Tuesday, 30 October 2018

মানুষের সব কিছুর পরিবর্তন করে দিচ্ছে মিডিয়া।

আমার কথা বা লেখা সত্যিই কজন পড়েছেন? আমি ঠিক বুঝতে পারছি না কারণ কারও কোনও মন্তব্য আজ পর্যন্ত পেলাম না। জানি না কতটা ভালো লাগছে? কারণ আমি দেখেছি ইউ টিউবে চটুল ভিডিও দেখতে সবাই অভ্যস্ত লেখা পড়ে সময় নষ্ট করার সময় নেই। নিউজ পোর্টাল গুলো লেখার ধরণ পাল্টে ফেলেছে। খবর গুলো ছোট আকারের হয়েছে । প্রতিটি তে কোনো না কোনো ছবি থাকছে। ছবি না থাকলে এ্যমিনেশণ ছবি দিয়ে দিচ্ছে। আর ছোট খাটো নিউজ পোর্টাল প্রতিনিয়ত যৌন তা নিয়ে লিখছে। যে লেখা দশ দিন আগে অন লাইন ছিল সেই লেখা কে আবার পোষ্ট করে দিচ্ছে। আর কিছু আছে ইউটিউবে চটুল ভিডিও, দূর্বো ঘাসের রস খান যৌন উত্তেজনা বাড়বে বলে একটা নোংরা ছবি দিয়ে পোষ্ট করে দিচ্ছে। এবিষয়ে বাংলাদেশের মেয়েরা বেশি এগিয়ে, সব রকমের আবেদন গল্প পাবেন, গল্প মানে অডিও গল্প সামনে একটি ছবি। সারা রাত ধরে তাকে কি বলল কি করল বলছে ঐ সব অডিও। এই সব বেশি পাওয়া যাবে বাংলাদেশ থেকে পোস্ট করা ইউটিউব ভিডিও তে, কী করে সব করতে হবে সব শেখাচ্ছে। এগুলোর ভিউ বেশি মানুষ এগুলো তাহলে চাইছেন। কিছু সময় লেখা আছে আঠারো বছরের নীচে কেউ দেখবা না। আচ্ছা ঐ টুকু আবেদন কোনো সিস্টেম নেই যে আঠারোর নীচে হলে তাকে সাইটে ঢুকে বয়স জানাতে হবে, তবে খুলবে। বলবেন সামাজিক শিক্ষা হচ্ছে। এই যৌন শিক্ষা দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে না। এতো সামাজিক অবক্ষয় ডেকে আনতে পারে। সেই শিক্ষা দিতে বলা হচ্ছে, যে খানে চুমু খেলে পেগনেন্সি হয়েছে বলে, তামিল নাড়ুর মেয়ে টি গর্ভনিরোধক পিল খেয়ে ডাক্তারের কাছে এসে ছিল। এরকম পরিস্থিতিতে পড়তে না হয়, সেই জন্য সামাজিক শিক্ষা হিসেবে যৌন শিক্ষা দিতে হবে। আর ছোট শিশুদের মানে যারা নেট সার্চ সেই সব, কিশোর দের কথা ভাবতে হবে। প্রাচ্যের দেশ গুলো তে বিশেষ করে ভারতীয় উপমহাদেশে এখনও খোলা মেলা নয়। খোলা মেলা করা উচিত কি না সে বিতর্ক চলছে। জানে সবাই যৌন মিলন অপরিহার্য কিন্তু খোলা মেলা হলে যৌন রোগ গুলো অপ্রতিরোধ্য হয়ে ঢুকে যাবে শরীরে। আবার খোলা মেলা হলে এই মেয়ে দের উপর যে অত্যাচার সেটা কমবে। সবেরি ভালো মন্দ দুটো দিক থাকে।আমাদের খাদ্যাভ্যাস পাল্টে যাচ্ছে, অনেক অখাদ্য যা বাঙালি খেত না। সে গুলো আজ তাদের খাদ্য তালিকায় ঢুকে পড়েছে। মদ খাওয়া এখন কিশোর কিশোরী রাও বাবা মায়ের সঙ্গে বসে মদ্যপান করছে। ইংরেজ রা দেশ ছেড়ে চলে গেছে ৭০ বছর আগে, কিন্তু তাদের পোশাক ও ঐ মদ্যপান রেখে গেছে। যা আমরা এখন অভ্যাসে পরিনত করে ফেলেছি। কেউ কেউ ধর্মীয় অনুশাসন দিয়ে ধরে রাখতে চাইছেন। সেই অনুশাসনের ফাঁকে আমরা আরও বেশি করে মদ্যপান করে চলেছি। খাদ্য অভ্যাস পাল্টানোর জন্য দেওয়া হচ্ছে যৌনতার সুরসুরি, যাতে খায় তার জন্যে চটক দার বিজ্ঞাপন। এসব পড়ে অনেক বলবেন আপনি তো মশাই সেকালের মানুষের মতো ব্যাকডেটেট কথা লিখছেন। মানুষ কি চিরকাল একই রকম থেকে যাবে, পাল্টাবে না, হ্যাঁ নিশ্চয়ই পাল্টাবে কিন্তু খারাপ হবে এরকম কিছু না করে পাল্টাবে। রামকৃষ্ণের সেই কথা মনে রেখে পাল্টাবে, তিনি বলেছেন, "খারাপ টা বাদ দিয়ে ভালো টা নিতে হবে।" আসুন আমরা সেই ভাবে আমাদের পাল্টাই যা আমাদের সুস্থ সমাজ ব্যবস্থা তৈরিতে সাহায্য করে দেবে। আমরা ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নিই, ভালো মন্দ বিচার করে সিদ্ধান্ত নিই। আমরা আধুনিক বিজ্ঞানের শিক্ষা নিই, যে বিজ্ঞান মানুষের জীবন কে পাল্টে দিতে পারে।নিজের আব্রু বজায় রেখে আধুনিক পোশাক পরি। নিজের শরীর কে সুস্থ রেখে খাদ্যাভ্যাস পাল্টাই। নিজেকে সংযত করে শ্লালিনতা বজায় রেখে মানুষের সাথে মেলামেশা করি, কথা বার্তা বলি। আসুন সমাজ পাল্টাই কিন্তু সব কিছু কে বিসর্জন দিয়ে নয়। অন্ধের মতো অনুকরণ করে নয়। অপরের সব ভালো আর আমার যা আছে সবটা খারাপ বা আমার যা আছে সব ভালো অপরের সব জিনিস খারাপ এটা না করে। বিচার বিবেচনা করে নিজেকে পাল্টাই।


No comments:

Post a Comment