Tuesday, 30 October 2018

বেতন বৃদ্ধি নিয়ে শিক্ষকের আন্দোলন নিয়ে, পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা মন্ত্রী কথায় সত্তর দশকের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে।

ছবি টি ডেইলি হান্ট নিউজ ওয়েব সাইট থেকে নেওয়া ।উস্থি ইউনাইটেড নামে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক দের পি আর টি স্কেলে বেতন বৃদ্ধি নিয়ে দু দিনের অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি নিয়ে বর্তমান রাজ্য সরকারের শিক্ষা মন্ত্রী কলা শিক্ষা প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করতে গিয়ে যা বললেন, তাতে করে সত্তর দশকের শিক্ষক দের একটা আন্দোলনের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। আমার বাবার কাছে শুনেছি, তিনি এবং আরও অনেক শিক্ষক মিলে কলকাতায় অবস্থান বিক্ষোভ করছিলেন, দাবি ছিলো এক টাকা চিকিৎসা ভাতা দিতে হবে। আর বেতন বাড়ানোর জন্য সুব্যবস্থা নিতে হবে। আরো কয়েকটা দাবি ছিলো, অনেক দিন হলো বাবার কাছে শুনেছি, আমার বাবা একজন প্রাথমিক শিক্ষক ছিলেন। তিনি বলেছিলেন, উক্ত দাবি নিয়ে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি বা শেষ অবস্থান বিক্ষোভ করছেন, ঐ শীতের রাতে হঠাৎ হোস পাইপের জল দিয়ে ভিজিয়ে দেওয়া হয়ে ছিল। তখন কার শিক্ষা মন্ত্রী নাম টা ভুল হতে পারে। অজয় মুখার্জি এবং মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন প্রফুল্ল সেন। বলে ছিলেন আমাদের সাধ আছে সাধ্য নেই। আর বর্তমান শিক্ষা মন্ত্রী কলা কেন্দ্রের সভা থেকে একই কথাই বলছেন। কী বললেন, যে রাজ্যের আর্থিক অবস্থা খারাপ তাই তারা ঐ দাবি মানতে পারবে না। শিক্ষক দের প্রতি তারা সহানুভূতি শীল, তার সাথে আলোচনা করতে পারেন। ওসব দাবি নিয়ে আলোচনা আগে যোগ্যতা দেখান, একথা বলে উনি কী বোঝাতে চাইছেন। তবে শিক্ষা মন্ত্রীর কথার সাথে আমি একমত কারণ রাজ্যের আর্থিক অবস্থা সত্যিই খুব খারাপ। সেই জন্যই দুর্গা পুজো করতে আঠাশ কোটি, ক্লাব গুলো কে দু লক্ষ টাকা করে কয়েক বছর ধরে এক লক্ষ ক্লাব টাকা পেয়েছেন। আবার যার বাবা চার চাকা কিনে দিতে পারে তাকেও সাইকেল, এই সাইকেল দেওয়ায় সত্যিই দূরদর্শিতা আছে, সাইকেল সারাই এর দোকান গুলো যাতে সপ্তাহে একদিন করে সাইকেল সরিয়ে টাকা নিতে পারে তার ব্যবস্থা পাকা।কন্যাশ্রী সে তো কথাই নেই, সবাই পাবে লেখা পড়া করুক আর ছাই নাই করুক। বাবার মেয়ের বিয়ে তে খরচ করার ক্ষমতা আছে তাও সে পাবে।বয়সের কোনো বাধা নেই। আরেকটা বড়ো কারণ তোকে গ্রামের ছোট নেতা দের একটা ইনকামের রাস্তা করে দিতে হবে।
ছবি টি কোথা থেকে পেয়েছি তা ছবির উপর লেখা আছে । আমি এই ছবি দিচ্ছি এরা কন্যাশ্রী পেয়েছেন। এদের এ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকার পর কারা টাকা নিয়ে নিজের বলে নিয়েছেন। তাদের নামে একটি অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রী কাছে লেখা হয়েছে। সেই চিঠি টি ও এখানে দেব। ঘটনা টি ঝড়খালির। বন্ধু শিক্ষকের এবং কর্মীদের বেতন বাড়ানোর টাকা নেই। বলতে পারবেন না, অপচয় হচ্ছে, কারণ উত্তর মুখস্থ করে ফেলেছেন বেশ করেছে। কারণ ঐ টাকা জনগণের ট্যাক্সের টাকা নয়, ওগুলো আলাদা জায়গা থেকে নেওয়া বা তোলা ট্যাক্স আদায় হলে ডিএ পাবেন এবং পে কমিশন পাবেন। তাও পাবেন কিনা সন্দেহ বামফ্রন্ট সরকার যে দেনা করে গেছেন সেটা শোধ করে টাকা বাঁচলে তবে পাবেন। এবার ঐ চিঠি টি
এটিও কলকাতা 24*7অন লাইন নিউজ পোর্টালে বেড়িয়ে ছিল ।দক্ষিণ ২৪ পরগনার ঝড়খালির ঘটনা। একদম বেতন বাড়াতে বলবেন না, তাহলে বেতন  কনসোলিডেট  করে দেব বেতন আর কোন দিন বাড়বে না। আবার বলবেন না, বাম সরকার দেনা করুক যাই করুু বছরে দুবার ডিএ দিয়েছে সঠিক সময়ে পে কমিশন দিয়েছেন। শিক্ষক দের ১৯৮০ সালের আগে কোন বেতন কাঠামো ছিল না । নিয়মিত পেনশন ছিল না, বামফ্রন্ট সরকার শিক্ষকদের পে কমিশন ও পেনশন ফ্যামিলি পেনশন এর ব্যবস্থা করে দিয়ে ছিল। আর আজকের সরকার সত্ত্ত দশকের শিক্ষা মন্ত্রী সুরে কথা বলছেন। এই তফাৎ একটা সম্পুর্ণ উগ্র ক্ষমতা লোভী ডান পন্থী সরকারের সঙ্গে বামফ্রন্ট সরকারের। আমরা ভুল করে ফেলেছি, সেই ভুলের মাশুল আমাদের দিতে হবে। আমাদের মধ্যে এখনও অনেক শিক্ষক আছেন যারা এই সরকার কে সর্মথন করে যাচ্ছে। বেতন কম দিলেও যা করছে ভালো করছে। এই সরকার হাতেও মারছে ভাতেও মারছেে, এটা সকল কে বুঝতে হবে। আরো বড়ো আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। দল মত নির্বিশেষে সকল শিক্ষকে আহ্বান জানানো দরকার। আর শিক্ষক আন্দোলনের সঠিক ভাবে জানতে হবে। 












No comments:

Post a Comment