ছবি টি অন লাইন আনন্দ বাজার পত্রিকায় বেড়িয়ে ছিল। খবর হলো এই পূজোর সময় কোলকাতার ঠাকুর দেখতে গিয়ে কোন মেয়ে যদি কোনো যুবকের দ্বারা ইভটিজিং এর স্বীকার হন। তবে সেই রোমিও জেল বাস অনিবার্য। কিন্তু দেখুন কয়েক দিন আগে মেট্রো রেলের কামরার মধ্যেই একটি মেয়ে ইভটিজিং বা শ্লীলতাহানি করছিলেন কেউ প্রতিবাদ করেন নি। তার একটা কারণ থাকতে পারে, মনে আছে কিছু মাস আগে মেট্রোয় কত গুলো ছেলে মেয়ে অশ্লীল আচরণ করছিল তার প্রতিবাদ করে ছিল একজন সেই নিয়ে তোলপাড় পরে যায়। সেই নিয়ে আন্দোলন শুরু করে সব যুবক যুবতিরা হোক ভালবাসা। এর আবার উল্টো দিকে আন্দোলন শুরু হয় থাক শ্লালীনতা । আমার মনে হয় সেই জন্যই কোনো যাত্রী প্রতিবাদ করে নি। আবার দেখুন দু তিন দিন আগে শহরের রাস্তায় বসে মদ খাওয়ার সময় গাড়ি নিয়ে যাচ্ছিলেন। এমন ভাবে বসে মদ খাচ্ছিল গাড়ি নিয়ে যেতে পারছিলেন না। এর মধ্যে তার গাড়ির আলো পড়ায় মাতালের দল অভিনেত্রী উপর চড়াও হয়। এতো আপনারা খবরের কাগজে পড়ে কম বেশি পড়ে ফেলেছেন। ভাবুন রাজ্য টা চলছে মদ বিক্রির ট্যাক্সের উপর, সেই জন্য রাজ্য সরকার আরও মদের দোকান খোলার অনুমতি দেবেন। রাজ্যের আয় বাড়ানোর জন্য । সেই জন্য মদ খেয়ে শ্লীলতাহানি করেছেন বলে তাদের সাজা দেওয়া যাবে! আবার কদিন আগেই অনলাইন একটা খবরের কাগজে দেখলাম ধর্ষণ করে দুটি মেয়ে কে খালের জলে ফেলে দিয়েছে। ভাগ্যের জোরে তারা বেঁচে আছে, নিশ্চিত ঐ ঘটনার আসামী থুরি শারিরীক আরাম করে ছিল মদ খেয়ে। সেই জন্যই তাদেরকেও ছেড়ে দিতে হবে। এবার তাহলে রোমিও রা বুঝেছ তোমরা যদি মদ খেয়ে ইভটিজিং কর তাহলে তোমাদের ছাড়। কারণ মদ কিনবে রাজ্য সরকারের আয় বাড়বে। সঙ্গে একটু বড়ো নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে রেখো তাহলে ফ্রী বন্দুক আর বোম তৈরির অনুমতি পত্র পেয়ে যাবে । আর কাউকে যদি মেরে দাও তবে ও দোষের নয়। ওটাকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়া যাবে, আরে ওরকম কতো মরছে, নাম জানা কিন্তু তাকে সিঙ্গুর স্টেশন চত্বরে ঘোরাঘুরি করতে দেখেছি। আমি অনেক বার খেতে টাকা দিয়েছি । সেই লোক টিকে কদিন দেখতে পাচ্ছি না । ওখানে একজন কে জিজ্ঞেস করলাম ভাই এখানে একটা লোক খুব মদ খেত তাকে দেখতে পাচ্ছিনা সে নেই । পূজার সময় তাকে কিছু সাহায্য করি এই জন্য খোঁজ। যাকে জিজ্ঞেস করলাম তিনি বলেন ঠিক জানি না। তবে শুনেছি মদ বিক্রির অপরাধে জি আর পি ধরে নিয়ে গেছে। এভাবেই কত লোক হারিয়ে গরীব মানুষ হলে একটা ভোট কমে তাও ভোটার তালিকা থেকে তো বাদ দেওয়া হয় না। দেখুন কোলকাতার রাস্তায় মদ খেয়ে মেয়েদের সংগে অসভ্যতা করল তার শাস্তি নেই। কিন্তু ঝুপড়ি বাসী মাতাল মদ খেয়ে মদ একটু বিক্রি করল কী না করল তাকে তুলে নিয়ে চলে গেলেন। এই আমাদের দেশ বা রাজ্যের আইন। সকলের শুভ হোক, ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন আর মন্তব্য লিখুন।
No comments:
Post a Comment