Friday, 26 October 2018

প্রতি বর্গ মিটারে নেতা।

অনেকে ভাববেন হেডিং হচ্ছে প্রতি বর্গ মিটারে নেতা ।আর ছবি বা ভিডিও হলো বাড়িতে ঢোকার রাস্তার। এই ভিডিও টি ভালো করে দেখলে দেখতে পাবেন নারকেল গাছে ইলেকট্রিক তার লাগানো কারণ ইলেকট্রিক পোস্ট পুঁতে তে দেয় নি এবং আমার বাড়ির পরে আরও দুটো বাড়ি আছে তাদের বাড়িতে কোন ভাবে ইলেকট্রিক যেতে দেয়নি। এবং মাঝে মাঝে এই বেড়বার রাস্তায় কাঁটা দেওয়া রাস্তা কুপিয়ে দেওয়া কলের জল বার করা বহু কিছু করে এই সব ভাল মানুষের দল। বাম আমলে এদের পরিচালনা করত পাড়ার দাদা সতীশ দা অনেকে তাকে ভগবান বলত। এখন তিনি বসে গেছেন। চাকরি থেকে অবসর নিয়েছেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন, আশি সালে বামফ্রন্টের দয়ায় চাকরি করতেন। কিছু টি পড়াতে পারতেন না। জে বি টি পড়তে গিয়ে পরীক্ষা দিয়ে পাশ করতে পারে নি। এরকম একজন লোক পাড়ার ভগবান। এই ভগবানের একটা ভালো গুন ছিল যে বাড়িতে অবিবাহিত মেয়ে থাকতো তাদেরকে মাথায় করে রাখত সুযোগে সুবিধা সব তাদের হাতে তুলে দিত। দলের সব কাজ করলেও সে সুযোগ পেত না। ভগবান যাকে ঠিক করত সে সব করবে কারণ এর উপরের যারা তারা ভগবানের কথায় সব করত। কেবল যে ভগবান আড্ডা দিত তা না। সঙ্গে থাকতো তার কাছের কিছু চেলা। এই রকম একটি বাড়ির ছেলে ( বিকাশ) কে একবার দুর্গা পুজো চাঁদা তুলতে এসেছে তার চাঁদা তোলার ধরন হচ্ছে মনে করুন আমার বাড়ির গত বছর চাঁদা ছিল ১৫০টাকা আমি হয়তো ১০০টাকা দিয়েছি। এবার নতুন বছর চাঁদা নিতে এসে বলল দেখ এবছর ১৫০ টাকা আছে আর গত বছরের বাকী ৫০ টাকা মোট ২০০ টাকা দিতে হবে। যেন মনে হল আমি ওর কাছে ঋণ করে খেয়ে রেখেছি সেই টাকা দয়া করে একবছর পর চাইছে। ঠিক যেন মহাজন পাওনা টাকা আদায় করতে বেড়িয়েছে।  প্রতিবাদ  করলাম টাকা খরচের হিসেব আছে তোরা তো লক্ষ্মী পূজোর পর ফিষ্টি করিস আমি জানি। চড়ূইভাতি বললে না বুঝতে পারে সেই জন্যই   ফিষ্টি বললাম।যতটা সম্ভব
১৯৯৯ সালের আগের ঘটনা। তারপর পাড়ার দাদা এলেন লোক জন নিয়ে আগে বল তুই কেন বলেছিস, যে আমরা চাঁদা তুলে স্ফুর্তি করে খাই। আমি যত বলছি ওটা আমি বলিনি তত সাগরেদ সহ সবাই মিলে চিৎকার করে বলতে শুরু করল হ্যাঁ তুই এটা বলেছিস। আমি বলেছি লক্ষ্মী পূজো শেষে তোরা ফিষ্টি করিস। কিছুতেই শোনে না, একটু তোতলা ছিল তুতলে বলল তুই জানিস একটা কাপড়ের দাম কতো? বিভিন্ন রকম কথা কয়েক জন বলল ওসব ওকে নিয়ে আয় পিটব  কেউ কেউ বাঁশ তুলে ফেলল আমাকে মারবে। এবার আরম্ভ হলো দাদা আমার কী কী উপকার করেছে এবং আমার কিছু বলার থাকতে পারে না। যা চাঁদা চাইবে তাই দেওয়া উচিত। আর কত কি ওরা গত বছরের বকেয়া চাঁদা চাইছে সেটাও দিয়ে দেওয়া উচিত।