Friday, 26 October 2018

গ্রামের ডাক ঘর বা পোস্ট অফিস।


ছবি টি অন লাইন আনন্দ বাজার পত্রিকায় থেকে নেওয়া । ছবি টি একজন বিধবা যিনি ফ্যামিলি পেনশন পান। পোস্ট অফিসের মাধ্যমে, দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে আর পেনশন পাচ্ছেন না। গাফিলতি কার পোস্ট অফিসের কারণ ট্রেজারি যথারীতি পেনশন প্রাপকের হাতে পৌঁছে দিতে পারেননি পোষ্ট অফিস। জেলা পোষ্ট মাস্টারের সাথে এ্যডিশনাল ডি এম দেখা করেছেন তারপর কাজ হয়নি। এখবর আনন্দ বাজার পত্রিকার অনলাইন খবরের কাগজে দেখলাম। আমি এখানে এই পোষ্ট অফিসের বড়ো বাবুদের কিছু গুনের কথা লিখব। একজনের গুনের কথা লিখি সবার আগে কারণ তিনি ভীষণ গুণধর। তিনি হলেন পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার সিঙ্গুর পোষ্ট অফিসের অধীন পলতাগড় গ্রামের সাব পোষ্ট অফিসের পোষ্ট মাস্টার। কেউ কেউ আবার বলেন উনি পোষ্ট মাস্টার নন, আসলে  পোষ্ট মাস্টার হলেন    ওনার গৃহীনি। গৃহীনীর বাচ্ছা হবে তাই উনি স্ত্রী হয়ে  প্রক্সি দিচ্ছিলেন। গত এপ্রিলে বা তার আগে পরে এ ঘটনা ঐ ছোট পোস্ট অফিস দু মাস তিন মাস যে টাকা সাধারণ মানুষ জমা করেছে। সিঙ্গুর হেড অফিসে সে টাকা আর জমা হয়নি। তাহলে ঐ সময়ে যারা তাদের পোষ্ট অফিসের বই এ টাকা কত জমা করে ছেন কার বই এ লেখা আছে কারো লেখা নেই। প্রায় লক্ষাধিক টাকা নিয়ে তিনি চম্পট দিয়েছেন। সিঙ্গুরে গিয়ে ঐ সব গ্রাহকরা জানতে পারেন ঘটনা টা তবে আশ্বাস মিলেছে যাদের পাশবই এ লেখা আছে তারা টাকা ফেরত পাবেন।
এ তো ধাপ্পা বাজির কথা গেল, আপনি পোষ্ট অফিসে গেছেন কোনো দরকার চিঠি পোষ্ট করবেন বা টাকা তুলবেন বিভিন্ন রকম ভাবে যখন আপনি কাউন্টারে পৌঁছলেন শুনলেন ও কাউন্টারে ঐ কাজ হয় না। পাশের কাউন্টারে আপনি তার সেই আস্তে বলা কথা শুনতে পাননি যেই দ্বিতীয় বার জিজ্ঞেস করলেন জুটল ধমক দেখতে পান না। বলছি পাশের টায় যান। আবার সাব পোষ্ট অফিসে কোনো চিঠি এসেছে আপনার হাতে পৌঁছ কিনা সন্দেহ কারণ এরা দু চার দিন কাছে চিঠি টা রেখে দেবে এবার যদি প্রাপকের সাথে দেখা হলে তাকে দেওয়া হবে দশ টাকার বিনিময়ে। কারণ তারা ইডি কর্মী বেতন কম পান। আর যদি দেখা না হয় তাহলে আর চিঠি পেলেন না। যত গুরুত্ব থাক আপনি পেলেন না। এখন তো চিঠি আসে এল আই সির চেক বা ম্যাচুরিটি বেনিফিটের আর খুব দৈবাৎ কোনো চাকরির নিয়োগ পত্র। তাও আপনার কাছে সময়ে পৌঁছবে না। অভিযোগ কোথায় দায়ের হবে দায়িত্ব কার কেউ জানে না। এরা জানে আমরা দিল্লি সরকারের অধীনে কাজ করি দিল্লি থেকে ব্যবস্থা নিতে নিতে অবসরপ্রাপ্ত হয়ে যাব। আর ততদিনে ওসব অভিযোগ কোথায় চলে যাবে । তাই সাধারণ মানুষ কে যত পারো হয়রানি কর কিচ্ছু হবে না। আগে এই ডাকঘর ছিল মানুষের ভরসার জায়গা জানত এখানে টাকা রেখে নিশ্চিন্ত কোনো টাকা পয়সা মার যাবে না। সে ভরসা নেই। আরো যদি অন্য কোন প্রয়োজন থাকে গেলে হয়রানির শেষ নেই। সাধারণ মানুষের কিছু করার নেই। আবার এখন এই সব পোষ্ট অফিস নাকি ব্যাঙ্কের কাজ করবে যে গ্রামে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক নেই সেখানে এই পোষ্ট অফিস গুলো কে ব্যাঙ্ক বানান হবে, যাতে সাধারণ মানুষ হাতের কাছে ব্যাঙ্কের পরিষেবা পায়। যারা প্রতিনিয়ত সাধারণ মানুষ কে হয়রানি করে যাচ্ছে। তারা দেবে ব্যাঙ্কের পরিষেবা, কি ভালো হবে চিন্তা ভাবনা ভালো কিন্তু আগে পরিষেবা ঠিক করা হোক। সাধারণ মানুষের অভিযোগ শোনার ব্যবস্থা করা হোক । পরিকাঠামো উন্নয়নের ব্যবস্থা না করে যদি এসব হয় তাহলে সাধারণ মানুষের হয়রানি বাড়বে বৈ কমবে না। 

No comments:

Post a Comment