি হয় তবে এতো অশান্তি কেন?
Subscribe to:
Posts (Atom)