প্রায় আধ ঘন্টা ধরে হম্বি তম্বি করে বাড়ি থেকে গেল। বলবেন ওরা তো বামেদের লোক কম্যুনিস্ট তাহলে দুর্গা পুজো করে। আরে ঐ রকম কম্যুনিস্ট কমিউনিজমের অর্থ কী জানে না। কিছু দিন আগে একটা শ্লোগান শুনলাম "ইনক্লাব জিন্দাবাদ আমরা খাব তোরা সব বাদ" এরা সব পূজো করত কোন টা বাদ ছিল না। এদের পূজা মানে মদ খেয়ে হইহুলর করা। আর পাবলিকের কাছ থেকে চাঁদা তুলে আনন্দ করা। তারপর ১৯৯৯ সালে আমি বাড়িতে কল করে ছিলাম এবার ফাঁকা বাড়ি ঘিরে একটা রান্না ঘর করব ঠিক করলাম। পাশের বাড়ির ঐ সব থেকে ভালো ছেলে শুনলাম ইঁট ব্যবসা করে। তার থেকে ইঁট ও অন্য জিনিস নেওয়া হবে আমি এখন মানে শুরুতে কিছু টাকা দেব আর বাকী টাকা তিন বারে দেব। কথা হলো আমি টাকা সঙ্গে সঙ্গে দিলাম না, কারণ সে হ্যাঁ কি না কিছু বলেনি। বলল তোকে পড়ে বলব, ওর ব্যবহার হচ্ছে জমিদার শ্রেণীর মতো। বাবা কাকা মদ বা চুল্লু বিক্রি করে জমি জায়গা করেছে। সেই জমি জায়গা বিক্রি করে এখন। নবাব (তাপস মাজি) যখন ডেকেছে একবার দেখা করে আসি নবাব বলল আমি ঐ ভাবে পারব না। তোকে দু বারে টাকা দিতে হবে। আমি হবে না বলে চলে এলাম। এগল প্প্রথ দফা আমি অন্য জায়গা থেকে কিছু ইঁট কিনলাম।তারপর জায়গা মেপে প্রাচীর দিতে হবে নবাব সহ সকল আশপাশের জমির মালিক কে বললাম প্রথম নবাব বাধা দিল বলল আমি এই মাপ মানি না। আবার মাপা হবে আমি আমিন কিন্তু নবাব আনে না। তার আগে নবাব পাড়ার দাদা সহ অনেকে আমি যে আমিন এনে ছিলাম তার বাড়িতে গিয়ে তাকে আমরা যে কত খারাপ তার একটা বর্ণনা করে এসেছে। তার কাছে আমি গেলাম দ্বিতীয় বার আসার জন্য বলতে তিনি শুধু বলেন তুমি সতীশ দা সতীশ দা করো সে তো তোমাকে দেখতে পারে না। তুমি ওখানে না বাস করতে পার তার ব্যবস্থা করছে। শুনে চলে এলাম তিনি এলেন না, অন্য এক জন কে ঠিক করে দিলেন। বাড়িতে এসে ভগবানের প্রথম কথা হল তুই লিখে দে যে টুকু অন্যের জায়গায় পরবে তুই ভেঙে দিবি। নিজে বাড়ি করেছে সরকারি রাস্তা উপর দেড় ফুটো ছাড়ে নি। আর আমি বাউন্ডারি দেব আমার বেলায় বাধা। দেখলাম দ্বিতীয় আমিন কিসব বাঁকা সোজা করে বুঝিয়ে দিলেন। আমার গাঁথাটা মাটির লেবেল পর্যন্ত