কেন এতো অসহিষ্ণুতা? কীসের এতো হানা হানি! বাঙালির একান্নবর্তী পরিবার ভেঙে ক্রমশ নিউক্লিয়ার পরিবার তৈরি হয়েছে। এটা যদি কারণ হয়, তবে কী একান্নবর্তী পরিবার ভালো ছিলো। ঠাকুর মা ঠাকুর দা কাকা কাকা কাকিমা জেঠি মা জেঠা মশাই। মাঝে মাঝে পিসি পিসি মশায় আসত। আর মামা বাড়িতে দাদা মশাই দিদি মা মামা মামি মাসি মেসো। এই সম্পর্ক গুলো এখন হারিয়ে গেছে। আরো অনেক সম্পর্ক ছিল যা হারিয়ে গেছে। বেশ কিছু সম্পর্ক তো বই এর পড়ে জানতে পারে যে এরকম সম্পর্ক হতে পারে। এর জন্যে দায়ী আর্থ সামাজিক পরিস্থিতি, আমরা দুই আমাদের এক এখনও বিজ্ঞাপন দিয়ে যাচ্ছে। এটা বেশি ঘটেছে বাঙালি হিন্দু জাতির মধ্যে। আরেক টি জিনিস লক্ষ্য করা যাচ্ছে হিন্দু ধর্মের মধ্যে যে জাত পাত প্রায় উঠে যেতে বসেছে। কারণ ঐ একই আমারা দুই আমাদের এক। এই করতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে ব্রাহ্মণের মেয়ে আছে ছেলের সংখ্যা কম, আবার বৈশ্য (মাহিষ্য কৈবর্ত্য) দের ছেলে বেশি মেয়ে কম। ক্ষত্রিয় দের মধ্যে ছেলে বেশি মেয়ে সংখ্যা কম। আবার শুদ্র দের মধ্যে মেয়ের সংখ্যা অনেক কম। ছেলেরা সংখ্যায় বেশি। এসব কারণে বাঙালি হিন্দু জাতি আজ অন্য রকম হয়ে গেছে।

বাঙালি হিন্দু জাতির জণ্ম নিয়ন্ত্রণ সর্ব জন বিধিত। অন্য ভাষার যারা তারা অত জণ্ম নিয়ন্ত্রণ করে না। তারা পিল করে বারছে। আর তাদের মধ্যে বেশি অসহিষ্ণুতা। একই ধর্মের মধ্যে যদি দলিত ও বর্ণ হিন্দুর সম্পর্ক হয়। তাহলে কুল রক্ষা বা ধর্ম রক্ষার নামে অত্যাচার চলে। আর অন্য ধর্মের হলে কথা নেই, তারা কাফের কে কিছুতেই মেনে নিতে চান না। যেমন উপরের ছবিটি তে মেয়ে টির উপর অত্যাচার চালানো হয়েছে। এ খবর টি নিউজ পোর্টালে বেড়িয়ে ছিল। এরা ধর্ম ছাড়া নিজেদের ভাবতে পারেন না। সুযোগ পেলেই ধর্মের নামে অত্যাচার করে কারণ এদের কাছে মানুষের থেকে ধর্ম বড়ো। ছারপোকার মতো বংশ বিস্তার করে আর আধুনিক শিক্ষা নেই। নিজের ধর্ম কেও ভালো বোঝে না। সব ধর্মের মূল বার্তা যদি, শান্তি হয় তবে এতো অশান্তি কেন?
No comments:
Post a Comment