Sunday, 14 October 2018

বামেদের শেষ তৃণমূলের শুরু।

বাম শাসন যেখানে শেষ হয়ে ছিল, তৃণমূল শাসন সেখান থেকে শুরু হয়েছে।বাম শাসনের শেষ দশ বছর যে ভাবে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় নানা ঘটনা ঘটেছিল।
এখনো সেই ভাবে চলছে, তবুও বাম আমলে সরকারের চেষ্টা ছিলো আধুনিক শিল্প কারখানা করার। সেই কারণেই তারা বিভিন্ন শিল্পপতি দের এরাজ্যে আহ্বান করছিলেন। শিল্প পতি দের কেন্দ্রীয় সরকারের এস ই জেড অর্থাৎ বিশেষ সুযোগ সুবিধা দিয়ে আধুনিক কর্মসংস্থান মুখী শিল্প গড়ে তোলার । সেই সুযোগ নিয়ে এখানে তথ্য প্রযুক্তি শিল্প উইপ্র ইনফোসিস টাটা ন্যানো গাড়ির কারখানা আর হলদিয়ার নয়াচড়ে কেমিক্যাল হাব ইত্যাদি কর্মসংস্থান মুখী শিল্প গড়ে উঠতো। সরকারি বেসরকারি সংস্থা থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করা ছেলে মেয়েদের বাইরের রাজ্যে যেতে হতো না। আবার সরকারী নিয়োগ অনেক সহজ সরল করা হয়েছিল । প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগের জন্য বিনামূল্য ফর্ম বিলি করা হয় সেই সময়। নিয়োগ করা হয় হয়েছে ১৯৯৭ থেকে ২০১১ পর্যন্ত। আর এখন ঐ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চাকরির ফর্ম বিক্রি করে সরকার একশো টাকা নিয়ে। আবার একজন নেতা যাকে ঐ কাজ দেখাশোনা করতে নিয়োগ করা হয়েছিল। তিনি ঐ টাকা দিয়ে একটা দামি মোবাইল কিনে ফেলেছিলেন। শুধু তাই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঐ চাকরির জন্য চলে লক্ষ লক্ষ টাকার ঘুষ। নেতা মন্ত্রী আমলা টাকার কুমির হয়ে গেল, এখন দেখছি বদলি হতেও টাকা দিতে হয়। ভালো জিনিস কিছু লোকের ভালো লাগছিল না। তারা বেশিরভাগ ছিল সিঙ্গুর থেকে টাটা ন্যানো গাড়ির কারখানা তাড়াতে ।জঙ্গল মহল থেকে প্রতিদিন খবর হতো মানুষের মৃত্যুর। সে পুলিশ অফিসার থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের। এসব করার জন্য টাকা যোগাত খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। কীভাবে বলছি ঐ যে সারদা রোজভ্যালীর মতো সংস্থা যারা তিনি বছরে ডবল করে দেবেন বলে টাকা তুলতো। ২০০৬ থেকে ২০১১ পর্যন্ত পুরো অরাজকতা চলছিলো। কখনও ছাএ পিটিয়ে খুন কখনো পুলিশ অফিসার খুন। আবার পুলিশ অফিসার খুন করে তার দেহ নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া। সি পি আই এম কর্মী কে খুন করে তার দেহ সৎকার করতে না দেওয়া। আর দার্জিলিং কোচবিহার সর্বত্র অরাজকতা তৈরি করা হয়েছিল । আর কোনো কিছু হলেই বনধ ছিল নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা। সিঙ্গুরে উনচল্লিশ বার বনধ হয়েছে। এসব খুন খারাপি অরাজকতা তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য কে খুনের চেষ্টা যেখান সেখানে বোমা বাজি। সেই সব মহান মহাপুরুষ দের একটা বড়ো অংশ আজ নেতা মন্ত্রী। এই সব অমানুষ গুলো এখনো তাদের পুরনো অভ্যাস ছাড়তে পারে নি। এখন আবার পোয়াবার কারণ পুলিশ ধরবে না  জেল হাজতে যেতে হবে না । ভবানী পুর থানা থেকে ছাড়িয়ে আনা দিয়ে অরাজকতা শুরু করেছে। অপরাধীরা বুঝে গেলেন অপরাধ করেও শাস্তি হবে না। আবার রায় গঞ্জ কলেজে কলেজে অধ্যক্ষ নিগ্রহ যেখানে ৪৫ থেকে ৫৫ বছরের বুড়ো বাচ্ছা ছেলে হয়েছিল। তখন যারা এসব করত তাদের বলা হতো, সিপিএমের হার্মাদ আর এখন কী বলবেন? 


No comments:

Post a Comment