ছিল। খানিকটা বাইরে পড়তে ভাঙচুর শুরু হলো। সে গেল আমি বললাম আমি এমাপ মানি না এবার নবাব এক দখল নিতে এলো আমার বাড়ি খানিকটা। তুমুল ঝগড়া প্রতিবাদ হলো যাহোক এবার নবাব আমিন নিয়ে এলো সে যত টুকু দেখিয়ে ছিল তার থেকে কমল। মাপের আগে আমিন কে বলল আম গাছ টা আমার চাই। আমিন ( হেমন্ত দাস ) বলল পেয়ে যাবে। ঐ ঘুষখোর চিটিংবাজ হেমন্ত দাস কে দিয়ে পাড়ার ভগবান অনেকের জমি অন্য জনের দখল করে দিয়েছে। ও চার বার এলো শেষ বার। আমার আমিন ছিল রঞ্জিত দাস। মাপের শেষে আমাকে বলে গেলেন তোমার বিষয় বুদ্ধি নেই। যার সঙ্গে আমার জমি নিয়ে গণ্ডগোল সে সারাক্ষণ ফিতে ধরল। সব মাপের শেষে হেমন্ত দাস কে বললাম আমার বুঝিয়ে দিন। আমায় উত্তর দিলেন সূর্য দেব কে থাকতে বলুন। সত্যিই সেদিন যদি সূর্য দেব থেকে যেত কী হতো জানি না। তারপর আর কোনো আমিন ও হ্যাঁ এর মাঝে রমেন কোলে বলে এক জন কলকাতা পুলিশে চাকরি করত সে আমিন এনে আমার একটা ঘর অপরের জায়গায় সেটা দেখিয়ে দিলেন। এই রমেন কোলে কলকাতা পুলিশের কোথায় চাকরি করতেন জানি শুনে ওটা অপরের চাকরি। আমি ছিলাম না সেবার আমিন এসে গেল আমার ভিটের জমি টা ম্যাপের মধ্যে নেই। আমরা অন্যের জমি দখল করে নিয়েছি। ভগবান এর আগেও আমার বাড়ির দলিল দেখেছে তারপর ও বলছে তোর ভিটের দলিল পরচা দেখাবি। তার আগে একদিন বাঙাল তাড়ানো অত্যাচার করে গেছে। আর এক দিন সন্ধ্যায় আমার বাড়ির ঘটনা নিজেদের গায়ে নিয়ে আমায় মারধর করে গেল। থানায় গেলাম ভগবানের ভগবান ফোন করে দিয়ে ছিল। আমার কেস নিল এক উকিলের কাছে গেলাম সেখানে দেখি নবাব ও পাশের গ্রামের এক মাস্তান বসে আছে। ঐ খানে আমাকে হুমকি দেওয়া হলো এবার এমন মারব কলকাতার কোন হাসপাতালে ভর্তি নেবে না। উকিল ও দেখলাম ঐ ঘটনা নিয়ে খিস্তি দিল। আমি বোকামি করে ওর এক আত্মীয়র সামনে বলে ছিলাম ঐ উকিলের কাছে যাচ্ছি। আমি অসহায় ভিটে রক্ষা করতে পারিনি। আমাকে ভিটে ছাড়া করার জন্য দেখলাম আমার ভাই কে ব্যবহার করা হলো। ভাই ওদের সাথে মিশতে শুরু করে ওদের কথায় বাড়ির কোনো কাজ করত না। কোন সাহায্য না বললেই অশান্তি। এই ভাবে থাকতে থাকতে সত্যিই একদিন ভিটে ছেড়ে অন্য জায়গায় বাড়ি করে চলে এলাম। আমার বাবা ভিটে মাটি ছেড়ে বাংলাদেশের বরিশালের গৌরনদী থানার নলচিরা গ্রাম থেকে এপার বাংলায় এসেছিলেন ।আমি সিঙ্গুর থানার অন্তর্গত পল্তাগড় গ্রামের ভিটে ছেড়ে হরিপালের বাসিন্দা ।

No comments:

Post a Comment