Sunday, 28 October 2018

গ্রামের দিকে গ্যাস সিলিন্ডার পাওয়া সমস্যা।

ছবি টি ডেইলি হান্ট নিউজ ওয়েব সাইট থেকে নেওয়া ।
উজ্জ্বলা যোযনা হোক বা সুজ্জ্বলা গ্রামের মানুষের রান্না করা সেই কাঠ জ্বালা আর গুল কয়লা জ্বেলে ধোঁয়া খাওয়া খুব একটা বন্ধ হয়নি। কারণ কোথাও কোথাও গ্যাস পাওয়া দুষ্কর হয়ে দাঁড়ায়। একটা অজুহাত যেখান থেকে গ্যাস সেন্টার দূরে। গ্যাস নাকি বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার জন্য নয় গিয়ে নিয়ে আসতে হবে।
 আমার অভিজ্ঞতা লিখি, আমি ২০১৬ সালে বাসস্থান পরিবর্তনের জন্য পূর্বের বাসস্থানের গ্যাস সিলিন্ডার টা ভাই এর নামে করে দিয়ে আসি। ঐ কাজ টা কি তে গিয়ে আমাকে এমন পরিস্থিতি সম্মুখীন হতে হয়েছিল। প্রায় ছমাস আমার জুতোর শুকতলা খয় গিয়ে ছিল ।একবার বেগমপুরের গ্যাস অফিস থেকে বের করে দিয়ে ছিল। বলল যান আমি করব না। যাহোক ভাই এর নামে করে দিয়ে ২০১৭, আমি এবাড়িতে গ্যাস ডবল সিলিন্ডার ওভেন সমেত যে করে দিল তাকে দিলাম ১১ হাজার টাকা।যিনি গ্যাস কানেকশন করে দিলেন, তিনি টাকা তো নিলেন, কিন্তু রসিদ দিলেন ছয় হাজারের একটু বেশি টাকার। প্রশ্ন করা যাবে না, তাহলে কানেকশন হবে না। আমরা এলাকায় নতুন একবছর গ্যাস কানেকশন নেবার জন্য হন্যে হয়ে ঘুরে বেড়িয়ছি,  সমস্যা সমাধান করতে পারিনি। হরিপালের HP আছে সেখানে গেছি ইণ্ডেন এখানে কাছাকাছি নেই। আবার HP যে আছে সেও শুনলাম এখানে একটা দোকান আসল যিনি তিনি গজার মোরের ইণ্ডেন ও ওখানে আছে। গজার মোর হরিপাল স্টেশন থেকে অটোয় প্রায় আধ ঘণ্টা লাগে। এরকম করে হরিপালের বিভিন্ন এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডার পাওয়া যায়। আবার গ্যাস সিলিন্ডার বুক করতে যিনি গ্যাস কানেকশন করে দিলেন তাকে ফোন করে বুক করতে হবে। IVR এ করা যাবে না। তিনি তাঁর মর্জি মতো গ্যাস পৌঁছে দেবেন। দামও তাঁর মর্জি মতো। কোন রসিদ নেই একটা ব্লু বুক আছে সেটা দেওয়া নেই। বললেই হুমকি আপনি নিজে নিয়ে আসবেন। এই গ্যাস সিলিন্ডার বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার জন্য নয়।
ভর্তুকি কোনো সময় ঢোকে কোনো সময় ঢোকে না। যিনি গ্যাস দিয়ে যান তাঁরা বাড়ি মালিয়ায়। তাহলে বুঝে নিন হরিপালের মানুষ গ্যাস সিলিন্ডার পাওয়া নিয়ে কতো সুখে আছে। টাকা বেশি তো লাগে তাও সময় মতো পেলে হতো। তাই বলছি ঐ উজ্জ্বলা বা সুজ্জ্বলা যাই হোক মানুষ যদি নিজের থেকে পরিবর্তন না হলে যতই পরিবর্তন হোক, কিছু হবে না।






No comments:

Post a Comment